নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৪) - বাংলাদেশ ভার্সেস কানাডার দোকানপাট, এবং বেচাকেনার কালচার! (কুইজ সলভড)!

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

পূর্বের পর্বের লিংক: তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৩) - সুখে থাকতে কিলায় ভূতে!
পূর্বের সিরিজের লিংক: কানাডার স্কুলে একদিন এবং কানাডার স্কুলে একেকটি দিন

পূর্বের সারসংক্ষেপ: কানাডার নানা জায়গায় ইমিগ্র্যান্টদের সাহায্য করার জন্যে অফিস থাকে। তেমন একটি অফিসে গিয়ে কানাডায় আসার পরের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর লিস্ট পেলাম। কাজগুলোর জন্যে নানা জায়গায় ছোটাছুটি করতে করতে ক্লান্তিতে ভরে উঠল শরীর ও মন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

প্রায় দেড় দু সপ্তাহ পার হয়ে গেল কানাডায়! এরমধ্যে প্রচুর ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে পুরো পরিবার। সেই সকালে বেড়িয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা। সারাদিন এই অফিস সেই অফিস ঘুরে নানান জরুরি সব ডকুমেন্টের জন্যে এপ্লাই করতে হয়েছে। সেদিন ইমিগ্র্যান্টদের সাহায্যকারী অফিসার যেসব কাজের লিস্ট দিয়েছিলেন তার অনেকগুলোই হয়েছে বা প্রসেসিং হচ্ছে।

তবে এখনো অনেক কাজ বাকি যার অন্যতম হচ্ছে কেনাকাটা। পুরো বাড়িতে দুটো ম্যাটরেস ছাড়া আর কিছুই নেই। টেবিল, চেয়ার সহ কিছু জরুরি ফার্নিচার কিনতে হবে। সেগুলো ছাড়া উঠতে বসতে নানা ধরণের সমস্যা হচ্ছে।
এ কদিন বাবা কাছের দোকান থেকে চাল, পাউরুটি, আলু, ডিম কিনে আনত ব্যাস। সারাদিন বাইরে বাইরে থাকা এবং নানা চিন্তার কারণে ভালোকিছু কিনে রান্না করতে হবে সে চিন্তা কারোরই মাথায় আসেনি। কিন্তু এক খাবার খেতে খেতে বিরক্তিও ধরে গিয়েছে। তাই সুপারস্টোরে গিয়ে ভালোভাবে কাঁচাবাজার করতে হবে।

পরিবারসমেত আমরা গেলাম সুপারস্টোরে। গিয়েই মাথা ঘুরে গেল। বাংলাদেশের মফস্বলের পাড়ার দোকান থেকে শুরু করে ঢাকার সবচেয়ে আধুনিক শপিংমল, সবই আমার দেখা হয়েছে। তবে সত্যিই এতবড় স্টোর তখন পর্যন্ত দেখিনি। প্রায় সব মহাদেশের নামকরা স্টোরগুলো এক করলে যা হয় তাই যেন কানাডার সুপারস্টোর! কানাডায় এসে প্রচুর দেশের মানুষ বসতি গড়েন। তাই নানা দেশের মানুষের প্রয়োজনমতো পণ্য এখানে থাকে। আমি সুপারস্টোরে কোন কোন ধরণের জিনিস পাওয়া যায় তার লিস্ট দেওয়া শুরু করলেও পোষ্টটি বই হয়ে যাবে। শুধু এটুকু বলব ইউ নেম ইট, দে হ্যাভ ইট!

সুপারস্টোরে প্রথমবার গেলে মনে হয় এর শুরু আছে, শেষ নেই। একের পর এক সুউচ্চ শেল্ফ হাজার হাজার পণ্যের পসরা সাজিয়ে দাড়িয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে চারিদিকে এত শেল্ফ, এবং তাতে প্রচুর জিনিস থাকা সত্ত্বেও জায়গাটিকে ঘিঞ্জি মনে হচ্ছেনা। শেল্ফগুলোর মাঝখানে এত প্রশস্ত রাস্তা যে কেউ ইচ্ছেমতো ফুটবল খেলতে পারবে! সারকথায় প্রকান্ড, প্রশস্ত, সাজানো গোছানো, এবং ঝা তকতকে একটি স্টোর হচ্ছে সুপারস্টোর! আসলেই সুপারকিছু!

সবচেয়ে বড় কথা ডাইভার্সিটি দেখার মতো। সুপারস্টোরে পা দিয়েই প্রথমে চোখে পরল নানা বর্ণের মানুষ! হোয়াইট, ব্রাউন, ব্ল্যাক! সবার হয়ত আলাদা আলাদা কালচার। কিন্তু সুপারস্টোরে সবাই একই উদ্দেশ্যে এসেছে, পরিবারসমেত বাজার করতে।
বাদামি বর্ণের মানুষ যেই দেখি, ভাবি বাংলাদেশী নিশ্চই! উত্তেজিত হয়ে বাবা মা কে বলি, বাবা ঐ দেখো বাংলাদেশী, চলো কথা বলি। বলতে না বলতেই কানে আসে হিন্দি, পাঞ্জাবিতে পাশের মানুষটাকে কি যেন বলছে তারা! মন খারাপ হয়ে যায়! এমন কয়েকবার হবার পরে আশা ছেড়ে দিলাম। কেনাকাটায় মনোযোগ দিলাম।

প্রথমে সবাই গেলাম সবজি কিনতে। থরে থরে রং বেরং এর তাজা সব ফল, সবজি সাজানো। অনেকগুলো চিনতে পর্যন্ত পারলাম না। এখানে শপিং এর কাজটি অনেকটা ক্রেতারই। প্রতিটি ফলমূল, সবজির আশেপাশে রোলের মধ্যে প্রচুর পলিথিন। একেকটি পলিথিন টেনে ছিড়ে নিজেই প্যাক করতে হয়। স্ট্যাফরা একটু পরে পরে, "আপা কিছু লাগবে?" জিজ্ঞেস করেনা। দরকার লাগলে তাদের খুঁজে নিতে হয়। দেশে আসলে প্রতিটি ছোট কাজের জন্যেও কেউ না কেউ থাকে, সেই অভ্যাসে অভস্ত আমাদের এখানে এসে একটু খারাপ লাগা স্বাভাবিকই!

