নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলোমেলো ডায়েরী (২): ৭ টি গা জ্বালানি বাংলাদেশী সমাজের কথা, শুনলে মনে হয় বক্তার মাথায় গরম পানি ঢেলে দেই!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২২

ভদ্র ও সভ্য মানুষের মতো কথা বলা কিন্তু সামান্য কোন ব্যাপার নয়, এটি একটা শিল্প। আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ থাকে যাদের কথাবার্তায় ভদ্রতা, শিক্ষা ও রুচির কোন ছোঁয়া থাকেনা। তারা কথা বলেন অন্যকে অসম্মান ও বিব্রত করতে। আজকে আমি যেসব টাইপের মানুষের কথা বলব, যাদের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত।

পূর্বের পর্ব: এলোমেলো ডায়েরি: ঈদ ইন বিদেশ ভার্সেস বাংলাদেশ। দেশীয় ঈদের যে ৬ টি জিনিস প্রবাসে সবচেয়ে মিস করি!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১) কারো বাড়িতে দাওয়াতে গেলে -


"ওমা ভাই ভাবী! আপনি তো আমাদের ভুলেই গেলেন। কতদিন পরে এলেন! কোন খোঁজ খবরই নেন না। শুধু সংসার অফিস নিয়ে থাকলে হবে? পরিচিতদের প্রতি দায়িত্ব আছে না? আমরা সবাই তো সামাজিক জীব!"

আমার সরল মা এমন কথার উত্তরে বলে দেয়, "ভাবী আসলে নানা ব্যস্ততায় হয়ে ওঠেনা ফোন করা, এই তো এলাম আজ আপনাদের সাথে সময় কাটাতে!"
মা যে কেন সবকিছু এভাবে ভদ্রভাবে ম্যানেজ করে, দু কথা শুনিয়ে দেওয়া উচিৎ।

এইসব আন্টির ওপরে চরম রাগ হয়। যিনি এই কথাটি বলেছেন তিনি বিশেষ দিনেও শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেন না। আর তাদের বাড়িতে ভদ্রতার খাতিরে যোগাযোগ রাখতে ফোন করলেও সহজে পাওয়া যায়না। কারোরই সময় নেই খোঁজ নেবার, কিন্তু দেখা হওয়ামাত্র অভিযোগ ছুড়ে দেবে। কেন? "আপনাদেরকে অনেকদিন পরে দেখে ভালো লাগল" এটুকু বলতে টাকা লাগে? আন্তরিকতার নামে অমূলক অভিযোগ বিরক্তিকর।

২) পথে, দাওয়াতে, অনুষ্ঠানে বহুদিন পরে কোন পরিচিতর সাথে হুট করে দেখা হলে......

আরেহ! আপনি এত মোটা/শুকনা/কালো হয়ে গেলেন কি করে? এই ধরণের কথাগুলো সামনের মানুষটিকে কতটা বিব্রত আর হতাশাগ্রস্ত করে তা বলার আগে বোঝা উচিৎ। আপনি যদি অনেকদিন পরে একটি মানুষকে দেখেন তার মধ্যে পরিবর্তন আসবে। সময়ের সাথে সাথে মানুষের শারিরীক ও মানসিক পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। তাই বলে যেকোনো পরিচিতর সাথে প্রথম দেখা হওয়ামাত্রই এমন কথার মানে আছে?

হ্যাঁ ভীষন আপনজনদের কাছে অনেকদিন বাড়ি ফেরার পরে এমন কথা মন্দ লাগেনা। এটা তাদের ভালোবাসা। মায়েরা সবসময় সন্তানকে দেখেই বলেন, শুকিয়ে গেলি কেন? সেটা এক ব্যাপার, কিন্তু স্বল্পপরিচিত, ফরমাল সম্পর্কে এমন কথা অস্বস্তি তৈরি করে। যাকে বলছেন সে বাড়িতে গিয়ে আয়নায় নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখবে এবং আপনার সমালোচনায় দুঃখ পাবে নিশ্চিত! ফ্রি ফ্রি কাউকে হতাশা উপহার দিয়ে কি পান বলুনতো?

৩) কারো সন্তান পরীক্ষায় খারাপ করলে, বিশেষত সোনা মিস করলে,

সে সোনা মিস করেছে তাকে তো শুনতেই হবে, যে সে পদার্থবিহীন বস্তু মানে অপদার্থ। বাইরের লোক তো বাদই দিলাম বাবা শোনাবে যে, "তোমার জন্যে হাজার হাজার টাকার টিউটর রেখে এই লাভ হলো?" টাকার খোঁটা যে কতটা গায়ে লাগে তা যদি বোঝানো যেত। অনেক ছেলেমেয়ে প্রচুর পড়েও ভালো রেজাল্ট করতে পারেনা। সবাই তো আর মেধাবী হয়ে জন্মায় না।
মাছ সাঁতারে পারদর্শী, তাকে যদি পাখির মতো উড়তে বলা হয় সে তো ফেল করবে। তার মানে এই না যে মাছ কোন কাজের না। অনেকে আছে পড়াশোনার মেধায় কম, তারা হয়ত অন্যকিছুতে ভালো হয়, সবাইকে জজ ব্যারিস্টার হতেই হবে? আর যদি তাই হতো সমাজ কিভাবে চলত বলুনতো?
সন্তানের পেছনে কত টাকা খরচ হলো সে কথা শুনিয়ে তাকে অপরাধবোধে ফেলার কোন অধিকার বাবা মায়ের নেই। বরং তার ওপরে চাপ না দিয়ে, সে কিসে ভালো সেটা দেখা উচিৎ। আর হ্যাঁ মিনিমাম পড়াশোনা সবারই করা উচিৎ, কিন্তু সবাই তো ফার্স্ট হতে হবে না। একটা ক্লাসে ১০০ ছেলের মধ্যে মাত্র ১০ টি ছেলে টপ টেনে থাকবে। বাকি ৯০ ছেলে বা ৯০ ভাগ ছাত্র ছাত্রী বাবা মা, পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনের কাছে অপমানিত হবে?

আর বাবা মা বলল ঠিক আছে, মানলাম। তারা ভালোবেসে বকে, নিজের সন্তানকে বলছে। কিন্তু পাড়া প্রতিবেশী এসে উপদেশ দেয় কোন দুঃখে? শুধু সেই শিক্ষার্থীকেই নয়, বাড়ি বয়ে এসে তার বাবা মাকেও কটু কথা শুনিয়ে যাবে নিজের সন্তানের সাফল্যের মিষ্টি খাওয়াতে এসে। আপনারা কি মানুষ? খারাপ রেজাল্টের কারণে একটা পরিবারের এমনিতেই মন খারাপ, আর আপনারা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেন? কি লাভ এতে? এতে কি আপনার নিজের সন্তানের কল্যাণ হবে? তাকেও তো একদিন পরাজয়, হতাশার মুখ দেখতে হতে পারে। সেদিন পাঁচ জনের কথা সহ্য করতে পারবেন? নিচু মন মানসিকতার মানুষ!

৪) কারো ঘরে বিবাহযোগ্য অসুন্দরী মেয়ে থাকলে.......

প্রথমত সুন্দর অসুন্দর একটি মনস্তাত্তিক ব্যাপার হওয়া উচিৎ ছিল। দর্শনীয় নয়। যেমন পৃথিবীর প্রতিটি মা ই সন্তানকে সুন্দর মনে করে, কেননা ভালোবাসে। সন্তানের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমনই হওয়া উচিৎ ছিল। আমরা যাকে এবং যাদেরকে ভালোবাসি তাদেরকে আমাদের চোখে লাগবে বিশেষ ও সুন্দর। কিন্তু উল্টো সিস্টেম চালু হয়ে গিয়েছে কিভাবে যেন। আমরা যাদেরকে সমাজের তৈরি ঠুংকো বিচারে বাহ্যিক ভাবে আকর্ষনীয় মনে করি তাদেরকে ভালোবাসি! এই আপাত প্রচলিত স্বাভাবিক ব্যাপারটি আসলে কুরুচিপূর্ণ!

