![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম যার যার উৎসব সবার সাধারণভাবে দেখলে কথাটি খুব যোক্তিক-ই মনে হয়। তাইতো, সবাই এক সাথে থাকবো, এক সাথে উৎসব এর আনন্দ করবো। খুবই সাধারণ ও ভাল চিন্তা। কিন্তু একটা বিপুল সংখ্যক মানুষ এর বিরোধীতা করছে। একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যখন একটা ব্যাপার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয় তখন তা সমাধান করতে সমাজ বিজ্ঞান এবং দর্শনে একটা অভিধা ব্যবহৃত হয় ইংরেজিতে যাকে বলে “Comparative study” বা তুলনামূলক আলোচনা। অর্থাৎ যে ব্যাপারটি সবার কাছে গ্রহযোগ্য তা দিয়ে ধোঁয়াশে বিষয়টিকে ব্যাখা করা। আসুন এই জ্ঞানটি এখানে কাজে লাগাই। যে ব্যাপারগুলো আমাদের কাছে পরিস্কার তা দিয়ে বিষয়টি বিচার করি।
বাংলাদেশে ৩ টা বড় রাজনৈতিক দল আছে। এক- আওয়ামীলীগ, দুই-বিএনপি, তিন-জামাত। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী। আবার এই দিনেই বিএনপি প্রধানের জন্মদিন। তারা বেশ আমোদের সাথে এই দিন পালন করে। এখন দল যার যার খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক সবার। আওয়ামীলীগের কোন নেতা যদি এই থিওরি মেনে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক খেতে যায় তাহলে আওয়ামীলীগে কি তার পদ আর থাকবে? একই ভাবে বিএনপির কেউ যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতে যায়, তাহলে বিএনপিতে তার পদ আর থাকবে?
জামাতের প্রধান মতিউর রহমান নিজামির কয়েকদিন আগে ফাঁসি হয়েছে। জামাত এজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে। দল যার যার গায়েবানা জানাজা সবার, আওয়ামীলীগের কোন নেতা যদি গায়েবানা জানাজা যোগ দেয় তাহলে আওয়ামীলীগ থেকে তার লালবাতি জ্বলতে কয় মিনিট লাগবে??
লন্ডনের কিংস চার্লস স্ট্রিটে রবার্ট ক্লাইভের একটা ভাস্কর্য আছে। ইংলিশরা তাকে অনেক শ্রদ্ধা করে। দেশ যার যার শ্রদ্ধা সবার এই নীতি মেনে কোন বাংলাদেশি কি স্ট্রিটে রবার্ট ক্লাইভের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানাতে যাবে কখনো? কিংবা পাকিস্তানে? যদি আওয়ামীলীগের কোন নেতা খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বা গায়েবানা জানাজায় যায় তার অর্থ আওয়ামীলীগের প্রতি আসলে ওই নেতার মনে কোন ভালবাসা নেই। অবশ্যই কোন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি রবার্ট ক্লাইভের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানাতে যাবে না।
দলের প্রতি আনুগত্য বা দেশের প্রতি আনুগত্য খুবই ছোট একটা বিষয়। আমাদের জীবনে দল বা দেশের ধারনার প্রভাব খুব বেশি না। আর ধর্মে একটা বিশাল ধারনা। এই ছোট আনুগত্য আপনাকে বিরত রাখছে এইসব কাজ থেকে, আর ধর্ম.........
ফ্ল্যাশব্যাকঃ
“নিশ্চয়ই শিরক জঘন্য জুলুম” -সূরা লুকমান [১৩]
“হে মুমিনগণ নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদি, ভাগ্য নির্ণয়ক শর এগুলো সব শয়তানের কাজ। এগুলো থেকে দূরে থাকো যদি সফল হতে চাও” -সূরা মায়িদা [৯০]
“হে আমার প্রতিপালক!