এশিয়ান এবং ওয়েস্টার্নদের শপিং এর ধরণ অনেক আলাদা। যেমন এক চাইনিজকে দেখলাম সারি সারি আপেল থেকে একেকটি হাতে নিয়ে ভালোভাবে চেক করছে আর বাস্কেটে ভরছে। আর অন্যদিকে হোয়াইট একটা বাচ্চা মাকে হাতের ইশারায় জিজ্ঞেস করল কয়টা? মা একটু দূরে অন্যকিছু নিচ্ছিল, বাচ্চার দিকে চিল্লিয়ে বলল, "ফাইভ!" বাচ্চাটি ৫ টি আপেল উঠিয়ে নিয়ে এলো।

আমি এই বিষয়টি অনেকবারই লক্ষ্য করেছি। এশিয়ানরা সেটা ইস্ট হোক বা সাউথ, বারবার চেক করবে, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সন্দেহের চোখে দেখবে, তারপরে এমনভাবে সবজি কিনবে যেন এটা জীবনের খুব বড় একটি ডিশিসন! আর কানাডিয়ানরা নিশ্চিন্তে প্রায় না দেখেই তুলে তুলে নেয়!
অনেকদিন ভাবতাম কেন এমন? পরে নানা দেশের মানুষের সাথে মিশে বুঝলাম ব্যাপারটি। দেশে অনেকেই হতাশ হয়ে যতোই বলুক না কেন বাংলাদেশের মতো এত ভেজাল আর কোন দেশে নেই, আসলে এশিয়ার অনেক দেশেই আইন স্ট্রিক্ট না। সেকারণে নানা ধরণের ১৯/২০ হয়।
কানাডায় কোন স্টোরে নিম্নমানের পণ্য রাখার অপরাধ ধরা পরলে কোর্ট কেস অনেক লম্বা সময় ধরে চলে, ভীষনই স্ট্রেসফুল এক প্রসেস। কোর্টের আদেশকৃত ক্ষতিপূরণ তো বাদই দিন, লয়ারের পেছনে যে পরিমাণ টাকা ঢালতে হয় তা আমরা সাধারণ মানুষেরা পুরো জীবনে কামাতে পারবনা। এখানকার বড় সব বিজনেসের জন্যে সেই টাকা যদিও কোন ব্যাপার না, সমুদ্রের বুকে এক ফোঁটা জলের মতো। তবে সমস্যা হচ্ছে কোম্পানির রেপুটেশন বাজেভাবে নষ্ট হয়। মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কেউই তাই চাইবেনা মানহীন কোন পণ্য নিজের স্টোরে রাখতে। এজন্যে ক্রেতারাও নিশ্চিন্ত! অন্যদিকে এশিয়ান ক্রেতারা অভ্যাসের বশে এখানেও গাজর, মূলা কিনতে গিয়ে পুরোপুরি পুলিশ ইন্সপেক্টর বনে যান!
দ্বিতীয় পার্থক্য হচ্ছে কানাডিয়ানরা সাধারণত পুরো ট্রলি ভরে ভরে প্রচুর বাজার করেন, পুরো মাসের বাজার একদিনে সারার চেষ্টা করেন। এশিয়ানরা সাধারণত ছোট বাস্কেটে স্বল্প পরিসরে বাজার করেন। খুব বেশি ব্যস্ততা না থাকলে তারা একসাথে বেশি বাজার করতে পছন্দ করেন না। তারা মাঝেমাঝেই দোকানে ঢুঁ দেন, তক্কে তক্কে থাকেন কখন কোন সেল পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী একটু একটু করে কেনাকাটা করেন।
এটা একটা স্টেরিওটাইপ, আমার চোখে পরেছে বহুবার। তবে সবাই এক নয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

যাই হোক সুপারস্টোরে ফিরে আসি। আমরা প্রায় হারিয়েই গিয়েছি বলতে গেলে। এত বড় স্টোরে প্রচুর জিনিসের মধ্যে থেকে নিজের প্রয়োজনের জিনিস খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আশেপাশে বেশকিছু ইউনিফর্ম পরিহিত সুপারস্টোর স্টাফ ছিল। তারা ট্রলিতে করে জিনিস এনে এনে শেল্ফে রাখার কাজে ব্যস্ত ছিল। তাদেরকে ডেকে কিছু জিজ্ঞেস করলে সাহায্য করত। কিন্তু হয়ত অস্বস্তি অথবা পুরো সুপারস্টোর ঘুরে দেখার শখে আমরা কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করে প্রয়োজনমতো জিনিস খুঁজতে লাগলাম।
একবার এদিক একবার ওদিক করে একই জায়গায় ফিরে আসছিলাম বারবার। একটা সময়ে আর না পেরে একজন স্টাফকে ডেকে বাবা জিজ্ঞেস করল স্পাইসেস কোথায় পাওয়া যাবে। কম বয়সী হোয়াইট মেয়েটি হেসে আমাদেরকে নিয়ে গেল সেখানে। আসলেই আমরা অনেকদূরে ছিলাম, ওনার হেল্প না নিলে আজ আর পেতাম না। মুচকি হেসে আমাদের অন্যকোন সাহায্য লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করল। বাবা না বললে, সে চলে গেল।

এখানে প্রতিটি দোকানদার অনেক সুইট ও আন্তরিক। কিন্তু বাংলাদেশের বিক্রেতাদের মতো বেচাকেনাকে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেনি এরা। কানাডাতে নানা দোকানেই গিয়েছি। এমন কখনো হয়নি যে কোন দোকানদার কনভিন্স করার চেষ্টা করছে যে এই পন্যের এটা বেস্ট, সেটা বেস্ট, না কিনলে মিস! শুধু জিজ্ঞেস করলে দায়ে পরে বলবে আইটেমটির ব্যাপারে। যেন কিনি না কিনি তাদের কিছু যায় আসেইনা!

আর দেশের দোকানদার!? বেচার আগ্রহে একেকটি যা ডায়ালগ দিত তাতে পুরো একটি কমিক লেখা যাবে! যেমন "ভাবী, আপনি যদি এই ড্রেস না নেন, আমি আর কাউরে বেচমু না! ভদ্রলোকের এক কথা! আপনের গায়ের রং এর সাথে এইডা যা মানাইব! অন্যকাউরে কেমনে বেচি? নিয়া যান ভাবী! কসম, ঠকবেন না!" অথবা, "পুরা বাজারে যদি এরচেয়ে কম দামে মাছ পান, আমি কইতাছি ব্যাবসাই ছাইড়া দিমু!"
নাটক কি শুধু বিক্রেতাই করে? নাহ! আমার মা ই যেমন খুব নাটক করে দরদাম করত। দাম কমাতে না পারলে বলত, "না ভাই, কি আর করা, এত দামে নেব না। আমি যাই। বলে উঠেও যেত চেয়ার থেকে, যাবার জন্যে উদ্যত হতো!"
আমি মনে মনে ভাবতাম, মা হুট করে সিনেমার স্লো মোশনের মতো মুভ করছে কেন? আমি দোকানের গেট পর্যন্ত চলে এলাম আর মা সেই চেয়ারের কাছেই আছে এখনো! পরে বেশ কয়েকবার এমন হবার পরে বুঝে গিয়েছিলাম ব্যাপারটি। মা ওয়েট করত কখন দোকানদার আটকে আর বলবে, "আরেহ, আপা বসেন, আপনারো থাকল আমারো থাক, ১০০০ টাকা দিয়া দেন!"
মা তখন সাথেসাথেই বসে পরে বলবে, "আমার তো থাকল না ভাই, শুধু আপনারই থাকল, ৭০০ টাকার বেশি এর দাম হয়ইনা!"
ব্যাস চলতে থাকবে কথা। আবারো কয়েকবার ওঠার ভান, এবং শেষমেষ জিনিসটি কেনার পরে মা আমার দিকে তাকিয়ে বিজয়ী টাইপ হাসি দেবে! এরপর থেকে মা উঠলেও আমি উঠতাম না, অপেক্ষা করতাম পুরো ড্রামা শেষ হবার! তবে যা মজা লাগত! ক্রেতা বিক্রেতার টাগ অফ ওয়ার দেখতে! কে জিতবে? কে হারবে? আমি এত এনজয় করতাম সেটাকে! ক্রিকেটের পরে আমার সেকেন্ড মোস্ট ফেভারিট গেম ছিল সেটা!

