নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় ব্লগার ভাইয়েরা, আপনি কি নারী মনের রহস্য জালে দিশেহারা? নো চিন্তা, সামুপাগলা ইজ হেয়ার উইথ সাম হেল্প! :) :)

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬



সব ছেলেকেই বলতে শুনি নারী জাতিকে বোঝা বড় দায়! তাদের দুনিয়া নাকি জান্নাত হয়ে যেত মেয়েদেরকে বুঝতে পারলে। মেয়েদের কিছু কিছু স্বভাব রহস্যময়ী বটে। কিছু অদ্ভুত আচরন যার কোন মানে অনেক ছেলেই করতে পারেন না। ছেলেরা মেয়েদের মন, স্বভাব, আচরণ ব্যাখ্যা করে নানা বাণী দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আসল ব্যাখ্যার চেয়ে তারা কয়েকশ মাইল দূরে থাকে! তাই একজন মেয়ে হয়ে আমিই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলাম আমার প্রিয় ব্লগীয় দোস্ত, ভাই দের প্রতি।
ইউ আর ওয়েলকাম গাইজ! ;) :)

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

রহস্য নাম্বার ১: কেন মেয়েরা যা বোঝাতে চায় তার উল্টোটা বলে?

এটা তো সবাই জানে যে একটা মেয়ে যদি বলে, "আমি রাগ করিনি, ইটস ওকে", মানে সে ভেতরে ভেতরে রাগে সেদ্ধ হচ্ছে! অভিমানের পাহাড় জমাচ্ছে। যদি সে বলে, "আমার মন খারাপ না, আমি ঠিক আছি, তুমি তোমার কাজে যাও!" মানে সে ভীষনভাবে চাচ্ছে আপনি তার পাশে হাত ধরে চুপচাপ বসে থাকুন, এক পাও দূরে না যান। যদি সে বলে, "ঠিক আছে, তোমার যা ইচ্ছে তাই করো!" তার মানে আবারো একই ভুল করবে, তারপরে আমাকে শুধরাতে হবে? পেয়েছটা কি? যদি সে বলে "আমি তোমাকে ছেড়ে চিরদিনের জন্যে চলে গেলাম, আর আটকে লাভ হবেনা!" মানে হচ্ছে, সত্যিই কি আটকাবে না? চলে যেতে দেবে এত সহজে? এই ভালোবাসো? একবার হাতটা টেনে ধরো প্লিজ!



ছেলেদের ব্যাখ্যা: ১) ছেলেদের পাজল করে মেয়েরা আনন্দ পায়। ২) মেয়েরা জানেই না তারা কি চায়! ৩) মেয়েরা চায় ছেলেরা তাদের না বলা কথাও বুঝে যাক। কিন্তু কিভাবে?
প্রথম ব্যাখ্যাটি ভুল, মেয়েরা মনের আনন্দে এসব করেনা। আর বেশিরভাগ মেয়ে জানে নিজেদেরকে। তৃতীয় কথাটি ঠিকই বলা চলে। তবে আরো কারণ রয়েছে।

আসল ব্যাখ্যা: মেয়েরা সবসময় নিজেদের ওপরে বেশি চাপ নেয়। তারা চায় সবকিছু পারফেক্টলি করতে। পারফেক্ট বউ, মা, বোন, মেয়ে হতে। কেননা ছোটবেলা থেকে একটা মেয়েকে শেখানো হয়, "তুমি মেয়ে, তোমাকে বেশি মানিয়ে নিতে হবে! কোন কারণে যদি সংসার না টেকে তবে দোষ সব তোমার!" এজন্যে যখন কোন কারণে তার মন খারাপ হয়, সে সর্বাত্মক চেষ্টা করে নিজেকে বোঝাতে। অভিমান লুকিয়ে সংসার, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। একদিকে সমাজ, পরিবারের সকল শিক্ষা এবং অন্যদিকে নিজের আত্ম অভিমান, একদিকে নারী সত্তা, অন্যদিকে মানুষ সত্তার মধ্যে পিষে যায়। অনেককিছু চলতে থাকে তার মনে। যখন নারীটি দেখে যার কথা ভেবে প্রতিটি অপ্রাপ্তিকে লুকানোর চেষ্টা করেছে, সে খেয়ালও করে তাকায়নি তার ভেজা চোখের দিকে, তখন অভিমানে ফেটে পরে। এভাবেই একধরণের বিপরীতমুখী রহস্যময়ী স্বভাবের সৃষ্টি হয় যা অনেকসময় ছেলেদেরকে কনফিউজড ও বিরক্ত করে।

দ্বিতীয় বড় কারণ হচ্ছে মেয়েরা ছেলেদের কমিটমেন্ট লেভেল পরীক্ষা করে। একটা ছেলে যদি সহজেই হাল ছেড়ে দেয়, মেয়েটির পরোক্ষ কথাগুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা না করে তবে মেয়েটি বুঝে যায় ছেলেটি তাকে নিয়ে খুব একটা সিরিয়াস না। মেয়েটির সকল আবেগ অনুভূতি তার কাছে মূল্যবান না! ছেলেটি নিজের স্বস্তিতে থাকতে চায়, মেয়েটিকে শান্তিতে রাখার তার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ না!

পুরুষের করণীয়: আপনি কখনো শুধু চা পাতা খেয়েছেন? না খাননি। চা পাতার সাথে গরম পানি, চিনি, দুধ, মিশিয়ে তবেই তো খান! মেয়েদের কথাগুলোও এমনই! সেগুলোকে লিটারেলি নেবেন না দয়া করে। তাদের চোখের ভাষা, গলার স্বরের সাথে মিশিয়ে কথাগুলোকে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আমাকে যেতে দাও বলার সময়ে তার চোখ ছলছলে থাকে তার মানে অবশ্যই সে কষ্ট পাচ্ছে, চায়না আপনাকে ছাড়তে। যদি উচ্চ শব্দে বলে যে যা ইচ্ছে করে বেড়াও মানে সে খুশি না আপনার কাজে। তখন সে কি বলতে চাইছে তা বোঝার চেষ্টা করুন অথবা নিজের অবস্থান তাকে ঠিকভাবে বোঝান।
তার না বলা অনুভূতিগুলোকে "তুমিই তো বলেছিলে" বা "তুমি তো কোন অভিযোগ করোনি" বলে উপেক্ষা করবেন না। একজন নারীর কথা শব্দের চেয়ে বেশি তার চোখে প্রকাশ পায়। আপনি তার চোখের ভাষার চেয়ে শব্দের ভাষাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন। তা নাহলে সে তিলে তিলে নিজের ভেতরে অভিমান জমিয়ে এত দূরে সরে যাবে যে চাইলেও আর আগের অবস্থায় ফিরতে পারবেন না! মনে রাখুন, নারীর মনের রাস্তার কোন শর্টকাট নেই!

রহস্য ২: মেয়েরা কেন খারাপ ছেলেদেরকে পছন্দ করে?

ভালো ছেলেদেরকে দিকে মেয়েরা ফিরেও তাকায় না। আর খারাপ ছেলেদের দিকে নিজেরাই ছুটে যায়! তারপরে যখন বিপদে পরে পুরুষজাতিকে গালাগালি করে! আরেহ ছেলেরা যাবে তো যাবে কোথায়?



