![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।
সহব্লগারেরা কানাডার ঈদ নিয়ে জানতে চান, বিশেষ করে কানাডা নিয়ে লেখা সিরিজে এই বিষয়টি নিয়ে লিখতে বলেন। এখন সিরিজটি যেদিকে যাচ্ছে সেখান থেকে হুট করে ঈদ আনা সম্ভব নয়। তাই অন্যভাবে লিখছি, এখানে আমি কানাডার কোন ঘটনার বয়ান করবনা, ব্যাস মনের এলোমেলো স্মৃতিগুলোকে লিখব। আশা করি পাঠকের কিছু কৌতুহল মিটবে। তবে হ্যাঁ, প্রবাসজীবন নিয়ে কৌতুহলী পাঠকদেরকে আগেই বলে দেই, এখানে কানাডার চেয়ে বেশি বাংলাদেশের কথা থাকবে। সেটা জেনেই পোষ্টটি সামনে পড়ার সিদ্ধান্ত নিন, তাহলে শেষে আশাহত হবেন না।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১) ঈদ ঈদ আমেজ!
দেশে ঈদ আসার বহুদিন আগে থেকেই আমরা জানি যে ঈদ আসছে। ঈদ শেষে স্বজনদের ছেড়ে আসতে খুব কষ্ট হতো। তাই এক ঈদ গেলে ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ থাকত পরের ঈদের জন্যে। স্কুল/কলেজ/অফিস বন্ধ হবে। নানা বাড়ি, দাদা বাড়ি সহ নানা আত্মীয়ের বাড়ি যাব। কাজিনদের সাথে দেখা হবে। স্কুলে টিচার ও বন্ধু বান্ধবরা ঈদের বেশ কমাস আগে থেকেই ঈদ নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিতেন। ঈদ আনন্দের অপেক্ষা যে কি তীব্র ছিল! ঈদ আসার অনেক আগে থেকেই প্রতিটি দিন ঈদ ঈদ মনে হতো।
কানাডায় ঈদ আসছে এটা বহুদিন আগে দূরের অনেক সময়ে কদিন আগেই জানতে পারি। কেননা পুরো পরিবেশটা মানে পাড়া প্রতিবেশি, ভার্সিটি, অফিস, দোকানপাট কোথাও ঈদ নিয়ে আলোচনা হয়না। আমি সাধারণত সামু ব্লগ ও দেশী পেপার পড়তে গিয়ে ঈদ আসছে সে ব্যাপারটা আবিষ্কার করি।
একবার হাইস্কুলে থাকতে পড়াশোনা নিয়ে খুব বিজি ছিলাম। এক্সামস চলছিল। ব্লগ, পেপার কিছু দেখিনি। হুট করে মা জানালো যে দুদিন পরে ঈদ! আমি অবাক হয়ে গেলাম! ওমা! একদমই মাথায় ছিলনা!
এমন অনেক সময়েই হয়। ঈদ সহ অন্য নানা উৎসবের ব্যাপারে হুটহাট জানা হয়। জানার পরেও তেমন কিছু করার থাকে না আসলে। পুরো পোষ্ট পড়লে এই কথাটির মানে বুঝবেন।
২) আত্মীয় স্বজন!
এটা এমন এক অভাব যার ভাব ভাষায় বোঝানো যায়না।
দেশে থাকতে স্বাভাবিক ভাবেই আত্মীয় স্বজনদের প্রচুর স্নেহ, মমতা, আদর, ভালোবাসা পেতাম। সবার সাথে দেখার হবার আনন্দটাই ঈদের প্রধান আনন্দ ছিল। যেসব আত্মীয়রা অনেক দূরের, তাদেরকেও ঈদের দিনে পরম আপন মনে হতো।
কানাডায় কোন আত্মীয় স্বজন নেই। বাবা মার সাথে থাকি। ঈদের দিনে দেশে ফোন করা হয়। মনে মনে ভাবি অনেককিছু বলব। কিন্তু
ফোনে কথা বলতে গেলে ঈদ মোবারক বলার পরে গলা আটকে যায়। কি বলব বুঝতে পারিনা। ভীষন কাছের মানুষদের হুট করে দূরের মানুষ মনে হয়। মনে হয় তাদেরকে মনখুলে এটা বলা যাবে না যে দেশ ও তাদের কথা ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছে। অতো দূরের আপনজনদের চিন্তায় ফেলা যাবেনা। বিদেশে আসার পর থেকে কোন রোগ শোক, আপস ডাউন, এক্সিডেন্টের ব্যাপারে দেশের কাউকে জানানো হয়নি। দেশে থাকলে একটু বৃষ্টিতে ভিজলেও খবর ফোনে ফোনে চলে যেত নানী দাদীর বাড়ি। তারা সাবধান করে দিতেন যেন জ্বর না বাঁধাই। গুরুজনেরা মাথার ওপরে ছাদ হয়ে থাকতেন, আর সমবয়সীরা দেয়াল! সেটা হারিয়ে ফেলা যে কি কষ্টের একজন মানুষের কাছে!
সবসময়েই এই ব্যাথাটা থাকে মনের কোণে, কিন্তু ঈদের দিন যেন হুট করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। পুরোন অনেক স্মৃতি ছবির মতো ব্ল্যাক এন্ড হোয়াটই স্লো মোশনে মনে চলতে থাকে। চোখ ভিজে ওঠে!
৩) শপিং!
দেশে ঈদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণের একটি ছিল শপিং। আমাদের মেয়েদের মধ্যে বিশেষ করে কে সবচেয়ে সুন্দর জামাটা কিনবে, কে সবচেয়ে সুন্দর করে সাজবে এমন একটা প্রতিযোগিতা চলত। আত্মীয় স্বজন সহ নিজের জন্যে শপিং করার জন্যে ঈদের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে প্রায় প্রতিদিনই শপিং এ যেতাম মায়ের সাথে। মজা হতো কি, ঈদের সময়ে এতসব নতুন জিনিস আসত বাজারে, যে যা লিস্ট করে নিয়ে যেতাম তা না কিনে অন্যকিছুই কিনে ফিরতাম। এমনও অনেকসময় হতো যে সব শপিং শেষ করার পরে মনে হতো, আরেহ! অমুক বান্ধবীর জন্যে কিছু কেনা হয়নি! বা, অমুক আত্মীয় বাদ গেছে! আবারো শপিং মলে দৌড়াও! মাঝেমাঝে ক্লান্তও হয়ে যেতাম মায়ের সাথে এ দোকান সে দোকান ঘুরতে ঘুরতে। কিন্তু তবুও ঈদ শপিং এর আনন্দই অন্যরকম ছিল! কেননা প্রতিমুহূর্তে ঈদ আসছে সেটা অনুভব করতে পারতাম!