দেশে থাকতেও ফিক্সড প্রাইসের হাইফাই শপিং মলগুলো আমার ভালো লাগত না। স্বল্প পরিসরের ছিমছাম দোকানগুলো খুব বেশি প্রিয় ছিল। রোবটের মতো গেলাম কিনলাম চলে আসলাম তা ভালো লাগত না। ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে প্রচুর কথা হবে, দরদাম হবে তারপরে না মজা! কানাডায় তো অন্যকোন অপশন নেই, সব দোকানের কালচার প্রায় একই, দরদাম কি এরা জানেইনা।
আমাদের দেশে কত ধরণের দোকান আছে! কানাডার সবচেয়ে বড় শপিংমলে এলেও আমার মন দূরদেশের কোন এক অখ্যাত মার্কেটেই পড়ে থাকে।

মনে মনে দেশের সাথে সবকিছু তুলনা করতে করতে কসমেটিকস এর রো খুঁজে পেলাম। একটা শ্যাম্পু হাতে নিয়ে পেছনের লেখা পড়তে শুরু করলাম, কোন ধরনের হেয়ার টাইপের তা জানতে। এ কি! কিছুই তো বুঝিনা! ইংলিশই তো, কিন্তু মানে বুঝতে পারছিনা কেন? এটুকু তো আমি দেশেও পারতাম। আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। বিদেশে এসে ব্রেইনের সব তথ্য নষ্ট হয়ে গেল নাকি? স্কুলে গিয়ে তো কিছু বলতে পারবনা, লিখতেও পারবনা!
মা বিরক্ত হয়ে হাত থেকে নিয়ে নিল, "এতক্ষন লাগে দেখতে?" দেখে বলল, "নরমাল হেয়ার!" ঠিক আছে, ঝুড়িতে ঢাল।

একেকটি জিনিস বাস্কেটে ঢালা হচ্ছে, আর আমার বাবার মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে প্রথম প্রথম কেনাকাটা করতে গিয়ে এটা হওয়া স্বাভাবিক। ডলার আর টাকার পার্থক্য যে অনেক! যেমন বিশ ডলার কে বিশ ডলার না, ১৪০০ টাকা মনে হয়!
তাছাড়া কানাডায় জিনিসের দামও বেশি। আমরা তো ফিল করেছিই, তাছাড়া নানা দেশের মানুষের কাছেও শুনেছি কানাডায় প্রতি পন্যের দাম তাদের দেশের থেকে বেশি, এবং ট্যাক্সও অনেক! কানাডা নিয়ে এটা একটা কমন অভিযোগ বেশিরভাগ মানুষের।

তখন বাড়িতে কারোরই জব নেই। বাড়িঘর একটু গুছিয়ে বাবা জব খোঁজা শুরু করবে। জমানো টাকা থেকে একটি টাকা গেলেও বুকে ধক করে লাগে। কেননা টাকা খরচ হলেও আয়ের কোন উৎস নেই!
নিত্যদিনের জরুরি জিনিস কিনতেই বেশ কিছু ডলার অথবা হাজার হাজার টাকা খরচ হয়ে গেল। বিল মিটিয়ে বের হতে হতে, বাবার মুখ দেখে মা বলল, "থাক আজকে আর ফানির্চার কিনতে হবেনা। বাড়ি চলো।"
বাবা যেন একটু নিশ্চিন্ত হলো! কিন্তু আমি হলাম না। আমি বুঝে গেলাম, আমাদের শুধু দেশই নয়, অবস্থানও পরিবর্তিত হয়েছে। বাবা মা কে আগে কখনো বারবার প্রাইস ট্যাগের দিকে দুশ্চিন্তা নিয়ে তাকাতে দেখিনি। মা দরদাম করত তবে দায়ে পরে নয়, আনন্দ করে। শপিং করে হাসতে হাসতে বাড়ি ফিরেছি সবসময়, এখন চিত্র বিপরীত। ইংলিশ না জানা, বিপরীত সংস্কৃতিতে এসে পরার সমস্যাগুলোকে হুট করে ছোট মনে হতে লাগল। সামনে আরো বড় সমস্যা হয়ত অপেক্ষা করছে!

নানা সংশয় মনে নিয়ে তিনটি প্রানী ফিরল অচেনা দেশের চেনা নীড়ে।

মোরাল অফ দ্যা স্টোরি: কানাডায় শপিং যতোই অত্যাধুনিক, ভেজাল ফ্রি হোক না কেন মারাত্মক বোরিং। আমি দেশের মজাদার শপিং ভীষনভাবে মিস করি। :)

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আগের কুইজে সবাই খুব ভালো উত্তর দিয়েছিলেন। একজন তো এমন এক্যুরেট জবাব দিলেন আমি অবাকই হয়ে গেলাম! সেই মুগ্ধতায় আবারো নিয়ে এলাম কুইজ। :)
পাঠকের জন্যে কুইজ: আমি কেন শ্যাম্পুর পেছনের লেখা কিছুই বুঝলাম না? মা কিভাবে বুঝে গেল?
আমি ২০ নাম্বার মন্তব্যে উত্তর লিখে দিয়েছি। কৌতুহলী পাঠক চেক করে নেবেন।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেকটা সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার ঝুলি :)

বাহ কানাডা না গিয়েও কিভাবে সব জেনে যাচ্ছি! এই ধাঁধা কাউকে ধরলে কেউ বলতে পারবে না ;)
সখি ছাড়া :)

বরাবরের মতোই ভাললাগা আর +++++

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা! আমার ব্লগবাড়িতে দেখে খুশি হলাম।

হাহাহা! সখাও হয়ত পারবে একটু চেষ্টা করলে! :)

ভালোলাগা এবং প্লাস দিয়ে সবসবময় ব্লগিং এ সাপোর্ট দিয়ে যাবার জন্যে আমি আপনার কাছে একদমই কৃতজ্ঞ নই, কেননা সখা হিসেবে এটা আপনার দায়িত্ব! হাহা।

শুভেচ্ছা অজস্র!

২| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে।
সুন্দর বর্ননা।



পাগলু?
প্রথম কমেন্ট মুছে ফেলুন।
চাঁদগাজী আমার উপর ক্ষেপে আছে।
এসব দেখলে আমাকে ব্লগ ছাড়া করবে...:(
কুইজ পারি নি:(

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার কমেন্ট, যেহেতু আপনি বলেছেন, আমি অবশ্যই মুছে ফেলেছি। তবে সেটিতে কারো রাগের মতো কিছু ছিল না।

যাই হোক, অসুবিধা নেই। সবাই ট্রাই করুক, আমি পরে কুইজটির জবাব দিয়ে দেব।

অনেক ভালো থাকবেন।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জোকস বলেছেন: ধাঁধার উত্তর পারলাম না। অপেক্ষায় থাকলাম।
তবে আমার মনে হয় মা ও বুঝতে পারিনি, কিন্তু সেটা ধরা দেয় নি। দাম যাই হোক বুহতে পারিনি এটা সবাই বুঝবে কেন! 8-|

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা, অপেক্ষায় থাকুন। আমিও অপেক্ষায় আছি সব পাঠকের ট্রাই করার এবং কারো কাছ থেকে কাছাকাছি উত্তর পাবার।

এটা ক্লিয়ার করে বলতে পারি যে মা বুঝেছিল, না বুঝলে মা বাবাকে জিজ্ঞেস করত। কিভাবে সেটাই ভাবার বিষয়!

