নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে নিন ছোটবেলায় আপনার মাথায় আসা পাঁচটি কমন প্রশ্নের উত্তর এবং উৎসাহ দিন শিশুর কৌতুহলী মনকে (পর্ব ১)

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

মনে আছে, যখন আমরা ছোট ছিলাম মনে কতশত প্রশ্নের মেলা বসত? এটা এমন কেন? ওটা ওমন কেন? মা, বাবা, দাদা দাদী, চাচা ফুপু সবাইকে একটার পর একটা প্রশ্ন অনবরত করেই যেতাম। অনেক সময় তারা ভীষন বিরক্ত হতেন। তখন মনে হতো হয়ত এসব প্রশ্নের কোন উত্তরই নেই। ভীষন বোকা বলেই এমন প্রশ্ন আমার মাথায় এসেছে, অথবা মনে কৌতুহল রাখা একটা অপরাধ! সবার বিরক্তিতে মনের কৌতুহলগুলোকে মনেই চেপে রাখা শিখে যেতাম।

ধমক দিয়ে বাচ্চাকে চুপ করিয়ে তার মনের কৌতুহলের জগৎটাকে ভীতির জগতে পরিণত করা একধরণের অপরাধই বটে। হ্যাঁ, জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, আলোচনার মধ্যে ছোটদের ননস্টপ প্রশ্নগুলো বিরক্তিকর মনে হতেই পারে। কিন্তু সেগুলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে তাদের কৌতুহলী মনকে আশকারা দিতে হবে। কেননা বড়দের একটু ধৈর্য্য ছোটদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
অনেক সময় বড়রা ধমক না দিয়ে প্রশ্নগুলোকে মজা হিসেবে নিয়ে, না জেনে ভুলভাল কথা বলে দিতেন। বিদ্রুপের সুরে দেওয়া সেসব উত্তরকে অনেকদিন পর্যন্ত বিশ্বাস করে যেতাম বোকার মতো। শিশুমনে ভুল তথ্য গেঁথে দেওয়াও মারাত্মক একটা ভুল। ছোটদের কাছে "আমি জানি না" বলা কোন লজ্জ্বার কিছু নয়। যা জানেন না তা সঠিক জেনে জানিয়ে দিন তাকে। এতে করে বাচ্চাটির সাথে সাথে আপনারও জ্ঞান বাড়বে।

ছোটদের মনের কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর জানাতে হাজির হলাম তাই। শুধু বাচ্চাদের জন্যেই নয়, নিজের মনের লম্বা সময়ের কৌতুহল গুলোকেও নিবারণ করতে পারেন পোষ্টটি পড়ে। :)

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১) আকাশের রং নীল কেন হয়?



সূর্যরশ্মি রংধনুর সাতটি রং এ তৈরি। রংগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। বায়ুমন্ডলীয় নানা গ্যাস ও পরমাণুর দরুণ রশ্মিগুলো চারিদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে পরে। অন্যান্য সব রং কে আমরা দেখতে পারিনা, শুধু নীল রংটাই আমাদের চোখে পরে।
কেন? কেননা নীল রংটির ওয়েভলেন্থ তুলনামূলকভাবে ছোট হয় এবং অন্যান্য রং এর চেয়ে সহজে ভ্রমণ করতে পারে। সেজন্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে। প্রশ্ন হতে পারে বেগুনী রং ও তো ছোট ওয়েভলেন্থের অধিকারি, তবে কেন আকাশ বেগুনী নয়? কেননা মানুষের চোখ বেগুনী রং কে সহজভাবে ধারণ করতে পারেনা! এজন্যে মানুষ আকাশকে বেশিরভাগ সময়ে নীল দেখে।

আবার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ে সূর্যরশ্মিকে লম্বা সময় ভ্রমন করে মানুষের চোখের সামনে আসতে হয়। লাল ও কমলা রং এর ওয়েভলেন্থ সবচেয়ে লম্বা হয়, সেকারনে তাদের জন্যে বায়ুমন্ডলীয় গ্যাস পার করে বিক্ষিপ্ত হওয়া সবচেয়ে কঠিন। দীর্ঘ ভ্রমন সময় পার করে আসতে আসতে সহজে বিক্ষিপ্ত হওয়া নীল রং পেছনে ছুটে যায় এবং শেষ পর্যন্ত লাল ও কমলা রং পড়ে থাকে। তাই সেসময়ে আমরা আকাশকে লাল ও কমলা রং এ দেখি।

রাতের বেলায় পৃথিবীর একটি অংশ সূর্যের অন্যদিকে মুখ করে থাকে। সূর্যের মতো কোন উজ্জল আলোর উৎস উপস্থিত না থাকায় কোন রং বিক্ষিপ্ত হতে পারে না। সেসময়ে পৃথিবীর সে অংশটিতে রাতের আঁধার নেমে আসে, আকাশকে দেখায় কালো।
চাঁদে কোন বায়ুমণ্ডল থাকেনা, সেজন্যে চাঁদ থেকে আকাশকে সবসময়ই কালো দেখায়!