কানাডায় ঈদ উপলক্ষ্যে বাসমতি রাইস, হালাল মিট, দই, সেমাই, খেঁজুর সহ নানা খাবার সেলে দেওয়া হয়। তবে দেশে যেমন নানান ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ, জুয়েলারি, জুতো আসে ঈদ উপলক্ষ্যে সেটা তো এখানে পাইনা। আর আত্মীয় স্বজনও নেই কোন, যে উপহার কিনব কারো জন্যে। সবমিলে ঈদের শপিং অলমোস্ট করাই হয়না। ব্যাস রান্নাঘরের জিনিসপত্র কেনা হয়। ভালোমন্দ খাওয়া হয় ঈদ উপলক্ষ্যে। এই জিনিসটির অভাব কানাডায় বোধ করিনি আল্লাহর রহমতে।
৪) সেলামী!
সেলামী হচ্ছে ছোটদের ছোট হবার সবচেয়ে বড় উপহার। সারাবছর "কবে বড় হব?" ভেবে মন খারাপ করলেও, ঈদে আমরা একদম ছোট কুটি বাচ্চা হয়ে যেতে চাইতাম। যেসব কাজিনদের ওপরে এক বছরের বড় হবার জন্যেও খবরদারী করা হতো, তাদেরকে হুট করে সমবয়সী মনে হতো।
এই সালামি নিয়ে আমার দুষ্টু, চালাক কাজিনের একটা দর্শন ছিল, "শোন, কাছের আত্মীয়দের কাছে চেয়ে লাভ নেই। দূরের আত্মীয় ও পাড়া প্রতিবেশীরা বেশি দেয়!" ওর কথাটা একদম ঠিক ছিল। ক্লোজ রিলেটিভরা পাঁচ দশ টাকা দিতেও দ্বিধা বোধ করতনা। কিন্তু দূরের আত্মীয়রা বিশেষ করে ফুপু, মামা, চাচার শ্বশুড়বাড়ির মানুষেরা স্ট্যাটাস রক্ষার্থে হাত ভরে দিতেন! আর পাড়া প্রতিবেশী বিশেষ করে যাদের একটু রেপুটেশন আছে সমাজে, তারাও অন্য বাড়ির বাচ্চাদের কম সেলামী দিতে পারতেন না। তো আমাদের প্রধান আয়ের উৎস ছিল তারা।
আমি লাজুক টাইপের ছিলাম, আর আমার কাজিন ছিল বেশরম। আমি দূরের আত্মীয়দের সামনে যেতে শাই ফিল করতাম, হুট করে প্রতিবেশীকে রাস্তায় সালাম করে ফেলাও অসম্ভব কিছু ছিল। কিন্তু আমার কাজিন এই কাজগুলো নরমালী করে যেত। ওর মতো বিশাল এমাউন্টের সেলামী আমি স্বপ্নেও আশা করতাম না!
অবশ্য আমাদের বাচ্চাদের কাছে টাকা থাকা মানা ছিল। সেলামীর টাকা যার যার বাবা মায়ের কাছে দিতে হতো। টাকা হাতে থাকলে বাচ্চারা বিগড়ে যেতে পারে সেজন্যে। কিন্তু তবুও সেই কে বেশি সেলামী পাবে প্রতিযোগিতায় ভাটা পড়ত না। আর বড়রাও সেলামী দিতে নাটুকে বাহানা করলেও মনে মনে বাচ্চাদের খুশি মুখ দেখে ভীষনই আনন্দিত হতেন।
কানাডাতেও আমি সেলামী পাই তবে সেটা শুধু দুজন মানুষের কাছ থেকে। আমার বাবা ও মা দেয়। ঈদের সকালে তাদেরকে সালাম করে দোয়া চাই, ঈদ মোবারক বলি, তখন তারা দুজনে আমাকে সেলামী দেন। সেই টাকা কখনো খরচ করা হয়না, একটা বাক্সে স্মৃতি হিসেবে বন্দি থাকে কানাডিয়ান ডলারগুলো। যত টাকাই দিক না কেন, ইউজালি দুজনের কাছ থেকে দুটো করে নোট পাই। বাক্সের নোট সংখ্যা দেখে সহজেই হিসেব করা যায় কানাডায় কতগুলো ঈদ না কাটার মতো করে কেটে গেল!
৫) পাড়া প্রতিবেশি এন্ড মিউজিক!
সব জায়গায় সবাইকে ঈদ মোবারক উইশ করাটা অবশ্যই মিস করি। রাস্তায় বেড়োলেই দেখতাম পরিচিত পাড়াত চাচা, খালাম্মারা ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কোলাকুলি, হ্যান্ডশেক করছেন। এক গলি থেকে অন্য গলি যেতে যেতে কমপক্ষে ১০ জন মানুষকে ঈদ মোবারক বলা হয়ে যেত। আর তাদের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়ে মজার মজার সব খাবার উপভোগ করতাম। সেলামী পেতাম!
