নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মহীন রাষ্ট্রের অলীক কল্পনা

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৪



- কথা হল ভাই, ধর্ম এবং রাষ্ট্র থাকবে সম্পূর্ণ আলাদা। ধর্ম রাষ্ট্র বা রাজনীতির মধ্যে আসবে না।

কিন্তু এমন উদাহারন তো দুনিয়াতে নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত এবং শিক্ষিত দেশ অ্যামেরিকা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাং কিং এ প্রথম ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ৬০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ই আমেরিকায়। সেই আমেরিকায়ও প্রেসিডেন্ট শপথ নেয় বাইবেলে হাত রেখে। ডলারের গায়ে লেখা আছে “In God we trust” । সংসদীয় গনতন্ত্রের সূতিকাগার ইংল্যান্ডে আইন অনুযায়ি রানী ক্যাথলিক হতে পারবে না বা কোন ক্যাথলিককে বিয়ে করতে পারবে না। অর্থাৎ ধর্মের প্রভাব নেই রাজনীতিতে বা রাষ্ট্রে এমন উদাহারন নেই। কম আর বেশি।

- উদাহারন নেই। উদাহারন তৈরি করতে হবে।

হুম এটা একটা যুক্তির কথা। উদাহারন তৈরি করতে পারলে সেটা একটা ভিন্ন অবস্থা। তবে যারা ধর্মহীন রাষ্ট্র বানিয়েছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সরকারি নিপীড়ন এবং হত্যাত্যাকাণ্ড এরাই ঘটিয়েছে। জোসেফ স্টালিন, লেলিন, মুসেলিনি। ক্রিমিয়া গনহত্যা, মধ্য এশিয়ায় নির্যাতন, জিংজিয়াং এ। ভয়াবহতম শাসন ব্যবস্থা। আর উল্টো দিকে? পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে মানবিক শাসন ছিল ৬২৩ সাল থেকে ৬৫৩ পর্যন্ত এরাবিয়ান পেনিনস্যুলাতে। খোলাফায়ে রাশেদার শাসন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নমুনা পাওয়া যাবে না পৃথিবীর ১/৩ অংশের সম্রাট মাএ একজন দেহরক্ষী আর একটা উট নিয়ে কয়েক হাজার মাইল রাস্তা যাচ্ছে। তার মধ্যে আবার অর্ধেক রাস্তা দেহরক্ষী উটের পিঠে গেছে অর্ধেক সম্রাট। এটা অসম্ভব। এমন কোন উদাহারন নেই। আমাদের দেশের সহ বেশিরভাগ দেশের সংবিধানে এমন বিধান আছে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। ৬৪০ এর দশকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য ছিল খেলাফাত। সেই খলিফার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং কোর্ট খলিফার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। চিন্তা করেন তো রশিয়ায় পুতিনের বিরুদ্ধে মামলা বা ইউএসে ওবামার বিরুদ্ধে। এটা চিন্তা করাও সম্ভব না। বর্তমান রাশা বা ইউএসের চেয়ে খেলাফত অনেক বড় এবং ক্ষমতাবান ছিল। আচ্ছা আরব বাদ দেই। আমাদের দেশের কথা ভাবি। আমাদের দেশ বা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে মানবিক শাসন ছিল কখন? উত্তর অবশ্যই বাবর, জাহাঙ্গীর বা আওরংগজেব। আচ্ছা মুসলিম শাসন বাদ দিলাম। মুসলিম শাসন বাদ দিয়ে যদি চিন্তা করি। তাহলে বলতে সম্রাট অশোকের কথা। সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের পর বুদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন, এবং অসাধারন মানবিক শাসন শুরু করেন। বর্তমানে অশোক লিপি পাওয়া যায়, সেখানে সম্রাট অশোকের মানবিক শাসনের একটা নমুনা পাওয়া যায়। ইউরোপের সবচেয়ে মানবিক শাসন ছিল অবশ্যই স্পেনে ৮০০ শতকের দিকে, হ্যাঁ সেটাও মুসলিম শাসন। তখন স্পেনে যে পরিমান বই প্রকাশ হতো বছরে, স্পেনে এই সময়ে তার তিন ভাগের এক ভাগ হয়। এখন এর চেয়ে যদি ভাল উদাহারন তৈরি করতে পারেন আপনারা, আমি পরের দিনই ইসলামি থিওলজি বাদ দিয়ে আপনার দলে যোগ দেবো। কিন্তু কমরেড, যদি উদাহারন তৈরি করতে না পারেন তাহলে কি আপনি আপনারটা বাদ দিয়ে আমারটা গ্রহন করবেন?

- ঠুস...।


মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৯

কালীদাস বলেছেন: |-)
মুখ খারাপ হয়ে যায় এই জাতীয় পোস্টগুলো দেখলে। মিডল ইস্টের বে** বাচ্চাগুলো কোথায় ছিল ১৯৭১ সালে যখন গণহত্যা চলছিল? আজকে একজন বাংলাদেশি কোন ফাকিস্তানির গাল বন চটকানা মারলে দশটা মিডল ইস্টের শুয়র দৌড়ে আসে মুসলিম ভাইদের মধ্যে ঝগড়া থামানোর নামে ফাকিস্তানির গাল বাঁচাতে, এই বেজন্মাগুলো ৭১ সালে কই ছিল? হিপোক্রেসি মারান, তাই না?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

যাযাবর চিল বলেছেন: কি মুখের ভাষা?! পুরাই খাসা :)

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১২

কালীদাস বলেছেন: ওহ চিনতে পেরেছি এখন আপনাকে। আপনিই সেই জন্তু যে নাকি ফাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক রাখা এবং জামাতি বেজন্মাগুলোর ঝুলানো নিয়ে মর্মে মরে যায়। ছিহ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৮

যাযাবর চিল বলেছেন: শুদু আমি না দাস বাবু। সুপ্রিম কোটের আপিল বিভাগের বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া সাঈদিকে বেকুসুর খালাস দিছে। হেতেরেও গালি দেন কিচু দাস বাবু। শুদু আমারে কেন দেন দাস বাবু। ওহে দাস কেন? কেন?