পাঠ ও মন্তব্যে উৎসাহিত করলেন।
শুভকামনা।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০১

জোকস বলেছেন: সাবান শ্যাম্পু বিভিন্ন ধরনের কস্মেটিক লেখা ছাড়াও কালার লেভেল থাকে। আপনার ত্বক/চুল শুষ্ক না তৈলাক্ত এর উপর ভিত্তি করে কালার সেট করা হয়। হয়তো বা-----



আর পারুম না।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কুইজটি নিয়ে ভেবে ভেবে উত্তর দেবার জন্যে। সবাই ট্রাই করার পরে আমি উত্তর দেব। তখন মিলিয়ে নিয়েন আপনার চিন্তার সাথে মিল আছে নাকি নেই?!

৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৩

পবন সরকার বলেছেন: বরাবরের মতই ভালো লাগল। তবে আমি জীবনে কখনও মাথায় শ্যাম্পু দেই নাই কাজেই কুইজের উত্তর দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। পরের কাহিনীর অপেক্ষায় রইলাম।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কি! সিরিয়াসলি! আপনি কখনো শ্যাম্পু ব্যবহার করেন নি! আমি বিশ্বাসই করতে পারছিনা!

যাই হোক, এই পর্বের মন্তব্যে পরের পর্বের অনুপ্রেরণাও দিয়ে গেলেন। আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই একতা অনুরোধ এরকম পোষ্টের সাথে অনেক গুলো করে ছবি দিবেন প্লীজ।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই পোষ্টে।

হুমম, গুগল থেকে সুপারস্টোরের ছবি দেওয়া যেত। তবে নিজে বর্ণনা করে পাঠকের কল্পনায় আঁকার মজাটা অন্যরকম। দেখি পরে কখনো কোন পোষ্টে রিলেভেন্ট ছবি দেবার সুযোগ আসে কিনা!

পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকুন।

৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ বর্ণনা। ম‌নে হ‌লো নি‌জেই শ‌পিং কর‌ছি।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নি:সন্দেহে বড় একটা কমপ্লিমেন্ট! বাস্তবের মতোই দৃশ্যগুলোকে পাতায় এনে পাঠকের সামনে তুলে ধরাটাই লেখার সার্থকতা।

অনুপ্রাণিত করলেন। আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: খুটিনাটি জানলাম, ধন্যবাদ আপু! :)
ঐটা নির্ঘাত সৌদির শ্যাম্পু ছিলো, আপনার আম্মু ভালো আরবি পারে, আপনি খেয়াল করেন নাই, আন্টি খেয়াল করছে। বা ইউনিলিভারের লোগো ছিলো! :-B
হা হা হা
আসলে আমি জানি কিন্তু বলবো না, অন্যরা জেনে যাবে, আপু তুমি তো জানো যে আমি পারি, তাই না ;)
আমার আম্মুও মার্কেটে গেলে নানা ধরনের নাটক করে(এজন্য শপিং-ই করি না)। সবাই আমার জন্য কিনে আনে।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওয়েলকাম ভাই। তোমাকেও পোষ্টটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

হাহা, বুদ্ধিদীপ্ত একটা জবাবই দিয়েছ আসলে। যাই হোক, এটা ঠিক না ভুল সেটা জানতে অপেক্ষা করতেই হবে।

হ্যাঁএএএ, আহ্লাদে ভাই, আমি তো জানি তুমি একটা জিনিস থুক্কু জিনিয়াস! ;)

হাহা, এসব নাটক আমাদের দেশের সব নারীরাই করে বোধহয়। দরদামের মজাই আলাদা। ছেলেরা শপিং এর মজাটা বোঝেনা, আফসোস! :D

দোয়া করি, ভালো থেকো।

৯| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভৃগুদার কমেন্ট পড়ে মজা পেয়েছি :D
আমাদের দেশে কেনাকাটায় মেয়েরা খুবই পটু।দরদাম করায় মেয়েরা খুবই এক্সপার্ট।
আমি অবশ্য অত দরদাম করতে পারিনা।লজ্জা লাগে।
বরাবরের মত সুন্দর লেখনীতে প্লাস দিয়ে গেলাম।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ একদম ঠিক। ওপরে প্রান্তকেও একই কথা বলছিলাম। আমাদের দেশের নারীরা দরদাম করতে জানে। সংসারের একেকটি টাকা বাঁচাতে সাধারণত সচেষ্ট থাকে।

হাহা, লজ্জার কিছু নেই। সবসময় জানবেন যে দোকানদার আপনাকে আসল দামের পাঁচগুন বেশি দামই বলছে। যাতে যতোই কমুক, সে শেষে লাভে থাকে। আপনার অধিকার দামটিকে কয়েক গুণ কমিয়ে এনে ঠকার হাত থেকে বাঁচা! :)

ওহ! থ্যাংকস প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
শুভকামনা।

১০| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার যে কয়টি লেখা পড়েছি প্রতিটি লেখাই ভাল মানের। অনেক গুছিয়ে পরিশ্রম করে লেখেন। কানাডায় এতো ব্যস্ততার মাঝে সময় নিয়ে লেখেন এবং ব্লগে সময় দেন দেখে ভাল লাগলো। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।

একটি অনুরোধ করবো, প্রফাইল পিকটা মেয়েলি হলে ভাল হতো। আমি তো অনেক পরে জেনেছি আপনি ছেলে নয়। যাক, এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। (ধন্যবাদ)

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার বেশ কয়েকটি লেখা পড়ার জন্যে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। পরিশ্রম করি কিনা জানিনা, তবে হ্যাঁ যেকোন কাজই গুছিয়ে করার চেষ্টা করি।

আমাকে কদিন আগেই নিক নেম এবং প্রোফাইল পিক নিয়ে একজন ব্লগার কিছু প্রশ্ন করেছিলেন। তাকে যে উত্তর দিয়েছিলাম সেটা আপনাকেও দেই।

"আমি যখন ব্লগ একাউন্ট খুলি অনেক ছোট ছিলাম। টিনেজে পা দিয়েছি সবে এমন। তখন এতকিছু বুঝিনি। আমি ব্যাস এটা বোঝাতে চেয়েছিলাম যে সামু আমার অনেক পছন্দের। পাগলা লিখলে সবাই ছেলে ভাববে আর কনফিউজড হয়ে আমাকে বকাবকি করবে (প্রথমদিকে হতো), এবং অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এই বিষয়টি মাথায় আসেনি। কেননা চলতি কথায় আমরা অতটা খেয়াল করে বলিনা। পাগলা, পাগল একটা মেয়েকেও বলে ফেলি। নিক খোলার সময়ে আমার এদিকটি খেয়াল রাখা উচিৎ ছিল, কিন্তু সেই ম্যাচিউরিটি সেই বয়সে ছিল না। উত্তেজিত ছিলাম ব্লগ একাউন্ট খুলছি! বিরাট ব্যাপার!
মাশরাফি ভাইয়া আমার জানের জান। উনি আমার আইডল। মানুষ হিসেবে ওনার ১% ও হতে পারলে জীবন ধন্য হতো! আই লাভ হিম, লাভ হিম! এজন্যে ওনার ছবি দিয়েছি।
তবে হ্যাঁ এটা আমার মাথাতেও এসেছিল যে একটা ন্যাকা ন্যাকা মেয়েলি প্রোফাইল পিক দেই, তাহলে সবার কনফিউশন দূর হবে। পরে মনে হলো, সেটা খুব জরুরি না। আমি মেয়ে সেটা প্রমাণের এত চেষ্টার প্রয়োজন নেই। আমার কয়েকটি কমেন্ট দেখলেই মানুষ বুঝে যাবে। কেননা মেয়েদের কথার ধাঁচই আলাদা হয়। আর না জানলেও আমার কোন সমস্যা নেই। ব্লগার ব্লগারই! ছেলে হোক আর মেয়ে হোক! মাশরাফি ভাই সরবে না!"
প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হলেও খুব সহজেই ব্লগারেরা আমাকে বুঝে যান। তাই এটা নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই।