সেসবতো কমন ব্যাপার। মিউজিকের ব্যাপারটি বলি এবারে। ঈদের সময়ে নানা ধরণের বাংলা ও হিন্দি ঈদ বিষয়ক গান তৈরি হত মুভিগুলোতে। সেসব গান সিডির দোকান, মার্কেট, পাড়ার চায়ের দোকানে সমানে বাজত। আর বাড়িতেও আমরা গান বাজাতাম।
একবার আমি আর আমার কাজিনরা ঈদের আগের রাতে গান শুনছি বারান্দায় বসে। আর প্রচুর গল্পও চলছে। ফুল অল মাস্তি যাকে বলে। খেয়াল করলাম প্রতিবেশী বাড়িতেও একই গান বাজানো হচ্ছে! আর খুব হাই ভলিউমে। অন্য কাজিনরা অতো পাত্তা না দিলেও, আমাদের সবচেয়ে দুষ্টু কাজিনটার একটু সন্দেহ হলো (এক বান্দর আরেক বান্দরের মন বোঝে )। আমাদেরও ভলিউম একটু বাড়িয়ে দেওয়া হলো, তখন ওদের ভলিউম আরো বাড়ানো হলো! ওহ ওক ব্যাপারটা সবাই বুঝলাম আমরা! গেইম ইজ অন! আমাদের সাথে কম্পিটিশন! আমরা একেকটি গান দেই, ফুল ভলিউমে, অন্য বাসার বান্দরগুলোও একই কাজ করে! ঈদের আগের রাতে এটা একটা কমন একটিভিটি ছিল।
এই খেলায় হার জিত নির্ধারিত হতো বাড়ির মুরুব্বীর মাধ্যমে। মানে কোন বাড়ির মুরুব্বী আগে কান ধরে, বকাবকি করে, জোরে চলা গান বন্ধ করবে তার ওপরে। ওপাশে হুট করে গান চলতে চলতে একেবারে বন্ধ হয়ে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ আসলে আমরা উল্লাসে মেতে উঠতাম। আর আমাদের মুরুব্বী আগে আসলে ওরা একই কাজ করত।
একবার হয়েছে কি, ওদের বাড়ির মানুষ ওদেরকে বকে, বারান্দায় দাড়িয়ে আমাদের দিকে কড়া চোখে তাকালেন। রামধমক দিয়ে বললেন, "বাড়িতে বড় কেউ নাই? ফাজিল পোলাপান!" উল্লাস করব কি? আমরা জলদি করে দৌড়ে বারান্দার দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। দরজার ওপাশ থেকেও বকা শোনা যাচ্ছিল! সেই চাচা এত রেগে ছিলেন! আমার এখন ঠিক মনে পড়ছে না, তবে সিলেটি অথবা চিটাগাং এর ভাষায় কি কি যেন বকেই যাচ্ছিলেন ননস্টপ! একটু থামলে আমরা দরজা খুলে উঁকি দিতাম, দেখতাম তখনো উনি ওনাদের বারান্দায় দাড়িয়ে আছেন! আবারো দরজা বন্ধ করে দিতাম, উনি শুরু হয়ে যেতেন! ওনার বকার ধরণে কাজিনরা হেসে কুটিপাটি! কোন দুষ্টুমির করার সময়ে বড়দের বকার ভয় থাকে, তবে একদমই বকাহীন দুষ্টুমিও জমত না আসলে। বকার মাঝেও বিনোদন ছিল! হাহাহা।
আমার বর্তমান প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছেন হোয়াইট কানাডিয়ান ও কিছু কোরিয়ান পরিবার। তাদের সাথে সম্পর্কটা পথে দেখা হয়ে গেলে, মুচকি হেসে হাই হ্যালোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তারা ঈদ কি, কখন সেভাবে জানেননা। তাই ওপরের আন্তরিকতা ও মজাগুলো তাদের সাথে কল্পনাও করা সম্ভব না!
৬) তারাবাতি!
এটা এত্ত এত্ত মিস করি। ঈদের রাত থেকে পরের কদিন পর্যন্ত দাদুর বাড়ির ছাদে চলে যেতাম কাজিনরা মিলে। বড়রাও চলে আসত আমাদের পাহারা দেবার জন্যে। নীল আকাশের চেয়েও গভীর কালো আকাশ বেশী রূপময়! বিশাল এক ছাদ ছিল আমাদের। সেখানে গিয়ে কালো আকাশের রাজত্বে হানা দিয়ে তারাবাতি ফোটানো হতো।
পেছন থেকে বড়দের কন্টিনিউয়াস টোন: "সাবধানে সাবধানে! হাত পুড়িয়ো না!" আর আমার মা বলত, "হাত যদি পোড়ে!" পরের অংশটুকু এক্সপ্রেশনে বুঝিয়ে দিত। মানে হাত পুড়লে কানও হারাতে হবে! তখন না ভয়টা হাত পোড়ার ছিলনা, ব্যাস হাত পোড়ার পরে মায়ের বকা খেতে হবে সেই ভয়ে হাত কাঁপত!
আমি প্রথম কয়েকটি তারাবাতি ফোটাতে বেশ ভয় পেতাম। তারপরে ভয়টা কেটে যেত। একসাথে দু হাতে বেশ কয়েকটি তারাবাতি নিয়ে গোল গোল করে ঘুরিয়ে আলোর খেলা দেখাতাম।
বড়রা অবাক হয়ে যেত কেননা বাড়ির বিচ্ছু থুক্কু বাচ্চাদের মধ্যে আমার শান্তশিষ্ট মেয়ের রেপুটেশন ছিল। আমি যখন আগুন নিয়ে লিটারেলী খেলতাম সবাই চমকে যেত। খালু বলত, "এই মেয়ে বড় হয়ে গুন্ডি হবে!" আমি লজ্জা পেয়ে যেতাম। আর মায়ের চেহারায় দেখতাম গর্বের ভাব! যেন মেয়ে নামকরা গুন্ডি হলে সে ধন্য হয়ে যাবে!
ওপরের প্যারাটি লিখতে গিয়ে সেই সময়ের কথা মনে করে এত হাসলাম। হাসতে হাসতে কিবোর্ডে হাত ঘুরিয়েছি।
কানাডার ব্যাপারে কি বলব? অবশ্যই এসব করা যায়না। মিস করি তারাবাতির আলোর মায়া!
