নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৭) - কানাডার স্কুল ভ্রমণ এবং দেশীয় মফস্বলের স্কুলের টুকরো স্মৃতি!

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

পূর্বের সারসংক্ষেপ: কানাডিয়ান স্কুলে গিয়ে খুব সহজেই ভর্তি হয়ে গেলাম। ভর্তির পরে কাউন্সিলর আমাকে পুরো স্কুল দেখাতে নিয়ে গেলেন।

পূর্বের পর্বগুলোর লিংক:
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১) - প্রথমবার প্রবাসে প্রবেশের অনুভূতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (২) - জীবনের গল্প শুরু হলো এইতো!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৩) - সুখে থাকতে কিলায় ভূতে! (কুইজ বিজেতা ঘোষিত)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৪) - বাংলাদেশ ভার্সেস কানাডার দোকানপাট, এবং বেচাকেনার কালচার! (কুইজ সলভড)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৫) - কেমন ছিল কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তি হবার প্রস্তুতি পর্ব?!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৬) - কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তির ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা!
পূর্বের সিরিজের লিংক: কানাডার স্কুলে একদিন এবং কানাডার স্কুলে একেকটি দিন

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আমি ধীর পায়ে, ভয়ে ভয়ে কাউন্সিলর কে ফলো করছি। এই প্রথম কোন বিদেশীর সাথে একা! অস্বস্তি বোধ হচ্ছে, উনি কখন কি জিজ্ঞেস করে ফেলেন! কি না কি বলব!

মেইন অফিস থেকে বেড়োনোর কয়েকটি দরজা। যে দরজা দিয়ে প্রথমে বাবা মার সাথে ঢুকেছিলাম, সেটি না, অন্য একটি দিয়ে বের হলেন তিনি। আমাকে নিয়ে লবি দিয়ে পার হচ্ছেন আর একেকটা ক্লাসরুম বাইরে থেকে দেখাচ্ছেন।

ভেতরে যেতে পারিনি বিধায় বেশি বুঝতে না পারলেও এটা বুঝলাম যে ক্লাসরুমগুলো দেশের মতো না। এখানে লম্বা লম্বা বাদামি কাঠের বেঞ্চ নেই, সিংগেল চেয়ার আর ডেস্ক। খুব একটা পছন্দ হলো না ক্লাসরুমগুলো। দেশের ক্লাসরুমগুলো অনেক খোলামেলা, বড় ছিল।

বেশ কয়েকটি লবি ডান বাম করার পরে একটা বিশাল এরিয়ায় এলাম। এরিয়াটিতে গ্যাপ দিয়ে দিয়ে লম্বা টেবিল, টেবিলের দুদিকেই মুখোমুখি করে বসার জায়গা। সেটা ছিল ক্যাফেটেরিয়া। কাউন্সলির আমাকে নিয়ে গেলেন ক্যাফেটেরিয়ার এক কোণায়, সেখানে ছোটখাট দোকান টাইপ ছিল! দোকানটির পাশে ছিল একটি ভেন্ডিং মেশিন, তাতে রাজ্যের সব ড্রিংকস, চিপস রাখা। দেশে টিচারেরা এসব খেতে মানা করতেন, আর এখানে পুরো এক মেশিন বসিয়ে রেখেছে!

দোকানের সামনে দাড়িয়ে কাউন্সিলর বললেন, "হুমম, ফ্রেশলি বেকড মাফিন, স্মেলস সো গুড!"
মাফিন একধরণের কেক, শুকনো, খুব টেস্টি কিছু না খারাপও না, খাওয়া যায়। কানাডায় এসে আমি খেয়েছি। এটা নিয়ে কেউ এত সুন্দর এক্সপ্রেশন দিতে পারে! আগে না খেলে ওনাকে দেখে আমি ভাবতাম বেহেশতী খাবার!

আমি মনে মনে দেশের কথা ভাবছি। ক্যাফেটেরিয়া তো ছিলনা। টিফিন নিয়ে ক্লাসেই আসত একজন খালা। একেক দিন একেক নাস্তা থাকত। আমাদের সবচেয়ে অপছন্দের ছিল কলা এবং ডিম জাতীয় কিছু পাওয়া। সবচেয়ে পছন্দের ছিল লুচি, সমুচা, ডাল পুরি বা অন্য যেকোন ঝাল ভাজা খাবার এবং লাড্ডু, কালো মিষ্টি! টিফিনের এক পিরিয়ড আগে থেকে সবারই খিদে পেয়ে যেত এবং সবাই মনে মনে প্রার্থনা করতাম আজ যেন ভালো কিছু আসে!
বাড়ি থেকে টিফিন নিতাম আমরা, তবুও স্কুলের টিফিনের স্বাদই আলাদা ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে ঐ ঝাল ঝাল সমুচাটা খেতে খুব ইচ্ছে করা শুরু করল! বিদেশে গেলে হুটহাট দেশের অনেককিছু খেতে ইচ্ছে করে। মারাত্মক ভাবে করে। মনে হয় কোটি টাকার বিনিময়ে একটি ফুচকা লসের ডিল না! আমার শুধু নিজেই খেতে ইচ্ছে করছিল না, কাউন্সিলর মহিলাকেও সমুচা খেতে দিতে ইচ্ছে করছে। তাহলে উনি আসল টেস্টি খাবার কি তা বুঝতে পারবেন!

সেই দোকানে যিনি কাজ করছিলেন তাকে দেখিয়ে বললেন, "শি ইজ ফ্রম ব্যাংলাদেশ, আওয়ার ব্র্যান্ড নিউ স্টুডেন্ট!"
দোকানি এমন বিশাল একটা হাসিতে মুখে ফুটিয়ে তুললেন যেন আমার উপস্থিতিতে তাদের স্কুল এবং দেশ ধন্য হয়ে গেছে! আমাকে বললেন, "ওয়াও! গ্রেইট! ওয়েলকাম টু আওয়ার স্কুল!"
আমি ততক্ষনে নিয়মটা ধরে ফেলেছি। যে যাই বলুক চওড়া হাসি দিতে হবে, আমিও ডাবল হেসে বললাম, "থ্যাংকস!"
উনি বললেন, "এখন যেহেতু তুমি আমাদের স্টুডেন্ট, প্রতি সকালে এমন অসাধারণ মাফিন দিয়ে দিন শুরু করতে পারবে। ডু ইউ লাইক মাফিন!?"
আমি মাথা নেড়ে হালকা হেসে হ্যাঁ বললাম।
ওমা! আমাকে পুরোপুরি বিব্রত করে দিয়ে কাউন্সিলর অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে দোকানিকে বললেন, "শি ডাজন্ট লাইক মাফিন! লুক এট হার ফেস!"
দুজনে হেসে কুটিপাটি! আচ্ছা আচ্ছা তোমাকে মাফিন খেতে হবেনা বলে চোখ টিপলেন কাউন্সিলর।
আমি না না এমনকিছু না বলতে গিয়ে চুপ করে গেলাম। "সেরকম কিছু না" এর ইংলিশ কি জানি না তো! আর এমনিও উনি তো মনের কথা বুঝেই গিয়েছেন। এখন বলে কি হবে?
আল্লাহ কেন যে আমাকে এমন চোখ আর চেহারা দিয়েছেন যা দেখলেই মনের সব কথা বোঝা যায়! দেশ পেরিয়ে বিদেশের মানুষের কাছেও ছাড় পাইনা! ধুর!

