নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে একেকটি দিন (পর্ব ২) - মফস্বলের কন্যের বৈদেশে শিক্ষাগ্রহন; ঘটন অঘটন এবং আমাদের নিয়ে বৈদেশীদের দর্শন!

২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

আবারো প্রবাস জীবনের গল্পের ঝাঁপি খুলে বসলাম। থাকছে মজার কিছু গল্প এবং বিদেশীদের দৃষ্টিতে আমাদের কিছু ছবি!

আগের সিরিজ: কানাডার স্কুলে একদিন (এক থেকে বাইশ): পর্ব বাইশ । পর্ব বাইশে অন্য সকল পর্বের লিংক রয়েছে!
আগের পর্ব: কানাডার স্কুলে একেকটি দিন (পর্ব ১) - বাংলাদেশীদের যেসব বিষয় বিদেশীরা অদ্ভুত মনে করে!

তখন কানাডার হাইস্কুলে নতুন নতুন। ইংলিশ ভালো পারি না বলে বন্ধুবান্ধব তো দূরের কথা দুটো কথা বলার মানুষও নেই স্কুলে। কিন্তু সেটা নিয়ে বেশি দুঃখিত হবার সুযোগ আমার নেই কেননা তার চেয়ে বড় সমস্যা মাথায় ছিল। পড়াশোনা! হ্যা কানাডিয়ান এডুকেশন সিস্টেম বাংলাদেশের চেয়ে এত বেশি আলাদা যে আমি কোন কূল কিনারা করতে পারছিলাম না। খুব খাটতাম, পুরো বই পড়ে শেষ, কিন্তু পরীক্ষায় তেমন ভালো মার্ক পাচ্ছিলাম না! এক প্রশ্ন ডাইরেক্টলি আসেনা, আর অন্য ভাষা হওয়ার কারনে ধরতে পারতাম না ঠিক কি চাচ্ছে? বাংলাদেশে তো গাইড বইয়ে অনেক প্রশ্ন থাকত, সেগুলো মুখস্থ্য করে পরীক্ষার খাতায় ঝেড়ে দিতাম। কানাডায় কোন গাইড বই থাকেনা।

আমার কানাডিয়ান জীবনের প্রথম সোশাল স্টাডিস ক্লাসের কথাই বলি। টিচার প্রতি ক্লাসে ওয়ার্কশিট দিতেন যাতে বইয়ের একটি চ্যাপ্টার নিয়ে প্রশ্ন থাকত। বই থেকে সেসব প্রশ্নের উত্তর বের করে লিখে টিচারকে দেখাতে হবে, ক্লাসটাইমে শেষ করতে না পারলে হোমওয়ার্ক হিসেবে পরেরদিন দেখাতে হবে। এর ওপরে কোর্সের ১৫% মার্ক আছে। এভাবে ছাত্রছাত্রীরা যেন নিজেরই একটা গাইডবুক তৈরি করে ফেলে! সপ্তাহখানেকের মধ্যে টেস্ট থাকে সেই চ্যাপ্টারের ওপরে। ভাষা না বুঝলেও বইসংক্রান্ত এসাইনমেন্টগুলো মাস কয়েকের মধ্যে আয়ত্বে এনেছিলাম। ডিকশনারি থেকে শব্দগুলো শিখে বারবার পড়ে অনেক কষ্টে বুঝতাম, তবুও বুঝতাম তো! কিন্তু কানাডিয়ান এডুকেশন সিস্টেমে বই কোর্সের ৪০%। বাকি ৬০% বইয়ের বাইরের একটিভিটিস। একটা উদাহরন দিচ্ছি।

একদিন টিচার এসে বললেন মুভি এসাইনমেন্ট করতে হবে আমাদেরকে। মুভি দেখে টিচারের দেওয়া ওয়ার্কশিট থেকে প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখতে হবে! আর মুভি শেষেই জমা দিতে হবে। বাপরে! আমি কি করে করব? এমনকিছু তো কোনদিন করিনি! তাও চেষ্টা তো করতে হবে, মার্ক আছে এসাইনমেন্টটিতে। আমি খাতা কলম সাজিয়ে বসে আছি। দু একটা পয়েন্ট তুলতে পারি যদি কোনভাবে, তারপরে বইয়ের হেল্প নিয়ে কিছু একটা দাড় করিয়ে ফেলব।
মুভি শুরু হল। কানাডায় ফ্রেঞ্চদের উপনিবেশ এবং আদিবাসীদের সাথে সম্পর্ক এসব নিয়ে মুভিটি ছিল। তখন আমি কানাডিয়ান একসেন্ট সবে বুঝতে শুরু করেছি, পুরোপুরি বুঝিনা। সেই সময়ে ফ্রেঞ্চ এবং এবোরিজিনাল ইংলিশ একসেন্টের একটা শব্দও আমার বোঝার কথা না এবং আমি বুঝিও নি। সাবটাইটেলও ছিলনা। প্রথম আধা ঘন্টা চেষ্টা করার পরে হতাশ হয়ে আলতো করে পেনটা ছুড়ে মারলাম পেপারের ওপরে। আমার এখনো মনে আছে পুরো ৫৫ মিনিট কি ভীষন এক অসহায়ত্বে কাটিয়েছিলাম! সবাই বুঝতে পারছে শুধু আমি ছাড়া! আশেপাশে কানাডিয়ান স্টুডেন্টরা অতি উৎসাহে মজা করে গল্প করতে করতে লিখে যাচ্ছে। খুব একা মনে হচ্ছিল নিজেকে। ছলছল চোখে বসে ছিলাম। ভাগ্য ভালো রুমটা অন্ধকার করা ছিল মুভির জন্যে নাহলে সবাই হয়ত কাঁদো কাঁদো আমাকে দেখেই ফেলত।
সবাই যখন লিখছে, আমাকেও তো কিছু লেখার ভান করতে হয়! আমি ওয়ার্কশিট থেকে প্রশ্নগুলোই আবারো তুলছিলাম যাতে কেউ বুঝতে না পারে আমি কিছু পারিনা! এভাবে করে ক্লাসটা শেষ হল। সবাই যাওয়ার পরে টিচারের কাছে গিয়ে লিখলাম যে আমি বুঝতে পারিনি ভাষা। জ্বি পাঠক বলা না লেখা! সেই টিচার আমার কথার একটা শব্দ বুঝতেন না, এজন্যে আমাকে লিখতে হত। উনি স্কুলের সবচেয়ে কড়া, বোরিং, অপছন্দনীয় টিচার ছিলেন। একজন কানাডিয়ান, শুভ্র চুলের বয়স্ক পুরুষ। ভীষন রুক্ষ ছিলেন, কখনো ওনাকে হাসতে দেখিনি আমি। অন্যসব টিচার বুদ্ধি করে আমার ভাঙ্গা ইংলিশও কিভাবে যেন বুঝে নিতেন কিন্তু উনি একদমই পারতেন না। তাই লিখে লিখে কথা বলতে হত, আমি ওনার কথা মোটামুটি বুঝতাম। তো আমি লিখতাম, উনি বলতেন।
উনি বললেন যা লিখেছ জমা দিয়ে দেও। আমি মন খারাপ করে সাদা খাতা জমা দিলাম। পরের দিন সবাইকে মার্কড এসাইনমেন্ট ফেরত দিলেন। আমারটায় কোন মার্ক ছিলনা। আমি ওনার কাছে গেলে উনি বললেন, "তোমার জন্যে আমি এসাইনমেন্টটা চেন্জ করে দিচ্ছি। তুমি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বইয়ে পুরোপুরি পাবে না। মুভি বুঝবে না। তাই নেট সার্চ করে রিসার্চ করে লিখবে। সেটার মার্ক দিয়ে আমি মুভি এসাইনমেন্টের মার্ক রিপ্লেস করে দেব।" আমি অবাক হয়ে গেলাম! ওনার মতো কড়া মানুষের কাছ থেকে এমন হেল্প আশাই করিনি।

তো এমনই ছিলেন কানাডিয়ান শিক্ষকেরা। সব স্টুডেন্টকে টু দ্যা লিমিট পুশ করতেন। কত কঠিন সব এসাইনমেন্ট করে ফেলেছি তাদের "করতেই হবে" শুনে! ওনাদের অনুপ্রেরনায় ৯০% এসাইনমেন্টই ভালভাবে করতে পেরেছি। যেই ১০% সময়ে অসফল হয়েছি, তারা কোন না কোন অলটারনেটিভ ভেবে আমাকে সাহায্য করেছেন। সেটি আমার ওভারঅল মার্ক খুব একটা এফেক্ট হয়ত করত না। কিন্তু আমার মনে একটা বিশ্বাস থাকত যে অসম্ভব কিছু আমার টিচারেরা আমাকে করতে বলবেন না। কঠিন যেকোন কিছু করতে বলবেন, কিন্তু অসম্ভব হলে তার পাশে আছেন! সেই বিশ্বাসেই আমি মানিয়ে নিয়েছি, নিতে পেরেছি!

যাই হোক, ওপরে যে কাহিনী বললাম, তেমন কিছু না কিছু প্রতি ক্লাসে প্রতিদিন লেগে থাকত। প্রতিদিন! উদ্ভট সব এসাইনমেন্ট দিত। যেমন কাগজের রুবিকস কিউব বানিয়ে তার মধ্যে শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ নিয়ে ছবি আঁকো ও লেখ। টিচারকে রাজা ভেবে নিজে প্রজার মতো করে তৎকালীন সব সমস্যা তোমার জীবনে কি প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে স্ক্রিপ্ট লেখো এবং অভিনয় করে দেখাও। ঘরের তৈরি জিনিসপত্র দিয়ে খেলনা গাড়ি তৈরি করো এবং ফিজিক্সের সূত্র সেটি তৈরিতে কি প্রভাব ফেলেছে তা বর্ণনা করো! আমাদের দেশে এত রং বেরং এর এসাইনমেন্ট করার অভ্যাস ছিলনা আমার। মুখস্থ্য করে যেতাম অন্যসবার মতো। তাই ক্রিয়েটিভ কিছু করতে অসুবিধা বোধ করতাম। আমি বুঝতেই পারতাম না ইংলিশে আঁকাআঁকি, সোশাল স্টাডিসে অভিনয় স্কিলস এর পরীক্ষা নিয়ে কেন এরা আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে? ভীষণ অস্বস্তি বোধ হতো এমন সব এসাইনমেন্টে।
এসব এসাইনমেন্ট শুনতে খুব মজার শোনায়। মনে হয় খেলতে খেলতে ওরা শেখে! কিন্তু ক্রিয়েটিভ কিছু করারও নিজস্ব চ্যালেন্জ রয়েছে। সেটা আমি সহ অন্যান্য কানাডিয়ান স্টুডেন্টদের জন্যেও সত্য। তবে অবশ্যই আমার জন্যে বেশি কঠিন ছিল যেহেতু আমি অন্য ধরণের এডুকেশন সিস্টেমে পড়াশোনা করেছি। এসব জিনিসের ঠিক ভুল নেই। মার্ক ভালো পাব না খারাপ তা পুরোপুরি টিচারের রুচির ওপরে নির্ভর করে। টিচার আসলে কি চান সেটা জানতে হবে। কিন্তু টিচার কি চান তাই বা জানব কি করে? খটমটে কানাডিয়ান একসেন্ট তো সহজে বুঝিই না! সবমিলে অদ্ভুত এক অসহায় অবস্থায় দিন কাটাতাম। তবুও শেষ পর্যন্ত ফাইনাল রেসাল্ট দেখলে আমার স্ট্র্যাগল বোঝা যেত না। প্রতি সেমিস্টারে শুরুতে যতোই স্ট্র্যাগল করিনা কেন শেষে মানিয়ে নিতাম। আমার চেষ্টা পাশাপাশি টিচারদের সহযোগিতা তার একটি বড় কারণ ছিল।

তো আমি চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম কানাডিয়ান এডুকেশন সিস্টেম নামক পাজলটি সলভ করার। একদিন লাঞ্চে ম্যাথ ক্লাস রুমে বসে একটা এসাইনমেন্ট করছি। টিচার সেই রুমেই ছিলেন, লাঞ্চ করতে করতে কিছু মার্ক করছিলেন। উনি জানতে চাইলেন আমার কাছে, "কেমন আছি?" আমি বললাম ভালো। আমার ভালো বলার মধ্যে নিশ্চই ক্লান্তি মিশে ছিল, উনি ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় জানতে চাইলেন কি ব্যাপার? ওনার জিগ্যেস করার ভংগিতে হেসে ফেললাম। বললাম, "এই সোশাল স্টাডিস এসাইনমেন্টটা কি করে করব বুঝতে পারছিনা, অনেক কঠিন।" তিনি বললেন, "এত স্ট্রেসড হয়ো না পড়াশোনা নিয়ে। ইউ আর ডুয়িং ফাইন। স্টাডি ইজ নট এভরিথিং। ইন সাম পার্টস অফ দ্যা ওয়ার্লড ইট ইস, বাট নট ইন ক্যানাডা। ইউ গেট টু বি আ কিড অনলি ওয়ানস ইন লাইফ! এনজয় ইট!" একদম ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড এই কথাগুলোই বলেছিলেন।
আমি থ হয়ে গেলাম। টিচার বলছেন পড়াশোনা সব নয়? আনন্দ করো? শুধু উনিই নয়, এই কথাগুলো ওখানে প্রায় সব টিচারকেই বলতে শুনেছি আমাকে এবং বিশেষ করে জাপান/চায়না/কোরিয়ার স্টুডেন্টদের। পড়াশোনায় সিরিয়াসনেসে ওরা আরেক কাঠি। আমরা বাংলা মিডিয়ামেও যতটা ইংরেজি শিখি, ওরা তার কিছুই শেখে না। এমন অনেক জাপানিজ স্টুডেন্ট দেখেছি E.S.L. ক্লাসে যারা ইংলিশ বড় হাতের লেখা লিখতে পারত কিন্তু ছোট হাতের না! কিন্তু অবাক ব্যাপার, একটা ভাষা প্রায় না জেনেই শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম ও মনের জোরে ভালো রেসাল্ট করত এরা! আমি মনের জোর পেতাম এদের দেখে, যে আমি যত ইংলিশ জানি ওরা তো তাও জানে না। তবুও তো ভালো করছে।

আমাদের সেই ম্যাথ টিচার চায়নায় শিক্ষকতা করেছিলেন দু বছর। সবসময় গল্প করতেন সেখানকার নানা অভিজ্ঞতার। একদিন সেই ক্লাসে অনেক লম্বা, অদ্ভুত হেয়ারস্টাইলের একটা ছেলে টিচারকে জিগ্যেস করছে, "আচ্ছা আমি শুনেছি এশিয়ান বাচ্চারা আমাদের চেয়ে অনেক স্মার্ট, এটা কি ঠিক? আর উই কানাডিয়ান কিডস ডামব?" বেশ সরল ভাবেই প্রশ্নটা করল।
টিচার বললেন, "হ্যাএএ এশিয়ান বাচ্চারা আসলেই অনেক স্মার্ট। হেই গাইজ ডু ইউ নো, আমি যখন চায়নায় পড়াতাম, দেখতাম ওখানে বাচ্চারা স্কুলের পরে আবার অন্য একটা ইনিন্সটিটিউশনে যেত এক্সট্রা পড়ার জন্যে! আমি মনে মনে ভাবছিলাম, আমাদের দেশের কোচিং সেন্টার! এসব বলে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "ইন ব্যাংলাদেশ এজ ওয়েল, রাইট?" আমি হ্যা সূচক মাথা নাড়লাম। উনি বলে গেলেন, "বাচ্চারা স্কুলের হোমওয়ার্ক তো করেই। আবার সেই এক্সট্রা ইনিন্সটিটিউশনেও হোমওয়ার্ক করে! ওদেরকে সকাল থেকে রাত পড়তেই দেখবে। অন্যকিছু করার সময় সেভাবে পায় না। বাট, হেই ইয়াং ম্যান, কানাডিয়ান কিডস আর নট ডামব! আমাদেরও অনেক স্মার্ট ছেলেমেয়ে আছে! তোমার মতো! তুমি আমাকে সেদিন বাস্কেটবলে হারিয়ে দিয়েছ! ইউ আর স্মার্ট এট বাস্কেটবল!" বলে চোখ টিপলেন। ছেলেটা হাসল, উনি হাসলেন।
আমি মনে মনে ভাবছি এই পাংক ছেলে যার দিনের অর্ধেকটাই হেয়ারস্টাইল ঠিক করতে কেটে যায়, প্রত্যেকটা এসাইনমেন্টই লেইটে জমা দেয়, তাকে স্মার্ট বলার মানে কি? আর বাস্কেটবল? দ্যাট কাউন্টস ফর স্মার্টনেস? আর টিচার স্টুডেন্ট মিলে কেন খেলবে? এসব ভাবতে ভাবতে মাথা ঘুরতে শুরু করল। কানাডার ক্লাসগুলো এমনই হতো। টিচার পড়াতে শুরু করার আগেই, গল্পে গল্পে আমার মাথা ঘুরিয়ে দিতেন!