যাই হোক, একজন অসুন্দরী নারী পুরুষ (এক্ষেত্রে পুরুষ কম সাফার করে, তাদের হাইট ঠিক থাকলে সব ঠিক। আর মেয়েদের মাথা থেকে পায়ের পাতা জাজ করা হয়, সব ঠিক থাকলেও নাক বোঁচা এই নিয়মে বিয়ে ভেঙ্গে যায়!) যখন কোন দাওয়াতে যায়, বা ঘুরতে যায়
কেউ না কেউ অবশ্যই সেই মেয়ে নয় তার মা কে বলবে, "এই মেয়ের বিয়ে দিতে আপনার কষ্ট হবে! জানেন ভাবী! আমার ননদের দেবরের খালার ভাইয়ের বোনের মেয়ের রং তো আপনার মেয়ের চেয়েও কালো, আফ্রিকান কুচকুচে কাইল্লা ছিল একেবারে, ইন্ডিয়ান একটা হারবাল মেখে সে এখন সাদা গরুর মতো ফর্সা!"

ব্যাস মেয়েটি মেখে যাবে একটার পর এক ক্রিম, সব কাজ বাদ দিয়ে আয়নায় হা করে তাকিয়ে থাকবে পরিবর্তনের আশায়। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই আল্লাহ প্রদত্ত রং কয়েক দিনে ক্রিম মেখে পরিবর্তিত হয়না। দিনে দিনে হতাশা বাড়তে বাড়তে চোখের নিচে কালি ও মুখে দাগ হতে থাকে মেয়েটির। এত রূপচর্চা না করে আল্লাহর দেওয়া রূপকে সম্মান করলে, এত ক্ষতি হতো না। কিন্তু মেয়েটির ই বা কি দোষ? উঠতে বসতে যদি একটি মানুষকে শুনতে হয় সে দেখতে খারাপ এবং এই কারণে তার জীবনে সুখ আসবে না সে কি করবে?

আচ্ছা পড়াশোনায় ভালো হতে হলে কি রূপ লাগে? চাকরিতে প্রমোশন পেতে কি রূপ লাগে? হ্যাঁ কিছু কিছু সাবজেক্ট ও জবে লুক ম্যাটার করে। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যারা তথাকথিত সুন্দরী নয় কিন্তু নানা পেশায় সাকসেসফুল। আর আমি সবসময় দেখেছি যাদেরকে সমাজ অসুন্দর মনে করে তাদের জীবনসংগী সাধারণত খুব সুদর্শন হয়! তখনো তাদের শুনতে হয় এই মেয়ের এমন বর?

আর ছেলেদের নিয়েও একটু বলি। ছেলেদের হাইট কম হলে বন্ধুমহল ও সমাজে প্রচুর হেয় হতে হয়। কিন্তু তবুও তাদেরকে সোনার আংটি মনে করা হয় যারা বাঁকা হলেও ভালো। শেষ পর্যন্ত একজন ছেলেকে শিক্ষা ও ক্যারিয়ার দিয়েই বিচার করা হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও কি তেমনই করা উচিৎ না? না তা তো হচ্ছেই না, উল্টো বৈষম্যহীন??? যুগে মেন ফেয়ারনেস ক্রিম সহ আরো কি কি যেন বাজারে ছেঁয়ে যাচ্ছে! উফফ বিরক্তিকর!

৫) শিশুর মুখ প্রথম দেখা মাত্র -

শিশুরা হচ্ছে সবচেয়ে নিষ্পাপ, পবিত্র। তাদের দেখামাত্র যেকারো মন আনন্দে এবং মুখ হাসিতে ভরে ওঠা উচিৎ। জাগতিক সব হিসেব ভুলিয়ে দিতে পারে শিশুর মুখ। কিন্তু নাহ! তা হয়না! একটা বাচ্চা পৃথিবীতে আসামাত্র হসপিটালে দাড়িয়ে আত্মীয় স্বজন কথা বলতে শুরু করে দেয়, মেয়ের রং বোধহয় কালো হবে, ছেলে মনে হয় শুকনা হবে! মায়ের মতো ফর্সা হয়নি, বাবার মতো সুন্দর চোখ পায়নি। আরেহ! বাবা মা কারো মতোই তো দেখতে হয়নি, বাচ্চা পরিবর্তিত হয়ে যায় নি তো? কেউ আবার তখনই বলে বসে, কালো হলে সমস্যা কি? ছেলে তো, সোনার আংটি, বাঁকাও মূল্য আছে। অথবা এই মেয়ে বড় হয়ে বাবা মার ঘাড়ে বোঝা হবে।

আই মিন হোয়াট? রিয়েলি? আপনারা সেই হাসপাতালেরই ডাক্তার দেখান প্লিজ, আপনাদের মন মগজে সমস্যা আছে। লজ্জা করে না বাচ্চাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে এভাবে বলতে? সেই থেকে শুরু, এরপরে জ্ঞান হয়েও মানুষকে নিত্যদিন গায়ের রং সহ নানা বডি ফিচারস নিয়ে সব জায়গায় কথা শুনতে হয়। আচ্ছা, যার ওপরে আমাদের হাতই নেই, আর যেখানে কোন মানুষই পারফেক্ট না, সেখানে এমন কথার মানে আছে? বিকৃত মন মানসিকতার মানুষ জন!

৬) বেকার জীবনে.......

বেকার শব্দটি সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয় আমাদের দেশে। সেই হিসেবেই বলছি।

পড়াশোনা শেষ করার পরে সবাই লম্বা একটা সুখের নি:শ্বাস নেয়। ভাবে দিন রাত এক করে পড়ার পরে একটা সার্টিফিকেট হলো। এখন আর পরীক্ষা, টিচার/প্রফেসরের বকা, হোস্টেলে অনেকজনের সাথে এক রুম শেয়ার করার কষ্টের ও স্ট্র্যাগলের জীবন শেষ! এটা ভাবতে ভাবতেই ভালো মার্কের জন্যে চাপ দিতে থাকা পরিবার ও সমাজ ভালো চাকরির জন্যে প্রেশার দিতে শুরু করে।

কি করো? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর পড়াশোনা এখন বলতে গিয়ে গলায় আটকে যায়, কিছু করিনা বলতে হয় ভীষন লজ্জায়। বেকার মামা চাচা ছিল একসময়ে, জানি যে বেকারদের সবচেয়ে বেশি আকার থাকে। বাড়ির যেকোন ছোট বড় কাজে "তারা তো কোন কাজ করে না" তকমায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমার মনে হত তারাই যেন সবচেয়ে বেশি কাজ করে! চাকরি খোঁজার পাশাপাশি এর ওর কত কাজই না করে দিতে হয়! তারা যে বেকার!

যেখানেই যাবে তাদেরকে এডভাইস দেবার লোকের অভাব নেই। চাকরির বাজার ভালো না, ব্যাবসা করা উচিৎ। অথবা ঘুষ না দিতে পারলে চাকরি হবেনা। তার অমুক তমুক বন্ধুর চাকরি, বিয়ে, বাচ্চা হয়ে গেছে, সে কত বড় অপদার্থ ইত্যাদি শুনে যেতেই হবে। আচ্ছা এই পৃথিবীর এমন কোন ছেলে আছে যে ইচ্ছে করে চাকরি না করে বসে থাকবে? ছোট একটা দেশে এত মানুষ আমাদের, চাকরি জোগাড় করা কি মুখের কথা? এসময়ে সবার সাপোর্ট দরকার, খোঁটা না! বুঝলেন?

৭) ডিভোর্সি মেয়েদের ---


যেকোন জায়গায় তাদেরকে মানুষজন ছাড়াছাড়ি কেন হয়েছিল এমন প্রশ্ন করে ওঠে। নানা পুরুষ বাজে নজরে তাকায় যেন স্বামী নেই মানে সেই মেয়েটি এখন পাবলিক প্রোপার্টি! ছি! অনেক সমাজ বিশারদ আন্টি তো আবার এসব নারীদের শুনিয়ে শুনিয়ে বলবে, যে আজকালকার মেয়েরা কত খারাপ! এসব মেয়েদের চরিত্র বলতে কিছু নেই। স্বামীকে সামলে রাখতে পারেনা, তাদের জামানা তো অন্যরকম ছিল।

হ্যাঁ ছিল আপনাদের জামানা অন্যরকম। এখনকার নারীরা শিক্ষা ও আত্মসম্মানবোধে অনেক এগিয়ে। সমস্যা?