সেখানে থেকে যেতে যেতে পথে থামিয়ে দেওয়ালের দিকে তাকাতে বললেন। দেখি ইন্ডিয়ার পতাকার মতো আঁকা, মাঝে কি যেন লেখা!
কাউন্সিলর জানালেন স্কুলে নানা জায়গায়, নানা দেশের পেইন্টেড পতাকার ওপরে সেই ভাষায় স্বাগতম লেখা আছে।
কাউন্সিলর জানতে চাইলেন আমি সেটি পড়ে বুঝতে পারছি কিনা? তিনি ভেবেছিলেন বাংলাদেশ আর ভারতের ভাষাগত মিল থাকতে পারে। আমি বললাম এটা সম্ভবত হিন্দিতে লেখা আর আমার ভাষা বাংলা। তিনি সম্ভবত আশা করেছিলেন ইন্ডিয়ার ভাষা বা কোনকিছু দেখে আমি কিছুটা হোম হোম ফিল করব। যেহেতু পাশের দেশ। তবে আমার অনাগ্রহ দেখে ইন্ডিয়া বিষয়ক আর কোন কথা বললেন না। বাংলাদেশ যে পাকিস্তান অথবা ভারতের মতো কিছু না, নিজের একটি দেশ, স্বাধীন সত্ত্বা সেটা ভাঙ্গা ইংলিশে এবং বডি ল্যাংগুয়েজে বুঝিয়ে দিলাম।

পুরো স্কুল হাঁটতে হাঁটতে খেয়াল হলো স্কুলের প্রতি গলিতে জায়গায় জায়গায় ড্রিংকিং ফাউন্টেন আছে। সেই এয়ারপোর্টেও দেখেছিলাম। ছোট কলের মতো, টিপলে পানি বের হয়ে, মুখটাকে একটু কাছে নিয়ে গিয়ে পানি খেতে হয়।
দেশের স্কুলে ফাউন্টেন ছিল না, তবে টিউবওয়েল ছিল। কত যে মজা করতাম আমরা বান্ধবীরা টিউবওয়েলের কাছে! প্রচন্ড গরমে মাঝেমাঝে ক্লাসে কারেন্ট গেলে সেদ্ধ হয়ে যেতাম। তখন শুধু প্রার্থনা করতাম কখন টিফিন হবে আর আমরা প্রিয় টিউবওয়েলের কাছে যাব! সেখানে গিয়ে বারে বারে একজন করে কল চাপত আর বাকিরা হাত মুখ ধুতাম, একে অপরের দিকে ছিটাতাম। জানে শান্তি পেতাম।
বেশি ভিজে গেলে কি চিন্তা! কি চিন্তা! ক্লাসে টিচারের চোখে পড়লে তো শেষ হয়ে যাব! বাকি টিফিন পিরিওডটুকু রোদে দাড়িয়ে শুকানোর চেষ্টায় ব্যস্ত থাকতে থাকতে আবারো গরমের কবলেই পড়তে হতো!
সবকিছুর মধ্যেই একটা চঞ্চলতা ছিল। যাই হোক না কেন, হেসে হেসে একে অপরের গায়ে গড়াগড়ি খেতাম! খুনসুটি, মজায় পার হয়ে যেত একেকটি দিন। আচ্ছা, এখানে কি এমন সঙ্গী সাথী পাব আমি? অবাক চোখে স্কুলের নানা জায়গায় হেঁটে চলা উদ্ভট সাজ পোশাকের ও চুলের ছেলেমেয়েদের দেখে অনুভব করতে পারছি, হয়ত না!

উনি স্কুলটিতে ঘোরাতে ঘোরাতে পুরোটা সময়েই কিছু না কিছু বলে যাচ্ছেন। বাবাকে যেসব কমন প্রশ্ন করেছিলেন কানাডায় আসার ব্যাপারে আমাকেও করলেন। স্কুলটি কত ভালো, টিচাররা কত আন্তরিক সবকিছু বললেন। এভাবে সময় যে কখন কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না!
স্কুলটির নানা জায়গা দিয়ে বাইরে যাবার দরজা, আর এদিক সেদিক দিয়ে লবির মতো চলে যায়। একই রাস্তায় যাবার বেশ কিছু পথ আছে! আমাকে অন্য গলি দিয়ে ঘুরিয়ে আবারো কিভাবে যেন মেইন অফিসের সামনে নিয়ে এলেন! এবারে সেই দরজা দিয়ে আনলেন যেখান থেকে প্রথমে মেইন অফিসে এসেছিলাম।
আমাকে নিয়ে গেলেন রিশিপসনিস্টের সামনে। তাকে দেখিয়ে বললেন, "শি ইজ দ্যা বিজিয়েস্ট লেডি ইন আওয়ার স্কুল!" তিনি একটা অমায়িক হাসি দিলেন কাউন্সিলরের কথার প্রতিউত্তরে।
কাউন্সিলর আমাকে দেখিয়ে আবারো একই কথা বললেন, "শি ইজ ফ্রম ব্যাংলাদেশ, ফ্রম নাও অন এ স্টুডেন্ট অফ আওয়ার স্কুল!"
রিসিপশনিস্টও ওয়েলকাম জানালেন।

রিশিপশনিস্টের ডেস্কে একটা জারে আর্টিফিশিয়াল কিছু ফুল ছিল। খেয়াল করে দেখলাম পাশে একটা পেপার রাখা। কাউন্সিলর একটি ফুল বের করে হাতে নিলেন, আর আমি বুঝলাম এগুলো সাজানোর ফুল না! পেইন!
আমাকে বললেন, "যদি কখনো লেট করো, তবে এখান থেকে পেন নিয়ে এই পেপারে নিজের নাম লিখবে। আর রিশিপসনিস্টকে বলবে কি কারণে লেইট হয়েছ? তখন উনি তোমাকে এক্সকিউজ স্লিপ দেবে, সেই স্লিপটা টিচারকে দেখালে তবেই তোমাকে ক্লাসে ঢুকতে দেবে! আমাদের প্রিন্সিপাল মাস শেষে শিটটি রিভিউ করেন, যেসব স্টুডেন্টের নাম বেশি থাকে তাদেরকে ডেকে পাঠান। সো প্লিজ ট্রাই টু বি অন টাইম!"
আমি সজোরে মাথা নেড়ে জানালাম আমি লেইট হবো না, এবং আমি পুরো হাই স্কুল জীবনে দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সেই কথাটির মান রেখেছিলাম।

আমাকে নিয়ে তিনি তার অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন, এমন সময়ে কফি হাতে এক ভদ্রলোক যাচ্ছিলেন পাশ দিয়ে। দেখতে বেশ ইয়াং তবে গ্রেইশ চুল দেখে মনে হলো বয়স্কই হবেন। লম্বা, একটু রাফ, শুষ্ক ফেস, ছোট করে ছাঁটা চুল।

কাউন্সিলর ওনাকে থামালেন এবং আমার দিকে ইশারা করে বললেন, "শি ইজ ইজ আ নিউ স্টুডেন্ট, রিসেন্টলি এডমিটেড। শি ইজ ফ্রম ব্যাংলাদেশ, মুভড টু কানাডা উইথ হার প্যারেন্টস।"
আর আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন, "হি ইজ অল অফ আওয়ার বস, প্রিন্সিপাল অফ দ্যা স্কুল!"
আমি অবাক হয়ে গেলাম। ওনাকে মডেল হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যায় তবে প্রিন্সিপাল!