তবে এটা বলাই যায় যে আকাশ আসলে কোন একটি বিশেষ রং এর হয়না। নানা বর্ণের আকাশকে আমরা আমাদের দৃষ্টি ক্ষমতা অনুযায়ী দেখতে পাই! আকাশ একধরণের প্রাকৃতিক ইল্যুশনই বটে!

সহজ ভাষায়, রং এর নিজস্ব চরিত্র এবং মানুষের দৃষ্টিশক্তির ধারণক্ষমতা আকাশের রং কে নির্ধারণ করে দেয়।

২) চাঁদ মামার গায়ে কালো দাগ কেন থাকে?

চাঁদের কালো দাগগুলোকে নিয়ে নানা উদ্ভট কথাই বলা হয়। এটা নাকি চাঁদের কলংক! বাচ্চাদের চাঁদের বুড়ির নানা ধরণের গল্প শোনানো হয়। আমাদের পুরো ছোটবেলাটাই কেটে যায় বহুদূরের চাঁদকে ভীষন আপন মামা ভেবে! হাহা। কিন্তু সাহিত্য, ছড়ার আড়ালে নানা বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে যা হয়ত আমরা জানিই না!



৪.৫ বিলিয়ন বছর বয়সের চাঁদকে হাজার হাজার বার নানা ভাবে আঘাত পেতে হয়েছে। যেহেতু চাঁদে বাতাসের অস্তিত্ব নেই, মহাশূন্য থেকে অনেক উল্কাপিন্ড অথবা মহাজাগতিক পাথর চাঁদের সাথে সহজেই সংঘর্ষিত হয়। আর দাগগুলো তৈরি হয়।
চাঁদের সেই দাগগুলোকে ক্রেটারস বা গর্ত বলা হয়। সূর্যের আলো সেসব গর্ত ভেদ করতে পারেনা। তাই আমরা যখন চাঁদের দিকে তাকাই, কালো দাগগুলো সহজেই চোখে পরে।

৩) পাখিরা ওড়ে কি করে? আমরা কেন উড়তে পারিনা? নাকি পারি?

ছোটকালে, ইভেন এখনো লোভী চোখে উড়ন্ত, মুক্ত পাখিদের দিকে তাকিয়ে থাকি। মনে হয় তাদের মতো ডানা মেলে যদি উড়ে যেতে পারতাম! আমি বেশি কৌতুহলী ছিলাম না, তাই মেনে নিয়েছিলাম মানুষেরা উড়তে পারেনা। অনেক বাচ্চা তো আসলেই ওড়ার চেষ্টা করে। নানা ধরণের মুভির অতিমানবদের দেখে তাদের মনে ধারণা হয় যে একটু চেষ্টা করলেই ওড়া সম্ভব। কত ভয়াবহ দূর্ঘটনাও হয় এসব কারণে। বাচ্চাদেরকে মানবজাতির সীমাবদ্ধতা এবং শক্তির জায়গাগুলো বোঝানো দরকার এজন্যেই।



পাখিদের পাখা এবং পালক থাকে। হাত ও বুকের শক্তিশালী মাংসপেশীর সাহায্যে পাখিরা নিজেদের পাখা ঝাপটায় এবং ওড়ে। পাখিদের হাড়গুলো চিকন এবং শরীরের হালকা ওজনের কারণে তারা বেশি শক্তি ব্যায় না করে সহজেই উড়তে পারে। পাখিরা লেজ ব্যবহার করে দিক পরিবর্তন করে এবং থামার জন্যে পা গুলোকে প্রসারিত করে দেয়।

কখনো খেয়াল করেছেন প্লেন এবং পাখিদের শেইপ একই রকম? সামনের দিকটা চিকন, মাঝের দিকটা প্রশস্ত! পাখিদের ওড়ার টেকনিক প্লেইন আবিষ্কারে স্বাভাবিক ভাবেই ভূমিকা রেখেছিল। এজন্যেই মানুষেরা অসাধারণ। মানুষ যেসব ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়না, সেগুলোকে পর্যন্ত বুদ্ধির জোরে আয়ত্ত করতে পারে!

৪) মন খারাপ হলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন?

