নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৮

তো এবার আরেক পর্ব নিয়ে হাজির। আগের পর্বগুলোতে অনেকে কালচারাল ডিফারেন্সগুলো কিভাবে ট্যাকল করতাম সেটা জানতে চেয়েছেন। এ পর্বে সে প্রশ্নের উত্তর দেব।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)


ওখানে সবচেয়ে বেশি যে ক্লাসে কালচারাল ডিফারেন্স অনুভব করেছি সেটা হচ্ছে P.E. Physical Education ক্লাসে। আমাদের দেশে ড্রিল সপ্তাহে একদিন হতো এবং হালকা খেলাধুলার মধ্যে আধ ঘন্টা কখন পার হয়ে যেত তা বুঝতে পারতাম না। আমাদের দেশে এটা খুবই আনইম্পর্ট্যান্ট একটা ক্লাস। কিন্তু ওখানে বাকায়দা ৭৫ মিনিটস (অন্যান্য ক্লাসের সমান টাইম) প্রতিদিন হতো। এটা ওখানে গ্রেড ১০ পর্যন্ত কমপালসারি।

তো ইয়া বড় জীম, নিচের তলায় বাস্কেটবল, হকি (আমাদের দেশে যেমন ক্রিকেট, ওদের দেশে তেমন হকি), ব্যাডমিন্টন, সকার (ফুটবল), ভলিবল খেলা হত। উপরে তলায় Exercise Machines, পিং পংও হতো। আর বাইরে বিশাল মাঠে আরও অনেক ধরণের খেলা হত। তো প্রথমদিন টিচাররা বলে দিলেন কেডস, শর্টস, টিশার্ট পরতে হবে, এবং ক্লাসের শুরুতে চেংজিন রুমে পোশাক চেন্জ করতে হবে। আর যাওয়ার সময় আবার রেগুলার ড্রেস পরে নিতে হবে।

কেডস নাহয় পরলাম, কিন্তু শর্টস, টিশার্ট ? ওসব পরতে পারবনা বাবা। টিচারকে ভাংগা ভাংগা ইংলিশে বুঝালাম, শুনেই টিচার আমাকে চেংজিন রুমে নিয়ে গেলেন। আমি ভাবলাম আড়ালে ডেকে নিয়ে মারবে নাকি!! হায় কই পালাই। তারপরে তিনি আমাকে চেংজিন রুম দেখিয়ে দিয়ে বললেন এখানে কাপড় বদলাতে পারব। আসলে আমার ইংলিশ না বুঝে ভেবেছিলেন চেংজিন রুমের ব্যাপারে জানতে চেয়েছি। তো আরো ১৫ মিনিট ধরে বুঝালাম, তারপরে বুঝল। আমি বললাম অন্য সালোয়ার কামিজ নিয়ে আসব। তবে ওদের শর্টস, টিশার্ট পরতে পারবনা। তখন উনি বললেল "ও সরি আমি বুঝতে পারিনি, কোন প্রবলেম নেই"।

তো দেশের ইউনিফর্মে ওড়নাটা সুন্দর করে আটসাট অবস্থায় থাকে। কিন্তু ওখানে নরমাল, কালারফুল কামিজ পরতাম। ওটুক সময়ের মধ্যে পিন টিন দেওয়া সম্ভব ছিল না। তো আমাদের দেশে বিকালে খেলতে গেলে ওড়না যেমন করে বুক থেকে জড়িয়ে কোমরে বাধে সেভাবে বাধতাম। কেউ অবাক দৃষ্টিতে তাকাতো না। যেন এটাই নরমাল। ওরা রেসিস্ট ছিল না, তবে আমার সাথে বন্ধুত্যও করত না। আমার সাথে ভাল খারাপ কোন কথাই বলত না। Like I didn't exist in their world. শুধু আমার লম্বা চুলের দিকে অবাক হয়ে তাকাত অবাক হয়ে আর বলত তোমাদের দেশে কি সবারই লম্বা চুল? ব্যাস এইটুকুই।

