নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৫) - মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও অত্যাচারিত মেয়েটি এবং অবাক, অসহায় আমি (কঠিনভাবে ১৮++)

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৩

কানাডায় আসার পরে অনেক কিছু নতুন দেখেছি। প্রতিমুহূর্তে হাজারটা কালচার শক। আজ এক বিশেষ কালচার শক নিয়ে কথা বলব যা আমার অস্তিত্বকে তোলপাড় করে দিয়েছিল। আজকের গল্পগুলো মনের খুব কাছের, কেননা তারা কিশোরি আমার বয়স এক লাফে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল!

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৩) - কানাডায় বিয়ে, লিভ টুগেদার, ডিভোর্স এবং কিশোরি আমি (১৮+)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৪) - বাংলাদেশীদের বিয়ে ভাবনা নিয়ে বিদেশীদের দৃষ্টিকোন এবং আমার নারী জীবন

তখন মোটামুটি নতুনই। প্রথম সেমিস্টার শেষ করে পরেরটা শুরু করেছি। আমি কানাডিয়ানদের ইংলিশ বুঝি কিন্তু ওরা আমারটা সহজে বোঝেনা, রিপিট করতে হয়। আগের সেমিস্টারে যে দুএকজনের সাথে কষ্টেসৃষ্টে ভাব জমিয়েছিলাম নতুন সেমিস্টারে তারা অন্য শাখায় পরল। আমি আরো অসহায় হয়ে গেলাম। যেসব টিচার আগলে রাখতেন তারা বদলে নতুন টিচার আসলেন। যা জমিয়েছিলাম সব হারিয়ে আবারো আমি নি:স্ব। ইংলিশ ক্লাস ছিল সেই সেমিস্টারে। কি যে কঠিন লাগত! মার্ক খুব লো আসত ইংলিশে। সারাক্ষন পড়েও ভাষা সমস্যা, আলাদা পড়ানোর ধরনে কোন কুলকিনারা করতে পারছিলাম না।

সাইন্স ক্লাসেও একই অবস্থা। ল্যাব করতে হত প্রায় প্রতি সপ্তাহে। সিরিয়াস লেভেলের ফর্মাল ল্যাব এবং রাইটআপ এখানে অনেক ছোট থাকতেই করায়। কানাডায় ল্যাব করতে গেলে শুধু দেশের ল্যাব ক্লাস কল্পনায় ভেসে উঠত। আমাদের মফস্বলের ক্লাসে ল্যাব সরন্জাম কত কম আর অনাধুনিক ছিল! অনেককিছুই ভাংগাচুরা কিন্তু আমরা শেয়ার করে চালিয়ে নিতাম। দলবেঁধে বান্ধবীরা ল্যাবরুমে যেতাম আর ল্যাবে টাংগানো কংকাল দেখে তোর বর বলে ক্ষেপাতাম একে অপরকে। সবার সাথে মজায় মজায় ল্যাব শেষ হত। আর কানাডায় রুমের মধ্যেই ল্যাবের সব ব্যবস্থা থাকে। প্রতি টেবিলের সাথে এটাচড সিংক! রুমের সাথে লাগোয়া বড় স্টোররুমে সব জিনিসপত্র থাকে। ল্যাবের দিনে টিচার প্রয়োজনীয় সরন্জাম বের করে এনে ক্লাসরুমে রাখেন। কি সব দামী অাধুনিক ভয়াল দর্শন সব জিনিসপত্র, নামই জানতাম না বেশিরভাগের! মাত্র তিরিশটা স্টুডেন্টের জন্যে অতো জিনিস! অন্য স্টুডেন্টরা আরো ছোট বয়স থেকে ওসব ব্যবহার করে ল্যাব করত কিন্তু আমার হাত কাঁপত। কিভাবে কোন যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় জানতাম না। পাশের জনের হেল্প চাইতাম বারবার অসহায় হয়ে। ল্যাবের ওপরে কোর্সের ২৫% মার্ক ছিল। বন্ধু না থাকায় প্রতি ল্যাবে টিচারকে বলতে হত আমার কোন ল্যাব পার্টনার নেই ঠিক করে দিন। পাগল পাগল লাগত মাঝেমাঝে। সবকিছু যখন কঠিন হতে থাকে কোন এক আলোর দরজা খুলে যায়। আমারো খুলল।

কয়েক সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে নতুন সেমিস্টারে। আমি একা একা সামনের রোয়ে বসি ক্লাসে। এক পাকিস্তানি মেয়ে ঢুকল ক্লাসে; মাথায় হুড পরা, লং স্কার্ট এবং টিশার্ট। গোলগাল বড় চোখের চেহারায় আপাদমস্তক ভালোমানুষি। মেয়েটা টিচারকে বলল সেমিস্টার ব্রেকে দেশে যাওয়ায় ক্লাসগুলো মিস হয়েছে। টিচার মেয়েটাকে আগের পড়ার সব ওয়ার্কশিটগুলো দিয়ে দিল। মেয়েটা আমার পাশের চেয়ার খালি দেখে অনুমুতি নিয়ে বসে পরল। আমার দিকে খুব মিষ্টি করে হাসল। সেদিন কথায় কথায় মোটামুটি একটা ক্লোসনেস তৈরি হল। মেয়েটার নাম আসমা; ক্লাস ফাইভ থেকে কানাডায়। কিন্তু ভীষন ধার্মিক, এবং নিজ কালচারকে এখনো মানে। এসব শুনে একধরনের কানেকশন বোধ করলাম। আসমাও আমাকে সালোয়ার কামিজে দেখে বুঝে গিয়েছিল ওর মতো করেই ভাবি আমি। ও স্কুলের পুরনো ছাত্রী, আমার মতো অসহায় অবস্থা না। কিন্তু দুজনের ধর্মীয় ভাবনা এক হওয়ার কারনে বেশ কাছে এসে গিয়েছিলাম প্রথমদিনেই।

পরেরদিন সেই ক্লাসেরই দুটো কানাডিয়ান মেয়ে আমাদের টেবিলে এসে বলল, "এসমা, এখানে কেন? আমাদের কাছে বসো।" আমার মন খারাপ হয়ে গেল। একটা মনের মতো বন্ধু হচ্ছিল, সেও গেল। কিন্তু আসমা ওদের টেবিলে মুভ করার সময় আমাকেও সাথে নিয়ে গেল। ঐ কানাডিয়ান মেয়েদের জিগ্যেস করল আমি ওদের জয়েন করতে পারি কিনা? ওরা বলল, "অফ কোর্স!" একক্লাসে তিন বন্ধু হয়ে গেল আমার। আস্তে আস্তে খেয়াল করলাম তিনজনই ভীষন ভালো মেয়ে এবং পড়াশোনায় মোটামুটি খারাপ। আমি মাসখানেক পরে ভালো মার্ক পেতে শুরু করলাম এবং ওদেরকে হেল্প করতাম। এভাবে বন্ধুত্ব গাড় হলো। এদের মধ্যে একটা কানাডিয়ান মেয়ের নাম শেন, হালকা মোটা, খুব জলী একটা চেহারা এবং চুল খুব লম্বা। আমার নিজেরও লম্বা চুল। তাই আমরা কমপেয়ার করতাম আমাদের মধ্যে কার চুল বেশি লম্বা? আসমা বিচারক থাকত। কখনো আমাকে জেতাত, কখনো ওকে। এভাবে সুখের, ভীষন সুখের ৭০ মিনিটের সাইন্স ক্লাস কেটে যেত। টিচারকে তখন জিগ্যেস করতাম তিনজনের গ্রুপে ল্যাব করলে সমস্যা নেই তো? কেননা ল্যাব সাধারনত দুজনে করে। টিচার আমাদের কিছু বলতেন না। আমরা তিনজনেই পাগলামিপূর্ন সব কথাবার্তা, আড্ডায় মেতে থাকতাম সারাক্ষন। আমি গড়গড় করে ইংলিশ বলে যেতাম ওরা পাশে থাকলে। অন্যক্লাসে তেমন বন্ধু না থাকলেও আমি সেই প্রচন্ড পাওয়াতেই অনেক সুখী ছিলাম।

একদিন শেন ক্লাসে আসল না। এভাবে এক সপ্তাহ চলে যাওয়ার পরে আসল। ওকে না আসার কারন জিগ্যেস করলে বলল, "আমার মা আমাকে বাবার কাছে পাঠিয়েছিল অন্য শহরে। এজন্যে আসতে পারিনি।" আমি তো তখনও কানাডিয়ান কালচার তেমন বুঝি না, বাংলাদেশি কালচার ছাড়া কিছুই বুঝিনা আসলে। আমি বললাম, "তোমার বাবা দূরে কাজ করে? অনেক মজা করলে তার সাথে? তোমার মা কেন গেল না?" ও বলল, "মা কেন যাবে? আমার মা বাবা ডিভোর্সড।" আমি ওর দিকে কিছুক্ষন হা করে তাকিয়ে থাকলাম। আমি আগে শুনেছিলাম ডিভোর্স হলে মা বাবা আলাদা হয়ে বাচ্চাটা অনেক কষ্ট পায়। মুভিতে অনেক ড্রামা/কেসও দেখেছি এসব নিয়ে। কিন্তু সামনাসামনি একটা ব্রোকেন ফ্যামিলি কিড প্রথম দেখলাম। আমি মুভির জিনিস বাস্তবে দেখে উত্তেজনা বোধ করলাম। ওকে জিগ্যেস করলাম, "তুমি মাঝেমাঝেই এভাবে বাবার কাছে যাও?" ও বলল, "না যখন আমার মা কোন ছেলেকে ডেট করে বাড়িতে আনে তখন পাঠিয়ে দেয়। মায়ের বয়ফ্রেন্ড বাড়িতে কিছুদিন বেড়াতে আসলে আমাকে রাখা হয়না। ওরা আনকমফর্টেবল ফিল করে।" এটা খুবই স্বাভাবিক, হাশিখুশি টোনে বলল। আর আমিতো এদিকে শেষ। কাঁপছি রীতিমতো। মনকে বলছি ইংলিশ বুঝিসনি তুই। ও অন্যকিছু বলেছে, তুই ইংলিশ বুঝিসনি। এরকমও হয়? মা বাড়িতে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে এসে মেয়েকে বের করে দেয়? আর সে মেয়ে কোন মুভি ক্যারেক্টার না আমার কাছের বান্ধবী?

আমি কিভাবে সেদিন ঠান্ডা মাথায় ক্লাসটা শেষ করেছিলাম আল্লাহই জানেন। সেদিনের শেষ ক্লাস ছিল বলে রক্ষা। বাড়িতে আসার পথে কিছুক্ষনের জন্যে ভুলে গিয়েছিলাম। তারপরে টিপটা খুলে আয়নায় রাখতে রাখতে হুট করে আবার মনে হল। আমি মা মা বলে চিল্লানো শুরু করে মা আসতে পুরো কাহিনী বললাম মাকে। মা বলল, "ছি ছি কি অসভ্য এরা, এইযে শুনছ?" বলে আমার বাবাকে কাহিনী শোনাতে চলে গেলেন। তারা বিরক্তির মধ্যেও একধরনের বিনোদন খুজে পেয়েছিলেন বলে মনে করি। মজার টপিক পেয়েছিলেন গল্প করার। কিন্তু আমি আসলেই প্রচন্ড অবাক হয়েছিলাম আমার বান্ধবীর এমন অসহায়ত্বে। ও যতোই হাসুক না কেন এক ভীষন তীব্র ব্যাথা ওর চোখে আমি পড়তে পারতাম। মফস্বলের মেয়ে আমি, সরল আবেগী মনে যদি মানুষের আবেগই না বুঝতে পারি তবে আর কি শিখলাম?