ডিভোর্সি নারীদের তো আর বাঁচার অধিকারই নেই। স্বামীর ঘর ছাড়ল! কত বড় সাহস! স্বামী যত মারুক ধরুক, পরকীয়া করুক সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে হলেও দাঁতে দাঁত চেপে পড়ে থাকা উচিৎ! স্বামী হচ্ছে অহংকার, সে না থাকলে অন্য পুরুষরা তো খাবলে খাবে!

আপনারা যারা এসব বলেন বা ইভেন মনে মনে ভাবেন আপনারা যে মানসিক রোগী সেটা কি বোঝেন? আপনাদের ঘরের মেয়েও যে কালকে সুটকেস হাতে করে ঘরে ফিরে আসবেনা সেটা কি করে ভাবেন? আজ আপনি শোনাচ্ছেন, কালকে আপনাকে শুনতে হবে। জীবনের সরল অংক এমনই আংকেল আন্টিরা।

আচ্ছা, একজন মেয়ের পুরো জীবন কি এতই সস্তা? একটা মানুষ কি বারবার জন্মায়? একটাই তো জীবন! সেটাও নষ্ট করতে হবে, কারো অন্যায় সহ্য করে বেঁচে থাকতে হবে? কেন? আর এসব কথা নারীরাই বেশি বলে। যেসব নারীরা বলে তাদের হয় স্বামী ভাগ্য ভালো, এজন্যে স্বামীর অপমান, অত্যাচার কেমন হয় বোঝেন না। অথবা তাহারা বিশিষ্ট আত্মসম্মানবোধহীন প্রাণী। রাতে মার খেয়ে সকালে গায়ে নতুন শাড়ি জড়িয়ে স্বামীর মিছে প্রশংসা করতে পারে। সবাই আপনাদের মতো হয়নারে ভাই। কিছু কিছু মেয়ের সাহস থাকে একা বাঁচার। আর সবচেয়ে বড় কথা দুটো মানুষ বিয়ে রাখবে কি রাখবে না তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, আপনার এত চুলকায় কেন? নিজের শান্তিতে থাকুন, অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দিন। সিম্পল!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ওপরের যেসব ঘটনা বললাম তার সবটাই ডাইরেক্টলি আমার সাথে ঘটেনি। তবে আমার চোখের সামনেই এসব হতে দেখেছি। আর শিক্ষিত ও উচ্চশিক্ষিত মানুষদের কথা এগুলো। ভাবতে পারেন? আমি লেখায় টাইটেলে বলেছি বাংলাদেশী সমাজ! আমাদের সমাজ পুরোটাই এমন নয় তবে গুটিকয়েক যারা আছেন তাদের গলার তেজ এত বেশি যে পুরো সমাজকে কলুষিত করতে যথেষ্ট। এসব মানুষদের জন্যেই কিন্তু এসএসসি ফেইলের পরে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে, বুঝতে পারে না যে প্রতি বছরই তো পরীক্ষা দেওয়া যায়। একটা বছরে কি পরিমাণ অপমান সহ্য করতে হবে সেটা ভেবে জীবনই দিয়ে দেয়! স্বামীর অত্যচার সহ্য না করতে পেয়ে গৃহবধু নিজে মরে সন্তানকে মেরে ফেলে। একবারও এটা ভাবতে পারে না যে নতুন করে বাঁচতে পারে সে। তার মনে হয় সমাজ তো আমাকে বাঁচতে দেবে না। অনেক মেয়ে গ্যালন গ্যালন আন-ফেয়ার এন্ড লাই মাখে, অনেক ছেলে ঘন্টার পর ঘন্টা ঝুলতে থাকে কিছু ধরে লম্বা হবার আশায়। রাতে বন্ধু, পরিবার, সমাজের কড়া কথাগুলো ভেবে চোখের পানি বের করে।

আচ্ছা সমাজে একদম পারফেক্ট জীবন কজনের আছে? হাতে গোণা। তাছাড়া সবারই তো একদিক থাকলে অন্যদিক থাকেনা টাইপ অবস্থা। তো কিসের অহংকারে আমরা কাউকে ছোট করে কথা বলি? কেন না বুঝে সবাইকে জ্ঞান দিয়ে বেড়াই? কার জীবনের কষ্ট, কার জার্নি কেমন, কার জীবনযুদ্ধ কতটা কঠিন সেটা তো আপনি জানেন না? তো বড় মুখ করে সাময়িক বিকৃত বিনোদন ও অন্যের অসহায় মুখখানা দেখার জন্যে এত কথা কেন বলেন? যত্তসব মেন্টাল কেস!

আর ভদ্র, নরম মানুষেরা শোনেন, এসব মেন্টাল কেসরা মুখ খুলে আজেবাজে বকা শুরু করা মাত্র মুখে টেপ এঁটে দেবেন। এরা মুখ খুলতে পারবেনা, সেটাই ওদের শাস্তি!

আমি যেসব উদাহরণ বা অভিজ্ঞতার কথা লিখেছি, তার বাইরেও অনেক গা জ্বালানি কথাবার্তা আছে। সেগুলোর অভিজ্ঞতা কমেন্ট বক্সে শেয়ার করুন পারলে। যাতে তেমন কোন মানুষ পড়লে চোখ খোলে। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

কিছু কিছু লোক আছে এমন, ধরেন তাদের বাড়িতে বেড়াতে গেলাম। অনেকক্ষণ আলাপচারী হলো।
মেহমান কে খাওয়াদাওয়ার কথাবার্তা নাই।
উঠিবার পালাই বলে, আরে ভাইয়াকে তো কিছু দেওয়া হইনি।চলে যাচ্ছেন, আরেকটু বসেন।

এসব লোক কে দেখলে আমার গা ঘিম ঘিম করে উঠে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই সুন্দর একটি কমেন্ট পেলাম। ধন্যবাদ।

আপনি আরেক প্রজাতির কথা তুলেছেন। হ্যাঁ, অতিথিকে চা, চানাচুর খাওয়াতেও যারা দশবার ভাবে তাদেরকে আর কি বলব? আর এমন ভাব করে যেন মেহমানেরই দোষ, তারা একটু সময় দিলেই রাজকীয় রান্নাবান্না হতো! ফেক হবারও লিমিট থাকে!

এমন মানুষদের এভয়েড করাই শ্রেয়। নাহলে মন মেজাজ দুটোই খারাপ থাকবে।

শুভকামনা।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

হিংস্র ঈগল বলেছেন: এইসব প্রজাতির প্রানীরা আমাদের চারপাশেই থাকে। আমাকে যখন কেউ এই জাতীয় কথা বলত তখন প্রথম প্রথম খারাপ লাগত কিন্তু এখন উলটা দু চার কথা শুনিয়ে দেই। অবশ্য এর জন্য বেয়াদব উপাধিতে ভূষিত হয়েছি। :-P :-P

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হিংস্র ঈগলের মতোই ঝাপিয়ে পড়া উচিৎ এমন নিচুর মনের মানুষদের ওপরে। নাহলে এদের কটু কথা মানুষকে বাঁচতে দেবে না।
বেয়াদবই ভালো। ভদ্র মানুষকে এমন ভূত পেত্নীগুলো বেশি করে ধরে!

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ওরেব্বাপস্! এ যে দেখছি একেবারে রণরঙ্গিনী!! তবে কথাগুলো সবই ঠিক। সমাজের অনেক অসঙ্গতি তুলে এনেছেন। এগুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে। আমাদের মনমানসিকতা যে কবে চেঞ্জ হবে আল্লাহ মালুম। এসব কালচার যুগ যুগ ধরে সমাজে চলে আসছে। এত তাড়াতাড়ি দূর করা সম্ভব হবে না হয়ত। তবে মানুষের ভেতর এখন সচেতনতা বাড়ছে। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে এসবের আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না!

আরও যেসব অসঙ্গতি আছে সেগুলো নিয়েও লিখুন। শুভকামনা রইল মিস বোকামতীর জন্য!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মিস্টার বোকা! কেমন আছেন? আশা করি জোশ!

