নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৩

আমি কানাডায় নিজের মা বাবার সাথে আসি কিশোরি বয়সে। আজকে কেন যেন আপনাদের সাথে প্রথম দিনের স্কুলের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ইচ্ছা করল। আমার জন্ম ঢাকায় হলেও বাবার চাকরির সুবাদে মফস্বল শহরে থাকতাম, বাংলা মিডিয়ামে, দুই বেণী করে, নীল সাদা ইউনিফর্মে স্কুলে যেতাম। ঢাকার কিছু মেয়েরা ব্যাকডেটেড, আনস্মার্ট যাকে বলে একদম তাই ছিলাম। সেই আমাকে এনে ফেলে দেওয়া হলো কানাডার মতো দেশে। যে আমি ঢাকায় ওড়না ছাড়া মেয়ে দেখলে হা হয়ে যেতাম, সেই আমি কিনা মিনি স্কার্ট, বিকিনির দেশে। ভাবা যায়!!

তো প্রথমদিন স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্যে কাউন্সিলরের সাথে দেখা করতে গেলাম মা বাবার সাথে। আরে বাবস স্কুলে কোন ইউনিফর্ম নেই, মেয়েরা প্রায় অর্ধ উলন্গ। আমি তো শেষ, এই জিনিস যদি আমাকে পড়তে হয়? গ্রেড সেভেন থেকে ওড়না ছাড়া ঘর থেকে বের হতাম না, বান্ধবীরা অনেকে এক কদম এগিয়ে বোরখা পরত। তো অতি সহজেই ভর্তি হওয়ার পরে (কোন admission test না দিয়ে, শুধু দেশের সার্টিফিকেট দেখিয়ে) ভর্তি হলাম। মা কাউন্সিলরকে আমার পরে থাকা সালোয়ার কামিজটা দেখিয়ে বলল, এটা পরে স্কুলে আসতে পারব কিনা। সেদিন রোদ থাকায় জ্যাকেটও পরিনি। তখন কাউন্সিলর হাত নেরে বলল "Absolutely, no problem. প্রায় তিরিশটির বেশি দেশের ছাত্রছাত্রী এখানে পড়ে, কোন সমস্যা নেই।" ওনার কথার ভংগিতে সেদিনকার সেই কিশোরি মেয়েটি যে কি আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলো তা বলে বোঝানো যাবে না। হাই স্কুল শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি আমাকে আগলে রেখেছিলেন। পরে সে কথা বলব।

তো তিনি আমাকে কোর্সও ঠিক করে দিলেন। ওখানে দুই সেমিস্টারে চারটা করে মাত্র আটটা কোর্স। বাংলাদেশে যেখানে একসাথে দশ বারোটা কোর্স সেখানে মাত্র চারটা কোর্স। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাশে। পরে অবশ্য বুঝেছিলাম নিজের ভাষায় বারোটা কোর্সও কিছু না, অন্য ভাষায় অন্য দেশে চারটা কোর্সই কঠিন।

তারপরে কাউন্সিলর আমাকে পুরো স্কুল ঘুরে দেখালেন। ওখানে বিভিন্ন ওয়ালে অন্য ভাষায় স্বাগতম লেখা থাকত। তো ইন্ডিয়ার আকা পতাকার ওপর হিন্দিতে স্বাগতম লেখা, আমার কাউন্সিলার জানতে চাইলেন আমি সেটা পরতে পারি কি না। তিনি ভেবেছিলেন বাংলাদেশ আর ভারতের ভাষাগত মিল থাকতে পারে। আমি না বললাম। আর বললাম আমার ভাষা বাংলা। তিনি আমার অনাগ্রহ দেখে ইন্ডিয়া বিষয়ক আর কোন কথা বললেন না। বাংলাদেশ যে পাকিস্তান অথবা ভারত না (আর কখনও হওয়ার ইচ্ছাও নেই) সেটা আজ পর্যন্ত অনেককে বুঝিয়েছি। বোঝানোর সহজ উপায় হলো আমেরিকা। কানাডিয়ানরা সবসময় বলে আমরা আমেরিকার থেকে আলাদা, বেটার এই সেই। তো ওদেরকে শুধু এটা বললেই হয় আমেরিকা কানাডা যেমন আলাদা, বাংলাদেশ ভারত তেমন আলাদা। তখন ওরা মাথা ঝাকায় আর ব্যাপারটা বোঝে।