ছোট থাকার সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে গলা ছেড়ে যেকারো সামনে যেকোন পরিস্থিতিতে কাঁদা যায়। বড় হলে অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখতে হয়। হাসি কান্না পরিস্থিতি অনুযায়ী গিলে ফেলতে হয়। বাচ্চারা জেনে না জেনে কান্নাকে ব্যবহার করে বড়দের সাথে কমিউনিকেট করার জন্যে। তারাও কোনভাবে জানে চিল্লিয়ে জেদ করলে, কাঁদলে বড়রা তাদের আব্দার মেনে নেবে। এটা শিশুর সরল মন ইচ্ছে করে বড়দের বিরক্ত করার জন্যে করেনা। যেহেতু তারা নিজেদের ইচ্ছেগুলোকে পূরণ করতে পারেনা, সেহেতু কেঁদে বড়দেরকে নিজেদের প্রয়োজন ও গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করে। কৌতুহলী বাচ্চাদের মনে এই প্রশ্ন আসতেই পারে যে এই চোখের পানির উৎস আসলে কি?



চোখের পানি নানা ধরণের হয়।

বেসাল টিয়ার্স বা মৌলিক অশ্রু: মানুষের দুচোখেরই আইবলের ওপরে বাম দিকে একটি করে অশ্রুগ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থি থেকে যে অশ্রু তৈরী হয় সেটাই মৌলিক অশ্রু। সবসময় অশ্রু উৎপন্ন হয়েই যাচ্ছে অশ্রুগ্রন্থি দিয়ে। দিনে ৫-১০ আউন্স মৌলিক অশ্রু উৎপন্ন করে মানুষ। এত অশ্রু কোথায় যায়? চোখের নিচের কোনার ডান দিকে ল্যাক্রিমাল পাংক্টা অবস্থিত থাকে যা এই অশ্রুগুলোকে কালেক্ট করে এবং নাসারন্ধ্র দিয়ে অপসারিত করে। এই প্রক্রিয়া অনবরত চলতে থাকে আর এজন্যই চোখ কখনও শুকিয়ে যায় না।
মৌলিক অশ্রু চোখে পুষ্টি সরবরাহ করে, নানা জীবানুর থেকে রক্ষা করে। সারাদিন আপনার চোখকে সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকলেও আপনি টেরই পাননা এই অশ্রুর উপস্থিতি!

রিফ্লেক্স টিয়ার্স প্রতিরোধী অশ্রু: আরেক ধরণের অশ্রু। চোখে কোন কারণে বিষাক্ত গ্যাস প্রবেশ করলে বা কোন কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হলে, চোখ জ্বালা শুরু করে এবং অশ্রুগ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে। যার কারণেই রিফ্লেক্স টিয়ার্স তৈরি হয়। এই অশ্রুও জীবাণু থেকে চোখকে বাঁচিয়ে রাখে।

ইমোশনাল টিয়ারস বা আবেগ অশ্রু: সবার সবচেয়ে পরিচিত কান্না। মানুষ যখন ইচ্ছে কাঁদতে পারেনা কেননা এর সাথে তীব্র আবেগ সম্পর্কিত। হাইপোথ্যালামাস এবং বেসাল গ্যাংলিয়া হলো মানব মস্তিষ্কের এমন অংশ যা আবেগের সাথে জড়িত। এগুলো অশ্রুগ্রন্থির সাথে যুক্ত থাকে এবং আবেগের তীব্রতা কমানোর জন্যে মস্তিষ্ক থেকে সংকেত পাঠায়। তখন চোখ দিয়ে পানি পড়ে! আবেগ অশ্রুর সাথে স্ট্রেস হরমোন এবং নানা রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা মানুষের মনের তীব্র আবেগকে প্রশমিত করে তাকে স্বস্তি দেয়।

সহজ ভাষায়, মানুষের আবেগ এবং চোখের অশ্রু উৎপাদনের অংগ কানেক্টেড। তারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে অশ্রু উৎপন্ন করে। আবেগের কারণে কাঁদলে মানুষ মানসিক ভাবে শান্তি বোধ করে।

৫) আমি কেন রাত জাগতে পারব না? আমি কেন একা বাইরে যেতে পারব না? তোমরা যা করতে পার আমি কেন পারব না?



স্বাভাবিকভাবেই হাজারটা এমন নিয়ম আছে যা ছোটদের জন্যে প্রযোজ্য, বড়দের জন্যে নয়। এজন্যে ছোটদের সবসময় মনে হয় যে বড়রা তাদেরকে বন্দি করে রাখছে। তাদেরকে বুঝতে চাচ্ছে না। তাদের ভাবনাগুলোকে মূল্য দিচ্ছে না। এসব ভেবে তারা বড়দের কাছে উপরোক্ত প্রশ্নগুলো করে। আমাদের দেশে বাচ্চাদের ধমক দিয়ে, ইভেন গায়ে হাত তুলে মানুষ করার, আদেশ উপদেশ মানানোর বাজে রীতি প্রচলিত রয়েছে। এসব কখনোই শিশুর কল্যাণ বয়ে আনেনা।
তারা মুখ বুজে মনে জেদ নিয়ে কদিন নিয়ম গুলো মানবে, কিন্তু একদিন তাদের স্বাধীন সত্ত্বা বিদ্রোহ করবেই। যদি বাচ্চাদের প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া হয়, কোন নিয়ম কেন মানতে হয় তা ঠিকভাবে বোঝানো না হয় তবে তারা নিজেরা উত্তর বানিয়ে ফেলবে, আর সেটা খুব ভয়ংকর কিছু হতে পারে। বাচ্চারা জেদী, অবাধ্য হয়ে যেতে পারে। বড়দের কোন কথাই শুনতে চাইবেনা তখন। একটা গ্যাপ তৈরি হবে বড়দের আর ছোটদের মধ্যে। বড়দের কাছ থেকে সদউত্তর না পেলে বাচ্চারা বড়দের কথাগুলোকে ভুল মনে করবে এবং তাদের লুকিয়ে অনেক কাজ করতে থাকবে।