আলোচনার নয় ব্যাস মুখে টেপ আটার প্রয়োজন আছে। যেখানেই বাজে মানুষ, সেখানেই টেপ অভিযান চলবে। নাহলে এসব মানুষ ছাড়বে না, আরো বেশি কথা শোনাবে। তাই তাদেরকে কথা বলতেই দেওয়া যাবেনা, হুমম!

সচেতনতা বাড়ছে, তবে খুব খুব অল্প সংখ্যায়, আর একদিকে সমস্যা কমলে আরেকদিকে বাড়ে। একটা টপিক ছেড়ে মানুষ কথা শোনানোর মতো আরেকটা টপিক আবিষ্কার করে ফেলে! যত্তসব!

হ্যাঁ লিখব, কলমে থুক্কু কিবোর্ডে আগুন ছোটাব। :) পাশে থাকুন।

আপনার কমেন্টের প্রতিটি কথার সাথেই সহমত। মন মানসিকতা পরিবর্তিত হতে সময় নেবে। কিন্তু একদিন হবেই, আর সেজন্যে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। কাউকে আজেবাজে কথা বলতে দেখলেই প্রতিবাদ করতে হবে জোরেশোরে। তখনই খারাপ মানুষেরা শায়েস্তা হবে।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দিনের অনেক কালের ক্ষোভ বুঝি আজ লাভা হয়ে উদগরিত হলো!
হঠাৎ কি হলো সখি?

আমাদের মানুষকে মানুষ হবার শিক্ষাটা বাদে আর সবকিছুর উপরই জোর দেয়া হয়। তাই বুঝি আর মানুষের মানুষ হওয়া হয়ে উঠেনা। জীবন বোধে যখন শুন্যতা থাকে - তাদের অধিকাংশেরই কোন কাজ নেই- শুন্য মস্তিস্ক শয়তানের আড্ডা , ব্যস নেমে পড়ে নিন্দুকের ভূমিকায়! তাদের জীবন বোধে যদি মৌলিক শিক্ষা থাকতো, যদি শুভ, সুন্দর আর কল্যানের চেতনা থাকতো সকল মন্দের মাঝেও তারা ভালটাই দেখতে পেত।

হা হতোম্মি! তাতো হবার নয়।

এজন্যে আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতি, মিডিয়া সবাই সম্মিলিত ভাবে দায়ী এ সামাজিক অধ:পতনের জন্যে।
কেউই তার কাজ সঠিক ভাবে যথাস্থানে করছেনা; বলেই মানুষের মানবতার বদলে পাশবিকতার বিকাশ ঘটছে। আর এসব আচরণ সূক্ষ পাশবিকতা বৈতো নয়! বাহ্যাঘাত দুদিনেই সেরে যায়! মনের আঘাত চিরদিন বয়ে বেড়াতে হয়-
কেউ কি বোঝে ;)

সুস্থতা, সৌন্দর্যতা, শুভ, কল্যান আর মানবিকতায় পূর্ণ হোক সকলের মন।


অনেক অনেক শুভকামনা
রই বা না রই রবে প্রার্থনা-
প্রভু কল্যান দিও, শান্তি দিও
যাতনা যেন তারে কভু ছোঁয় না।
:)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ, এমন পোস্ট অনেকদিন যাবৎ লিখব লিখব ভাবছি। হঠাৎ কিছু হয়নি, সমাজ কি হঠাৎ খারাপ হয়েছে? আমার এসব সবসময়েই মনে হতো। আগে মনে মনে রাগ ঝাড়তাম, আজ মনের সেসব এলোমেলো কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ব্যাস।

আমাদের মানুষকে মানুষ হবার শিক্ষাটা বাদে আর সবকিছুর উপরই জোর দেয়া হয়। তাই বুঝি আর মানুষের মানুষ হওয়া হয়ে উঠেনা।
অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ! কি সুন্দর যথাযথ একটা কথা বললেন। আসলেই তো পড়াশোনা, গান, নাচ, আঁকা, আবৃত্তি, খেলাধূলা শেখার ওপরে বাবা মা রা জোর দেয়। এসব শেখানোর অনেক প্রতিষ্ঠানও আছে। কিন্তু ভালো মানুষ হবার প্রতি কজন বাবা মা জোর দেয়? মার্কের বদলে নকল করে পাশ করেনি তো, স্কুলে কাউকে বুলি করে কিনা এসব কজন বাবা মা জানতে চায়? আপনার কথা ঠিক কথা দূর্ভাগ্যজনক ভাবে। :(

হুমম, সবই দায়ী বা এককথায় মানুষ দায়ী। আচ্ছা সবার ওপরে না মানুষ সত্য? তবে সেই মানুষই কেন এত মিথ্যায় ভরা? আসলেই পাশবিক মানুষই পারে কথা ও ব্যবহারের আঘাতে কাউকে ক্ষত বিক্ষত করতে।

মন ছুঁয়ে যাওয়া কাব্যকণা! চারটি লাইন কত কিছু বলে যায়!

পাঠ ও অনন্য অসাধারণ একটি মন্তব্যে থ্যাংকস।
আমার সখা সুখে থাকুক।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় একটি ছেলে আত্মহত্যা করেছে। এরকম আরও কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা আমার জানা আছে। পরিবার ও সমাজই এদের বাঁচতে দেয় না। আফসোস!

আমাদের সমাজে আর একটি বিষয় আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগে। কোন মহিলা হয়তো তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বা কোন ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন। সেখানে ভদ্রমহিলার কোন পরিচিত পুরুষের (প্রতিবেশি, কলিগ বা আত্মীয়) সাথে তার দেখা হয়ে গেল। ওই লোক ভদ্রমহিলাকে কী অসুখ হয়েছে জানার জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকে। ভদ্রমহিলা হয়তো যতটা বলা সম্ভব ততটা বলে আশা করেন যে লোকটি তাকে তার অসুখ নিয়ে আর কোন প্রশ্ন করবে না। কিন্তু লোকটি আরও নানারকম প্রশ্ন করে তাকে বিব্রত করতে থাকে। এই ব্যাপারটা আমার কাছে পুরোপুরি আনসিভিলাইজড বলে মনে হয় এবং আমি খুবই বিরক্ত বোধ করি। আমি নিজে জীবনে কোনদিন আমার স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন নারীকে তার অসুখের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করিনি। মানুষের কমনসেন্সেরও বড্ড অভাব।

যাই হোক, পুরোটা পড়ে ভালো লাগলো। তবে আমি নিশ্চিত যে যারা এই লেখাটি পড়বেন, তারা সবাই এসব ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে মুক্ত নন এবং এটা পড়ার পরেও মুক্ত হবেন না। অভ্যাস হলো কাঁঠালের আঠা।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হেনাভাই!

হ্যাঁ সত্যিই আফসোস ও লজ্জার!

আপনি আরো একটি জরুরি ব্যাপারকে টেনে এনেছেন। শুধু নারী নয়, কারোরই অসুখ বিসুখ সম্পর্কে ডিটেইলে জানতে চাওয়া উচিৎ না যদি না সে বেশি আপনজন হয়। মানুষটির অস্বস্তিদায়ক কিছু তো হতেই পারে। আর কিছু কিছু পুরুষ বিকৃত মনের। রোজার সময়ে সব নারীকে জিজ্ঞেস করে বেড়াবে কয়টা রোজা রেখেছে? অন্যকিছু না জাস্ট অস্বস্তিতে ফেলার জন্যে। সো চিপ!

পাঠ ও সুন্দর একটি মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা হেনাভাই। আপনার মন্তব্যে অনেক বেশি উৎসাহ পাই।
ভালো থাকুন।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যাক , শেষ পর্যন্ত আমার আপুমনি দেশের জাতীয় সমস্যা নিয়ে পোস্ট দিয়েছে।
আমাদের জাতীয় সমস্যা অনেক।
সেই সব সমস্যা বলতে গেলে হোমারের মহাকাব্য হয়ে যাবে।
জাতি হিসাবে আমরা কখনো চেষ্টাই করি না এই সব সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে।
আমরা কখনো আত্নসমালোচনা করি না। সব সময়ই " মুই কি হনু রে!" জাতীয় ফুটানি দেখাই।
সবার সামনে একটা আয়না কল্পনায় নিয়ে রাখা উচিত। আয়নাতে নিজেকে দেখা উচিত।

আমি সেই দিনের স্বপ্ন দেখি যে দিন আমরা সবাই অনেক ভালো হবে। আমাদের ব্যবহার হবে সুন্দর। বিশ্ববাসী এক নামে চিনবে আমাদেরকে । কোন ভালো ভালো আচরণ দেখলে তারা আক্ষেপ করে বলবে- আহা, বাংলাদেশের মানুষের আচার ব্যবহার কতই না সুন্দর। যদি ওদের মতো হতে পারতাম।

আফসোস! আমার এ স্বপ্ন কখনোই ........