ছেলেদের ব্যাখ্যা: মেয়েরা টাকা, বাইক আর স্মার্টনেসের পেছনে ঘোরে। ভালো ছেলেদের সরল ভালোবাসায় তাদের মন ভরে না।
মেয়ে বলে পক্ষপাতিত্ব করে মিথ্যে বলব না। অনেক মেয়ে আছে যারা আসলেই ভীষন লোভী, কোন নীতি নৈতিকতা নেই। ছেলেদের আবেগ নিয়ে খেলে। কিন্তু সব মেয়েকে এক পাল্লায় মাপাটা অন্যায়। ছেলেদের মধ্যে ভালো খারাপ যেমন থাকে, মেয়েদের মধ্যেও তো থাকে, নয়?

আসল ব্যাখ্যা: মুদ্রার অন্যপিঠের ব্যাখ্যা হচ্ছে কয়টা ভালো ছেলে মেয়েদেরকে এপ্রোচ করে? তারা তো তাদের পড়াশোনা অথবা খেলাধূলাকেই প্রেমিকা বানিয়ে রেখে দেয়। কোন মেয়ে যদি ইশারায় মনের কথা বোঝাতে চায়, তারা বোঝেইনা! আবার কোন ভালো ছেলে যদি একটি মেয়েকে প্রপোজ করেই ফেলে তবে একবার না শোনার পরে লজ্জায় আর ফিরে আসেনা। অন্যদিকে একটা খারাপ ছেলে মেয়েটির "না" কে পাত্তা না দিয়ে চেষ্টা করেই যায়।
তো আপনি মেয়েটির জায়গায় থাকলে কি করতেন? তাকে পছন্দ করতেন যে আপনাকে পাবার কোন চেষ্টাই করেনি? নাকি তাকে যে প্রায় সব ধরণের পাগলামি করেই যাচ্ছে? মেয়েটি তো জানেই না যে ছেলেটি খারাপ এবং এমন কথা হাজারটি মেয়েকে বলে ফেলেছে! মেয়েরা খারাপ ছেলেদের নয়, খারাপ ছেলেদের অভিনয়কৃত পারফেক্ট, ভালো ছেলেকে পছন্দ করে।

এক মহাপুরুষের কবিতা ব্যবহার করে মেয়েদের মনকে বোঝানোর চেষ্টা করি।
রবীঠাকুর তার "সাধারণ মেয়ে" কবিতায় একজন হৃদয়ভাঙ্গা মেয়ের মনের কথা লিখেছেন,

"সে বলেছিল কেউ তার
চোখে পড়ে নি আমার মতো।
এতবড়ো কথাটা বিশ্বাস করব যে সাহস হয় না,
না করব যে এমন জোর কই।"

এটাই হচ্ছে আসল কথা! মেয়েটির মনে কোথাও একটা ভীতি, সন্দেহ থাকলেও সে শক্তি বা জোর করতে পারেনা ছেলেটির সুন্দর সব প্রেমময় শব্দমালাকে অবিশ্বাস করতে। এজন্যে মেয়েরা খারাপ ছেলেকে মন দিয়ে ধোঁকা খায়!

দ্বিতীয়ত কখনো কখনো মেয়েরা জেনেবুঝে খারাপ ছেলেদেরকে ভালোবাসে। কেন?একজন নারী নয় মাসে মা হয়না। মা হবার মতো এত বড় একটা প্রক্রিয়া হুট করে হয়না। মেয়েদের জিনে ছোট থেকেই মাসুলভ ব্যাপার থাকে। খেয়াল করে দেখবেন, আপনার মা ছাড়াও, বান্ধবী, বোন, প্রেমিকা আপনার সাথে কেমন যেন একটা মাসুলভ আচরণ করে! অগোছালো আপনাকে নানা উপদেশ দেয় গোছালো হবার! মেয়েদের এই মাসুলভ ব্যাপারটি তাদেরকে উৎসাহিত করে অগোছালো খারাপ একটা ছেলেকে ভালো পথে আনার। এটি একটি মহৎ গুণ। সফল হলে মেয়েরা স্বর্গ পায়, অসফল হলে কষ্ট!

করণীয়: ভালো ছেলেরা: ভালো হওয়া মানে আনস্মার্ট, বোকা বোকা বা স্বল্প আত্মবিশ্বাস থাকা নয়। একটি মেয়ে খারাপ ছেলেদেরকে তাদের পাগলামিপূর্ণ রোমান্টিক স্বভাবের কারণে পছন্দ করে, তাদের চরিত্র খারাপ হবার জন্যে নয়। একটি খারাপ ছেলে যা বানিয়ে বলে, একজন ভালো ছেলে তাই মন থেকে অনুভব করে কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না। ব্যাস একটু চেষ্টা করুন মেয়েটির মন কি চায় তা বোঝার। এক নাম্বার রহস্যে ফেরত যান। তার চোখের ভাষা পড়ুন! নিজের কথা ও কাজে তার মন এবং মান রাখুন। তখন বুঝবেন আপনার ভালো হওয়াটা আসল সমস্যা ছিলইনা! সমস্যা ছিল আপনি মেয়েটিকে ঠিকমতো বোঝাতেই পারেননি সে আপনার জন্যে কি! তো ভালো ছেলেদের মেয়েরা পছন্দ করে না এমন ভ্রান্তিতে না থেকে আসল সমস্যার দিকে নজর দিন।
খারাপ ছেলেরা: কোন মেয়ে যদি আপনার সব খারাপ স্বভাব জেনে আপনাকে ভালোবাসে তবে দয়া করে তার ভালোবাসাকে সম্মান দিন। তার কোন ক্ষতি করবেন না, তাকে ঠকাবেন না। তাহলে আপনি নিজেই বিশালভাবে ঠকবেন।

রহস্য নাম্বার ৩ : আমাকে কেমন দেখাচ্ছে? না সত্যি করে বলো, বাজে দেখাচ্ছে, তাই না?

"আমাকে কেমন লাগছে?" মেয়েদের একটি কমন প্রশ্ন। আপনি ভালো বলার পরেও সে নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকবে। যেমন তাকে মোটা লাগছে কিনা, ত্বক প্রাণহীন লাগছে কিনা ইত্যাদি। আপনি যদি ভুল করেও বলে ফেলেন যে হ্যাঁ একটু মোটা লাগছে, তবে কাজ সেরেছে! সে অভিমান করে বসবে। আপনি তাকে আগের মতো আকর্ষনীয় মনে করেন না সেটা ভেবে অভিমানে কষ্ট পাবে।
এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যে একবার ভালো বলার পরেও কেন সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করে বিরক্ত করছে? আর যদি জানতে চায়ই, তবে কেন সত্যি শুনে গাল ফোলাচ্ছে?



ছেলেদের ব্যাখ্যা:
মেয়েরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে।
কাইন্ডা ট্রু, কিন্তু আরো বড় ও আসল কারণ অন্যকিছু!

আসল ব্যাখ্যা: বেশিরভাগ মেয়েই মনে করে ছেলেরা মেয়েদের বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখে আকৃষ্ট হয় এবং কোন কারণে যদি তা ঘাটতির দিকে যায় তবে ছেলেটি আর তাকে ভালোবাসবে না! এধরণের কমপ্লেক্সে মেয়েরা প্রেগন্যান্সি পরবর্তী সময়ে মারাত্মক ভাবে ভোগে। কেননা তখন তাদের নানাবিধ শারীরিক পরিবর্তন হয়। তাছাড়া বয়স বাড়তে থাকলে চেহারার রিংকেলস, মুটিয়ে যাওয়া শরীর তাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। তবে সবসময় এত বড় কোন কারণ থাকবে তা নয়। কোন একটা ব্যাড হেয়ার ডে তেও এমনকিছু মেয়েটির মাথায় আসতে পারে। সবমিলে মেয়েদের মনে একটা সার্বক্ষনিক ভয় লেগে থাকে যে আমি কম সুন্দর হয়ে গেলে সংগীর মনোযোগ কমে যাবে। এমন মনে করার কারণ কি? সাহিত্য, টেলিভিশন মিডিয়া ইভেন জানালা দিয়ে দেখতে পাওয়া বিলবোর্ডটাও যেভাবে নারীর সৌন্দর্যের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টায় মেতে আছে, তাতে করে এমন ভাবনা কি অমূলক?