বাচ্চাদেরকে মনের বিরুদ্ধে মেরে ধরে কিছু করানো যাবে না। তাদের চাইল্ডহুড এবং এডাল্টহুডের পার্থক্য ঠান্ডা মাথায় বোঝাতে হবে। মানব জীবনের নানা বয়সে একেক ধরণের স্বাধীনতা ও একেক ধরণের দায়িত্ব থাকে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই সুন্দর। বাচ্চাদেরকে বোঝানো যেতে পারে যে তারা সারাদিন ছোটাছুটি, দৌড়াদৌড়ি করছে। স্কুলে গিয়ে নতুন নতুন জিনিস শিখছে। বড়দের তুলনায় তাদের জীবনযাত্রা আরো দ্রুতগতির তাই তাদের জন্যে নিয়মে খাওয়া ও ঘুম আরো বেশি জরুরি। আর ছোটদের জন্যে হলেও বড়দেরও ডিসিপ্লিনড জীবন জরুরি। যা দেখবে তাই তো শিখবে।

আজকালকার ব্যস্ত জীবনে বড়রা শিশুদেরকে সময় দিতে পারছেন না। অফিস বা সংসারের কাজ সামলে, রাতের বেলায় অনেকে টিভিতে পছন্দসয়ী অনুষ্ঠান দেখতে পছন্দ করেন। বাচ্চাটি হয়ত সারাদিন একা একাই খেলছে, পড়ছে। এটা স্বাস্থ্যকর নয়। শিশুদের সাথে সময় কাটাতে হবে বাড়ির প্রতিটি সদস্যকে। তাদের সাথে খেলতে হবে, তাদের কথা মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। গল্পের ছলে জীবনের নানা গভীর দর্শন তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে।

বাড়ির ছোট বড় সবাইকে মিলে পারিবারিক নিয়মাবলি ঠিক করা একটা ভালো উদ্যোগ হতে পারে। যেমন একটা নির্দিষ্ট সময়ে সবাই ডিনার করবে, ঘুমাবে, টিভি দেখবে ইত্যাদি। তখন বাচ্চারা সেটাকেই স্বাভাবিক নিয়ম হিসেবে মেনে নেবে। ছোটবেলা থেকে ভালো অভ্যাসগুলো তৈরি করা গেলে একটু বড় হলে বাচ্চারা কথায় কথায় জেদ দেখাবে না। বাচ্চারা কাদামাটির মতো, যে শেইপে তাদের গড়ার চেষ্টা করা হবে, তারা তেমন আকৃতিরই হবে।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আমি জানি যে মাত্র পাঁচটি প্রশ্ন বাচ্চাদের মনের বিশাল কৌতুহলী জগতের তৃষ্ণা মেটাতে পারবেনা। এজন্যে আমি সিরিজটি কন্টিনিউ করব, এমন আরো অনেক প্রশ্ন নিয়ে।

যারা ভাবছেন এসব কঠিন বিজ্ঞান ও দর্শন কথা বাচ্চারা বুঝবে না, তাদের আগেভাগেই বলে রাখছি, বাচ্চাদের ধারণ ক্ষমতা অন্তহীন। বড় হবার পরে আমরা বাচ্চাদেরকে আন্ডারএস্টিমেট করি। ভাবি ওরা কিছু বুঝবে না, তার চেয়ে ধমক দেওয়াই বেটার। কিন্তু শিশুকালেই ব্রেইন সবচেয়ে শার্প থাকে, স্ট্যামিনা, এনার্জি, দৃষ্টি ও শ্রবণ শক্তি বেশি থাকে। আস্তে আস্তে বয়স বাড়তে বাড়তে তা ক্ষয়ে যেতে থাকে। বিশেষ করে প্রযুক্তির যুগে বাচ্চারা নিজের বয়সের তুলনায় বেশি জানছে, বুঝছে। তাই তাদের সাথে মুক্তভাবে আলোচনা করুন। তাদেরকে উৎসাহ দিন, নিজেও কিছু শিখতে পারবেন। আর একবারে না বুঝলে সহজ ভাষায় আবারো বোঝান। তারা বুঝবে, হয়ত আপনার আমার চেয়েও বেশি গভীরভাবে! :)

তথ্য ও ছবি সূত্র: অন্তর্জাল!