তবে একটা কষ্টের ব্যাপার ছিল যেহেতু খুব ছোট শহর ছিল তাই তেমন বাংলাদেশি ছিল না। আর আমার স্কুলে শুধু আমিই একমাত্র বাংলাদেশি ছিলাম। আমার মতো দেখতে, আমার মতো পোশাকের আর কেউ ছিল না। একদম আউটসাইডার মনে হতো নিজেকে। সেটার সাথে কিভাবে এডজাস্ট করে নিলাম সেটা আরেকদিন লিখব যদি ব্লগাররা জানতে চান।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১১

ক্রন্দসী বলেছেন: অবশ্যই জানতে চাই।আপনে কেবল ভূমিকা লেখলেন।ক্লাসের
ফাইজলামি, কালচারাল ডিফারেন্স কিভাবে ট্যাকল করলেন এগুলা নিয়া আরেকটা পোস্ট দেন।ভালই লাগলো

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জি অবশ্যই আরও লিখব। অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ছোট কাপড়ের ব্যাপারটা ওন্টেরিওতে মাত্র ২/৩ মাস প্রযোজ্য। তবে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সময়টা অনেক লম্বা হওয়ার কথা। তবে আমার ৭ বছরের অবিজ্ঞতায় যা দেখেছি তাতে করে ক্লাসে দাতের ডাক্তার নায়লা নাইমের মতো মেয়ে খুব বেশি থাকে না =p~

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ২/৩ মাস? আপনি বোধহয় গরমের সময়টুকু মিন করছেন। কিন্তু ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় গরমের সময়টা লম্বা এবং মাঝে মাঝে বাংলাদেশের মতো গরম পরত। আর স্কুলে তো হিটিং সিস্টেম, তো সেখানে বাইরে থেকে জ্যাকেট পরে লকারে রেখে দিলেই হয়। তবে এসব শুধু হাই স্কুলেই হয়। কিন্তু যারা ভার্সিটিতে পড়ে তাদের দেখলে আসলেই স্টুডেন্ট মনে হয়। আপনি কি ওন্টেরিওতে থাকেন?

ভাই নায়লা নাইমের মতো মেয়ে আমাদের দেশেই এক পিস আছে। আর কোথাও না। ;)

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হাহাহ, ১ম দিনের এক্সপেরিয়েন্স জানতে পেরে ভাল্লাগলো।
সবকিছুর সাথে কিভাবে অ্যাডজাস্ট করসেন সেটা নিয়েও লেইখেন।
এখনো কানাডায় থাকেন নাকি চলে আসছেন ?

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা লিখব। অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

জী ভাই এখনো কানাডায়। আমি ভার্সিটি পড়াশোনা শেষ না করে মুভ করব না। তবে সিটিজেনশিপ
পেয়ে যাওয়ায় যখন ইচ্ছে দেশে আসার ব্যাপারটা সহজ হয়ে গেছে। দেখা যাক সামনে কি হয়। দোয়া করবেন যাতে ফিরে আসতে পারি। দেশকে প্রচন্ড মিস করি। এই কদিন আগে যখন বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে গেল, মনে হল সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে উৎসব করতে চলে আসি। আপনাকে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হে হে হে পড়াই না অহনও পড়তাছি :(( প্রফেসর এর জন্য পেটে-ভাতে কামলা দেয় মাস্টার্স ও পিএইচডি স্টুডেন্টরা। আমি শেষের ক্যাটাগরিতে আছি B:-) এলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ও জুনিয়র মিলা ৫ জন আছে আমার ক্যাটেগরির।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ সরি বুঝেছি। শেষের ক্যাটাগরিতে আছেন তাও কান্নার ইমো। আমাদের তো এখন শুরুই বলা চলে। কবে যে শেষ হবে।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লিখতে থাকুন আপু অনেক শুভ কামনা রইল

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভ কামনা।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা জেনে । বেশি ভাল লাগলো এই লাইনটা পড়ে - "ওনার কথার ভংগিতে সেদিনকার সেই কিশোরি মেয়েটি যে কি আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলো তা বলে বোঝানো যাবে না।"

শুভকামনা ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। আসলেই আমার কাউন্সিলরের মতো মানু্ষ হয়না।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ভাল লাগল। এমন আরো অনেক অভিজ্ঞতা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলেই অনেক অভিজ্ঞতা, প্রতিদিন কত কাহিনী, লিখব একদিন সময় করে।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