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫২

গরল বলেছেন: ধর্মহীন রাষ্ট্রর উদাহরণ দুনিয়াতে নেই কে বলল, আপনি চীন, জাপান, তাইওয়ান এর সম্বন্ধে জানে না তাই এই কথা বলছেন। এইসব দেশে ক্রিস্টমাসেরও ছুটি নেই, আমরা অফিসে বৃটিশ এবং আমেরিকানরা কেক কাটত আর আমাদের খাওয়াত। ঐসব দেশে মানুষের ধর্ম আছে, রাষ্ট্রের নেই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

যাযাবর চিল বলেছেন: চীনে রমজান মাসে মুসলিমদের রোজা রাখতে দেওয়া হয় না, দাঁড়ি রাখতে দেওয়া হয় না, তিব্বত। জিনজিয়াং গনহত্যা, তিয়েন আমেন গণহত্যা। এক সন্তানের বেশি হলে সেই সন্তানকে ধরে নিয়ে যাবে। এটাকে মানবিক শাসন বলবেন ??

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৭

বাবাজান বলেছেন: ঠিক, বলেছেন, ধর্মের সন্মান সব দেশেই রয়েছে, এটাই ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোব্সার কারনে আর আপনি যে ইতিহাস গুলো রেখেছেন, তার বিকল্প কোনো ইতিহাস নেই, আর ৭১এর কথা বাদ, তারা শেষে আত্মসমর্পন করেছিলো,

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:২৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালোলাগা+

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০৯

নাফিউল বলেছেন: ধর্মহীন রাজনীতি শোষনের হাতিয়ার ।
আসুন সঠিক আকিদায় রাজনীতি কর।
view this link

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:



ইসলাম ধর্মই একমাত্র বিধান হওয়া ইচিৎ

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

অেসন বলেছেন: ইউরোপ এ কি এখন মানবিকতা নেই ? তাহলে শরণার্থী হয়ে ইউরোপ এ যান কেন? ব্রিটেনের রানী কি সংসদীয় গনতন্ত্রের অংশ ?
ধর্ম আর রাষ্ট্র এক হলে যা হয় তা কি বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা দেখেও বুঝলেন না ? যা হচ্ছে সবই ধর্মের নামে। আমেরিকার উদাহারন দিলেন, আমেরিকার কোন কাজে ধর্মীয় পরিচয় দেওয়ার বিধান নেই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

যাযাবর চিল বলেছেন: এক- পৃথিবীর ৭০ ভাগ শরণার্থী গ্রহণ করেছে তুরস্ক, জর্ডান, পাকিস্তান, ইরান। সবগুলোই মুসলিম দেশ। ইউরোপের অর্থনৈতিক ভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশে যথাক্রমে জার্মানি, তুরস্ক, ব্রিটেন, ইতালি। এর কোন দেশেই ধর্মকে ফেলে দেয়নি। ব্রিটেনের রানী- ব্রিটেনের প্রধান। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশে রাজতন্ত্র চলে যা ইসলামের সাথে সরাসরি সাংঘরসিক।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

অেসন বলেছেন: ইউরোপ এ সিরিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী যাচ্ছে তা প্রমানের প্রয়োজন নেই। কিন্তু পাকিস্তান আফগানিস্তানের তালেবান সন্ত্রাসী ছাড়া কাকে কাকে শরণার্থী হিসাবে গ্রহন করেছে ? তার প্রমান দিন। ব্রিটেনের রানী সরকার চালায় না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৪

যাযাবর চিল বলেছেন: তালেবানরা কেন সন্ত্রাসী ? তারা কি সন্ত্রাস করেছে? অ্যামেরিকা আফগান হামলা করেছে তার বিরুদ্ধে নিজের দেশকে বাঁচানো সন্ত্রাস ?? সন্ত্রাসী হল অ্যামেরিকা, এবং রাশা যারা আফগানে হামলা করেছে। ইউরোপ এ সিরিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী যাচ্ছে- অস্বীকার করলাম কখন। কিন্তু এক তুরস্কেই যে বাকী পুরা ইউরোপের চেয়ে বেশি শরণার্থী আছে, এটা আপনি অস্বীকার করছেন।।

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

অেসন বলেছেন: ইউরোপ এ সিরিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী যাচ্ছে তা প্রমানের প্রয়োজন নেই। কিন্তু পাকিস্তান আফগানিস্তানের তালেবান সন্ত্রাসী ছাড়া কাকে কাকে শরণার্থী হিসাবে গ্রহন করেছে ? তার প্রমান দিন। ব্রিটেনের রানী সরকার চালায় না।

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২৭

কালীদাস বলেছেন: হাহ, জামাতি জারজের রিপ্লাই জামাতি জারজের মতই। তিন মিলিয়ন লোক মারল ফাকিস্তানি বাপেরা সেটার চেয়ে বেশি আমার কমেন্টে ভাষার ধরণ সাংঘাতিক হয়ে গেল, তারপর যথারীতি আগের জেনারেশনের ইতরগুলোর মত হিন্দু গেস করে আরেকটা নোংরা রিপ্লাই মারানো হল।

আপনি অসম্ভব লাকি যে আমি ৬ বছর আগে মডারেটরদের কথা দিয়েছিলাম যে মুখ খারাপ করব না আপনার মত বেজন্মাদের পোস্টে। আদারওয়াইজ আমার কারণে আপনি এই ব্লগকে ঘৃণা করা শুরু করতেন আজকে থেকেই।