একদিন, ইংলিশ ক্লাসে লাঞ্চ ব্রেইকে পড়া বুঝতে গিয়েছি। ক্লাস চলাকালিন সময়ে টিচারের অনেক কথা বুঝতাম না। আর প্রশ্নও করতে পারতাম না বারবার। কেননা এতবার প্রশ্ন করে করে একসেন্ট বোঝার চেষ্টা করলে অন্য স্টুডেন্টদের সময় নষ্ট হবে। আমি একা থাকলে টিচারেরা আরেকটু স্লো বলতে পারতেন। এজন্যে বেশিরভাগ দিনই ব্রেইকে আমি টিচারের কাছে ছুটে যেতাম পড়া বোঝার জন্যে। এটা এখানে কানাডিয়ান স্টুডেন্টরাও করে। যদি কোন কিছু ক্লাসে না বোঝে তবে ব্রেইকে আসলে টিচার আগ্রহ নিয়ে বুঝিয়ে দেয়। বেশিরভাগ টিচার, দু একজন যদিও ব্রেইকে পড়া দেখাতেন না।
সেদিন লাঞ্চে ইং নামের এক কোরিয়ান মেয়ে আমার খানিক আগে ক্লাসে ঢুকেছে। ইং আমার E.S.L. ক্লাসের এক কোরিয়ান সহপাঠীর বান্ধবী ছিল। তিন বছর ধরে কানাডায়, ইংলিশ অনেক ভালো পারত। আমার চেয়ে এক গ্রেইড ওপরে পরত। সে লাঞ্চ বক্স টেবিলে রাখল। সিটে বসে এয়ারফোন লাগালো কানে। ব্যাগ থেকে বই বের করবে। তখনই টিচার বললেন, "ইং যাও, বাইরে যাও। লাঞ্চ করো অন্যদের সাথে, সোশালাইজ করো।" ও তখন মুখ বিগড়ালো, মানে যাবে না, পড়বে। উনি মিষ্টি হেসে বললেন, "নো, দিজ ইজ নট স্টাডি টাইম। আউট! আউট অফ মাই ক্লাস!" ও রাজ্যের যতো বিরক্তি আর অনীহা নিয়ে বের হলো। আর টিচার হো হো করে হেসে দিলেন ওর করুণ অবস্থা দেখে!
এই সিন দেখে তো আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আমার পড়া দেখিয়ে দেবেন তো? পরীক্ষা আছে কয়েক ক্লাস পরেই! ওনাকে প্রশ্নটি জিগ্যেস করতে গেলাম। ওনার রহম হলো অন্তত আমার ওপরে, বুঝিয়ে দিলেন বিষয়টি। আমি বুঝে আর ওখানে থাকলাম না। ক্লাসের বাইরে আসতে আসতে ভাবছিলাম আমাদের মফস্বলে কোন স্টুডেন্ট লাঞ্চেও পড়লে টিচার তাকে নিয়ে গদগদ হয়ে যাবে। বাবা মাকে ডেকে প্রশংসা করবে। বাচ্চারা বেশি আড্ডাবাজি করলে সেটাকে খারাপ মনে করেন তারা। আর এখানে প্রত্যেকটা টিচার সোশালাইজিং এর ওপরে ভীষন জোর দেয়। শান্ত বাচ্চাদের জোর করে পাঠায় যেন তারা বন্ধু বানায়, মানুষের সাথে মেশে! কি আজব দেশ!

কানাডিয়ান বাচ্চা এবং বড়দের চোখে এশিয়ান বাচ্চাদের নিয়ে নানা ধরণের দর্শন রয়েছে। বাচ্চারা অবাক হয়ে ভাবে এশিয়ান বাচ্চারা এত স্মার্ট কি করে? সবাই ভালো মার্ক পাচ্ছে! আমাদের এডুকেশন সিস্টেম অনেক টাফ এটা ওরা জানে এবং বেশ সম্মানের চোখে দেখে। ওদের ভাব এমন, "ইশশ! আমাদের এডুকেশন সিস্টেম যদি কঠিন হতো, আমরাও ওদের মতো স্মার্ট হতাম!" হাহাহা।
কিন্তু বড়দের ভাবনা অন্যরকম। তারা মনে করেন আমরা আনহেলদী এডুকেশন সিস্টেমে আনহেদলী ওয়েতে মানুষ হচ্ছি। ওনাদের ভাব দেখে মনে হতো, বেচারা এশিয়ান বাচ্চারা নিজের দেশে জীবনকে এনজয় করতে শেখেনি। তাদের পরম দায়িত্ব আমাদেরকে রিয়েল বাচ্চাদের মতো বিহেভ করতে শেখানো। এজন্যেই আমি সহ অন্যান্য এশিয়ান বাচ্চাদের পেছনে ওনারা সবসময় লেগে থাকতেন। বন্ধু বানাও, খেলাধূলা করো, ক্লাব জয়েন করো, স্টাডিইং ইজ নট দ্যা এন্ড অফ দ্যা ওয়ার্লড! আমার বিরক্তি ধরে যেত। দেশে তো শুধু পড়াশোনায় জোর করে, এখানে সবকিছুতেই! মনে মনে বলতাম, তোমাদের ওয়ার্ল্ড আর আমার ওয়ার্ল্ড এক না। পড়ালেখায় খারাপ করলে আমার ওয়ার্ল্ডের সবাই মিলে মাশরাফি ভাইয়ের ভাষায় আমাকে "ধরে দেবানি!" ;)

বিশেষ কথা: তখন এসব নিয়ে মনে মনে হাসাহাসি করলেও এখন বুঝি যে কানাডিয়ান টিচারদের কথা কত ঠিক ও স্বাভাবিক ছিল। আসলেই তো প্রত্যেকটা বাচ্চা নিজের নিজের ট্যালেন্ট নিয়ে জন্মায়। কানাডায় বাচ্চারা যদি পড়াশোনায় ভালো নাহয় টিচার বলেন, তুমি তো অন্যকিছুতে ভালো। কোন বাচ্চা যেন নিজেকে নিয়ে হীনমন্নতায় না ভোগে সেটা নিয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকেন। পড়াশোনা ভীষণ জরুরি, তবে একটি বাচ্চার জীবনে তো আরো অনেককিছু থাকবে। একটি বড় মাঠ, অনেক খেলার সাথী, বুক ভরে নেবার মতো বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস এবং আনন্দময় একটি ছেলেবেলা। এই ছোট্ট জিনিসটি আমরা আমাদের বাচ্চাদের দিতে পারিনা। এই কঠিন সত্যিটা কানাডিয়ানরা বাইরে থেকেই এতটা রিয়ালাইজ করেন। তো আমরা বাংলাদেশীরা কতটা রিয়ালাইজ করি সেটা বলাই বাহুল্য। বাবা মা, শিক্ষকেরাও যেন অসহায়। ১০ বছরের বাচ্চার কাঁধে ৩০ টি বই দেখে। চশমা পড়া নির্লিপ্ত সিরিয়াস ফেইসগুলো দেখে। যে চোখে রংগিন স্বপ্ন, হাসির ঝিলিক থাকার কথা তাতে রাজ্যের দুশ্চিন্তা! আমাদের দেশের বাচ্চারা ছেলেবেলাকে এনজয় করে না। ব্যাস অপেক্ষা করে, ছেলেবেলা কবে শেষ হবে সেই অপেক্ষা!
এমন নয় যে আমাদের বাচ্চাদের কিছুই নেই। পরিবারের সবার অনেক আদর মমতায় বড় হচ্ছে। যেটার অভাব দেখেছি এখানে। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক ত্রুটি রয়েছে যা বাচ্চাদের ছেলেবেলাকে মেরে ফেলছে লিটারেলি। এখনো কানে বাজে সেই কানাডিয়ান টিচারের কথাটি, "ইউ গেট টু বি আ কিড অনলি ওয়ানস ইন লাইফ!" আমরা সবাই এই সহজ কথাটি কবে বুঝব?

মন্তব্য ১৬৩ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (১৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পরেরপর্ব পেয়েই খুশি আপু। পরে পড়বো।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, আপনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ। অবশ্যই, পরে সময় করে পড়বেন। অপেক্ষায় থাকলাম....
শুভকামনা!

২| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৮

রাসেল গাজী বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আমারও সুযোগ হয়েছিল এমন অভিজ্ঞতার ইউরোপের একটি দেশে।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও আচ্ছা আচ্ছা। তাহলে আপনার আমার অনেক স্মৃতি মিলে যেতে পারে হয়ত!

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
অনেক ভালো থাকুন।

৩| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

রাসেল গাজী বলেছেন: হূম ঠিক বলেছেন। :-B

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম! :)

তো আপনি কি হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়েই মুভ করেছিলেন? নাকি হাইয়ার এডুকেশনের জন্যে? ব্যক্তিগত বোধ হলে প্রশ্নটির উত্তর দিতে হবেনা।
শুভকামনা!

৪| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০১

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: বাহ। বেশ। জানলাম।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি সংক্ষিপ্ত হলেও বেশ সুন্দর! ধন্যবাদ।

অজস্র শুভকামনা!

৫| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০৩

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: আমার লেখা এখনও প্রথম পাতায় আসে নি। সত্যিই আমি একদম অযোগ্য লেখক।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ কি বলছেন? তেমন কিছু না। সামু ব্লগে লেখা প্রথম পাতায় আনার জন্যে গুণগত লেখা ও কমেন্টের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের নজরে আসতে হয়। সামু ব্লগের সবচেয়ে গুনী ব্লগারকেও এই সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে।

আপনি প্রথম পাতার চিন্তা ছেড়ে মজা করে, মন দিয়ে ব্লগিং করুন। লিখুন, কমেন্ট করুন। একদিন হুট করে দেখবেন আপনার মডারেশন স্ট্যাটাস সেইফ হয়ে গিয়েছে এবং লেখা প্রথম পাতায় জায়গা করে নিয়েছে!
আমার সকল শুভকামনা রইল।
হ্যাপি ব্লগিং!

৬| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পড়ে কেন জানি মনে হল সেই “গ্রামের ইঁদুর আর শহুরে ইঁদুর’’ গল্পটার কথা, প্রশ্ন করলে এর ব্যখ্যা নেই আমার কাছে । ;)


২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ কবীর সাহেব! ভালো আছেন তো?

প্রশ্ন করার আগেই যখন উত্তর দিতে পারবেন না বললেন, তখন আর সে পথে নাই গেলাম। ;)

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
আমার সকল শুভকামনা রইল!

৭| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
তাহলে ,একটা মজার ঘটানা বলি । আমার এক বন্ধু আছে ক্যডার ,(না ভয় পেয়েন না, সে বিসি এস ক্যডার ) একটা বিষয় নিয়ে তাকে , আমি এক টানা ১৩ মিনিট ধরে একটা প্রশ্ন করেছিলাম !! বেচারা শেষে বলেই ফেললো, একটা প্রশ্ন যদি ১৩ মিনিট হয় তবে এর উত্তর কয় মিনিটে দিব । আপনার কথা শুনে আবার সে কথা মনে পড়ল................ ;)

হুম, ভালো আছি ।।প্রতিদিন আমার কাছে ঈদের দিনের মত মনে হয়, সে কারণে খারাপ থাকার সুযোগ কম । আপনার কি অবস্থা বলুন?

ধন্যবাদ ।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নাহ, ভয় পাইনি, প্রথমেই ক্যাডার পড়ে বিসিএস ক্যাডারই মনে হয়েছে। :)

হাহাহা, ওহ আচ্ছা আচ্ছা। আপনি শুধু উত্তর দিতেই নয়, প্রশ্ন করতেও আনাড়ী? ;) :)

আমার তো ঈদের দিনও ঈদের মতো কাটে না! ;)
নাহ, ভালোই আছি।

তো আপনার এত সুখের উৎস কি?

৮| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শিষে কথাটা যে আমাদের তথাকথিত শিক্ষাবদি আর কমিশনগং কবে বুঝবে!!!

একটা প্রকৃত সু শিক্ষিত জাতি গড়ে উঠবে। দূর-পরাহত স্বপ্ন মনে হয়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

দারুন সিরিজে দারুন মুগ্ধতা!!!! :)

++++

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বাহ! আজকে প্লাস বলে লাইক দিতে ভোলেননি। সখির বকা না খেলে সখা কিছুই শেখে না! ;) :D

স্বপ্ন তো স্বপ্ন। দূরের হোক বা কাছের, সম্ভব হোক বা অসম্ভব! এই স্বপ্ন ও আশা নিয়েই বেঁচে আছি যে আমাদের দেশে শিক্ষার মান ও হার দিন দিন বাড়বে।

সুন্দর কমেন্টে কৃতজ্ঞ।
ভীষন ভীষন ভালো থাকুন।

৯| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হায়, হায় , কি আশায় বাঁধি খেলা ঘর !! একটু গান শুনে নিলাম ।।

আনাড়ীর সাটিফিকেট দিয়ে দিলেন , মন্দ বলেন নি , যাক কাজে দিবে !!! :(

আমার চারপাশে সবসময় লাফিং গ্যাস দিয়ে রাখি ...... তাই এতো সুখ ।। সুখের কোন সংজ্ঞা হয়না, তাই এর উৎস কখনো জানতেও চাইনি ।। ;)
““সুখ তুমি কি বল জানতে ইচ্ছে করে”” গানটা শোনা হয়না ।।

কেন নতুন কাপড় কেনার টাকা নেই নাকি ? যে ঈদের দিন খুশিতে কাটেনা ।। ;) যদিও আমি ঈদ উপলক্ষে কোন নতুন কাপড় কিনি না , এটা আমার ইচ্ছা ।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শোনা না হলে শুনে ফেলুন: view this link ;)

লাফিং গ্যাস দিয়ে তো মুখে হাসি আসে। মনের হাসি? সেই হাসিও উৎসহীন? হুমম, কারণ ছাড়াই হাসতে থাকা তো পাগলের লক্ষন। নিন, আরেকটি কাজের সার্টিফিকেট দিয়ে দিলাম। ;) :)

টাকা আছে, তবে ইচ্ছেই হয় না আর! উৎসবকে ভুলে থাকলে আপনজনদের পাশে না থাকার ব্যাপারটিও ভুলে থাকা যায়। হোয়াটএভার, ফরগেট ইট।

আপনি সবসময় লাফিং গ্যাস ছাড়াই হাসতে থাকুন। সুখে থাকুন। দোয়া রইল।

১০| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মজা করলাম ,এমনিতে বলেছি !! দূরে থাকা সত্যি কষ্টে আর ওখানে কি মিয়া ভাই সহ থাকেনা !!

আর আমার বাড়ি পাবনা জেলার আশে পাশের জেলায় !! আমরা ওখান কার জন্মসূত্রে সিটিজেন ।। আপনার সাফিকেট দেওয়া লাগবে না । যখন দিয়েই ফেললেন তখন তা দিয়ে তাবিজ বানিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রাখি, আর কি করা !! ;)

সুখ আপেক্ষিক ব্যপার ........ থাক এ নিয়ে ছোট মাথায় বড় চিন্তা করে আর ব্লাড প্রেশার বাড়াতে চাই না।

ধন্যবাদ ।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দূরে থাকা সত্যি কষ্টে আর ওখানে কি মিয়া ভাই সহ থাকেনা !!
মাফ করবেন, এই কথাটির মানে বুঝলাম না। ক্লিয়ার করে বললে কৃতজ্ঞ হবো।

হাহা, আচ্ছা এত পাগলামীর উৎস তাহলে এই! ;)

ধন্যবাদ আপনাকেও।

১১| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনি দেশের বাহিরে থাকেনা ? আর মিয়া ভাই বলতে ,মেয়েদের বাবা পরে যে, অভিভাবক হয় । তার কথা বলেছি !! ;)

এবার না বুঝলে মুখস্ত করবেন !! =p~ আর বুঝিয়ে দিতে পারবো না।।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থাকেন না বলতে চেয়েছিলেন তার মানে! আচ্ছা আচ্ছা, ন বাদ পড়ায় বুঝতে অসুবিধা হয়েছে।

হাহাহা কি বলে! আমি তো আনম্যারিড! বাবা মায়ের সাথেই থাকি। তবে বাবা মা ছাড়াও দেশে তো অনেক স্বজন, বন্ধু থাকে। তাদের মিস করি উৎসবের সময়ে। সেটাই বলতে চেয়েছি আগে।

আর একটি মেয়ের অভিভাবক প্রথমে বাবা, তারপরে স্বামী, তারপরে ছেলে সেই যুগ হয়ত আমরা পেরিয়েছি অনেকটাই। অভিভাবক শব্দটির মধ্যে কর্তৃত্ব থাকে। আর আজকের শিক্ষিত নারী সারাজীবন কোন না কোন পুরুষের কর্তৃত্বে থাকে না। সহযোগীতা পূর্ণ পরিবেশে পুরুষের কদমে কদম মিলিয়ে চলে।

আপনার ছোট্ট একটা মজায় এত বড় সব কথা বলার জন্যে মাফ করে দেবেন। তবে সমাজ থেকে এসব কথাকে জোক হিসেবেও বিদায় করতে হবে।


আর বুঝিয়ে দিতে পারবো না।।

আপনি তো ভীষনই অধৈর্য্য মানুষ! সার্টিফিকেইট নাম্বার তিন! ;) :)

আমার লেকচার পড়ে আপনার মাথা ধরে যাবার কথা। মাফ করবেন।
আর শুভকামনা জানবেন।

১২| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:২১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার গল্প ভালো লাগলো। পুরোপুরি গল্প না হলেও আপনার স্মৃতিচারণা আমার কাছে গল্পই মনে হয়। আপনার স্মৃতিপট থেকে বুঝার মতো অনেক দিক ওঠে এসেছে। যা আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রী'র মধ্যে পাওয়া যাবেনা! আমাদের দেশে এখন বাচ্চাকাচ্চা সব বইয়ের বুঝাই বইতে কষ্ট, সকাল থেকে বিকাল অবধি স্কুল, স্কুল থেকে ফিরে খেলাধুলা করার সময় পাচ্ছে না ফ্রেশ হওয়ার পর।
কানাডিয়ান শিক্ষকদের বলাটাই আমার কাছে ঠিক মনে হলো। সত্যিই তো শুধু পড়ালেখাই জীবন নয়, শিক্ষা নয়, এর বাহিরেও অনেক শিক্ষা আছে, যা স্কুল কলেজে পড়াশোনার মধ্যেই শিখার উপযুক্ত সময়। একটা হাসিখুশি চঞ্চল শৈশবকাল থাকাটা দোষের কিছুনা।

আপনার শেষের কথা গুলিও দারুণ বলেছেন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা।
গল্প পড়ে মনে হচ্ছে প্রিয়তে রেখে ভুল করিনি।

শুভকামনা আপনার জন্য। আরো স্মৃতিময় গল্প পাওয়ার আশায়।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই ভীষন সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

একদম মনের কথাই বলেছেন। বেশিরভাগ বাচ্চাদেরই স্কুল, কোচিং, প্রাইভেট ব্যাস এতেই জীবন কেটে যাচ্ছে। এর আগেও কিছু নেই। পরেও নেই।

হুমম, কানাডিয়ান শিক্ষকেরা ঠিক ছিলেন সেটা আমিও একসময়ে রিয়ালাইজ করেছি। প্রথম প্রথম মনে হতো ওদের কথা গুলো আজব, তবে এখন ওদের দর্শনকেই স্বাভাবিক মনে হয়।

যাক পর্বটি প্রিয়তে রেখে আপনার লস হলোনা সেটা জেনে খুশি। :)

জ্বি লিখতে থাকব, পাশে থাকুন।
আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা।

১৩| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আমি ফেসবুকে আমার এক বন্ধুর সাথে চ্যাট করছিলাম সেকারণে , আর আমার বানানে চরম সমস্যা আছে !!! কবীর সাহেব !! বলাতে আমি মনে করেছিলাম, যে আপনি আমার থেকে অনেক সিনিয়ার হবেন। ওহ আচ্ছা , মহিলাদের পক্ষে ভাল সাফাই গাইলেন !! 8-|
আপনি দেখি একটু বেশি বিনয়ী , এতো কিছু প্রয়োজন নেই, মাফ শব্দ শনতে বিরক্তি লাগে !!! আমি খুব ফ্রি মাইন্ডের !
আর বাংলা প্রবাদে অতি ভক্তি কিসের যে জানি লক্ষণ !!! :( =p~

যাক, অবশেষে কেউ হলেও আমাকে বুঝতে পারলো .... আমার অধৈর্য্য বা স্থিরতা কম !!!! (সার্টিফিকেইট নাম্বার তিন!) লাইক ।।
আর দুটার কথা আরেক বার মনে করিয়ে দিলে ......