মোরাল অফ দ্যা স্টোরি: বিদেশের ঈদ আসলে ঈদ না।
দেশে থাকলে বড় হয়ে যাবার কারণে ওপরের অনেককিছু এখন করতে পারতাম না। তবে এতটাও বোরিংও হতো না ঈদ।
জীবন এমনই! কিছু পেতে কিছু হারাতে হয়। কানাডাও অনেককিছু দিয়েছে আমাকে। আবার অনেককিছুর অভাবও বোধ করি। যারা দেশে থাকেন তাদেরও একই অবস্থা বোধ করি। অনেকসময়েই হয়ত ভাবেন, বিদেশে থাকলে দেশের এই সেই সমস্যাগুলো ফেস করতে হতো না। সবমিলে পূর্ণতা ও শুন্যতার ভেলায় ভাসতে ভাসতে দিন, মাস, বছর কেটে যায়........
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ওমা! লিখতে লিখতে কতকিছু লিখে ফেললাম! ভেবেছিলাম একটা প্যারা লিখব কিন্তু আমার মনে এত কথা চলতে থাকে ট্রেইনের মতো! আর এমন অনেক কথা আছে যা বাস্তবে কারো সাথে শেয়ার করা যায়না, তাই ব্লগে এসে প্রচুর বকবক করি। আশা করি পাঠকেরা বিরক্ত হন না!
এলোমেলো ডায়েরি কি এখানেই শেষ হবে না সিরিজ করব সেটা বুঝতে পারছিনা। পাঠকের কৌতুহল থাকলে বিষয়টি আরো ভেবে দেখব। যদি করি, তবে কানাডা ও দেশের নানা অভিজ্ঞতা ও বিষয় নিয়ে নিজের আবেগ, অনুভূতি, মতামত বয়ান করব।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি? এমন অদ্ভুত কমেন্ট বোধহয় আগে পাইনি! হাহা।
আমি ভাই দাড়াতে পারবনা, বসেই থাকব।
যাই হোক, প্রথম কমেন্টে অভিনন্দন!
২| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
সনেট কবি বলেছেন: একটু জিরোন।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি? সবাই অদ্ভুত মন্তব্য করছে কেন আজ? একজন বলে দাড়ান, আরেকজন বলে জিরোন! ফানি!
মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।
৩| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস...................সব সময়ই পিছনের কিছুতে ভালোলাগা থাকবে! সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় বর্তমানকে পুরাপুরি না হলেও কিছুটা বেঠিক মনে হবে!
মোরাল অফ দ্য পোষ্ট: মানুষ তার বর্তমান অবস্থায় কখনও পুরাপুরি সুখী হতে পারে না।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এক্স্যাক্টলি, মোরালটা একদম যথাযথ হয়েছে। খাবারে টক ঝাল মিষ্টির মতো জীবনেও সুখ দুঃখ থাকবে। আমরা কেউই পুরোপুরি ১০০% সুখী হতে পারিনা, কেননা তাহলে জীবনের দৌড় শেষ হয়ে যেত। কিছু নেই কিছু নেই ভাবটাই তো বাঁচিয়ে রাখে, সামনের দিকে এগোনোর উৎসাহ দেয়।
পাঠ ও ভীষন সুন্দর মন্তব্যে থ্যাংকস।
শুভকামনা!
৪| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঈদ মুবারক। অনেক কিছু জানা গেল আপনার দেশে ঈদ ও প্রবাসে ঈদ বিষয়ে তুলনা ভালো লেগেছে। বেঁচে থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকাটা দারুন ব্যাপার ।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঈদ মোবারক!
ভালো লাগায় আনন্দিত বোধ করছি। ধন্যবাদ অনেক।
হ্যাঁ, বেঁচে থাকাটাই আসলে অনেক বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। যতক্ষন শ্বাস আছে কিছু না কিছু পাবার আশা আছে।
ভীষন ভালো থাকবেন।
৫| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
হেই!
কত দিন দেখি না! ধুত্তোরি, দেখার কথা বলি কেন! দেখা কোত্থেকে হবে? কথা হয় না! আরে ধূরো, কথা কেমনে হবে? কন্টাক্ট নাম্বার আছে নাকি?
আহ্! প্রিয় মানুষের সাথে কত দিন ডিসকাশন হয় না!
মন টন ভাল তো? ঈদ কেমন কেটেছে? ঈদ শুভেচ্ছা। অনেক শুভকামনা।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!
প্রথমেই ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।
আসলেই অনেকদিন হয়ে গেল! লেখার মাধ্যমে মনের ভাব আদান প্রদান হয়না প্রিয় মানুষটির সাথে! আজকে আবারো সেই সৌভাগ্য হলো!
ঈদ কেমন কেটেছে তার লেখাতেই লিখেছি।
মন ভালো না, কারণ জানিনা। এলোমেলো লাগছে। ব্যাপারস না, ঠিক হয়ে যাবে।
আপনার কি অবস্থা? ঈদ কেমন কাটালেন?
৬| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
পোস্টে যে লাইক দিয়েছি তা কিন্তু বললাম না! ঠিক আছে!
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা তাই? আচ্ছা ঠিক আছে। বলার দরকার নেই। চুপ থাকেন। আমিও কিছু জানলাম না।
৭| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক ভাল আছি, আলহামদুলিল্লাহ, প্রিয় মানুষ।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ! জেনে ভালো লাগল।
প্রিয় মানুষটা সবসময় অনেকই শুধু নয়, অনেক অনেক অনেক ভালো থাকুক।
৮| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপুমনি, মনে কষ্ট রাখা ঠিক নয়। কোন এক দিন দেখবে কানাডায়ও আমাদের নিজস্ব বড় সমাজ/কমিউনিটি হবে। দেশের মতো না হলেও আনন্দ হবে। সেই দিনের প্রতীক্ষায় থাকবো আমরা।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কষ্ট রাখি না ভাইয়া, আপনা আপনি আপন জায়গা, মানুষদের টানে কষ্ট এসে যায়। কিচ্ছু করার নেই। আপনিও নিশ্চই এই কষ্টটির সাথে ভালোভাবেই পরিচিত।
কানাডায় প্রচুর ভারতীয় রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশী সে তুলনায় কমই। কিছু কিছু জায়গায় বাংলাদেশী বড় কমিউনিটি আছে, তবে আমি যেখানে থাকি সেখানে নেই। এজন্যে বেশিই মিস করি। তবে ইভেন বাংলাদেশী কমিউনিটিতেও কি দেশের মতো অনুভূতি হয়! সেটাও দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ভালো থাকবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
৯| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
হেই! আমার ঘনিষ্ট একজন সপরিবারে আগামী মাসে কানাডা যাচ্ছেন ইমিগ্রান্ট ভিসায়। তারা যেহেতু একেবারে নতুন, কোনো পরামর্শ আছে? অবশ্য সোহানী আপুকেও বলেছি।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!