আল্লাহর ওয়াস্তে নিজের দেশ, বালের ফাকিস্তানে ফেরত যান।

১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৬

কালীদাস বলেছেন: আপনার সোনার দেশ ফাকিস্তানে ব্লগ নাই? এখানে পুটু মারা খেতে আসেন কেন জনাব জামাতি জারজ? নাকি বাপমার পরিচয় নেই বলে পাত্তা দেয় না আপনাকে ফাকিস্তানিরা? :D বাইদ্যাওয়ে, আপনি বিহারি নাতো? বিহারিদের আবার ইন্ডিয়া/ ফাকিস্তান/বাংলাদেশ কোন দেশই নিতে চায় না, আফটার অল বেজন্মাদের কে নেবে বলুন? :D ভাল কথা, আপনার বাবামার সাথে কোনদিন দেখা হয়েছিল? নাকি কোন এতিমখানায় বড় হয়েছেন? সেটাই হওয়ার কথা, বেজন্মা জারজদের এমনকি ফাকিস্তানিরাও দাম দিত না বলেই জানি :D ঠিক যেমন আফগানিস্তানে রেখে এসেছে :D

আপনার জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আমার দেশ বাংলাদেশ অনেক গরীব, তারপরও আপনার মত অবৈধ ফাকিস্তানি সন্তানদের এখনও জায়গা দিতে বাধ্য হচ্ছি :D মাঝে মাঝে দুচারটা লাথি খাবেনই বিচিতে, কষ্ট করে হজম করতে হবে, বুঝেনই অবৈধ সন্তানদের কেউই দাম দেয় না, এমনকি যারা দয়া করে আশ্রয় দেয় তারাও না :D

১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১২

কালীদাস বলেছেন: আমি এখনও ভদ্রতা বজায় রেখেছি, বারবার "দাসবাবু দাসবাবু" করে একজন মুসলিমকে উগ্র উসকানিমূলক সাম্প্রদায়িক গালি দেয়ার পরও আমি মডারেটরদের দেয়া ওয়ার্ড ভেঙে আপনাকে কোন নোংরা গালি দেইনি। আপনার জন্মপরিচয় নিয়ে যেদিন আমি শিওর হয়ে গেছি সেদিন থেকেই জানি নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে আপনার লাদির মাঝে আসলে, আপনার মত ফাকি জারজদের মুখের ভাষা এরকমই হবে :D বাইদ্যাওয়ে, সবার টেম্পার আমার মত নাও হতে পারে। আফটার অল কালকে ২৮শে অক্টোবর, কতবার ধর্ষণের শিকার হবেন কালকে আল্লাহ জানেন। আপনার ভবিষ্যত বিপর্যস্ত/বিধ্বস্ত পুটুর জন্য আমার অগ্রিম করুণা থাকল B-))

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২১

যাযাবর চিল বলেছেন: নারে বলদ তোর কমেন্টে রিপ্লাই দিয়ে আমার ব্লগের কোয়ালিটি নষ্ট হচ্ছে। রাস্তায় বের হলে অনেক চার পেয়ো প্রানি ডাকা ডাকি করে, সবকিছু নিয়ে ভাবলে চলে না। তুই গালাগালি করে যা, আমার তৃতীয় শ্রেণীর জন্তুর ডাক গায় লাগে না। উল্টা সিওর হই যে হ্যাঁ আমি ঠিক রাস্তায়ই আছি :)

১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৯

কালীদাস বলেছেন: এনিওয়ে, এরপর আমাকে দাস বাবু বলেন আর আপনার জন্মদাতা বাপই বলেন, আপনি যে জারজ তার আর একটা প্রমাণ দিয়ে যাই। আপনি আমার প্রথম কমেন্টের বা সেকেন্ড কমেন্টের কোন লজিকাল রিপ্লাই দেননি, দিতে পারবেনও যে কারণে উগ্র সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক গালি দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে গেছেন বারবার। আপনার সৌদি জেঠারা যে বারবার আপনার বালের ফাকিস্তানকে সেভ করতে এসেছে সেটা আপনি ঢাকতে পারেননি বরং গণহত্যা আড়াল করার জন্য আমাকে গালি দিয়ে বসলেন। হা হা, আপনার মত জারজদেরই দরকার ফাকিস্তানের :D

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

যাযাবর চিল বলেছেন: লজিকাল কমেন্ট!!!!!!!! দাস বাবু আপনার কাছে যদি আমার লজিক শিখতে হয়, তাহলে আত্নহত্যা করতে হবে আমার :)

১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০৩

কালীদাস বলেছেন: হা হা হা, এই তো তুইতোকারি সহকারে সুন্দর সুন্দর গালি বাইর হইতাছে জামাতের বেজন্মাদের নেচার অনুযায়ি :D চাইলে কন ঠিকানাও দেই যদি রগ কাটার ইচ্ছা হয় আমার :D বাইদ্যাওয়ে, একটা থ্যাংকস আপনের প্রাপ্য যে আমারে দাসবাবু ডাকছেন বাপ না ডাইকা, আপনের মত কুজন্মা আমারে বাপ ডাকলে মাইনেষেরে জীবনে মুখ দেখাইতে পারতাম না B-))

১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১০

কালীদাস বলেছেন: আপনের মত কুজাতরে লজিক শিখামু আমি? হো হো হো =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ যার কাছে তিন মিলিয়ন লোকেরে মারার জল্লাদ, জল্লাদের সহকারী আর হিপোক্রেটরা নিষ্পাপ আমার কমেন্টের তুলনায়; সেই লোকেরে আল্লাহ ছাড়া কেউ লজিক বুঝাইতে পারব? মইরা গেলেও না :D