দেশের স্কুলের হেডমিস্ট্রেসের কথা মনে পরে গেল। ভীষন রাশভারী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তাকে দেখলে ভয় লাগলেও আসলে তিনি সবাইকে স্নেহ করতেন খুব। মাঝেমাঝেই কানে আসত অমুক তমুক গরীব স্টুডেন্টকে সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন। কোন শিক্ষক অসুস্থ হলে দেখতে চলে যেতেন। আদর্শ প্রধান শিক্ষিকা বলতে যা বোঝায় তাই ছিলেন।
কোন ক্লাসে কোন স্টুডেন্ট ভালো এবং কোনটা দুষ্টু সব তার মুখস্থ ছিল! তাকে সবাই এত ভয় পেতাম! উনি আমাদের টিচারদেরও টিচার এমন ভাবনায় সমীহ করতাম। হয়ত হেসে হেসে কারো সাথে কথা বলছি, তাকে দেখলে হাসি থামিয়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকতাম। উনি চোখের আড়াল না হওয়া পর্যন্ত প্রায় স্ট্যাচুর মতো দাড়িয়ে থাকতাম সবাই! অনেক টিচারও হেড আপাকে দেখলে আমাদের বাচ্চাদের মতো আচরণ করতেন!
কিভাবে যেন মাঝেমাঝে ক্লাসে বেশ ভালো করে ফেলতাম। আমি সহ আরো কয়েকজনকে তখন হেড ম্যাডাম ঘড়ি, পেন্সিল বক্স, বই ইত্যাদি গিফট করতেন ক্লাসের সবার সামনে। আমার এত ভয় লাগত উনি যখন সামনে দাড়িয়ে উপদেশ দিতে দিতে গিফট দিতেন! সব সুন্দর কথা বলতেন, ভবিষ্যৎ এর স্বপ্ন দেখাতেন। কিন্তু অতিরিক্ত ভালোবাসার মতো অতিরিক্ত শ্রদ্ধাও মানুষকে অসহায় করে দেয়। সহজ হতে পারতাম না ওনার সামনে দাড়ালে। মনে হতো, ধুর ছাই, ক্লাসে ভালো করতে গেলাম কেন?

মানুষের ভাবনার গতি আলোর চেয়েও বেশি ফাস্ট! এর জন্যেই তো এতসব কিছু ভাবতে ভাবতে প্রিন্সিপাল আমার দিকে তাকিয়ে, "ওয়াও! গ্রেইট! ওয়েলকাম টু ইওর নিউ হোম!" এটুকুই বলতে পারলেন।
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে হেসে থ্যাংক ইউ বললাম!

এরপরে কাউন্সিলর আমাকে নিয়ে বাবা মায়ের কাছে চলে গেলেন। গিয়ে দেখি মায়ের মুখ শুকিয়ে গেছে! মনে হচ্ছে তার মেয়েকে স্কুলের কাউন্সিলর না কিডন্যাপার কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছিল। আমার এত হাসি পেল মায়ের অবস্থা দেখে! আমাকে দেখামাত্র যেন জানে পানি ফিরে পেল!
কাউন্সিলর আমাদের কিছু সৌজন্য কথা বললেন। ক্লাস শুরু করতে পারব কয়েক সপ্তাহ পরে, ওদের কি যেন ব্রেইক আসছিল খুব জলদিই। সেসব শেষ হলে জয়েন করব। আপাতত স্কুলটিকে বিদায় দিয়ে বাড়ির দিকে যাত্রা করলাম।


আমি বাড়ি আসতে আসতে অবাক হয়ে ভাবছি, আমি একজন বিদেশীর সাথে এতক্ষন একা ছিলাম কি করে?! আসলে মানুষ যখন কোন সিচুয়েশনের মধ্যে পড়েই যায়, তখন তার ক্ষমতা বেড়ে যায়। এত ইংলিশ যে আমি জানতাম সেটা আমারও ধারণায় ছিলনা। হ্যাঁ, ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংলিশ ছিল, কম কথা বলেছি, কিন্তু তবুও, আমি হাঁ হয়ে তাকিয়ে থাকিনি। তার সব কথা বুঝে কিছু না কিছু বলে গিয়েছি!
আমার মফস্বলের সেই দুটো ইংলিশ সাবজেক্ট, কখন আমাকে পরিস্থিতি সামলানোর মতো ইংলিশ শেখালো বুঝতেই পারিনি! পাতার পর পাতা শব্দার্থ মুখস্থ এবং ব্যাকরণ এর ফরমুলাগুলো কিছু তো কাজে দিল! কাজ তো চালিয়ে নিতে পারলাম। নিশ্চই ক্লাসেও আমি ঠিকই চালিয়ে নিতে পারব, সব ঠিক যাবে!
এসব ভাবতে ভাবতে কানে একটা কথা বেজে যাচ্ছে, "ওয়েলকাম টু ইওর নিউ হোম!" আচ্ছা প্রিন্সিপাল স্যার নিউ হোম বলতে স্কুলটিকে বুঝিয়েছিলেন না কানাডাকে?