আচ্ছা আচ্ছা! হুমম কিছু পরামর্শ দিতে পারি।
যারা যাচ্ছেন তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কানাডায় চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে কিনা এসব জানিনা। ওখানে তাদের কোন পরিচিত স্বজন আছেন কিনা সেটাও জানিনা। সবদিক থেকে নেগেটিভ পরিস্থিতি ধরে নিয়েই পরামর্শ দিচ্ছি।
কানাডায় যাবার সময়ে কিছু স্পেসিফিক এমাউন্টের টাকা মানুষ নিয়ে যেতে পারে। আমার লিমিটটি মনে নেই। তবে যতদূর পারা যায় অর্থ সাথে নেওয়া উচিৎ। কেননা ওখানে গিয়ে কবে কখন চাকরি হবে তার কোন ঠিক নেই। কখন কোন রোগ শোক, বিপদ আপদ হয় কে জানে! টাকাটা ভীষন একটা বল!
ওখানে গিয়ে যতোদিন না পর্যন্ত চাকরির জোগাড় হবে, শপিং, ভ্রমণে টাকা নষ্ট করা যাবেনা। অনেকে নতুন দেশের জৌলুশে প্রচুর টাকা খরচ করে বিপদে পড়ে যান। এজন্যেই এটা বললাম। মাথায় রাখতে হবে কানাডায় তারা ঘুরতে যাচ্ছেন না, বসতি গড়তে যাচ্ছেন।
কানাডায় চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন। কিছু কিছু প্রভিন্সে ইকোনমি খুব খারাপ যাচ্ছে। আর যাদের কানাডিয়ান ডিগ্রি নেই তারা তো ভালো চাকরি পাবেনই না। পার্টটাইম জব পেতে পারেন যদিও। ওখানে গিয়ে প্রথমে যে সাবজেক্টে দেশে পড়াশোনা ছিল সেই সাবজেক্ট রিলেটেড কোন একটা কোর্স বা প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে। ইংলিশ ভালো না হলে ইংলিশ কোর্সেও ভর্তি হতে হবে। সাথে সাথে পার্টটাইম জব করতে হবে। একবার কোর্স শেষ হয়ে গেলে চাকরির রাস্তা সহজ হয়ে যাবে।
ওখানে ইমিগ্র্যান্ট সাপোর্ট সেন্টার থাকে সব শহরেই। তেমন সেন্টারে গিয়ে কথা বলতে হবে, তখন তারা স্টেপ বাই স্টেপ কি কি করতে হবে তা বুঝিয়ে দেবেন। কানাডিয়ানরা ভীষন ভালোমানুষ, তাদের সাথে মনখুলে কথা বলা যায়, সাহায্য চাওয়া যায়। কোন প্রকার অস্বস্তি বোধ করার কিছু নেই। তারা ইমিগ্র্যান্টদেরকে অনেক সম্মান করেন। তাদেরকে আপন ভাবতে হবে, দূরদেশের সাদা মানুষ ভাবলে পথটা কঠিন হয়ে যাবে।
প্রধান পরামর্শ এটাই হবে যে, কানাডায় আসাটা স্বপ্নপূরণ নয়, স্বপ্নের প্রথম সিড়ি! কানাডায় গিয়ে লম্বা নি:শ্বাস নিয়ে গা এলিয়ে দেবার সুযোগ নেই। এরপরের ধাপগুলো ভীষনই কঠিন। বেশ স্ট্র্যাগল করে, কঠোর পরিশ্রম করে, ভিন্ন কালচারের প্রতি সম্মান রেখে এগিয়ে যেতে হবে সামনে। একবার শুরুর ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠার পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমার সকল শুভকামনা রইল পরিবারটির প্রতি। আল্লাহ প্রতি পদে তাদের সাথে থাকুক।
১০| ১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: শুনুন, একটা অনুরোধ কর-
ঈদের সময় দেশে চলে আসবেন। ঈদের আনন্দ টুকু তাহলে পুরোপুরু উপভোগ করতে পারবেন ।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার কথা একদম ঠিক। ঈদের বা যেকোন উৎসবের সময়ে একছুটে দেশে চলে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু দুটো দেশের দূরত্ব এত বেশি! আসতে যেতেই চারদিন চলে যায়! আর যাতায়াত খরচও অনেক। আর আমাদের উৎসব হলেও ওদের তো না। তাই কাজ থেকে ছুটি পাওয়া কঠিন। এত লম্বা জার্নি করে দেশে যাবার পরে স্বজনেরাও ছাড়তে চায়না। বেশ অনেকদিন থাকতে হয়। সবমিলে ছোটখাট ছুটি নিয়ে দেশে যাওয়া সম্ভব হয়না। খুব লম্বা ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুধু যাওয়া হয়।
আপনি আপনার ঈদটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন আশা করি।
ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভকামনা!
১১| ১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক কৃতজ্ঞতা দীর্ঘ এবং অতি গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ প্রদানে।
আপনার উল্লেখিত সবগুলো বিষয়কে নেগেটিভ ধরে নিয়ে পরামর্শ দেয়াটাই সঠিক হয়েছে। কারন, যারা যাচ্ছেন তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোটামুটি মানের। অতটা ভাল বলা যাবে না। কানাডায় চাকরির ব্যবস্থা হয়নি এখনও। ওখানে তাদের পরিচিত জন কেউ নেই। তবে, চিন্তা করছি না, আমার 'হেই', মানে, আপনি আছেন না!
আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা।
অনেক ভাল থাকবেন।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!
নো প্রবলেম! পরামর্শগুলো তাদেরকে সাহায্য করতে পারলে আমি খুশি হব।
আচ্ছা আচ্ছা! তাহলে পরামর্শগুলো ওনাদের জন্যে আরো যথাযথ। আল্লাহ পরিবারটিকে দেখে রাখুক। আমার সকল দোয়া রইল!