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২২

মৌরি হক দোলা বলেছেন: প্রশ্ন সবই জানতাম, কিন্তু উত্তর একটিও জানতাম না। :)

অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্টের জন্য। আরো পর্বে অপেক্ষায় রইলাম......শুভকামনা...... :) :)

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! উত্তরগুলো জানাতে পেরে আনন্দিত।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা দেবার জন্যে।
পরের পর্বেরও সাথে পাব আশা করি। :)

ভীষন ভালো থাকুন।

২| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
এগুলো নিয়ে আজকেই আমার মেয়ের সাথে আলাপ করবো।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার কথাটি পড়ে এত ভীষন ভালো লাগল যে বলার নয়। মনে হলো পোষ্টটি সত্যিই কারো কাজে লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইল আপনার এবং মামনীর জন্যেও।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

হাঙ্গামা বলেছেন: B-)

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই কমেন্টের কি যে জবাব দেব!

একটি ইমোই নিন! :)

৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমার অনেক অজানাকে জানা হলো। চমৎকার পোস্ট।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অজানাকে জানানোই পোষ্টের উদ্দেশ্য ছিল, সফল হলো পোষ্টটি।

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছোটবেলার এই সব প্রশ্নের উত্তর ছোট বেলায় পেলেই মনে হয় বেশি ভাল হত।
তারপরও এই বড়বেলায় সেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে একেবারে খারাপ লাগেনি।
ধন্যবাদ সামুপাগলা-০০৭।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মোস্তফা সোহেল!

হ্যাঁ তা তো হতোই। আমরা যদি জানি এট লিস্ট আমাদের ছোটদের জানাতে পারব। তারা তখন বড় হয়ে আর আফসোস করবে না।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা রইল।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নয়নতারাকে এসব বুঝাতে হবে। ওর মতো আমিও এখন শিশু হয়ে গেছি। তাই আমাকেও বুঝতে হবে। মোক্ষম সময়ে সিরিজটা শুরু করে তুমি ভালোই করেছ।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! তাইতো! আড্ডাঘরের বাচ্চাদের তো এসব কাজে লাগবে। আমাদের তানিশা মামনী একটু বড় হলেই এসব জ্ঞানের দরজা তার সামনে খুলে দিতে হবে।

আপনাকেও ধন্যবাদ হেনাভাই। আপনাকে পোষ্টে পেয়ে অনেক খুশি হলাম।
সুস্থ ও সুখী থাকুন আপনি এবং আপনার পরিবারের সবাই।

৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

বর্ষন হোমস বলেছেন:
এগুলো শুধু ছোটবেলার নয় অনেকের বড়বেলাও প্রশ্ন।

দারুন পোষ্ট।

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ হ্যাঁ! ঠিক কথা তো! বড়রাও তো এসবের উত্তর সাধারণত জানেনা। এগুলো হচ্ছে ছোটবেলা থেকে বড়বেলা পর্যন্ত লালন করে আসা প্রশ্ন। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে বড় হতে হতে না জানা জিনিসগুলো জানার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। আমরা ধরেই নেই আকাশ তো নীলই হয়, এর আবার কারণ থাকে নাকি? হাহা।

অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে।
শুভকামনা!

৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!

কিছু কিছু জানা বুঝি না জনলেই ভাল :P
কান্নার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা যে আবেগের সুতোটাকে ছিড়ে দেয়!
ব্যাখ্যাহীন ভালবাসা, দু:খ, আনন্দাশ্রু থাকনা তারা তাদের মতো আবেগের নৌকায় পাল তুলে ;)
আহা! কি অমূল্য সে অনুভব!
জীবনের অমৃত সূখতো আবেগেই ! নয়?
হা হাহা

তবে এটা শতভাগ ঠিক যে, শিশুতোষ মনের অনেক প্রশ্নকে আসলেই আমরা দাবিয়ে রাখি। যা একদম ঠিক নয়।
এই প্রশ্ন করাই জ্ঞানের প্রথম সোপান।
আসলে কি - তৃতীয় বিশ্বে বেঁচে থাকার ম্যান্ডাটরি অপশন গুলোর অনিশ্চয়তাই মানুষকে ক্রেজি করে রাখে
আর সেই বিক্ষিপ্ত মন মননে জানলেও বুঝলেও অনেক সময় পারা যায় না!
কিন্তু পারতে হবে। অনাগত প্রজন্মের ভালর জন্যই।

ব্যাতিক্রমি উদ্যোগে অনেক অনেক ধন্যবাদ সখি :)


