নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আগের পর্বগুলোর থেকে এটা অনেক আলাদা হবে। অন্য পর্বগুলোতে সাধারণত পুরো একটা ঘটনা লিখি। এখানে টুকরো টুকরো কিছু অভিজ্ঞতা লিখব। আগের পর্বগুলো পড়ে অনেকে আমাকে দৃঢ়চেতা বলেছেন, ভালো মানুষকিতার ভেবে সম্মান জানিয়েছেন। তাদের বিনয়ের জন্যে ধন্যবাদ। কিন্তু এ পর্বে আমার চরিত্রের জঘন্য এক দিক প্রকাশ পাবে।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)

১) আমি এবং মি: জি. মি: জি. আমার E.S.L টিচার ছিলেন, আর আমি ওনার T.A. (teaching assistant). E.S.L ক্লাসে সাধারণত টিচাররা অন্য সবার দেশের অনেক গল্প শুনতে চায়। আর আমি T.A. হওয়ায় আরোই বেশি কথা বলার সুযোগ পেতাম মি: জি. এর সাথে। তিনি একজন সুদর্শন, ছিমছাম, ফ্যামিলিম্যান ছিলেন। আমি বলতাম বাংলাদেশ অনেক সবুজ, সমুদ্র, নদী, পাহাড়, সুন্দরবন আর যা যা আছে এবং এটা সব প্রবাসীরাই করে। দেশকে ভালভাবে প্রেজেন্ট করার চেষ্টা আরকি। তো একদিন ওনার পাশে দাড়িয়ে আছি। উনি বসে ল্যাপটপে নিজের বাচ্চাদের ছবি দেখাচ্ছিলেন আমাকে। হঠাৎ করে কি মনে হল বললেন, তোমার দেশের এত কথা শুনেছি দেখতে ইচ্ছে করছে। বলে বাংলাদেশ লিখে গুগলে টাইপ দিতে গেলেন।

আর আমার গলাটা কেউ যেন খামচে ধরল। নিঃশ্বাস নিতে পারছিনা। আমার দেশ মনের চোখে যতোই সুন্দর হোক না কেন, ক্যামেরার চোখে অন্য অনেক কিছু ধরা পরে যায়। এখন তো বাংলাদেশের আধা উলন্গ গরিব কিছু বাচ্চা, হরতাল, ঘিন্জি শহরের ছবি উঠে পরবে!! আমি এখন কি করি। নিজেকে মনে মনে বলছি ভাব জলদি কিছু ভাব তুই, অন্য কথা তুলে আটকা। কিন্তু কি বলি, কি করি? এককাজ করি অজ্ঞান হওয়ার নাটক করি। তাহলেতো ল্যাপটপ ছেড়ে উঠে পরবে। (এখন লিখতেও হাসি পাচ্ছে, কি সিলি চিন্তা ছিল)। কিন্তু ল্যাপটপ ওনার সামনে ছিল আর তাড়াতাড়িই টাইপ করে ফেললেন। আমি কোন প্ল্যানই আমলে আনতে পারলাম না ওইটুকু সময়ে। আমি নিজের হাত নিজে খামছে ধরেছি। গলা শুকিয়ে কাঠ। ক্লাসের অন্য ছেলেমেয়েরাও গোল হয়ে জড়ো হয়েছে। সুন্দর দেশ বাংলাদেশ দেখবে! লোড হচ্ছে আর আমি আমার রক্তশুন্য মুখে ফ্যাকাশে হাসি ঝুলিয়ে রেখেছি। আগেই বলেছি E.S.L ক্লাস হচ্ছে একটা পুরো বিশ্ব। আমার দেশটা বিশ্বের সামনে ছোট হবে আর আমি কিছুই করতে পারলাম না। ছিহ। নিজের ওপরে এতো রাগ লাগছিল!!