কানাডায় এসে থেকে হাজারটা ক্লান্তি, বিষাদ, সংশয়, অনিশ্চয়তার মাঝে প্রথমবার কি ভীষন একটা প্রশান্তি অনুভব করছি মনের মধ্যে! আমি নিজের ওপরে অন্য এক আত্মবিশ্বাস বোধ করছি। বাবা মাও যেন আমাকে নিয়ে নিশ্চিন্ত হলেন।
বাড়ির পথে ফিরতে ফিরতে আমরা কেউ তখন জানতাম না যে নতুন চিন্তা বাড়িতে এসে বসে আছে!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

বাড়িতে কি অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্যে? এটাকে কুইজ হিসেবে রাখাটা ঠিক হবেনা। অনেক কঠিন হয়ে যাবে, কেননা লেখায় এ বিষয়ে কোন হিন্ট দেওয়া হয়নি। তবে পাঠকেরা চাইলে নিজেদের অনুমান কমেন্ট বক্সে রেখে দিন! হয়ত মজার অনেক উত্তর বেড়িয়ে আসবে, কেউ হয়ত ঠিকটাই বলে দেবে! তেমন কিছু হলে আমি ভীষন সারপ্রাইজড হবো! আসলে কি হয়েছিল তা আমি কমেন্টে দেব না, পরের পর্বে লিখব। ধন্যবাদ সবাইকে।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সামুপাগলা ভাল লেখেন এটা আর বলতে হবে! এবারের পর্বও অনেক ভাল হয়েছে।
কোনবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দেই না কিন্তু এইবার দিয়ে দেখি ঠিক হয় নাকি।
বাড়িতে কি কোন নতুন অথিতি এসেছিল? আরে জিজ্ঞাসা চিহ্ন দিয়ে আমিই তো প্রশ্ন করে ফেললাম :D

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ! থ্যাংকস এ লট! অনেক অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে।

হাহা, যখন কুইজ থাকে উত্তর দেন না। আজ জাস্ট একটু অনুমান জানতে চাইলাম, সেটাতে উত্তর নিয়ে হাজির!

হুমম, সেটা জানার জন্যে পরের পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হাহা, আমি কেমন সিরিয়াল মেকার দের মতো কথা বলছি! :D

অনেক ভালো থাকবেন মোস্তফা সোহেল।

২| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

লাবণ্য ২ বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর আর সাবলীল লেখা।আপনার লেখা সবসময়ই ভালো লাগে।সমুচা আমারও খুব পছন্দ।

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লাবণ্য আপু! সো সুইট অফ ইউ!
সবসময়ের ভালো লাগাকে সবসময়ে অনুপ্রেরণা হিসেবে মনে রাখব অবশ্যই।

পছন্দ না, আই জাস্ট লাভ সমুচা! হোয়েন আই সে লাভ, আই মিন ইট! হাহা।

শুভেচ্ছা আপু!

৩| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: তোমার এত দেরী কেন হে যমদূত; চলে এসো ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত।

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি? বাপরে বাপ! এমন ভয়ংকর মন্তব্য কেন ভাই?

৪| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যাক, শেষ পর্যন্ত স্কুল ঘুরে দেখার পর্ব শেষ হলো! লেখার স্তরে স্তরে টেনশ ছিল। ভাঙ্গা চোরা বাক্য বিনিময়, থ্যাংকস অথবা থ্যাংক ইউ, চেষ্টা করে মুখে ফুটিয়ে তোলা হাসি ইত্যাদির মাধ্যমে কাউন্সিলর সহ অন্যদের ভালোই সামাল দিয়েছ। আর একটা কথা। কম ইংলিশ জানা একজন মানুষ পরিস্থিতির কারণে ইংলিশে অনেক কথাই বলতে পারে। তোমার এই ধারনাটি সঠিক। আমার একটা অভিজ্ঞতা আছে। আজ থেকে বছর দশেক আগে আমি আমার ছোট ছেলেটাকে মোটর সাইকেলে চড়িয়ে স্কুলে নিয়ে যেতাম, আবার একইভাবে বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতাম। সেই সময় একদিন দু'জন অস্ট্রেলিয়ান ভদ্রলোকের সাথে স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু কথাবার্তা বলেছিলাম। ওরা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল গুলোর পড়াশুনার মান ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে গবেষণার কাজ করছিল। সেই সূত্রে আমার ছেলের স্কুলে আসা। গবেষণা কাজের অংশ ওরা হিসাবে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের গার্জিয়ানদের কাছে স্কুলের পড়াশুনার মান সম্পর্কে ধারনা পাওয়ার চেষ্টা করছিল।

আমি স্থানীয়দের সাথে ইংরেজিতে টুক টাক কথাবার্তা বলা ছাড়া বিদেশীদের সাথে কোন দিন কথা বলিনি। বলতে পারবো, এরকম আত্মবিশ্বাসও ছিল না কখনো। যদিও আমার পুরো একাডেমিক ক্যারিয়ার ছিল ইংরেজি মাধ্যমে, বাসায় ইংরেজি নিউজপেপার রাখা হতো, তারপরেও ভারবাল ইংলিশে আমাদের ভাই বোনদের প্রচুর দুর্বলতা ছিল। ইংরেজিতে কথা বলার প্র্যাকটিসও করিনি কোনদিন। আর অস্ট্রেলীয়দের ইংলিশ এ্যাকসেন্ট ভয়াবহ। ওরা 'টুডে'-কে উচ্চারণ করে 'ঠুডাই'। তাহলে বোঝো অবস্থা! তারপরেও কিভাবে কিভাবে যেন ওই দুই অস্ট্রেলীয় ভদ্রলোকের সাথে আধা ঘণ্টার মতো কথাবার্তা বলে ফেললাম এবং ওদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যথাসম্ভব সরবরাহ করতে সক্ষম হলাম। তবে কানাডায় তোমার প্রাথমিক দিন গুলোর মতোই ফ্লুয়েন্ট ছিলাম না। পরে বাসায় ফিরে আসার পথে এটা ভেবে শিহরণ অনুভব করছিলাম যে, আমি বিদেশীদের সাথে ইংলিশে কথা বলতে পেরেছি। হাঃ হাঃ হাঃ।

চমৎকার লিখেছ। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই! পোষ্টে পেয়ে বরাবরের মতোই ভালো লাগল।

বাহ! কি সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

পরে বাসায় ফিরে আসার পথে এটা ভেবে শিহরণ অনুভব করছিলাম যে, আমি বিদেশীদের সাথে ইংলিশে কথা বলতে পেরেছি
সেইম হেনাভাই। আমারো এমনই ফিলিং হচ্ছিল! একটা বিদেশী মানুষের সাথে মনের ভাব আদান প্রদান করেছি আমি! কি ভীষন এক্সাইটমেন্ট! ভাবলেও অবাক লাগে, এখন আমার কাছে সেটা ডালভাত। বরং দেশী কোন মানুষকে রাস্তায় দেখলে, বাংলায় একটু কথা বলতে পারলে ধন্য হয়ে যাই! জীবনও একেক সময়ে একেক সব রং দেখায়! প্রতি রংয়েই বেদনা ও আনন্দের মিশেল থাকে!

আবারো একটা থ্যাংকস জানাই, কষ্ট করে, সময় নিয়ে লম্বা একটি মন্তব্য করেছেন বলে। অনেক উৎসাহ পেলাম আমি।
ভীষন ভীষন ভালো থাকবেন।

৫| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গবেষণা কাজের অংশ ওরা হিসাবে < গবেষণা কাজের অংশ হিসাবে ওরা

সরি!

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ ব্যাপার না হেনাভাই। সরি বলার কিছুই নেই। ক্লিয়ার করে দেবার জন্যে ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আপনার এই সিরিজ টা ভালো লাগে আপু, যদিও আমার সবগুলো পড়া হয়নি। ভালই হল আজ সবগুলো পর্বের লিংক একসাথে পেয়ে। ঈদ এর ছুটি তে সময় করে পড়ব ইনশাল্লাহ।

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই কথা আপু!