১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আল্লাহর আইন চাই

১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: ধর্ম বাদ দিয়ে রাষ্ট্র চিন্তা করার চেয়ে ধর্ম ঠিকভাবে মেনে রাষ্ট্র চিন্তা করা উচিৎ। ধর্মহীন রাষ্ট্র যেমন সমাজে অধর্ম ডেকে আনে তেমনি ধর্মের নামে অবিচার, অন্যায়, গোড়ামি পশ্রয় দিয়ে গেলে সেটাও ধ্বংশ ডেকে আনে। কেবল মুসলিম রাষ্ট্র বলেই সেসব রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার ছিলো এটা ভাবা ভুল। বরং সেখানে ইসলামী শরীয়ত যথাযথ মেনে চলা হয়েছিল বলেই সেখানে সুশাসন ছিলো। কিন্তু যেসব দেশ নামেই মুসলিম অথচ নিজের মত আইন বানিয়ে আর গোড়ামিকে পশ্রয় দিয়ে চলে তাদের উদাহরণ দিয়ে ধর্মকে ছোট করে কথা বলাও অনুচিৎ। যদিও এই কলঙ্কটা সেই ধর্মের ফলোয়ারদের নিজ দোষেই জোটে একথাও অস্বীকার করার উপায় নেই।
ধন্যবাদ সুন্দর বর্ণনার জন্য।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

যাযাবর চিল বলেছেন: অনেকাংশেই সহমত। আর অশোক কিন্তু বুদ্ধ ছিলো।

১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

বাবাজান বলেছেন: কালুদাস খায় শুধু ঘাষ,
হেরে জেতে নাহি চাই, নিজেই তার নিজের দায়,
জিতে যাওয়ার লাগি করে বকাবকি,
তাই দেখে হাসাহাসি করে খুকা খুকি,
মাথা ভরা আছে গবড় নেই কোনো মগজ,
নিজেই জারজ তা না বলে পরেরে বলে জারজ,
লেখক কিন্তূ ভদ্র বটে ভদ্র ঘরের ছেলে,
কুকুর যদি ঘেউ ঘেউ করে, কি হবে তার চুলে,
শালীনতা বজায় রেখে ভাষা ব্যবহার,
কালুদাস ফহিন্নির পুতের বড় দরকার ।

সুতরাং, লেখক যে বিষয়ে লিখেছে তাতে জামাতি গরুদের কোনো চিন্তা ভাবনা প্রকাশ পায়নি বরং, এখানে লেখক যে বিষয়ে লিখেছে তাতে বুঝিয়েছে, "শুধু ধর্মের প্রয়োজনীয়তা"
ধন্যবাদ লেখক-

২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২০

কালীদাস বলেছেন:
@ব্লগার বাবাজান: আপনার কমেন্ট দেখে রাগ ওঠার পরিবর্তে হোহো করে হাসি আসল =p~ =p~ =p~ =p~ আপনি আদৌ পড়েও দেখেননি যে সেকেন্ড কমেন্টের রিপ্লাইয়ে এই জারজ যে আমাকে সাম্প্রদায়িক উসকানি মূলক গালি দিয়েছে এবং বারবার আমি মুসলিম বলার পরও সে সেটা কন্টিনিউ করে গেছে। কাউকে জাজ করতে হলে ডিটেইলড ব্যাকগ্রাউন্ড (ব্লগিং প্যাটার্ন) সম্পর্কে শিওর হয়ে জাজ করা উচিত। সেটা আমি করেছি আপনার সাথে, আপনাকে চোখ বন্ধ করে ছাগু বলিনি, কারণ আমি পড়েছি ব্লগে আপনার পোস্ট এবং রিপ্লাই। এই ব্লগারের আগের পোস্টগুলো কিভাবে জামাতকে এবং ফাকিস্তানের পক্ষে সে সাফাই গেয়ে গেছে, এমনকি দুই নাম্বারের রিপ্লাইয়েও সে সেইম কাজটাই করেছে সেটা আপনি একবারও কাউন্ট না করে আমাকে চমৎকার কালজয়ী গালি দিয়ে কবিতা লিখলেন =p~ =p~ বাইদ্যাওয়ে, নেক্সট টাইম আসল নিকে গালি দিয়েন আমাকে। এরকম মাল্টিতে ছোটলোকি করাটা আমার খুব একটা পছন্দ না।

২১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওয়েল ড্যুড, পোস্ট পড়ে মনে হলো মানুষ এখনো খিলাফতের বর্বর শাসন নিয়ে অর্গাজমে ভুগছে। যদিও কাউকে যদি স্পেসিফিকলি জিজ্ঞেস করি ঠিক কোন কোন খলিফা সঠিক ইসলাম এবং কল্যানমূলক রাস্ট্র গঠন করছে তখন ঘুরে ফিরে সেই খলিফা হারুন রশিদের নাম আসবে।

ওয়েল গাইজ, বাকীদের কি অবস্থা? ওসমান সাহাবীদের লাথী উষ্ঠা খাইয়া মরছে। যদিও অনেক মুসলমানরা স্বীকারও করে না যে সাহাবীরা লাথী উষ্ঠা মারছে, তারা বলে ইঙ্গ মার্কিন ইহুদীদের কাল্পনিক ষড়যন্ত্র...বীচ...লে অফ। বাকী তিনজন সাহাবীর আরেকজন মারা গেছে আততায়ীর ছুরিকাঘাতে। তার শাসনামলে তো লায়লট অবস্থা। আরেকজনের বিরুদ্ধে তো খোদ নবিজী সা এর ছোট বিবি আর তার শ্বশুর ওরফে প্রাক্তন খলিফা বিদ্রোহ করেন। হায় ক্ষমতা, উফ ক্ষমতা।

এরপর ইসলামের পতাকা তুলে অনেকেই ইউরোপের অনেকাংশ দখল করে। তাদের শাসনব্যাবস্থা দেখলে দেখা যাবে কেউই তাদের রাজ্য থেকে দারিদ্র‌্য দূর করতে পারেননি। এমনকি সবচেয়ে বিশুদ্ধতম এবং ভালো খলিফা হারুন অর রশিদও। দেন হোয়াটস দ্যা পয়েন্ট!