এই শহরকে নিরাপদ কর এবং আমার সন্তানদের প্রতিমা পূজা থেকে দূরে রেখো। হে আমার প্রতিপালক এই প্রতিমা বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ” -সূরা ইব্রাহিম [৩৪-৩৫]
" ...সুতরাং তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো
এবং মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাকো" -সুরা হাজ্জ্ব [৩০]
“অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে” -ইউসুফ [১০৬]
যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক এর শরীক করে , আল্লাহ পাক তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম ।" -সূরা মায়িদা [৭২ ]
“আমি যদি তোমাকে দৃঢ়পদ না রাখলে তুমি তাদের দিকে কিছুটা ঝুঁকতে পড়তে তখন আমি অব্যশই তোমাকে ইহ ও পরকালে দ্বিগুন শাস্তি আস্বাদন করাতাম, এ সময় তুমি আমার মোকাবেলায় কোন সাহায্যেকারী পেতে না” -সূরা বনি ইসরাইল [৭৪-৭৫]
এ আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে হযরত সাঈদ বিন যুবায়ের থেকে বর্ণনা পাওয়া যায় একবার রাসুলুল্লাহ [সা.] কাবা তাওয়াফ এর সময় হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেছিলেন তখন কুরায়েশগণ তাকে বাঁধা দিয়ে বলে আমাদের দেবতার নিকটে না গেলে তোমাকে তা স্পর্শ করতে দেব না। তখন রাসূল [সা.] মনে মনে ভাবছিলেন হাজরে আসওয়াদ স্পর্শের বিনিময়ে মূর্তির কাছে গেলে কি পাপ হবে? আমি যে মূর্তি অপছন্দ করি আল্লাহ তা ভালোভাবেই জানেন।
আল্লাহ রাসূল সা. এর এমন চিন্তা অপছন্দ করেন এবং তখন এই আয়াত নাযিল হয়। [তাফসীরে কুরতুবি]
এ আয়াতের তাফসির থেকে এটা পরিষ্কার অন্তরে অপছন্দ নিয়েও মূর্তিপূজার কাছে যাওয়া যাবে না।
রাসূলুল্লাহ [সঃ] বলেছেন, - যে কেউ কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্যতা ধারণ করলো সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত।। সূনান আবু দাউদ- ৪/৪৪।।
তাদের পূজার উৎসবে যাওয়া, শুভেচ্ছা জানানো, তাদের সাথে সাদৃশ্যতা।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “শীঘ্রই আমার উম্মতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে এবং কিছু লোক মূর্তিপূজারীদের সাথে মিশে যাবে”। [সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৯৫২]
উমর ইবনে খাত্তাব [রাঃ] বলেছেন, "তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।"
[ইবনুল ক্বাইয়্যিম[রাহিঃ] তাঁর
'আহকামুল জিম্মাহ ১/৭২৩-৭২৪ এ সহিহ সনদে বায়হাক্বী থেকে এই রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন।]
ইমাম ইবনুল কায়্যিম [রহ:] তার ‘আহকাম আহ্ল আল-দিম্মা’ গ্রন্থে বলেন, “কাফিরদের তাদের উৎসবে সম্ভাষণ জানানো মুসলিম ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ”।
শায়খুল হাদিস ইমাম ইবনে তাইমিয়া [রহঃ] বলেন- “কাফেরদের উৎসবের নিদর্শন এমন কিছুতে অংশ নেয়া মুসলমানদের জন্য জায়েয নয়”। [সূত্রঃ মাজমু আল ফাতাওয়া- ২৯/১৯৩]
অন্য ধর্মের ব্যাপারে ইসলামের অবস্থানঃ
'অন্য ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের উপাসনা করে সেসব দেব-দেবীকে তোমরা গালি দিও না। তাহলে তারাও সীমালংঘন করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দেবে।’
-সূরা আন'আম : ১০৮
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
খলিফা ওমর নিজের নাম লিখতে পারতেন কিনা সন্দেহ আছে; উনার কথার কোন মুল্য নেই
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
মাহিরাহি বলেছেন: গাড়িওয়ালা ভারতের পা চাটা কুকুরটারে পাত্তা দিয়েন না।
যার যার ধর্ম তার কাছে। আপনার ধর্ম যদি ইসলাম হয় তাহলে তা পুরোপুরি মানতেই হবে। ফালতু উদারতা দেখাতে গিয়ে কখনোই উচিত হবে না ইসলামের বাইরে কিছু করার।
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
ফাহাদ হামযা বলেছেন:
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ফাহাদ হামযা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই, এই রকম একটা ভাল পোষ্ট লেখার জন্য so a lot of thanks..............
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১১
যাযাবর চিল বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৮
আশাবাদী অধম বলেছেন: ধর্ম মানুষের নিজের অস্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত। মা-বাবা সন্তানকে বলতে গেলে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। সেই আদরের সন্তান ধর্মান্তরিত হলে নির্যাতন করতে দ্বিধা করেনা। সুতরাং, ধর্মের সাথে ধর্মের পার্থক্য একটি অনিবার্য বাস্তবতা । যারা তেলে-জলে মিশ খাওয়ানোর চিন্তা করে তারা ভুল করে।
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৮
আশাবাদী অধম বলেছেন: ধর্ম মানুষের নিজের অস্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত। মা-বাবা সন্তানকে বলতে গেলে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। সেই আদরের সন্তান ধর্মান্তরিত হলে নির্যাতন করতে দ্বিধা করেনা। সুতরাং, ধর্মের সাথে ধর্মের পার্থক্য একটি অনিবার্য বাস্তবতা । যারা তেলে-জলে মিশ খাওয়ানোর চিন্তা করে তারা ভুল করে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেকুবী ধরণের ভাবনা চিন্তা