একটু একটু করে লোড হচ্ছে। আর এদিকে আমার বুক ড্রামের শব্দে ধরফর করছে। তো ফাইনালি লোড হল। আর একি? এতো সব সুন্দর সুন্দর ছবি!! যা সবাইকে বলেছিলাম তার চেয়েও সুন্দর। সবুজ মাঠ, হলদে শস্য, নীল নদী, আকাশ, রয়েল বেংগল টাইগার। একেকটা ছবি যেন একেকটা স্বপ্নপুরি। কেমনে কি? কয়েদিন আগেও তো বাংলাদেশ টাইপ করলে অন্যসব ছবি আসত। পরে খেয়াল করলাম মি: জি. ফোটো সেকশনের নেচার অপশনে ক্লিক করেছেন। কেননা আমার গল্প শুনে ওনার নেচার দেখারই বেশি আগ্রহ ছিল। শুধু বাংলাদেশ টাইপ করে scroll করলে সমস্যা ছিল কিন্তু নেচার সেকশনের ছবি তো সুন্দর হবেই। তো উনি বললেন তুমি এত সুন্দর জায়গায় থাকতে? আর E.S.L. কিডরা বারবার বলছিল Really beautiful!! আমিও সেই ভাব নিলাম যে আমিতো আগেই বলেছিলাম আমার দেশ কতো সুন্দর!! কিন্তু ভেতরে ভেতরে বুুক ধরফরানি তখনো কমেনি! :)


২) পাকিস্তানি ভদ্রমহিলা: একটা গোলগাল মুখের ফর্সা চেহারার মহিলা। মাথায় কাপড় দেয়া, কিন্তু শার্ট, প্যান্ট পরা। উনি স্কুলের disabled বাচ্চাদের দেখাশোনা করার কাজ করতেন। একদিন আমি লকার থেকে কি জানি একটা নিয়ে লাইব্রেরীতে যাচ্ছি। উনি আমাকে হঠাৎ করে এসে বললেন আমি কোন দেশের? ইন্ডিয়ার? আমি বললাম না বাংলাদেশের। উনি বললেন উনার বরও বাংলাদেশী আর উনি পাকিস্তানি। আমার মনটা কেমন যেন হয়ে গেল।

আরে বাংলাদেশে মেয়ের অভাব পরেছে যে শত্রু দেশের মেয়ের সাথে বিয়ে করতে হবে?? আর ফর্সা, লম্বা মেয়ে বাংলাদেশেও আছে, কোন অভাবে ওদের মতো খুনি, রেপিস্টদের সাথে সংসার করতে হবে? এসব কথা লিখতেও এখন লজ্জ্বা লাগছে। জীবনে কোন পাকিস্তানির সাথে পরিচয় না হওয়া আমি ওইটুকু কিশোরি মনে এত ঘৃণা কি করে রেখেছিলাম!! এতটা রেসিজম আমার মনে ছিল!! রেসিজমকে আজকের দুনিয়ায় সবচেয়ে জঘন্য পাপ মনে করা হয়। আর আমার মধ্যে তা তীব্রভাবে ছিল পাকিস্তানিদের জন্যে। আসলে আমাদের দেশে অনেকে বাচ্চা বয়স থেকেই ভারত, পাকিস্তানকে ঘৃণা করে। হ্যা ওদের খারাপ কাজগুলোকে ঘৃণা করা উচিত, বাংলাদেশের প্রতি ধেয়ে আসা কালো হাতগুলোকে পিষে ফেলা দরকার। কিন্তু সব পাকিস্তানি, ভারতীয় খারাপ এটা ভাবা তো রেসিজমের মধ্যে পরে। যেটা আমার মধ্যে তখন পুরোদমে ছিল।

তো উনি আমাকে ইংলিশে বললেন, "তোমাকে অনেক দিন ধরেই ফলো করছি। স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি। পরিচয় করব করব করেও করা হয় নি। তোমার আউটফিট অনেক সুন্দর। ট্রাডিশনাল পোশাক পরেও স্কুলের সব জায়গায় কনফিডেন্টলি ঘুরে বেড়াও!!! কোন জড়তা নেই। You are such a strong minded lady!!" আমিতো বেশ খুশি। আমার মতো বাচ্চা কিশোরিকে লেডি বলছে!! আমার আর কি চাই? হা হা। তো উনি আরও বললেন, "আমরা চেষ্টা করছি আমাদের মেয়েও যেন এরকম পোশাক পরে, কিন্তু ও মানছে না। স্কুলে নাকি হাসাহাসি করবে (তার মেয়ে অন্য স্কুলে ছিল)। তোমাকে দেখাব একদিন। তোমার তো কোন অসুবিধা হচ্ছেনা। তোমাকে দেখে যদি আমার কথা মানে।"

এরপরেও কয়েকবার শর্ট কনভার্সেশন হয়েছিল ওনার সাথে। অনেক সুইট ছিলেন এবং মনে হতো আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব করেন। আমি যেন ওনারই দেশের, ওনারই কালচারকে ধরে রেখেছি! উনি কয়েকমাসের মধ্যেই ট্রান্সফার হয়ে অন্য স্কুলে চলে যান, আর নিজের অজান্তেই আমার মন থেকে অযাচিত কিছু ঘৃণা দূর করে দিয়ে যান!!