করণীয়: আপনার সঙ্গীনি জিজ্ঞেস করুক না করুক তার দিকে মাঝেমাঝেই হা করে তাকিয়ে থাকুন, বলুন সে কি ভীষন সুন্দরী! তার সবকিছুই কত পারফেক্ট আপনার চোখে! আপনি নিজেই বেশি বেশি প্রশংসা করলে তার মনে কোন ধরণের অভিমানের অস্তিত্ব থাকবেনা। মনে রাখবেন সে আপনাকে ভালোবাসে বলেই আপনাকে হারানোর ভয়ে মন কুঁকড়ে যায়। সে আপনাকে ভালোবাসে বলেই আপনার টাক মাথা, বর্ধিত ওজনের দিকে নজর না দিয়ে নিজে কিভাবে আপনার সামনে আকর্ষনীয় থাকা যায় সে চিন্তায় মগ্ন থাকে। তার জন্যে একটু আকটু প্রশংসা সে পেতেই পারে। সে যদি শান্তিতে থাকে তবেই না আপনাকেও শান্তিতে রাখবে!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পোষ্টটি পড়ে আপনি নারীর মন পুরোপুরি বুঝতে পারবেন তা কিন্তু নয়। নারীর মনের এতশত ঘর রয়েছে যে সবগুলোর দরজা খোলা হয়ত সম্ভব না। আর সব মেয়ে এক নয়। এই পোষ্টে যে স্বভাবগুলোর কথা লিখেছি তা হয়ত কোন কোন মেয়ের একদমই নেই! স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর সব মেয়ের সাথে রহস্য এবং ব্যাখ্যা গুলো নাও মিলতে পারে।

তবে আশা করি এই পোষ্ট কমন কিছু প্রশ্নকে সামনে আনতে পেরেছে। এর সাহায্যে পুরুষেরা নারীদের অবস্থানকে কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারবেন। পুরুষেরা নারীদের মন বোঝার চেষ্টায় অন্য কনফিউজড পুরুষদের সাথে আলোচনা করেন। তার চেয়ে একজন মেয়ের মতামত বোধহয় বেশি কাজে আসবে।
মেয়েদের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য শরীরে নয়, বরং তাদের রহস্যময়ী মনে। একজন নারী সমাজের প্রতি পদে হাজারটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, সে জানে সে নারী বলে তাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সমাজের চোখে একজন নারীর ভুলগুলো পাপ, একজন পুরুষের পাপগুলোও ভুল! সমাজের মাত্রাতিরিক্ত ভালো ও সুন্দরী মেয়ে হবার চাপ একজন নারীকে ইনসিকিউর করে দেয় নিজের ব্যাপারে। এই প্রক্রিয়ায় তার ভেতরটা নানা জটিলতায় পূর্ণ হয়ে যায়। আপনার মা, জীবনসঙ্গীনি, বোন, মেয়ে মানসিক ও শারীরিক ভাবে অনেককিছু সহ্য করে প্রতিনিয়ত। একজন নারী কতকিছু যে নিজের মাঝে ধারণ করে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না! তাদের ছোটখাট অদ্ভুত আচরণের পেছনে রয়েছে হাজার বছরের বৈষম্যের ইতিহাস, অপ্রাপ্তির জ্বালা, সঠিক মূল্যায়নের অভাব, ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংঘর্ষ সহ অনেককিছু! মেয়েদের প্রতি বিরক্ত অথবা হতাশ না হয়ে তাদেরকে সম্মান করুন এবং সঠিকভাবে তাদের মূল্যায়ন করুন। তারা ভীষনভাবে সেটার যোগ্য।

এই লেখার আরো পর্ব লিখব কিনা ঠিক করিনি এখনো। পাঠক চাইলে অবশ্যই করব। :)

ছবিসূত্র: অন্তর্জাল!

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সামু আপু: প্রিয় ব্লগার ভাইয়েরা, আপনি কি নারী মনের রহস্য জালে দিশেহারা?
আমি: না =p~
সুন্দর লিখেছো আপু +++

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা। পড়াশোনা শেষ করে আরো বড় হও। আসবে ভাই, সেই সময় তোমারো আসবে। তখন আপুর পোষ্টটি কাজে লাগবে। ;)

মজার মন্তব্য এবং প্লাসের জন্যে থ্যাংক্স ভাই।
ভালো থেকো।

২| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: দারুন লিখেছেন আপু, ট্রেনে আছি পরে আরেকবার ভালো করে পড়বো।

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ট্রেন থেকেও সামুর সাথে কানেক্টেড আছেন জেনে ভালো লাগল।
শুভেচ্ছা।

৩| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা বলে না মেনে পারছি না আপু B-)

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ! অনেকদিন পরে আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভীষনই আনন্দিত হলাম।

হাহা! পরোক্ষ অভিজ্ঞতা মানে অন্যদের দেখে শেখাও একটা ব্যাপার ভাই। ;) আর নারী হয়ে এসব বোঝা তো খুব কঠিন না আমার জন্যে।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভীষন ভালো থাকুন।

৪| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

শামচুল হক বলেছেন: সাদা মনের মানুষ কি কয়, অভিজ্ঞতা অর্জন করে করে লিখতে গেলে তো লেখার সময়ই থাকবো না।

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! তা যা বলেছেন! লেখকেরা অভিজ্ঞতা অর্জনের সময় পায়না, ব্যাস চারিদিকে আগ্রহী দৃষ্টিতে নজর রাখে! ;)

৫| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এ কে??? ইয়ং জেনারেশনের গুরুদক্ষিণা!!!:P



ওরে,
সব পাগলের হলো মেলা ব্লগে এসে,
হল মেলা ব্লগে এসেএএএএ........
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে।
পাগলের সঙ্গে যাবি, পাগল হবি বুঝবি শেষে!!;)



প্রথম ছবির বইটা অত বড় কেন????B:-)

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! ভীষন মজার কমেন্ট করেছেন। ধন্যবাদ।

পাগল হতে দোষ কি? পাগলামিতেই সকল শান্তি! ;)

নারী মন কি এতই সহজ? নারী মনের চ্যাপ্টার ১ ই অতো বড়! ভাবুন পুরোটা কত বড় হতো! :D

৬| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দারুণ লিখাটি পড়ে ভাল লাগল। বেশ গবেষণালব্ধ লিখনী হয়তো।
আর পাঠকদের কথা জানিনা। নিজের কথা বলতে পারি, কাজে দিবে।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুজন ভাই আপনাকে পোষ্টে পেয়ে খুশি হলাম।

আশা করি ভাবীর মন আরো ভালোভাবে বুঝতে কাজে দেবে পোষ্টটি। :)

অনুপ্রেরণা দিয়েছেন মন্তব্যে। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা।

৭| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @"নারী মন কি এতই সহজ? নারী মনের চ্যাপ্টার ১ ই অতো বড়! ভাবুন পুরোটা কত বড় হতো!"