বাড়িতারবাংলা বলেছেন: বা: সুন্দর লেখা। ভারতের সাথে ভাষাগত মিল কি একেবারেই নেই? পাশাপাশি দেশের লোক অনেক সময় একে ওপরের ভাষা বোঝে। অনেক বাংলাদেশীই তো হিন্দি ছবি বা সিরিয়াল দেখেন এবং হিন্দি দিব্যি বুঝতে পারেন। তাই কাউন্সিলার খুব ভুল করেননি। প্রথম স্কুলে গিয়ে ভাষা সমস্যা হয়েছিল কিনা বা ক্লাসের পরিবেশের কি তফাৎ পেয়েছিলেন সে বিষয়ে লিখলে ভাল হত। আর পশ্চিমের দেশগুলোয় ভারতীয়, বাংলাদেশী,পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কানদের দেশী বলা হয়। ওরা সবাই যে সবজান্তা তা নয়। ওদের পক্ষে তফাৎটা বোঝা সম্ভব নয়। যেমন আমরা আইরিশ আর ইংরেজের তফাৎ বুঝি না বা তিব্বতি আর চীনাদের।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাই আসলে ভারতের সাথে আমাদের অনেক মিল আছে, কিন্তু ওদের সাথে থাকা অমিলগুলো শেয়ার করা আমার খুব জরুরী মনে হয়। বাংলাদেশের একমাত্র পরিচয় যেন "ভারতের পাশের দেশ" না হয়।
"ওদের পক্ষে তফাৎটা বোঝা সম্ভব নয়।" তফাৎতো ভাই বুঝতে হবে ওদের। না আমরা জানি যে ওরা অন্য দেশ, তফাৎ বুঝি আর না বুঝি। অনেকে এখানে বাংলাদেশকে ভারত, পাকিস্তানের অংশ মনের করে। তাই ওদেরকে তফাৎটা দেখিয়ে দিতে হয়।
জ্বী আরও লিখব। পর্ব করে।

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

Safin বলেছেন: কিভাবে বন্ধুবান্ধব বানিয়েছেন সেগুলো জানার জন্য ওয়েট করছি! :D :)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সে অনেক কাহিনী লিখব জলদি।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এডজাস্ট করে নেয়ার ব্যাপারটা জানতে মুঞ্চায়

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জী জানাব, অপেক্ষা করেন।

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক কৌতূহল নিয়ে পড়লাম। ভালো লেগেছে, কিন্তু তৃপ্ত হতে পারি নি। আশা করছি আরও পড়তে পারবো।

ভারতীয়দের চেয়ে আমরা যে আলাদা, অথবা আমরা যে ভিন্ন দেশ, সেটি আমাদেরকেই বলতে হবে। তা না হলে কে বলে দেবে? ভালো করেছেন। একই অভিজ্ঞতা আমিও পেয়েছি, এবং গা জ্বলেছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বী ভাই টাইম করে লিখব সাথে থাকবেন।

"ভারতীয়দের চেয়ে আমরা যে আলাদা, অথবা আমরা যে ভিন্ন দেশ, সেটি আমাদেরকেই বলতে হবে। তা না হলে কে বলে দেবে?"
সহমত সহমত সহমত। আমারও গা জ্বলে। কিন্তু এরকম অভিজ্ঞতা কম হয়েছে। অনেকেই আজকাল জানে বাংলাদেশ আলাদা, ক্রিকেটের একটা বড় অবদান আছে। একবার এক বাস ড্রাইভার আমই বাংলাদেশী জেনে বলেছিল, আমি সাকিব কে চিনি। গার্মেন্টেস এর কারণেও চেনে। একবার এক জার্মান ক্যানাডিয়ান টিচার ক্লাসে সবার সামনে বলেছিলেন বাজারের বেশিরভাগ জিনিসই Made in China, or Made in Bangladesh. এভাবেই দেশ সবার কাধে চড়ে এগিয়ে যাক।

আপনি কোথায় থাকেন ভাই?

১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আমি বাংলাদেশেই থাকি, ভাই :)

তবে বিভিন্ন কারণে এদেশ-ওদেশ করতে হয় প্রায়ই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও আচ্ছা। কোন কোন দেশে গিয়েছেন? জাস্ট কিউরিওসিটি।