আপনি আপনার মতামত দিতেই পারেন। গুরুত্ব কেন দেব না? গুরুত্ব দিয়েই একটি লম্বা প্রতিউত্তর করলাম। যেন আপনার সাথে সাথে অন্যদের কনফিউশনও দূর হয়ে যায়।

অনেককক ভালো থাকবেন।

১১| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি তো ডরে শপিং মলেই যাই না। গেলেই একদল সেলস লেডিস থাকবে, আর ডায়ালগ, ভাইয়া এটা নিন ঐটা নিন খুব মানাবে। আমার ভীষণ বিরক্তি লাগে আর ভয়ও লাগে।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই ধ্রুব সাহেব! ভালো আছেন আশা করি।

বিরক্তি, ভয়ের কি আছে? খুব গোবেচারা ভাব নিয়ে বলবেন, "আপা, আমার কাছে তো ১০০ টা টাকা আছে, তাতে কি হইব? তাইলে প্যাক কইরা দেন!" দ্বিতীয়বার আপনাকে বিরক্ত করবেনা। হাহা।

মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১২| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানবতার দাবী নিয়ে সখির বাড়ী এলাম।
আমার ব্লগবাড়ীতো মনে হয় ভূলেই গেছে সখি :(

কালকে ইফতারির আগে পোষ্টটা করেছিলাম! দ্রত্‌ই প্রথম পেইজ পেরিয়ে যাওয়ায় মনে হয় কম নজর পেয়েছে!
অথৈর জন্য মানবিকতার দাবীতে যাদের কাছে অধিকার আছে মনে করছি-তাদের নজরে আনতে তাদের বাড়ী বাড়ী ঘুরছি!

অথৈ আজ থৈ হারিয়ে মৃত্যুর পাঞ্জায়- ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু অথৈ বাঁচতে চায়!

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না ভুলিনি সখা; আপনাকে বা আপনার ব্লগবাড়িকে।

আমি পোষ্টটি পড়ে এলাম। সত্যিই খুব কষ্ট লাগছে। আপনার তো ভীষনই সহানুভূতিসম্পন্ন, সেন্সিটিভ মন। আপনার ওপর দিয়ে কি যাচ্ছে বুঝতে পারছি। প্লিজ বেশি মন খারাপ করবেন না, সাহায্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করুন, দোয়া করুন আল্লাহর কাছে, ব্যাস আর কি? আল্লাহ যা লিখে রেখেছে তার মধ্যে দিয়ে সবাইকে যেতে হবে।

আমার নজরে আসলেই এড়িয়ে গিয়েছিল। আপনাকে ধন্যবাদ আমার নজরে আনায়। আমি আড্ডাঘরে লিংকটি শেয়ার করে দিয়েছি, যাতে সেখানে কেউ গেলে তারও নজরে পরে।

আমার সকল দোয়া রইল শিশুটির জন্যে, পরিবারটির জন্যে।

১৩| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা!
উত্তর পড়তে পড়তে হতাশ মৃত প্রাণে যেন শিহরনের শিরশির করে উঠল দেহমন।
অনুভব করায় এবং আড্ডাঘরে শেয়ারে আবারও অন্তহীন কৃতজ্ঞতা!
চঞ্চল উচ্ছল ছেলেটা কি ছোটাছুটি করতো! আজ বিছানায়! সখির শুভকামনা নিশ্চয়ই আল্লাহ শুনবেন।

শুভকামনা সত্যি হোক। হ্যাটস অফ অভিভাদন সখি :)

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানানোর কিচ্ছু নেই। আমি বেশি কিছু করতে পারছিনা। শুধু মন থেকে দোয়া করি, মহান আল্লাহ তো সবই শুনছেন। কোন দোয়া, কোন চাওয়া তার নজর এড়ায় না। পরীক্ষার এই মুহূর্তটি জলদিই পার করে দিক তিনি।

সেটাই, এটা তো ওর ছোটাছুটিরই বয়স। ও যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা একেবারেই ডিসার্ভ করেনা। আর ওর পরিবারের কথা ভেবেও কষ্টে মনটা কেমন যেন করছে! আহারে! আমি ভাবতে পারিনা আমার পরিবারের কেউ এমনকিছুর মধ্যে দিয়ে গেলে কি হতো? আমি সহ্য করতে পারতাম না।

হুম, সবার সকল সাহায্য, দোয়া, শুভকামনা, ভালোবাসা কাজে লাগুক। বাচ্চাটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।

১৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৬

অলিভিয়া আভা বলেছেন: খুব সুন্দর আর গোছানো লেখা। কি যে ভালো লাগলো পড়তে।
প্রিয়তে রাখলাম।
আবারও পড়ব।

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কিছু কিছু মন্তব্য থাকে যা পড়লেই মনটা ভালো হয়ে যায়! সার্থক বোধ হয় এটা ভেবে যে লেখাটি লিখে সত্যিই কাউকে আনন্দ দিতে পেরেছি। আপনার মন্তব্যটিও তেমনই।

প্রিয়তে রেখে কৃতজ্ঞ করেছেন আভা আপু। সাথে থাকুন, এমনই অনুপ্রেরণা হয়ে। ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

১৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৬

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: আচ্ছা তার মানে হচ্ছে যে আপনি যখন সিরিজ/সিরিজের সিজন শুরু করেন সেটা কয়েক দফা রেগুলারলি দিয়েই যাবেন- আবার দেখি রিক্যাপও দেখা যায়!.......সিজন শেষ হলেই শীতনিদ্রায় চলে যাবেন.......দারুন.......তা নিদ্রাকালেই বুঝি পরবর্তী সিজনের স্ক্রিপ্ট রচিত হয়? ;)