তবে ক্লাসটা অনেক কঠিন মনে হত। ওরা আমার চেয়ে বেশি লম্বা, শক্ত সামর্থ্য ছিল। ওদের দৈহিক গঠন আমাদের চেয়ে কেন বেটার হয় এই ক্লাস করতে যেয়ে বুঝি। ভলীবল খেলতে গিয়ে হাত লাল হয়ে যেত, বেশি জোরে দৌড়াতে গিয়ে (লেগ পুল) সহ বিভিন্ন ইনজুরিতে পরতাম। যাই হোক সবচেয়ে কষ্ট ছিল কোন বন্ধু না থাকা। কোন গেমে পার্টনার লাগলে টিচারকে গিয়ে বলতে হত I don't have any partner. তখন টিচার কাউকে ঠিক করে দিতেন। কিশোরী একটা মেয়ে যে এমনিতেই নিজের শারিরীক, মানসিক পরিবর্তন নিয়ে কনফিউসড তার কোন বান্ধবী না থাকাটা কিযে ভয়াবহ একটা ব্যাপার। খালি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছে হত, আর দলা পাকিয়ে কান্না আসত।

তো একদিন এক বড় সমস্যায় পরলাম সেমেস্টারের শেষের দিকে। আজকে নাকি Socializing Skills শেখাবে। মানে কাপল ড্যান্স কেননা ওদের ওখানে পার্টিতে এসব নাচ জানতে হয়। তো ছেলেমেয়েরা গোল হয়ে দাড়িয়ে, একজনের সাথে নেচে আরেকজনের দিকে ঘুরে যাবে। এভাবে সবাই সবার সাথে নাচবে। উরে মা, বাংলাদেশে জীবনে কোন ছেলের হাত ধরিনি, কোন ছেলে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে ওড়না ঠিক করতে করতে চোখ রান্গিয়েছি (মফস্বলে এটা করলে ছেলেরা বোঝে মেয়েটি বিরক্ত হচ্ছে, আর তাকানো যাবেনা)।
আর এখন কোমরে হাত, হাতে হাত impossible.

তো টিচাররের কাছে গেলাম দুরু দুরু বুকে কেননা নাচে (২০% মার্ক) আছে। টিচারের তো মানার কথা না। ভাবছিলাম জোর করলে পালিয়ে যাব আর এই স্কুল না। কিন্তু টিচারকে বলায় তিনি আমাকে অবাক করে দিয়ে শুধু আমার জন্যে ৮/১০ জন মেয়েদের গ্রুপ করে দিলেন। বললেন ছেলেদের সাথে নাচা সমস্যা, নাচা তো সমস্যা না। আলাদা গ্রুপের বেশিরভাগই জাপানিজ, কোরিয়ান আর কয়েকজন কানাডিয়ান ছিল। নাচ করতে করতে একটা কোরিয়ান, আর কানাডিয়ান মেয়ের সাথে মোটামুটি সখ্যতা হল।

যে প্রশ্ন দিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম সেই প্রশ্নে ফিরে আসি। আমি কিভাবে কালচারাল ডিফারেন্সগুলো ট্যাকল করতাম? সত্যি বলতে আমি করতাম না, ওরাই করত। আমাকে কানাডার সাথে এডজাস্ট করতে হয়নি, কানাডাই আমার সাথে এডজাস্ট করে নিয়েছে। কি যে স্পেশাল ফিল করেছিলাম সেদিন!! কানাডা নিয়ে আর কোন ভয় মনে ছিলনা। আর ওরা আমাকে সেভাবে মেনে নেওয়ায় আমিও যখন ওদের ছোট কাপড়ে দেখতাম, সবার সামনে লিপকিস করতে দেখতাম মনে হতো এটাইতো নরমাল। ওরা ওদের মতো নরমাল আর আমি আমার মতো। আল্লাহ যেন উদার মনের মানুষের উদার দেশটাকে সবসময় ভালো রাখে।

পরের পর্বে আরও কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আরো অনেক সমস্যা তখনো ছিল।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
মজাই লাগতেসে সিরিজটা পড়তে।গেট ইট গোয়িং!
:)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: Oh, Moon is back, আমার পিকাচু কই? হা হা। সবার অনুপ্রেরণা পেলে আরও লিখব অবশ্যই। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। :)

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
পিকাচু অ্যাজুরিলার কমেন্ট এর রিপ্লাই এর জন্য ওয়েট করতে করতে টায়ার্ড হয়ে ঘুমায়ে গেসে!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: Let me break it to you. সামুপাগলাই অ্যাজুরিলা। ;) সেই পিকাচুর সাথে কমেন্ট চালাচালি করছিল এতক্ষন। এই কথাটা পিকাচুকে প্লিজ বলে দেবেন। প্লিজ!!