@"মেয়েদের প্রতি বিরক্ত অথবা হতাশ না হয়ে তাদেরকে সম্মান করুন এবং সঠিকভাবে তাদের মূল্যায়ন করুন।"

@"আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।"


--- চলার মত। তবে বি কুল।
আমি মানুষকে হিপনোটাইজ করতে পারি। আপনাকে কি করবো???:P (যদিও আপনি আমার এনিমি।)

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না বাবা আমার হিপনোটাইজড হয়ে কাজ নেই।

এনিমি!? আমি আবার কি করলাম?

৮| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৯

জোকস বলেছেন: বাসায় যেয়ে পড়ব।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আচ্ছা, সময় করে পড়ে নিয়েন।
ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: টাইপিং এক্সপার্ট!! গুড।।


@ "এনিমি!? আমি আবার কি করলাম?"

X(X(X(
ব্লগে এসেই আমাকে বন্ধুহারা করেছেন। আপনার সাথে লড়াই হবে। লড়াইয়ের দিন তারিখ ঠিক করেন???X(




@"এই লেখার আরো পর্ব লিখব কিনা ঠিক করিনি এখনো। পাঠক চাইলে অবশ্যই করব।"
-- -- এসব লেখা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক!!!:P
ভাল বাসা(বাড়ি) বৃদ্ধি পাক, দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিপাত যাক্। ;)

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার কথা আমি বুঝতে পারছিনা। মাফ করবেন।

দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিপাত যাক!
একমত।

শুভচ্ছা রইল।

১০| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওয়াও! ওদিকে আড্ডাঘরে চা নাস্তা আনছে সবাই, এখানে আপনি! আমার তো আজ ভুরিভোজের দিন! :)

১১| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পুরোটা পড়লাম। আপনি মেয়েদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মনে হচ্ছে। মেয়েদের অবশ্যই সম্মান করা উচিত।।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি নিজে যেহেতু মেয়ে তাই বিশেষজ্ঞ হতে হয়না, আপনা আপনিই এসব জ্ঞান অনুভবে চলে আসে! :)

মেয়েদের অবশ্যই সম্মান করা উচিত।
হ্যাঁ, পৃথিবীর সকল গোত্রের মানুষই সম্মানের যোগ্য। আপনি তা অনুধাবন করতে পেরেছেন জেনে খুবই ভালো লাগল।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অফুরান।

১২| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

মৌরি হক দোলা বলেছেন: আপু, আপনার আর্টিকেলগুলো সত্যিই চমৎকার। :)

আমি দুটো পড়েছি। তাতেই আমার বেশ দারুণ লেগেছে। :)

আপু, আপনি কি মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ? :) :)

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। দারূনভাবে উৎসাহ দিলেন লেখায়।

না আমি মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করিনি। নিজের সাবজেক্টের সাথে সম্পর্ক না থাকলেও আমার ইচ্ছে আছে কোন একটা বেসিক কোর্স করার মনোবিজ্ঞান নিয়ে। আমাকে সবসময় ফ্যাসিনেট করে মানব মনের নানা অলিগলি!

ভীষন ভালো থাকুন।

১৩| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৭

প্রামানিক বলেছেন: সাদা মনের মানুষ এত চা ঢালে তারপরেও চা ফুরায় না কেন?
লেখা বরাবরের মতই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকে পোষ্টে পেয়ে খুশি হলাম প্রামানিক ভাই।

না এটা হচ্ছে ভাইয়ের ম্যাজিকাল চা। পুরো ব্লগবাসীকে দেবার পরেও শেষ হয়না! ;)

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগায় আনন্দিত হলাম।
শুভ হোক প্রতিটি ক্ষন।

১৪| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রথম কথা হইল , সাদা ভাই আপ্নারে ফুটা কাপে চা দিছে! যতই ঢালে পুরে না। :P
দ্বিতীয় কথা হইল, এই পোস্ট পড়ে বউয়ের দিকে হা কইরা তাকাইয়া ছিলাম।
বউ জিজ্ঞাসিলে কইলাম, আমার বউ কত্ত সুন্দর !
হেয় আমারে কয় --চ্চা !!!

আপনার এই কথাটা রিতিমত কোটেশন সমাজের চোখে একজন নারীর ভুলগুলো পাপ, একজন পুরুষের পাপগুলোও ভুল!

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! না না ওটা ম্যাজিক টি, তাই ওমন অবস্থা!

ভাবী যাই বলুক না কেন, মনে মনে ভীষন খুশি হয়েছে সেটা নিশ্চিত!

হুমম, এই কথাটি আমি বাস্তবেও মাঝেমাঝেই বলি। অনেকের চোখেই ধর্ষিতা হওয়া পাপ, কিন্তু ধর্ষক হওয়া নয়! খারাপ লাগে ভেবে যে কারো কারো ভাবনা কতটা নিচুমানের! অবশ্য উন্নত চিন্তাধারার পুরুষের সংখ্যাও অগণিত!

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা অফুরান।

১৫| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেহ!
সখি যে দেখছি ড. অব মাইন্ড, থুরি ওমেন মাইন্ড!

হা হা হা

জটিল গবেষনার সরল উপস্থাপনা। আমার কম্ম নয়। আমার সরল কবিতাই দেখেন না
কেমন কেমন কঠিন হয়ে যায় ;) হা হা হা ( জাষ্ট কিডিং )
তবে এটা সত্যি একটা মেয়ে যেভাবে বুঝতে পারবে, অনেষ্টলি সে যদি তা প্রকাশ করে তা সন্দেহাতীত গুরুত্বপূর্ন।
তবে সকল অনুভব, আবেগের সাথে আর্থ-সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয় জ্ঞানও ওতপ্রোতভাবে জড়িত!
পারিপাশ্বিকর্তার প্রভাবও একটা বড় নিয়ামক।

ন' আড়ি = নারী :)
তাই নারীর সাথে নো আড়ি , অলওয়েস ভাবস
ব্যাস নারী খুশি, পুরুষ খূশি- দুনিয়া সূখের!

পোষ্টে +++++




১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা!

সখি ডক্টর ফক্টর নয়। ব্যাস অনুভবে বুঝি যা, তাই তুলে ধরলাম। :)
আসলে কোন জটিল গবেষনা নয়, একজন নারীর সরল ভাবনা, অনুভূতিগুলো নিয়েই লিখেছি।

এহ! কঠিন তো আপনি ইচ্ছে করে লেখেন। বেশি ভাব নেবার জন্যে! ;) :D

তবে এটা সত্যি একটা মেয়ে যেভাবে বুঝতে পারবে, অনেষ্টলি সে যদি তা প্রকাশ করে তা সন্দেহাতীত গুরুত্বপূর্ন।
তবে সকল অনুভব, আবেগের সাথে আর্থ-সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয় জ্ঞানও ওতপ্রোতভাবে জড়িত!
পারিপাশ্বিকর্তার প্রভাবও একটা বড় নিয়ামক।

এই কথাগুলোই পোষ্টের সারমর্ম! অসাধারণ বলেছেন!

বাপরে বাপ! সব নারীর সাথেই ভাবস? বহু সখির মধ্যে হারিয়ে না যাই! হাহা, জোকিং!

ব্যাস নারী খুশি, পুরুষ খূশি- দুনিয়া সূখের!

হায় সবাই এত সরল সুন্দর ভাবে ভাবলে দুনিয়াই স্বর্গ হয়ে যেত!

পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!