কানাডায় শপিং যতোই অত্যাধুনিক, ভেজাল ফ্রি হোক না কেন মারাত্মক বোরিং
আমি মানুষটা বোরিং না হলেও এই বোরিং শপিংই আমার পছন্দ.......কাঁচা বাজারের/মুদি দোকানের মুলামুলি না হয় একটা লেভেলে আছে- অনেকটাই যৌক্তিক.......কিন্তু নিউ মার্কেটের জিনসের প্যান্ট/শাড়ি/ঘড়ি-বাটি ইত্যাদি ইত্যাদির যেই লেভেলে মুলামুলি চলে- মানে এককথায় অত্যাশ্চর্য ঘরানার......কী জিনিস দেখি-কী চায় দাম-আর কিনতে হয় শেষমেষ কততে!! B:-) ......এক্সপার্ট না হলে এমুন টানাটানির জায়গায় (মানে যেখানে গিয়ে না কিনে ফিরতে গেলেও টেনে ধরে আবার শুধু হেঁটে যেতে দেখলেও ডাকাডাকির চোটে শান্তিতে দোকানে নজরও বুলানো যায়না) শপিং করতে গেলে নিজেরই ছিঁড়ে খানখান হয়ে যাবার তীব্র সম্ভাবনা......এমনটাও যদি হত যে- না ঠিক আছে, ভাইটি/আপুটি শান্তিময় পদব্রজে ঘুরেফিরে দেখছে- ডাক দিলে তখন না হয় কাছে যাব বা মুলামুলি করব- না তাও না!!......আমি বাপু শান্তিপ্রিয় লোক- লোকাল মার্কেটেও রিজনেবল ফিক্সড প্রাইস ট্যাগে বিশ্বাসী মানুষ- তার মানে এই না আমার টাকা গাছে ধরে.......নো নেভার.....আমার টাকাও কামলা খেটেই ধরে.....শুধু 'বিক্রেতার অত্যাচার' থেকে বাঁচতে চাই X((

শুধু এটুকু বলব ইউ নেম ইট, দে হ্যাভ ইট!
বিদেশী সুপারস্টোরের ভিডিও প্রথম প্রথম দেখে আমারও অস্থির জিনিস মনে হত.......আর ঢাকার সবচেয়ে বড় সুপারস্টোরও আমার কাছে ঘিঞ্জি মনে হয়......আর চোরের এই দেশে ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর- কত বার যে এই পর্যন্ত সুপারশপগুলোকে ভেজালের অভিযানে ধরা খেতে দেখলাম- তারপরও পাল্টায় না......এগুলো আসলে এখন পর্যন্ত সুপারস্টোর হতে পারেনি- বড়জোর "বিশাল এসি বাজার" |-)

কিন্তু বাংলাদেশের বিক্রেতাদের মতো বেচাকেনাকে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেনি এরা
এর পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা হল 'পেটের দায়'......এটা এই সাবকন্টিনেন্টে তীব্র.....মানুষকে এই জন্য হাইলি ক্রিয়েটিভ হতে হয়েছে সময়ের সাথে সাথে.......কিন্তু বিদেশেওতো দায়টা কম না- সেখানে ক্রিয়েটিভিটির অভাবের কারণ সম্পূর্ণ জানা নেই আমার :D

কুইজের উত্তর
আপনার আসলে ক্ষুধা লেগেছিল......খিদার চোটে চোখে দেখছিলেন না- পড়বেনটা কী? =p~

*****************************************************
.........দূরদেশের কোন এক অখ্যাত মার্কেটেই পরে থাকে ~ 'পড়ে' ‍‍‌‌‌‌

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মাস্টারসাহেব! ভালো আছেন আশা করি।

হাহা! এতদিনে মানে মানে করে মানেটা বুঝেই ফেললেন তবে! :) হুমম, আমি যখন ভার্চুয়াল দুনিয়ায় জেগে থাকি বাস্তব দুনিয়ায় ঘুমিয়ে থাকি এবং উল্টোটাও সত্যি। রিক্যাপটি এই সিজনে দরকার কেননা প্রতিটি পর্ব রিলেটেড। আগের সিরিজগুলোতে একটি বিশেষ টপিক নিয়ে লিখতাম, আপনি যেই পর্বই পড়েন না কেন অসুবিধা হতোনা। এখানেও চেষ্টা করেছি এমনভাবে লিখতে যেন একেকটি পর্ব একা একা দাড়ানোর যোগ্যতা রাখে। তবে রিক্যাপগুলোও বাড়তি সাহায্যে মন্দ হবেনা ভেবে দেওয়া শুরু করেছি। :)

হাহা। এই সিরিজ লেখার ভাবনা অনেককক আগে থেকে। আসলে যখন স্কুল নিয়ে লিখতাম অনেক বেশি রেস্ট্রিকশন থাকত। হয়ত মজার কোন ঘটনা মনে পরল দোকানপাট, পাড়া প্রতিবেশী নিয়ে, কিন্তু সেই যে স্কুল লাগিয়ে দিয়েছি টাইটেলে! লিখতে পারতাম না। স্কুলেই গন্ডির বাইরে যেতে পারতাম না। তখনই ভেবেছিলাম এগুলো শেষ করে এমন একটি সিরিজ করব যেখানে অনেক বড় স্কেলে লেখা পসিবল হবে।

হাহাহা! নিজের কেনাকাটা বিষয়ক অনুভব মজা করে শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।

হুমম, হয়ত এর উৎপত্তি পেটের দায় থেকেই। আমি জানি না শিওরলি। তবে এমন অনেক দোকান আছে যার ব্যাবসা ভালো, মালিক বড়লোক পর্যায়ের মানুষ, কিন্তু সেই দোকানেও এমনই দরদাম চলবে। আর বড়লোক ক্রেতারাও এমনভাবে দরদাম করবে যেন নুন আনতে পান্তা ফুরায়! আসলে এগুলো না করলে আমরা জানে শান্তি পাইনা। হাহা।
ক্রিয়েটিভিটির অভাব? আমরা চোর হলে এরা হচ্ছে ডাকাত! এই বিষয় নিয়ে অন্য পর্বে বিস্তারে লিখব, এখন আপনাকে মন্তব্যে একটু বলি। একটা জিনিস আজ বাজারে আসল, দাম ১০০ ডলার, দুদিন পরে যাবেন, দেখবেন ২৫% সেল! চারদিন পরে যাবেন দেখবেন, ৫০% সেল! এক সপ্তাহ পরে দেখবেন, ৭৫% সেল! আপনি ৭৫% সেলে কিনে নিজেকে চালাক ভাবার ভুল করিবেন না, সেই সিচুয়েশনেও দশগুণ লাভ হচ্ছে কোম্পানির! ;)

কুইজের উত্তরটি মজা করে হলেও দেবার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ।

বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্য করেছেন। তাই আমিও বরাবরের মতোই কৃতজ্ঞ! :)
আপনার ভালোথাকা গুলো ভালো থাকুক।

১৬| ২৭ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৩

অজানিতা বলেছেন: কিছুদিন আগেই অফলাইনে আপনার সাবলীল লেখা স্কুল সিরিজটি পড়েছিলাম বেশ নেশা নিয়ে।
এটিও বেশ উপভোগ করছি :)
ধন্যবাদ আপনার রোজনামচা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনি কি শ্যম্পুর বোতলের পেছনের তথ্যগুলো পড়ছিলেন? অথবা ঊল্টো করে পড়ছিলেন?

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ স্কুল সিরিজটিও পড়ার জন্যে। আর এটিতে পাশে থাকার জন্যে আরো একদফা ধন্যবাদ জানাই।
এমন আন্তরিক মন্তব্যেই লেখার আগ্রহ বজায় থাকে আসলে।

হুমম! আসল উত্তর জানতে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি ঠিক উত্তরটি দিলে নিজের সাথে মিলিয়ে নেবেন! :)

শুভেচ্ছা অজস্র!