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ সাজ্জাদ ভাই! শরীর মন ভালো আছে আশা করি।

আমরা কখনো আত্নসমালোচনা করি না। সব সময়ই " মুই কি হনু রে!" জাতীয় ফুটানি দেখাই।
সবার সামনে একটা আয়না কল্পনায় নিয়ে রাখা উচিত। আয়নাতে নিজেকে দেখা উচিত।

হ্যাঁ হ্যাঁ আমি পোস্টে এটাই বলতে চেয়েছি। একদম আমারো মনের কথা। এই পোস্টের সারকথা আসলে এটাই ভাইয়া।

আমি সেই দিনের স্বপ্ন দেখি যে দিন আমরা সবাই অনেক ভালো হবে। আমাদের ব্যবহার হবে সুন্দর। বিশ্ববাসী এক নামে চিনবে আমাদেরকে । কোন ভালো ভালো আচরণ দেখলে তারা আক্ষেপ করে বলবে- আহা, বাংলাদেশের মানুষের আচার ব্যবহার কতই না সুন্দর। যদি ওদের মতো হতে পারতাম।
বাহ! কি সুন্দর করে না বললেন! স্বপ্ন একদিন অবশ্যই পূরণ হবে ভাইয়া, তবে আমরা ততদিন বেঁচে থাকব কিনা সেটা সন্দেহ!

পাঠ ও অসাধারণ একটি মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা।
নিজের শরীরের যত্ন নেবেন, ভালো থাকবেন।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: এই তিনটা question আমার অপমান লাগে:

১. আপনার বয়স কতো? (অবশ্য, অনেকে এটা সরাসরি করে না। জানতে চায় S.S.C. ব্যাচ।)
২. আপনার দেশের বাড়ি কই?
৩. আপনি বেতন কতো পান? (বড় বেশি অপমানজনক, বিশেষ করে কোন ব্যবসায়ী যখন কোন চাকরিজীবীর কাছে এটা জানতে চায় তখন এটা একটা তাচছিল্যের ঈংগিত বহন করে। মানে দাড়ায়, "ব্যাটা তোর দৌড় কতো দূর?" বলতে ইচছে করে, "কেন ব্যাটা, কিসে আমার ভাত-কাপড় জোটে সেটা তোর জানার দরকার কি? তোর থেকে চাই নাকি?";)

মাঝে মাঝে বেয়াদপ হতে ইচছে করে। হয়েও যাই সময়ে সময়ে।

তবে, আপনি যেসব সমস্যার কথা বলেছেন সেসবের তুলনায় এগুলো কিছু না (৩ নং টা ছাড়া)।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জরুরি কিছু কথা তুলেছেন। হ্যাঁ এসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা ভদ্রতা বহির্ভূত। প্রথম দুটি বড় কিছু নয় যদি না মানুষটি উত্তর শোনার পরে "আপনি এ বয়সে এমন বাচ্চার মতো! বা ওমন বুড়িয়ে গেছেন কেন কম বয়সে?" এমন কিছু না বলে। বা এরিয়ার নাম জানামাত্র, অমুক এরিয়ার মানুষ তো লোভি/হিংসুক/খারাপ হয় শুনেছি! এভাবে অনেকে সাদামাটা কথাকেও অপমানের দিকে নিয়ে যায়।

"কেন ব্যাটা, কিসে আমার ভাত-কাপড় জোটে সেটা তোর জানার দরকার কি? তোর থেকে চাই নাকি?"
হাহা! জোশ ডায়ালগ, সামনাসামনি এসব বলতে পারলে জীবনটা বিনোদনময় হতো! ;)

বেয়াদবদের সাথে বেয়াদবী করতেই হয়। তবে বয়স ও অবস্থানগত পার্থক্যের কারণে অনেকসময় পারা যায়না।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্য করেছেন সময় নিয়ে। সেজন্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা সকল!

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু, আমাদের দেশের সভ্যতা হাজার বছরের পুরনো। আপনার একটা পোস্টের কিছু বক্তব্য আমাদের বদলে দিতে পারবে যদি মনে করেন তাহলে ভুল ভাবছেন। এই যে আমি আপনার পোস্টের প্রতিটি পয়েন্টে একমত পোষণ করছি। পোস্টে লাইক দেবো সুন্দর করে সহমত জানাবো, কিন্তু ঠিকই বাস্তব জীবনে নিজেও এধরনের অনভিপ্রেত আচরণ করে অন্যকে কষ্ট দেবো। আবার আমাকে অন্য কেও সুযোগ পেলে একই রকম বিহেভ দিয়ে তাঁতিয়ে দেবে। তারপর আমি আবার ঐ লোকের উপর শোধ নিতে সুযোগ খুঁজবো। হাজার বছরের সভ্যতা তো, তাই সহজে বদলাতে পারছি না।

একটা ঘটনা মনে পড়লো। আমাদের পরিবারে বাবা মায়ের ভুল বুঝাবুঝির কারণে খুব বিপদ নেমে এসেছিল। তখন কি হয়েছিল জানেন? আমাদের পাড়া প্রতিবেশী নয়, একেবারে খুব কাছের আত্মীয়রা যেন মজা উপভোগ করছিল। এমন দুর্দিনে সবাই এসে মুরুব্বির মত খালি ধমকা ধমকি করছিল। সবাই নিজেদের জীবনে কে কিভাবে পরিবার সফল ভাবে চালিয়েছে সেই ইতিহাস বলে বলে শুধু জ্ঞান দান করছিল। আমাদের তখন পাশে দাঁড়ানোর মত কাউকে প্রয়োজন ছিল, শিক্ষকের প্রয়োজন ছিল না। সেই ভীষণ বিপদে যেন ফেরেশতা ছাড়া কেউ আমাদের সমস্যা বুঝত না। এমন একটি সুন্দর জাতিকে আপনার মত লেখালেখি করে কি কেউ বদলাতে পারবে? :(

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হৃদি আপু!

আপনি অন্য একটি পোস্টে মন্তব্য করেছেন, সেটি সহ কিছু পুরোন পোস্টে অন্যদের মন্তব্য জমে আছে। আমার শরীর পুরোপুরি ঠিক না, তাই প্রতিউত্তরে দেরী হচ্ছে। নতুন পোস্টের পাশাপাশি পুরোন গুলোতেও হাত দিতে পারছি না। আশা করি কিছু মনে করবেন না। জলদিই দিয়ে দেব উত্তর।

যাই হোক, না আমি ভাবছি না যে আমার পোস্ট সমাজকে বদলে দেবে। আপনি যা বললেন তাই হবে। মানুষজন এই পোস্টে এসে অনেক বড় বড় কথা বলবে, শেষমেষ এই পোস্টের কাজগুলো নিজেরাই করবে। কিন্তু যদি একজন মানুষও পোস্টটি পড়তে পড়তে ভাবে, "আরেহ! আমি তো এসব কাউকে না কাউকে বলেছি! আমি কি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি কাউকে?" তাহলে আমি সার্থক। আর পোস্টে সেসব মানুষদেরকে ভালো ঝাড়ি দিয়েছি। আর কিছু না হোক, তারা তাদের প্রাপ্য কিছু তো পেলো। ;)

আর খুব জরুরি একটি পয়েন্ট তুলেছেন। আমি কারো কাছে কড়া কথা শুনে অন্যকে কিছু বলব, এবং সেই অন্যে আবার কাউকে বলবে। আসলেই এভাবেই চলে আসছে।