১৬| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটা অনুধাবনের কি আছ? #:-S

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আছে। বহু যুগ ধরে চলে আসা পুরুষশাসিত দুনিয়ায় এখনো অনেক পুরুষ বুঝতেই পারেন না যে নারীরাও মানুষ, এবং তারাও সম্মানের যোগ্য। আপনার কাছে যা ভীষন স্বাভাবিক, সহজেই অনুধাবন করতে পারেন, কারো কারো কাছে তা একদমই জটিল। তবে এমন কেন যে হলো! এটা তো আসলেই সরল একটা ভাবনা!

১৭| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রম্য ভাল লেগেছে।লেখাটি কন্টিনিউ করতে পারেন :)

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: রম্য!!! হায় হায় কি বলেন? সিরিয়াসলি লিখেছি তো! আমার সিরিয়াস লেখাগুলোও মানুষের রম্য মনে হয়! বড়ই ভয়ংকর কথা! B:-) :)

১৮| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হুম! একজন নারীর কাছ থেকে নারীচরিত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ! ভালোই লিখেছেন! কৌশলে পুরুষদের আচরণটা নারীদের সাথে কেমন হওয়া উচিত এটাও শিখিয়ে দিলেন! খুব সুন্দর!! ভালো লাগল!!!

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ, পুরুষেরা নারীদের নিয়ে যত লেখা লিখেছে, তার অর্ধেকও যদি নারীরা নিজেদের নিয়ে লিখত, তবে হয়ত নারী চরিত্র এতটাও রহস্য সৃষ্টি করত না। নর নারীতে ভুল বোঝাবুঝি ও বিভাজন সৃষ্টি হতো না!

ভালো লাগায় উৎসাহিত করলেন।
ভীষন ভালো থাকুন।

১৯| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কাল পড়বো। আজ শুধু দেখে গেলাম।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আচ্ছা হেনাভাই। এমনিও আপনার ঘুমানোর সময় হয়েছে। পরে সময় করে পড়ে নিয়েন। :)

২০| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমি আপা এত প্যাচ গোচ বুঝিনা। সহজ সরল ভাবে জীবন যাপন করি। তবে আপনার লেখা নারীর ধাঁধা বিষয়ক জট খুলতে সাহায্য করবে।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ ভাই, আপনি সহজ সরল হলে তো শেষ কথা হয়ে যাচ্ছে না। আপনার জীবনসংগীনি কেমন এবং তিনি আপনার কাছ থেকে কি প্রত্যাশা করেন সেটাও তো জরুরি! :)

সাহায্য করতে পারলেই পোষ্ট সার্থক হবে!

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অফুরান।

২১| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:


পোষ্ট পড়ি নাই, পরে পড়ব। একটাই প্রশ্ন,
নারীর মন সব পুরুষই বুঝতে চায়, পুরুষের মন বুঝতে চায় না কেন নারী ?
যদি চায় সেটা তাহলে সাহিত্যে উহ্য কেন ?

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই অনিক!
অনেকদিন পরে আমার ব্লগবাড়িতে দেখে ভালো লাগল। আশা করি ভালো আছ।

আচ্ছা, সময় করে পড়ে নিও।

পুরুষের মন নারীরা বুঝতে চায় এবং সহজেই বুঝে যায়। তোমারো হয়ত এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে যে তোমার মুখ দেখেই মা তোমার মনের কথা বুঝে যাচ্ছে! তুমি হাজার চেষ্টা করেও লুকাতে পারছনা! সবারই এটা একটা কমন এক্সপেরিয়েন্স! আবার স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রেও তাই হয়। যেমন আমার বাবা আমার মায়ের কাছে কিছু লুকোতে পারেনা। বাবার চোখ দেখলেই মা বুঝে যায় তার মনে কি চলছে। কিন্তু বাবা কিন্তু মায়ের মনের কথা অনেকসময় বোঝানোর পরেও সহজে ধরতে পারেনা! একজন নারী একজন পুরুষকে যত সহজে বুঝতে পারে, পুরুষেরা নিজেদেরকে ততটা সহজে বোঝে কিনা সন্দেহ! যেহেতু পুরুষের মন মেয়েরা ইজিলি ডিকোড করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় তাই তাদেরকে অতিরিক্ত সাধনা বা কষ্ট করতে হয়না। পুরুষেরা মেয়েদের কাছ থেকে ইনক্রেডিবল এমাউন্ট অফ মেন্টাল সাপোর্ট পায়। মেয়েরা সেটা অনেকসময় পায়না, এবং ভীষন রকম মানসিক চাপে ভোগে।

যাই হোক, এই পৃথিবীর বেশিরভাগ ইনডাস্ট্রিই মেইল ডমিনেটেড। সবচেয়ে ফেমাস বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, আঁকিয়ে, শেফ কিন্তু পুরুষ। কারণ এটা না যে একজন নারীর ব্রেইন বা ট্যালেন্ট থাকে না। কারণ হচ্ছে, অনেকদিন পর্যন্ত নারীদেরকে ঘরের বাইরে বেড়িয়ে নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয়নি। জন্মানো মাত্র কবরও দেওয়া হয়েছে একসময়ে! উইমেন স্টার্টেড রিয়েল লেইট, সো দে আর এ লিটিল বাহাইন্ড ইন মোস্ট ইনডাস্ট্রিস কমপেয়ারড টু মেন! কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তারা ক্যাচ আপ করে ফেলবে।
যেহেতু অনলাইন এবং অফলাইন মিডিয়ায় নারীদের উপস্থিতি এখনো পুরুষের চেয়ে কম, নারীদের পয়েন্ট অফ ভিউটা চোখের সামনে আসেনা। আমরা যেসব লেখকদের লেখা পড়ে বড় হয়েছি, যেসব সাহিত্য, কবিতা নখদর্পণে তার কয়টা একজন নারীর লেখা? পুরুষের চোখ দিয়েই নারীকে দেখতে হয়েছে সাহিত্যে! সেখানে নারীরা সুন্দর, রহস্যময়ী! পুরুষেরা নারীকেই ফোকাস করেছে স্বাভাবিকভাবে। যা আগে বলেছি, সময়ের সাথে সাথে ইউ উইল সি উইমেন কামিং ফরওয়ার্ড, টকিং এবাউট মেন, এক্সপ্রেসিং দেমসেলভস মোর এন্ড মোর।

তখন আর ছেলেদের মধ্যে এতো বেশি কনফিউশন থাকবেনা যে মেয়েরা এই না সেই না, এটা বোঝে না ওটা বোঝে না ইত্যাদি ইত্যাদি! :)

সরি এত বড় মন্তব্য লিখতে হলো, কিন্তু তোমার প্রশ্নটাই এমন ছিল! এক দু কথায় ব্যাখ্যা করতে পারতাম না।

ভালো থেকো অনিক।

২২| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



গবেষকের পরিপক্কতা প্রশ্নাতীত। গবেষনা সেইরকম। চলতে থাকুক। এরপরে পুরুষ মন নিয়ে সেম টাইপের পোস্ট আশা করতে পারি কি?

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

অনেক ধন্যবাদ পরের পর্ব লেখায় অনুপ্রেরণা দেবার জন্যে।

হুমম আসলে পুরুষের ইস্যুগুলো অন্যরকম। পুরুষের মন রহস্যময়ী এটা সচরাচর শোনা যায়না। মেয়েরা সাধারণত নিজের সন্তান, স্বামীর মন সহজে বোঝে যদি ভালোবাসে। তাই এমন কনসেপ্টের পোষ্ট পুরুষের ওপরে বিশালভাবে এপ্লাইড হবেনা। এক্সেপশন আছে যদিও। তবে সেগুলো হয়ত সেই ব্যক্তিরাই বেটার লিখতে পারবে। পুরুষের মন নিয়ে পোষ্ট দিতে গেলে পোষ্টের থিমটা একটু পরিবর্তন করতে হবে। এখনো সেভাবে ভাবিনি। ভাবনা আসলে লিখে ফেলব! :)

শুভচ্ছো রইল!