১৭| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

শুভ_ঢাকা বলেছেন: এই সিরিজটা বেশ ভাল হচ্ছে। ছোট ছোট বিষয়গুলোও ডিটেলে লেখা হচ্ছে অনেকটা আর্ট ফিল্মের মতো। পাঠক অত্যন্ত আনন্দের সাথে পড়ে এবং মুগ্ধ হন।

ধাঁধার উওরঃ ওটা কুইবেক প্রভিন্সের ভাষা ছিল। ঐ ভাষাতে normal স্পেলিংও একই।

১৮| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: কানাডার শপিং আপনার বোরিং লাগে ? দেশের শপিং মিস করছেন ? তাহলে এক কাজ করেন, আপনি দেশে এসে আমার জায়গাতে শপিং করেন, আমারে কানাডাতে আপনার জায়গায় পাঠাই দেন । ভাইস-ভার্সা ! B-)

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা! অনেক মজার মন্তব্য করেছেন হৃদি আপু! পারলে তাই করতাম রে আপু। কিন্তু আপনার ফ্যামিলি আপনাকে আসতে দেবেনা, আর আমার বাবা মাও আমাকে চোখের আড়াল করবে না। হুমম, যদি সিনেমার মতো প্লাস্টিক সার্জারি করা যেত তাহলে সম্ভব হতো! ;)

পাঠ ও মজার মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অফুরান!

১৯| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ, কানাডার শপিং এই দেশ থেকে যাওয়া মানুষের জন্য একটু বোরিং লাগতেই পারে, দরদাম করাকে আমরা বাঙালীরা এনজয় করি। সুন্দর পোষ্ট লাইক।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেটাই তো! একটু না ভীষনই বোরিং এখানে শপিং। যারা ভাবছেন এমন বড় সব শপিং মল বোরিং কিভাবে হয়, তাদের বলতে পারি যে দু একবার যাবার পরে, প্রাথমিক জৌলুশের ধাক্কাটা কেটে যায়। তারপরে সেই শেল্ফে যাও, জিনিস ওঠাও, বাস্কেটে ঢালো রুটিন খুবই বোরিং। দেশে তো নানান ধরণের দোকানপাট, বোরড হওয়া সম্ভবই না।

আপনার মন্তব্যে অনেক উৎসাহিত বোধ করছি।
পাঠ, মন্তব্য এবং লাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা জানবেন।

২০| ২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কুইজটির উত্তর: কানাডায় যেকোন প্রভিন্সে, সে বাইলিংগুয়াল (দ্বিভাষিক) হোক বা না হোক, সব পণ্যের সামনে, পেছনে ইংলিশের পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ লেখা থাকে। ফ্রেঞ্চ এবং ইংলিশ দুটো ভাষার অক্ষর অনেকটা একই। আমি আসলে ইংলিশ পড়ছিলামই না, ওগুলো যে ফ্রেঞ্চ লেখা সেটাও বুঝতে পারিনি তখন। ব্যাস হা করে মানে করার চেষ্টা করছিলাম।
আমার মা ফ্রেঞ্চের নিচের ইংলিশ ভার্সনটি পড়ে বুঝেছিল।

আমি কাউকেই বিজয়ী ঘোষনা করতে পারছিনা। কেউ কেউ কাছাকাছি গিয়েছেন, তবে ঠিকভাবে বলতে পারেননি। কিওয়ার্ড ফ্রেঞ্চ কারো কাছেই পাইনি। আর কুইজটি দুটো ভাগে বিভক্ত ছিল, আমি কেন পারলাম না, এবং আমার মা কিভাবে পারল? অনেকে একটির জবাব দিলে অন্যটির জবাব দেননি। সবমিলে কোন উত্তরই নিতে পারছিনা একেবারে এক্যুরেট জবাব হিসেবে।

তবে ট্রাই করার জন্যে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন।

২১| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫০

হাসান রাজু বলেছেন: আমি ভাবছিলাম মা আন্দাজ করে বলছেন ।

০১ লা জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না আন্দাজে কিছু বলার মতো মানুষ আমার মা না। আর আন্দাজে বললে সেটা ভালো বা ফেয়ার একটা ধাঁধা হতোও না। যাই হোক, এখন তো উত্তরটা জানেন। :)

শুভেচ্ছা।

২২| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই পর্বটি মিস হলো কিভাবে? বয়সের কারণে আজকাল অনেক কিছু ঠিকমতো খেয়াল করতে পারছি না।

যাই হোক, তুমি লিখেছ ইউ নেম ইট, দে হ্যাভ ইট। আমার ক্ষেত্রে মনে হয় তারা 'সরি' বলতে বাধ্য হবে। আমি কী চাইব, আর তারা দিতে অপারগ হবে আপাতত সেটা আর বলছি না।

এই পর্বে টেনশন খুব কম ছিল। তার চেয়ে শপিং-এর নতুন অভিজ্ঞতা উপভোগ্য ছিল। আর কুইজের ব্যাপারে বলি, ইংলিশ বা ফ্রেঞ্চ কোন ফ্যাক্টর নয়। আসলে 'মা' হলো ফ্যাক্টর। আমরা কথায় কথায় বলি না, হাজার হলেও মা। হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পর্বটি আপনার মিস হয়েছিল বলে আমি আপনাকে অনেক মিস করেছিলাম হেনাভাই। আজকে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।

হাহা, হ্যাঁ, এমন অনেককিছুই চাওয়া সম্ভব যা তারা দিতে পারবেনা। এটা একটা কথার কথা, তাদের রেইন্জ বোঝানোর জন্যে।

তা যা বলেছেন হেনাভাই। মা ইজ দ্যা রিয়েল ফ্যাক্টর!

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।

২৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মিস বোকামতীর দেখি কুইজ খেলার খুব শখ! :) শপিংয়ে গিয়ে মেয়েদের বোর হওয়ার ইতিহাস হাতে ভাঙা হারিকেন নিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ আছে। :P তবে কানাডায় গিয়ে শপিংয়ে বোর হয়ে থাকলে মিস বোকামতীকে ততটা দোষ দেয়া যায় না। কী বলেন? :P

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলেই শখ, চেষ্টা করি লেখায় একটি কুইজ রাখতে। সামনে কি আসবে সে বিষয়ে পাঠকের ভাবনা জানার লোভ সামলাতে পারিনা আরকি। :)

হুমম, মেয়েদের ইতিহাস, রসায়ন বিজ্ঞান নিয়ে ভালোই অভিজ্ঞতা দেখছি। :P

দেশে শপিং এ বেশি মজা পেতাম ঠিক, কিন্তু গরমে কাহিলও হয়ে যেতাম। আর কানাডায় তো শপিং এর পুরো ব্যাপারটাই বোরিং, বেশিই সিস্টেম্যাটিক। সবমিলে শপিং খুব প্রিয় কিছু না, প্রয়োজন ছাড়া করিনা। আমি এবং আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সেও একটা মেয়ে শপিং করতে পছন্দ করিনা। আমরা একে অপরকে বলি যে আমাদের মতো রেয়ার প্রজাতি পৃথিবীতে আর নেই। হাহাহা।

মিস্টার বোকা, কোন অবস্থাতেই বোকামতীদের দোষ দেওয়া যায়না। বোকা মানুষ, তার ওপরে আবার পাগলী! যেকোন কিছুই করতে বলতে পারে! :D

২৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: পোস্টটা খুঁজে আজ আমার মন্তব্যটা পড়লাম । এবং মন্তব্যের পর যে প্রতিমন্তব্য তাও এইমাত্র পড়লাম । এতো সুন্দর একটা উত্তর দিয়েছিলেন, আর আমি সে উত্তরটা এতদিন মিস করে গেছি । সামুতে আসার পর আমার মনে হত যেন সিনিয়ররা আমার মন্তব্য দেখলে একটু অড ফিল করেন । প্রথম প্রথম মন্তব্য করলে কেউ কেউ সুন্দর করে জিজ্ঞেস করতেন- ব্লগে নতুন, নাকি এই নিকে নতুন ? অথচ সামুপাগলা এতো সুন্দর করে প্রতিমন্তব্য দিয়েছিলেন যেন আমি উনার কত আপন !