আপনিও ভীষন ভালো থাকবেন।
১২| ১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
শায়মা বলেছেন: ঈদ মুবারাক সামুআপুনি!!!
তবে তোমার আর নকীবভাইয়ার হেই হুই দেখে হাসতে হাসতে মরলাম!!!!
১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শায়মা আপু! আপনাকে পোষ্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।
থ্যাংকস ঈদ মোবারক জানিয়ে যাবার জন্যে।
হাহা! আপুটার কত হাসি! হাসুন, প্রাণখুলে সবসময় হাসতেই থাকুন।
ঈদ মোবারক! এবারে ঈদ কেমন কাটল? এনিথিং স্পেশাল?
১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, সুন্দর এলোমেলো ডায়েরিটা শেয়ার করার জন্য। আপনার নিকটা নিয়ে যে ধারনা ছিল, আজ পরিষ্কার হল বিষয়টি।
আপনার ৪, সেলামী ও ৫, পাড়া প্রতিবেশী এন্ড মিউজিকটি খুব ভালো লাগলো। তবে বুঝলাম আপনি ছোটবেলায় বেশ মিটমিটে দুষ্টু ছিলেন। আর এমন বাচ্চারাই পরে অবশ্য সাইন করে ।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই বলি বেশ সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন। ধন্যবাদ।
অদ্ভুত ব্যাপার! আপনি বেশ বুদ্ধিমানী পাঠক। এইটুকু পড়েই বুঝে ফেলেছেন, আসলেই আমি মিটমিটে দুষ্টুই ছিলাম! নাম সাইন করতে পারি, তবে জীবনে সাইন করতে পারব কিনা সেটা জানিনা। দোয়া রাখবেন।
আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্যেও অনেক শুভকামনা রইল।
১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !! করে লেখা ,দারুন!!
প্রবাসের ঈদ না দেশের মজা গুলোর কথা বল্লাম।কাজিনদের সাথে দলগত আড্ডা মাস্তি সব সময় ই উপভোগ্য।
ঈদ মোবারক
১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মনিরা আপু! ভালো আছেন আশা করি।
হ্যাঁ, একদম ঠিক! সেই আড্ডা মাস্তির ব্যাপারই আলাদা ছিল। উফফ! স্বপ্নের মতো একেকটি দিন কেটে যেত। ঈদের পরে সবার কি মন খারাপ হতো! সবাই যে যার বাড়ি চলে যাবে সেই কষ্টে কান্নাকাটি পর্যন্ত করেছি আমরা!
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। অনেক উৎসাহিত হলাম।
আপনাকেও ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই মনিরা আপু।
১৫| ১৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমি মনে হয় মংগল গ্রহেই আছি। তোমার উল্লেখিত ছয়টার কোন প্রভাব আমার উপর নাই কেন !
ইদ মোবারাক
১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই অনিক!
এহ! ঈদকে ইদ লিখোনা তো। এই বিচার জাতি মানেনা, মানবেনা। তোমাকেও জাতির সাথে থাকতে হবে। বুঝেছ?
ঈদ মোবারক তোমাকেও।
মংগল গ্রহ না বান্দর গ্রহে আছ। নাহলে এই কমন বিষয়গুলো তুমি এনজয় না করে কিভাবে থাকতে পারো? তোমার ঈদ কেমন ছিল? এগুলো করতে না তো কি করতে?
১৬| ১৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গুণ্ডার স্ত্রীলিঙ্গ গুণ্ডি? তোমার খালু বেশ রসালো একটা শব্দ আবিস্কার করেছেন দেখছি। থ্যাংক ইউ খালুজান। গুণ্ডিকে তো গুণ্ডিই বলবেন, তাই না? আহা! বেশ বেশ বেশ।
দেখ, দেশে ঈদ উদযাপনের যে চিত্র এঁকেছ, তা' কমবেশি সবারই প্রায় একই রকম। তবে আধুনিক জীবনযাত্রা ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অনেক কিছু হারিয়ে যেতে বসেছে। এই যেমন ঈদ নিয়ে বেশ কয়েক মাস আগে থেকে উত্তেজনা অনুভব করা, মিউজিক, তারাবাতি এসব কালচার এখন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। এবারের ঈদেই দেখলাম, ছেলে মেয়েরা সারাদিন স্মার্ট ফোনে টিপ টিপ করে ঈদের দিনটা পার করে দিচ্ছে। তাদের জগতটা পুরোদস্তুর স্মার্ট ফোনের ভেতর আটকে গেছে। তবে শপিং, সেলামী এসব আগের চেয়ে বরং এখন আরও বেশি।
আর কানাডায় ঈদ উৎযাপনের যে চিত্র এঁকেছ, তা' বিদেশে ঈদ উৎযাপন না করেই আমি অনুভব করতে পারি। দেশের ভেতরেই আমার এরকম অনুভূতি হয়েছিল। বাবা মা, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব এমনকি কোন পরিচিত মানুষজন ছাড়াই সারাদিন শুয়ে বসে থেকে আমার একটা ঈদ পার হয়েছে। সেটা ছিল ১৯৭২ সাল। আমি ছিলাম জেলখানায়।
সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭। চালিয়ে যাও।
১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহা বেশ বেশ বেশ!
হেনাভাই, আপনার উপস্থিতি সবসময়েই ভালো লাগে। তার ওপরে এমন সুন্দর মন্তব্য পেলে মনটা ভরে যায়।
একদম ঠিক বলেছেন! আমিও সেটা লিখেছি শেষে। যে এখন এসব মজা অনেক কমে গেছে। ঈদে আসলেই মজা করার চেয়ে কি কি মজা করব বা করলাম সেটা বানিয়ে ও বাড়িয়ে ভার্চুয়াল লাইফের মানুষের সাথে শেয়ার করাই ঈদের প্রধান কাজ হয়ে গিয়েছে! প্রযুক্তি দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ।
আপনার শেষের কথাটি পড়ে মনে ধক করে লাগল! মনে হলো, আমিও বহুদিন জেলখানাতেই আছি, বা আমার মনটা জেলখানায় আছে!