ধন্যবাদ।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ আচ্ছা আচ্ছা! নাহ, "সাহেব" আমি ব্লগে অনেককেই বলি। শুধু নাম ধরে ডাকতে কেমন যেন লাগে! তো বিশেষন যোগ করে বলি। আর কিছু না। এখানে বড়দের মি: অমক মি: তমক বলে ডাকলে সম্মান মনে করে। সেখান থেকেই বোধহয় এই অভ্যাস।

হ্যা হ্যা, বুঝেছি তো। বুঝতে না পারলে কেমন সহব্লগার? এই যে অন্য কেউ "দিলে" লিখলে ভাবতাম তুমি বলছে কেন? আপনার ক্ষেত্রে ন বাদ পড়েছে সেটা একদম ঠিক ঠিক বুঝে গিয়েছি। :D ;)

আপনি দেখি একটু বেশি বিনয়ী
থ্যান্কস ফর সারটিফিকেট নাম্বার ওয়ান! আপনিও আমাকে একদম ঠিক ঠিক বুঝে যাচ্ছেন। ;) :D

আপনাকেও ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

১৪| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সত্যিই, আমাদের সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যদি একটু নরম হতেন আর এনালাইটিক্যাল প্রশ্ন করতেন, আমরা হয়তো আরো শার্প হতাম। তখন সামুতে না লিখে হাফিংটনপোস্টে ব্লগ করতাম! :|

তবে, বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েরা মনে হয় বিবর্তনের ধারায় একটু চ্যাঞ্জ হয়েছে। টিভিতে যখন দেখি তারা কিভাবে সাংবাদিকদের মোকাবেলা করছে, তখন সত্যি গর্ব হয়। মনে হয়, 'সৃজনশীল' সিস্টেমটা কাজে লাগছে।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সহমত। আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেক স্মার্ট। সৃজনশীল সিস্টেম কাজে লাগছে কিনা সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে এমনিতেও মনের জোরে বাংঙালিরা অনেককিছু করে ফেলে। ছোট্ট একটা ক্রিকেটের উদাহরণ দেই। অভিজ্ঞতা, সুযোগ সুবিধা, হাইট, স্ট্যামিনা অনেককিছুতেই আমরা অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে। তবুও আমাদের ছেলেরা জেতে তো শুধু মনের জোরে। যেকোন সেক্টরেই যেমন অভিনয়ের কোন অসাধারন স্কুলিং সিস্টেম আমাদের নেই। তবুও দূর্দান্ত সব অভিনেতা রয়েছে। যে জাতি, অল্প সুযোগেই এত যোগ্যতা রাখে, তাদেরকে যদি সুন্দর শিক্ষায় ব্যবস্থার আওতায় আনা যায় তারা তো দুনিয়া জয় করতে পারবে! সেই দিন দেখার অপেক্ষায় সবাই......

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!

১৫| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না ... বলেছেন ফকির লালন !! ;) :-/ আমি আবার কোন কাজে তেমন সিরিয়াস না,,, সেই আপনার সাটিফিকেট গুলোর মত ।।। আমি বেশি ভাগ সময় সিনিয়ারদের ব্লগে কম যাই, কারণ সবসময় কেন জানি মনে হয়, কার সাথে যে কখন বেয়াদবী করে ফেলি, এই ভেবে !!! আমি সব সময় একটু বেশি মজা বেশি করি সবার সাথে , যদিও একাণে অনেক আমাকে ভাবে অসামাজিক আর অসামাজিকদের বন্ধু কম।।।।। আপনার ব্লগ আগে থেকে জানি কিন্তু খুব বেশি যাওয়া হয় নাই। সেই একটা কারণ সিনিয়ার ভেবে !!
আর ব্লগার ভ্রমেরর ডানা আছে না, তার সাথে আপনার কিছু মিল আছে সেও খুব বিনয়ী , আমার খুব প্রিয় ব্লগার এবং লেখেও ভালো ,তবে বেশ কিছু দিন ধরে ব্লগে দেখছি না তাকে !!


ধন্যবাদ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধুর কি যে বলেন! সিনিয়ার জুনিয়ার কি? ব্লগে সবাই একটি পরিবার। আর আপনি ভুল কিছু বললে সিনিয়ার কারো যেমন খারাপ লাগতে পারে, জুনিয়ার কারোও লাগতে পারে। আমার বা অন্য সিনিয়ার ব্লগারদের সাথে একদমই আনকমফরটেবল ফিল করবেন না। আমিও কিন্তু বেশ ফ্রি মাইন্ডের! ;)

আপনার সাথে কিছু মিল আছে। টোটাল পাগলী টাইপ আমি। মজা করি অনেক। তবে অসামাজিক নয়। এসবের কারণে আরো বেশি সামাজিক হিসেবে খ্যাতি পাই। ;) :D

জ্বি ভ্রমরের ডানা অনেক ভালো লেখেন। ওনার কবিতাগুলো অসাধারণ। জলদি ফিরবেন আশা করি।
ধন্যবাদ আপনাকেও!

১৬| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

ক্লে ডল বলেছেন: কানাডার স্কুলে একদিন বলেন, আর কানাডার স্কুলে একেকটি দিন বলেন আমি আপনার এ জাতীয় লেখার ফ্যান। সময় অভাবে হয়ত সবগুলো পড়া হয়নি। তবে একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠা যায় না। আপনার অভিজ্ঞতা জানতে ভাল লাগে।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও ওয়াও! মন্তব্যে ভীষন অনুপ্রাণিত হলাম।
সব না পড়লেও দুটো সিরিজই আপনার মনে দাগ কাটতে পেরেছে জেনে সার্থক বোধ করছি।

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
সকল শুভকামনা রইল!

১৭| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: বাচ্চারা অবাক হয়ে ভাবে এশিয়ান বাচ্চারা এত স্মার্ট কি করে? সবাই ভালো মার্ক পাচ্ছে! আমাদের এডুকেশন সিস্টেম অনেক টাফ এটা ওরা জানে এবং বেশ সম্মানের চোখে দেখে। ওদের ভাব এমন, "ইশশ! আমাদের এডুকেশন সিস্টেম যদি কঠিন হতো, আমরাও ওদের মতো স্মার্ট হতাম!
B:-) B:-)
আমরা এই এডুকেশন সিষ্টেমের কথা মনে পড়লেই বলি কোন দুঃখে যে এই শিক্ষাব্যবস্থাওয়ালা দেশে জন্ম হইলো।আর তারা.... /:)
পারলে দুএকটাকে ধরে এনে এদেশে ক্লাশ করাতেন।আর কখনোও এমন মনে করত নাহ। =p~

যাই হোক,আপনার স্মৃতিচারণ সত্যিই ভালো লাগলো।আপনি কি এখনও কানাডাতেই রয়েছেন???

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমরা এই এডুকেশন সিষ্টেমের কথা মনে পড়লেই বলি কোন দুঃখে যে এই শিক্ষাব্যবস্থাওয়ালা দেশে জন্ম হইলো।আর তারা.... /:)
পারলে দুএকটাকে ধরে এনে এদেশে ক্লাশ করাতেন।আর কখনোও এমন মনে করত নাহ।

অদ্ভুত মিল! ওদের ন্যাকামি দেখে একদম এই কথাটিই মনে মনে বলতাম আমি! ;) :)

ভালো লাগায় কৃতজ্ঞ।

জ্বি এখনো রয়েছি কানাডায়।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১৮| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:০৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সিনিয়ার জুনিয়ার কি?

নীতিকথা সব জায়গায় বড় বড় করে লেখা থাকে !! কিন্তু কিছু অভিজ্ঞতার কারণে, বাধ্য !! ;)
আমার আড্ডা দেয়া লোকে অভাব , আর পাগলী ঠিক আছে এবং পাগলীদের মন ফ্রেশ হয় !! =p~

হুম, ব্লগার ডানাকে ভীষণ মিস করি ! ফিরে আসুক তারাতারি !

ধন্যবাদ ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার আড্ডা দেবার লোকের অভাব? কথা তো মজা করেই বলেন। এমন মানুষদের তো অনেক বন্ধু থাকে! হয়ত আপনি সবার সাথে ফ্রি ফিল করেন না।

অনেক রাত জাগেন মনে হয় আপনি!

যাই হোক, ভালো থাকুন।

১৯| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:১৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সামান্য একটু সহযোগীতা, একটু অযাচিত প্রশংসাই মানুষকে তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।। যেটা বাইরের কলেজ/ভার্সিটি গুলিতে দেখা যায়।। অথচ আমাদের দেশে হয় ঠিক তার উল্টোটা।। একজন ডাল ছাত্র/ছাত্রিকে প্রতি পদে বুঝিয়ে দেয়া হয়, তুমি উঁচা।। অথচ তার মেধার বিকাশে একটু শুধু সহযোগীতা আর সহানুভূতিই যথেষ্ট।। আপনার অভিজ্ঞতা দুই দেশের এই বৈশম্যটুকু দেখিয়ে দিল।। ধন্যবাদ।।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সামান্য একটু সহযোগীতা, একটু অযাচিত প্রশংসাই মানুষকে তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
একদম ঠিক বলেছেন। সুন্দরভাবে বলেছেন।

হ্যা, আমাদের দেশে পড়ালেখায় খারাপ হওয়া যেন একটা ক্রাইম। প্রতি জায়গায় রোল নাম্বার জিগ্যেস করা হয় বাচ্চাদেরকে। নাম্বার যদি নিচের দিকে হয়, মানুষজন এমনভাবে তাকায় যেন বাচ্চাটির ভবিষ্যৎ অন্ধকার! পরিবার, প্রতিবেশি সবার সামনে সেই বাচ্চাটির পরিচয় একটি নাম্বার! ব্যাস একটি নাম্বার!

সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

২০| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:১৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

এমন লোক মানে ? আমার মাঝে কি এমন বিশেষত্ব পেলেন ?? হুম, সবার সাথে ফ্রি হওয়াও যায় না, আর রাত রাগা আধুনিক অভিশাপ !! ;) এ কবলে পড়ে লাইফ শেষ !! B-)

ধন্যবাদ ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার আড্ডা দেবার লোকের অভাব? কথা তো মজা করেই বলেন। এমন মানুষদের তো অনেক বন্ধু থাকে!
এমন মানুষ বলতে মজা করে কথা বলা মানুষ বলেছিলাম। বুঝলেন কবীর সাহেব? না বুঝলে আবারো বুঝিয়ে দেব। আমি এতো অধৈর্য্য না যে একবার না বুঝলে মুখস্ত করতে বা আর বুঝিয়ে দিতে পারবো না বলব। ;) :D

হুমম তাহলে তো আমি আধুনিক না! চেষ্টা করলেও রাত জাগতে পারিনা। ;)

হুমম, ধন্যবাদ।

২১| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:১৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: স্কুলের কথা মনে হলেই দু-একজন নিষ্ঠুর নির্দয় শিক্ষকের কথা মনে পড়ে যায়। যারা ছিল আমার জন্য ভয়াবহ নাইট ম্যায়ার। তাদের ভয়ে স্কুলে সীঁথিয়ে থাকতাম। উফফ!

আপনার লেখা পড়ে মনে হল স্কুলের কারিকুলাম ও স্কুলের শিক্ষকরা এমনই হওয়া উচিত। স্কুল হবে প্রতিটি শিশুর জন্য পরম আনন্দের যায়গা।

ভাল লিখেছেন।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম কিছু স্ট্রিক্ট টিচারের কথা আমার মনেও হয়। তবে বেশি করে মনে হয় ভীষন মমতাময়ী, স্নেহশীল টিচারদের কথা। দেশে ও বিদেশে শিক্ষকেরা সাধারণত আমাকে খুব স্নেহ করতেন। তাদেরকে ভয় কমই পেয়েছি এজন্যে।

ভালো লাগাতে পেরে আনন্দিত।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা শুভসাহেব!

২২| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হায় হায় আমাকে আপনার হাসির রাজা গোপাল ভাঁড় মনে হল B:-/

আজ বিদায় কাল আবার টকশো করবো কেমন!!! ।। =p~

৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নাহ নাহ, গোপাল ভাঁড় কেন মনে হবে? গোপাল ভাঁড় তো রসিক হবার পাশাপাশি ভীষনই বুদ্ধিমান ছিলেন। আপনাকে আমার জাস্ট ফানি মনে হয়। ;) :D

আমি টক না ঝাল খাবার পছন্দ করি। ঝালশো করি কেমন? ;) :D

জোকস আসাইড, আপনার সাথে কথা বলতে ভালো লেগেছে। অবশ্যই আবার কথা হবে।
আমার সকল শুভকামনা রইল!
সুখে থাকবেন।

২৩| ৩০ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:০৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার স্মৃতিকথা পড়ে ভালো লাগল আপু। প্রথমদিকে পড়তে খারাপ লাগছিল। ইশ কি স্ট্র্যাগল! আমাদের দেশের এডুকেশন সিস্টেম যে কেন এমন :| আর কবে যে উন্নতি হবে আল্লাহই জানেন!

৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সায়মা আপুউউউ! পোষ্টে পেয়ে অনেক খুশি। ভালো আছেন আশা করি।

হুমম, প্রতিদিনই এমন সব স্ট্র্যাগল করতে হতো। তবে সবার সহযোগিতায় একসময়ে মানিয়েও নিয়েছিলাম।
সেটাই। আমাদের এডুকেশন সিস্টেম উন্নত করতে হবে এবং দ্রুতই। আল্লাহ সহায় হোন। সংশ্লিষ্ট মানুষেরা সচেতন হোন। সে দোয়াই করি।

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভীষণ ভালো থাকবেন।

২৪| ৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:১২

সারাফাত রাজ বলেছেন: বরাবরের মতো মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। :)

আপু আপনার লেখাগুলো অধিকাংশই স্কুল রিলেটেড। ওখানকার স্কুল থেকে কি শিক্ষার্থীদের কোথাও ট্যুরে নিয়ে যেত কি? থাকলে সেরকম ঘটনাগুলো জানতে চাই।

ভালো থাকবেন। B-)

৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: রাজ ভাইয়া! ভালো আছেন আশা করি।

আমার সিরিজের সব কিছু স্কুল রিলেটেড। তবে এই সিরিজ ছাড়াও অনেক লেখা রয়েছে। যা অন্য নানা বিষয়ের ওপরে বেইসড।

যাই হোক, আপনার প্রশ্নে আসি। আরেহ হ্যা, একদম। ট্যুর তো লেগেই থাকত। জ্বি, আমি অবশ্যই কোন না কোন পর্বে সেটা আনব। জলদিই চেষ্টা করব ট্যুরের গল্প করতে।

পাঠ ও আন্তরিক মন্তব্যে ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকবেন।

২৫| ৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সোশালাইজিং বিষয়টি আমাদের দেশের শিক্ষকদের আগে ভাল করে শেখানো উচিৎ।
আমার তো মনে হয় এদেশের বেশির ভাগ শিক্ষক ভাল করে জানেনই না কি ভাবে শিক্ষা দান করতে হয়।
আমার কাছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি জগাখেচুড়ি মনে হয়। আমি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একদম খুশি নয়। তাতে হয়তো কারও কিছু যায় আসে না।
আপনার এই সিরিজটি পড়তে আমার খুবই ভাল লাগে। সময়ের অভাবে হয়তো কয়েকটি পর্ব মিস করেছি। পরে সময় করে আবার পড়ার ইচ্ছে রইল।
ছোট থাকতে লেখাপড়া নিয়ে কত কথা শিক্ষক ও পরিবারের কাছ থেকে শুনেছি তার ঠিক নেই। সে সব কথা মনে হলে লেখাপড়া আমার কাছে এক অভিশাপই মনে হয়। অনেক কথা সে গুলি গুছিয়ে বলতে গেলে অনেক সময় লাগবে। যায় হোক এই পড়াশোনা করে শেষ পর্যন্ত কিছুই হতে পারিনি।
বরং নিজেকে এখন এই সমাজের বোঝা মনে হয়। আর আমাদের দেশের শিক্ষার দাম কি আদৌ আছে?
ভাল থাকবেন ।অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নাহ, আমাদের দেশে অনেক ভালো শিক্ষক আছেন। আবার খারাপও আছেন। তবে দোষটা পুরোটাই তাদের নয়। আমাদের এডুকেশন সিস্টেমই এমন। সিস্টেমের চাপে পরে তাদেরকেও এমন সিচুয়েশনে ফেলে দিতে হচ্ছে বাচ্চাদেরকে। আপনার ভাষায় এই জগাখিচুড়ি শিক্ষা ব্যবস্থা বাচ্চাদের প্রতিভা, মেধাকে বিকশিত হতে দিচ্ছে না। তাদেরকে মুক্ত আকাশে পাখির মতো উড়তে না দিয়ে বন্দি করে রাখছে ছোট্ট বাক্সে। সেই বাক্সে তাদের ভাবনা, চিন্তা, সৃষ্টিশীলতা, স্বপ্ন সবই বন্দি হয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষার দাম তো আছে আমাদের দেশে। তবে সেই শিক্ষা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন কে দাম দিতে পারছে কিনা সেটাই প্রশ্ন।

সিরিজে আপনাকে মাঝেমাঝেই পাশে পাই। ভীষন অনুপ্রাণিত হই।
আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা!

২৬| ৩০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

পুলক ঢালী বলেছেন: প্রাঞ্জল ভাষায় খুব সুন্দরভাবে লিখেছেন আপনার যুদ্ধকালীন সময়ের ঘটনা। অনেক কিছুই জানা হল। তবে বাল্যকাল জীবনে একবারই আসে এর উপরে আর কোন কথা নেই এটা হারানো অনুচিত । মন্তব্যে সবাই খুব সুন্দর কথা বলেছেন নুতন কিছু যোগ করার নেই। ভাল থাকুন সবসময়ের জন্য। :)

৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ পুলক ভাই! পোষ্টে পেয়ে ভালো লাগল।

যুদ্ধকালীন!!! হাহা, ভালোই বলেছেন পুলক ভাই। অন্য দেশে মানিয়ে নেওয়া একপ্রকার যুদ্ধই বটে।

তবে বাল্যকাল জীবনে একবারই আসে এর উপরে আর কোন কথা নেই এটা হারানো অনুচিত।
হ্যা সেটাই। ঠিক বলেছেন। এই লেখার সারমর্ম এটাই বলতে পারেন।

আপনিও ভালো থাকবেন সদা সর্বদা।
শুভকামনা রইল।

২৭| ৩০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: "ইউ গেট টু বি আ কিড অনলি ওয়ানস ইন লাইফ!"