তবে একটা কথা, এখনো কেন যেন বাংলাদেশি ছেলেমেয়েদের বিদেশি ছেলেমেয়েদের বিয়ে করাটা ঠিক মেনে নিতে পারিনা। এটা নিঃসন্দেহে আমার সংকির্ণমনতা। কিন্তু আমার সংকির্ণমনতাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা আমি করব। যখন কোন দেশি বিদেশি বিয়ে করে প্রথম কয়দিন খুব ভালো চলে। কিন্তু পরে সমস্যা শুরু হতে থাকে। অনেক কিছু আছে যা বাংলাদেশি মেয়েরা মেনে নিতে পারেনা কিন্তু বিদেশি ছেলেদের মধ্যে আছে। যেমন মদ খাওয়া, লেট পার্টি করা, মাসের শেষে বেতন নিজে মতো করে খরচ করা। আর অনেক কিছু আছে বাংলাদেশি ছেলেরা মেনে নিতে পারেনা যেমন বউয়ের অনেক ছেলের সাথে বিয়ের আগে গভীর সম্পর্ক থাকা, শশুরবাড়ির সাথে তেমন যোগাযোগ না রাখা। আসলে আমাদের কালচারে যা মহাপাপ ওদের দেশে তা ডালভাত। বিয়ের আগে কিছু মনে নাহলেও বিয়ের পরে মাথায় বাজ পরে। আর দুজনের কেউই সাধারণত একে অপরের পরিবারের সাথে মানিয়ে নিতে পারেনা। আমেরিকায় কোন এক গবেষনায় দেখা গিয়েছিল পুরোপুরি বিপরীতধর্মী দেশের, কালচারের মানুষের ডিভোর্সের হার মহামারি আকারে বেশি। তা আমি কানাডায় নিজে দেখেছি।
কিন্তু সব কথার বড় কথা, ভালোবাসা থাকলে বিয়ে টেকে সে বিশ্বের যে প্রান্তেরই মানুষ হোক না কেন। এমন হাজারটা বিয়ে আছে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে দাড়িয়ে আছে। তবে বেশি প্রতিকূলতা সম্পর্ক টেকার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। আর এজন্যে আমি মেনে নিতে পারিনা। খারাপ মনে করিনা শুধু মনে হয় বিয়েটা যেন না ভাংগে। আর বেশিরভাগ সময়ই আমার দোয়া কোন কাজে লাগে না!!

এরকম আরও অনেক টুকরো টুকরো ছবি মনে ভাসছে। ব্লগাররা বড় পোষ্ট পড়তে বিরক্ত বোধ করবেন বলে আর লিখলাম না। পরের পর্বে পাঠক চাইলে অবশ্যই লিখব। কোন বিশেষ বিষয়ে আগ্রহ থাকলে কমেন্ট করে জানান। যারা প্রতি পোস্টে "পরের পর্বের অপেক্ষায়" লেখেন তাদের জন্যেই আমার লিখতে থাকা। তাদেরকে ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
1. aro ki ki siLLy kaj korar chinta mathay asche seguLa jante icchuk

2. Pakistani meye guLa sundori hoy besh mashALLah. amar moddhe abar sundorer khetre kono racism nai.

choritrer kono joghonno dik paiLam na poste, ashahoto hoisi.

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যা ছিল সব বলেছিতো।

"Pakistani meye guLa sundori hoy"
আরে একটা বাংলাদেশী মেয়ের মধ্যে যে মায়া থাকে, হাজারটা বিদেশী মেয়ের মধ্যে সেটা থাকেনা। কিন্তু মেয়েদের চোখের মায়া দেখার যোগ্যতা সব ছেলের থাকেনা। আপনার মধ্যেও হয়ত নেই।

আরে আমি রেসিস্ট ছিলাম না? সেটা।

২| ০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

জহিরুল ইসলাম (রেহান) বলেছেন: দারুন হয়েছে.........
আমি এখানে নতুন ....
আমি আপনার সাথে আছি,,আশা করি আপনিও আমার সাথে থাকবেন....