নিজের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে থ্যাংকস এ লটটট। এসবের সাথে অনেকেই রিলেট করতে পারবে। দুটো মানুষের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তিদের না আসাই ভালো। ঝগড়া করলে নিজেরাই মিটমাট করতে পারবে, এসব লোক এসে আরো বেশি তাঁতিয়ে দেয় পরিবেশ। নিজেদেরই সংসারের ঠিক থাকবেনা, কিন্তু অন্যদের পরামর্শ দিয়ে যাবে ঠিকই।
তবে আমার একজনের না হলেও, নানা জনের নানা লেখার আন্দোলন সমাজকে পাল্টাতে পারে। আমি বিশ্বাস করি কলমের বা এখন আধুনিক যুগের ভাষায় কিবোর্ডের এবং শিক্ষার শক্তিকে। সবসময় করব।

ভীষন সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
সকল শুভেচ্ছা রইল।

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৮

সোহানী বলেছেন: তুমি যখন দেশের বাইরে যাবা তখন এ সমস্যাগুলো অনেক বেশী প্রকট হয়ে উঠে। কারন তখন মানসিকতার পার্থক্যগুলো ধরতে পারবা। তবে দেশের বাইরে যেয়েই আমরা তুলশী পাতা হয়ে যাচ্ছি তা ও না। কিছু মানুষ তার জন্মগত স্বভাব পাল্টাতে পারে না। আমি এটাকে পুরোপুরি পারিবারিক বলবো। পরিবার থেকে যে শিক্ষা পেয়েছে তা কোনভাবেই বদলানো যায় না। হয়তো সাময়িক চাপা পড়ে থাকে কিন্তু সুযোগ বুঝে নোংরা চেহারাটাই বের হয়ে আসে।

আর যে সমস্যাগুলো বলছো তা যুগের পর যুগ ধরে একটি মেয়ে সহ্য করে যাচ্ছে। আবশ্য আমি এটাকে অনেকটা অর্থনৈতিক বা সামাজিকভাবে ব্যাখ্যা করি। কারন আমাদের মেয়েরা অর্থনৈতিক বা সামাজিকভাবে দূর্বল। তাই সহ্য ক্ষমতা তারা বাড়িয়েই চলছে। সে কারন্ই ফ্যামিলি ভায়োলেন্স এতোটা বেশী আমাদের দেশে।

যাহোক দুনিয়ার যাবতীয় দায়ভার মেয়েদের, দুনিয়ার যাবতীয় গন্জনা মেয়েদের, দুনিয়ার যাবতীয় দু:খের ভার মেয়েদের...... আমরা নিয়েছি, মা নিয়েছেন, দাদী/নানী নিয়েছেন, উনাদের মায়েরা নিয়েছেন........ এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ। হয়তো অনেকটা চেইন্জ হয়েছে কিন্তু সত্যিকারের পরিবর্তন এখনো অনেক দূর......

ভালো লাগলো তোমার পরিপক্ক চিন্তা ভাবনা দেখে। তোমরা নতুন প্রজন্ম অনেক কিছুই পারবে একদিন যা আমরা পারিনি........।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সোহানী আপু! পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল।

একদম, ঠিক আপু, প্রবাসী আংকেল আন্টিরাও কম না কিছুতে। এখন যেসব বললাম তা বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যেও দেখা যায়। পরিবারই আসলে এসবের মূল। ছোটকালে যেমন কোথাও না বুঝে বেফাঁস কিছু বলে ফেললে মা বলত, "ছি মা ওভাবে কাউকে বলতে হয়না, মানুষ মুখের না বললেও মনে কষ্ট পাবে।" সেখান থেকেই মনে গেঁথে গিয়েছিল যে মানুষকে কটু কথা বলে, খারাপ আচরণে কষ্ট দেওয়া অন্যায় ও পাপ কাজ। কিন্তু অনেক পরিবারে তো বড়রাই সবখানে মানুষকে উল্টাপাল্টা কথা বলে যায়। বাচ্চারা সেসব দেখে শেখে। ভেবে নেয় এটাই বোধহয় নিয়ম। আসলে পারিবারিক মূল্যবোধের চেয়ে বড় কিছু নেই।

শুধু আমাদের দেশ নয় পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে এমনকি উন্নত বিশ্বেও নারীদের ওপরে নানা ধরণের ভায়োলেন্স দেখা যায়। মাথা নিচু করে থাকা, বয়ফ্রেন্ডের মারধোর সহ্য করেও পরে থাকা মেয়ে আমি কানাডাতেও দেখেছি। হয়ত কম, কিন্তু আছে। আসলে ছোট থেকেই পুরুষের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, "তুমি পুরুষ, মন মেজাজ খারাপ হলে নারীদের অত্যাচার করো। শারীরিক ভাবে যেহেতু তারা দূর্বল পেরে উঠবে না। সমাজও তোমার সাথে আছে!" আর নারীদেরও সহ্য করার শিক্ষা দেওয়া হয়। ব্যাস কিছু কিছু পুরুষ এভাবেই জানোয়ার হয়ে ওঠে। আর মেয়েদের বড় সমস্যা, নিজেরাই নিজেদের ছোট করবে। গসিপ করবে।

আর শুধু নারী নয়, পুরুষদেরও নানা কথা শুনতে হয়। নারীর তুলনায় তা কম হলেও লেখায় তুলে এনেছি।

আমিও তাই বিশ্বাস করি আপু। আমাদের জেনারেশনটা যখন আংকেল আন্টি হবে অনেককিছু বদলে যাবে!

থ্যাংকস এ লট এমন সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে।
ভালো থাকবেন আপু।

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

দেশ আর বিদেশ আপনার চিন্তায় প্রভাব ফেলেছে। এদেশের যা কিছু ভাল মন্দ তাই মিলেই বাংলাদেশ! কানাডার বিশুদ্ধ নায়াগ্রা ফলস নয়, আমরা পদ্মা যমুনারর ঘোলা পানিতেই ভাসি, তবুও হাসি....

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই ভ্রমরের ডানা!

না বিদেশে থাকার জন্যে নয়, দেশে থাকলেও এমন ভাবনা আমার মাথায় কখনো না কখনো খেলত। লেখার টাইমেও আমার মাথায় আসেনি, যে কানাডিয়ানরা তো এভাবে বলে না, আমরা কেন বলি? কানাডা বা বিদেশের প্রশ্ন আসছে না, এটা শুধুই বাংলাদেশের ব্যাপার। আর আমার কথা বাদই দিন, আমি সেসব কথা বলেছি সেসব কথা নিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত মানুষেরাও তো প্রচুর লেখা লিখেছে। আমি কানাডার সাথে তুলনা করে লিখিনি। যা খারাপ তা খারাপ। বিদেশ না দেখলেও কমন সেন্স থাকা মানুষেরা বুঝবে সেটা।

আর নিজের দেশকে সবাই ভালোবাসে, আমিও। আর এজন্যেই কষ্ট হয়। আমার দেশের অসহায় মানুষেরা যতসব মেন্টাল কেসদের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে সুইসাইড পর্যন্ত করে বসে। সেটা বদলাতে হবে। ভালোবাসার আবেগে ভেসে দেশকে উন্নত করতে হবে, খারাপ দিকগুলো নিয়েও গৌরব করলে আমাদের দেশেরই ক্ষতি।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:০৭

স্বপ্ন কুহক বলেছেন: তিক্ত অভিজ্ঞতার লেখা পড়ে নিজের সাথে ঘটে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার ভেতর থেকে রিসেন্ট ঘটে যাওয়া একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ইচ্ছে করলো ।

এবার রমজানের ঈদের পর আমার দেবরের বাড়ীতে দাওয়াতে গেলাম সেখানে পূর্ব পরিচিত একজন ভাবী আমাকে দেখে বলতে থাকলো ভাবী আপনি এতোটা শুকিয়েছেন কেমন করে !! আপনাকে রোগা রোগা লাগছে ! উত্তরে আমি বললাম রোজা রেখেছিলাম তাই হবে। জবাবে সে আমাকে বলল রোজা তো আমরাও রেখেছি আমি তো শুকাইনি !