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
accha shey ghum theke utha matroi boLbo. he'd be so happy to know that! :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হা হা। হ্যাপি হবে না স্যাড সেটা তো ঘুম থেকে উঠার পরেই জানা যাবে। সেটা জানার জন্যে চোখ রাখুন সামুবাংলায়।
জীবন মানেই সামুবাংলা। ;) :)

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০২

অবশ অনুভূতি বলেছেন: বালা করচো। পিলাচ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধইন্যাপাতা।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৪

রিপি বলেছেন:
বাহ চমৎকার লিখেছেন। লেখাটা পড়ে যেন নিজেই আবার নিজেকে দেখলাম। আমারও এরকম বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আছে।
আগের পর্ব গুলো পড়তে হবে দেখছি।

সত্যি বলতে আমি করতাম না, ওরাই করত। আমাকে কানাডার সাথে এডজাস্ট করতে হয়নি, কানাডাই আমার সাথে এডজাস্ট করে নিয়েছে। কি যে স্পেশাল ফিল করেছিলাম সেদিন!!
কথাটা খুব ভালো লেগেছে। এরা আসলেই এরকম। মাঝে মাঝে মনে হয় রেসিজম আমাদের মধ্যেই বেশী। চলতে থাকুক গল্প।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তাই নাকি? আমার সাথে মিল আছে? হয়তো আমরা হারিয়ে যাওয়া দুই বোন। হা হা জাস্ট জোকিং।

জ্বী আগের পর্ব গুলোও পড়ে ফেলুন, ভাল লাগবে আশা করি।
চলতে থাকুক। সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৫

রিপি বলেছেন:
হা হা। হতেও তো পারে হারিয়ে যাওয়া কোন বোন। পাশেই আছি। লিখতে থাকুন।
সামুপাগলা/পাগলি কি বলবো কনফিউশনে আছি। :P

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্যে।

লেখা পুরোটা পড়লে সে কনফিউশন থাকার কথা না ;)

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ভালই চলছে। :)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তাই? তাহলে চলতে দিন। :)

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

চাঁদের অরণ্য বলেছেন: প্রবাসের অভিজ্ঞতা পড়তে সবসময় বেশ ভাল লাগে। আপনার কাহিনী্ও বেশ ভাল লাগছে। চালিয়ে যান। সাথে আছি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: চালিয়ে যাব, সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সহজ ভাষায় চমৎকার লেখা :)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

হেকিম এ. পেট্টি বলেছেন: নাচগান বেশরিয়তি। আল্লাহর পথে আসুন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সহজ সাবলীল ভাষায় আপনার প্রবাস জীবনের অভিঙ্গতা ভালই লাগল। :)

চালিয়ে যান...........।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: চালিয়ে যাব, পড়তে থাকুন।

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

আমি ভাল মানুষ বলেছেন: আরেকটা লিখে ফেললেন। ভাল হচ্ছে। আপনার নিয়মিত পাঠক হয়ে গেলাম।
আর "আর দলা পাকিয়ে কান্না আসত" =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ কথাটায় খুব মজা পেলাম। !:#P প্লাস

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কান্নার কথায় মজা? যাই হোক প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ।

১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এক গ্রাম্য কিশোরীর বৈদেশে অজানা-অচেনা পরিবেশে পড়ালেখার ইতিহাস! ভালো লাগা ।
"শুধু আমার লম্বা চুলের দিকে অবাক হয়ে তাকাত অবাক হয়ে আর বলত তোমাদের দেশে কি সবারই লম্বা চুল? ব্যাস এইটুকুই।"
বিবিএতে পড়ার সময় এক সহপাঠিনীর অনেক লম্বা চুল ছিলো । সে ক্লাসের পেছনে বসত । অামি তারও পেছনে বসতাম । মাঝে মাঝে তার চুলে টান দিতাম ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: "গ্রাম্য " ঠিক বলা যাবেনা, আমি কখনো গ্রামে যাইনি। মফস্বলের কিশোরী বলতে পারেন।

এটা আমার সাথেও হত। কানাডিয়ান ছেলেরাও করত। হায়, ছেলেরা সব দেশেই এক। তবে আমি তখন আমার বেনীটা পেছন থেকে সরিয়ে সামনে আনতান। চুইংগাম খাওয়া ছেলেদের তো খুবই ভয় পেতাম। যদি চুলে লাগিয়ে দেয়!! হা হা।

কয়েদিন আগেই ভার্সিটির এক চাইনিজ সহপাঠি সুতা ছিল না বলে (একটা প্রজেক্ট তৈরী করতে) আমার চুল ইউজ করার পরামর্শ দেয়। X( এসব বোধহয় সারাজীবণই সহ্য করতে হবে। ভাল থাকবেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন লেখ মিস করেছি দেখা যাচ্ছে!!!

