![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোম একটা জনপ্রিয় মেটাফোর। একটা ব্যাঙ কে যদি আপনি একটি পানি ভর্তি পাত্রে রাখেন এবং পাত্রটিকে উত্তপ্ত করতে থাকেন তবে ব্যাঙটি পানির তাপমাত্রার সাথে সাথে নিজের শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্যে রাখতে থাকে। সে পানির উত্তাপ সহ্য করতে থাকে, লাফ দিয়ে বেরোনোর পরিবর্তে।
কিন্তু একসময় পানির প্রচন্ড তাপমাত্রা ব্যাঙের শরীর আর মানিয়ে নিতে পারে না। যখন সে আর পানির প্রচন্ড তাপমাত্রা তার শরীরের তাপমাত্রার সমতায় আসতে পারে না, তখন ব্যাঙটি ফুটন্ত পানির পাত্র থেকে লাফ দেয়ার স্বীদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু হায়! সে লাফ দিতে পারে না তখন, কারন সে তার সমস্ত শক্তি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে ব্যায় করে ফেলেছে। অত:পর সে পানিতে সেদ্ধ হতে থাকে।
তার মৃত্যুর কারনটা আসলে গরম পানি না, বিপদজনক পরিস্থিতির শুরুতে সেই পরিস্থিতি অস্বীকার করে লাফ না দেয়াটা তার মৃত্যুর কারন। সব কিছু সহ্য করে নেবার মত বড় ভুল তার মৃত্যুর কারন। মানিয়ে নেবার, পাত্রের পানি গরম কেন তার প্রতিবাদ না করে বরং তার সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই তার জীবন্ত সেদ্ধ হবার কারন। সঠিক স্বীদ্ধান্ত সঠিক সময়ে না নেয়াই তার মৃত্যুর কারন।
হটাৎ করে সেই সেদ্ধ হওয়া ব্যাঙের কথা মনে পড়লো। খুব সম্ভবত আমরাও ঐ ব্যাঙের মত মানিয়ে নিচ্ছি আমাদের চারপাশের সাথে। সহ্য করছি সব, আর ভাবছি টিকে আছি, টিকে থাকবো। আসলে আমরা সেই বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোমে আক্রান্ত। যখন বুঝবো, তখন ডিসিশান মেকিং এর কোন শক্তিই আর শরীরে অবশিষ্ট থাকবে না।
[সগৃহীত]
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ও আপনার বন্ধুরা ঠিকই বিপদে আছেন, মনে হচ্ছে; স্যুপে পরিণত হওয়ার আগে আমাদের জানাবেন; আমরা পাত্র থেকে বের করে নিয়ে আসবো।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৯
ঝানডু বাম বলেছেন: সংগৃহিত লিখবার জন্য ধইন্যবাদ। আজকাইল যেই হারে লেখা চোর বাহির হইতিছে।
ফেইসবুক এ দেখিয়াছি এই ব্যাঙ্গের পোষ্ট খানা।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫৪
এম আর তালুকদার বলেছেন: সংগ৾হীত হলেও ভাল লাগছে।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৩
প্রামানিক বলেছেন: উপমাটি ভালো
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৪
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ঠিক। আমাদের এলাকায় কিছু মানুষ আছে যারা অনুকুল পরিবেশ পেয়ে মনের মাঝে যা আছে তা ফাল দিয়ে প্রকাশ করা শুরু করেছে। কিছু মানুষ দেখছে হামারা বিলাই হামছে ম্যাও। এটা সহ্য করে যাচ্ছে কিছু মানুষ।
৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৫৯
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আমরাও ঐ ব্যাঙের মত মানিয়ে নিচ্ছি আমাদের চারপাশের সাথে। সহ্য করছি সব, আর ভাবছি টিকে আছি, টিকে থাকবো। আসলে আমরা সেই বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোমে আক্রান্ত। রাইট বলেছেন
৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
"আমরা সেই বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোমে আক্রান্ত। যখন বুঝবো, তখন ডিসিশান মেকিং এর কোন শক্তিই আর শরীরে অবশিষ্ট থাকবে না।"
আমার মনে হয় আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের সকল শক্তি শেষ করে ফেলেছি বুঝতে গিয়ে; বেসিক ব্যাংক লুটের পরেই যদি সাবধান হতাম তবে সোনালি, রুপালি, শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনটাই দেখতে হতো না;
প্রথম ধর্ষণেই যদি প্রতিবাদ করতাম তবে আজ তুফান সরকারের মতো মানুষরা ধর্ষণের পরে ধর্ষিতা ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করার সহস পেতো না;
২০০০ সালে প্রথম যখন কোটালি পাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভা স্থলে ৭০ কেজি বোমা পুতে রাখার ঘটনার সঠিক তদন্ত করতাম; কিং বা সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা; কিংবা সিলেটের মাজারে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল্লা চৌধুরীর উপর বোমা হামলা তবে আজকে গুলশানের জঙ্গি হামলা হতো না;
আমাদের শরীরে আর কোন শক্তিই অবশিষ্ট নাই; গরম পানিতে ধীরে-ধীরে সিদ্ধ হয়ে মরা ছাড়া আর কোন উপায় দেখতেছি না।
আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৪
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ফেসবুকে পড়ে আসা পোস্টগুলো ব্লগে ঢোকা মাত্র চোখে পড়ে!