( মনে মনে বললাম --মর জালা! সে না শুকালে আমি কি করতে পারি !! ) এম্ন আরও অনেক আছে । তবে পুরুষের তুলনায় পুরুষতান্ত্রিক মহিলাগুলি ভয়ংকর হয়ে থাকে।

পরিপক্ক লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস এ লট মন্তব্যে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে। অনেকেরই মনের কথা তুলে ধরেছেন। এমনটা অনেকের সাথেই হয় ।

তবে পুরুষের তুলনায় পুরুষতান্ত্রিক মহিলাগুলি ভয়ংকর হয়ে থাকে।

আপনার এই কথায় +++++++! সহমত।

অসম্ভব সুন্দর একটি মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা, পোস্টের জন্যে একেবারে যথাযথ।
শুভকামনা সকল!

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
সুন্দর করে সত্য কথা গুলো লিখেছেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সত্য সুন্দরই হয়!

অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে। উৎসাহিত হলাম ভীষন।
পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকুন।

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কেউ কেউ আছে দেখা হলেই বলে- এই একটু আগে তোমার কথাই ভাবছিলাম। দেখা হওয়াতে ভালই হলো।

আসলে পুরোটাই মিথ্যে, বছরে একবার ফোনে হ্যালো পর্যন্ত বলেনা। আর বাস্তবে দেখা হলে বলে এসব কথা।

এ ধরণের বহু ঘটনা সমাজে রয়েছে।

আপনার প্রতিটি ঘটনাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, এমন অনেককে আমিও চিনি। বেশি আন্তরিকতা দেখাতে গিয়ে মিথ্যের পর মিথ্যে বলে যায়। যত্তসব!

হুমম আমি যা লিখেছি তার বাইরেও প্রচুর ঘটনা আছে। এ পোস্টের কমেন্টগুলোতে তেমন অনেককিছু উঠে এসেছে।

পাঠ ও সুন্দর একটি মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি যখন চাকরি করতাম, তখন আমার এক মুরুব্বী শ্রেনীর আত্মীয় আমার সাথে দেখা হলেই প্রথম যে প্রশ্নটি করতেন সেটা হলো, 'তুমি এখন কত বেতন পাও?'

প্রথম প্রথম বিরক্ত হলেও মুরুব্বী হিসাবে তার অবস্থানের কথা বিবেচনা করে কিছু বলতাম না। কত বেতন পাই, সেটা বলে দিতাম। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখলাম তিনি সভ্যতা ভব্যতার কিছুই জানেন না। ফলে একদিন আবার এই প্রশ্ন শুনে আমি বলেছিলাম, বেতন পাই না। বিনা বেতনে চাকরি করি।
সম্ভবত এতে তার হুঁশ হয়েছিল। পরে দেখা হলে আর এই প্রশ্ন করতেন না। মুরুব্বী এখনো বেঁচে আছেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই, পুনরায় আগমনের জন্যে ধন্যবাদ। মনটা খুশিতে ভরে উঠল।

আর খুব কমন একটি অভিজ্ঞতার গল্প বললেন। কাউকে তার বেতন জিজ্ঞেস করা ভদ্র মানুষের কাজ না। তাও আবার বারবার! আর আপনি যে উত্তর দিয়েছিলেন শেষে! জোশশশ! এসব মানুষকে হ্যান্ডেল করার এটাই একমাত্র উপায়।

আমার সকল শুভকামনা রইল আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্যে।

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন সামুপাগলা।ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মোস্তফা সোহেল!

ওয়েলকাম!

ভীষনভাবে উৎসাহিত হলাম মন্তব্যে। আপনাকেও তাই ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

১৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



হেই! বিশাল পরিপক্কতার ছাপ পুরো পোস্টজুড়ে! এতটা খাটনাখাটুনি (গবেষনা) -র জন্য শুধু ধন্যবাদ দেয়া কি মানায়?

শুভকামনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

আরেহ! এসব লিখতে গবেষনা করতে হয় নাকি? চোখের সামনে দেখেছি কত! ব্যাস সেসব অভিজ্ঞতা তুলে আনলাম, আর সমাজের নোংরা মন মানসিকতার মানুষদের ওপরে রাগ, ক্ষোভ ঝাড়লাম। এই আর কি!

না মানায় না, ভালো ভালো খাবার দাবার ও দেয়া উচিৎ ছিল! ;)
শুভকামনা সকল!

১৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

মৌরি হক দোলা বলেছেন: আপু, আগে বলুন কেমন আছেন?

৩ নং পয়েন্টটা.......মানে কি বলব! বর্তমানে কোনোভাবে ৫.০০ পেলেই সে ভালো ছাত্র, সব জানে। আর দুর্ভাগ্যবশত কোনোভাবে ৪.৯৯ এলেই আর সে কিচ্ছু জানে না। কিচ্ছু পড়েও না। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যে সবাইকেই কোনো না কোনো বিশেষ গুণ উপহার দিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, তার মূল্যায়ন করার কথা কারো মনেও আসে না। তাই প্রথাগত শিক্ষা আর সার্টিফিকেটের পেছনে দৌড়াতে হয় সবাইকেই। সেই সার্টিফিকেট না হলে একজন মানুষের যত দক্ষতাই থাকুক না কেন তার মূল্যায়ন সহজে পাওয়া সম্ভব হয় না সাধারণত। তখন একটা কথাই বলবে.... ‘সবাই রবীন্দ্র-নজরুল হয় না!’ হা.....হা....

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মৌরি আপু! কতদিন পরে!

আমি মোটামুটি, শরীর টা কদিন খারাপ যাচ্ছে।

যাই হোক, তোমার খবর বলো। কেমন আছ?

সৃষ্টিকর্তা যে সবাইকেই কোনো না কোনো বিশেষ গুণ উপহার দিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, তার মূল্যায়ন করার কথা কারো মনেও আসে না।
হ্যাঁ এক্স্যাক্টলি! সবার পক্ষে কি পড়াশোনায় ভালো হওয়া সম্ভব? সবাই যেমন গান, নাচ জানে না, তেমন কারো কারো পড়ার মেধা কম হয়। কারো একদিকে না থাকলে অন্যদিকে থাকে। আমি বলছিনা যে পড়াশোনা করতে হবেনা, যেকোন অবস্থাতেই পড়তে হবে। তবে সবাইকে যেভাবে ভালো মার্কের জন্যে প্রেশার দেওয়া হয়, শিশুকাল ও কৈশোরকালটা মেরে ফেলা হয়, সেটাকে আমি সাপোর্ট করতে পারিনা।

পাঠ ও ভীষন সুন্দর মন্তব্যের জন্যে থ্যাংকস তোমাকে।
ভালো থেকো।

১৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা চমৎকার বিষয়ের উপর লিখেছেন। সাধারণ ভাবে আমাদের রুচিবোধ মার্জিত সীমারেখা থেকে অনেক নীচে অবস্থিত। এটা শিক্ষিত (তথাকথিত) সমাজেই বেশি পরিলক্ষিত হয়, কারণ, শিক্ষিতদের মধ্যে পরশ্রীকাতরতা, অহংবোধ, সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স বেশি। এজন্য অন্যকে দাবিয়ে রাখার প্রবণতা থেকে এ ধরনের বাচনভঙ্গি প্রকাশিত হতে থাকে। একজন সাধারণ খেটে খাওয়া, নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে খুব আন্তরিক, সারল্যপূর্ণ কথাবার্তা, যেখানে কোনো ভণিতা নাই।

মানুষ যত সভ্যদের সাথে মিশবে, তার রুচিবোধ, ব্যক্তিত্ব, তত দীপ্ত, তীক্ষ্ণ ও মার্জিত হতে থাকবে, লোহা যেমন পরশ পাথরের সাথে মিশে সোনা হয়ে যায়।

আমাদের ব্লগারদের মধ্যেও সেই আলোর মানুষ দেখবো, এই কামনা থাকবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শিক্ষিতই শুধু নয়, আমি বিশ্বাস করি যে গ্রামের অশিক্ষিত মানুষদের মধ্যেও লেখার ঘটনাগুলো দেখা যায় এবং আরো প্রকট আকারে। আসলে আমাদের সংস্কৃতির সাথে এসব জড়িয়ে গেছে এমনভাবে যে এমন কুরূচিপূর্ণ ব্যাপারগুলো সবার সয়ে গেছে। কেউ এসব কথা বলার আগে বা সময়ে বুঝতে পারে না যে কতটা নিচু মন মানসিকতার পরিচয় তারা দিচ্ছেন!