১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: শিরোনাম দেখেই মূলত পড়তে থাকা। ভিন্ন কিছু দেখলেই আগ্রহটা জমে। যাই হোক আপনার দেশীয় সলিড স্মার্টনেসটাকে মনে প্রানে লালন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যেটা বিগত কয়েক দশক থেকে ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। আপনাকে আবারও স্যালুট, জাতীয়তাবোধকে জাগ্রত রাখার জন্য। জি বাংলাদেশ অনলি বাংলাদেশ। এটা ইন্ডিয়া, পাকিস্তানের মধ্যে তো নয়ই পাশেও নয়। বরং ইন্ডিয়া, পাকিস্তান বাংলাদেশের পাশে অবস্থিত। এটা বোঝানোর সময় এসে গেছে।
ওদের পড়াশোনার সিলেবাস সম্পর্কে যদি একটু ধারনা দিতেন। শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষকদের এটিচ্যুড, শিক্ষার পরিবেশ, ইত্যাদি। আসলে ওরা ওদের শিক্ষার্থীদের/বাচ্চাদের কি স্বপ্ন দেখায়। আমাদেরকে যেমন শেখানো হয়, ভালভাবে পড়, ভাল রেজাল্ট কর। ভাল বেতনে চাকরী পাবে। জীবনটা সুখে কাটবে। আসলে আত্নকেন্দ্রিকতা/ পরনির্ভরশীলতা তো ওখান থেকেই শেখা শুরু। আর মাথা তুলে দাঁড়াবার সুযোগ পাওয়া যায় না। গোলামী করেই কাটে বাকী জীবন।
Harverds undergraduates believe that,'Inventing a job is better then finding a job.'

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই কষ্ট করে এত বড় মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ। প্রশংসা করার জন্যে ও ধন্যবাদ।

" দেশীয় সলিড স্মার্টনেস" ভালোই বলেছেন কিন্তু দেশীয় কোন কিছুকে স্মার্ট মনে করি কোথায় আমরা?
"এটা ইন্ডিয়া, পাকিস্তানের মধ্যে তো নয়ই পাশেও নয়। বরং ইন্ডিয়া, পাকিস্তান বাংলাদেশের পাশে অবস্থিত। এটা বোঝানোর সময় এসে গেছে।" এক্সিলেন্ট। মনের মতো কথা। কয়েক মাস আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে ব্রিটিশ জার্নালিস্ট প্রশ্ন করেছিল যে কানাডা কি কখনো আমেরিকার অংশ হতে চায় কিনা, ট্রুডো বলেছিলেন, "কানাডা কখনো আমেরিকার অংশ হবে না, তবে আমেরিকা কানাডার অংশ হতে চাইলে they are most welcome।" আপনার লেখায় সেই কথাটা মনে পরে গেল।

জ্বী সবকিছু পর্ব আকারে লিখব, সবার যখন এত আগ্রহ জানার। সাথে থাকবেন, ভালো থাকবেন।

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমেরিকা কানাডা যেমন আলাদা, বাংলাদেশ ভারত তেমন আলাদা। তখন ওরা মাথা ঝাকায় আর ব্যাপারটা বোঝে। :D

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জি হ্যা একদম তাই।

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

প্রামানিক বলেছেন: পুরো কাহিনী জানতে ইচ্ছে করছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বী আরেক পর্ব লিখেছি সেটাও পড়ে ফেলুন। পাঠকদের ভাল লাগলে আরো লিখব। ধন্যবাদ।

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লিখলেন তো বেশি করেই লিখুন, এতো অল্প লেখার কোন দরকার ছিল না। বাকিটা জানতে ইচ্ছে করছে

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অল্প না লিখলে বাকিটা জানার ইচ্ছে হতনা। আরেক পর্ব লিখেছি সেটাও পড়ে ফেলুন।

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

আরজু পনি বলেছেন:
অফলাইনে এই পর্ব পড়ে তারপর লগইন করে পরের পর্ব পড়লাম।

আশা করি পর্ব আরো চলতে থাকবে ।
শুভেচ্ছা রইলো অনেক ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বী পাঠকদের ভাল লাগলে আরো লিখব। আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।

১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জাতীয়তাবাদের ব্যাপারটা ভাল্লাগসে!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে, একটা কথা মনে হচ্ছে - সৎসাহস থাকলে, সব কিছুই আপনার পক্ষে আসবে- আজ অথবা কাল।

// বাংলাদেশ যে পাকিস্তান অথবা ভারত না (আর কখনও হওয়ার ইচ্ছাও নেই) সেটা আজ পর্যন্ত অনেককে বুঝিয়েছি। বোঝানোর সহজ উপায় হলো আমেরিকা। কানাডিয়ানরা সবসময় বলে আমরা আমেরিকার থেকে আলাদা, বেটার এই সেই। তো ওদেরকে শুধু এটা বললেই হয় আমেরিকা কানাডা যেমন আলাদা, বাংলাদেশ ভারত তেমন আলাদা। তখন ওরা মাথা ঝাকায় আর ব্যাপারটা বোঝে।// ---- নিজের দেশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সেই সাথে যুক্তি , খুব সুন্দর বলেছেন।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যা আপনার কথাটা বুদ্ধি হয়ে থেকে মনে প্রানে বিশ্বাস করি, আপনিও ভাল থাকুন সারাবেলা।