এখন আসি রাস্ট্রধর্ম নিয়ে। আমরা যদি দারিদ্র‌্য নিয়ে কথা বলি পৃথিবীতে এমনও দেশ আছে যাদের দারিদ্র্য সংখ্যা শূন্য এবং সেদেশে সবচেয়ে বেশী ইমিগ্রান্ট মাচুলমান। তো তাদের নামের লিস্ট করি।

লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে, সুইডেন, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সিঙ্গাপুর। এসব দেশে আপনি যদিও খেয়াল করেন এদের দেশে কোনো দরিদ্র নাই। এখন তাহলে প্রশ্ন এগুলো দেশের সংবিধান কোনো ধর্মকে অনুসরন করে কি না?
উত্তর না।

আবারও যদি প্রশ্ন করি এসব দেশের অফিসিয়াল ধর্ম আছে?
উত্তর নাই।

কিন্তু অনেক দেশ এটাকে এভাবে বর্ননা করে তারা বোঝাতে চায় যে এই রাস্ট্র ধর্মকে স্বাগত জানায়,সেসব উৎসবকে স্বাগত জানায় কিন্তু তাই বলে ধর্মীয় আইন, বিধি নিষেধ জন গনের ওপর চাপাচ্ছে না। তার মানে এরা সেক্যুলার রাস্ট্র।

এখন কথা হলো ইংল্যান্ড আমেরিকার সংবিধানে যে ঈশ্বরের কথা লেখা আছে সেটা কি?

প্রথম কথা হলো খ্রিষ্ট ধর্মের কোনো নিয়মই এরা এদের জাতীয় আইনে রাখে নাই। যদিও আমেরিকার কিছু প্রদেশে বিবাহ এবং স্বল্প কিছু ক্ষেত্রে সেটার প্রচলন আছে কিন্তু জাতীয় ভাবে খ্রিস্টধর্মের কিছুরই প্রচলন নেই। ইংল্যান্ড ধর্মটাকে পোষাকী বা আচারী ধর্ম হিসেবে পালন করে এই জন্য বলবো, রানীর একমাত্র আচার আচরন ও ঐতিহ্যগত দিকটা রক্ষার জন্যই সেটা পালন করা হয়। এখন তাই বলে যদি আপনি পুরো দেশটাকে খ্রিষ্টধর্ম হিসেবে চালিয়ে দেন সেটা ভুল। তবে এটা ঠিক ষোড়শ, সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ড খ্রিষ্টধর্ম এবং চার্চের দেখানো পঠেই চলতো এবং সেসব আইনই মেনে চলতো। কিন্তু হায়! দিন যত যায় ধর্মের বিদায়ী ঘন্টা বাজে।

আশা করা যায় আগামী ৫০ বছর পরে, ব্রেক্সিটের পর ইংল্যান্ডে যে পরিবর্তন আসবো, ঐ চার্চের ঐ নামটুকুও হারিয়ে যাবে।

এখন আসি মুসলমান দেশে কি বর্বর শরীয়া আর হাইব্রিড আইন চালু রেখেছে। সমকামীতা ইসলামের দৃস্টিতে অতীব ঘৃন্য বিষয়, কিন্তু তুর্কী ইন্দোনেশিয়া জর্দান এমনকি ইরাকেও এটা বৈধ। ব্যাভিচার করলে মিডল ঈস্টে পাথর দিয়ে মৃত্যুদন্ড অথচ মালয়েশিয়ার কোনো প্রদেশে চাবুক কোনো প্রদেশে জেল জরিমানা আবার কোনো প্রদেশে মৃত্যুদন্ড। সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হলো ৫১ টা মুসলিম দেশে তিনধরনের শরীয়াহ আইন কায়েম আছে। আর যেসব দেশ জ্ঞানে বিজ্ঞানে উন্নত যেমন তুরস্ক সেটা সাংবিধানিক ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ সেক্যুলার দেশ।

ড্যুড হাস্যকর না?


আরো হাস্যকর ব্যাপার হলো এই যে আমরা দারিদ্র‌্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ শান্তির দেশ কামনা করি এরকম দেশ বা অবস্থা কোনো মুসলমান শাসক তো বাদ, খোদ নবিজী সাঃ এর আমলেই সম্ভব হয় নাই। কারন অনেক হাদিসে পাবেন কত গরীব লোক, অনাথ কিভাবে কষ্ট করছে। তার চেয়ে বড় কথা নবীজি সাঃ মারা যায় শেষ যুদ্ধে গিয়া এক ইহুদী নাম্নীর হাতে বিষ খেয়ে। সেই বিষ খেয়ে প্রায় তিনবছর কষ্ট করছেন। এই কষ্ট পাবার সময় একটা হাদিসও ছিলো নাকি জিব্রাইল আঃ নাকি নিজে এসে তার ব্যাথা কমানোর চেষ্টা করেন। সেদিন সকালে তিনি বেরও হন নামাজ পড়াবার জন্য। কিন্তু মসজিদ পর্যন্ত যেতে পারেননি। এমনকি মৃত্যুযন্ত্রনায় যখন আয়েশা রা কোলে কাতড়াচ্ছিলেন তখন একটা স হী হাদিস ছিলো এই বলে খাফিয়ার বিষেরই কুফল যার কারনে ব্যথায় তার অড়া ছিড়ে যাচ্ছে। এমনও সংশয় ছিলো মহান আল্লাহ কেন তার ব্যাথা কমাচ্ছেন না?