সেদিন থেকে আরো মায়া জন্মে গেল ওর ওপরে। আমি আগে লাঞ্চে বাড়ি আসতাম কিন্তু তখন থেকে ওকে সময় দিয়ে স্কুলেই থাকতাম। প্রথমে ওর অন্য বন্ধুদের সাথে আমাকে নিয়ে হ্যাং আউট করত। কিন্তু একটা সময় পরে শুধু আমরা দুজনই স্কুলের আশেপাশে বনবন করে ঘুরেঘুরে গল্প করতাম। একদিন ও আমাকে বলল একটা সিক্রেট জানতে চাও? আমি বললাম কি সিক্রেট? ও বলল, "কালকে আমার মাকে বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করতে দেখে ফেলেছি। ওরা জানত না আমি থাকব বাড়িতে সে সময়।" আমার ১০৫ ডিগ্রি জ্বরের কাঁপুনি এসে গেল। কিন্তু ও এত সাবলীল ভাবে বলল যেন এটাই নরমাল। আর এর মধ্যে মজার কোন এলিমেন্ট আছে। আমি জিগ্যেস করলাম ধরা পরোনিতো? ও বলল, "না চুপ করে চলে এসেছিলাম, It was so gross yaak!" আমি কিছুক্ষন নিলাম ধাতস্ত হতে। নিজেকে সামলে কাঁদো কাঁদো মুখে ওকে জড়িয়ে ধরে পিঠে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিতে গেলাম। ও অবাক হয়ে বলল, "এতো ইমোশনাল হচ্ছো কেন? চিল ম্যান। নট আ বিগ ডিল!"

খুব অবাক হয়েছিলাম আমি। মনে মনে ভাবছিলাম নট আ বিগ ডিল? রিয়ালি? সেদিন ওর প্রতি মায়া একটু কমে গিয়েছিল। আসলে ওকে আমি দুঃখী মনে করে মায়া করে বন্ধুত্ব বাড়িয়েছিলাম। কিন্তু সান্ত্বনা তো ওর লাগত না। এসবে ওর অভ্যাস আছে। তাহলে আর কি ভেবে বন্ধুত্ব রাখব? আমি ওকে ভুল বুঝেছিলাম, ও কষ্ট পাচ্ছে এ উপলব্ধি ভুল ছিল জেনে নিজেকে বোকা মনে হল। ভাবলাম এ বাংলাদেশ না যে বান্ধবীদের চোখের দিকে তাকালেই মন পড়তে পারব। এখানে সবাই আলাদা, ওরা মুখে বলে দিলেও আমি কিছুই বুঝবনা। এই ভাবনাটা আমাকে অনেক কষ্টে রাখত। আমি যে কানাডায় কি ভীষন একা তা গভীর ভাবে উপলব্ধি করলাম। বুঝলাম আমি চাইলেই এরা আমার মনের মতো বন্ধু হবেনা বা আমিও ওদের মন বুঝতে পারবনা। সেদিন বাড়িতে এসে এসব মনে করে কেঁদেছিলামও অসহায় হয়ে।

আমি শেন এর সাথে লাঞ্চে মেলামেশা করতাম এবং ক্লাসেও নরমালি হাসি ঠাট্টা চলত। যদিও ও মাঝেমাঝে গ্যাপ দিয়ে স্কুলে আসত। সেদিন আবার বাড়িতে আসতাম লাঞ্চে। এভাবে চলতে চলতে প্রায় দুই মাসের মাথায় জানলাম শেন এই সাইন্স ক্লাসটা এখন থেকে অনলাইনে করবে। ওকে বারবার বাবা মায়ের শহরের মধ্যে মুভ করতে হচ্ছে। ক্লাস বেশি মিস হয়ে ফেল করছে। ও শুধু ফিজিক্যাল এডুকেশন ক্লাসটা করার জন্যে স্কুলে আসত। স্বভাবতই সেটাও মিস করত শহরে থাকতে না পারার কারনে। কিন্তু সেই ক্লাসে "মেকআপ ক্লাস" এর সুবিধা থাকত। মানে লাঞ্চ টাইম, স্কুলের আগে, পরে টিচারের সামনে সব গেমস খেলে, এক্সারসাইজ করে মিস করা দিনটা পুষিয়ে দেবার। স্টুডেন্ট একাই টিচারের সামনে সব করবে এবং টিচার মার্ক করবে। ও এভাবে করেই চালাত। স্বভাবতই সাইন্স ক্লাসে না আসার কারনে এবং ওভারঅল খুব ইরেগুলার হওয়ার কারনে ক্লোসনেস কমে গেল। প্রায় ভুলেই গিয়েছি ওর কথা।

এভাবে প্রায় সেমিস্টারের শেষ শেষ। আমি সব ক্লাসে আবারো নিজেকে প্রমান করে ফেলেছি। প্রতি ক্লাসে একজন পাশে বসার মানুষ জুটিয়ে ফেলেছি। কেউ বন্ধু বলে পাশে বসত, আর কেউ পড়াশোনায় হেল্প পাবে বলে। কিন্তু আমি একা বসতে হচ্ছে না তাই ভেবেই খুশি ছিলাম। সবকিছু ভালোই চলছে। ফাইনালের পড়াশোনা কয়েকদিন পরেই শুরু করে দেব। আমি দেড় মাস আগে থেকে রুটিন করে রিভাইস দিতাম। যাই হোক, একদিন লবি দিয়ে হেটে লকার থেকে সোয়েটার আনতে যাচ্ছি। বাড়িতে যাব লাঞ্চে। লবির এক সাইডের বেঞ্চে একটা মেয়ে মাথা নিচু করে ফোপাচ্ছে। আমার খারাপ লাগল, মায়া করে ওর দিকে তাকিয়ে মনে মনে আহারে বলতে বলতে চলে যাচ্ছিলাম।

হঠাৎ করে পেছনের লম্বা চুল চোখে পরল। ফিগার খেয়াল করে বুঝলাম এতো শেন! আমি দৌড়ে গেলাম ওর কাছে। ওর পিঠে হাত দিয়ে বললাম কি হয়েছে? ও মাথা উঠিয়ে চোখের পানি একনিমিষে মুছে ফেলল এবং মুখ হাসি করে উচ্ছাস নিয়ে বলল, "হেই গার্ল, লং টাইম নো সি! কেমন আছ? তোমাকে অনেক মিস করেছি।" আমি বললাম সেসব বাদ দেও, তুমি কাঁদছ কেন? ও হাত নাড়িয়ে বলল, "কিছু না এমনি, তোমার খবর বল। মার্ক কেমন পাচ্ছ? স্ট্রেইট A রাইট?।" আমি ওর কথা ঘোরানোতে বিরক্ত হয়ে খুব কড়া কন্ঠে দাঁত চিবিয়ে বললাম, "কাঁদছিলে কেন?" ও ভয় পেয়ে গেল। আসলে আমি বেশ নরম সরম মানুষ। কাউকে যদি হঠাৎ করে বকে উঠি আমার রুদ্রমূর্তি দেখে হকচকিয়ে যায়। ও অনেক অবাক হয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকাল। সেই স্কুলে বাইরে বের হওয়ার অনেক দরজা ছিল। প্রতিটা লবিতে দুটো করে দরজা থাকত। আমি ওর হাত ধরে ভীরের লবি থেকে নিকটস্থ দরজা দিয়ে মাঠে আনলাম বাইরে। হাত ধরে এনে বাইরে নির্জনে ঘাসের ওপরে বসালাম। বললাম কি হয়েছে? ও আর ধরে রাখতে পারল না। কেঁদে ফেলল ঝরঝরিয়ে। আমি ওর কোলের ওপরে রাখা হাতে হাত রেখে ইশারা করলাম বল সব আমাকে। ও বলল, "আমার বাবা আমেরিকা মুভ করেছে। মায়ের বয়ফ্রেন্ড বাড়িতে আসলেও থাকতে হচ্ছে একই বাড়িতে। রাতে পাশের রুম থেকে আসা শব্দে ঘুম ভেংগে যায় আমার। মায়ের এই বয়ফ্রেন্ডটা খুব রাফ। মাঝে মাঝে আমার ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করে। আমার ব্রেস্টে হাত দিয়ে ঠেসে ধরেছিল কালকে। কোনভাবে ছাড়িয়ে বেঁচে এসেছি।"

ও আরো অনেককিছু তোতাপাখির মতো বলে যাচ্ছিল। কিন্তু আমার মাথায় কিছুই ঢুকছিল না। কি ভীষন এক ঘৃনা লাগছিল পৃথিবীর প্রতি! আমি এসব পেপারে পড়তাম কিন্তু ওর মতো ইয়াং একটা মেয়ে আমারই বয়সি এসবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে! আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। ওকে কি সান্ত্বনা দেব? আমি নিজেই ভেংগে গেলাম। আমার বান্ধবী সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নিজেরই বাড়িতে! এসব সত্যি হয়? আসলে মফস্বলের সরল পরিবেশে মানুষ হওয়া আমি অনেক অপরাধ কাছ থেকে দেখিনি। আমি পেপারে, মুভিতে অনেককিছুর কথা শুনতাম কিন্তু এত কাছে প্রথম! কি ভীষন এক হাহাকার জন্মেছিল আমার মধ্যে সেদিন! দুনিয়া আসলেই এত খারাপ? এত পাপের?

আমি শূন্য চোখে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ও আমার বাহু ঘষে কমফর্টেবল ফিল করানোর চেষ্টা করছিল। হায় আমারই সান্ত্বনা দেবার কথা ছিল কিন্তু কি হচ্ছে এসব? আমি সংবিত ফিরে পেয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। কাঁদলাম দুজনে মিলে। এভাবে পুরো লাঞ্চ টাইম চলে গেল। ঘন্টা পরলে আমাদের হুশ হল কাঁদতে কাঁদতে ঘন্টার বেশি কেটে গিয়েছে! মনে হল ক্লাস টেস্ট আছে আজ। ফাইনালের আগে ইংলিশের শেষ ক্লাস টেস্ট, ভালো করে মার্ক আরো বাড়াতে হবে। দৌড়ে বাই বলে ছুটলাম ক্লাসে।
সেদিন আমি ভেবেছিলাম ওকে নিজেদের বাড়িতে এনে রাখব। ব্যাপারটা শুধু ব্রেস্টে হাত দেওয়া পর্যন্ত থেমে থাকবেনা সেটা কিভাবে যেন বোকা কিশোরি আমি বুঝে গেলাম। হয়ত ওর কথায় বয়স অনেক বেড়ে গিয়েছিল! সেদিনই বলতে পারিনি কেননা মাকে জিগ্যেস করতে হত। বাড়িতে পুরো কাহিনী না বলে শুধু বান্ধবী কয়েকদিনের জন্যে থাকবে বললাম। মা খুশি হল যে আমার এরকম কাছের কানাডিয়ান বন্ধু হয়ে গিয়েছে। মানে আমি স্কুলে এডজাস্ট করে নিয়েছি। সহজেই হ্যা বলে দিলেন। পরেরদিন স্কুলে উত্তেজিত হয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবছি ও হ্যা বলবে তো? ওরা তো এত স্পাইসি খাবার খায় না সেজন্যে মানা করতে পারে (এসব সিলি ভাবনা ভেবেও এখন হাসি পায়)। কিন্তু সেদিন ওকে পেলাম না। আসমার কাছে জিগ্যেস করলাম কোন খোঁজ নেই।