২৩| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার স্ত্রীর দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে সে বলে, মতলব কী? সারাদিন যদি কাজের ঝামেলায় ওর দিকে একবারও না তাকাই তো বলে, বুঝেছি, বুড়ি হয়ে গেছি বলে আর তাকাতে ইচ্ছা করে না।

সত্যি বলতে কী, মায়ের ভালোবাসা ছাড়া মেয়েদের অনেক কিছুই আমি বুঝি না। জীবনে একটা ব্যর্থ প্রেম ছিল। তার মনের কথাও সব সময় বুঝতাম না। শুধু এটুকু বুঝতাম যে, সে আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে (সরি! ভালোবাসতো)। সবচেয়ে দুর্বোধ্য মনে হয় মেয়েদের হাসি কান্নার ব্যাপারটা। কেন হাসে, আর কেনই বা কাঁদে বুঝতে পারি না। এসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হলে আমি নির্ঘাত গোল্লা পাবো।

তোমার এই পোস্ট খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লাম। কিন্তু কোন লাভ হলো না। মেয়েরা আমার কাছে যেমন দুর্বোধ্য ছিল, তেমনই আছে এখনও। আর এই বুড়ো বয়সে মেয়েদের মন বুঝার চেষ্টা করে লাভ কী? হাঃ হাঃ হাঃ। =p~

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! প্রথম কথাটি প্রশয়ের, দ্বিতীয় কথাটি অভিমানের। এন্ড রেজাল্ট: তিনি চান আপনি সবসময় তার দিকে তাকিয়ে থাকুন। :)

বাসত কেন হেনাভাই? হয়ত এখনো বাসে!

আপনি একা নন, পৃথিবীর বেশিরভাগ পুরুষেরই এই অবস্থা। পুরো একটা জীবন কাটিয়ে দেয় নারীর সাথে তার মনকে পুরোপুরি না বুঝেই! মেয়েদেরকে আরো বেশি এক্সপ্রেসিভ হতে হবে আসলে। নাহলে এই অবস্থার পরিবর্তন হবেনা।

হাহা, বুড়ো বয়সে নিজের বুড়ির জন্যে চেষ্টা করবেন। ক্ষতি কি তাতে? ;)

আপনাকেও সুন্দর এবং মজার মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ হেনাভাই।
সুস্থ্য ও সুখী থাকুন।

২৪| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

রাতের হাতছানি বলেছেন: +++ এ রইল :)

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

২৫| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যাক এখন থেকে পুরুষেরা কিছুটা কূল কিনারা করতে পারবেন।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তাহলে তো ভালোই হয়। পুরুষেরা দুশ্চিন্তামুক্ত হবে এবং নারীরা স্বস্তিতে থাকবে! :)

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ভীষন ভালো থাকুন।

২৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো অভিজ্ঞ লোক।

১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অভিজ্ঞতার চেয়েও নারীর অনুভূতিতে বুঝি বলতে পারেন। আর আশেপাশের চেনা পরিচিত মানুষের অভিজ্ঞতাও অনেককিছু বুঝতে সাহায্য করে।

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা।

২৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপি অনেক সুন্দর লিখেছেন।

১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কলি আপু, ভালো আছেন আশা করি।

অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুভেচ্ছা অফুরান।

২৮| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১১

সাাজ্জাাদ বলেছেন: আপনার কথা সত্য। তবে মনে হয় শুধু বাঙ্গালী মেয়েদের ক্ষেত্রে।
পাকিস্তানী মেয়েরা-ও কি সেম হবে?
আমার মনে হয় না। :P

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দেশে থাকতে আমারো মনে হতো যে কিছু কিছু ব্যাপার শুধু বাঙ্গালী মেয়েদের মধ্যে থাকে। তবে বিদেশে আসার পরে নানা দেশের মেয়েদের সাথে মিশে মনে হয়েছে সব দেশেই মেয়েদের কিছু কমন স্বভাব থাকে। এই পোষ্টে যেসব স্বভাবের কথা বলেছি বেশিরভাগ কালচারেই সেগুলোকে মেয়েদের স্টেরিওটিপিক্যাল স্বভাব মনে করা হয়!

ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল।

২৯| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট আগেই দেখেছি কিন্তু পড়া হয়নি , সুযোগ বুঝে পড়ে ফেললাম ।
আপনার লেখা কথাগুলো মেয়ে হিসেবে মনে হচ্ছে যেন আমারি কথাগুলো কেউ বলছে । দারুন লিখেছেন ।
আমরা মেয়েরা একটু কেয়ার করা ,কিংবা আহলাদি বলা চলে ।
মেয়ে হিসেবে আমি কখনোই সুন্দর ছেলে দেখে মুগ্ধ হয়নি, ছেলেদের সৌন্দর্যে আমার দৃষ্টি বরাবর সরে যেতো ।
আমার দুই একজন যাদের ভালো লাগতো তাদের হাসি কিংবা পারসোনালিটি দেখে মুগ্ধ হয়েছি ।
ছেলে আর মেয়ে পুরোপুরি আলাদা চরিত্র , মেয়েদের অভিমান কিংবা ভালো লাগা কয়টা ছেলে বুঝার ক্ষমতা রাখে ?
মেয়েরা হিংসুটে বটে , তারা সর্বদা বরের চোখে অপরূপা কিংবা বেস্ট থাকতে চায় । আর বর যদি হয় বেখেয়ালি তাহলে সেই ললনার চোখের জল কত যে নষ্ট হয় কে রাখে তার খবর ।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সময় ও সুযোগ করে পড়ে মন্তব্য করার জন্যে।

হ্যাঁ একদম কারেক্ট। অনেক সফট ও সেন্সিটিভ মনের আমরা। আমাদের কেয়ার একটু বেশিই লাগে।

আরেহ সেম হেয়ার! ছেলেদের চেহারা কখনোই জরুরি মনে হয়নি! আমার সবচেয়ে ভালো লাগে একটা ছেলে যখন নারীদেরকে রেসপেক্ট করে, এবং তাদের যোগ্যতায় বিশ্বাস করে। ভাবলেও অবাক হই যে এই সিম্পল কোয়ালিটি অনেক পুরুষের মধ্যেই থাকে না!

বোঝার ক্ষমতা তো বেশিরভাগ ছেলেই রাখে না আপু। কেউ কেউ এট লিস্ট বোঝার চেষ্টা করে। আর অনেকে সেটাও করেনা। যারা করেনা তাদের কোন রিগ্রেটও থাকেনা। মেয়েমানুষের মনকে অতো পাত্তা দিতে নাই, বা নারীজাতি বড়ই রহস্যময়ী বলে এড়িয়ে যায়!

আমি অবিবাহিতা, এখনো এক্সপেরিয়েন্স করিনি এসব ব্যাপার। তবে স্বামীর বেখেয়ালি, কেয়ারলেস স্বভাবে অনেক নারীকে কষ্ট পেতে দেখেছি। এই পোষ্টটি অনেক নারীর শূন্যতা দেখে পূর্ণ হয়েছে!