অবশ্যই। তোমার কানাডিয়ান টিচার যা বলেছেন, তার চেয়ে সত্যি কথা আর কিছু নাই। ওরা এত উন্নতি করেছে সত্যিটা জানার জন্য। আর আমরা বাচ্চাদের সারাদিন পড়ার মধ্যে রেখে, স্কুল, প্রাইভেট, কোচিং আর ভারি ভারি স্কুল ব্যাগ তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে মিছেমিছি ভাবছি যে বাচ্চাদের খুব উপকার হচ্ছে। আমরা তাদের শৈশবকে মেরে ফেলে মিথ্যা আত্মপ্রসাদে ভুগছি। আমরা সত্যিটা জানি না, জানার চেষ্টাও করি না।
শিক্ষক ও ছাত্রের একসাথে খেলার ব্যাপারটা পড়ে মজাই পেলাম। আমাদের দেশে এটা আজও আনএক্সপেক্টেড।
অত্যন্ত কড়া ও রুক্ষ মেজাজের হওয়া সত্ত্বেও তোমার আর একজন টিচার এ্যাসাইনমেন্ট চেঞ্জ করে মার্ক পাওয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে তোমাকে সাহায্য করেছেন, সেটা আদর্শ শিক্ষকের দৃষ্টান্ত।

সব মিলিয়ে তোমার এবারের এপিসোডটি অসাধারণ হয়েছে। খুব সাবলীল ভাষায় লিখেছ। ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার প্রথম কথাগুলো একদম ঠিক হেনাভাই। ভীষন সুন্দরভাবে বলেছেন। সহমত পোষন করছি।

আদর্শ শিক্ষক তিনি আসলে ছিলেন না হেনাভাই। বাংলাদেশের যেকোন রুক্ষ টিচারের চেয়েও বেশি রুক্ষ। স্টুডেন্টদের প্রশ্নের জবাব ঠিকভাবে দিতেন না। আর ওনার এটিটিউড এমন ছিল কেউ কিছু জিগ্যেস করতে ভয় পেতো। উনি আমাকে সেদিন হেল্প করেছিলেন বলে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আমার শিক্ষক বলে ওনার প্রতি সম্মান ও থাকবে। তবে সত্যিকারের আদর্শ টিচার ছিলেন আমার ম্যাথ টিচার। উনি যে আমাকে কি ভীষন হেল্প করতেন আর আগলে রাখতেন! বলার নয়! সেসব নিয়ে বিস্তারিত অন্য একদিন বলব।

সব মিলিয়ে তোমার এবারের এপিসোডটি অসাধারণ হয়েছে। খুব সাবলীল ভাষায় লিখেছ।

আপনার মতো বড় মাপের লেখকের কাছ থেকে এমন মন্তব্য অনুপ্রেরনাদায়ক। ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ আমি।
সুস্থ্য ও ভালো থাকুন সবসময়।

২৮| ৩০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

বিষাদ সময় বলেছেন: স্টুডেন্টদের প্রতি কানাডার টিচারদের সহযোগিতার মনোভাব থেকেই বুঝা যায় সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উৎকর্ষতা। আর কানাডায় স্টাডি করেও এত সহজ সরল ভাষায় গুছিয়ে আপনার বাংলা লেখার সক্ষমতা দেখে আমি বিস্মিত। খুব ভাল লাগলো আপনার বায়োগ্রাফি পড়ে।

৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলে হাই স্কুলে থাকতে গিয়েছিলাম তো কানাডায়। বাংলা লেখা তাই খুব একটা অসুবিধা হবার কথা নয়। যদি আরো ছোট বয়সে যেতাম বা ওখানে জন্ম হতো বাংলা ভালো পারতাম না, আর পারলে তা বিস্ময় জোগাত বৈকি! তবে হ্যা, এখানে পড়তে পড়তে বাংলা লেখার সুযোগ একদমই পেতাম না/পাই না। চর্চার অভাবে বানান সহ অনেককিছু হয়ত ভুলে যেতাম। সামু ব্লগের কল্যানে তা হয়না। এজন্যে ব্লগের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সর্বদা।

২৯| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । আমাদের দেশে ছোট ছোট শিক্ষাদিদের বেশ কয়েকটা পাবলিক প্ররিক্ষা, প্রাইভেট, কোচিং এই জিনিষগুলো শৈশবকে কৈশরের সময়কে বিষময় করে তুলছে বলে মনে হয় আমার কাছে।

আমার আপনার মত হাইস্কুল থেকে বাহিরে পড়ার সুযোগ না হলেও কলেজ (আন্ডারগ্রাজুয়েট থেকে ) থেকে দেশের বাহিরে পড়ার সুযোগ হয়েছিল তাই তাদের শিক্ষাব্যাবস্থা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি।

আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা ঢেলে সাজানো দরকার এবং তা খুব শিঘ্রই। শিক্ষা ব্যাবস্থা দেশে এক প্রকার ব্যাবসায় পরিণীত হতে চলেছে, শিক্ষকেরা ক্লাসে পড়াতে আর আগ্রহি নয় , তারা কচিং এবং প্রাইভেট পড়তে অনেক সময় বাধ্য কয়রে বা উৎসাহ দেয় । তবে সবাই যে খারাপ তা নয়, ভাল আছে কিন্তু খুব কম ।

"ইউ গেট টু বি আ কিড অনলি ওয়ানস ইন লাইফ!" এর চেয়ে চমৎকার কথা আর হতে পারে না!

আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে ভাল লাগল। চালিয়ে যান।

৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা, আপনিও বাইরে পড়াশোনা করেছেন। তাহলে তো আমার অভিজ্ঞতাগুলো ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারবেন।

আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা ঢেলে সাজানো দরকার এবং তা খুব শিঘ্রই। শিক্ষা ব্যাবস্থা দেশে এক প্রকার ব্যাবসায় পরিণীত হতে চলেছে, শিক্ষকেরা ক্লাসে পড়াতে আর আগ্রহি নয় , তারা কচিং এবং প্রাইভেট পড়তে অনেক সময় বাধ্য কয়রে বা উৎসাহ দেয় । তবে সবাই যে খারাপ তা নয়, ভাল আছে কিন্তু খুব কম ।
পূর্ণভাবে সহমত পোষন করছি। একদম আমার মনের কথাগুলোই বলেছেন। নাথিং টু এড।

জ্বি চালিয়ে যাব। পাশে থাকুন।

আপনার ভীষনই সুন্দর ও মূল্যবান মন্তব্যে আমি কৃতজ্ঞ।
শুভকামনা!

৩০| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: বাহ বাহ ! এত্ত দ্রুত দ্বিতীয় পর্বটা লিখে ফেলবে ভাবি নি। পড়ে ভালো লাগলো। :)

আহা ! বাংলাদেশের স্কুলে যদি এমন হত ! :-&

তবে ভার্সিটিতে উঠে এই রকম মজার মজার এসাইনমেন্ট অনেক করছি, সেই মাপের মজার পেয়েছি। আর মার্কেটিং এর স্টুডেন্ট হওয়ার কারণে অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের চেয়ে মার্কেটিং এ ক্রিয়েটিভ কাজ গুলো বেশী করা হয়েছে ভার্সিটিতে। :``>>

অনেক অনেক ভালো থেকো, আপুনি। আরও ভালো ভালো পোস্ট দাও। আর দোয়া কোরো আমার জন্য। B-)

৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ ভাইয়ুুউউউ! কেমন আছ? আশা করি ভালো।

হুমম, আমাদের দেশে ভার্সিটিতে তবুও বেশ ক্রিয়েটিভিটি রয়েছে। দেশে যেসব বন্ধু/পরিচিত ভার্সিটিতে পড়ে তাদের কাছে শুনে মনে হয়, কানাডায় তো এভাবেই পড়েছি/পড়ছি! কিন্তু স্কুল লাইফ আকাশ পাতাম তফাৎ! আমাদের বাচ্চা ও কিশোরদের জন্যে সেটাকে হয়ত পরিবর্তন করতে হবে। এমন ভাবে সাজাতে হবে যেন তারাও ক্রিয়েটিভ হবার সুযোগ পায়।

আরেহ বলতে হবে? দোয়া তো আমি না বললেও করব। সবসময়!
ভালো থাকুক ভাইয়ুটা!

৩১| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

নায়না নাসরিন বলেছেন: স্মৃতিচারনে ভালোলাগা আপু । মজার কথা কি জানেন ? আমি আপনার নিক দেখে ভাইয়া লিখবো ভাবছিলাম । তারপর উপরে শোভন ভাইয়ার মন্তব্য দেখে :`> +++++

৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, ইটস ওকে। :)

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালোলাগায় আপ্লুত।
শুভকামনা!

৩২| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:১৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ঝালশো করি কেমন? শুরু ;)

আপনাকে আমার জাস্ট ফানি মনে হয়।

সার্কাসের ক্লাউন মন্দ না, সাটিফিকেট নাম্বার ফোর !!

হুম, গোপাল ভাঁড়ের বুদ্ধি বেশি কিন্তু আমার কম, নিবোধ ! B-)
ঝাল আমার দু চোখের বিষ !!

ধন্যবাদ ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইয়েস, শুরুউউউ! :)

নাহ নাহ সার্কাসের ক্লাউনরা তো কঠোর পরিশ্রমী হয়। আপনাকে আমার জাস্ট ফানি মনে হয়। ;) :D

আর আমি ঝাল ভীষন পছন্দ করি।

দিন কেমন ছিল আপনার?

৩৩| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দিন যায়যায় আর কি !!! আপনার ?
হুম, পরিশ্রম যদি সাফল্যর চাবিকাঠি হয়,তবে বনের রাজা গাধা না হয়ে সিংহ কিভাবে হয় ?? আপনার কাছে একটা ছোট প্রশ্ন !!

আমি জনমের আলস ।। কুঁড়ের বাদশা !! ;)
মিষ্টি আমার খুব পছন্দ !! ;)

ধন্যবাদ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার দিন? দিন যায় দিনের মতো।

বনের রাজা গাধা না হয়ে সিংহ কিভাবে হয়?
হেই গুড ওয়ান! ভাবার মতো! শুনুন, সাফল্য আপেক্ষিক ব্যাপার। কেউ টাকায়, কেউ ভালোবাসায়, কেউ ক্ষমতায় সাফল্য খুঁজে পায়। সিংহ রাজা মানেই যে বেশি সাফল্যের অধিকারী তা নয়।
আর পরিশ্রমের সাথে যদি বুদ্ধি না মেশানো থাকে তবে সাফল্য আসে না। ফেমাস কথাটি শুনেই থাকবেন, ডোন্ট ওয়ার্ক হার্ড, ওয়ার্ক স্মার্ট! গাধাকে দেখে সেটা শেখার আছে। হয়ত এ কারণেই কোন বোকা মানুষকে গাধা বলা হয়! ;)

আর সিংহের রাজা হবার কারণ হচ্ছে সিংহ নানা প্রানীর চেয়ে বেশি শক্তিশালী। সিংহের এটিটিউডে রয়াল একটা ব্যাপার রয়েছে।

নিজেই নিজেকে নির্বোধ, অলস বলছেন! নিজের মুখে নিজের এত প্রশংসা করতে লজ্জা লাগে না? ;) :D

৩৪| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:১৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
নিজেই নিজেকে নির্বোধ, অলস বলছেন! নিজের মুখে নিজের এত প্রশংসা করতে লজ্জা লাগে না?


সত্যে সবদা সুন্দর, মন্দ কিছু বলিনি !! কুঁড়ের বাদশা !!

আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব দিয়ে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন , আহা ! কি সুন্দর !! তা আপনার সাবজেক্টে কি পদাথ নাকি ?

পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি !! আপেক্ষিকতার তত্ত্ব দিয়ে প্রমাণ করতে গেলে, ঠিক আছে কিন্তুু গাধার ক্ষেত্রে ঠিক আছে ? গাধা কি দোষ করলো ।


ধন্যবাদ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি না, অপদার্থ সাহেব, ;) আমি পদার্থে পড়ছি না। তবে যে সাবজেক্টে পড়ি তাতে পদার্থবিজ্ঞান পড়তে হয়।

গাধা যে গাধা এটাই তার দোষ। গাধাদের কিছু হয়না জীবনে। মানুষরূপী গাধাই হোক বা রিয়েল গাধা! ;)
আপনার গাধাদের প্রতি এত মায়া কেন? স্বজাতি নাকি? ;) :D

ইশ! আমি কি খারাপ! কারো পিছে লাগা শুরু করলে থামিই না! আপনি তো আরোই সিনিয়ারদের ব্লগে যাবেন না এখন! হাহা।

৩৫| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৪১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আমি গাধার কাজিন না, আমি বান্দরের কাজিন ছিলাম !! টাইম ট্রভেল করে জানার বড় ইচ্ছা ছিল!! কিন্তু আলোর গতি কি কখনো ছুটতে পার? তা জানি না , যদি পরি তবে প্রমাণ সহ দেখে আসতাম, আসলে কি বান্দরের কাজিন ছিলাম কিনা । কথাটার সত্যতা !!!

পদার্থবিজ্ঞান তো পোলাপানও পড়ে , আপনি কি এখনো পোলাপান , মানে পড়ছি যে !!! B-)

আমি ভালা মানুষ তাই, খারাপ মানুষ পিছনে লাগবে এটাই স্বাভাবিক !! কোন ব্যপার না B-)

ধন্যবাদ ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি প্রকৌশলবিদ্যায় পড়ছি। আরেকবার পোলাপান বলবেন তো মার খাবেন। X(( ;) :)

আমি ভালা মানুষ তাই, খারাপ মানুষ পিছনে লাগবে এটাই স্বাভাবিক !! কোন ব্যপার না

ওহো? আমি খারাপ? আচ্ছা যান তাই। আপনি ভালো আছেন, ভালো থাকুন। আপনার প্রোফাইল পিকচারের নিষ্পাপ শিশুটির মতো! :)

ছবিটি কি আপনার ছোটবেলার ছবি/পরিচিত/নাহ নেট থেকে?

৩৬| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

প্রকৌশলবিদ্যায় কন কি !!! ভবিষৎতে নাট-বল্টু টাইড দিবেন !! আমাকেও একটু দিবেন !! কোন বিষয় নিয়ে পড়ছেন !!
আমি কিন্তু তেল ছাড়া বাত্তি জ্বালাতে পারি !!! বুঝলেন আমি যাদু জানি, চার বছর লেগেছে তা শিখতে !! ;) =p~


না প্রোফাইল পিক নেট থেকে নেওয়া !!

জানেন, মাঝে মাঝে আমার বড় চিন্তা হয়, আমি একদিন বিয়ে করবো, তারপরে একদিন বউ মরে যাবে , এই শোকে মন খুব খারাপ হয়ে যায়, এই রোগের কি কোন চিকিৎসা জানা আছে !! ;) আমি তো মনে করেছিলাম আপনি ডাক্তার !! :P

ধন্যবাদ ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কোন বিষয়? থাক, এতোটা নাই বলি।
আপনার ব্যাপারে তো কিছুই জানিনা, নিজের সব বলব কেন? ;) আপনি কি চাকরি করেন না ব্যাবসা?

যাই হোক, আপনার নাট বল্টু টাইট দিয়ে কাজ হবে না। কেননা আপনারটা শুধু ঢিলাই নয়, একদমই নেই। নতুন করে লাগাতে হবে। ;)

হায় আল্লাহ! এ কেমন ছেলে? বিয়ে হয়নি, আগে থেকেই বউ মরলে কি হবে সেই কথা ভাবছে!!! আপনার একবারও মনে হয়না যে আপনি আপনার বউয়ের আগে মরতে পারেন? নাকি আপনার জ্বালায় সে বেশিদিন বাঁচবে না সেই ব্যাপারে আপনি শিওর? ফাজিল ছেলে! ;) :D

৩৭| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ইশ ! সাবজেক্ট টা অন্ততপক্ষে বলতে পারতেন ? আমি তো আর কোন অভদ্র প্রশ্ন করিনি , যে আফা আপনার বয়স কত ?? =p~ আর আমার জানা মতে মেয়েরা প্রকৌশলবিদ্যায় আর্কিটেকচার তাদের ফাষ্ট চয়েস হয়ে থাকে !! B-)

আপনি এতো স্বাথপর কেন রে ভাই !! ( এখন ভাই শব্দটা একটা কমন জেন্ডার, তাই নো মাইন্ড !!!)

এ বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী শুনে কি করবেন ?? কিছু সময় আগে একটু হালকা বলেছি, এখন বুঝেছেন কিনা জানি না।। :P

হুম, বান্দরের গলায় কি আর মুক্তার মালা মানায়? অপদাথ আবার বিবি ? হাস্যকর একটা বিষয় !! B-) সত্যিই লাফিং গ্যাস ছাড়াই হাসির একটা বিষয় ।।। আর বুদ্ধিমানরা একটু আগে-পরে চিন্তা করে, কথা বলে। জানেন নিশ্চয় !! যদিও আমি বুদ্ধিমান কিন্তু একজন বুদ্ধিমতির সাথে কথা বলছি ।তাই কিছু সময়ের জন্য নিজেকেও বুদ্ধিমান ভাবতে শুরু করেছি !!! আইর নো দোষ (নোয়াখাল্লাই ভাষায়) 8-|

ধন্যবাদ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই, নট এট অল! অভদ্র প্রশ্ন একদমই করেননি। আই এম সরি, ইফ মাই রিপ্লাই মেইড ইউ ফিল দ্যাট ওয়ে। তবে পাবলিক ব্লগে নিজের সবকিছু যে বলতেই হবে তাও তো নয়! :)

হুমম আপনি ঠিক জানেন, প্রকৌশলবিদ্যায় অন্য সাবজেক্টের তুলনায় আর্কিটেক্ট মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে আমি যেটায় পড়ছি সেটায় আমার মেয়েদের রেইট কম! হাহা।

ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার!!! আর ইউ? হিন্ট থেকে তাই মনে হচ্ছে। অর সামথিং ক্লোজ টু দ্যাট। সেটা না বললেও এটুকু বলুন, ইউ আর এন ইঞ্জিনিয়ার, রাইট?