ভালো লাগায় আনন্দিত করলেন। ইনশাল্লাহ, আপনি সিরিজটির সব পর্ব পড়ার সময় সুযোগ করতে পারবেন এবং আপনার সব পর্বই ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা অফুরান!

৭| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

নাজিম সৌরভ বলেছেন: আপনার লেখা আগে কখনো পড়িনি । কারণ আছে, আমি আসলে নতুন তাই ব্লগ বেশি ঘুরে দেখার সুযোগ পাইনি । আপনার লেখাটি পড়ে অন্য লেখাগুলো পড়ার ইচ্ছে করছে । সময় নিয়ে সব লেখা পড়ব । অদ্ভুত এক স্টাইলে লিখেন আপনি, কানাডার কথা বলতে বলতে হুট করে দেশের স্মৃতি রোমন্থন করে নিচ্ছেন । স্মৃতিকাতর লোক ছাড়া অন্যরা এমনটি করতে পারে না । চালিয়ে যান । প্রবাসের প্রতিটি দিন আপনার ভালো কাটুক ।

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ আচ্ছা! ওয়েলকাম টু সামু ব্লগ! আশা করি এখানে আপনি চমৎকার কিছু সময় কাটাবেন, এবং অনেককিছু শিখতে ও শেখাতে পারবেন।

আচ্ছা, সময় সুযোগ করে সিরিজটির বাকি পর্বগুলোও পড়ে ফেলুন। আপনার ভালো লাগবে আশা করি।

হুমম, আসলে আমি যখন প্রথম প্রথম কানাডায় যাই, দেশকে স্বাভাবিকভাবেই ভীষন মিস করতাম। এখনো করি তবে অভ্যাস হয়ে গিয়েছি কষ্টটার! তখন কানাডার যেকোনকিছু দেখলে দেশের কথা মনে পড়ে যেত। আমার দুটো লাইফ ছিল এবং হয়ত এখনো আছে। বাস্তবের কালারড লাইফ এবং কল্পনায় ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট স্মৃতিগুলো! দুটো জীবন একসাথেই চলত। সেটাই লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে।

আচ্ছা চালিয়ে যাব, পাশে থাকুন।

অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে।
আপনারও প্রতিটি দিন ভীষন ভালো কাটুক।

৮| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার ছিল কানাডার স্কুল ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা, কাউন্সিলরের আন্তরিকতা মুগ্ধ হলাম। সবাই এমন আন্তরিক হলে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়। বরাবরের মতই সুন্দর সাবলীল উপস্থাপনা।

লাইক।

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম আসলেই ভীষনই আন্তরিক এক মহিলা ছিলেন। কত সুন্দর করে আমাকে স্কুল দেখালেন, সবার সাথে পরিচয় করালেন! আপনি একদম ঠিক বলেছেন। সবাই এমন আন্তরিক হলে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়।

অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হলাম আপনার কথায় এবং লাইকে।
শুভকামনা!

৯| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পরিবেশ, আচরণ কত সহজে বদলে দেয় মানুষকে। আত্ম বিশ্বাসী করে তোলে প্রকৃত প্রত্যয়ে!
সেইজন্যেই বুঝি গুরুজনেরা বলতেন-
শেওড়ার সাথে থাকলে শেওড়া (মূল্যহীন ভুতুড়ে বৃক্ষ)
চন্দনের সাথে থাকলে চন্দন! :)

আমাদের সু-সভ্যতার অতীতকে আমরা ভুলে গিয়ে আজ এ কোন পথে দাড়িয়ে! বিনয়, প্রেম আর ভালবাসার পথ ছেড়ে
হিংসা, লোভ আর সহিংসতার নোংরামোতে জাতিকে ডুবিয়ে দিচ্ছি! রাজনীতি, সুশিল সমাজ, শিক্ষাঙ্গন, ধর্মিয় প্রতিষ্ঠান
কেউ বাদ নেই! বড়ই অসহায় বোধ হয়।
সাংস্কৃতি শুন্যতাতো সবচে বেশি! সেই শত বছর আগের চার্লি চ্যাপলিন হাস্যরসের মাঝে নাগরিক আচরণ, দায়, সভ্যতা শিখিয়েছেন। আমাদের সংস্কৃতিতে একটা অনুষ্ঠান আয়োজন খুজে পাইনা- সামাজিক দায়বদ্ধতার! কেবলই প‌্যানপ‌্যানে প্রেম, পরকিয়া, নয় আঞ্চলিকতা দোষে দুষ্ট বিকৃত উচ্চারন আর অঙ্গভঙ্গির ভাড়ামো! কি শিখবে তরুন সমাজ! কোথায় শিখবে?

সরি! সখি, সক্কাল সক্কাল দায়বোধের আক্কেলটা বেশি বকবক করে ফেলল!
এত সুন্দর দেশের কথা শুনলে আর অনুভব করলে নিজের জাতিগত শুন্যতাগুলোই বেশী প্রকট হয়ে পড়ে যে!
অদ্ভুত এক অসহায় বোধ তাড়িত করে! তাতেই এত কথা! পারডন মি!

অনেক অনেক সাবলীল আর দারুন বরাবরের মতোই।
মুগ্ধতা আর ভালবাসার আরেক অধ্যায়ের অপেক্ষায় শুভকামনা অফুরান :)

+++++



১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ সখা! আপনি ঠিক বলেছেন। এই পর্বে সে আত্মবিশ্বাসের ভীষনই ক্ষুদ্র একটা ঝলক এসেছে, সামনে আস্তে আস্তে সেটা পুরো সূর্যের রূপ ধারণ করবে! :)

আচ্ছা, আপনি শেওড়ার পাশে ব্র্যাকেটে ডেফিনিশন লিখলেন কেন? আপনার কি মনে হয়? আমি শেওড়া গাছ চিনিনা? এমন মনে হবার কারণ কি বলুনতো? :)
ওহ, শেওড়া গাছের পেত্নীর সাথে আমার বিশেষ ভাব ছিল কিন্তু! :D