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্লগের দুনিয়া বড়ই কঠিন ভাই, কেউ কারও সাথে থাকেনা। হাহা জোকিং।

ভাই ব্লগটা একটা পরিবার, সবাই সবার সাথে থাকে, You are most welcome to our family. May you have a great journey here.

৩| ০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ceharar maya dekhte dekhtei shesh. chokher maya dekhar iccha/mood/time konota nai.

sobar moddhei kom beshi rasicm kaj kore. tomar ta hisaab korLe LogicaL.

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না ভাই, কোন রেসিজমই লজিকাল না, কোন রেসিজমই না।

chokher maya dekhar iccha/mood/time konota nai.
আপনার সাথে কথা বললেই সেটা বোঝা যায়। স্বভাব চরিত্রের খারাপ ছেলেরা (আপনার কথা মতো) তো আপনার
মতোই হয়। May you become a better person one day.

৪| ০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন!
অনন্য অভিজ্ঞতা। ভাল লাগছে সিরিজ..........

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১:৪৭

বাবুনগরী বইলছি বলেছেন: বেফর্দা আওড়াতদের ঝালায় মনে হয় এইখানে থাকথে ফারব না, হাটহাজারিতে ছইলে যেথে হবে। আর ইম্রানকবির্মুনরে তো দোরড়া মাড়তে হইবে।

৬| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৩:৪১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আগের কোন পর্ব পড়া হয়নি। এটা পড়েছি।আপনার কিছু অভিজ্ঞতা জানা হল। ভালো লেগেছে পড়তে।

০৩ রা মে, ২০১৬ ভোর ৪:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, অন্য পর্বগুলোও চট করে পরে ফেলুন। :)

৭| ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: //আর E.S.L. কিডরা বারবার বলছিল Really beautiful!! আমিও সেই ভাব নিলাম যে আমিতো আগেই বলেছিলাম আমার দেশ কতো সুন্দর!! কিন্তু ভেতরে ভেতরে বুুক ধরফরানি তখনো কমেনি!// --- হা..... হা........ হা.........।

//কিন্তু সব কথার বড় কথা, ভালোবাসা থাকলে বিয়ে টেকে সে বিশ্বের যে প্রান্তেরই মানুষ হোক না কেন। এমন হাজারটা বিয়ে আছে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে দাড়িয়ে আছে। তবে বেশি প্রতিকূলতা সম্পর্ক টেকার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। আর এজন্যে আমি মেনে নিতে পারিনা। খারাপ মনে করিনা শুধু মনে হয় বিয়েটা যেন না ভাংগে। আর বেশিরভাগ সময়ই আমার দোয়া কোন কাজে লাগে না!!// -- বেশ ভাল বিশ্লেষণ করেছেন।

আমার এক চাচী ছিল, উনার রান্নার হাত খুব ভাল ছিল।
উনি যাই রান্না করতেন, অমৃত মনে হতো - সামান্য শাক রান্নাও।

আমার মনে হয়, আপনারও লেখার হাত ভাল। তাই যাই লেখবেন, আমি পড়ব, এই নিশ্চয়তা দিচ্ছ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার এক চাচী ছিল, উনার রান্নার হাত খুব ভাল ছিল।
উনি যাই রান্না করতেন, অমৃত মনে হতো - সামান্য শাক রান্নাও।

এইটুকু পড়তে পড়তে ভালছিলাম, কি বলে, কিসের মধ্যে কি, তারপরে নিচের লাইনটা পড়ে অনেক ভালো লাগল। আপনার
কমেন্টগুলো মারাত্মক সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ।

আপনিও সবসময় ভালো থাকবেন ভাই।

৮| ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

Safin বলেছেন: বরাবরের মতই আগ্রহ নিয়ে পড়লাম! আরো লেখা চাই আরো আরো . . . এগুলো আমাদের মত যারা বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের কাজে দেবে! :D

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বিদেশে যেতে ইচ্ছুক? কোন দেশে যাওয়ার প্ল্যান ভাই?

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

৯| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

একাকী পর্যটক বলেছেন: শত সহস্র বছরের ইতিহাসে ঘুরি একাকী
তবু যেন অতৃপ্ত মন আমার
পরিব্রাজক হতে চাই অদৃশ, অচেনা, অজানার
আত্মার শান্তি বলো বা অতৃপ্ত আত্মায় হোক
দু'দন্ড শান্তির জন্য ধার করি মানুষের চোখ....