কিন্তু একজন বুদ্ধিমতির সাথে কথা বলছি
আমার মতো বোকামতীকে বুদ্ধিমতী ভাবার কারন কি? ;) আচ্ছা আমাকে নাহয় ভেবেছেন ঠিক আছে, নিজেকেও ভাবা শুরু করেছেন? সেটা আবার বেশি বেশি হয়ে গেল! ;) :D

৩৮| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হুম, আপনি চাইলে উপরের মন্তব্যটা ডিলিট করে দিতে পারেন !!
আমি আগেই বলেছি, আমি তেল ছাড়া বাত্তি জ্বালাতে পারি !! (তুমি বোঝো নাই ব্যপার টা , আয়নাবাজির মুভির ডায়লক )

একটা ছবি না বলা অনেক কথা ব্যক্ত করে !!এখন না বুঝলে মুখস্ত করুন !!! ;)


৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার কোন মন্তব্য ডিলিট করার প্রয়োজন বোধ করছি না।

যাই হোক, আমি কিন্তু তেল ছাড়া বাত্তি জ্বালাতে পারি !!! বুঝলেন আমি যাদু জানি, চার বছর লেগেছে তা শিখতে !! এটুকু পড়েই যা বলার বলেছিলাম।

নাহ, আপনার ভাষায় বলি, এক বাউন্ডুলের জীবন বোঝার এত চেষ্টা কেন করতে হবে? হিন্ট বুঝে, ছবি দেখে, মুখস্থ্য করে!!! ডোন্ট ফিল দ্যা নিড। সরাসরি যা বলবেন বুঝব, যা বলবেন না তা জানার যোগ্যতা নেই মনে করে নেব। ইউ উইল হ্যাভ টু ডু দ্যা সেইম! ;) :)

যাই হোক, আপনি এত রাত জেগে সাধারণত কি করেন? জাস্ট ব্লগিং/ফেইসবুকিং? দেরী করে ওঠেন অনেক না?

৩৯| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কি ফিডব্যাক দেই বুঝতেছি না !! বেশি প্যাচ মারতে গিয়ে এখন আমিই প্যাচে পড়ে গেলাম ! ! ব্লাড প্রেশার লো হয়ে যাচ্ছে খালি মাথা ঘুড়ায় !!! হে ভগবান রক্ষা করো মোরে !! 8-| :-P

হুম, রাত জাগি, ব্লগিং, ফেসবুকিং কম আর পড়ালেখা !! plc programming নিয়ে একটু কাজ !!!

৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহো? এতো খারাপ অবস্থা? শিক্ষা হয়েছে? আমার সাথে আবার প্যাচ লাগানোর দুঃসাহস হবে? ;) :D

হুমম, আপনি ততটা অপদার্থ না যতোটা ভেবেছিলাম। বেশ ভালো পরিমানের পদার্থ আছে। নাহলে কঠিন সাবজেক্টে পড়তে পারতেন না। :D
সো পদার্থ সাহেব, কাজ করুন মন দিয়ে। :)



৪০| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৪১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আগে ছিল প্রেশার লো আর এখন মেজাজ ৪৪০ ভোল্টে ...... X(( সবসময় শিশু সলুভ আচারণ কারণে, ইশ !! আমি পদার্থ হলাম কবে ??? সাটিফিকেট নাম্বার ফাইভ !!! আপনার আগের ভাবনায় প্রনাম রইল কিন্তু পরের টাতে ধিক্কার। =p~

আর আমি এমনিতে প্যাচ মেরে মেরে কথা বলি, কিন্তু সে কথার অন্য বিষয়ের সাথে, সে বিষয়ে সম্পক থাকে, এটাকেও আপেক্ষিকতা বললে কি ভুল হবে !!! ;) আর কোন কিছু না বুঝলে, সরাসরি বলবেন, এটা বুঝিনি।। তাহলে দেখবেন, আর ভুল বোঝাবুঝি হবেনা। ;) তাতেও না বুঝলে মুখস্ত করবেন ।।


ধন্যবাদ ।

৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কবীর সাহেব, আমি আপনাকে খুব বেশিদিন জানি না। আপনার ব্লগও মাত্র কদিন আগে চোখে পরেছে। আপনার প্যাঁচালো কথার মর্মদ্ধার আপনার কাছের বন্ধু/স্বজনেরা করতে পারলেও আমি স্বাভাবিক ভাবেই পারব না। আই ডোন্ট নো মাচ এবাউট ইউ, সো সলভিং দ্যা কবীর পাজল ইজ ইমপসিবল ফর মি। ;) আর এমনিও আমি মফস্বলের সরল পরিবেশে বেড়ে ওঠা মেয়ে, এত প্যাঁচ বুঝিওনা! সত্যিই!
আর জিলাপি সাহেব, আপনাকে দ্বিতীয়বার বোঝাতে বললে আপনি আরো প্যাঁচ লাগান। সে রিস্কে আর নেই। :)

থাক, নাইবা বুঝলাম। যারা কম বোঝে, তারা নাকি বেশি সুখে থাকে। ;) :)
আজকের মতো বিদায়। মিষ্টিশো জলদিই হবে আশা করি। :)

৪১| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১:০৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ঘুরে ফিরে রায় গেল আপনার পক্ষে , মানা যায় না , X(( নিজরে মধ্যে একটা প্রশ্ন রয়ে গেল , ঠিক কোন কারণে আমাকে আপনার বোকা মনে হতো ?? আপনি দেখি সিরিজ সাকিট আর আমি প্যরালাল সাকিট !! :) যেহুতু আপনার নাম জানি না, সে কারনে সিরিজ সাকিট নাম দিলাম । পছন্দ হলে জানবেন, প্লিজ ? অনেক সময়, কেহ কারো পরিচিত থাকেনা, আস্তে আস্তে কোন না, ভাবে পরিচিত হয় । কোন ব্যপার না, আপনার সাথে গল্প করে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ।
আর আমি আছি ব্লগে আরো কিছু সময় , যেতে চাইলে যান । বিদায়.....
ভালো থাকুন ।

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঘুরে ফিরে রায় গেল আপনার পক্ষে , মানা যায় না
আপনি যতোবার প্যাঁচ লাগাবেন, ততবার আপনার প্যাঁচে আপনাকে ফেলব। আর আপনাকে মানতেও হবে। বুঝলেন? ;)

না রে বোকা মনে হতো না। এমনি দুষ্টুমি করেছিলাম।

জ্বি অবশ্যই। পরিচিতি তো অপরিচিত মানুষেরাই হয়।

আপনার সাথে গল্প করে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ।
নোহ নোহ, থ্যাংক ইউ! দ্যা প্লেজার ইজ অল মাইন!

ব্লগে রিয়েল নামে লিখিনা বলে অনেক নাম পেয়েছি। রিয়েল লাইফেও আমার নামটি শর্ট করে, বা অন্যকোন ভাবে ডাকে আপনজনেরা। কাউকে নাম দেবার মধ্যে একধরণের আন্তরিকতা এবং ঘনিষ্ঠতার ব্যাপার আছে। আমার আপন কেউই আমাকে নানা নামে ডাকবে, একদম অপরিচিত কেউ ফর্মালি ডাকবে সেটাই স্বাভাবিক। এজন্যে কেউ আমাকে নাম দিলে, আমি বেশ আনন্দ নিয়েই একসেপ্ট করি। আর অনেক নামও রয়েছে আমার। জাস্ট হোয়েন আই থট, আই হ্যাভ হেয়ারড এভরিথিং, সিরিজ সার্কিট শোড আপ! হাহা। এটাই শোনা বাকি ছিল! বেশ ইউনিক, আগে কেউ এই নাম দেয়নি। যাই হোক, আপনার দেওয়া নামটিও খুশি মনে নিয়ে নিলাম।

আর আমি আছি ব্লগে আরো কিছু সময় , যেতে চাইলে যান । বিদায়.....
আপনার এই কথাটি পড়ার সাথে সাথে কেন যেন আমার এই লাইনটি মনে হলো: যেতে নাহি দিব। হায় তবু যেতে দিতে হয়। হাহাহা। কিডিং!

ওহ! আপনার প্রিয় ব্লগার এসেছেন ব্লগে। কনগ্র্যাটস!
আপনার জন্যে অনেক শুভকামনা রইল।

৪২| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনার নামের আকিকা কবে দিচ্ছেন? আর আমাকে ফেলুদা বলে ডাকতে পারেন,অবশ্য এর পিছনে বিশাল ইতিহাস আছে !! ইতিহাস শুনবেন ?

ওহ! আপনার প্রিয় ব্লগার এসেছেন ব্লগে। কনগ্র্যাটস!
আপনার জন্যে অনেক শুভকামনা রইল।


আবার কখন যে হারিয়ে যায় কে যানে !!

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ, আপনাকে তো বলেছিই আমার অনেক নাম। সব নামের আকীকা দিতে গেলে ফতুর হয়ে যাব। ;)

আপনাকে অন্য নামে ডাকার প্রয়োজন কি? আপনার নাম তো জানিই!

জ্বি অবশ্যই, বলুন কি ইতিহাস?

হুমম, ব্লগে কত যে প্রিয় ব্লগার হারিয়েছি! প্রথম প্রথম খারাপ লাগত, বেশ খারাপ লাগত। এখন সেসব ভাবিনা। অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। একজন প্রিয় ব্লগার গেলে অন্যজন এসে যাবে। নট আ বিগ ডিল!

তবে আপনার প্রিয় ব্লগার ভ্রমরের ডানা এবার থেকে রেগুলার হবেন আশা করি।

৪৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হুম, এ ফেলুদা সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা কিন্তু না , একবার ঘুমের কারণে আমার এক পরিক্ষায় শেষের ১৫ মিনিটে ক্যম্পাসে উপস্থিত হয়েছিলাম এবং সে সাবজেক্টে ফেল করেছিলাম ।। এই ফেলুদা । =p~

সে ব্লগে থাকলে তো বড় ভাল, সুন্দর সুন্দর কবিতা পড়া যাবে । যদিও আমি মিঃ অকবি. কবিতা লিখি কি দারুন , এর পিছনেও ইতিহাস আছে !!

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! এই আপনার বিশাল ইতিহাস? আপনি পারেনও!

অদ্ভুত ব্যাপার। আমার দুজন দেশী ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু রয়েছেন। তাদের দুজনেরই ঘুমের কারণে পরীক্ষা মিস করার বা লেইটে যাবার গল্প আছে। সারারাত জেগে পড়ে, আর ঠিক সময়ে যেতে পারেনি! এই আরকি!

আপনি তো দেখি ভ্রমরের ডানাকে অনেক বেশি পছন্দ করেন! ভালো!

নাহ, আপনি অকবি নন কবীর সাহেব!
যাই হোক, আপনার কবিতার পেছনের ইতিহাস ও বলুন শুনি।

৪৪| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কবিতা ইতিহাস, আমার এক বন্ধু কবিতা লেখে, ধরুন- নিবোধ বলিয়া দূরে দিলে ঠেলিয়া ! এই মাকা । কি যেন একটা কথাতে, সে বলেছিল তুই কোন দিন কবি হতে পারবি না, সেই থেকে শুরু করে দিলাম !! যাইহোক, সেই থেকে মাাঝে মাঝে শখের কবি, হতে পেরেছি কিনা, জানিনা । তবে, কিন্তু তাতেও কোন গুরুত্ব নেই । সত্যিই বলতে কি আমার কোন কাজে স্থিরতা সেই ।। জড়তা.............. গতির জড়তা মত , মাঝে, মাঝে ব্রেক দিলে সামনে গিয়ে পড়ে যাই ।।। ;)

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ছেলেটা যে কিসব বকবক করে যায় নিজের মনে! আজকে আপনার সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে আপনি আমার সাথে নয়, নিজের সাথেই কথা বলছেন। কেন এমন মনে হচ্ছে জানি না! ব্যাস মনে হচ্ছে! ;)

সত্যিই বলতে কি আমার কোন কাজে স্থিরতা সেই ।

বেশিরভাগ ছেলেই এমন হয়। ব্যাপারস না। ;)
অস্থির মনে স্থিরতা আসবে একসময়। কারো সাহায্যে! :)

শুভকামনা!

৪৫| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:০২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হায় কন কি ??? হ্যালুসিনেশন করছি নাকি !! :( কোন কি অলীক কথাবাতা বলছি !!

কাজী নজরুলের অধেক অনুপ্রেরণা ছিল ......... কে.জানেন নিশ্চয় ।। এই স্থিরতা আনতে কি ওনার মত আমারও কোন কিছু প্রয়োজন আছে!! এ রকম কিছুর ইঙ্গিত দিলেন বুঝি=p~

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নাহ, তেমন কিছু না। ব্যাস অনেক ফ্রিলি কথা বলছেন। সেজন্যেই হয়ত মনে হয়েছে। পড়তে ভালোই লাগছে।

সব পুরুষের অনুপ্রেরনার সোর্স ঐ একই! ;)

যাই হোক, সকাল সকাল কোন কাজ নেই আপনার? ব্লগে বসে আছেন যে? :D

৪৬| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:১০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সব হচ্ছে , সেদিকে সমস্যা নেই !!


একটু বিজ্ঞাপন বিরতি !! ফিরছি ............

৪৭| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আমি ভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করি, অনেক সময় কাজ থাকে আবার থাকে না !! সহজ কথায় ক্ষিদে লাগলে খাই, না লাগলে নাই,
কাবিখা, (কাজের বিনিময়ে খাদ্য ) B-)

না রে না, আর তো পারে না, মন আমার নাস্তানাবুদ এক জনেরই দায় |,এক ললনা করেছে ইন্দ্রজাল, কে সামলায়ে আমায়ে ...
8-|
কিন্তু কেউ এখনো তা করতে পারে নাই, তাই এতা সিরিয়াস না । আর আমার উচ্চ আকাঙ্ক্ষা নেই, সামান্য পেলে সন্তুষ্ট ।।

৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা।

হুমম জানি। কেউ তা করতে পারলে বাউন্ডুলেপনা, পাগলামি সব ঝেঁটিয়ে বিদায় করত। ;) সেজন্যেই তো বলেছিলাম কারো সাহায্যে স্থিরতা এসে যাবে। ;)
কবীর সাহেব, ইউ আর ওয়েটিং ফর দ্যাট সামওয়ান স্পেশাল, হোপ ইওর ওয়েট উইল কাম টু এন এন্ড সুন। অল দ্যা ভেরি বেস্ট! :)

শুভকামনা অনেক!

৪৮| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক দিন পর আবার আপনার সেই মজার মজার অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে হাজির হলেন বলে ধন্যবাদ আপু। কত কিছু জানা যায় আপনার মত প্রবাসী ব্লগারদের লেখা থেকে।

শেষের কথাগুলো অসাধারণ আপু। আমার দুই কন্যার কান্ড কারখানা দেখে আমি প্রতিদিন অনুভব করি কি মজায় যে আছে ওরা। বড়জনের যদিও পড়াশুনা নামক যন্ত্রণা শুরু হয়ে গিয়েছে, ছোটজন পুরাই বিন্দাস স্টাইলে ঘুরে বেড়ায় সারাদিন। সত্যিই শৈশব কৈশরের মত সোনালী সময় আর কখনো হয়না জীবনে।

৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ আপা! হুমম, অনেকদিন পরে আমিও আপনাকে পেলাম। ভীষণ খুশি হয়েছি।

জানাতে পারলেই লেখাগুলো সব সার্থক হবে। ব্লগে নতুন কিছু জানতে ও জানাতেই তো এসেছি!

সেটাই, তবে পড়াশোনার চাপে এই সোনালি সময় বিষিয়ে যাচ্ছে অনেকসময়। ভীষণ দুঃখের ব্যাপার সেটা।

যাই হোক, আপনার ছোটটা বিন্দাস স্টাইলে ঘুরে বেড়ায় জেনে শান্তি পেলাম মনে। এমনই তো হওয়া উচিৎ ছোটবেলা। মামনীদের জন্যে অনেক দোয়া রইল। ওদের অনেক সুন্দর জীবন হোক, সুখ সাফল্যে ভরপুর।
আপনার জন্যেও শুভকামনা রইল আপা।

পাঠ ও আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৪৯| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
লালন তোমার আরশী নগর আর কতদূর আর কতদূর B-) থাক আর জগতের গভীর ভাবনা না, ভেবে বাউন্ডুলেপনা, পাগলামিতে নিজে সুখিবোধ করি !! =p~

সিরিজ সার্কিট সাহেব, কেমন আছেন ???

৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সাহেব? সিরিয়াসলি? না রে, সাহেব শব্দটি মেয়েদের জন্যে একদমই বেমানান। আমি কমফরটেবল ফিল করব না। জাস্ট সিরিজ সার্কিট ডাকতে পারেন।

ভালো মন্দে মিলিয়ে আছি। ;)
আপনি?

৫০| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ইফতার করে ফিরছি ! ২০ মিনিট !!

৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, আসুন। :)

৫১| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: বাহ, এত স্বল্প বিরতিতেই নাটকের বাকী পর্ব দেখানো হল- ভাবাই যাচ্ছে না........টিনের চালে কাক, অামিতো অবাক........অাজ্ঞে অামাদের অাবার অভ্যাস হয়ে গেছেতো দেরি করার, তাই তাড়াতাড়ি পেলে খানিক কপট বিরক্তিও ভর করে বুঝি ;)

অাজকের লেখার প্রথমার্ধ কিন্তু কানাডার স্কুলে একদিন-ই ছিল.......পরেরটা না হয় অাপনার লজিক অনুসারে ভিনদেশীর দৃষ্টিভঙ্গী ধরে নিলাম!!.......অাসলে হয়েছে কী, কানাডার স্কুলে একদিন টাইটেলটা এত্তগুলা সেক্সি অার পারফেক্ট ছিল যে, এটার সাথে অারেকটা সিমিলার নাম মিলিয়েছেন- এটা মেনে নিতেই রাগে-হিংসায় জ্বলে যাচ্ছি X(

ইউ গেট টু বি আ কিড অনলি ওয়ানস ইন লাইফ! এনজয় ইট!
এই কথাটা যেদিন বুঝতে পারলাম সেদিন অামি মহাবিদ্যালয় পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়িয়েছি.......জিনিসটা বুঝতে পেরে নিজেকে রহস্যভেদী মনে হচ্ছিল.....কিন্তু তখন অাশেপাশে না ছিল নিজের বাচ্চা না অন্যেরটা যে তাকে ভাল করে বুঝিয়ে বলব ;) ........অগত্যা নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম- নে বাবা, তোরটা যখন পয়দা হবে তখন........