যাই হোক লাইন ছেড়ে বেলাইনে যাওয়া ঠিক হয় নাই। আমার কথা হলো ধর্ম ছারাই পুরা নাস্তিকতাকে পুজি করে সুইডেন নরওয়ে লুক্সেমবার্গ সুইজারল্যান্ড জাপান দারিদ্র‌্যমুক্ত বৈষম্যহীন বিজ্ঞানে উৎকর্ষ তথা সর্বদিকে সুখী সমৃদ্ধীর দেশ তৈরী করতে পারলো সেখানে বর্বর শরীয়াহ আইন অথবা অথর্ব নিস্কম্মা খেলাফত আইনের মতো পুরোনো অকার্যকর আইন নিয়ে টানাটানি কেন? ইসলামের এসব দিন নিয়ে টানাটানি করার কি দরকার?


আর তুরস্ক জর্দানে এই জন্য শরনার্থী আটকাই আছে তাদের বেশীরভাগেরই টার্গেট ইউরোপ। কিন্তু ঐ মেডিটারেনিয়ান সাগর পার করার টাকা নাই। স্থল পথে তুরস্ক আটকাইছে কারন তারা সদ্য ই ইউতে জয়েন করছে আর ই ইউতে জয়েন করতে হলে পয়লা কিছু রুলের মধ্যে কয়েকটা হইলো মৃত্যদন্ড রহিত, এবং বর্ডার কন্ট্রোল!


ইস, মানুষ কত অজ্ঞ!

২২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

বাবাজান বলেছেন: কালীদাস, আপনি মুছলিম দাবি করলেন, ঠিক আছে , তবে আপনার নিক বা ছদ্মনাম হিন্দুর, তাই আপনার বকাবকিতে, আপনার নামের বিকৃত অংশ বের হতে পারে বাঁকা হয়ে,,,
''যারে দেখতে না রি চলন বাঁকা,,
সেই হিসেবে,
আর আপনি তাকে বকা মারলেন কারন হিসেবে বললেন তার আগের পোস্টের কথা সমূহ,, অথচ এইটুকু জ্ঞান রাখা উচিৎ, যখন যে বিষয়ে, বা যে প্রসঙ্গে পোস্ট হবে সে বিষয়েই মন্তব্য হবে, আর সাংঘাতিক ভাষায় গালি আসবেনা যদিও নিক নামে ব্যাঙ্গ করতেও পারে, আর তা গালি হয়ে গেলোনা, সাংঘাতিক গালির মতন, যেমনটা আপনি দিয়েছেন,, আর ভুলে যবেননা, ফাস্ট কমেন্টে রাগারাগি আপনিই কিন্তূ আগে করেছেন...!
আপনি বললেন আপনি মুছলিম তাহলে আপনার এই হাদিসটি স্বরন রাখা উচিৎ;

"মুছলমানকে গালি দেয়া ফাসেকি,আর হত্যা করা কুফুরী"

আর জামাতিদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার প্রয়োজন নেই তবে, তাদের আচরনের কারনে,তবে যারা আলেম তাদের প্রতি তাদের এলেমের কারনে ভালবাসা রাখলেই চলবে, শুধু এলেমটুকুর, আল্লাহ সবাইকে মাফ করুন,,

নিক নামটি পাল্টে রাখলেও বুঝা যাবে আপনি মুছলি,,

প্রয়োজন নেই গালাগালি করার, আপনি যদি বাদ দেন তবে নিশ্চয় অপর পক্ষও বাদ দিবে,
কবিতাটি নাপড়েও হো হো হো করে হাসতে দেখেছি আপনাকে, অন্য মন্তব্যে, আর হাসতে নিষেধ নেই, তবে ভদ্র ভাবে, ধন্যবাদ ।

২৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন ভায়া, প্রথমেই কিলিয়ার হয়ে নেওয়া দরকার আপনার কাছে আইন মানে কি? সুশাসন মানে কি?
উত্তর হতে পারে দুরকম। কেবলই দারিদ্রমুক্ত দেশের খাতায় নাম লিখানো দেশ মানেই সুশাসিত দেশ (সে দেশে খুনোখুনি, ধর্ষণ, চুরি ডাকাতি, দুর্নীতি, সম্পদের অসম বন্টন, বিশেষ এক গোষ্ঠীর হাতে সিংহভাগ সম্পদ কুক্ষিগত থাকা, অশান্তি যাই থাক না কেন)। অথবা এমন দেশ যেখানে জনগণের বাক স্বাধীনতা, আইনের আশ্রয়ের সমান অধিকার, শরিয়ত মোতাবেক প্রতিটি আইনের সুস্পষ্ট প্রয়োগ, শাসক এবং শাসিতের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের চেষ্টা করা হয় সেই দেশ(যে দেশে জনগণ দরিদ্র হলে শাসকেরও ধনী হওয়ার নজির নেই)?
আসেন, আগে খলিফাদের বর্বর আচরণের এক্টু চিত্রায়ণ করি। অল্প কয়টা এক্সাম্পল দিলেই আশা করি বুদ্ধিমানরে আর কিছু বলা লাগবে না।

হযরত আবু বকর (রাঃ) খলীফা নিযুক্ত হয়েও এক বুড়ীর বাড়ি প্রতিদিন পরিষ্কার করে দিতেন, তার বাজার সদাই করে দিতেন। এমনকি খলীফা নিযুক্তির আগেও যেমন দরিদ্রদের বাড়ি গিয়ে ছাগলের দুধ দুইয়ে দিতেন, খলিফা হওয়ার পরও এক বছর সেই দায়িত্ব নিঃসঙ্কোচেই পালন করেছেন। কি বর্বর আচরণ না?