এভাবে এক সপ্তাহ যাওয়ার পরে ও একদিন আসল আমাদের জন্যে চকোলেট নিয়ে। জন্মদিন কিনা ভাবতেই বলল আজকে আমাদের লাস্টবারের মতো দেখছে। ও আমেরিকা শিফ্ট করছে বাবার কাছে। আমি যে কি ভীষন খুশি হয়েছিলাম ওর জন্যে! অন্যসবাই আমার চেহারার উজ্জ্বলতা দেখে অবাক হচ্ছিল। বন্ধু চলে যাচ্ছে আর আমি! কিন্তু ওরা যদি জানত কি প্রকান্ড বিপদ থেকে মুক্তি মিলছে ওর তবে আনন্দে নাচা শুরু করে দিত। সবাই অনেক মন খারাপ করছিল কিন্তু আমি আর শেন ইশারায় হেসে যাচ্ছিলাম। কে বলে আমি কানাডিয়ানদের বুঝতে পারব না? ওর অন্য কানাডিয়ান বন্ধুদের চেয়েও আমি বেশি বুঝেছিলাম ওকে। সেটাই শেষ দেখা ছিল।

অবাক/অসহায় আমি:
আমার যে কি ভীষন ঘিন্না লাগত এসবে তা লিখে বয়ান করতে পারবনা। পাঠক ভাববেন না যে কানাডায় এসব ঘরে ঘরে হয়। তা না, অনেক ভালো পরিবারও আছে। মি: এমই (আগের পর্বের) যেমন কি সুন্দর বউ, দুই বাচ্চা নিয়ে পবিত্র ভালোবাসার সংসার। এরকম আরো হাজারটা আছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এসব একটা মেজর পার্সেন্টেজ। এক গবেষনা পড়েছিলাম যে নর্থ আমেরিকায় ৭০ ভাগের মতো ধর্ষন একটা মেয়ের বাড়িতে হয় কোন এক পরিচিতের কাছে! খবরটা পড়ে কি ভীষন অবাক হয়েছিলাম আমি! এরকম হাজারটা হলিউড সেলিব্রেটির জীবনীতে আছে যে সৎ বাবার কাছে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছেন। তাদের ইন্টারভিউ দেখে অবাক হতাম। আসলে প্রতিটি কালচার, জীবনযাত্রার ভালো খারাপ থাকে। আমার ঘৃনাটা কানাডিয়ান, বা ওদের কালচারের ওপরে ছিলনা। এধরনের মানুষদের ওপরে ছিল! শেন অনেক লাকি যে ওর বাবা ওর দ্বায়িত্ব নিয়েছিল। অনেকসময় কোন প্যারেন্টই দ্বায়িত্ব নেয় না। একটা কিশোরি মেয়ে কোথায় থাকবে কি করবে কিছুই ভেবে পায়না! অনেকে বয়ফ্রেন্ডের সাথে লিভ টুগেদার করে। আবেগী বয়সে ভুল করে প্রেগন্যান্ট হয়! And it only gets worse from there.

আমার নিজের বান্ধবীর সাথে এসব হওয়াটা কিশোরি আমাকে অনেক বড় ট্রমার মধ্যে পাঠিয়েছিল। আমার মনে হত আমার সাথেও তো এসব হতে পারে, আমিও তো সেই বয়সেরই। তার আগে নিজেকে একদম বাচ্চাই মনে করতাম। স্কুলে পড়ি বাচ্চাইতো। কিন্তু সেদিন মনে হত বড় হচ্ছি আমি। মা ঠিকই বলে সামলে চলা উচিৎ। মায়ের অনেক কথার মানে বুঝতে শুরু করেছিলাম তারপর থেকে। এর আগে ভাবতাম ছেলেরা ক্লাসে অনেক দুষ্টুমি করে। এর চেয়ে বেশি পুরুষসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মনে কিছু হতো না। কিন্তু সে ঘটনার পরে মনে হতো কিছু পুরুষ জানোয়ারের চেয়েও খারাপ হতে পারে। মেয়ের বয়সী কারো সাথে কেউ কিভাবে ছিঃ। ক্লাসের মেইল টিচারদের কাছে ব্রেকে একা হেল্প চাইতে যেতে ভয় লাগত। আমার কোন টিচারই ওরকম ছিলেন না, তারা তো ফেরেশতার মতো মানুষ ছিলেন। কিন্তু সেই ভয়টা আমার ভাবনাকে অনেক নিচে নামিয়ে দিয়েছিল। যদিও আমার আশেপাশে অনেক ভালো পুরুষ বিশেষ করে টিচার থাকার কারনে খুব জলদি এসব নোংরা ভয় মন থেকে চলে গিয়েছিল।

কিন্তু আমি শুধু শুনেই বিশ্বাস হারিয়েছিলাম। আর যেসব মেয়েদের সাথে সত্যি সত্যি খারাপ কিছু হয় তাদের অবস্থা কি হয়? তারা কি জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে পারে? এসব আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সব দেশেই হয়। অন্য অনেক পর্বে আমি সমস্যা বলে নিজের কিছু সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করি। এক কালচার থেকে আরেক কালচারের ভালটা শিখে বা অন্য লজিক দিয়ে বলি এভাবে করে এ সমস্যা থেকে বের হওয়া যায়। কিন্তু সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের ক্ষেত্রে কি বলব? পৃথিবীর প্রতিটি দেশে যেকোন কালচারে এসব হয়েই যাচ্ছে, বেড়েই যাচ্ছে। কোন দেশে পরপুরুষের দ্বারা আবার কোন দেশে বাসর রাতে স্বামীর দ্বারা মেয়েরা কতবার কতভাবে যেকোন বয়সের রেন্জে ধর্ষিত হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। আমি যা শুনেই কেঁপে উঠেছিলাম অনেক মেয়ে আমার চেয়েও কম বয়সে একদম ধর্ষিতই হচ্ছে। শেনের সাথে তো সেভাবে কিছুই হয়নি দেখতে গেলে।
ধর্ষন এমন একটা জিনিস যা নিয়ে অনেক ছেলেও লজ্জাবোধ করে। অনেক পুরুষকে বলতে শুনেছি আমাদের মধ্যে থেকেই এরকম জানোয়ার বেরিয়ে আসে ভেবে নিজের ওপরে ঘৃনা আসে। সেসব পুরুষের প্রতি সম্মান তোলা রইল। আর যারা জানোয়ারের মতো মেয়েদের শরীর ছাড়া আর কিছু বোঝেনা তাদেরকে নিয়ে আমি অতি ঘৃনায় আর কিছুই লিখতে পারছিনা।

আমি শুধু আশা করছি দুনিয়াটা সুন্দর হবে। কিশোরি বয়সে আমি দুনিয়াটাকে ভীষন সরল, সভ্য, সুন্দর মনে করতাম। প্রজাপতির পেছনে দৌড়ে নাজেহাল করাটাকে সবচেয়ে বড় পাপ মনে করতাম। কিন্তু আস্তে আস্তে বিভিন্ন ঘটনায় সে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। আমি আবারো সাদা চোখে পাপবিহীন সরল দুনিয়া দেখতে চাই। কখনো সে দিন আসবে কিনা কে জানে?

শেষ খবর: শেনের সাথে তারপরে আর যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু আসমার সাথে এখনো যোগাযোগ আছে। ও ব্যাচেলরস অফ আর্টস করছে। আর আসমার অনেকদিন পর্যন্ত শেনের সাথে যোগাযোগ ছিল। ওর মুখে শোনা লাস্ট খবর পর্যন্ত ও আমেরিকায় ভালো আছে, কয়েকবছর পরে কানাডায় আবার মুভ করবে। এর বেশি কিছু জানিনা, অবশ্য ও ভালো আছে এ খবরই আমার কাছে যথেষ্ট।

বিশেষ কথা: আমি প্রতি পর্বেই ভাবতাম শেনের ঘটনা লিখব। কেননা সেটা আমার পুরো জীবনকে কিছু সময়ের জন্যে তছনছ করে দিয়েছিল। কিন্তু সেটা এত কষ্টের স্মৃতি ছিল যে আমি আর পাতাটা ওল্টাতে চাইনি। ধুলা থেকে উঠিয়ে কষ্টগুলোকে ক্ষুরতে চাইনি। কিন্তু মনে হল সবই যখন বলছি, এত ক্ষুদ্র সব কাহিনী, তবে এত ভীষন বড় ব্যাপার কেন লিখব না? এ পর্ব লিখতে গিয়ে অসহায় কিশোরি বান্ধবীর চোখ কল্পনায় ভাসিয়ে কতবার চোখের পানি ফেলেছি তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু এতদিন ধরে মন খোচাচ্ছিল এটা লেখার জন্যে। এখন সেই ভয়ের মোকাবিলা করে মনের খোচানি বন্ধ করে শান্তি পেলাম।
পাঠকদের ভাল লেগেছে কিনা জানিনা কিন্তু এ পর্বটা লেখা আমার জন্যে খুব জরুরি ছিল। আমি অনেক দুঃখ শুধু নিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম অনেকদিন ধরে। এ পর্বগুলো লিখে সব আপনাদের সাথে শেয়ার করে হালকা লাগে নিজেকে। আজকেও ব্যতিক্রম হয়নি। আপনারা একেকজন মানুষ একেকবার করে পড়ে আমার অনেকগুলো দুঃখ নামিয়ে দেন। আমি অদেখা, অচেনা আপনাদের কাছে ভীষনভাবে কৃতজ্ঞ।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:১০

জসিম বলেছেন: শেনের মতো এমন ঘটনা আসলে খুবই অহরহই ঘটছে. অন্তত চাইল্ড সেক্স এবিউজের খবরগুলো তাই বলে. শেন এর ঘটনা পড়ে আমি অবশ্য ভাবছি আমাদের দেশে নিকটাত্মীয়দের দ্বারা এমন অপকর্ম যে কতো সংগঠিত হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য. চেপে যাওয়া, সম্মানহানি আর জাত যাবে এমন ভয়ে অবশ্য কেউ মুখ ফুটে বলেও না. কিন্তু এরকম পারিবারিক যৗেন নির্যাতন দেশেই মিলবে অনেক.
দূরে এসে অনেককিছুই অদ্ভূত ঠেকে. মানুষ, সময়, পরিবেশ বদলালে সেগুলো তখন বিভিন্ন বিষয়কে নতুন করে উপলদ্ধি করায়. আপনার বন্ধুর জন্য শুভকামনা.
ভালো থাকুন.

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম এরকম ঘটনা হাজারটা ঘটছে দেশে দেশে। কেউ একটা বাচ্চা/কিশোরির সাথে এসব করে কি করে? এরা মানুষের রূপ নিয়ে অন্যকিছু।

ধন্যবাদ শেন কাছে থাকলে শুভকামনা পৌছে দিতাম।

আপনিও অনেক ভাল থাকুন।

২| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ভাষা নেই কিছু বলার মতো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আমাদের দেশের মেয়েরাতো নানান সামাজিক প্রব্লেমের কারণে প্রতিবাদ করে না। কিন্তু কানাডার মতো এত উন্নত দেশের মেয়েরা কেন প্রতিবাদ করবেনা বা আইনের সাহায্য নিবেনা। প্রতিবাদ না করলে অপরাধী অপরাধ করতে আরও উদ্বুদ্ধ হবে।

আপনার লিখার মধ্যে অনেক ম্যাচিউরিটি ছিল।

What can I say…..God bless her.

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি খুবই মেজর পয়েন্ট তুলে ধরেছেন উন্নত দেশেও মেয়েরা প্রতিবাদ করেনা অনেক সময়। আমি কানাডায় নারীদের অবস্থান নিয়ে বিশেষ পর্ব লিখব তখন বোঝানোর চেষ্টা করব কেন অনেকে এখানেও প্রতিবাদ করেনা?