অামাদের পিচ্চিকালে খুব বাচ্চাই ছিল যারা বুঝতে পারত যে লাইফটা শুধু দিন পার করে দেয়া না এনজয়মেন্টও......খুব বুঝদার কিছু পিচ্চি ছিল সময়ের থেকে কিছুটা এগিয়ে- তাদের তখন বুঝতে পারতাম না ঠিক......অামার নিজের ছেলেবেলাতো সাধারণের মতোই কেটেছে- এনজয়ও করেছি সময়ের অাশীর্বাদেই- কিছুটা পুরনো সময় বলেই তখন খেলেছি-পড়েছি-ঘুরেছি-মেরেছি......জঘন্য স্ট্রেস অামাদেরও ছিল, কিন্তু এখন যেমন ভয়ংকর গালি দেই স্ট্রেসকে- তখন দেবার ততটা সুযোগ ছিল না......বাচ্চাকালটা প্যারেন্টসরাই বুঝে না, বাচ্চারা কী করে বুঝবে?
অামার বাসার পাশে একটা কোচিংয়ে সন্ধ্যা রাত ৮টা পর্যন্ত পড়ে!! ইচ্ছা করে দিগম্বর হয়ে গলা ছেড়ে কান্দি :((

এশিয়ান বাচ্চারা এত স্মার্ট কি করে?
কতাডা তাইলে হাচা নিহি ডুড? অামিতো অনেক অাগে হুনচিলাম যে, ভার্সিটিত যারা পড়বার যায়, হ্যারা গিয়ে দ্যাহে যে, এশিয়ান চিকন চোখার বা বাদামি চামড়ার পুলাপাইনগুলা নিহি কিছুডা বালা করে কেলাশে? ব্যাপারডা কি হগলখানেই কি মুডামুডি এক? মানে কইতাম চাই যে- অামি যদি অহন বৈদেশ পড়তে যাই, তাইলে কী কেলাশে ফার্স্ট হয়া যামু নিহি অাবার? অাম্রিকা-উরুপের পুলাপাইনেরা কি তাইলে কম বালঅ করে নিহি সবখানেই-সব কেলাশেই? :D

........এবং এবোরিজিনাল ইংলিশ একসেন্টের একটা শব্দও আমার বোঝার কথা না এবং আমি বুঝিও নি
দেশে থেকে ইংলিশে মাস্টার্স পাশ দিয়ে যারা বের হয় তারাও কোনদিনও রিয়েল বিদেশী একসেন্ট ধরতে পারবে না, যদি না মুভি-সিরিজ-মিউজিক দেখার অভ্যাস না থেকে থাকে.....অামাদের ইংলিশ শেখার সিস্টেমে এখনো কোন শিক্ষকই ভিজুয়াল মিডিয়ামকে প্রাধান্য দেয় না.....বই পড়েই জ্ঞানের সবটুকু অাহরণের ইচ্ছা বুড়োদের মাঝেও কম না :|

সব স্টুডেন্টকে টু দ্যা লিমিট পুশ করতেন
অাফসোস অামাদের টিচাররা কখনো এটা শেখানও না- কিংবা জোর করেও অঅমাদের দিয়ে করান না.....অামদেরই জীবনে ঠেকায় পড়ে শিখতে হয়- অনেক পরে......

সিরিজ চলুক......মালগাড়ীর লম্বা ট্রেনের মতন......প্রতিটা বগির উপর দিয়েই হেঁটে যাব অাশাকরি :)

৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মাস্টার সাহেব! আমি তো ভাবতে শুরু করেছিলাম, লেখা দিয়ে অনেক সময় হয়ে গেল। এখনো মাস্টার সাহেব ছড়ি হাতে নিয়ে ঢুকছেন না কেন? হাহা। আপনি এসেই সেই উত্তর দিয়ে দিলেন।

নাটকের বাকি পর্ব! হাহা। পারেনও আপনি। এসেই বকাবকি শুরু করে দিলেন। নাও, জলদি পোষ্ট দিলেও বকা, না দিলেও বকা! কোনদিকে যাই আমি? ;)
আরেহ, রেগুলারলি পোষ্ট দিতে পারলে আমি নিজেই তো ভীষন খুশি হতাম। বাট লাইফ গেটস ইন দ্যা ওয়ে! :)

হুম প্রথমার্ধ একদিন ছিল, দ্বিতীয়ার্ধ আরেকটি একদিন ছিল, তৃতীয়ধার্ধ.....শেষার্ধ এদিক সেদিকের আরো নানা দিন ছিল। আমার প্রথম সেমিস্টারের নানা দিনের নানা কাহিনী উঠে এসেছে। সো এগেইন আই উইল সে, একেকটি দিন ইজ মাচ মোর এপ্রোপ্রিয়েট।
সেক্সি? হাহা! একটি স্কুল জীবনের গল্পের টাইটেল সেক্সি? কি বিশেষন! বাহ! :D

আসলে হয়েছে কি আমি আপনাকে বলছি। আপনি প্রথম থেকেই একদিন পড়ে অভ্যস্ত, তাই নতুন কিছুতে মানিয়ে নিতে অসুবিধে হচ্ছে। আমার টাইটেল প্রথম থেকেই একেকটি দিন হলে এই সমস্যাটা হতো না! আর ধরে নিলাম, আপনি একেকটি শব্দটিকে সেভাবে দেখছেন না যেভাবে আমি দেখছি। তবে আমার বিশ্বাস, এই নামটিও আপনার জলদিই ভালো লাগতে শুরু করবে। দেখতে দেখতে পড়তে পড়তে দিজ ওয়ান উইল বিকাম হটার! হাহাহা।

ইউ গেট টু বি আ কিড অনলি ওয়ানস ইন লাইফ! এনজয় ইট!
এই কথাটা যেদিন বুঝতে পারলাম সেদিন অামি মহাবিদ্যালয় পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়িয়েছি.......জিনিসটা বুঝতে পেরে নিজেকে রহস্যভেদী মনে হচ্ছিল.....কিন্তু তখন অাশেপাশে না ছিল নিজের বাচ্চা না অন্যেরটা যে তাকে ভাল করে বুঝিয়ে বলব ;) ........অগত্যা নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম- নে বাবা, তোরটা যখন পয়দা হবে তখন........

হাহাহা, আপনার কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাই। তারপরে থমকে ভাবি আরেহ একটা বড় ম্যাসেজ এরমধ্যে ছিল! এত সহজ একটি সত্য বুঝতে পুরো শিক্ষা জীবনই পার হয়ে গেল! শৈশব হাত ছেড়ে চলেই গেল! বেশিরভাগেরই এই দশা হয়!

এশিয়ান বাচ্চারা এত স্মার্ট কি করে?

ইয়েস ডুড, ইট ইজ। এশিয়ান বাচ্চারা যারা যায় তারা প্রায় সবাই ভালো করে। বেশ ভালো করে। কানাডিয়ানরা অতোটা সিরিয়াস না পড়াশোনায়। তারা যদি ন্যাচারালি স্মার্ট হয় তবে পড়ে। নাহলে অন্যকোন প্যাশনের দিকে ছোটে। আমাদের দেশে বা এশিয়ায় একটা বাচ্চা পড়াশোনা সহজে না বুঝলেও, কম মেধাবী হলেও খেটেই যাবে। কেননা এটাই জীবনের প্রথম এবং শেষ। ওখানে সেটা না। ওখানে নাচ, গান, কমেডি, গিটার কোনকিছুই ছোট না। পড়াশোনার মতোই গুরুত্ব সবকিছুতে, জাস্ট ফাইন্ড ইওর ওয়ে ইনটু সামথিং মিনিংফুল। দেন ইওর ফ্যামিলি এণ্ড সোসাইটি উইল বি প্রাউড অফ ইউ! একটা মিনিমাম এডুকেশন এখানেও লাগে। যেকোন কিছুতেই ট্রেইনিং লাগে। তবে একদমই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে তেমন কিছু নেই। হাই স্কুলেও ৯০ আপ মার্ক পেতে হবে এমন কিছু নেই। এজন্যে মার্ক ওয়াইজ হয়ত এশিয়ানরা বেটার করে, বাট লাইফ ওয়াইজ???? মেবি নট!

সিরিজ চলুক......মালগাড়ীর লম্বা ট্রেনের মতন......প্রতিটা বগির উপর দিয়েই হেঁটে যাব অাশাকরি :)

আমিও তাই আশা করি। পাশে থাকবেন এভাবেই।

আমার সকল শুভকামনা রইল আপনার জন্যে।

৫২| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বিজ্ঞানে যেমন, কোন কিছু না দেখে, বা না জেনে, বা সুক্ষ পরিমাপ না করে, কোন কিছুর বিশ্বাস করে না, তেমনি আপনার উপর আমার বিস্বাসের এ রকম অবস্থা ! এখন কি ভাবে বুঝি যে আপনি আমার ছোট বা কেমনে নাম ধরে ডাকি, সেকারণে মনে হয়, সাহেব বা অন্য ভাবে ডাকলে ভালো হয় । আপনার কথবাতাতে, মনে হয়, আপনি একজন অনেক মেচুয়েট একটা মেয়ে, কারণ এতো ছোট বয়সে এতো পাকা সম্ভব না, যা কিনা আমার মধ্যে নেই ।। ;) আমি ভাই পলিট্রিক্স কম বুঝি, এ কারণে হয়তো এখনো, নিবোধই রয়ে গেলাম ।। :(

জি, আমি ভাল আছি আর জানেন তো আমি কখনো খারাপ থাকি না, কারণ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আছে । জীবনে যেকোন পরিস্থিতি আসুক না কেন, তার বাস্তবতা মেনে নেওয়ার মন-মানসিকতা আছে বা সবসময় প্রস্তুত ।

ধন্যবাদ ।

৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, শুনুন কবীর সাহেব, একজন মেয়ে একজন সেইম বয়সের ছেলের তুলনায় এট লিস্ট ৫ বছরের বেশি ম্যাচিউর হয়। তাকে হতে হয়। হুমায়ুন আহমেদের একটি কথা আছে, "মেয়েদের কোন ছেলেবেলা থাকে না। দশ বছর বয়স থেকেই তাদেরকে নিজেকে রক্ষা করে চলতে হয়।" একজন মেয়ে হিসেবে বলছি ওনার কথাটি ১০০% ঠিক। কৈশোর বয়সে যখন একটি ছেলে হাফ প্যান্ট পড়ে ফুটবল খেলে বেড়ায়, মেয়েটি ওড়না দিয়ে বুক ঢাকে কুনজর থেকে বাঁচার জন্যে! মনে মনে জানে, লোভী চোখ ওড়নার পরোয়া করেনা, তবুও খড়খুটো যা কাছে পায় তাই আকড়ে ধরে!

আর আপনি আমার চেয়ে বয়সে বড়ই হবেন। কেননা আপনি চার বছর পড়ে ফেলেছেন অলরেডি, আর আমি এখনো পড়ছি। ব্যাচেলরস কম্প্লিট করতে অনেক দেরী! আপনার জুনিয়ারই হবো বয়সে! সো, ফিল ফ্রি টু কল মি জাস্ট সিরিজ সার্কিট, এবং আপনি চাইলে তুমিও ডাকতে পারেন। সমস্যা নেই। আর সমস্যা অনুভব করলে সামুপাগলা০০৭ বলেই ডাকুন। কি আর করা! হাহা। :)

আপনি পলিটিক্স কম বোঝেন, আর আমি একদম বুঝিই না! হাহাহা।

নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রন থাকলেই, বাস্তবতা মেনে নিতে পারলেই সবাই সুখী হয়না! আপনি হতে পেরেছেন বলে অভিনন্দন।
হুমম ধন্যবাদ আপনাকেও।

৫৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনি ব্লগ লিখেছি: ৪ বছর ১১ মাস তারপরে আবার বলছেন , চার বছর এখনো শেষ হয়নি !!এখন গনিত না, অংক বোঝাবেন, কি বোঝাবেন বোঝান একটু , এখন আমি আপনার ছাত্র ? পরেও কিন্তু , সবসময় ....।

৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বলিনা ছেলেটা নিজের মনেই গল্প করে? কোন কথা কিসের সাথে প্যাঁচ লাগিয়ে হাসতে থাকে!

আমি ব্লগে চার বছর শেষ হয়নি সেটা বলিনি। ভার্সিটি লাইফের কথা বলেছি। আপনি যেমন ১ বছর দশ মাস ধরে ব্লগে আছেন, কিন্তু চার বছর ধরে যাদু শিখে ফেলেছেন! তেমন!

এই নাম নিয়ে যে আর কত প্যাঁচ লাগাবেন! আল্লাহ! হোয়াট হ্যাভ আই গটেন মাইসেল্ফ ইনটু!!!

৫৪| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
তোমারা যেখানে ভন্ড দেখ আমি সেখানে দেখি ভক্তি !! থাক আর মারফতি লাইনে না যাই, মূলকথায় আসি !!! ;) আরে সাকিট , আপনি সাহিত্য দিয়ে মেয়েদের সাফাই গাইলেন । বড় ভাল , ঠিক আছে এবং তা বুঝলাম । আপনি প্যাচ দেখতে পাচ্ছেন আর আমি জলের মত ..... আপনার সুপার কম্পিউটারকে (মস্তিষ্ক) আরো কিছু প্রোগ্রাম দিয়ে ইন্সটল দেন।। না বোঝার কি ছিল ? উপরের কথা, আমি দুই লাইনে বোঝানোর চেষ্টা করেছি !! নিবোধের সাথে বন্ধু করতে যাচ্ছেন, সে কারণে নিবোধকে একটু হলে আবিষ্কার করে নিতে হবে । যাইহোক, এবার আসি .. :(

এখন আমরা গনিতের মাধ্যমে সাকিটের চালাকি বের করার চেষ্টা করবো এবং সহজ সমাধান করবো যে সাকিট একটা ...চালাক, ধরি , সাকিট এখন তার ভার্সিটি লাইফের ৪ বছরের মধ্যে ৩ বছর আছে , আর সামুতে আছে সে প্রায় ৫ বছর ধরে, তাহলে আমরা ৫+ ৩= ৮ বছর (আমি পজেটিভ লোক তাই যোগ করলাম )। এখন মিস সাকিটের স্মৃতিচারণ করি ও তার পেছনে ফিরে যাই , আমার দেখতে পেলাম কি সে তখন ৮ ক্লাসে পড়ে । এখন প্রশ্ন হল ৮ ক্লাস পড়ুয়া মেয়ে তখন কিভাবে ব্লগিং করত ? ;)


আজ আর না প্রতিউত্তর দেখে বিদায় নিব ।
ধন্যবাদ ।

০১ লা জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কবীর সাহেব, আমি অনেক ইয়াং বয়সে ব্লগে একাউন্ট খুলেছিলাম। আপনার মতো প্যাঁচালো ম্যাথ করছিনা। স্মৃতি থেকে বলছি, মিড টু লেইট টিনএইজ অর সো, তখন খুলেছি একাউন্ট! আর সেটা অসম্ভব মনে করার কোনই কারণ নেই। আমি আমার কিশোরি জীবনের অনেক কাহিনী লিখি তাই এমন অনেক রিডার'স পাই যারা গ্রেইড ৯/১০ এ পড়ে। বলে, আপু তোমার লেখার সাথে রিলেইট করতে পারি। সো, আমিই প্রথম না, আমিই শেষ ও না। গ্রেইড ৮ কি ভাই? ৫ এ পড়া মেয়ে বা ছেলেদেরও ফেইসবুকে, ইন্সটাগ্রাম সহ আরো কি কি আছে আমি তো অতো নামও জানি না সেসবে একাউন্ট থাকে। আর ব্লগে একাউন্ট খোলার কোন এইজ রেস্ট্রিকশন তো নেই!

আমি বেশ ইয়াং এইজে ব্লগে একাউন্ট খুলেছিলাম সেটা সবাইকে বলিও। অনেকে বলে মেয়ে হয়েও সামুপাগলা০০৭ নাম কেন? আপু না ভাইয়া বুঝতে অসুবিধে হয়, এই সেই। আমি বলি, সেসময়ে অতো বুঝতাম না তো। অনেক ছোট থাকতেই ব্লগে একাউন্ট খুলেছি! হাহা! এসব আমি নিজেই সবসময় বলি। সো আই হ্যাভ বিন ওপেন এবাউট ইট। চালাকির কিছু ছিলনা এতে! এত হিসেব করে বের করার মতোও কিছু ছিল না এটা।
একাউন্ট আমি লিখতে বা কমেন্ট করতে খুলিনি। আমার আশেপাশে অনেকের পরিচিতরই সামুতে একাউন্ট ছিল। আর খুব শুনতাম সামুতে অসাধারণ কিছু লেখক আছেন। কেউ কেউ বলত এই লেখাটা পড়িস, ওটা পড়িস! কিছু সিরিজ ছিল যেগুলো ম্যাডলি ফলো করতাম। ভাবলাম সবারই আছে, আমিও সামুতে খুলে ফেলি একটা! সো? হোয়াট'স সো ইমপসিবল এবাউট ইট?

আমি অনেক লাকি যে সামুতে আমার একাউন্ট ছোট বয়স থেকেই আছে। কেননা আমি কম বয়স থেকে দেশের বাইরে পা রাখি। আর পড়াশোনায় বাংলা পড়া/লেখার প্রয়োজনীয়তা পুরোপুরি হারাই। সামু ছিল/আছে বলে বানান মনে থাকে আমার। মনের ভাব নিজের ভাষায় এখনো গুছিয়ে লেখার সামর্থ্য রাখি। আর আমি যেকোন টিনেজারকেই ফেইসবুকের যে ব্লগে বেশি টাইম দিতে বলব। নিজের লেখা/আঁকা এসব পোষ্ট করে উন্নত হওয়ার সুযোগ থাকে এখানে! ইটস আ গুড প্ল্যাটফর্ম ফর এনিওয়ান, ইয়াং/ওল্ড।

নিবোধের সাথে বন্ধু করতে যাচ্ছেন, সে কারণে নিবোধকে একটু হলে আবিষ্কার করে নিতে হবে ।
বন্ধুত্ব? আপনার আমার? দক্ষিন মেরু এবং উত্তর মেরুর? দেখা যাক............

ভালো থাকবেন।
বিদায়!

৫৫| ০১ লা জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আমার ম্যথ ভুল আছে, তা ধরতে পারেন নি। B-) আর সব ঠিক আছে।


এ নিয়ে পরে কথা হবে। ব্যস্ত।
ধন্যবাদ

০১ লা জুন, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি ধরার চেষ্টাও করিনি। যে হিসেবের প্রয়োজনই ছিলনা, তার আবার ঠিক ভুল কি?

হুমম, পরে কখনো....
ওয়েলকাম!

৫৬| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সাকিট সাহেব, কেমন আছেন ?