রিভার্স পড়তে যাচ্ছি :)

খুব সাবলীল বর্ণনা। দুটো ভিন্ন দেশের কালচারে এডজাষ্ট আসলেই এক জটিল অবস্থা। তারমাঝে যদি হয় একেবারেই ভিন্ন মাত্রার তবে তার মাত্রা বর্ণনাতীত।
সত্যি বলতে আমি করতাম না, ওরাই করত। আমাকে কানাডার সাথে এডজাস্ট করতে হয়নি, কানাডাই আমার সাথে এডজাস্ট করে নিয়েছে। কি যে স্পেশাল ফিল করেছিলাম সেদিন!! কথাটা খুব ভালো লেগেছে। এই জন্যই ওরা পৃথিবীর উচ্চতম মর্যাদায় আসীন।

আমাদের ঔদার্যের দিন কবে আসবে ???

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দেরিতে হলেও পড়েছেন তাই আমি খুশি।

এই জন্যই ওরা পৃথিবীর উচ্চতম মর্যাদায় আসীন।
জ্বী একদম।

আমাদের ঔদার্যের দিন কবে আসবে ???
আমরা কি খুব খারাপ? আমরা কি ধর্মের নামে রক্তের বন্যা বয়িয়ে দিচ্ছি? তা তো না। আমাদের দেশের চেয়ে খারাপ অবস্থায় অনেক দেশই আছে। আর দুই একজন খারাপ মানুষ সব দেশেই আছে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

অজানা দার্শনিক বলেছেন: আপনার ৩টা 'কানাডা স্কুল লাইফ' পোস্টই পড়েছি । অসাধারণ । চালিয়ে যান আর অবশ্যই সমস্ত প্রবাসী জীবনটা শেয়ার করবেন , একদম দেশে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত ( যদি ফিরে এসে থাকেন ) ।
প্রশ্ন ১ঃ আপনি কি এখন দেশে ??
প্রশ্ন ২ঃ কানাডায় কত সাল হতে কত সাল পর্যন্ত ছিলেন বা আছেন ??
প্রশ্ন ৩ঃ ইংরেজি ভাষার দক্ষতা নিয়ে কি সমস্যা হয়েছিলো ?? হয়ে থাকলে কতটুকু হয়েছিলো এবং কতদিন লেগেছে আপনাকে তা মানিয়ে নিতে ??
প্রশ্ন ৪ঃ কখনো সেখানে কোন জায়গায় টয়লেটে গিয়ে পানি নেই শুধু টয়লেট পেপার এরকম অবস্থায় পড়েছেন ?? পড়ে থাকলে তা থেকে উদ্ধার হয়েছিলো ??
প্রশ্ন ৫ঃ যদি দেশে ফিরে এসে থাকেন , তাহলে বিদেশ ছেড়ে আসতে কেমন লেগেছিলো এবং দেশে ফিরে এসে যখন দেখলেন মাঝখানে দীর্ঘ সময়ে সব পাল্টে গেছে , সেই অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিলো ??

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাবাহ এত প্রশ্ন? আমার বায়োগ্রাফী লিখবেন নাকি? হা হা জাস্ট জোকিং। প্রতিটা পর্ব পড়ার জন্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

জী ভাই এখনো কানাডায়। আমি ভার্সিটি পড়াশোনা শেষ না করে মুভ করব না। তবে সিটিজেনশিপ পেয়ে যাওয়ায় যখন ইচ্ছে দেশে আসার ব্যাপারটা সহজ হয়ে গেছে। দেখা যাক সামনে কি হয়। দোয়া করবেন যাতে ফিরে আসতে পারি। দেশকে প্রচন্ড মিস করি। এই কদিন আগে যখন বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে গেল, মনে হল সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে উৎসব করতে চলে আসি।