আরেহ! পারডনের কি আছে? আমিও সবার পোষ্টে গিয়ে বকবক করে আসি। আমার কথা বলতে ও শুনতে বা লিখতে ও পড়তে ভীষন ভালো লাগে, বিশেষত যদি তা হয় বাংলায়।
আপনার এই কথাগুলো অনেক পুরোন নাটক খুঁজলেও পাওয়া যাবে। সকল যুগেই আমরা ভাবি সব বোধহয় গেল এবারে! আসলে প্রতি যুগেই সময়ের নিয়মে অনেককিছু হারাতে যেমন হয়, তেমনি প্রাপ্তির ঝুলিও কিন্তু খালি থাকেনা। যেমন আমাদের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ জিতল, এটা কি অসাধারণ এক ব্যাপার নয়? এটা একদম লেটেস্ট তাই মনে হলো। তাছাড়াও জাতি হিসেবে সকল ফিল্ডেই আমরা অনেককিছু অর্জন করেছি, আবার অনেককিছু যেন পেয়েও পাইনি! পাবার মধ্যেও অনেক ফাঁকি থেকে যায়। কিন্তু সে যাই হোক, স্বাধীন আছি, নিজ ভাষায় দু কলম লিখতে পারি, এটাও আমাদের জন্যে বড়কিছু। লেটস নট টেক এনিথিং ফর গ্র্যান্টেড, আমরা সবকিছুই লড়াই করে পেয়েছি।
আল্লাহ যেন আমাদের জাতিকে ন্যায় অন্যায়, ঠিক ভুলের পার্থক্য করতে সাহায্য করেন। তাহলেই আমাদের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কোন অভাব, ক্ষোভ, হাহাকার থাকবেনা।

ভীষনভাবে অনুপ্রাণিত হলাম আপনার কথায়। পরের পর্ব লেখার এনার্জি পেলাম। :)
শুভ হোক আপনার প্রতিটি প্রহর!

১০| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু আপনি খুব সাহসী । পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে নিজেকে সেটেল করে ফেললেন । আর আমি এমন খ্যাত যে নিজের বিছানা ছেড়ে অন্য বিছানায় গিয়ে ঘুমাতে পারি না । :(

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই চেনা ;) হৃদি আপু!

আপু, জীবনে সবাই চ্যালেন্জের মুখোমুখি হয়। সে স্বদেশ হোক বা প্রবাস। প্রতিদিন সবকিছুর মোকাবিলা করে সার্ভাইব করা যেকোন মানুষই সাহসী। নিজের ঘরের জানালা দিয়েও তো রোদ বৃষ্টি ঠিকই আসে! সবার জীবনের গল্প আলাদা হলেও, কোন না কোন ক্ষেত্রে সবাইকে সাহস দেখাতেই হয়।
আপনি নিশ্চই এমন পরিস্থিতিতে পড়েননি যখন অন্য কোন বাড়ি, শহর, দেশে মুভ করতেই হচ্ছে। তেমন পরিস্থিতি আসলে দেখবেন, আপনিও কত সাহসী!

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা অজস্র!

১১| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

অশুভ বলেছেন: এই সিরিজের সবগুলো লেখাই পড়লাম। অসাধারণ লিখেন আপনি। হয়ত কাকতালীয় ব্যাপার। কিন্তু আপনার সিরিজের সাথে অন্য একটা সিরিজের(একটি পত্রিকা প্রকাশিত "যাপিত জীবনের দিনলিপি";) একটা সম্পর্ক খুজে পেলাম মনে হল।

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ থ্যাংকস এ লট সবগুলো পর্ব পড়ার জন্যে! উৎসাহিত হলাম।

আপনার কথায় আমি সার্চ করে দেখলাম। একটি পর্ব পড়লাম, সেটা পড়ে নিজের কাছে মিল মনে হয়নি। সেটা এক আলাদা প্রবাসীর গল্প। হয়ত সব প্রবাসীর গল্পেই কিছু না কিছু মিল থাকে স্বাভাবিকভাবেই। তবুও খেয়াল করলেই বোঝা যায় দুটো মানুষ আলাদা।

যাই হোক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যে।
শুভকামনা!

১২| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মহিমান্বিত পবিত্র শবেকদরের শুভাষিশ ঝড়ুক
সখির জীবনে অঝোর বৃষ্টির মতো!
জনম জনমের চক্র মুছে
মুক্তির মহাসোপানে পৌছে যাক একজনমেই - - -

আত্মায় স্বত্তায় হোক মহামিলন
আপ-স্বরুপে আত্মদর্শনে খুলে যাক হৃদয়ের অর্গল
আপনারে আপনি চিনে হোক ফানা
আ'কার ঈ'কারের ব্যবধান ঘূচে যাক
মহামহিমের স্বত্তানুভবে, এককত্বে। :)

আশা করি খুব কঠিন হয়নি শুভকামনা :P


১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার ভাষা, দর্শন, ধর্ম জ্ঞান বোধহয় কম। এজন্যে আপনার অনেক কথাই আমি বুঝতে পারিনা। অথবা আপনিই সবকিছু কঠিন করে ভাবতে, বলতে, লিখতে গিয়ে সহজকে ভুলে গিয়েছেন।

হনেস্ট ওপিনিওন তাদেরই দেই যাদেরকে ভালোবাসি। :)

যাই হোক, পবিত্র শবে কদরের শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও।
আপনার আন্তরিকতায় বরাবরের মতোই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার মতো ভালোমানুষ আসলেই হয়না। অনেক ভালো থাকবেন সবসময়। আমার সকল দোয়া রইল।

১৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:১৭

অশুভ বলেছেন: ওপস্। মাই ব্যাড। আমি মিলের কথা বলিনি। ঐ লেখার লেখিকা তার মেয়েসহ কানাডায় ইমিগ্র্যান্ট হয়েছেন বলে এক পর্বে উল্লেখ করেছিলেন। আপনারা যে সময় গেছেন উনিও প্রায় একই সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন। তাই ভাবলাম উনি আপনার পরিচিত ( হয়ত মা ) হতে পারেন। ভুলের জন্য দুঃখিত।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ আচ্ছা আচ্ছা! তাই তো ভাবি, সেই সিরিজের একটি পর্ব পড়ে মনে হলো, তিনি আমার চেয়ে অনেক বয়স্ক। তার সাথে আমাকে কিভাবে গুলিয়ে ফেললেন তা তখন বুঝিনি। এখন বুঝতে পারছি। আপনি ভেবেছেন সে আমারই কোন পরিচিত। না, আমার পরিবারে কারো ব্লগ, পেপারে লেখালেখির শখ নেই। তাকে আমি চিনিনা।

নো প্রবলেম। ভুল যে করে, সেই তো মানুষ! :)
হুমম, সময়মতো পরের পর্ব এসে যাবে। সাথে থাকুন।

শুভকামনা!

১৪| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:০৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সাবলিল লিখনীতে স্মৃতি রোমন্থন গল্পটি বেশ চমৎকার ভংগিমায় উপস্থাপন করে যাচ্ছেন । পরের পর্বের অপেক্ষায়।

১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সুজন ভাই! পোষ্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।

আপনার মন্তব্যে পরের পর্ব লেখার জন্যে অনেক উৎসাহ পেলাম। আসলে আপনারা যদি উৎসাহ না দিতেন তবে লিখতে মন চাইত না। যারা সিরিজটি পড়েন তাদের কল্যাণেই কানাডার ট্রেইন চলে যাচ্ছে। উৎসাহ বন্ধ হলে সিরিজও বন্ধ হয়ে যাবে।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
দোয়া করি, অনেক সুখ ও শান্তিতে থাকুন।

১৫| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

সিগন্যাস বলেছেন: পর্বগুলো ভীষণ ছোট হয়ে যাচ্ছে।এমন তো না যে বেশি লিখলে গল্পের ভান্ডার ফুরিয়ে যাবে /:) /:) /:)

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! কি বলেন!? এ পর্বটি তো বেশ লম্বা একটি পর্ব! আপনার ছোট কেন মনে হচ্ছে কে জানে!