তবে শেনের ব্যাপারে বলি, একটা কিশোরি যার যাওয়ার কোন জায়গা নেই। বাবা দূরে, অন্য কোন রিলেটিভ বাবা মা বেঁচে থাকা অবস্থায় কেন নেবেন? সে কার কাছে কি প্রতিবাদ করবে? তার তখন কোনভাবে সারভাইবাল, মাথার ওপরে ছাদ বাঁচানো ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। ওরও ছিলনা।

ধন্যবাদ।
আমার বন্ধুর জন্যে শুভকামনা করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

প্রতি পর্বে, প্রতিটি লেখায় সাথে থাকেন মন্তব্যে। আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দেব? কিছুই বললাম না যান। হাহা।
শুভকামনা শুভ সাহেব।

৩| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:০৬

জেন রসি বলেছেন: আমাদের দেশেও লোকচক্ষুর আড়ালে এমন অনেক কিছুই ঘটে। কিছু হলে মেয়েদের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবনতার কারনে অনেকেই অনেক কিছু প্রকাশ করেনা। ভিন্ন কালচার হলেও এসব সমস্যা সব সমাজেই কম বেশী আছে।

এই সিরিজের অন্যান্য লেখাগুলো পড়া হয়নি। সময় নিয়ে পড়ব।

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আমিও লেখায় সেটা বলেছি যে পৃথিবীর সব দেশে যেকোন কালচারে এসব হচ্ছে। বিভিন্নভাবে হচ্ছে। হুম, কত মেয়ে যে কি তীব্র কষ্ট বুকে লুকিয়ে রাখে ভেবেও আমার শরীর কেঁপে ওঠে।

কথা দিলেন কিন্তু, এখন পড়তেই হবে অন্য পর্বগুলো। হাহা।

ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২০

বিপ্লব06 বলেছেন: ভয়াবহ রকমের সিরিয়াস পোস্ট একটা। আর এই ধরনের লোকগুলা সমাজের ক্যান্সার। নিজের বিকৃত লালসা পূরণের জন্য আরেকজন মানুষের লাইফে ট্রমা ঢুকায়ে দেয়। এদেরকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দেওয়া উচিত।এই পারটিকুলার লোকটা আরও বাজে, এই ব্যাটা মেয়ের মায়ের সাথে পিরিত করে আবার তার মেয়ের দিকেও নজর দেয় ক্যামনে? হোপফুলি আপনার ফ্রেন্ড ভালোয় ভালোয় আমাদের এইখানে চলে আসছে।

একটা পরিচিত ট্রেন্ড দেখতেছি। ব্যাপারটা মেয়েটা চেপে গেছে। দেশে কিংবা বিদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভিকটিম ব্যাপারটা চেপে যায়। একটা ব্যাপার হইল ভিক্টিম হইতে মেয়ে হওয়া লাগে না, ছেলেরাও এই বাজে জিনিসটার ভিক্টিম। মেয়েদের সংখ্যা একটু বেশি আরকি।

আপনার ফ্রেন্ডেকে সমবেদনা জানাচ্ছি না, তাঁর সাহসিকতার জন্য রেস্পেক্ট জানাচ্ছি।

ভালো থাকবেন।

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি সিরিয়াস মুডে পড়ছিলাম আপনার মন্তব্য। প্রথম কথাগুলো পড়ে ঘৃনা আসছিল ওধরনের মানুষদের কথা মনে করে। আপনার সাথে একমত। কিন্তু আমাদের এইখানে চলে এসেছে পড়ে হাসি এসে গেল। সে বেশ আগের কথা এবং ও আমেরিকা ঠিকমতো পৌছেছিল। কোন সন্দেহ নেই। আমেরিকাতে যাওয়ার পরেও ভাল আছে সে আশা করি। ওকে যদি কন্টাক্ট করতে পারি বলব আপনার সাথে দেখা করে আসতে। কত আপন করে বললেন আমাদের এখানে হাহা।

আপনার ফ্রেন্ডেকে সমবেদনা জানাচ্ছি না, তাঁর সাহসিকতার জন্য রেস্পেক্ট জানাচ্ছি।
কি ভীষন সুন্দর একটা কথা বললেন বুদ্ধুকুমার! আপনাকে খালি খালি বুদ্ধু বলি আমি।
সাহসিকতার চেয়ে ওর ভাগ্য ওকে বেশি সাহায্য করেছিল। ওর বাবা যদি আমেরিকার টিকিট হাতে না ধরিয়ে দিত ওর সাথে কি হত ভাবলেও আমি শিউরে যাই। তবে fortune only favours the brave.

প্রতি পর্বে প্রচন্ড সুন্দর মন্তব্যে পাশে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।
বুদ্ধুকুমার ভাল থাকুক, প্রানখুলে হাসতে থাকুক।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২২

জেন রসি বলেছেন: তীব্র কষ্টে বুকে লুকিয়ে রাখাটাও সমস্যার একটা কারন বলেই মনে করি। এ সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে তীব্র প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ। অপরাধী যেই হোকনা কেন তার প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। ভিকটিমের নিরবতাই অপরাধীকে আরো উৎসাহিত করে।

সবগুলো পর্ব অবশ্যই পড়ে ফেলব। :)

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি আসলে তীব্র কষ্ট বুকে লুকিয়ে রাখার কারনগুলো বলব একদিন। কেন একটা মেয়ে চুপ করে থাকে কানাডায়? কেননা বাংলাদেশ এবং কানাডার কারন ভিন্ন কিন্তু মেয়েদের চুপ করে থাকার বিষয়টা একই।

সহমত এধরনের ক্রিমিনালদের কোন মাফ নেই।

অবশ্যই অবশ্যই পড়ে ফেলবেন। ভাল লাগবে আশা করি আমার জীবনকাহিনী।

ভাল থাকুন।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০১

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: সত্যি বলতে, পড়ার শুরু থেকে অামার এই কেস স্টাডিটা বেশ মজাই লাগছিলো এই ভেবে- সামনাসামনি কেউ অভিজ্ঞতাটা কীভাবে কাউকে জানায়? কাহিনির শুরুটা অাজ বেশ ছিল কিন্তু.....
চাইল্ড এবিউজ অামার কাছে যতোটা না ভয়ঙ্কর লাগে, তার চেয়ে বেশি দুর্বিষহ লাগে বাবা-মা'র এ ধরনের কালচার ফলো করাটা......কতদিন অার দূরে থাকা যায় বলেন? শব্দতো একদিন শুনতে হবেই :`>

একটা নির্জলা সত্য হচ্ছে, পরিবারই অাসলে শৈশবকে বিভীষিকাময় করে তুলতে পারে!! প্যারেন্টের ডেট-কে কিন্তু সবাই অাসলেই পূর্ণ মর্যাদায় মেনে নিতে পারে না- মুখে যতই হাসি লাগিয়ে রাখুক.....তবে হ্যাঁ, বিদেশে মেয়েদের নির্বাক থাকার ব্যাপারে অামার একটা থিওরি অাছে, অাপনি পরে বাস্তবতাটা বললে মিলিয়ে নেয়া যাবে :||

ওদেরকে মন থেকে সত্যিকার বুঝতে পারার ব্যাপারে অাপনার ধারণাটা ভুল প্রমাণ করতে পেরেছেন দেখে ভাল লাগল- কারণ মিশে যাওয়া সময়ের ব্যাপার, পড়তে পারা দক্ষতার ব্যাপার....
লেখাটা পড়তে পড়তে বেশ কিছু মুভির নাম মনে অাসছিল অাজ, তবে সবচেয়ে ক্লাসিক নামটা হলো American Beauty (1999), যার জন্য "স্যার" কেভিন স্পেইসি অস্কারটাই বাগিয়ে নিয়েছিলো :P

দুনিয়াটা যদি পাপহীন, দাগহীন হয়ে পড়ে তবে কিন্তু অামাদের ভালত্বই বসে বসে মুড়ি খাবে শেষমেষ.....থাকনা কিছু দাগ, সেটা কাটাতে পারাই বড় কথা......প্রজাপতির অাদিরূপতো শুঁয়োপোকাই না কি?.....শুধু বলি- দুনিয়ার সব "শেন'-রা ভালো থাকুক, প্রজাপতির পিছনে অবাধে দৌড়াক :)

***********
কষ্টেশিষ্টে -<কষ্টেসৃষ্টে; নিঃশ্ব-<নি:স্ব; লান্চে-<লাঞ্চে; শান্তনা-<সান্ত্বনা; ইয়াত্তা-<ইয়ত্তা (............অার্পার্তেছি না :D )

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাংলার মাস্টার সাহেব আপনার কমেন্ট পড়ে ছুটতে ছুটতে প্রথমে বানান ঠিক করে তারপরে রিপ্লাই দিতে আসলাম। যা চোখে পরল ঠিক করলাম, যা চোখে পরেনি তা আবার এসে বেত নিয়ে ধরিয়ে দিয়ে যাবেন দয়া করে। ;)

আমার লেখার পুরো পোস্টমর্টেম আপনার মন্তব্যে থাকে, আজও ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিউত্তর করছি ডিটেইলে।

আপনার লজ্জ্বার ইমোর কথায় আমিও লজ্জ্বা পেলাম। সে কথা বাদ দিলাম।

না অনেক স্টেপ ফাদার আছেন যারা ভাল, সেরকমও অনেক দেখেছি। বাচ্চারাও মেনে নেয় অনেক সময়। আবার অনেকের ঘটনা শেনের মতোও হয়।

ওদেরকে মন থেকে সত্যিকার বুঝতে পারার ব্যাপারে অাপনার ধারণাটা ভুল প্রমাণ করতে পেরেছেন দেখে ভাল লাগল- কারণ মিশে যাওয়া সময়ের ব্যাপার, পড়তে পারা দক্ষতার ব্যাপার....

এটা অনেক বড় একটা মূল্যবান জিনিস ছিল লেখার মধ্যে যা আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম। অনেকেই সার্বিক টপিকের আড়ালে এটা ধরতে পারবেন না। কিন্তু আপনার মতো বুদ্ধিদীপ্ত পাঠক পাশে থাকলে আর চিন্তা কি?

আমেরিকান বিউটি বেশ আগে দেখেছি। একটু বোর লাগত মাঝে মাঝে, কিন্তু ওভারঅল ভাল ছবি।

প্রজাপতির অাদিরূপতো শুঁয়োপোকাই না কি?

আপনি এত কথা কি করে ধরে ধরে বলে ফেলেন? ভাল লাগে আসলেই।

আপনি যেমন যত্ন করে লেখা পড়ে আমার ভুল বিশেষ করে ধৈর্য ধরে বানান ভুল ধরিয়ে দেন আমি যে কি ভীষন খুশি হই! আপনার কমেন্টগুলো মন ভাল করে দেয়। সবই কভার করে দেন প্রশংসা থেকে সমালোচনা। আর কি চাই একজন লেখকের?

শুভকামনা রাশি রাশি।

৭| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৬

অশ্রুকারিগর বলেছেন: তখন প্রথম ফেসবুক ব্যবহার শুরু করেছি। স্বভাবতই বেশিরভাগ ফ্রেন্ড ছিলো দেশের বাইরের। আমেরিকা, মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন সহ অনেক দেশের। খুব ভালও বন্ধুত্ব ছিল মেক্সিকান এক মেয়ের সাথে। একদিন চ্যাট করতে এসে দেখি খুব মন খারাপ। জিজ্ঞেস করলাম বলে মন খারাপের কারন বলা যাবেনা। আমি অনেক জোরাজুরি করাতে যা বলল তার সারমর্ম হচ্ছে

" সে স্টেপড্যাড আর মমের সাথে থাকে। তার স্টেপড্যাড গতকাল তাকে রেপ করেছে যখন তার মম ওয়ার্কে ছিল, সে অনেক মানসিক যন্ত্রণায় আছে। মাকে বলা যাবে না। বললে মম স্টেপড্যাডের সাথে ফাইট করবে। স্টেপড্যাড খুব ভয়ানক। শুধু তোমাকে বললাম, প্লিজ তুমি আমার বিএফকে বলোনা।(বিএফ আমার সাথে কানেক্টেড ছিলো) ওরে বললে ও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।"

আমি থ মেরে ছিলাম কিছুক্ষন।


২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার শেয়ার করা গল্পটা পড়ে বুকে আবারো দুঃখ ঢেউ খেলে গেল। কি ভীষন কষ্টের, কি ভিষন যন্ত্রনার কারও কারও জীবন! কেন? মানুষ এত খারাপ কি করে হয়?