প্রায় পাচ বছর ধরে আছি।

আপনার চার নম্বর প্রশ্নটা কোন মেয়েকে করা উচিৎ না। সো নো আন্সার। :)

এই প্রশ্ন আর ইংরেজীর প্রশ্নটা পরের পোষ্টগুলোতে বিস্তারিত লিখব। দেশে এর মধ্যে তিনবার সামার ব্রেকে আসি। ঘন ঘন আসায় এমন কিছু আালাদা মনে হয়নি। মনে হয়েছে বেড়াতে গিয়েছিলাম আবার ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে এসেছি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩১

অজানা দার্শনিক বলেছেন: চতুর্থ প্রশ্নটা ঠাট্টা করে করেছিলাম । মাইন্ড করে থাকলে দুঃখিত ... মাইন্ড না করে থাকলেও দুঃখিত , কারন আমারই প্রশ্নটা করার আগে একবার চিন্তা করা উচিত ছিলো ...
====
আর হ্যা , পরের পোস্টের জন্য জনতা কিন্তু বেশি অপেক্ষা করতে পারবে না ...

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না মাইন্ড করিনি। মজা হিসেবেই ধরে নিয়েছিলাম। সো নো দুঃখিত ওনলি সুখিত :)

জনতা অপেক্ষা করতে পারুক আর নাই পারুক দার্শনিকদের কিন্তু ধৈর্যশীল হতে হয়। ;)

১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: //আমাকে কানাডার সাথে এডজাস্ট করতে হয়নি, কানাডাই আমার সাথে এডজাস্ট করে নিয়েছে। কি যে স্পেশাল ফিল করেছিলাম সেদিন!!// -- সুদূর বাংলাদেশে বসে আপনার জন্য স্পেশাল একটা অনুভূতি কাজ করছে।

আল্লাহ আপনার জন্য সব কিছু সহজ করে দিক, তাঁর বান্দা হিসাবে আপনাকে কবুল করে নিন।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কি সুন্দর কমেন্ট আপনার!! দোয়া করার জন্যে ধন্যবাদ। সেইম টু ইউ।

১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:

view this link

১৯| ০১ লা মে, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আমাদের দেশে স্বাস্থ্য শিক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত। এজন্যই সেল্ফকেয়ার, পরিচ্ছন্নতাবোধ ইত্যাদি বিষয় আমাদের মধ্যে প্রায় অনুপস্থিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও আমাদের কম। এক ঘণ্টা বাধ্যতামূলক পি/ই এদেশেও থাকা উচিত ছিল।

শিক্ষকদের সহনশীলতা, শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণ এবং পেশার প্রতি তাদের ভালোবাসার বিষয়গুলো শিক্ষণীয়।

ভালো লাগছে আপনার সিরিজটি.... সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধগুলো কীভাবে অতিক্রম করছেন... আরও জানতে চাই :)

০১ লা মে, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: "এক ঘণ্টা বাধ্যতামূলক পি/ই এদেশেও থাকা উচিত ছিল।" জ্বী আপনার সাথে একমত।
জ্বী ভাই সাথে থাকুন, জলদি আরেক পর্ব আসবে। ধন্যবাদ।

২০| ০১ লা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

আবদুল্লাহ িশবলী বলেছেন: আপনি ভালো লিখেন। অনেকদিন পর সামুতে কোন লেখা একটানা পড়লাম।
শুভেচ্ছা। ++++++++++

০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, আপনাকেও শুভেচ্ছা।

২১| ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

মুসাফির নামা বলেছেন: শেয়ারিং এর জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

২২| ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আপনার বলার মাঝে অন্য শক্তি আছে। ধন্যবাদ

০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

বাড়িতারবাংলা বলেছেন: বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড কালচার সম্বন্ধে জানার আগ্রহ আছে।

০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা আইডিয়া দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ। লিখব সময় করে....

২৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩৭

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: আল্লাহ যেন উদার মনের মানুষের উদার দেশটাকে সবসময় ভালো রাখে। এমনটিই যেন হয়। আমার সবথেকে প্রিয় দুইটা ছোটবেলার বন্ধু সেখানে বসবাস করেন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: খুব প্রিয় একটা দোয়ায় গলা মিলিয়েছেন আমার সাথে। এত ভালো মানুষের সুখে থাকটা ডিসার্ভ করে আসলেই।

ভালো থাকুন আপনিও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.