ভান্ডার ফুরানোর ভয় করিনা। তবে একসময়ে গল্পের ভান্ডার ফুরিয়ে যাবে, একেকটি পর্ব লিখতে লিখতে সমাপ্তি হবে সিরিজটির। যার শুরু আছে, তার শেষ তো হবেই!

আন্তরিক ধন্যবাদ পাঠ ও আন্তরিক মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা অফুরন্ত!

১৬| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

সিগন্যাস বলেছেন: আমি ঘন্টায়ে ১৫০ পৃষ্টা পড়তে পারি।এবার বুঝেন কেন সব সবকিছু আমার কাছে ছোট মনে হয়। B-)

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেটা তো আপনার দোষ! ;) ব্লগ পোষ্টগুলোর সাইজ আর বইয়ের মতো হবেনা!

আপনি যে ফাস্ট রিডার সেটা বুঝতে পেরে এক্স্যাক্ট টাইম হিসেবও করেছেন! আচ্ছা, আপনি কি প্রচুর বই পড়েন?

১৭| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

সিগন্যাস বলেছেন: হু,
আমি বই,জার্নাল,থিসিস,ব্লগ সব পড়ি।মহামানব হওয়ার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস আরকি।আপনি যখন কানাডা নিয়ে অতি প্রথম লেখা শুরু করেন আমি তখন থেকে আপনার ব্লগ পড়ছি।সেই হিসেবে আমি আপনার একজন আদি পাঠক :)

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ বাহ! অসাধারণ এক গুণ! মহামানব হতে মহাজ্ঞানী হতে হয়, আপনি ঠিক পথেই আছেন। আপনার প্রয়াস সফল হোক! :)

ওমা তাই! প্রথমেই ধন্যবাদ সবসময়ের সাথীকে! আগে কি আপনি মন্তব্য করতেন? আপনার নামটা আমার কাছে নতুন মনে হচ্ছে।

১৮| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

সিগন্যাস বলেছেন: উঁহু আমি সবসময় নীরব পাঠক ছিলাম।সামু ব্লগে একাধিক নিক থাকলেও কখনো কোন ব্লগে মন্তব্য করিনি।আজকাল লেখালেখির রোগ হয়েছে।তাই ব্লগে আবার.....

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ আচ্ছা আচ্ছা! নীরব সাথীকে সরব হতে দেখে ভালো লাগছে।

বাব্বাহ একাধিক নিক! মানুষ যে কিভাবে সামলায় কে জানে! :)

আমি খুবই খুশি হয়েছি যে আপনি বেশ ভালো একটা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, এ রোগ যেন কখনো না সারে সেটাই কামনা করি। :)
হ্যাপি ব্লগিং!

১৯| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বাড়িতে অপেক্ষা করছিল তা বুঝে উঠতে পারলাম না, তাই আগামী পর্বের অপেক্ষা আমার।
কৌতূহল রয়ে গেল। ভালো লাগলো।

১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই নয়ন সাহেব!

ভালো লাগায় উৎসাহিত করেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ।

অসুবিধে নেই, পরের পর্বে জেনে যাবেন! পাশে থাকুন।
শুভেচ্ছা!

২০| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

শিখা রহমান বলেছেন: বরাবরের মতো সুন্দর সাবলীল লেখা। পড়া শুরু করলে শেষ পর্যন্ত পাঠককে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে তোমার লেখনীর।

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো থেকো দারুন লেখিকা আর একটু পাগলী মেয়েটা। :)

১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শিখা আপু! ভালো আছেন আশা করি।

পড়া শুরু করলে শেষ পর্যন্ত পাঠককে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে তোমার লেখনীর।
এর চেয়ে বড় উৎসাহ আর কি হতে পারে? থ্যাংকস এ লট আপু! সো সুইট এন্ড কাইন্ড অফ ইউ!

হুমম, সময়মতো পরের পর্বও এসে যাবে। সাথে থাকুন।
পাগলী মেয়ের আপুটাও ভালো থাকুক।

২১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: কাউন্সিলরের সাথে ট্যুরটাতো বেশ ভালোই ছিল মনে হচ্ছে- ঠিক আমার মতো :P .......প্রথম প্রথম যখন হলিউডি টিনেজ মুভিগুলো দেখতাম তখন আমারও এরকম ফিলিংস হতো- কী অদ্ভুত ক্লাসরুম- কী অদ্ভুত স্টুডেন্টদের বসার ভঙ্গি......ইভেন এখনো এসব খুব এনজয় করি- আসলে আমার স্কুলের প্রায় কোন মেমোরীই আর মনে নেই......কত কিছু করার ছিল স্কুলে- ঠিক অ্যাডভেঞ্চারাস হয়তো ছিল না সেই দিনগুলো!! আর বিদেশীদের এই যে ওয়েলকামিং এপ্রোচ- এটা আসলেই অসাধারণ......একবার একটা ফার্মে জব করার সময় বাংলাদেশী-অ্যামেরিকান বস পেয়েছিলাম- বছরে একবার দেশে পদধূলি দিয়ে যেত......তো এতগুলি বছর বিদেশে থেকে তার অ্যাটিটিউডেও দেখি অনেক পজিটিভিটি চলে এসেছে....কথা-বার্তায় সেটা খুব স্পষ্ট ছিল, সহজেই আলাদা করা যেত......৮০ বছর বয়সেও কেমন ইয়ং.....টিনের চালে কাক, আমিতো অবাক :D

আল্লাহ কেন যে আমাকে এমন চোখ আর চেহারা দিয়েছেন যা দেখলেই মনের সব কথা বোঝা যায়!
এইডা কেমুন কতা? শেষমেষ ঈশ্বর আপনার সাথে প্রপঞ্চ করল! যে পীড়াদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমআদমিতো ভাল- কবিকুল পর্যন্ত গলদঘর্ম হয়েছে যুগে যুগে, সেটাই কিনা আপনার মাঝে নেই.......বলি- তাহলে প্রেমিক পুরুষকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাবেন কী করে? B:-/

কিন্তু অতিরিক্ত ভালোবাসার মতো অতিরিক্ত শ্রদ্ধাও মানুষকে অসহায় করে দেয়
ঠিক এই জিনিসটাই আমি জীবন দিয়ে শিখেছি- হুবহু এরকম উপলব্ধিই আমার......কলেজেতো টিচারদের সাথে একটা ভাল ডিসটেন্স ছিলই- এক্সেপ্ট প্রাইভেটের টিচাররা ছাড়া, ইভেন ভার্সিটিতেও আমি এই জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারিনি......ক্লাসে ভাল হই কিংবা খারাপ, কিন্তু শ্রদ্ধা যে কখন জড়তায় রূপ নিত ভেবেই পেতাম না! জীবনে যদি আবার কোনদিন ক্লাসে ভর্তি হই, তাহলে এই ভুল ঘুণাক্ষরেও যে করব না তেমন প্রতিজ্ঞা করে রেখেছি :|