অনেক ধন্যবাদ প্রাসংগিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে।
ভাল থাকুন।

৮| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক সুন্দর অসাধারণ একটা লেখা । শেন আর আপনার বন্ধুতা প্রাচ্য আর পাশ্চাত্তের অসামান্য হৃদয়ের, আবেগের বিনিময় ।
ভাল থাকুক শেন, আর আপনিও...............।

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শেন আর আপনার বন্ধুতা প্রাচ্য আর পাশ্চাত্তের অসামান্য হৃদয়ের, আবেগের বিনিময় ।
একদম তাই। সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছেন অসাধারন কথাটা।

আপনিও ভাল থাকুন।

৯| ২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি কিশোরী বয়সে একটু বেশিই সরল সোজা ছিলেন মনে হচ্ছে। একবার প্রথম আলোর নারীমঞ্চ বিভাগে পুরো এক পাতা জুড়ে একটা ফিচার ছাপা হয়েছিলো। হতভাগ্য কিছু মেয়ের কথা, যারা নিজেদের আপন বাবা এবং ভাই দ্বারা এবিউজড/রেপড হয়েছে। সে তুলনায় এ আর এমন কী! তবে মায়ের বয়ফ্রেন্ড চলে আসলে তাদের মৌজ-ফূর্তি করতে দিতে বাপের বাসায় আশ্রয় নেয়া, এসব সিনেমায় আগে দেখলেও পড়তে খুব খারাপ লেগেছে। হায় 'ফান'লাভিং কানাডিয়ানস! শেন ও কি বড় হলে এমন হয়ে যাবে?

২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এখনো চালাক চতুর হতে পারলাম কই?

আসলে আমি এসবই পেপারে, মুভিতে দেখেছি, পড়েছি। কিন্তু যখন আমার সামনেই বান্ধবীর সাথে হচ্ছিল তখন কিরকম লাগছিল আপনাকে বোঝাতে পারবনা। আপনিও যদি এরকম কিছু নিজের কোন বান্ধবী, আত্মীয়ার সাথে হতে দেখেন কি ভাববেন এ আর এমন কি? না প্রচন্ড কষ্ট পাবেন। আমিও পেয়েছিলাম।

শেন অনেক ভাল একটা মেয়ে ছিল, এখনো আছে। এতদিন কন্টাক্ট না করেও আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি।

১০| ২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। আপনার প্রতিটি লেখায় অনেক সুন্দর আর সাবলীল।এভাবেই আরও অনেক ভাল লেখা আমাদের উপহার দিবেন এই কামনাই করছি।

২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বী পাঠক যদি পড়তে চান আরো, আপনার মতো করে এভাবে উৎসাহ দিয়ে যান আমি অবশ্যই লিখতে থাকব আমার জীবনের আরো কাহিনী। খুলে দেব আরো অনেক পৃষ্ঠা।

সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১১| ২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

সম্রাট৯০ বলেছেন: আমি সহজ ভাবে বলি বিষয়টা নিয়ে,আমার আবার এত জ্ঞান নেই এসবের উপর ভালো লেকচার দেয়ার, উপরে অনেকই খুব সুন্দর ব্যখ্যা দিয়েছে, বলার তেমন কিছু না থাকলেও আপনার পোস্টে কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারছিনা,

এই ছাড়াছাড়ি বাড়াবাড়ি স্বাধীনতা বলে উন্নত বিশ্বে যা হয় হচ্ছে তাকে কোন কিছু দিয়ে ঢাকা যায়না, এই দিক দিয়ে আমরা দক্ষিন এশিয়ার মানুষ তথা বাংলাদেশীরা বলতে পারেন স্বর্গে আছি, হুম আমার কাছে স্বর্গই মনে হয় যখন আমি আমার মা বাবা মাঝখানে গা ঘেষে বসি, আমার ষ্পষ্ট মনে আছে আমি যখন আলাদা ঘুমাই তখন আমার মা বাবা দুজন দুই পাশে এসে আমর গালে চুমু খেয়ে যেতো,মা মাথায় হাত বুলিয়ে গায়ের কাঁথা টেনে দিতো,এই বন্ধন যে ইশ্বর প্রদত্ত তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই।
সংসারে অভাব অনটন অনেক কিছুই থাকে থাকবে, পেটের ক্ষুধায় মানুষ বেশ কিছু দিন বাঁচে, কিন্তু মনে ক্ষুধায় মানুষ বেঁচে থেকে প্রতিদিন একবার মরে,
তাই একদম সহজ ভাষায় বলি- যে খোদা অভাব দিও কিন্তু মা বাবাকে ভেঙ্গে দিওনা, এটার মত কষ্ট একটা শিশু কিংবা মানুষের জন্য কত বড় পাহাড় পরিমানের সেটা আমি দেখেছি আমার এক প্রতিবেশি বন্ধুর জীবনে।

মেয়েটি বয়স আট ছিলো, মা পাশের বাসার এক লোকের সাথে প্রেম বিয়েে দুরে চলে যায়, আমার মা মেয়েটিকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসে, বাবা অফিসে যায় মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসে, আমার মা গিয়ে নিয়ে আসে, মেয়েটির চোখে পানি দেখিনি এমন কোন মুহুর্ত আমার জানা নেই, একদিন তো মা কে বলেই বসেছি, মা তুমি যদি রেহানার মার মত কোথাও চলে যাও আমাকে নিয়ে যেও অথবা আমাকে মেরে তারপর যেও,তখন বয়সটা আমার ১২ কি ১৩ হবে, আমার মা আমাকে আর রেহানাকে একসাথে জাড়িয়ে ধরে কেধে ফেললেন, আজ রেহানা অনেক বড়,তার ছেলে সন্তান সুণ্দর সংসার, আমার মা-ই তার মা, বাবা আছেন তার সাথে, মা ফিরেনি,জেনেছি রেহানার মা আবার বিয়ে করেছেন আবারো সংসার ভেঙেছে, জীবনের জন্য তিনি মরণে দ্বারেই বসে কাটিয়ে দিলেন পুরো জীবন,

আপনার পোস্ট পড়ে আমি কেঁপে উঠেছি, মানুষের জীবনে এমন স্বাধীনতা যেন না আসে, মরতে মরতেও যেন সন্তানের পাশেই থাকে মানুষ পরাধীন হয়ে আজন্ম।

ধন্যবাদ :)

২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বন্ধু! ভাল আছেন আশা করি।
আপনি বললেন এ বিষয় নিয়ে বলার মত কিছু নেই আপনার কিন্তু কি সুন্দর করে বলে গেলেন!

আমাদের দেশেও অনেক মেয়ে শিশু বয়সে ধর্ষিতা হচ্ছে স্বজনের কাছেই। তবে ডিভোর্স কম হওয়ার কারনে আপনার কথামতোই শেনের মতো একদম অথৈ জলে হয়ত পরছেনা অনেকে। মা বাবার ভালবাসাটা একসাথে পাচ্ছে বেশিরভাগ পরিবারের বাচ্চারাই।

আমি যখন আলাদা ঘুমাই তখন আমার মা বাবা দুজন দুই পাশে এসে আমর গালে চুমু খেয়ে যেতো,মা মাথায় হাত বুলিয়ে গায়ের কাঁথা টেনে দিতো,এই বন্ধন যে ইশ্বর প্রদত্ত তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই।
সহমত। আপনি খুব সূক্ষ মমতার বিষয়গুলো ধরতে পারেন। নিঃসন্দেহে অসাধারন একটা গুন।

হুম মা বাবা এবং সন্তানের বন্ধন অটুট থাকুক।
বন্ধুর জন্যে বন্ধুত্বের গান।

১২| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

অদৃশ্য বলেছেন:



আপনি আশা করছেন দুনিয়াটা সুন্দর হবে... আমাদের সবার ঠিক সেটাই আশা করা উচিৎ, দুনিয়া সুন্দর হোক...

তবে কথা হলো দুনিয়ার সবকিছুই সুন্দর, আর সব থেকে সেরা সুন্দর মানুষ... সেই মানুষই অসুন্দর হয়ে যাচ্ছে, অমানুষ হয়ে যাচ্ছে... আমি আমার জীবনের চলমান সময়েই তা দেখতে পাচ্ছি... অধঃপতন... মানুষ থেকে মানুষের অধঃপতন... আমার ধারণা সামনে আরও খারাপ সময় আসতেছে, আসবে... ভালোর জন্য আমরা যতোই মুখে মুখে বলিনা কেন, অন্তরে অন্তরে আমরাই খারাপের জন্য দায়ী... মনুষ্যত্ব, বিবেক, নৈতিকতা, চরিত্র, ধৈর্য, বিশ্বাস ও সম্মান নামক বিষয়গুলোকে আমরা দিনকে দিন হারিয়ে ফেলছি... আমার বর্তমান দৃষ্টিতে এটা খুবই দৃততার সাথে হচ্ছে...

আল্লাহ রহম করুন আমাদের উপর... আমরা এক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতেই পারি... আমাদের কোন এক প্রজন্মের জন্য... আপনি আজকে যে বিষয়টা নিয়ে লিখলেন তা আসলেই কঠিনভাবে ১৮+ এবং এমন ঘটনাগুলোকে আমি চরমভাবে ঘৃণা করি... এমন সম্পর্ক সব সময়ই নোংরা সম্পর্ক...

শুভকামনা...

২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দুঃখ তো সেটাই, আমি মনে করছি লেখাটা ১৮+, আপনি মনে করছেন ১৮+ কিন্তু দেখুন কাহিনীর ভিকটিম একজন ১৮-। যেটা আমরা চাইনা আমাদের ছোট ভাইবোনেরা পড়ুক, সেটা হচ্ছে তাদেরই কারো কারো সাথে।

পৃথিবীর মানুষ ভাল হোক, পৃথিবীটা সুন্দর হোক।

আপনাকেও শুভকামনা।

১৩| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আমরাও দিন দিন সে পথেই হাটছি কিনা কে জানে।

তবে আপনার লেখা ভাল লেগেছে।

২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম তাই আমরাও হয়ত একই দিকে যাচ্ছি।

ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।

১৪| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: লেখা বরাবরের মত ভালো ছিল, আপুনি।

একটা ব্যাপার বলি, সেক্সুয়াল অ্যাবিউজের ব্যাপারটা যেমন একটি মেয়ে শিশুর সাথে ঘটে থাকে, ঠিক তেমনি ছেলে শিশুর সাথেও কিন্তু ঘটে। এমনিতে মেয়ের নিরাপত্তার ব্যাপারে অভিভাবকেরা যেমন সচেতন থাকে ঠিক তেমন সচেতনতা কিন্তু ছেলে শিশুর নিরাপত্তার জন্য দেখা যায় না।

ছেলে শিশু কিংবা মেয়ে শিশু যেই হোক না কেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সবার জন্য। প্রয়োজন সচেতনতারও।

ভালো থাকবেন।

২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপুনিটা শায়মা আপু ডাকেন সবাইকে, অনেক মিষ্টি লাগে। আপনারটাও লাগল।

একদম। ছেলেরাও সেক্সুয়াল অ্যাবিউজের শিকার হয় এবং বেশিরভাগ সময় কম বয়সেই হয়। এটা তাদের জন্যে ততটাই কষ্টের এবং ট্রমার। কিন্তু এখানে মেয়েদের কাহিনী উঠে এসেছে কেননা আমার জীবনের গল্পে একজন বান্ধবীর সাথে এটা হয়েছিল। আমি নিজেও একজন মেয়ে। সেই আবেগের জায়গা থেকেই মেয়েদের নিয়ে বেশি লেখা।