লিখুন.. আপনার চোখেই দেখা হোক কানাডা

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঠিক আছে। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: লিখা খুব ভালো হচ্ছে। চালিয়ে যেতে থাকুন। আপনার চোখে কানাডা দেখতে ইন্টারেস্টিং লাগছে।

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। চালিয়ে যাব, সাথে থাকুন।

১১| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

অজানা দার্শনিক বলেছেন: বিদেশী বিয়ের কথা বলছেন ??
আসলে আজও সাদা চামড়া দেখলে বেশিরভাগ বাঙ্গালীর হুশ থাকে না ...
====
স্টিল ফিশি স্টাফ হ্যাপেনিং অ্যারাউন্ড হেয়ার ... হাহা ...

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলে আজও সাদা চামড়া দেখলে বেশিরভাগ বাঙ্গালীর হুশ থাকে না

বড়ই দুঃখের বিষয় সেটা :)

ট্রাস্ট মি নাথিং। জাস্ট নাথিং এট ওল।

১২| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: @ ইমরোজ কবির মুন ও লেখিকা : কমেন্ট এরিয়াতে অপ্রাসংগিক কথাবার্তা বেশী হয়ে যাচ্ছে , যা সুন্দর একটি সিরিজের সাথে সামন্জস্য পুর্ন নয়।লেখিকা বলতে পারেন এটা ওনার বল্গ সুতারং ওনার ব্যাপার , কিন্তূ সামগ্রিকভাবে বিষয়টি দৃস্টিকটু লাগছে, তাছাড়া ইমরোজ কবির মুনের মত ম্যাচুরড বল্গারের এই ধরনের বাল্যখিলতা ব্লগের পরিবেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা দিবে। বিষয়টি বলার জন্য দু:খিত, কিন্তূ যেটা ঠিক হচ্ছে না, সহব্লগার বা শুভাকান্খী হিসাবে সেটা ধরিয়ে দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করলাম। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন। তবে সিরিজটা খুব আগ্রহ সহকারে পড়ছি।

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সিরিজটা আগ্রহ সহকারে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। পরের পর্বগুলোতেও সাথে থাকবেন আশা করি। আপনার বাকি কথাগুলো মাথায় থাকল। :)

১৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১২:০১

বোকামানুষ বলেছেন: সবগুলো পর্বই ভাল লেগেছে লিখতে থাকুন

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সবগুলো পর্ব পড়ার জন্যে। সাথে থাকুন, লিখতে থাকব।

১৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১২:১৮

Safin বলেছেন: নিউইয়র্কে আমার কাজিন থাকে!
ওখানে ইনশাল্লাহ . . . .
আপনার কাছাকাছিই :) :D

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরে ভাই কোথায় কানাডা আর কোথায় আমেরিকার নিউইয়র্ক। খুব কাছে না, দুর আছে।

তবে কখনো কানাডায় বেড়াতে আসলে বইলেন, দাওয়াত দেব। ধন্যবাদ। :)

১৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

Safin বলেছেন: ওকে! :D :D

০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: :)

১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

বাড়িতারবাংলা বলেছেন: এই লেখাটা চালিয়ে গেলে পরে একটা বই আকারে বেড়োতে পারে। এবং তুমি (মনে হয় তুমি বলা যায়) পরের ঝুম্পা লাহিড়ী হয়ে উঠতে পার।

০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হা হা, আমার লেখা নাকি বই আকারে বের হবে, হাসতে হাসতে শেষ। :)

১৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিদেশে বাংগালীরা কেমন থাকে - - এসব লেখা সবসময় আগ্রহ নিয়ে পড়ি।

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। :)