আমার মনের কথার সাথে আপনার কথাগুলো মিলে যায়। তাই অনেক বকবক করে ফেললাম। :)
সুখে ও শান্তিতে থাকুন নূর আপু।

৩০| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

কাবিল বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
তবে আমার বেলায় সম্পূর্ণ উলটো, আমি তাকে বুঝতে পারি কিন্তু সে এব্যাপারে অনেকটাই পিছিয়ে, এটা তার মুখ থেকেই স্বীকৃত প্রাপ্ত।
২১ নং মন্তব্যের প্রতিউত্তর খুব ভালো লেগেছে, বিশেষ করে-
যেহেতু অনলাইন এবং অফলাইন মিডিয়ায় নারীদের উপস্থিতি এখনো পুরুষের চেয়ে কম, নারীদের পয়েন্ট অফ ভিউটা চোখের সামনে আসেনা। আমরা যেসব লেখকদের লেখা পড়ে বড় হয়েছি, যেসব সাহিত্য, কবিতা নখদর্পণে তার কয়টা একজন নারীর লেখা? পুরুষের চোখ দিয়েই নারীকে দেখতে হয়েছে সাহিত্যে! সেখানে নারীরা সুন্দর, রহস্যময়ী! পুরুষেরা নারীকেই ফোকাস করেছে স্বাভাবিকভাবে।
আপনার লেখা আরো পড়তে চাই।
আশা করি পর্ব আকারে দিবেন।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা! ভীষনই ইউনিক কেস তো! এমনটা আগে শুনেছি বলে বলে হয়না। ভাবী অনেক লাকি যে আপনি তাকে বুঝতে পারেন। পিছিয়ে থাকুক, কিন্তু আপনাকে বোঝার ও সুখে রাখার চেষ্টা তার মধ্যে নিশ্চই আছে। ব্যাস আর কি লাগে!

অনেক ধন্যবাদ লেখার সাথে সাথে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য গুলোও পড়ে মতামত দেবার জন্যে।

জ্বি, আমি আরো পর্ব করব। এই টপিক নিয়ে বলার মতো আরো অনেককিছু বাকি।
শুভেচ্ছা রইল।

৩১| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে। খুব গুছিয়ে সুন্দর করে লেখা। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো লাগায় উৎসাহিত হলাম।
আপনিও ভীষন ভালো থাকুন।

৩২| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:



এত বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য তোমার।
তবুও- তারপরেও- কোন না কোনভাবে আমার মন বলছে-- উহু ! পুরুষের মন যতটাই উন্মুক্ত হোক না কেন, অতটা ওপেন বুক না। ও বুকে কেউ কান পেতে শুনতেই চায় নি কোনদিন হৃদস্পন্দন। যাইহোক- থ্যাংক্স এ লট !

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওয়েলকাম।

নাহ, ওপেন বুক তো নয় পুরুষের মন। হিউম্যান সাইকোলজি ইজ কমপ্লেক্স, সে পুরুষের হোক বা নারীর। আমি বলতে চেয়েছি যে মেয়েরা এমন ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছে যে পুরুষের বিশেষত ভালোবাসার পুরুষের মনের কথাগুলো ধরে ফেলে।

এইসব ভাবনার কোন ভিত্তি নেই। ইয়াং ছেলেরা এসব ভাবতে পছন্দ করে। মেয়েরা ছলনাময়ী, মেয়েরা আমাদেরকে বোঝার চেষ্টাই করেনা, তারা স্বার্থপর ইত্যাদি ইত্যাদি ভাবনা তাদের মাথায় ঘোরে। ইউজালি প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে, বা হৃদয়ভঙ্গের কারণে। কিন্তু যখন ছেলেটি পুরুষ হয়, ম্যাচিউর হয়, তখন বোঝে। বলার আগেই যখন বউ এক কাপ চা মুখের সামনে ধরে, তখন পুরুষটি অবাক হয়ে যায় ও কি করে বুঝল আমার চায়ের তেষ্টা পেয়েছে? আবার চোখের সামন দেখে তার বউ কত কষ্ট করে একটি নতুন জীবনকে পৃথিবীতে আনছে তখন বোঝে যে মেয়েরা সেলফিশ হলে আল্লাহ তাদেরকে মা হবার ক্ষমতা দিত না। বেশি বয়স হলে যখন নারীটি মনে করে প্রতিবেলা ঔষুধ দেয়, পাশে থাকে তখন নারীকে নিয়ে তার সব ভুল ধারণা ভেঙ্গে যায়। পুরো একটা জীবন লাগে পুরুষের, নারীর গুণগুলোতে বিশ্বাস আনতে!

যাই হোক, হোপফুলি তোমার জীবনে এমন কেউ আসবে যে কান পেতে তোমার হৃদস্পন্দন শুনবে। ;)
ভালো থেকো।

৩৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রিয় ব্লগার ভাইয়েরা, আপনি কি নারী মনের রহস্য জালে দিশেহারা? নো চিন্তা, সামুপাগলা ইজ হেয়ার উইথ সাম হেল্প!
না আমি এখন আর নারী রহস্য জালে দিশেহারা না!
নিজের ভেতরের রহস্য নিয়ে আছি মহা সংশয়ে!

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, এই পোষ্টে যখন এলেনই, একেবারে দিশেহারা না হলেও কিছুটা আগ্রহ আছে নিশ্চই! হাহা কিডিং।

এক কাজ করুন, একজন নারীকে দায়িত্ব দিয়েই দিন আপনার ভেতরের রহস্য বোঝার। সে বুঝে আপনাকে বুঝিয়ে দেবে। ;)

আশা করি আত্মখোঁজে সফল হবেন। অল দ্যা বেস্ট!

৩৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আপনার এই লেখাটা আরো ৩ বছর পূর্বে লেখা দরকার ছিলো। তাহলে হয়তো পরোক্ষ ভাবে একজনের উপকার হলেও হতে পারত!
যাক সেটা নিয়ে মন খারাপ করিনি, কারণ সামুতে আমিই তো আসছি কিছুদিন হল। :)

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই সামুতে স্বাগতম জানাই।

ওহো! ইশ! মিস, আপনারই উচিৎ ছিল তিন বছর আগে বলে যাওয়া যে লেখাটি কারো দরকার। তাহলে তখনই লিখে ফেলতাম। ;) যাই হোক, এখন আপনার বা অন্যকারো দরকার হলে এই পোষ্টটির সাহায্য নিতে ভুলবেন না। :)

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

৩৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এই পোষ্টটা এখন অন্য কারোর কাজে হয়তো লাগতে পারে, তবে আমার জন্য হয়তো আর এটা কার্যকরী হবেনা। যে চলে যেতে চায় তাকে যেতে দাও, ফিরে আসতে চাইলে একটা দৌড়ানি দেও :)
পোষ্টটা প্রিয়তে অন্তর্ভুক্ত করলাম।

আমার ব্লগে ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ রইলো।

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যে চলে যেতে চায় তাকে যেতে দাও, ফিরে আসতে চাইলে একটা দৌড়ানি দেও
হাহাহা! চমৎকার বলেছেন। তবে আমি একটু এড করি, যে চলে যেতে চায় তাকে যেতে দাও, অন্যকাউকে কাছে টেনে নাও! :D
এই দর্শন অনুযায়ী, এই পোষ্টটির প্রয়োজন আপনারই বেশি! ;)

ধন্যবাদ নিমন্ত্রণে। আমি গিয়েছি আপনার ব্লগে। একটি পোষ্টে কমেন্ট করে এসেছি।
হুমম, ব্লগ নিয়ে আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে আমার এই পোষ্টের পর্ব এক, দুই একটু দেখে নিতে পারেন। Link

পাঠ, মন্তব্য এবং প্রিয়তে রাখার জন্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা।