আসলে এই মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য আমি কেন যে পড়িনি তার প্রধান দুটো কারণ বলে দিচ্ছি ।
প্রথমত, সামুতে আসার পর প্রথম কয়েকদিনের মাঝে এখানে আমি মন্তব্য করেছিলাম । প্রতিমন্তব্য পড়ার মত ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং তখনো হয়নি ।

দ্বিতীয় কারণটা ভয়ংকর । তবুও বলে ফেলি...
আমি নিক এবং প্রোফাইল পিক দেখে মনে করেছিলাম সামুপাগলা একজন ছেলে । :P কানাডা প্রবাসী ছেলে ! এর সাথে ভাব জমাতে পারলে তো হয়ত ভবিষ্যতে আমিও সহজে কানাডা পাড়ি জমাতে পারবো ! =p~
শিরোনাম ভালো করে লক্ষ্য করলে ভুল হত না । কিন্তু তখন সবে সামুতে ঢুকেছি, অত কিছু কি লক্ষ্য করতে পারতাম ? :)

একটা অভিযোগ আছে আপু, সেই কবে ৩ নং পর্ব লিখেছেন, এখন মাত্র ১০ পর্যন্ত লিখলেন । আরেকটু গতিতে আগানো যায় না আপু ?

আমার প্রথম মন্তব্যে উষ্ণ আন্তরিকতা দেখানোর জন্য আপুকে ভালোবাসা জানাচ্ছি (যদিও অনেক দেরিতে :) )

১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হৃদি আপু! আপনাকে প্রথম কমেন্ট থেকেই অনেক আপন মনে হতো, এজন্যেই সেই অনুভূতি আপনাকেও স্পর্শ করেছে। :)

নাহ, আমার মনে হয় না কেউ অড ফিল করত। ব্যাস নতুন মানুষের প্রতি, বিশেষত যে ব্লগে শুধু বেড়াতে না থাকতে এসেছে, সম্ভাবনা আছে যার মধ্যে, তাকে নিয়ে সবার কৌতুহল থাকা স্বাভাবিক! হয়ত আপনার লেখার পরিপক্কতায় অনেকে ভাবত যে একেবারে নতুন আপনি না, কোন পুরোন ব্লগারের নিক! এনজয় ইট এজ আ কম্প্লিমেন্ট! :)

হুমম, নতুন থাকাকালে আমি খুব অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম প্রতিমন্তব্য আসার! বারবার ঢুঁ মারতাম! আগেকার দিনে চিঠির উত্তরের অপেক্ষার মতো! হাহা!

হাহা, এটা কোন ব্যাপারই না। এত লজ্জা টজ্জার কিছু ছিলনা। আমার নিক দেখে সাধারণ যে কারোরই মনে হবে এটা ছেলের নিক। শিরোনামটি পড়লে এই সমস্যা হতো না, তখন বুঝিনি, তবে আজকে বুঝলাম কেন শিরোনামটি লক্ষ্য করতে পারেননি। ইটস এবসোলুটলি ফাইন।

কানাডা প্রবাসী ছেলে ! এর সাথে ভাব জমাতে পারলে তো হয়ত ভবিষ্যতে আমিও সহজে কানাডা পাড়ি জমাতে পারবো
হাহাহা! হোয়াট আ হিউমার! আরেহ আমার বোন কেন কারো সাথে ভাব জমানোর খাটুনি করবে? পড়াশোনা শেষ করে নেন, কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মান যে দেশ বলবেন সে দেশের প্রবাসী পাত্রের লাইন লাগিয়ে দেব! তারাই আপনার পিছে পিছে ভাব জমানোর জন্যে ঘুরবে! :P

একটা অভিযোগ আছে আপু, সেই কবে ৩ নং পর্ব লিখেছেন, এখন মাত্র ১০ পর্যন্ত লিখলেন । আরেকটু গতিতে আগানো যায় না আপু ?
নারে যায় না। দেখতে গেলে আমি কিন্তু রেগুলারলিই পোস্ট করছি। কয়েকদিন পর পরই কিছু লিখছি। একটার পর একটা কানাডা পোস্টই লিখে গেলে সংখ্যাটা অনেক হতো। তবে তাতে করে আমি একঘেয়েমিতে ভুগতাম, এবং একই ধরণের পাঠকে আটকে যেতাম। এজন্যে নানা জনরায় মাঝে মাঝে লিখি। একটি কানাডা পোস্ট দিয়ে অন্য নতুন কিছু আনি। এমনকিছু যেটা থেকে আমি কিছু শিখতে পারব, অন্যকে কিছু জানাতে পারব, অথবা নিছক মানুষকে বিনোদন করার জন্যে। এতে করে ব্লগিং এর স্বাদ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারি। আশা করি, কানাডার স্লো ট্রেইনটিতেও পাঠক যে ভালোবাসা নিয়ে যাত্রী হয়েছেন, সে ভালোবাসা ধরে রাখবেন সামনেও!

লেট ইজ বেটার দ্যান নেভার! আন্তরিক ও হনেস্ট কিছু কথামালার জন্যে অফুরন্ত ভালোবাসা রইল!

২৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: উফফ ! একটা লাইন মিস করেছি, প্লিজ মিলিয়ে পড়ুন...

..... দ্বিতীয় কারণটা ভয়ংকর । তবুও বলে ফেলি...
আমি নিক এবং প্রোফাইল পিক দেখে মনে করেছিলাম সামুপাগলা একজন ছেলে । :P কানাডা প্রবাসী ছেলে ! এর সাথে ভাব জমাতে পারলে তো হয়ত ভবিষ্যতে আমিও সহজে কানাডা পাড়ি জমাতে পারবো ! =p~ পরে যখন বুঝলাম আপনি একজন মেয়ে তখন আর লজ্জায় প্রতিমন্তব্য পড়ার ইচ্ছে জাগেনি । আমার ভয় হচ্ছিল যেন আপনি আমার করা মন্তব্য পড়ে বুঝে যাবেন আমি আপনাকে ছেলে ভাবছি । =p~
লেখাটা পড়ার সময় প্রথমেই শিরোনাম ভালো করে লক্ষ্য করলে ভুল হত না । কিন্তু তখন সবে সামুতে ঢুকেছি, অত কিছু কি লক্ষ্য করতে পারতাম ? শিরোনাম না দেখেই পড়া শুরু করতাম । :P ......

১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নো প্রবলেম, মিলিয়ে পড়ে নিয়েছি এবং ওপরে উত্তর সেভাবেই দিয়েছি! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.