২০| ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আপনার প্রবাস জীবনের অভিঙ্গতা শেয়ার

ভালই লাগছে পড়তে.....। আগ্রহোদ্দিপক :)

০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়তে থাকুন।

২১| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

সোহানী বলেছেন: তুমি করেই বলি কারন পলাশ সিনিয়র হলে আমি তার থেকেও সিনিয়র। আমার ছেলেকে ঠিক একই কথা বলি, কানাডায় থেকে বাংলাদেশী কালচার ভুলবা না। ও তো অনেক ছোট তাই জানি না ভবিষ্যতে কি হবে। তোমার লিখাগুলো ওকে পড়াবো..... ওর লিখার হাত খুব ভালো, প্রায় বলি লিখতে কিন্তু সমস্যা হলো এখানে থেকে বাংলা লিখতে চায় না। আর আমি ইংরেজীতে লিখুক চাই না।++++++

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অবশ্যই তুমি করে বলবেন। কোন সমস্যা নেই আপু!

আমার ছেলেকে ঠিক একই কথা বলি, কানাডায় থেকে বাংলাদেশী কালচার ভুলবা না। ও তো অনেক ছোট তাই জানি না ভবিষ্যতে কি হবে।
কিছু মনে করবেন না আপু, আমাকে যেমন কোন কানাডিয়ানের এটা বলার অধিকার ছিল না যে বাংলাদেশী কালচার ফলো
করোনা। তেমনি আমার মনে হয় বিদেশে বেড়ে ওঠা, কানাডাকেই নিজের দেশে বুঝতে শেখা প্রবাসি বাচ্চাদের কানাডিয়ান কালচার ফলো করতে আমরা বাধা দিতে পারিনা। আর দিয়েও কোন লাভ হবেনা, এতে ওদের ক্রোধ আরও বাড়বে। ছোট মুখে বড় কথা বলেছি, মাফ করবেন।

তোমার লিখাগুলো ওকে পড়াবো
আশা করি ওর ভালো লাগবে।
প্লাস, এবং অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২২| ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগল। তবে বুবু যা শুরু করেছেন তাতে বাংলাদেশের প্রদেশ হয়ে যাওয়ার আর বেশী বাকী নেই বোধহয়! :(

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এরকম কখনো হবে না, আমাদের দেশ স্বাধীনই থাকবে। জয় বাংলা।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। আপনি ভাল থাকবেন।

২৩| ২০ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সর্বশেষ লেখাটা এই একটু আগেই পড়ে এলাম। আমি সাধারণতঃ নতুন (মানে পরিচয়ে নতুন, লেখার অর্থে নয়। আমিও এখানে নতুনই বলা চলে, মাত্র আট মাস আমার ব্লগিং অভিজ্ঞতা) ব্লগারদের লেখা হয় সর্বপ্রথম, নয়তো সর্বশেষটা দিয়ে পড়া শুরু করে থাকি। ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি, আপনি আমার মন্তব্যের উত্তরও দিয়ে ফেলেছেন, ধন্যবাদ।
আপনার কানাডা সংক্রান্ত সব লেখাই পড়ার ইচ্ছে আছে, কারণ আমার একমাত্র নাতনি হয়তো ও দেশেই বড় হবে, ও দেশের নাগরিক হবে একদিন। আমার বড় ছেলে কানাডার ইমিগ্রেশন ভিসা পেয়েছে। এখনো মনস্থির করে নি, তবে দেশটাকে স্বচক্ষে দেখার জন্য এ মহূর্তে সে সপরিবারে কানাডায়। প্রতিদিন নাতনির ছবি পাঠায়। আমি সেসব দেখি আর ওর ভবিষ্যত নিয়ে কল্পনায় ভেসে যাই।
লেখাটা খুব আগ্রহ সহকারে পড়লাম, তবে মাঈনউদ্দিন মইনুলএর মত বলতে হয় (১২ নং মন্তব্য), অনেক কৌতূহল নিয়ে পড়লাম। ভালো লেগেছে, কিন্তু তৃপ্ত হতে পারি নি। আশা করছি আরও পড়তে পারবো
আরো অনেক পাঠক পাঠিকাই বলেছেন, তারা এ বিষয়ে আরো অনেক কিছু জানতে চান। আমিও তা চাই। একবারে সব লিখা যাবে না তা বুঝি, তবে লেখাগুলোতে আরেকটু বেশী করে ডিটেলসগুলো যদি দিতেন, তবে আরও তৃপ্তিদায়ক হতো। মোটা দাগে যেমন বলতে পারি, মেয়ে হিসেবে সেখানে কোন বৈষম্য বোধ করেছেন কিনা, সমাজ মেয়েদের প্রতি কতটা সহনশীল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানবিক ও নৈ্তিক মূল্যবোধের উপর কতটা গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে, এই উপমহাদেশীয় লোকেরা সেখানে মূলধারার সাথে কতটা আত্মস্থ হতে পেরেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে যতটুকু বলেছেন, সেটাও কম নয়, সেটুকুর জন্যেও অনেক ধন্যবাদ।মার এ দুটো লেখা পড়ে দেখতে পারেন, একটু সময় করেঃ
মায়ার বাঁধন