৩৬| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: যে চলে যেতে চায় তাকে যেতে দাও, অন্যকাউকে কাছে টেনে নাও! :D

হুম সেটাই করতে হবে। তবে ভাঙ্গা কাঁচের পাত্র হয়তো জোড়া লাগতে পারে, কিন্তু ভাঙ্গা হৃদয় কখনো জোড়া লাগেনা।

আহা' আহা' আমিতো দেখছি অনেক প্রেমিক প্রেমিক টাইপের হয়ে গেছি। যাই হোক কিছু মনে করবেন না।

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নাহ, আমার তো মনে হয় ভাঙ্গা কাঁচের পাত্রই জোড়া লাগেনা। যত স্ট্রং সুপার গ্লুই ব্যবহার করেন না কেন ফাটল দেখা যায়। বরং হৃদয়ই নতুন কারো আগমনে পুরোপুরি জোড়া লাগতে পারে। :)

না না, পোষ্ট রিলেটেড কথায় মনে করার কিছু নেই।
ভালো থাকবেন।

৩৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: মেয়েরা প্রেম করার ক্ষেত্রে স্মার্টনেস প্রাধান্য দিলেও বিয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেয়।
আর্থিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পুরুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট গৌন হয়ে যায়।
মেয়েরা কখনো নিজের চেয়ে কম সফল (কর্ম বা সামাজিক ক্ষেত্রে) পাত্র বিয়ের জন্য পছন্দ করে না।
মেয়েরা নিজেরা উপার্জন করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়ের মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।

কেন?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: গ্রেট কোয়েশ্চন।

প্রথমে এটা বলে রাখি, প্রেম ও বিয়ের ক্ষেত্রে ডিফারেন্ট ক্রাইটেরিয়া ছেলেরাও সেট করে। প্রেম করার সময়ে মেয়েটির পাস্ট রিলেশনস, ধর্ম, পারিবারিক সমস্যা, মুখের দাগ কোনকিছুই ফ্যাক্টর না। কিন্তু বিয়ের সময়ে উচ্চবংশ, ধার্মিক, ভালো রান্না পারে, গায়ের রং এমন হাজারো বিষয়ে খুঁতখুঁত করে।

এই বিষয়টি নারী পুরুষ নির্বিশেষে দেখা যায়। দুজনের পরিস্থিতি এবং ব্যাখ্যা একই।

প্রেম যখন করে তখন বয়স কম, আবেগ বেশি থাকে। "হিসেব করে প্রেম হয়না" বাণীতে ভেসে যায়। প্রেম যেহেতু লুকিয়ে করা যায়, সামাজিক ও পারিবারিক স্বীকৃতির প্রয়োজন হয়না, তাই তেমন সমস্যা হয়ওনা। কিন্তু যখন ম্যাচিউরিটি বাড়তে থাকে, পরিবারকে জানানোর সময় আসে, তখন রিয়ালিটি স্ট্রাইক করে এবং রিয়েল সমস্যাগুলো চোখে পড়তে শুরু করে। প্রতিটি মেয়েই বাবা মা কে ভালোবাসে সবচেয়ে বেশি, ছেলেরাও পরিবারকেই প্রাধান্য দেয়। সেই আপন পরিবার যদি ২৪/৭ বলতে থাকে কানের কাছে, ঐ মেয়েটি তোর যোগ্য না, ঐ ছেলেটি তোকে দেখে রাখতে পারবেনা, তখন মনটা বিষিয়ে যেতে থাকে স্বাভাবিকভাবেই। পরিবারের পছন্দসয়ী পাত্র পাত্রীকে অনেক ভালোভাবে প্রেজেন্ট করা হয়, বাবা মায়ের ও সমাজের সম্মতি, বন্ধুদের ঈর্ষাকাতর দৃষ্টি সহ অনেককিছুর মোহে পড়ে প্রেমকে বলি চড়ায় ছেলেটি বা মেয়েটি। আবার কিছু ক্ষেত্রে টাকাওয়ালা পাত্রটিকে পছন্দ না হবার পরেও শুধুমাত্র পরিবারের খুশির জন্যে হৃদয় ভাঙ্গা মেনে নেয়।

মেয়েরা নিজেরা উপার্জন করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়ের মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।
ভীষনই সত্যি। সবাই না হলেও মেজোরিটি এমনই। নানা রকম কারণ রয়েছে, কিছু নিচে তুলে দিচ্ছি,

১) পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কিছু কিছু পুরুষ সহজে নারীর সাফল্য দেখতে পারেনা। সঙ্গীনি যদি তার চেয়ে বেশি সফল হয় তবে তো কথাই নেই। তার মনে শুরু হয় সন্দেহ, নিশ্চই বাজে কিছু করেই মেয়েটি সফল হয়েছে পেশাগত জীবনে। পরিবার, বন্ধুরা ক্ষেপায়, ছেলেটির অহংবোধে লাগে, সেসব এসে বউয়ের ওপরে ঝাড়ে। মেয়েরা এসব সমস্যা ভবিষ্যৎ জীবনে ফেস করতে চায়না।

২) মেয়েদের মধ্যে মা ও মায়া সত্ত্বা কাজ করে। অনেক নারীই চায় বিয়ের পরে কিছু বছর (অথবা সারাজীবন) হাউজওয়াইফ থাকতে। স্বামী সন্তানকে দেখে রাখতে চায়। ছোটবেলায় পুতুল খেলার স্বপ্নের সেই সংসার করতে চায় বেসিক্যালি। এটা শুধু বাংলাদেশী নারী নয়, বিদেশী নারীদের ক্ষেত্রেও সত্যি। এক পরিচিত কানাডিয়ান নারী চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন কেননা নিজের বাচ্চার প্রথম কথা, প্রথম হাঁটা মিস করতে চাননি! শুনে অবাক লাগত, এরাও এভাবে ভাবে? আসলে সব মেয়েই এভাবে ভাবে। স্বামী আর্থিক দিক দিয়ে সিকিউর থাকলে এ বিষয়ে তাদের চয়েস থাকে।

৩) মেয়েরা হিসেব করে রাখেনা যে ১৬-২০ বছর বয়সে পাগল প্রেমিক পছন্দ করব, ২০-২৫ বছর বয়সে টাকওয়ালাক ছেলে পছন্দ করব। ন্যাচারালিই একটা বয়সের পরে মেয়েদের আর ছেলেমানুষীগুলো এট্রাক্ট করেনা। তারা ব্যক্তিত্ব খোঁজে। ফ্যা ফ্যা করে গিটার কাঁধে নিয়ে ঘোরা তরূণটিকে নয়, চাকরিতে সাফল্য লাভ করা ওয়েল পলিশড, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষটিকে তার ভালো লাগতে থাকে। টাকার চেয়ে বেশি এখানে টাকার কারণে আসা পুরুষটির কনফিডেন্স, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি আকর্ষন করে।

৪) সমাজে স্বামীর আয় কম হলে পরিবার ও বন্ধু বান্ধবরা ক্ষেপায়, নানা রকমের কথা বলে হাসি পাত্র বানায়। সেটি এড়াতে চায় মেয়েরা।

৫) কিছু কিছু নারী পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সাথে সহমত পোষন করে, এবং স্বামীকে নিজের ওপরে দেখতে চায়।

৬) কিছু নারী লোভী হয়, নিজে যে লাইফস্টাইল এফোর্ড করতে পারে, তার চেয়ে বেটার লাইফস্টাইল চায়।

বাপরে বাপ, কত লিখে গেলাম! মোটামুটি এই হচ্ছে আপনার প্রশ্নের উত্তর!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.