আর বাড়িতে কী হয়েছিল-কে এসেছিল সেটা আমি জানি- কিন্তু বলব না......দেখি আমার দিব্যদৃষ্টির শক্তি কতখানি.....নেক্সট পর্বে মিলিয়ে দেখব =p~

জৈষ্ঠ্য শেষ.......শ্রাবণ শুরুর আগেই বৃষ্টি পড়ছে অনেকদিন হল.......তবুও শ্রাবণের অঝোর ধারার মাহাত্ম্যই আলাদা.....সেই শ্রাবণের শুভেচ্ছা থাকল :)

১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হোয়াট ডু ইউ মিন বাই আমার মতো? আপনি আবার কবে ভালো হলেন? ;)

আসলে আমার স্কুলের প্রায় কোন মেমোরীই আর মনে নেই......কত কিছু করার ছিল স্কুলে- ঠিক অ্যাডভেঞ্চারাস হয়তো ছিল না সেই দিনগুলো!!
ওমা! তাই? আমি ভীষন অবাক হলাম। স্কুল লাইফকে কেউ ভোলে!? কত শত যুগ আগে স্কুল করেছিলেন? হাহা।

এই জানেন, আমি অনেকদিন ভাবতাম মুভির খাতিরে ওসব দেখানো হয়। আমাদের দেশে যেমন নায়িকা মিনিস্কার্ট পড়ে কলেজে চলে যায়, টিচার না পড়িয়ে ভাড়ামি করে, ওদের ক্ষেত্রেও ভেবেছিলাম মুভি আর রিয়েল লাইফ আলাদা। কিন্তু আসলে সেইম টু সেইম। অনেকদিন পর্যন্ত আমার মনে হতো টিভির ওপাশ থেকে এপাশে এসেছি! হাহা।

আর সত্যিই বিদেশীদের কিছু কিছু আচার ব্যাবহার মনকে ভরিয়ে দেয়। বয়স যাই হোক, মন থেকে এরা ইয়াং থাকেন। আর ভীষন ভালো ব্যবহারে সহজেই মন জয় করে নেন।

এইডা কেমুন কতা? শেষমেষ ঈশ্বর আপনার সাথে প্রপঞ্চ করল! যে পীড়াদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমআদমিতো ভাল- কবিকুল পর্যন্ত গলদঘর্ম হয়েছে যুগে যুগে, সেটাই কিনা আপনার মাঝে নেই.......বলি- তাহলে প্রেমিক পুরুষকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাবেন কী করে? B:-/
পুরুষকে ঘোরাতে হয় নাকি? তারা তো নিজ দায়িত্বে ঘূর্ণায়মান থাকে। ;) আর ছেলেরা নারীর জটিল চোখে যেমন হোঁচট খায়, সরল চোখে অনেকসময় তার চেয়েও বেশি জোরে পড়ে বা আছাড় খায়। মেন উইল বি মেন, কথাটি যেমন সত্যি, উইমেন উইল বি উইমেন ও কিন্তু সত্যি! প্রতিটি নারীর অস্ত্র আলাদা হলেও পুরুষকে ঘায়েল ঠিকই করে ফেলে! সো, আপনি আমাকে বা কোন নারীকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। উই অল আর বর্ন উইথ হোয়াট ইট টেকস। ঈশ্বর ভীষন দয়ালু সবার প্রতি! ;) :D :D

জীবনে যদি আবার কোনদিন ক্লাসে ভর্তি হই, তাহলে এই ভুল ঘুণাক্ষরেও যে করব না তেমন প্রতিজ্ঞা করে রেখেছি :|
হুমম, একই ব্যাপার। যেসব টিচারদের বেশি শ্রদ্ধা করতাম তাদের সাথেই সবচেয়ে কম কথা হতো। কথাগুলো গলায় আটকে যেত।
আশা করি জীবনে আবারো পড়াশোনা করতে গেলে প্রতিজ্ঞা রক্ষায় সক্ষম হবেন।

আর বাড়িতে কী হয়েছিল-কে এসেছিল সেটা আমি জানি- কিন্তু বলব না......দেখি আমার দিব্যদৃষ্টির শক্তি কতখানি.....নেক্সট পর্বে মিলিয়ে দেখব =p~
ওরে আমার মি: সবজান্তা! এতই যদি জানেন, তবে বলেই দিন। পরে বললে তো আর কেউ বিশ্বাস করবে না যে আপনি আগে থেকেই জানেন! ফাজিল! :)

দুষ্টু মিষ্টি রৌদ্র ছায়ার কোমল, আদুরে স্পর্শের শুভেচ্ছা আপনাকে। :)

২২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

হাসান রাজু বলেছেন: টিউবওয়েল থেকে পানি খাওয়ার মজা কিন্তু এইভাবে -

২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমরা পানি খেতাম কম, আর ভিজতাম বেশি! তীব্র গরমে পানি দিয়ে হাতমুখ ধোয়ার মজা আরো বেশি। :)

আন্তরিক ধন্যবাদ পাঠ ও ইউনিক মন্তব্যে।
শুভকামনা।

২৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অনেক দূরদেশ থেকে আসা এক কিশোরীর প্রথম বিদেশী স্কুলের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বেশ গুছিয়ে লেখা হয়েছে! ভালো লাগল! এগিযে যাক!

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভালো লাগায় এবং সুন্দর মন্তব্যে মিস্টার বোকাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
পাশে থাকুন, এগিয়ে যাব।

২৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মিস বোকামতী! এগিয়ে যান, আপনার পাশে থাকার ইচ্ছে তো অবশ্যই আছে। দেখা যাক মিস বোকামতী কতদূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান? :P

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মোস্ট ওয়েলকাম!

টেনে, হিচড়ে বহুদূরররর এনেছি গল্পে গল্পে। কত হাজার মাইল দূরত্বে! এতদূর এসে, শেষে আবার আপনি পেছনের পথ ভুলে না যান! মিস্টার বোকা তো, ভরসা নেই! :P

২৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: জানেন না? বোকারা একবার পথ বেছে নিলে সহজে সে পথ থেকে সরতে চায় না? পাছে এই পথটাও কখন আবার হারিয়ে ফেলে? :P

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মাই ডিয়ার মিস্টার বোকা, আমি এত বোকা এত বোকা যে বোকাদের ব্যাপারগুলোও বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারিনা! :D

আপনি যেহেতু আমার পথ বেছেই নিয়েছেন, বা বলে চলে আমি টেনে এনেছি আপনাকে, তার মানে এখন এ পথে পুরোপুরি আটকে গেছেন। ভালোই হলো, আপনি পথ হারাবেন না, আর আমিও নিজের মতো বোকা মনের বন্ধু হারাব না! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.