থাক তাহলে, উপরের আলোচনা বাদ !!! B-)

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমাকে কোন নাম দেবার দরকার নেই। না ডেকেই কথা বলুন প্লিজ। :)

হুম ভালো। আপনি? ওহ! আপনি তো সবসময় ভালোই থাকেন। আজকে কি বেশি বেশি ভালো না কম কম ভালো?

৫৭| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কোন কিছুর আপত্তি থাকলে, তা পারে বিপত্তি হতে পারে !! ডাকবো না, থাক বাদ !! :(

জি, ভালো আছি। হা,হা, কথায় আছে না, যে মন্দের ভালো !! সে কারণে এভাবে প্রশ্ন করা...... !!! দারুণ তো !! =p~

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কোন কিছুর আপত্তি থাকলে, তা পরে বিপত্তি হতে পারে!
কথাটি সুন্দর বলেছেন। ভীষন ঠিকও!

হুমম, আর কি বলব? :)

৫৮| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আর কি বলব?

তাহলে নিদ্রায় যান !! :-P খানিক নিদ্রাকুসুম তৈল মাথায় দিয়ে !! ঘুম পাড়ানি মাসি মোদের বাড়ি এসে ,,,,,,, আপনার উপর ঘুমের ঠাডা পরুক । শুভ রাত্রি ।

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১১:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হোয়াট? এই দুপুর বেলায় ঘুমাব? বাইরে ভীষন সুন্দর রোদ খেলে যাচ্ছে ঝলমলিয়ে, সেই আলো জানাল টপকে আমার ঘরে এসে পরছে। ঘুম আসবে না রে এখন। আর আপনি তো রাত জাগা পাখি! রাত ১১ টা তো কিছুই না আপনার জন্যে। রাত সবে শুরু হলো! তাই না? হাহা।
এক কাজ করুন, আপনিই বরং মাথায় তেল দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। বেশি রাত জাগা তো শরীরের জন্যে তো খারাপ! নয়? ;)

শুভ রাত!
সুইট ড্রিমস!

৫৯| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বুঝতে হবে ! আমার অবস্থান থেকে আমি কথাটা বলেছি !! ধরুণ, চিঠি লিখে দিলাম কিন্তু চিঠি যেতেও সময় লাগবে !! :-P
আর দুই দিনে অভিভাবকের মত খবরদারি, বাবু রাত জেগেও না , রাত জাগা শরীরের জন্য ভালা না, !! =p~

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহো, তো কতদিনে খবরদারী করতে হয়? দেড়দিনেই শুরু করা উচিৎ ছিল, তাই না? জানিই, তবে দয়া করে আধা দিনের এক্সট্রা ফ্রিডম দিয়েই দিলাম। হাহাহা।

এটা তো চিঠি নয়, ব্লগে কমেন্ট। দেওয়া মাত্র চলে আসবে! দিন রাতের ডিফারেন্সের ব্যাপারটা মাথায় ছিলনা, স্বীকার করলেই হয়! আসলে বেশি রাত জাগলে শুধু শরীর না, ব্রেইনেও ভালোই এফেক্ট হয়! ;) :D

নারে, খবরদারি না। আপনার "খানিক নিদ্রাকুসুম তৈল মাথায় দিয়ে !! ঘুম পাড়ানি মাসি মোদের বাড়ি এসে ,,,,,,, আপনার উপর ঘুমের ঠাডা পরুক।" টাইপ কথার জবাব তো দিতেই হত! এজন্যে বলেছি।

ভালো থাকুন!
বিদায় আজকের মতো!

৬০| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

আচ্ছা, ভাল থাকুন !! B-)

০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই, কেমন আছেন? আশা করি বরাবরের মতো ভীষন ভালো!

এখন কিন্তু সত্যি সত্যি ঘুমোতে যাচ্ছি! শুভ রাত্রি বলতে পারেন চাইলে! হাহা।
আপনার সারাটি দিন অনেক ভালো কাটুক।

আপনিও ভালো থাকুন!

৬১| ০২ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আচ্ছা,বলে দিলাম.......
শুভ রাত্রি ।

আজ কেন জানি ভালো নেই ,মনে হচ্ছে ব্যতিক্রম ! কি সৌভাগ্য আমার ! মনটা চুম্বকের মত হয়ে আছে, উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণে মেরু যেতে যাচ্ছে কিন্তু পারছে না, যত বার দ্বিখন্ডিত করিনা কেন, চুম্বকের ধর্ম এর মত ততবার দু দিকেই যাচ্ছে ! মনে হচ্ছে তা কখনো সম্ভবও না । এই হল আমার অবস্থা ! =p~

ধন্যবাদ ।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাপরে বাপ! ছেলের ডায়ালগ শোন! মন তার চুম্বকরের মতো হয়, দ্বিখন্ডিত হয়, বেয়াদবী করে অন্য মেরুতে যেতে চায়! এই ডায়ালগ সিনেমায় বললে তো পাবলিক সিটি বাজাত! বেয়াদব মনকে নায়ক জশিমের মতো মেরে ধরে সাইজ করুন, মন ঠিক হয়ে যাবে! :P :D

কি ব্যাপার মশাই? মন কি আসলেই খারাপ কোন কারণে?

৬২| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হুম, টোকাইদের মন বলে কিছু থাকে না আর থাকা উচিৎও না।। যাইহোক,মন খারাপ নিজের জন্য না, অন্যর জন্য !! জাষ্ট একটা সিগন্যাল বুঝতে ভুল করেছিলাম মনে হয়, !! এখন মনে হচ্ছে এটা একটা মাইন্ড গেম ছিল!! অন্য কিছু না !!


কে বলেরে ভাগ্য নাই, ভাগ্য ছাড়া মানুষ নাই, লটারি, লটারি !! এই জসিম মিয়া বাংলা সিনেমায় অনেক বার লটারি বিজয়ী হয়ে বড়লোক হয়েছে ।। হুমম, এখন থেকে আমিও লটারি ধরমু !! =p~

ধন্যবাদ ।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম, টোকাইদের মন বলে কিছু থাকে না আর থাকা উচিৎও না।
কি হয়েছে কবীর সাহেব? এতসব সিরিয়াস, অভিমানী কথা? মন তো মনে হয় আসলেই খারাপ ছিল/আছে! আমি দোয়া করি, আপনার এবং আপনার আশেপাশের মানুষের মন সর্বদা আনন্দে ভরে থাকুক!

হাহা, ছোটবেলায় অনেক বাংলা সিনেমা দেখতাম। আর কিছু কিছু ডায়ালগ শুনে বা অদ্ভুত গল্পে হেসে কুটিপাটি হতাম।
এই এটি দেখুন, view this link! আগে না দেখে থাকলে এখন দেখে হেসে খুন হবেন! শিওর! ;)

৬৩| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হুমম, অল ইজ ওয়েল , অল ইজ ওয়েল !! দেখি ................ তেমন কিছু না, লাইফে খারাপ সময়, ভালো সময় দুটাই থাকে, মনে হচ্ছে লাইফের একটু খারাপ সময় ।ছোট একটা ভুল সিগন্যালের কারণে !! তারপরে নিয়ন্ত্রণ হারাবো না কখনো....

ধন্যবাদ ।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সিগন্যাল! নিয়ন্ত্রণ! হোয়াট আর ইউ পয়েন্টিং এট? কোন প্রেমঘটিত ব্যাপার মনে হচ্ছে! হাহা কিডিং। আমি জানি না আসলে কি ব্যাপার। তবে আপনার কথাই আমার কথা। জীবনে দুঃখের বাদল যেমন আসবে, সুখের বৃষ্টিও! ধৈর্য্য ধরে সব পার করে যেতে পারার নামই জীবন!

আমি দোয়া করি, আপনার একটু খারাপ সময় জলদিই অনেক ভালো সময়ে পরিণত হোক!

৬৪| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আরে না, প্রেম-পিরিত মায়া জালে কেউ কখনো ফেলতে পারেনি । একজনে উদ্দেশ্য বোঝা, জাষ্ট এমন কিছু কিন্তু একটু তাতে ব্যথ ।। থাক এ বিষয় নিয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না....... নিজের প্রাইভেসি বলে কথা আছে না !! B-) হয়তো সময় অনেক কথা বা উত্তর বলে দিবে......



ধন্যবাদ ।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মনকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখলে জালে পরবেন কি করে? যাক, জালে না পরে মুক্ত স্বাধীন জীবন যাপন করছেন! সেটাই ভালো!
অবশ্য জাল থেকে যদি ভালো কিছু হয় তবে জালই ভালো! ;) :D

হ্যা হ্যা, অবশ্যই প্রাইভেসি জরুরি। এজন্যেই আপনার মন কেন খারাপ আমি জিগ্যেস করিনি। কেননা জানি, সুখের খবর সবাইকে দেওয়া গেলেও দুঃখগুলো খুব আপনজনদের সাথেই শেয়ার করা যায়। অথবা নিজের মনে লুকিয়ে রাখতে হয়!

সময়ের অপেক্ষা করুন, আশা করি যা যেভাবে জানতে চান, সেভাবেই ধরা দেবে!

৬৫| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
জালে পড়ে তার সুন্দর জীবন নষ্ট করার মত ততটা নিবোধ আমি নই, মাঝে মাঝে ভাবতে অবাক লাগে, কে আমি , কিসের আমি ? সিরিয়াস মুডে নিজে নিয়ে কখনো ভেবে দেখিনি ! শুধু জানি সকল কিছু সুন্দেরর মাঝে এক অসুন্দর এই আমি । যদিও এটা আমার আত্নবিশ্বাসের অভাব নাহ , তবুও । জীবন কি ? আর এই জাল টালের নেকানো দেখতে মনডা চায় একটা থাপ্পড় দেই, তারপরে কথা বলি , তোমার প্রয়োজন ভালো কথা , সরাসরি বলে ফেললে কি ক্ষতি , হোক আর, না হোক!!এমন পরিস্থিতিতেও পড়েছি কিন্তু আমি বান্দা তো বান্দরের হাড্ডি ।। তাদের নাকি স্বজাত ধম লোকে মুখে শোনা, ““তাদের নাকি বুক ফাঁটে তো মুখ ফাঁটে না”, কেউ কখনো আমাকে অফার করেনি, সে কারণে আমি কারো জালে আটকেনি , তবে মজার ব্যপার হল কি , রাস্তায় চলতে পথে একবার টিএসসিতে একটা মেয়েকে খুব ভালো লেগেছিল । কিন্তু কিছু বলার সাহস হয়নি ।। হুমম, লিখে দিলাম ইতিহাস আকারে।। ;)

ধন্যবাদ।

০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই নিজের জীবনের কিছু ভাবনা আপন ভেবে শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ!

শুধু জানি সকল কিছু সুন্দেরর মাঝে এক অসুন্দর এই আমি ।
ধুর কি যে বলেন! এইসব আজেবাজে জিনিস জানা মানার দরকার নেই।

হুমম তার মানে আপনি মায়া জালে পরেছিলেন ঠিকই, কিন্তু সাহসের অভাবে কোন পরিণতি হয়নি!
আরেহ মেয়েরা অফার টফার সাধারণত করে না। এটা ছেলেদের দায়িত্ব! ;) আর মেয়েরা সহজে অফার একসেপ্ট ও করেনা। গোলকিপার তো বল আটকাবেই। তার মানে আপনি গোল দেবার চেষ্টা করবেন না? হাহাহা।

শোনেন, মজা রেখে সিরিয়াসলি বলি, এসব নিয়ে ভাবার কিছু নেই। যাহার আসার কথা, যখন আসার কথা, সে তখনই আসিবে। একটু আগে পিছু হবারও সুযোগ নেই! শান্ত মনে অপেক্ষা করুন.......... ;)

আমি বান্দা তো বান্দরের হাড্ডি
বাহ! একদম আমার মনের কথা বলেছেন। আপনাকে নিয়ে আমি যা ভাবি আপনিও দেখছি নিজেকে নিয়ে তাই ভাবেন! ;)

ভালো থাকবেন অনেক।

৬৬| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আমি যতটা না হতাশ, এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত তার চেয়ে একটু বেশি সান্তনা দিয়ে গেলেন, ধন্যবাদ ।। আর আমাদের দিয়ে এই মায়ার জালে কাউকে ফেলা বা কারোর মায়ায় পড়া সম্ভব না । কারণ আমি হার্টলেস । যাদের হৃদয় আছে তারা এ দুঃসাহস করে। আবারও বলি ফাইনালি আমার দ্বারা সম্ভব না।। পরে একটা সুন্দর কথা বলেছেন, যার যা ভাগ্য আছে তার তাই হবে ।। রাইট ।।আর আমার একটা ছোট আশা আছে যদি তা পূরুণ হয় তবে , সেরে ফেলবো । একটা সরকারি চাকরি, আশা করি হয়ে যাবে । আর আমার সাবজেক্ট যা তার সরকারি কর্মক্ষেত্র একটু হলেও কম । জানেন তো নিশ্চয়। যদি কোন কারণে না হয় , তবে গ্রামে চলে যাব । বাবার জমি-জমা আছে তা দিয়ে, কোন ভাবে দিন পথ চলে যাবে । আশা করি, প্রাইভেট চাকরি করার চেয়ে ভালো ভাবেই।। কারো কাছে ছোট হওয়া বা নত হওয়ার আমার ফ্যমিলি স্ট্যাটাসে নাই।গরীব হতে পরি কিন্তু এটাই আমার গর্ব ।। আর আমি বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে তাদের একটু হলেও বড় স্বপ্ন তো থাকবেই । দেখি পুরুণ করতে পারি কিনা।। না হলে কোন ব্যপার না । সবাকে দিয়ে সবকিছু হয় না । আমার ব্লগে পারসোনালিটি এক আর বাস্তবে আরেক !! সবার সাথে মজা করি ভালো লাগে, এই আর কি ।।
আরে, প্রথমে একটা কথা বললে না, সবকিছু শেয়ারের বিষয়টা !! আমি সবাইকে বিশ্বাস করি, যদি কেউ সমমনা হয় তবে গল্প, আড্ডা দেই ভালো লাগে । আপনাকে আমার সমন্ধে বলতে সমস্যা কোথায় ! যদি বিরক্ত না হন তাইলে গল্প করার মজাই আলাদা ।। আর ভালো কথা,যদি কোন কথায় বিরক্ত হোন তাহলে সরাসরি বলবেন ।কারণ, আমি সরাসরি কথা বলা পছন্দ করি, এবং শুনতেও ।।
কোন নোকামে জিনিষটা আমার একদম পছন্দ না , তবে আপনার মধ্যে এমন কিছু নেই । আপনার সাথে কথা বলে বুঝেছি !! সাটিফিকেট নাম্বার দু !! ;)

ধন্যবাদ ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৮:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জানেন, একটা বাচ্চাকে যদি বাচ্চা বলা হয়, তবে সে গাল ফুলিয়ে দু হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বলে যে আমি বাচ্চা নাআআ! বড় হয়ে গিয়েছি! তখন ভীষণ কিউট একটা দৃশ্য হয়। আপনি যখন হুটহাট করে নিজেকে হার্টলেস বলেন, একদম এক সিন হয়! হাহাহা। ট্রাস্ট মি ডুড, ইউ আর ফার ফ্রম বিং হার্টলেস! আপনি অন্যথায় বলার পরেও এমন কেন মনে হয়? আল্লাহ মানুষকে দু চোখ দিয়েছেন যা দিয়ে সে অন্য সবাইকে দেখতে পারে কিন্তু নিজেকে না। আপনার চোখের নিচে পরে থাকা আলগা পাপড়িটা সামনের জন ঠিকই দেখতে পারবে, কিন্তু আপনি না! কখনো কখনো আমাদের সামনের/আশেপাশের মানুষ আমাদের মনকেও বেশি পরিষ্কার ভাবে দেখতে পায়! যতটা আমরা নিজেরাও পারিনা!

যাই হোক, এটা আমার অবসারভেশন। ভুল হতে পারি। কথাগুলো মনে হল বিধায় বলে দিলাম। আপনার খারাপ লাগেনি আশা করি!

নারে, আমি স্বান্তনা দেবার চেষ্টা একদমই করিনি। স্বান্তনা দেবার চেষ্টা থাকলে গোলকিপার টাইপ জোক বলতাম না। শেষের কথাটুকুই ব্যাস সিরিয়াসলি বলেছিলাম। স্টিল আই এম সরি ইফ আই মেইড ইউ ফিল দ্যাট ওয়ে!

কারো কাছে ছোট হওয়া বা নত হওয়ার আমার ফ্যমিলি স্ট্যাটাসে নাই।গরীব হতে পরি কিন্তু এটাই আমার গর্ব ।
কথাগুলো ভালো তো লাগলই, আর রিলেটও করতে পারলাম ভীষনভাবে। আমিও মিডল ক্লাস পরিবারের এবং মা বাবার একমাত্র মেয়ে। আমাদের মতো শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষদের বাঁচার জন্যে টাকার চেয়ে সম্মান অনেক বেশি জরুরি। এই আত্মসম্মানবোধ, কমের মধ্যেও মাথা উঁচু করে বাঁচার মানসিকতা নিয়ে আমিও ভীষন গর্ব করি! ওহ, আপনার এই কথাটি পড়ে মনে হলো, উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু হয়ত আমরা নই পুরোপুরি! :)

সার্টিফিকেটের জন্যে থ্যান্কস। :)

জ্বি একদম আড্ডা দিতে আমিও ভীষন পছন্দ করি। রিয়েল/ভার্চুয়াল দুই জীবনেই!

বিরক্ত হলে আমি কিছুই বলবনা, কথা কমিয়ে বন্ধ করে দেব! যতদিন কথা বলছি বুঝবেন বিরক্ত নই। আসলে আমি ক্যাচাল পছন্দ করিনা। এই কথায় বিরক্ত লাগল বললে সামনের জন নিজের রিজন দেয় সেটা বলার, তখন আমি কিছু বলি, সে কিছু বলে! ওভারঅল কথায় কথা বাড়ে, মনের শান্তি ও সময় নষ্ট হয়! শান্তিতে আড্ডা মারতে পারলে, ভালো সময় দিতে/নিতে পারলে আছি, নাহলে নাই। ;)

ভালো থাকুন, সুখে থাকুন!