হযরত ওমর (রাঃ) খলিফা নিযুক্তির পর একবার অভিযোগ আসলো তার নিজের পুত্র আবু শাহমা মদ খেয়েছে। তিনি তার ছেলের মামলা আদালতে না পাঠিয়ে নিজের হাতে নিলেন। কেন? আদালতে গেলে পুত্রের আর রক্ষা থাকবে না তাই তো? নোপ ভায়াপ! বরং খলিফার পুত্র বলে আদালতে বিচারে শৈথিল্য হতে পারে তাই। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হল। ইসলামি আইনে মদ খাওয়ার শাস্তি ৮০ ঘা বেত্রদন্ড। এবারও খলিফা শাস্তির দায়িত্ব অন্যের হাতে দিলেন না। কেন? অন্য কেউ কষে ৮০ ঘা মেরে দিবেন তাইজন্যে? এগেইন রং ভায়াপ! অন্য কেউ কষে লাগাবেন না বলেই। বাবার হাতে ৮০ঘা বেত্রাঘাত পুরোপুরি শেষ করার আগেই পুত্র মরে যায়। আইন তো আইন। বাকি গুলোর কি হবে? বাকি ঘা গুলো খলিফা মৃত পুত্রের কবরের উপর মেরে আইন বলবৎ রেখেছিলেন। স্বজনপ্রীতির ঠাঁই নাই রে.. হায় আইন, উফ আইন!

একবার এক নিঃস্ব লোক মহানবী (সাঃ) এর নিকট সাহায্য চাইতে আসলে তিনি তাকে হযরত ওসমান (আঃ) এর নিকট পাঠান। কিন্তু অই লোক তিনদিন গিয়ে সাহায্য না চেয়েই ফিরে আসে। কারণ সে দেখে ওসমান (আঃ) প্রচন্ড কৃপণ। ১ম দিন দেখে তিনি পিঁপড়ার মুখ থেকে শস্য সংগ্রহ করে পুনরায় স্তুপে নিয়ে রাখছেন। দ্বিতীয় দিন দেখেন তিনি বাতির সলতে উঁচু রেখে তেলের অপচয় করায় চাকরকে বকাঝকা করছেন। তৃতীয় দিন দেখেন ওঠোনে শুকোতে দেওয়া তুলো জাল দিয়ে ঢেকে রাখার পরও অল্প সল্প যা উড়ে যাচ্ছিলো সেগুলো তিনি সংগ্রহ করে এনে আবার জালের নীচে রাখছিলেন। এসব দেখে লোকটি বিমর্ষ চিত্তে বারবার ফিরে গেলেও মহানবী (সাঃ) বারবারই তাকে ওসমান (আঃ) এর নিকট পাঠাচ্ছিলেন দেখে অনিচ্ছা স্বত্তেও তৃতীয়দিন লোকটি সাহায্য চাইলো। এসময় ওসমান (রাঃ) এর একটি বাণিজ্য কাফেলা সিরিয়া থেকে ফেরত এসেছিলো মাত্র। তিনি লোকটিকে বললেন ওই কাফেলার সবচেয়ে ভালো উট এবং যাতে সবচেয়ে বেশি দ্রব্য রয়েছে লোকটি যেন সেইটি বেছে নিয়ে নেয়। লোকটি বিস্ময়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলো না। অবিশ্বাস নিয়েই লোকটি প্রথম উটটিকে পছন্দ করল। কিন্তু মরুভূমিতে উট চলাকালে প্রথম উটটি যেদিকে যায় তার পরের উটগুলোও সেদিকেই যায়। তাই অন্য উটগুলোও অই লোকের উটের পিছনে হাটতে শুরু করল। তখন ওসমান (আঃ) হেসে লোকটিকে বলল এটা হয়ত আল্লাহরই ইচ্ছা তাই সব উট তাকেই নিয়ে যেতে বলল। এত ক্ষমতা হাতে নিয়েও নিজে মিতব্যয়ী চলছে আর অকির ফকিররে এম্নে বেক্কলের মত সব দিয়া দিসে! এইগুলারে দিয়া আবার দেশের উন্নতি হয় কেম্নে?! হায় আইন, উফ আইন!

আসেন আলী (রাঃ) এর কাহিনীতে।উনার খিলাফতকালে একদিন তাঁর ছোট ভাই আকীল এসে তাঁর নিকট কিছু সাহায্য চেয়ে অনুরোধ জানালেন। হযরত আলী (রাঃ) বললেন মাসের শেষে তাঁর বেতন হাতে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। জনগণের কোষাগার বাইতুল মাল থেকে তিনি এক কপর্দকও তাঁর ভাইকে দিতে পারবেন না সেটাও দৃড়ভাবে জানালেন। ভাই অনুরোধ করল বেতনের টাকা অগ্রিম চেয়ে নিতে। তিনি জানালেন অগ্রিম চাওয়ার অধিকার উনার নেই, বাকি সবার বেতনের সাথেই উনারটাও আসবে। নাছোড়বান্দা ভাই তারপরও কিছু একটা করার জন্যে পীড়াপীড়ি করতে থাকায় তিনি বললেন কোনো দোকানের তালা ভেঙ্গে কিছু নিয়ে নিতে। এতে ভাই অবাক হয়ে বললেন যে সেটা তো চুরি হবে! তিনিও উত্তর করলেন বায়তুল মাল থেকে অর্থ নেয়াটাও চুরি বা ডাকাতি বলেই গণ্য হবে। কেননা জনগণের সম্পদ থেকে নেওয়ার অধিকার খলিফার নেই। হায় আইন, উফ আইন! জনগণের সম্পদ আবার কি জিনিস রে! নিজের হাতে থাকলে তো সবই নিজের মনে করা উচিৎ! এজন্যেই তো এত বর্বরতা ওই খিলাফতি আইনে!