ছেলে শিশু কিংবা মেয়ে শিশু যেই হোক না কেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সবার জন্য। প্রয়োজন সচেতনতারও।

শতভাগ সহমত।

আপনি রেগুলার আমার লেখা ফলো করেন এজন্যে আমি অনেক কৃতজ্ঞ আলভী ভাইয়া।
শুভকামনা।

১৫| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: সামুতে আসি তবে লগ ইন করিনা বহুদিন। বছর খানেক পর তো হবেই। শুধু আপনার পোস্টে কমেন্ট করব বলে লগ ইন করলাম। কি যে ঝক্কি :((
পাসওয়ার্ড গুইলা খায়া ফেলছি। কোন মেইল থেইকা আইডি খুলছিলাম তাও ভুইলা গেছি। (ধান ভানতে একটু শিবের গীত গাইলাম আরকি। B-) )
ছাড়া ছাড়া ভাবে গোটা পাঁচেক পর্ব পড়েছিলাম। এবার সিরিজের প্রথম পর্ব থেকে পড়ে আসলাম। বহুদিন এমন মানসম্পন্ন সিরিজ দেখিনি সামুতে। মানুষ হিসেবে আপনি অসাধারন সেটা বুঝতে হলে সুপারম্যান না হলেও হয়। আপনার লেখা পড়লেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়। মানবিক আবেগ অনুভূতিতে ক্রমশ অসংবেদনশীলতা এখন আমাদের অনেকটা গা সওয়া। তার মাঝে এইরকম ব্যাতিক্রম ভাবনাচিন্তার জগতে কিছু আরাম দেয়।
কমেন্টটা গোটা সিরিজের তাৎক্ষণিক রিঅ্যাকশন। এই পর্বের সাথে ঠিক যায় না। যাই হোক।
বই আকারে প্রকাশের কথা অনেকেই আগের পর্বে জানিয়েছেন। এই ব্যাপারটা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে পারেন। আমার প্রফেশনাল ট্র্যাকের সাথে বেশ যায়। সাহায্য করতে পারলে খুশি হব।
পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় ....................
নিরন্তর শুভকামনা।

২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বছর খানেক পর তো হবেই। শুধু আপনার পোস্টে কমেন্ট করব বলে লগ ইন করলাম।
এটা পড়ে অনেক ভাল লাগল যে আপনি শুধু আমার পোষ্টের কারনে এত ঝক্কি সামলিয়েছেন।

অনেক ধন্যবাদ প্রতিটি পর্ব পড়ার জন্যে এবং এত সুন্দর সব কম্প্লিমেন্ট দেবার জন্যে।

হুম বই? কি জানি। প্রথমে এক ব্লগার বলেছিলেন মজা করছেন মনে করেছিলাম। তারপরে অনেক ব্লগার বললেন এমনকি খুব প্রিয় ব্লগার শায়মা আপু বই বের করার কথা বললেন। বুঝলাম মজা না সিরিয়াসলিই সবাই বলছেন। আমি নিজে থেকে ভাবি জীবনি মানুষ পরিচিত মানুষের কেনেন। সাধারন আমার জীবনিতে কেন কেউ আগ্রহ পাবে যতই হোক প্রবাস কথন। এসব লেখা মানুষ ব্লগে, পেপারের পরবাস পাতায় বিনামূল্যে ক্লিক করে পড়বেন। কিন্তু বই হিসেবে কিনবেন কিনা সেটা জানিনা।

তবে ব্লগারদের এরকম কথা আমাকে বোঝায় কতটা এপ্রিশিয়েট করেন তারা আমার লেখা, সেটাই আনন্দ, অনুপ্রেরনা।

সকালে উঠে প্রথম আপনার মন্তব্যটা পড়লাম, মন ভাল করে দেওয়া মন্তব্য নিঃসন্দেহে।
অনেক ভাল থাকুন এবং ব্লগে রেগুলার হবেন আশা করি।

১৬| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: অাপনার প্রথম দিকের প্রায় সবগুলো লেখাই পড়া হয়েছে। ভালো লেখেন আপনি। মনের অব্যক্ত কথাগুলো স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো তুলে ধরতে কয়জনই বা পারে। বিশেষ করে জীবনের এইসব কঠিন বাস্তবতাগুলো।

এখানে বাংলাদেশেও যে এরকম ঘটনা ঘটছে না তা নয়। বরং আমরা অনেক কিছু চেপে যেতে ওস্তাত। আমরা সমাজকে বড় ভয় পাই। তাই নিজের মেয়েও যদি ঐরকম কোন ন্যাক্কারজনক ঘটনার শিকার হয়--নিজের পরিবারই চায় না তা প্রকাশ হোক। কারণ এতে অনেক কিছুই জড়িত।

সব সমাজে--সব পরিবেশে--সকল অবস্থায় কিশোরী মেয়েরা ঝুঁকিতে থাকে।



২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ কম্প্লিমেন্টের জন্যে।

জ্বি আমি নিজেও লেখায় বলেছি যে সব দেশে, কালচারে এসব হয়েই যাচ্ছে।

শুধু কি কিশোরি মেয়ে, যেকোন বয়সেই বোধহয় মেয়েরা ঝুকিতে থাকে। তবে কিশোরি বয়সে যেহেতু জানেনা কিভাবে পার পেতে হয় তাই এত কষ্টের এই বয়সটা।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১৭| ২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

র‍্যাশ বলেছেন: যতদূর জানি বাংলা ব্লগে যারা কম বেশি ভিজিট করে তাদের প্রায় সবাই প্রাপ্ত বয়সী। তাহলে লেখার শিরোনামে "কঠিনভাবে ১৮++" ব্যবহার কি শুধুই পাঠক আকর্ষণের চেষ্টা ? বাংলা ব্লগের লেখক পাঠকদের ৯০ ভাগই পুরুষ , নারীদের অফলাইন পরাধীনতার কারণে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত জানা তাদের অনেকেরই পক্ষে সম্ভব হয় না। ইদানীং ব্লগ ফেসবুকের সুবাদে ভার্চুয়ালি এই দুরত্ব কিছুটা ঘুচেছে। তবুও ব্লগে /ফেসবুকে নিজের মত ঠিক মত প্রকাশ করতে পারে এমন মেয়ের সংখ্যা কম। এই টাইপের তুলনামূলক স্বাধীনচেতা মেয়ে্রা সংখ্যায় কম হওয়ায় এদের প্রতি পুরুষ পাঠকের আকর্ষণ একটু বেশি। ব্লগেও ডিমান্ড সাপ্লাই মার্কেট মেকানিজম খাটে। ফলে আমরা দেখি যে ব্লগে মেয়েদের লেখা অনেক বেশি পঠিত হয় , মেয়েদের পোষ্টে প্রচুর মন্তব্য জমা হয়( আপনার বিপুল পাঠকপ্রিয়তাকে ঈর্ষা করে এই সব বলছি এমনটা ভাববেন না আশা করি)। যেহেতু পাঠকদের অধিকাংশই পুরুষ, সো কলড ১৮++ কথা বার্তা তারা নারীদের জবানীতে শুনতে পছন্দ করবে এটাই কি শিরোনামে ১৮++ ব্যবহারের কারণ? যদি তাই হয় তাহলে স্বীকার করতেই হবে আপনি ব্লগীয় সাইকোলজি সম্পর্কে ভালই ধারণা রাখেন। শিরোনামে চটকদার ষ্টাইল অবশ্য এখন নুতুন কিছু না। আজকাল অনলাইনে বিভিন্ন পত্রিকায় বাসর রাতে করনীয় , স্ত্রীকে তৃপ্ত করার ১০টি উপায় টাইপের শিরোনাম অসংখ্য দেখা যায়।

এবার লেখা সম্পর্কে ব্যক্তিগত মতামত- কন্টেন্ট খারাপ না তবে শিরোনামে ১৮+ ব্যবহারের ভাবনাটা ইডিওটিক।

২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার জানা এবং আমার জানার মধ্যে পার্থক্য আছে। আমি নিজে ক্লাস ৯ থেকে ব্লগ পড়তাম। এক সিনিয়ার ব্লগার বলছিলেন সেদিন ক্লাস ৮ এ পড়ার সময় বড় ভাই রুম থেকে বেরিয়ে গেলে প্রথম কাঁপা কাঁপা হাতে একটা কমেন্ট করেছিলাম। কদিন আগেই ব্লগের এক ক্লাস ১০ পড়ুয়া ছোট ভাই আমাকে বলেছিল, "আপু তোমার শুধু ২ ই টা লেখা ছাড়া সব পড়েছি, তোমার ক্লাস ১০ পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের অনুরোধ লেখা থামিয়ো না।" প্রথমে আমি ভাবলাম দুটো লেখা পড়েনি মানে? নিজের মাথায় ক্লিক করল তখন ২ টো পর্ব ১৮+ ছিল। ব্লগ একাউন্ট তো অনেক ১৮- মানুষের আছেই কিন্তু অনেকেই ব্লগ পড়েন। অনেকেই ফেসবুকের মতো ১ বার সামু ব্লগের নির্বাচিত পাতায় ঢু দিয়েই যান। আজকালকার যুগে যদি আমি এটা বিশ্বাস করে ধরে বসে থাকি যে একটা পার্টিকিউলার বয়সের মানুষের নিচে ব্লগে ঢুকতে পারবেনা তবে সেটাই ইডিওটিক হত।
আর ব্লগে ঢোকা খারাপ তো কিছু না। কেউ ছোট বয়স থেকে ব্লগ ব্যবহার করাটা আমি মনে করি অনেক ভাল বিষয়। এত ভাল লেখা পড়ে নিজেরও লিখতে ইচ্ছে হতে পারে। ব্লগ লেখক তৈরি করে। কিন্তু যেন নিজের বয়সের উপযুক্ত লেখাগুলো পড়ে যেন সেটা জরুরি।
আর ১৮+ তো অনেক দূরের যে লেখাগুলোতে শিরোনাম পর্যন্ত দিইনি শুধু "কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব এত) ছিল সেগুলোও অনেকে পড়েছেন। আমার নাম সামুপাগলা০০৭ দেখে বোঝাই যায় না ছেলে না মেয়ে, টাইটেল দেখেও নিশ্চয় কেউ বুঝতে পারতেন না। কিন্তু তাও শুধু এক বাংলাদেশীর প্রবাস এক্সপেরিয়েন্স পড়ার জন্যে ক্লিক করেছেন। তারা শুধুমাত্র প্রবাস জীবনের কাহিনী পড়তে চেয়েছেন আর কিছু না। আমাকে সেসব পর্বের অতি অনুপ্রেরনাই আরো বেশি টাইটেল দিয়ে, সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লেখার সাহস জুগিয়েছে। এখনো অন্যকারও ব্লগে কমেন্ট করতে গেলে সেখানেও শুনে আসি আপু লেখা চালিয়ে যান। এগুলো আমার কাছে অনুপ্রেরনা। এই ভালবাসাটাই সব, হিট/লাইক না।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এভাবে বলার জন্যে। যারা আপনার মতো করে আমাকে নিয়ে ভাবেন তারাও উত্তর পেয়ে যাবেন। উত্তরটা তাদের বা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে তবে তারা এটলিস্ট আমার দিকটা শুনতে তো পাবেন।

না প্রশ্নই আসেনা আপনাকে আমি হিংসুক বা সেরকম কিছু মনে করছিনা। আমি খুশি অকপটে মনের কথা লিখেছেন। বাহবা দিলাম।