৬৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ৯:২২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হায়, হায় আপনি আপনার মা-বাবার একমাত্র মেয়ে।এগুলো তো একটু হলেও ঘাড়ত্যাড়া হয়ে থাকে !! B-) কোন ব্যপার না। তবে ওনাদের সৌভাগ্য, যে আপনার মত একটা লক্ষী মেয়ে জন্ম দিয়েছে। যদি আমি ভুল না বলি, এবং আমার অবসারভেশন ভুল না হয়ে থাকে, তবে আমার কথা শতভাগ সত্যে আর ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষার জন্য বিরাট ভুমিকা তার পরিবার রাখে । আর কথায় আছে না ব্যবহারের বংশের পরিচয়, এ কথাটা একদম ফেলার দেওয়ার মত না। এই ধরুণ আমারটা বলি, আমার নানার বংশ খুব ভলো কিন্তু বাবারটা তেমন না, কারণ ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি আমাদের বংশের অস্তিত্ব রক্ষা বা সম্পদ জন্য অন্য বংশের সাথে মারামারি ধরাধরি করতো । যদিও এখানে কিছুই করার নাই সব পরিস্থিতির স্বীকার । এখন অবশ্যই এগুলো একদম নেই । আর আমার মা আমাকে সেই ৮ ক্লাস থেকে বাহিরে দিয়েছে । কোন মা কি তার সন্তান খুব সহজে বাহিরে রাখাতে চায় !! কিন্তু আমার মা কখনো চাইনি আমি ও পরিবেশে আমি বড় হই । তবে দেশের বাহিরে যেতে দিতে নারাজ ।হা,হা,হা অনেকবার বলেছি দেখেছি । আমার মা টা অনেক ভালোরে, খুব সৎ। নিজের মা বলে কিন্তু না, ওনি একটা সরকারি চাকরি করেন, তার ডিপার্টমেন্টে তার যথেষ্ট সুনাম আছে । সবচেয়ে মজার বিষয় হল মার যে পিয়ন আছে বা ছিল অনেকে তারা অনেকে খুব খুব সুন্দর বাড়ি, গাড়ি করেছে । এখন তারা কিভাবে করে কে যানে । অথচ আমাদের তেমন কিছু নেই । যাইহোক, আমরা শান্তিতে আছি এই ভালো ।......
হা, হা, হা হার্টলেস হয়ে থাকি সেই ভাল । কাউকে যদি কোন দিন কথা দেই তবে অবশ্যই তা রাখার চেষ্টা করব, যদিও ব্লগে খুব ফটকামো করি কিন্তু বাস্তবে তার চেয়ে ব্যতিক্রম । কেউ কোনদিন কোনকিছু চেয়ে, না পেয়ে ফেরত যায়নি, তাকে আমার শক্তি সামথ্য দিয়ে হলেও হেল্প করার চেষ্টা করেছি । ওহ ভাল কথা মেরু বিষয়টা কিন্তু একদম বুঝিনি ।আর মাঝে মাঝে আপনি এই বলে ডাকে না , এই ব্লগে আমাকে একজন এই বলে ডাকতো, আপনি কি এই সেই ;) । যদিও তার সাথে আপনার কোন সূত্র দেখতে পাচ্ছি না, বা অহেতুক সন্দেহও করছি না। .....

ধন্যবাদ ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঘাড়ত্যাড়া? হাহা, এটা আমিও অনেক শুনি। একমাত্র সন্তান হলে বিগড়ে যায়, মিলেমিশে থাকার গুণ থাকে না এন্ড অল দ্যাট ননসেন্স! তবে আপনিও একমাত্র সন্তান, এবং বুঝবেন যে এই কথাগুলো কতটা ভুল! আমরা আমাদের বাবা মায়ের সুখের একমাত্র চাবি! আমি কিছু গড়বড় করলে আমার কোন বড়/ছোট সিবলিংস নেই, যে ভালো কাজে সেটা ভুলিয়ে দেবে। উই নট ওনলি হ্যাভ টু বি গুড কিডস, বাট অলসো পারফেক্ট কিডস! তাদের সকল স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব আমাদেরই!

তবে ওনাদের সৌভাগ্য, যে আপনার মত একটা লক্ষী মেয়ে জন্ম দিয়েছে।
ওহো!! লক্ষ্মী মেয়ে? থ্যাংকু থ্যাংকু! আমাকে ঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন এজন্যে আপনাকে অভিনন্দন। ;) :D

আপনার পরিবারের কথা আন্তরিকতায় শেয়ার করায় ধন্যবাদ। অনেককিছু জানলাম আপনার ব্যাপারে। আপনার মা অসম্ভব স্ট্রং মাইন্ডের মানুষ। উনি বিয়ের আগে এক পরিবেশ দেখেছেন, বিয়ের পরে আরেক। সেসব সামলে আপনাকে মানুষ করেছেন একদম মানুষের মতো। সেই পরিবেশে রাখলে হয়ত আপনি ঠিক ভাবে মানুষ হতেন না। শি ইজ আ গ্রেইট মাদার!

আমার বাবা মাও অনেক সহজ সরল ভালো মানুষ রে। চিন্তা হয় তাদের নিয়ে।

যাই হোক, সেসব কথা থাক। মেরুর ব্যাপারটা বোঝাই। আমি আপনাকে একবার বলেছিলাম আমরা দক্ষিণ মেরু আর উত্তর মেরুর মতো। মানে দুজন একে অপরের অপোসিট। আপনি নিজেকে অধৈর্য্য, নন সিরিয়াস মানুষ বলেছিলেন। আর আমি ধীরস্থির, ঠান্ডা মাথার মানুষ। জীবন নিয়ে বেশ সিরিয়াস! কিন্তু কথা বলতে বলতে মনে হচ্ছে আপনার আর আমার অনেক মিল আছে। আপনার কথামতোই ব্লগে আর বাস্তবে আপনার ব্যক্তিত্ব ভিন্ন। মাঝেমাঝে আপনার বাস্তবের ব্যক্তিত্ব বুঝতে পেরে নিজের সাথে মিল খুঁজে পাই। এজন্যে বলেছিলাম, যে আমরা হয়ত অপোসিট মেরু নই। :)

হা, হা, হা হার্টলেস হয়ে থাকি সেই ভাল ।
সোওও কিউট! এগেইন। হাহাহা।

নাহ, আমি আপনার ব্লগ কদিন আগেই দেখেছি। আপনাকে বলেছিলামও। তো আমি সে না। আপনাকে কবীর সাহেব বলে ডাকি না কেননা আপনাকে নিষেধ করেছি আমাকে কিছু ডাকতে। কাউকে নাম না ধরে ডাকলে, এই বলেই ডাকতে হবে। তাই ডাকি!

জ্বি, আপনাকেও ধন্যবাদ!

৬৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:২২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনাকে বলেছিলামও। তো আমি সে না।

আপনার সাথে এ নিয়ে কখন কথা হল, হা হা হা মাইলারালা ।। =p~ আর পাড়ি না গুরু সেই সেই শৈশব থেকে শুরু । এই সেই , থাক থাক !!

আমার স্মৃতি শক্তি দূর্বল না, ময়না তদন্ত করে দেখুন । চোরের মন পুলিশ পুলিশ !!! অন্য কথার জবাব পরে

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যা হ্যা আপনি বলেছেন যে আমি সে না। তবুও নিজের তরফ থেকে ক্লিয়ার করে দিলাম। :) চোরের মন পুলিশ পুলিশ হওয়ায় নয়, সৎ মানুষ সবকিছু পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করে বলে। ;)

কি নিয়ে কখন কথা হবার কথা বলছেন? আপনার ব্লগ দেখার বিষয়?
আপনি আমার ব্লগে প্রথম যখন এসেছিলেন, আমি নিচের কমেন্টটি করেছিলাম।

"আরেহ কবীর সাহেব! গতকালই বোধহয় আমি সাম্প্রতিক মন্তব্যে আপনার কবিতা দেখে পড়তে যাই। কবিতাটি ভালো লাগায় আপনার বেশ কটি কবিতা পড়ি। বেশ ভালো লেখেন আপনি। কিভাবে যেন আগে চোখে পড়েনি, মিস হয়ে গিয়েছিল। ভালো লেগেছে অনেক।"

হুমম সময় করে ইচ্ছে হলে জবাব দিয়েন। :)

৬৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বিলিভ করেছি কোন সমস্যা নেই ! সো নো টেনশন, এটা কোন ঘটনার মধ্যে পরে না , জনবা চুমকি রাণী !! ;) ধন্যবাদ ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি বিলিভ না করলেও টেনশন করতাম না। কুডন্ট কেয়ার লেস।

এই ছেলে এই, চুমকি রাণী কি করে? নাম দিতে নিষেধ করেছিলাম। সেটা শোনেন নি কেন? আর এমন নাম চুমকি রানী? এই অদ্ভুত নামের উৎস এখনি বলুন। X(( ;)

৭০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আমি কাল্পনিক কবি তাই কাল্পনিক বিষয় মাথায় ঘুরপাক খায় !!!
যার কথা বলেছিলাম সে ডাক্তার................... :-P আচ্ছা নাম দিব না ।।।


চুমকি চলেছে একা পথে.............. গানের চুমকি !!! =p~

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা। আপনি এত দুষ্টু? হায় হায়! আমার মনে হলো না কেন গানটির কথা!

জানেন, পাড়ার বখাটেরা এই গানে মেয়েদের বিরক্ত করে। আপনি কি সামুর বখাটে? ;) :D

৭১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
জীবনে কোন মেয়ে বলতে পারবে না, কাউকে কোন ধরণের ইভটিজিং করেছি , যদি পারে তবে তার গোলামী করবো সারা জীবন !!! X((
সামুতে এখন যদি ভাবেন তাহলে কিছু করার নেই ।। সারা জীবন বখাটে বিরুধী আন্দোলন করলাম আর শেষে এসে কিনা আমার নাম বখাটে । X((

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তাই? আপনি আমাকে টিজ করেছেন। চুমকি রানী বলেছেন। নিন, বলতে পারলাম। এখন গোলামি করুন। ;) :D

এই, এত রাগের ইমো কেন দিচ্ছেন? আমি তো আপনাকে বখাটে বলি নি, ব্যাস মজা করে জিগ্যেস করেছি। আপনি মজা করে চুমকি রানী ডাকতে পারলে, আমিও মজা করে বখাটে বলতেই পারি। নয়? :)

৭২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বাতাস বা হাওয়ার অথবা মরিচিকার গোলামী করবো ততটা নিবোধ না, জেনে বুঝে, দেখে তারপরে । যদি মনিব ভালো হয় তবে তার গোলামী করে এক ধরণের শান্তি আছে ।। B-) তাহলে ধরুন =p~ ইমো !!

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই যে আপনি কোন স্বপ্নের দুনিয়ায় বাস করছেন? গোলাম মনিবকে চুজ করেনা, মনিব গোলামকে চুজ করে। আর এতো বড় অপরাধের পরে গোলামি তো করতেই হবে। শান্তির জন্যে নয়, শাস্তির জন্যে। তাই চুপচাপ কোন কথা না বলে, গোলামি আরম্ভ করুন। :D ;)

৭৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: জানেন তো জ্ঞান কম !! ;) যুগ যামানা বদলে গেছে তাই চিন্তা ধারাও !!

তা বুঝলাম কিন্তু শর্তগুলো গুলো তারাতারি ?? :P

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, আপনি না! পারেনও মজা করতে! পরে শর্ত ডিসাইড করব। ;)

আচ্ছা আপনি কি ধরণের গান শুনতে পছন্দ করেন?

৭৪| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ওহ বিজলি চলে যেওনা ..................


ভারতীয় আধুনিক বাংলা গানগিুলো .............. দেশি মিঃ জেমস !!

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লাভভভ জেমস! বস একদম!

ওর এই গানটা বেশি ভালো লাগে। view this link

আর আমি আড্ডাঘরে একটু আগে এই গানটি দিয়েছিলাম। আপনার পছন্দ শুনে, ভালো লাগতে পারে মনে হলো: view this link

৭৫| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
গুরুর কবিতা তুমি............... গানটা আমার কাছে বেশি ভাল লাগে ...................


হা, হা, হা,,,, পরের গানটাও সুন্দর ।।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, আমি আপনাকে কবিতা গানটি দেব ভাবছিলাম। তারপরে মনে হলো, কবি তার কবিতার গান হাজার বার শুনে ফেলেছেন। দিয়ে আর কি হবে? ;)

এই, গান সুন্দর মনে হওয়ায় আপনি রাক্ষসের মতো হাসছেন কেন? ভয় লাগছে আমার! :D

৭৬| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
এই কবিতার অপেক্ষা হাজার বছর ধরে কিন্তু কে সে আজও জানা হলনো B-) একশতবার দিলেও বিরক্ত হতাম না।।


০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, ওহো, তাই? নিন: view this link

৭৭| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: সবাই যাওয়ার পরে টিচারের কাছে গিয়ে লিখলাম যে আমি বুঝতে পারিনি ভাষা। জ্বি পাঠক বলা না লেখা! সেই টিচার আমার কথার একটা শব্দ বুঝতেন না, এজন্যে আমাকে লিখতে হত।


হুম তোমায় অসহায় আত্মসমার্পনের কথা ভেবে হাসিও পাচ্ছে আবার দুঃখও লাগছে । ১,২,৩ পড়া শেষ করে ফেলেছি ।

বেশ দারুন হচ্ছে । এতটাই ভাল লাগছে যে পড়া শেষ না করে উঠে যেতে পারছি না । আমি এক মগ কফি খাব খাব করেও খেতে পারছি না। কফি খেতে ইচ্ছে করছে আবার ভাবছি , না এই পার্ট টা শেষ করে যাই , দেখি কানাডিয়ান মেয়েটা আর আমাদের বাংলাদেশের মেয়েটা কি করল , পড়ে যাই কি করল চাইনিজ মেয়েটা ।

হুম । পড়া শেষ এবার কফি খেতে যাচ্ছি। পড়তে পড়তে মাথা ধরে গেছে ।

তোমার সাবলীল লেখনি নিয়ে কিছু বলার মত ভাষা নেই।

ধন্যবাদ আপু !!!

০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার এমন খারাপ অবস্থা দেখে হাসি পাচ্ছে? হাসা বন্ধ! হাহা।
হুমম আসলেই আমিও পিছে তাকিয়ে হাসি রে অনেক। তখনকার অসহায় পরিস্থিতি এখন হাসিয়ে দেয়।

বেশ দারুন হচ্ছে । এতটাই ভাল লাগছে যে পড়া শেষ না করে উঠে যেতে পারছি না । আমি এক মগ কফি খাব খাব করেও খেতে পারছি না।
এরচেয়ে বেশি অনুপ্রেরনার কথা আর কি হতে পারে? আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

আপনার এত সুন্দর মন্তব্যে আমারো বলার মতো কিছু নেই। সত্যিই!
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সকল শুভকামনা রইল।

৭৮| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ তোমাকেও আপু।

তুমি তোমার মন্তব্যে একটা "রে" শব্দ যোগ করেছ । ওটার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ । বাংলাদেশে তোমার বাড়ি কি উত্তর বংগের দিকে ? B-)

০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: রে টা কি কোন আঞ্চলিকতায় আসে? আমি তো অনেককেই বলতে শুনি। আমি শুদ্ধ বাংলা ভাষাতেই কথা বলি সবসময়। আমাদের বাড়িতে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলাটা মানা। বাবার বদলির চাকরি ছিল, মা ভয়ে থাকত নানা জায়গার ভাষা ধরে শেষমেষ কি অদ্ভুত সব কথাই না বলব। এজন্যে স্ট্রিক্ট ছিল এ বিষয়ে। আর রে টা ব্যাস আন্তরিকতার টানে আসে, আঞ্চলিকতা টানে নয়! ;)

প্রতিমন্তব্য মন দিয়ে পড়ায় কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!

৭৯| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২০

জাহিদ অনিক বলেছেন: না ঠিক আঞ্চলিকতায় "রে" শব্দ যুক্ত হয় কিনা জানি না, তবে আন্তরিকতায় যুক্ত হয় এই কথায় যুক্তি আছে।

তবে আমার কিছু উত্তর বংগের বন্ধুদের এই রে শব্দটা বহুল ব্যবহার করতে শুনেছি।

আন্তরিক প্রতিমন্তব্য দিলে মন দিয়ে পড়ব না তাই কি হয় !

০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ আচ্ছা আচ্ছা। এজন্যে জিগ্যেস করেছিলে!

সেই তো। হয়ই না! ;) এটাতো তোমার অান্তরিকতা যে মন দিয়ে পড়!
শুভেচ্ছা!

৮০| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: হুম । যাক ব্যাপারটা আর আঞ্চলিকতায় সীমাবদ্ধ না থেকে বরং আন্তরিকতায় রয়ে গেল ।

দ্রুত পরের পর্ব গুলো লিখে ফেলো ।
পাঠক ডিম্যান্ড বলে কথা !

০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আজকেই একটা নতুন পর্ব দিলাম। আর কদিন পরে পরের পর্বটার জন্যে চিল্লাও। ;)

আশা করি পরের সব পর্বে দেখা হবে!
শুভেচ্ছা।

৮১| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: আচ্ছা বেশ তবে অপেক্ষায় রইলাম । শুভেচ্ছা তোমাকেও

০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম অপেক্ষা জলদি ফুরাতে পারব আশা করি। :)
শুভেচ্ছা অফুরান!

৮২| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: সবকিছুর মূলেই আসলে এইটা। এডুকেশন সিস্টেম। আমাদের অবস্থা খারাপ হচ্ছে দিন দিন। প্রশ্নফাঁস, মেধাস্ফীতি, নামেমাত্র সৃজনশীল পদ্ধতি, মুখে বড় বড় কথা খালি! আমার মেয়েটাকে ৪ বছর বয়সে বিশ্বাস করে একটা স্কুলে দিলাম, সেখানে না কি বাচ্চাদের খেলা, কমিউনিকেশন স্কিল এসব ডেভেলপ করার প্রতি জোর দিবে। কিসের কী! একগাদা পড়া চাপায় দিছে। ভাল্লাগে না এসব আর।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম ঠিক কথা বলেছেন। মনের কথা কেড়ে এনে বলেছেন। নাথিং টু এড!

হুমম, সেটাই। সব স্কুলেই অসাধারণ সব প্রমিজ করে। তারা অন্য স্কুলের চেয়ে আলাদা। বাচ্চাদের পড়াশোনা ছাড়াও সবদিকে তৈরী করে দেয়। এই সেই! কিন্তু শেষমেষ দেখা যায় যেই লাউ সেই কদু!

তবে আপনি সচেতন হয়ে ভেবেছিলেন যে মেয়েকে এমন স্কুলে দেবেন যেখানে পড়াশোনা সহ অন্যসবকিছুর গুরুত্ব থাকবে সেজন্যে অভিনন্দন। অনেক বাবা মা ই এভাবে ভাবেন না।

যাই হোক, মামনীর জন্যে অনেক দোয়া রইল।
আর আপনার জন্যে শুভকামনা।

পাঠ ও মূল্যবান সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.