আপনার জীবনের সকল কষ্ট, সংঘাত এবং উঠে দাড়ানোর গল্প আমাদের কাছে অনুপ্রেরনা হেনাভাই!
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্যে। আচ্ছা চালিয়ে যাব আপনাদের দোয়ায়। সাথে থাকুন।
সকল শুভেচ্ছা রইল।
১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০
পবন সরকার বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ
১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ে আমার জীবনের কিছু কিছু বিষয় জানার জন্যে।
অনেক ভালো থাকবেন।
১৮| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
সিগন্যাস বলেছেন: আমি আগে ভাবতাম কানাডায় ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রিয়ভাবে ছুটি দেওয়া হয়
১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না দেওয়া হয়না। আমি এক কানাডিয়ান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই ব্যাপারে। যে আমাদের দেশে সব ধর্মের মানুষই উৎসবে ছুটি পায়, কিন্তু কানাডায় শুধু কানাডিয়ান উৎসবেই ছুটি দেওয়া হয়। কেন?
তিনি তখন বলেছিলেন যে কানাডায় পৃথিবীর এত দেশ ও জাতির মানুষ আছেন যে সব গোষ্ঠির জন্যে ছুটির ব্যবস্থা করলে সমস্যা হয়ে যেত। প্রতি দ্বিতীয় দিনেই কিছু না কিছু লেগে থাকত। আবার প্রধান কিছু ধর্ম ও জাতির উৎসবে ছুটি দিলেও বাকিরা খারাপ ফিল করত। এজন্যেই টু কিপ ইট সিম্পল শুধু কানাডিয়ান উৎসবেই ছুটি থাকে।
আচ্ছা আপনার প্রথম কমেন্টটির মানে কি ছিল?
১৯| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০১
সুমন কর বলেছেন: প্রতিটি বিষয় বেশ সুন্দর করে তুলেছেন। ভালো লাগল। +।
১< তাহলে রোজা রাখতেন না !
২< এখনো গুরুজনরা আমাদের ছাদ হয়ে আছে।
৩< থাক, রান্না ঘরের জিনিস তো কেনা হলো...
৪< একদিন বাক্সের নোটগুলো হিসেব করে বলে দিয়েন; কয়টি ঈদ, ঈদের মতো গেল না !!
৫< পুরনো ঢাকায় এখনো রাস্তার মোড়ে মোড়ে উচ্চ ভলিউমে উগ্র গান বাজানো হয়।
৬< আমি কবে যে শেষ তারা বাজি করেছিলাম, যতটুকু মনে পড়ে ক্লাস টু/থ্রি'তে !!
বড় হয়ে গেলে ঈদ-পূজো-বৈশাখ-নতুন বছর.......সব ফিকে হয়ে যায়। পরে আবার বাচ্চাদের জন্য পুরনো স্মৃতিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। উৎসাহিত হলাম + এ।
ওমা! রোজা রাখতাম না সেটা কেন মনে হলো?
হুমম, ছাদ হয়ে আছেন, তবে এখন দূরে থাকার জন্যে তাদেরকে নানা সমস্যার কথা বলতে পারিনা।
গুণতে ভয় পাই, গুণে ফেললে অনেক বেশি কষ্ট হবে!
শুধু পুরোন ঢাকায় নয় আমার মনে হয় দেশের কোণে কোণে দেশী বিদেশী নানা গান বাজতে থাকে উৎসবে।
সেটাই, নিজের জন্যে আর কিছু থাকেনা বড় হলে। তখন ছোটদের মধ্যেই সকল আনন্দ খুঁজে নিতে হয়।
পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা!
২০| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমি তো ঈদ করতাম বাঁদরদের সাথে, বাদরদের এসব আছে নাকি ! সেলামী, পরিবেশী, গুরুজন ! বান্দর তো নিজেই মহারাজা !
১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৬
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বনের বান্দরেরও এটুকু বুদ্ধি আছে বোঝার যে সে মহারাজা না! তুমি বান্দরেরও অধম!
২১| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর করে গোছায়ে লিখেছেন মনের কথাগুলো।
প্রবাস আর বয়স বেড়ে যাওয়ায় ঈদের আনন্দ যে যাচ্ছে কোথায় খোঁজে পাইনা একেবারে। তবে মাঝে মধ্যে প্লান করে ঈদ দেশেই করি। মায়ের পায়ে ছুয়ে সালাম করে ঈদের দিন সকালে ঈদের নামাজ পড়তে মাঠে যেতে অনেক ভাল লাগে। এই দিনটি সামনে কতো দিন আর পাবো ভাবতেই মনের আকাশে মেঘ ডাকে।
১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সুজন ভাই! পোষ্টে পেয়ে ভালো লাগল।
ধন্যবাদ পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে।
হ্যাঁ, আপনিও তো প্রবাসী, আমার অবস্থান ভালোই বুঝতে পারছেন। বরং আপনার তো পরিবারও সাথে নেই, আপনার কষ্ট তো আরো বেশি। মন খারাপ করবেন না সুজন ভাই, আল্লাহ চাইলে জলদিই এমন দিন আসবে। কোরবানীর ঈদটা দেশেই করে ফেলুন এবারে।
আপনার জন্যে অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২২| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেয়ার জন্য।
২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মোস্ট ওয়েলকাম!
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ আবারো পোষ্টে ঘুরে এসে প্রতিমন্তব্যটি নিয়ে কিছু বলার জন্যে।
২৩| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সত্যি প্রবাসে ঈদ আনন্দে মেতে উঠা অনেক কাঠিন।
দারুণ বলেছেন আপু।
২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঠিক ধরেছেন ভাই। প্রবাসে ঈদ আর আনন্দ এই দুটো শব্দ একসাথে যায়না।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা অফুরান!
২৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
গরল বলেছেন: ঈদ তখনই মজা লাগত যখন ঈদে দাদা বাড়ি যেতাম, বিশেষ করে ১২-১৬ ঘন্টা জার্নিটাই কেন জানি উপভোগ করতাম সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ৩ ঘন্টার ফেরী জার্নি, মনে মনে দোয়া করতাম যেন ফেরিতে উঠলে ঝড় হয় কারণ সেই দৃশ্য অকল্পনীয়। সবাই দোয়াদরুদ পড়ত আর আমি মজা করে মাঝ নদিতে উত্তাল ঢেউএর মধ্যে বিদ্যুৎ চমকানো দেখতাম। তারাবাতির কথা পড়ে নস্টালজিক হয়ে গেলাম, এটাই ছিল চাঁদরাতের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। জাপানে বেশ কয়েকটা ঈদ করেছি এবং অবশ্যই অফিসে বসে কিন্তু তারপরেও ভাল লাগত কারণ ঈদের দিন একটা চান্স পেতাম অন্য সবদেশের সবাইকে আমাদের মিষ্টি, সেমাই, পায়েস খাওয়াতে। সবচেয়ে ভাল লাগত যে বড় দিনের কেক খাওয়ার চেয়েও সবাই আগে থেকেই উম্মুখ থাকত আমাদের লাচ্ছা সেমাই ও মিষ্টি খাওয়ার জন্য এমনকি বড়দিনের কেক এর চেয়ে বেশী ইগারলী অপেক্ষা করত কবে সেমাই খাবে। রিতীমত কাউন্টডাউন চলত এক সপ্তাহ আগে থেকেই, তাই ভালই লাগত। আর এখন ঢাকার ঈদ এর মত বোরিং জিনিষ আর নাই।
২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বেশ অবাকই হয়ে গেলাম, ফেরির ব্যাপারটায় মিল দেখে। আমিও ঝড়, বৃষ্টিতে নদীর মাতাল, স্বাধীন স্রোতের ভক্ত ছিলাম।
বাহ! খুবই ভালো লাগল আপনার জাপানের অভিজ্ঞতার কথা শুনে। আসলেই, বাংলাদেশী খাবারের ওপরে খাবার নেই। যেকোন দেশের মানুষই পাগলের মতো খায়।
এটা আমার এক আত্মীয়ও বলছিল যে ঢাকার ঈদ ভীষন বোরিং হয়ে গিয়েছে। তবে অনেকেই বন্ধু বান্ধব নিয়ে নানা ধরণের রেস্টুর্যান্টে খাচ্ছে, পার্টি করছে, জোরে জোরে গান বাজছে পাড়ায় পাড়ায়। অনেকেই নিজের মতো করে এনজয় করছে।
পাঠ ও ভীষনই সুন্দর একটা মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
শুভকামনা রইল!
২৫| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
শরিফ ৯৬ বলেছেন: ঈদ মোবারক। আপনার পোষ্টটি পড়ে ভাল লাগলো।
২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনাকেও ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি সুন্দরভাবে ঈদ পালন করেছেন।
ভালো লাগায় উৎসাহিত হলাম।
শুভকামনা সকল!
২৬| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯
নিওফাইট নিটোল বলেছেন: প্রবাসী ঈদগুলো নিয়ে প্রচুর ব্লগ পড়েছি এই ক'বছরে......এতদিনে তাই এই অম্ল-মধুর বিষয়টিকে বেশ ফিল করতে পারি- নিজস্ব উৎসবের স্বভাববিরূদ্ধ উদযাপন......তবে আয়রনিটা হল আপেক্ষিক- কখন কোন প্রাপ্তিটা ছোট থেকে বড় হয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে বলা মুশকিল- সেটাই যাবতীয় অপ্রাপ্তিগুলো ঢেকে রাখে......তেমনটা মনে করলেই আক্ষেপ থেকে নিস্তার মেলে......
দেশের পাড়ায় এখন আর গানের প্রতিযোগিতা হয়ই না বোধহয়- শুনি না তো! বরং এখনকার ট্রেন্ড সাউন্ডবক্স বসিয়ে উচ্চস্বরে গান বাজানো আর সেই তালে উড়াধুড়া ড্যান্স- সেই সাথে গলিজুড়ে লাইটিং........বন্ধুদের সাথে চায়ের দোকানে আড্ডার সাথে সাথে পাড়াতো পোলাপানের এই কান্ড বেশ এনজয় করি.......আমরা বোধহয় বুড়ো হয়ে গেছি- গানের তালে মনটা নেচে উঠলেও শরীরকে টেনে তুলতে ইচ্ছা করে না যে!!
ঈদ মোবারক.......তারাবাতির মতো ধূসর উজ্জ্বল তারা ফুটুক প্রতিটা অকেশনে
২২ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৫:০৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার প্রথম কথাগুলো ভীষনই সুন্দর, ও যথাযথ!
বোধহয় না, ঝাক্কাস গান শুনে যদি আপনা আপনি শরীর না নেচে ওঠে, ১০০% বুড়ো হয়ে গেছেন মাস্টারসাহেব! হাহাহা।
আন্তরিক ধন্যবাদ, আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাই! অনেক সুন্দর একটি ঈদ কাটিয়েছেন আশা করি।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
২৭| ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
শরিফ ৯৬ বলেছেন: হ্যাঁ, ভালো পোষ্ট সকলের আকর্ষন করে থাকে। তাই সর্বদা যাতে সকলে উৎসাহিত হয় সেজন্য শিক্ষনীয় পোষ্ট করবেন। ধন্যবাদ
২২ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৫:০৬
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আপনি সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন। চেষ্টা সেটাই থাকে। কিছু শিখতে পারার ও জ্ঞান শেয়ার করার জন্যে ব্লগ লিখি। আর নিজের আবেগ, অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমও এটি।
ভীষন ভালো থাকবেন।
২৮| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মোরাল অবদা স্টোরি- প্রতিটি মানুষের জীবনই কোন না কোন ভাবে অপরিপূর্ন।
লেখা ভাল লেগেছে ++
২৪ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এক্স্যাক্টলি ঠিক বলেছেন। এটাই মোরাল! ইউ জাস্ট কান্ট হ্যাভ এভরিথিং।
পাঠ, মন্তব্য ও প্লাসে কৃতজ্ঞতা রইল।
শুভকামনা!
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
সিগন্যাস বলেছেন: দাঁড়ান