মায়া ও জীবন

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি প্রতিউত্তর করতে এত সময় লাগার কারনে। অনেকদিন পর্যন্ত ব্লগে ঢুকতে পারিনি পাসওয়ার্ড সমস্যায়।
আর এত সুন্দর মন্তব্যের জবাব টাইম নিয়ে দিতে চাচ্ছিলাম।

কানাডা খারাপ লাগার দেশ না। আমার এক টিচার একবার বলেছিলেন, "অনেকে কানাডায় আসে কয়েকদিনের জন্যে পরীক্ষা করতে এবং বেশিরভাগই থেকে যায়। কানাডা খুব কম সময়েই বিদেশীদের পরীক্ষায় ফেইল করে, হাহা।" কি ভীষন গর্ব যে ছিল তার গলায়! অবশ্য কানাডা গর্ব করার মতোই দেশ।

আপনার কৌতুহলগুলো সামনের পর্বগুলোতে মিটাতে পারব বলে আশা করি। সাথে থাকবেন।
আপনার লেখা পড়ে কমেন্টও করেছি। অনেক নস্টালজিক হয়ে গেলাম। প্রথমদিককার কথা মনে পরে গেল।
আপনি বয়সে বেশ বড় হবেন, দয়া করে তুমি করে বলবেন।
আপনি ভাল থাকুন। আপনার পরিবার বিশেষ করে নাতনিটা অনেক ভাল থাকুক।

২৪| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা। ভালো থাকুন, সব সময়।

০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এখনও আপনি বলছেন কিন্তু!
যাই হোক, ভাল থাকবেন আপনিও।

২৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৬

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: বিসমিল্লা বলে শুরু করেছি, আপনার গল্প পড়তে গিয়ে নিজের পাঠশালা জীবনের কথা মনে পড়ে গেল বোন।

লিখাটা প্রিয়তে সংগ্রহে রেখেছি, আপুনি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তাই নাকি? কিছুটা নস্টালজিক করতে পেরে ভীষন আনন্দিত।

প্রিয়তে নেবার জন্যে এবং পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

পরের পর্বে প্রতিউত্তর করতে যাচ্ছি....।

২৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

lekhapora24 বলেছেন: আমি আপনার এই লেখাটা http://lekhapora24.com/ তে আপলোড করতে চাই।প্লিজ আমাকে মেইল করুন [email protected]

২৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্বটা মনে হয় পড়িনি আগে। তবে এবার এসে পড়ে গেলাম।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুজন ভাই। মনে করে পুরোন পোষ্টটি পড়ার জন্যে।

অনেক শুভকামনা রইল।

২৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:২৪

মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: বিদেশে থাকার একটা সুবিধায় হচ্ছে মাল্টি কালচার এর মানুষ এর সাথে মেশা যায় আর তাদের অসাধারণ সব ভাল মানুষী দেখে নিজের ভেতরের ভাল দিকটাকে আর সমৃদ্ধ করা যায়।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ এটা একদম ঠিক বলেছেন। নিজ দেশের পরিচিত উঠান ছাড়ার পরে প্রবাসের জীবন যে কত কিছু শেখার, জানার ও বোঝার জানালা যে খুলে দেয়! এটাই হয়ত প্রবাস জীবনের বেস্ট পার্ট। আই টোটালি এগ্রি উইথ ইউ।

অনেক পুরোন লেখাটিতে মন্তব্যে রেখে যাবার জন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.