১৮| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

গাজী বুরহান বলেছেন: "আর আমার গলাটা কেউ যেন খামচে ধরল। নিঃশ্বাস নিতে পারছিনা। আমার দেশ মনের চোখে যতোই সুন্দর হোক না কেন, ক্যামেরার চোখে অন্য অনেক কিছু ধরা পরে যায়। এখন তো বাংলাদেশের আধা উলন্গ গরিব কিছু বাচ্চা, হরতাল, ঘিন্জি শহরের ছবি উঠে পরবে!! আমি এখন কি করি। নিজেকে মনে মনে বলছি ভাব জলদি কিছু ভাব তুই, অন্য কথা তুলে আটকা। কিন্তু কি বলি, কি করি? এককাজ করি অজ্ঞান হওয়ার নাটক করি। তাহলেতো ল্যাপটপ ছেড়ে উঠে পরবে। (এখন লিখতেও হাসি পাচ্ছে, কি সিলি চিন্তা ছিল)। কিন্তু ল্যাপটপ ওনার সামনে ছিল আর তাড়াতাড়িই টাইপ করে ফেললেন। আমি কোন প্ল্যানই আমলে আনতে পারলাম না ওইটুকু সময়ে। আমি নিজের হাত নিজে খামছে ধরেছি। গলা শুকিয়ে কাঠ। ক্লাসের অন্য ছেলেমেয়েরাও গোল হয়ে জড়ো হয়েছে। সুন্দর দেশ বাংলাদেশ দেখবে! লোড হচ্ছে আর আমি আমার রক্তশুন্য মুখে ফ্যাকাশে হাসি ঝুলিয়ে রেখেছি। আগেই বলেছি E.S.L ক্লাস হচ্ছে একটা পুরো বিশ্ব। আমার দেশটা বিশ্বের সামনে ছোট হবে আর আমি কিছুই করতে পারলাম না। ছিহ। নিজের ওপরে এতো রাগ লাগছিল!! "

এই জায়গায় সত্যিই ভয় লাগছিলো। দেশকে নিয়ে আবেগ একটু বেশি



এবং
"আরে বাংলাদেশে মেয়ের অভাব পরেছে যে শত্রু দেশের মেয়ের সাথে বিয়ে করতে হবে?? আর ফর্সা, লম্বা মেয়ে বাংলাদেশেও আছে, কোন অভাবে ওদের মতো খুনি, রেপিস্টদের সাথে সংসার করতে হবে? এসব কথা লিখতেও এখন লজ্জ্বা লাগছে। জীবনে কোন পাকিস্তানির সাথে পরিচয় না হওয়া আমি ওইটুকু কিশোরি মনে এত ঘৃণা কি করে রেখেছিলাম!! এতটা রেসিজম আমার মনে ছিল!! রেসিজমকে আজকের দুনিয়ায় সবচেয়ে জঘন্য পাপ মনে করা হয়। আর আমার মধ্যে তা তীব্রভাবে ছিল পাকিস্তানিদের জন্যে।"

এই লাইন গুলো পড়ে এঙ্গরি মুড আসছিলো!

লেখাটা অনেক ভালো হয়েছে

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
পাঠক জায়গা ধরিয়ে ভালো খারাপ বললে অনেক ভালো লাগে।

অনেক ভালো থাকুন।

১৯| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

শায়মা বলেছেন: আপুনি

আসলেই এই পোস্টগুলো নিয়ে দারুন একটা বই হবে। :)

অনেক ভালো থেকো!:)

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হায়রে আপনার কানেও বইয়ের কথা চলে গিয়েছে শায়মা আপু?

অন্যদেরটাতো মজায় নিয়েছি কিন্তু আপনি যখন বলেছেন সিরিয়াসলি ভাবতে হয় এখন।

সবার এবং আমার অনেক প্রিয় আপুনিটাও ভালো থাকুক।

২০| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০১

শায়মা বলেছেন: আসলেই সিরিয়াসলি ভাবো। বইটা লিখেই ফেলো আর আমরা তো আছিই!:)


বুদ্ধিমতী মেয়ে ! তোমার ভাবনা চিন্তা দেখে আমি সত্যি অবাক ! এত পিচকিদের এত বুদ্ধি হয়! আর তারা এত ভাবতেও জানে!!!!!!

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা পিচকি! আমি ভার্সিটিতে পড়ি কিন্তু এখনো আমার শায়মাপুর কাছে পিচকিই আছি। এত আদর আর কে দেখাবে!

আপনারা থাকবেন কিন্তু, ব্লগের সবাই বই কেনার কথা দিলেই বের করা হবে। নাহলে লস খেয়ে জীবন শুরুর আগেই শেষ হয়ে যাবে হাহা।

ভাল থাকবেন আপুনিটা।

২১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৯

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: অসাধারন হচ্ছে। বোন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার কমেন্টও অসাধারন হচ্ছে ভাই। একবারে সব পড়ে কমেন্ট করছেন খুব ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.