০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা! পোষ্টে পেয়ে ভালো লাগল।

হাহা। না না আবেগের সুতো ছেড়ার কিছু হয়নি এখনো। এই পোষ্টে শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন সেটা বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষের মনে নানা ধরণের আবেগ কেন, কোথা থেকে আসে সেসব নিয়ে কিছু লিখি নি। হায়! সেসবের বিজ্ঞান লিখলে তো সখার কবিতা লিখতেই কষ্ট হতো! রসকসহীন বৈজ্ঞানীক ব্যাখ্যা জানার পরে কি আর এতসব ভাবের কথা মনে আসত? হাহাহা।

মানুষের আবেগের পেছনে হাজারটা সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা থাকুক না কেন, সেগুলোর অকৃত্রিমতা, মূল্য কোনভাবেই কমবে না। আমি তো বরং চমৎকৃত হই জেনে কি অসাধারণ কমপ্লেক্স একটা মানব দেহ ও মন!

জীবনের অমৃত সূখতো আবেগেই ! নয়?
একদম তাই! আবেগহীন মানুষ আর মৃত মানুষে কোন পার্থক্যই নেই।

তবে এটা শতভাগ ঠিক যে, শিশুতোষ মনের অনেক প্রশ্নকে আসলেই আমরা দাবিয়ে রাখি। যা একদম ঠিক নয়।
এই প্রশ্ন করাই জ্ঞানের প্রথম সোপান।
আসলে কি - তৃতীয় বিশ্বে বেঁচে থাকার ম্যান্ডাটরি অপশন গুলোর অনিশ্চয়তাই মানুষকে ক্রেজি করে রাখে
আর সেই বিক্ষিপ্ত মন মননে জানলেও বুঝলেও অনেক সময় পারা যায় না!
কিন্তু পারতে হবে। অনাগত প্রজন্মের ভালর জন্যই।


এক্সাক্ট পয়েন্টে কথা বলেছেন। একদম এটাই ব্যাপার। এত বেশি সুন্দর, সঠিক কথা বলেছেন যে আমার এড করার কিছু নেই।

আপনার মন্তব্যটি আমার ভীষনই ভালো লেগেছে সখা। অনেক ধন্যবাদ।
সুখ ও সাফল্যে আপনার জীবন ভরে থাকুক।

৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। খুব ভালো লাগল।

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
শুভকামনা জানবেন।

১০| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি অাবার ব্লগে এসেছেন! অধন্য হলুম। দু'এক দিন পূর্বে আপনার একটি নতুন পোস্ট অফ লাইনে পড়েছি। আগের মতই সুন্দর। এই পোস্টও মজার।

হেই! আপনি মাঝে মাঝে ডুব দেন কেন?

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

অনেক ধন্যবাদ। প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হলাম। :)

হ্যাঁ এসেছি! যেখানেই যাই না কেন ঘুরে ফিরে সামুতেই ফিরে আসি! অনেক শক্ত, আপন এ বন্ধন। ঢিলে হতে পারে খানিক সময়ের জন্যে, তবে ছিড়বে না কখনো। :)

এক কথায় এ প্রশ্নের উত্তর, রিয়েল লাইফের প্যারায় ভার্চুয়াল লাইফ থেকে গায়েব হতে হয়। সবকিছু সামলে গেলে আবার ফিরে আসি।

অনেকদিন পরে কথা হলো আপনার সাথে। ভালো লাগল।
প্রতিটি মুহূর্ত শান্তি ও আনন্দে কাটান।

১১| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বিষয় নির্বাচনটা খুব সুন্দর ছিল। একেবারে মনের গহীনের কথাগুলো উঠে এসেছে। খুব ভাল লেগেছে, লেখাটা।

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করলেন।
ভালো থাকুন, সবাইকে ভালো রাখুন।

১২| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আপুনি, কেমন আছো ? অনেক দিন পর। আসলে ব্লগে খুব কম আসা হয় আমার ইদানিং।

যাই হোক, তোমার সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। অনেক কিছুই জানতাম না। এখন জানলাম পোস্ট পড়ে। পোস্টে প্লাস।

অনেক ভাল থেকো। শুভ কামনা। :)

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাইয়া ভালো আছি। তুমি কেমন আছ?

হ্যাঁ আমিও বেশ অনেকদিন ছিলাম না। ব্যাটে বলে টাইম মিলে কথা হয়েই গেল। অনেক ভালো লাগল তোমাকে এতদিন পরে দেখে।

তোমাকেও পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ।
ভীষন ভীষন ভালো থেকো।

১৩| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

বিষাদ সময় বলেছেন: "মাথায় কত প্রশ্ন আসে, দিচ্ছে না কেউ জবাব তার -
সবাই বলে, ”মিথ্যে বাজে বকিসনে আর খবরদার!”