এখানে কয়েকটা নমুনা দিলাম মাত্র। পুরাই রূপকথা লাগে না ড্যুড? কিন্তু এইগুলাই বাস্তব আছিলো। চোখ থেকে টিনের চশমাটা খুলে একটু ভালোমত ইতিহাস জানার টেরাই কইরেন। এরকম হাজার হাজার এক্সাম্পল পাবেন। তখন বুঝবেন খিলাফতের দূর্নীতিবিরোধী, স্বজনপ্রীতিহীন, দরিদ্র-দুর্বল-নারী- ইয়াতিম এবং অমুসলিমের প্রতি উদার এবং আইনরক্ষায় কঠোর শাসন আসলেই বর্বর! ইতিহাস না জেনেই পাতিহাসের মত প্যাঁক প্যাঁক করা কি শোভনীয় ভায়া? অত কাহিনী ঘাটতে বেশি কষ্ট হবে মনে করলে উইকি তে রাশিদুন খিলাফত নামে যেটুকু লিখা আছে সেটাও এক নজর দেখে নিতে পারেন। ওখানে আইনের নিয়ম কানুন কি ছিলো এবং কে কেমন মানতো তা নিয়ে হাল্কা পাতলা লিখা আছে। আর শরিয়াত এর আইনের প্রয়োগ রাষ্ট্রের জন্যে কেমন হওয়া উচিৎ এবং তা কতটা কল্যাণকর সে নিয়েও একটা লিংক দিলাম-
http://liberatedthought.blogspot.com/2012/11/blog-post_4257.html?m=1
বাই দ্যা ওয়ে, এটা পড়ার পর এক্টু চিন্তা কইরেন তো, আপনার লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে, সুইডেন, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সিঙ্গাপুরে ঠিক এইরকম ভাবে সবার অধিকার রক্ষা হয় তো?

অ হ্যাঁ, বলছিলেন কোন এক খলিফার বিরুদ্ধে নবীজি (সাঃ) এর ছোট বিবি যুদ্ধ করেছিলেন। ইতিহাস ঘাটেন গাই। সেই যুদ্ধের নাম ছিল উটের যুদ্ধ। খিলাফতের দায়িত্ব হাতে নিয়েই আলী (রাঃ) আগে দেশের শাসনের দিকটা গুছিয়ে নিয়ে পরে ওসমান (আঃ) এর হত্যার বিচার করবেন বলেছিলেন। কিন্তু অনেকেই সেই বিলম্ব সহ্য করতে না পেরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়। আয়েশা (রাঃ) ও তাঁদের মধ্যেই একজন। ভুল বুঝে যথারীতি তিনি যুদ্ধে অংশ নেন। সেই যুদ্ধে যদিও আয়েশা (রাঃ) পরাজিত হন, তবুও উনার নিরাপত্তার দিকে আলী (রাঃ) ভালোভাবেই নজর রাখেন। এবং দ্যা মেইন পয়েন্ট ফর ইউ ইজ, এই যুদ্ধের জন্যে আয়েশা (রাঃ) পরবর্তীকালে সবসময়ই অনুতপ্ত ছিলেন। হোয়াই ড্যুড? মানুষ কেবল ভুলের জন্যেই অনুতপ্ত হয়, সঠিক কাজের জন্যে নয়।
আর যদি বলেন দুজন ক্যান আততায়ীর হাতে মরল? তাইলে ইসলাম বাদ দিয়া সনাতন ধর্মে আসেন পিলিজ। গান্ধীজীর চরিত্র, দর্শন, অহিংস আন্দোলন, আর দেশ-জাতির জন্যে যা যা করছিলেন তা নিয়া কিছু বলতে হবে নতুন করে? কেম্নে মরছিলো? কেনো মরছিলো? যে বেটা মারছে অই নাথুরাম গডসেও কিন্তু ব্রাহ্মণ ছিলেন এবং তার এই হত্যাকান্ডের যৌক্তিক দিক তুলে ধরার লোকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। সো এইটা বুঝার দায়িত্ব এখন আপনার :)

এত এত গেজানি পড়ার পর মনে হচ্ছে না খিলাফতের শাসনের বাকি কাহিনী কয় না ক্যান? হারুন অর রশীদ রে নিয়াও তো দেখি কিচ্ছু কয় না! ওগুলা কওয়া অযৌক্তিক তাই কমু না ভায়া। কারণ প্রকৃত শরীয়াহ সম্মত খিলাফত ছিলো হযরত আলী (রাঃ) পর্যন্তই। এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সাঃ) নিজে ভবিষ্যৎ বাণী করে গিয়েছিলেন যে, "আমার মৃত্যুর পর ত্রিশ বছর খিলাফত থাকবে, এরপর প্রতিষ্ঠিত হবে রাজবংশ"। হযরত উসমান (রাঃ) এর সময়কালেই গৃহযুদ্ধ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। আর আলী (রাঃ) এর পরও যে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত ছিলো তা পুরোপুরি ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করত না বলে এগুলোর কোনোটার ব্যার্থতা বা স্বার্থকতার গপ্পো করাটা আমার কম্ম নয়। এবং বর্তমানে যে কয়টা ইসলামি রাষ্ট্র আছে তাদের কোনোটিতেই সেই নিখুঁত আইনের কোনোটিরই প্রয়োগ নেই। তাই ধর্মীয় রাষ্ট্র ধর্মীয় রাষ্ট্র করে চিল্লাফাল্লা করে আমি মোটেও এই যুগের বর্তমান ধর্মীয় রাষ্ট্রেগুলোর পক্ষে সাফাই গাওয়ারও পক্ষপাতী নই। চিল্লাইলে আমি বাস্তবিক খিলাফতি আইন অনুসরণের জন্যই চিল্লামু!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.