কন্টেন্ট আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনাকে।

১৮| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৯

মাহামুদা লিজা বলেছেন: বাহ কি সহজ ঝরঝরে লেখা

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমার লেখার প্রশংসা করার জন্যে।

শুভকামনা।

১৯| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫২

অনিক বলেছেন: কিছুদিন আগে ফেসবুকে আপনার একটা লেখার (সম্ভবত কানাডার স্কুলে প্রথমদিনের অভিজ্ঞতা) লিংক দেখে ব্লগে এলাম। লগিন করতে পারলাম না। অফ লাইনে পড়লাম। খুব সহজ সাবলীল লেখা। ভাল লাগলো। লগিন করতে পারিনি বলে মন্তব্য করতে পারিনি। আপনার সবগুলো লেখা পড়ার ইচ্ছে রইলো। আর তার চেয়েও বড় কথা আপনার পোস্টের মন্তব্যগুলোও বেশ ঝরঝরে, প্রাণবন্তু। আমরা পুরোনো ব্লগাররা মনে করি ব্লগের সুদিন অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে, তবে আপনাদের মতো কিছু লিখিয়ে এখনও ব্লগে লিখে বিধায় ব্লগের দিন ফুরিয়ে যায়নি। ভাল থাকুন। আপনার পোস্টগুলো পড়বো সময় করে।

২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ফেসবুকে আবার কে লেখা শেয়ার করল? যাই হোক আপনার প্রতিউত্তর লিখি।

জ্বি ইচ্ছে করলে জলদি পূরন করে ফেলা উচিৎ। জীবনটাতো ছোট। আপনিও জলদি সব পর্ব পড়ে ফেলুন হাহা।

মন্তব্যের ব্যাপারে আমি ভাগ্যবতী। অনেক ভাল ভাল ব্লগারেরা নিজের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পোষ্টগুলোকে অনেক আকর্ষনীয় করেছেন। কখনো প্রশংসা, হাসি, সমালোচনা, বিশ্লেষন, মতামত কি নেই? সব ধরনের মানুষ নিজের মতো করে আমার লেখা ইন্টারপ্রিট করে পোষ্টের মান লাখো গুনে বাড়িয়ে দেন। আমি প্রচন্ড কৃতজ্ঞ আমার সহব্লগারদের প্রতি।

আপনাদের মতো কিছু লিখিয়ে এখনও ব্লগে লিখে বিধায় ব্লগের দিন ফুরিয়ে যায়নি।
এরকম হিউজ কম্প্লিমেন্ট পেলে সত্যিই লেখার এবং যত্ন করে লেখার আগ্রহ বেড়ে যায়।

আপনাকে ধন্যবাদ প্রচন্ড সুন্দর মন্তব্যে করার জন্যে।
শুভকামনা।

২০| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৮

কয়েস সামী বলেছেন: পড়ে বেশ খারাপ লাগল শেনের জন্য। আসলে পৃথিবীর সব জায়গায় পুরুষরূপী কিছু জানোয়ার থেকেই যায়, আবার শেনের মতো গোপনে কান্না করার মতো মেয়েরাও থাকে। হিউম্যান হার্ট/ মাইন্ড এভরিহোয়্যার ইজ সেম।

২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মানছি আপনার কথা। প্রতি কালচার, দেশ, জাতির মধ্যেই খুব ভাল থেকে খারাপ মানুষ থাকে।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

২১| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

র‍্যাশ বলেছেন: আপনি কি ধারণা ক্লাস এইট নাইন টেনে পড়া ছেলেমেয়েরা সেক্স, রেইপ এই টার্ম গুলো সম্পর্কে জানে না? আর যদি নাও জেনে থাকে তাহলে এই পোস্ট পড়ে জানবে। সমস্যা কি? এই জিনিসগুলো তো তাদের জানাই উচিত। সেদিক দিয়ে দেখলে তো এই পোষ্টে এডাল্ট কিছু নেই। আমার মনে হয় না ক্লাস এইটের নিচের কোন ছেলে মেয়ে ব্লগে আসে , এরা ক্লাস, কোচিং ফেসবুক, ইউটিউব, গেইম, সালমান মুক্তাদির, সাবিলা নুর কুলিয়ে সময় পায় না আর ব্লগ। কিন্ত আপনি যেটা করছেন তা হল লেখায় চটকদার শিরোনাম দিয়ে আন্ডার এইটিন ( ধরে নিলাম ক্লাস এইটের নিচে) এবং ওভার এইটিন উভয় শ্রেনীর পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যদিও আজকালকার অনলাইন মাধ্যমে এটা খুবই কমন বিষয় কিন্ত ব্লগে সস্তা মনযোগ আকর্ষণের এই জাতীয় পদ্ধতি খুব একটা দেখা যায় না। আমার প্রশ্ন ছিল এটা কি সজ্ঞানে করেছেন নাকি অজ্ঞানে?

আপনার যে দুই তিনটা লেখা পড়েছি তাতে মনে হয়েছে আপনি ভালই লেখেন। আপনার লেখাগুলোর শিরোনাম যা দেখলাম তার অধিকাংশই "ক্যানাডিয়ান লেডি" হিসেবে আত্নকথন , পাশাপাশি ক্রাশ ট্রাশ নিয়ে লিখে নিজেকে আনম্যারিড তরুনী হিসেবেও ব্লগে পরিচিত করেছেন ( এটাকে আবার লেখার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে কইরেন না)। আপনার লেখা তো এমনিতেই সর্বাধিক পঠিত হবার কথা। চটকদার শিরোনামের দেওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না। আমার ব্যক্তিগত আপত্তির জায়গা মূলত এটুকুই। আপনার মন্তব্যে কিছুটা ইমোশোনাল টাচ আছে তাই এ নিয়ে আর বেশি ঘাটাঘাটি করবো না। ভাল থাকবেন।

২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি যে কথাগুলো বললেন বা বোঝালেন সেগুলো বেশ খারাপ লাগার মতো। যেমন আমি আনম্যারিড তরুনী হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে ব্লগে কাটতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ছিঃ। এধরনের কমেন্টের ডিটেইল প্রতিউত্তর দিয়ে নিজেকে ছোট করবনা।

আপনি ভাল থাকুন।

২২| ২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

র‍্যাশ বলেছেন: //আমি আনম্যারিড তরুনী হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে ব্লগে কাটতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। //- প্রথমত আমি এই কথা কোথাও বলিনি। আপনি হয়তো নিজের লেখার স্বাধীনতা প্রয়োগ করে লিখেছেন, আলাদা করে কিছু বোঝাতে চান নি। কিন্ত আনম্যারিড তরুনী পরিচয়টা ব্লগে লেখা হিট করার জন্য যথেষ্ট উপকারী। এটাই রিয়েলিটি। ব্যাপারটা পার্সোনালি না নিয়ে আরেকটু ভিন্ন ভাবে ভাবুন। আশা করি বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ।

২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি হয়তো নিজের লেখার স্বাধীনতা প্রয়োগ করে লিখেছেন, আলাদা করে কিছু বোঝাতে চান নি।
এক্সাক্টলি।

আমি এসব নিয়ে আর কোন কথা বলতে চাচ্ছি না। আমি এটা নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করলে আবার আপনি কিছু বলবেন। এভাবে করে পোষ্টের আসল ম্যাসেজটা হারিয়ে যাবে। আর তাছাড়া কোন কোন তর্কের মানুষ দুটো এতটাই বিপরীতমেরুর হয় যে সারাদিন কথা বলেও রেসাল্ট ০ হয়। শেষে একে অপরের প্রতি সম্মান হারায়। কি দরকার সেসবের?

তবে পরের পর্বে আপনাকে পোষ্ট বিষয়ক কমেন্টে আশা করব। সেভাবে আমাদের মধ্যের এই কোল্ডনেসটা চলে যাবে ।
ধন্যবাদ।

২৩| ২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: গতকাল রাতে একটা বই পড়ে শেষ করেছিলাম। দ্য সার্জন। ওই বই পড়ে মনে হয়েছিল, সারা পৃথিবী জুড়ে মেয়েদের কোথাওই নিরাপত্তা নেই। দিনের পর দিন অবস্থা জঘন্য থেকে জঘন্যতর হচ্ছে।

কিন্তু সে তো গেল বাইরের লোকদের কথা। নিজের ঘরেই যদি এরকম হ্যারেজমেন্টের শিকার হতে হয়, তাও আমার মায়ের চোখের সামনে, মায়েরই "বয়ফ্রেন্ডের" কাছে, তাহলে মেয়েরা যাবে কই? ওদের আশ্রয়টা কোথায়?
তীব্র ঘৃণা জন্মাচ্ছে এসব অমানুষগগুলির প্রতি।

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম কোন দেশেই নারী বা মানুষেরা পুরোপুরি নিরাপদে নেই। এবিউজ, মারামারি, যুদ্ধ কত কিছু মানুষকে অনিরাপদ করে রেখেছে!

আমিও তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি এমন জানোয়ারদের প্রতি। আরেহ জানোয়ারও এত খারাপ হয়না।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।

২৪| ২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

ঢে্উটিন বলেছেন: এরকম ঘটনা নাকি ইদানিং আমেরিকায় বাড়ছে। আমার মনে হয়, অবাধ মেলামেশার এটি একটি নেতিবাচক দিক। শেনের সাহসিকতার জন্য রেসপেক্ট। এই সিরিজের সবলেখা (১-১৫) একবারে পড়লাম (অফিসে বসে কাজ ফাকি দিয়ে)। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

ব্লগ জীবনের প্রথম কমেন্টটা করে ফেললাম। লেখিকা ভালো থাকুন।

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ! প্রথম কমেন্ট? প্রথম কমেন্ট পেয়ে আনন্দিত। স্বাগতম আমাদের ব্লগ পরিবারে। ব্লগ যাত্রা শুভ হোক।

হুম অফিস ফাঁকি দিয়ে? আপনার বস জানলে তো আমার খবর হবে! হাহা।
তবে একটানে পড়েছেন মানে কোথাও একটা সুখপাঠ ছিল, আমি আনন্দিত কিছু ভাল সময় দিতে পেরে।

অফটপিক: আপনার নিকনেম দেখে ছোটবেলায় নানীর বাড়ির টিনে বৃষ্টির শব্দের কথা মনে পরে গেল কেন যেন।

আপনিও ভাল থাকুন।

২৫| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৬

গাজী বুরহান বলেছেন: হু..হু...হু....কাঁদতেছি। :#)
অসম্ভব সিরিয়াস কাহিনী।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আপনাকেও ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
ভাল থাকুন।

২৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বরাবরের মতই প্রাঞ্জল এবং সাবলীল লেখা, খুব ভাল লাগল। আপনার লেখাগুলো পড়ে উপভোগ করি, কিন্তু আপনি যতটা অবাক/শকড হয়ে যান, সেটা হই না। কারণ, ব্যাপারগুলো আমার কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হয়। কেন, সেটা বললে আবার হয়ত অন্যভাবে দেখবেন, ব্লগের এই পরিবেশের সাথে মানানসই হবে না হয়ত!
আমি আমার বিগত জীবনের অভিজ্ঞতায় যেটা বুঝেছি মানুষের মাঝে পশুবৃত্তি সহজাত। আমি এটাও বিশ্বাস করি, একমাত্র তাক্বওয়া বা অন্তরে আল্লাহর ভয় যদি নাকে, তাহলে মানুষের ঐ ভেতরের পশুটাকে সব সময় বেধে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে! সেজন্য, আমি চেষ্টা করি নিজের জীবনে যথা সম্ভব দ্বীন ইসলামকে মেনে চলতে। এবং আমি এটাও উপলব্ধি করি যে মনের পশুটাকে বেধে রেখে গোনাহ থেকে বেচে থাকাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং! যেকোন পুরুষকে জিজ্ঞেস করে দেখুনতো, টিভিতে যখন কোন সুন্দরী নারীর অর্ধ উন্মুক্ত বুকের ছবি ভেসে ওঠে তখন সেখান থেকে চোখ সরিয়ে নেয়াটা কতটা কষ্টসাধ্য!
আবার এই উদোম মিডিয়াই কিন্তু নারী/পুরুষের ঐ মনের পশুটাকে ধীরে ধীরে জাগিয়ে তুলতে ভীষনভাবে সাহায্য করছে। প্রচলিত পরিভাষায় যেটাকে আমরা এগিয়ে যাওয়া বলি। ফলাফলে কানাডা একটু বেশী এগিয়েছে যেটা আপনার কিশোরী বয়সে হজম করতে কষ্ট হয়েছে।
বলুনতো, আপনার বান্ধবী শেন এর মা এবং তার বন্ধু যে আল্লাহর হারাম ঘোষিত জেনা বা ব্যাভিচারে লিপ্ত, সেটার জন্য কি আপনার বা আপনাদের খারাপ লেগেছে? তাহলে যেই সমাজে ব্যাভিচার নিয়ে কেউ কিছু মনেই করে না, সেখানে যদি শেন এর বুকে ঐ লোক হাত দেয় তাহলে খারাপ লাগবে কেন? পুরো একটা গলদের মধ্যে আমরা নৈতিকতা খুজছি কোন বিবেচনায়??!!
আমার শ্বশুরের কাছে একটা গল্প শুনেছিলাম। এক দল চোর একটা গরু চুরি করেছে। জবাই করার পর এক চোর আরেক চোরকে বলছে, ঐ ছয় গিরা ফালায় নিস (মানে গরুর যে অংশ খাওয়া জায়েজ নাই সেটা ফেলে নিতে বলছে, অথচ পুরা গরুই চুরি করা!) উদাহরণটা বোঝা গেল আশা করি।
যাহোক, আপনার লেখার মান আসলেই ভাল। আরেকটু গুছিয়ে নিয়ে একটা বইয়ের পাণ্ডুলিপি সাজাতে পারেন। আর ব্লগার র‍্যাশ এর আজাইরা মন্তব্যে একটু বিরক্তি এল যদিও ভালভাবে সামলেছেন।
অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। লেখা চালিয়ে যান আর ভাল থাকুন নিরন্তর.... :)

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জনাব, এখন আমিও শকড হই না আর। তখন হতাম যদিও।

শেন এর মা এবং তার বন্ধু যে আল্লাহর হারাম ঘোষিত জেনা বা ব্যাভিচারে লিপ্ত, সেটার জন্য কি আপনার বা আপনাদের খারাপ লেগেছে?
পোষ্টের এক জায়গায় আছে কিভাবে আমার বাবা মায়ের এটা খারাপ লেগেছিল। কিন্তু আমি সেসময় নিজের বান্ধবীর অসহায় চেহারা ছাড়া আর কিছুই মনে করতে পারিনি সত্যি বলতে। সেসময় কোন কালচারকে বিশ্লেষন করা না বরং ওকে কিভাবে বাঁচানো যায় তাই ভাবছিলাম আমি স্বাভাবিকভাবেই।
তবে এখন বললে সব নিয়মনিতীর কালচারেই ধর্ষন বেড়ে যাচ্ছে, এবং কোন বিশেষ দেশ, জাতি, কালচারকে দোষ না দিয়ে মনুষত্বের মান এত নিচে নেমে যাওয়াটাকে দায়ী করি আমি। মানুষ হিসেবে লজ্জা লাগে এতটা অমানবিকতা দেখলে।

আপনার উদাহরনটা প্রচন্ড সুন্দর, বাস্তব জীবনেও কিছু বোঝাতে ব্যবহার করব আমি।

সুন্দর মন্তব্যে প্রায় প্রতি পর্বেই অনুপ্রেরনার আরেক নাম হয়ে আছেন। কৃতজ্ঞ আমি।
জনাব ভাল থাকুক জনাবার এই কামনা।

২৭| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: তবে এখন বললে সব নিয়মনিতীর কালচারেই ধর্ষন বেড়ে যাচ্ছে, এবং কোন বিশেষ দেশ, জাতি, কালচারকে দোষ না দিয়ে মনুষত্বের মান এত নিচে নেমে যাওয়াটাকে দায়ী করি আমি। মানুষ হিসেবে লজ্জা লাগে এতটা অমানবিকতা দেখলে।
সেটাইতো বোঝাতে চাইলাম জনাবা, সব সমাজের জন্যই "রুট কজ" একটাই। আপনাকে আল্লাহ মেধা দিয়েছেন, মাশাআল্লাহ। আশা করি সেটাকে প্রয়োগ করে সঠিক ব্যাপারটি বুঝবেন। আপনার জন্য অনেক দোয়া। :)

২৬ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার রুট কজ ধর্মের, মূল্যবোধের পথ থেকে সরে আসা। আমিও তাই মনে করি, মানুষ যদি মানবধর্ম ভুলে যায় তবে পৃথিবী জাহান্নামের চেয়েও খারাপ হয়ে যায়।

জনাবের জন্যেও অনেক দোয়া।

২৮| ২৮ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

পথের কাঙাল বলেছেন: আপনার লেখাগুলো ব্লগের মাঝে সীমাবদ্ধ না থেকে আরো ব্যাপকভাবে ছড়ানো দরকার।অন্তত পক্ষে আমাদের দেশে যারা ওয়েস্টার্ন কালচারকে একেবারে বাছবিচার না করে গ্রহণ করতে উন্মুখ।এনিয়ে এখন প্রচুর পড়াশুনা এবং আমাদের সমাজে এর ইতিবাচব আর নেতিবাচক দু ধরনের প্রভাব সম্পর্কে তরুণসমাজকে ওয়াকিফহাল করা প্রয়োজন।যেন তারা ভালটাকেই গ্রহণ করতে পারে।
ধন্যবাদ,আপনার লেখার জন্য।আজকেই প্রথম আপনার লেখা দেখলাম,সবগুলো পড়লাম আর কমেন্ট করার জন্য ব্লগের কমুউনিটিতে যোগও দিলাম।আবারো ধন্যবাদ।

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ব্লগ ছাড়া আর কোথায় দেব? এটুকুই সামর্থ্য হাহা।

আপনাকে স্বাগতম আমাদের ব্লগ পরিবারে, এ যাত্রা শুভ, আনন্দময় হোক।

আপনি আমার সব লেখা পড়েছেন আনন্দ নিয়ে এজন্যে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।
অনেক ভাল থাকুন ভাই।

২৯| ২৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

এহসানুল হক হাসান বলেছেন: আপনার লেখাগুলা যত পড়ছি ততই ভালো লাগছে! কখনো হাসছি আবার নিজের অজান্তে কান্নাও করলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্যে।

২৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। হুম জীবনের গল্প তো হাসি কান্নায় ভরাই থাকে। আমি নিজেও হেসেছি, কেঁদেছি লিখতে গিয়ে। আবারো সুখ, দুঃখের সে পথটা হেটেছি তবে এবারে একা না আপনাদেরকে সাথে নিয়ে।

আপনাকেও পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৩০| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

ঢে্উটিন বলেছেন: লেখাটি পড়েছি দু-তিন দিন আগে, মন্তব্য করলাম আজ। রান্নায় যেমন ভিন্নতা না থাকলে রুচি নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি লেখায় ভিন্নতা না থাকলে পাঠক পড়তে আগ্রহ হারায়। আপনার লেখাগুলা আসলেই হাসি কান্নায় ভরা।


বি: দ্র: আপনার লেখাগুলা পড়ে এখনো পর্যন্ত পড়ার আগ্রহ হারায় নি। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একমত আপনার সাথে। একটা গল্প পুরোটা হাসি বা পুরোটা কান্না হলে ভাল লাগত না, হোক সে জীবনেরই গল্প।

পরের পর্ব কয়েকদিনের মধ্যেই দেব।
ধন্যবাদ।

৩১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

সিলা বলেছেন: appo....... :(
tomito khristan dese giye esob dekhecho amito muslim dese thekeo esob dekhechi tao jokhon amar boyos 3/4 tomi bissas korbena bolle etto choto ami ki vabe bujhbo esob valo na ki kharap jinis....?? tomi bolo , :( tokhon ami matro play te portam cottograme chilam vara basay bagane bariolader ekta gari chilo tar vetor bariolar chele ekta meyer sathe kharap kaj korchilo ami to khub chuto garita valolakche tai ektu dhurte gechi giye ei ancommon jinisdekhlam ja r kokhono dekhini khub voy peyecholam kanna korte korte basay giye ammuke bole diyechilam ammu tarpor ei bari e chere diyechilo :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বোনরে দেশটা কোন ধর্মের বা কালচারের সেটা আসলে ম্যাটার করেনা। কোন কালচারই এসবকে বৈধতা দেয়না, কিন্তু প্রতি দেশেই কিছু অমানুষ থাকে।
লেখাতেও আমি বলেছি, "এসব আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সব দেশেই হয়। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে যেকোন কালচারে এসব হয়েই যাচ্ছে, বেড়েই যাচ্ছে। কোন দেশে পরপুরুষের দ্বারা আবার কোন দেশে বাসর রাতে স্বামীর দ্বারা মেয়েরা কতবার কতভাবে যেকোন বয়সের রেন্জে ধর্ষিত হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। আমি যা শুনেই কেঁপে উঠেছিলাম অনেক মেয়ে আমার চেয়েও কম বয়সে একদম ধর্ষিতই হচ্ছে।"

তোমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ। খালাম্মা বাড়ি ছেড়ে ভালো কাজ করেছিলেন। ওখানে থাকলে তুমি আবারো এমন কিছু দেখতে হয়ত। যাই হোক ভালো খারাপ সব ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়েই জীবন। তোমার জীবন, আমার জীবন, আমাদের জীবন!

ভালো থেকো লক্ষী বোনটা আমার!

৩২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০১

সিলা বলেছেন: bolle bissas korbena sunte oti rongito mone hobe tai meyetar poricoy bolini kaninitai boltamna konodin kaoke kinto tomar likhatar sathe onek mil amar kahinita tai bolechilam ei kisori mon ekhono vulte parena sei kahini. obasari amar ek somoboyosi meye chilo seta jar boyos hobe 6er moto jamao portona sudhu pent pore thakto eto choto . tobe tomar kahinir sathe amartar parthokko ei je ekhane meyeta kono kanna kati koreni ba charanor cestao koreni amar ekhon monr hoy meyeta icche krito vabei cheletat sathe chilo chi chi..... boltei bomi asche

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দুনিয়ায় যে কত ধরনের পাপ হয়! আমরা যা শুনতে, বলতে পারিনা তা অন্যরা করেও ফেলে ভাবতেই অবাক লাগে! ঐটুকু বয়সে আমার বোনকে এসব দেখা লেগেছে সেটা খুব খারাপ একটা ব্যাপার! তবে আবারো বলছি ভালো খারাপ মিলিয়েই জীবন! চোখের সামনে ভালো, সুন্দর স্মৃতির পশরা বসিয়ে রেখ সবসময়। আর খারাপ, নোংরা স্মৃতিগুলোকে ঝাপসা করে ফেলো ধীরে ধীরে।

আমার বোনটার জীবন শুধু ভাল সব অভিজ্ঞতা, হাসি, আনন্দে ভরে থাকুক সে দোয়া করি।

৩৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

আপনার আপন বলেছেন: KEEP REMAIN SILENT.......... NOTHING TO SAY

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম আসলেই এসব ঘটনায় কোন প্রতিক্রিয়া দেখানোর মতো শব্দও আমাদের থাকেনা।

পাঠ ও মন্তব্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.