যাক আপনি অন্ততঃ বকা না দিয়ে চমৎকারভাবে প্রশ্নের উত্তরগুলোা দিয়েছেন। :)
শিক্ষনীয় একটি পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নিজে বকা খেতাম তো ছোটবেলায় এসব প্রশ্নের জন্যে, সে কষ্ট মন থেকে যায়নি। তাই কাউকে বকিনা। হাহা।

আপনাকেও পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

গরল বলেছেন: আরও কিছু কমন প্রশ্ন বাদ পড়ে গেছে যেমন:
১। ছোট একটা স্ক্রু পানিতে ডুবে যায় কিন্তু এত বড় জাহাজ কিভাবে ভাসে?
২। আর একটা হল আইসক্রিম স্টিল এর বাটি বা গ্লাসে রেখে খেতাম যার দরুন গ্লাসের বাইরেও ঘেমে ঘেমে পানি পড়ত তাই বার বার জিজ্ঞাসা করতাম এই পানি আসল কোথা থেকে?
৩। আবার কাচা চুলায় ফু দিয়ে আগুন ধরাত, তাই প্রশ্ন করতাম যে ফু দিয়ে আগুন নেভায় আবার ফু দিলে কেন আগুন জ্বলে?
৪। আবার দুরে আকাশ যেখানে মিশে গেচে সেখানে যেয়ে আকাশ ধরা যায় না কেন?
৫। চাঁদ আমাদের একার না সবার সাথে হাটে কেন, আবার যে দাড়িয়ে আছে তার সাথে দাড়িয়ে থাকে কেন?
৬। পানি ফুটলে ধোয়া বের হয় আবার শীতের থান্ডায়ও কেন ধোয়া বের হয় ইত্যাদি ইত্যাদি

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না বাদ পড়েনি। আমি তো পোষ্টেই বলেছি, "আমি জানি যে মাত্র পাঁচটি প্রশ্ন বাচ্চাদের মনের বিশাল কৌতুহলী জগতের তৃষ্ণা মেটাতে পারবেনা। এজন্যে আমি সিরিজটি কন্টিনিউ করব, এমন আরো অনেক প্রশ্ন নিয়ে।"

আপনি যে প্রশ্নগুলো শেয়ার করেছেন তার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। পরের পোষ্টে এগুলোর কয়েকটির উত্তর দেবার চেষ্টা থাকবে। কম ভাবতে হবে আমাকে। হাহা।

শুভকামনা অফুরান।

১৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কথাটি পড়ে এত ভীষন ভালো লাগল যে বলার নয়। মনে হলো পোষ্টটি সত্যিই কারো কাজে লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইল আপনার এবং মামনীর জন্যেও।


আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পুনরায় আগমনে কৃতজ্ঞতা।
ওয়েলকাম! :)

১৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !!!

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু!
শুভেচ্ছা!

১৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সামান্য সংশোধনীঃ-

আমাদের তানিশা মামনী একটু বড় হলেই এসব জ্ঞানের দরজা তার সামনে খুলে দিতে হবে।


তুমি তানিশার মামনী নও, দিদা। এরকম অসংখ্য ভার্জিন দিদা আছে ওর। ব্লগের একজন ছাড়া ( ওমেরা ) আর সবাই ওর দিদা। ওমেরা প্রথম থেকেই আমাকে দাদুভাই বলে ডাকে তো, তাই সে তানিশার বড় আপু। হাঃ হাঃ হাঃ। ব্লগের প্রায় সবাই তানিশার গ্র্যান্ড পা, গ্র্যান্ড মা। কী দারুণ না?

নয়নতারার জন্মের পর ওমেরা ওকে নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিল। সম্ভব হলে ওর ব্লগ বাড়িতে গিয়ে দেখে এসো। লিংক দিতে গিয়ে আমি হ য ব র ল করে ফেলি। তাই ওই কাজ আর করি না। থ্যাংক ইউ সামু পাগলা০০৭।

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না আমি এটা বলিনি যে আমি ওর মামনী। আমি ওকে আদর করে মামনী ডেকেছি। আসলে আমাদের বাড়িতে বাচ্চাদের আদর করে মা, মামনী, বাবু ডাকা হয়। আমার দাদী নানীরাও নামের পাশাপাশি এসব নামে ডাকেন।

হ্যাঁ দারুণ তো বটে হেনাভাই। আমি আপনার বলার আগেও জানতাম যে আমি দাদী হচ্ছি সম্পর্কে। কিন্তু আপনার কাছ থেকে শোনার পরে কেমন ধক করে লাগল! বাপরে বাপ! বিয়ের আগেই দাদী হয়ে গেলাম! কোন ছেলে এই কথা জানলে আমাকে বিয়ে করবে না। হাহা, জাস্ট কিডিং।

সৌভাগ্য আমার যে ব্লগে এসে এতসব অসাধারণ সম্পর্ক পেয়েছি আমি।

আচ্ছা হেনাভাই, আমি অবশ্যই খুঁজে পড়ে আসব ওমেরা আপার ব্লগ থেকে।
ওয়েলকাম।

পুনরায় আগমনে ধন্যবাদ।
শুভকামনা জানাই।

১৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। হালকা করে পড়ে, ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভালো লাগায় আন্তরিক ধন্যবাদ।

আশা করি আবারো ঘুরে যাবেন ভারী করে পড়তে। ;)
শুভেচ্ছা রইল!

১৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৬

পবন সরকার বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

২০| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল হয়েছে পোস্টটি। একে বারে প্রিয়তে রেখে দিলাম। রোহান যখন প্রশ্ন করবে বলবো তোমার ফুফি উত্তর গুলো এভাবে দিয়েছে।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুজন ভাই, পোষ্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।

হ্যাঁএএ আমাদের রোহান বাবুটার কাজে লাগবে কদিন পরেই। যত জানবে ততই জানার আগ্রহ বাড়তে থাকবে।

মন্তব্য এবং প্রিয়তে রাখার জন্যে কৃতজ্ঞতা।
আপনার এবং পরিবারের সবার জন্যে শুভেচ্ছা।

২১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পর্ব দুইয়ের অপেক্ষায়।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পরের পর্ব লেখার অনুপ্রেরণা দেবার জন্যে থ্যাংকস।
ভালো থেকো।

২২| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

বরুন মালাকার বলেছেন: আমার ছেলে জিজ্ঞেস করত, আমি মায়ের পেটে ছিলাম ঠিক আছে; কিন্তু আমি দেখতে আপনার মতো কেন? কেন আপনাকে আব্বু ডাকি?

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা! এই প্রশ্নের ব্যাপারে আমি কোন হেল্প করতে পারবনা। আপনিই ভাবুন ভাই। :)
ধন্যবাদ মন্তব্যে।

শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পুনরায় আগমনে কৃতজ্ঞতা।
ওয়েলকাম! :)

আসবোই। যে পোষ্ট আমার ভালো লাগবে, ঘুরে ফিরে আমি সেই পষ্টে আসবোই।

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা ভালো তো! আমিও এমন করি। কোন লেখা বেশি ভালো লাগলে সেই পোষ্টে যাই বারবার। লেখার প্রিয় জায়গাগুলো আবারো পড়ি। অন্যদের কমেন্ট পড়ি। কিন্তু নিজে হয়ত একবারের বেশি কমেন্ট করা হয়না। আপনি ভীষন আন্তরিক পাঠক ও ব্লগার।

ধন্যবাদ পোষ্টটি পছন্দ করে আবারো আসার জন্যে।
শুভেচ্ছা।

২৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১২

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ছোটবেলায় যখন দুপুরের দিকে মার সাথে ঘুমাতাম, তখন মাকে নানান প্রশ্ন করতাম। তার মধ্যে একটা প্রশ্ন ছিল 'মা আমি কোথা থেকে এসেছি' মা বলতেন 'আমি তোকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এনেছি' 

সানন্দা নামে একটা পাক্ষিক নারী কেন্দ্রিক ম্যাগাজিন আমাদের বাড়ীতে রাখা হতো। সেই ম্যাগাজিনে এই ধরনের শিশুতোষ প্রশ্ন নিয়ে একবার প্রচ্ছদ করেছিল। আর এ জাতীয় প্রশ্নের উওরে যতটুকু মনে পড়ে তারা প্রায় সহজ ভাষায় একটু আড়াল করে বাস্তবিক উওর দিয়েছিল। 

এ ধরনের প্রশ্নের উওরে ওয়েস্টার্ন মনোবিদরা কি উওর দিতে সাজেস্ট করে।

২৫| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বাচ্চা কিছু প্রশ্ন সত্যি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। আমার সাড়ে তিন বছরের মেয়ে আমাদের বিয়ের ছবি দেখে বলে,বাবা তোমরা বিয়ে করলে আমাকে নিয়ে গেলে না কেন? এই প্রশ্নের জবাব দেবো না হাসবো আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমার মেয়েকে নিয়ে একটা পোষ্ট আছে পড়ার অনুরোধ রইলো। বাবা

১৯ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা! আসলেই এসব প্রশ্ন বেশ ট্রিকি। কোন এক পর্বে এসব প্রশ্নের জবাব নিয়ে আলোচনা করব।

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
আপনার এবং বেবির জন্যে অনেক দোয়া রইল।

২৬| ১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent

১৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাইয়া! আপনাকে একটু পুরোন পোষ্টে হুট করে পেয়ে ভালো লাগল।

অনেক ধন্যবাদ, উৎসাহিত হলাম।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.