বাহ সুন্দর করে বললেন! একই কামনা আমিও করি। সমাজকে আলো দেখানোর জন্যে আলোর মানুষদের খুব দরকার, বিশেষত তাদের মধ্যে যারা লেখালেখির সাথে যুক্ত। কলমের যে বড় শক্তি!

পাঠ ও অসাধারণ একটি মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা সকল।

১৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ৭ নম্বরের কথাটা সুন্দর বলেছেন।
আমার এক ফুফুর সাম্প্রতি ডিভোর্স হয়েছে। যার সাথে বিয়ে হয়েছিল, সে নেশা করত। অথচ এখন নিজের কাছে আত্মীয়দের কথা শুনলেই মনে হয়, ছেলেটার নেশা করার চেয়ে বড় দোষ করেছে সেই, তাকে ছেড়ে এসে।
মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। জীবন একটা। এ জগতে কেউই মুখ বুজে কষ্ট সহ্য করার জন্য আসেনি।
বাকি পয়েন্টগুলোর সাথেও পুরোপুরি একমত

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা! পুরুষমানুষ একটু আকটু নেশা করবে, মেয়েমানুষের কাছে যাবে তাতে মেয়ে মানুষের এত দেমাগ দেখানোর কি আছে? স্বামীই হচ্ছর স্বর্গ। জান্নাতে গেলেও সেই স্বামীই হবে সংগী। আর তাকেই কিনা ছেড়ে দিল? নিশ্চই চরিত্র খারাপ ছিল। দুশ্চরিত্রা নারীরাই এমন করে।
ওপরের সবগুলো কথা একজন ডিভোর্সি নারীকে অহরহ শুনতে হয়। আর যারা বলেন তাদের অধিংকাশই নারী, অনেকে এমন নারী যারা স্বামীর কাছে নির্যাতিতও হন! তাদের ভাবনা হচ্ছে আমি যদি সাহস শক্তি না করি প্রতিবাদ করার, অন্যকোন নারীকে করতে দেব না! যতসব অমানুষের দল।

আপনার ফুপুকে সম্মান জানাই, এমন সমাজেও মাথা উঁচু করে বাঁচার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সুন্দর মন্তব্য এবং একমত পোষণে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

২০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

পুলক ঢালী বলেছেন: তোমার পোষ্ট পড়ে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিনা। এই স্বভাব বা অভ্যাস গুলি আমাদের অস্তিমজ্জ্বায় মিশে আছে। আমরা এত অভ্যস্ত যে চোখে আঙ্গুল দিয়ে না দেখিয়ে দিলে অসঙ্গতি গুলি বুঝতেই পারিনা। :D তবে কোনো কোনো বিষয় অসঙ্গত অথবা অসঙ্গত নয় তা ব্যাক্তি বিশেষের মানসিকতার উপরও নির্ভর করে। যাই হোক আচার আচরনে সচেতনতা মূলক পোষ্ট নিশ্চয়ই অনেককে সচেতন ও সংশোধন হতে সহায়তা করবে। (আমি আমার আচরন লইয়া ভীষন ভাবনা চিন্তায় পড়িয়া গেলাম :D =p~ )

অঃটঃ তুমি ভালো এবং সুস্থ্য আছো তো ?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই পুলক ভাই!

অনেক ধন্যবাদ খোঁজ নিতে আসার জন্যে। না আমি পুরোপুরি সুস্থ্য না, আমার এই এক সমস্যা। একবার রোগে ধরলে ছাড়তে চায় না সহজে। কদিন পরে পরে হামলা করে। আজকাল সেজন্যে ব্লগে বেশি সময় দিতে পারিনা। ব্যাস নিজের অর্ধপূর্ণ কিছু লেখা শেষ করে পোস্ট করে দিচ্ছি। টুকটাক মন্তব্যের উত্তর দেবার চেষ্টা করছি ধীরে ধীরে। কাজ শেষ করেই চলে যাচ্ছি সেজন্যে আড্ডাঘরে ইরেগুলার।

যাই হোক, পোস্টের ব্যাপারে বলি।

এই স্বভাব বা অভ্যাস গুলি আমাদের অস্তিমজ্জ্বায় মিশে আছে। আমরা এত অভ্যস্ত যে চোখে আঙ্গুল দিয়ে না দেখিয়ে দিলে অসঙ্গতি গুলি বুঝতেই পারিনা।

সহমত। অনেকে তো বোঝালেও বুঝতে চায়না। তাদের ভাবটা এমন আমরা যাকে ইচ্ছা যখন তখন অপমান করব, এবং মানুষজন মুখ বুঝে সহ্য করবে! কি আর বলব এদের!

পাঠ ও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

২১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ৭ নং পয়েন্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেসব মেয়েদের ডিভোর্সের খুবই দরকার তারা কথার ভয়ে সমাজের ভয়ে তা করতে পারেনা। করুণ একটা জীবন কাটাতে হয় অসভ্য লোকের সাথে। এই উপমহাদেশটা কেমন যেন। বেতন কত, দেখা হলে কোথায় যাও- এই দুইটা প্রশ্ন খুবই বিশ্রী লাগে। তাই কাওকেই করি না। আশা করি আপনার দিনকাল আনন্দের সাথেই যাচ্ছে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ! আপনি কতদিন পরে! কেমন আছেন? আশা করি ভালো।

আপনার মতো ভাবনা আরো অনেকেরই দরকার। কি সুন্দর করে বাস্তব কথাগুলো বললেন। সমাজের অমানুষেরাই পারে একটি মেয়ের পুরো জীবন নষ্ট করতে নানা কটু ও তিক্ত অভিজ্ঞতার ভয় দেখিয়ে।

হাহা, গুড ওয়ান! দেখা হলেই কোথায় যাও এমনটা অনেকেই বলে। যেখানে যাবেন সেখানে কেন কার সাথে যাচ্ছেন সেই ইতিহাসও জানতে চাইবে! কিছু কিছু মানুষ আছে কথা জমাতে পারলে ছাড়তেই চায়না, ওদিকে আবার যে কোথাও যাচ্ছে তাকে লেটও করিয়ে দেয়! হায়রে মানুষ!

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!

২২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

পুলক ঢালী বলেছেন: আরেকটা কথা মনে এলো তাই ফিরে এলাম। আমরা বাংলাদেশে যতটুকু না মানসিক ভাবে সংকীর্ন তারচেয়ে প্রবাসে বসবাসকারী যে কয়েকটা বাঙ্গালী কমিউনিটি দেখেছি তাদেরকে বেশী সংকীর্ন মনে হয়েছে(তাদেরকে নিজের কমিউনিটির মধ্যে আইসলেটেড মনে হয়েছে) কারন হিসাবে আমার মনে হয়েছে তারা সেই দেশের মূল সোস্যাল স্ট্রীমে ঢুকতে পারছেনা কারন সেই দেশের মানুষের চরিত্র নিয়ে জন্মগ্রহন করেনি বাঙ্গালী মানসিকতা নিয়ে ভিন্ন সংস্কৃতিতে বসবাসের দ্বন্দই এর কারন হতে পারে, তবে ছেলে মেয়ে যারা ওদেশে জন্মেছে তাদের মানসিকধারা ওদেশের সংস্কৃতির সাথে দ্বন্দমূলক নয় বরঞ্চ বাবা মায়ের মনসিকতার সাথে ছেলে মেয়েদের দ্বন্দ দেখা যায়। :D
এদের মানসিকতায় নারী পুরুষ নির্বিশেষে নিজেদের কমিউনিটির মানুষের প্রতি তীব্র সমালোচনা মূলক মনোভাবের প্রকাশ দেখা যায়। ছোট ছোট কমিউনিটির মধ্যে এমন অন্তর্দ্বন্দ আমাকে অবাক করেছে। :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পুলস বেরাদার, এবারের মন্তব্যটি আগের চেয়েও সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ পুনরায় ফিরে আসার জন্যে।

আমিও বিষয়টি অনুভব করেছি। আপনার অবসারভেশন এবং এনালাইস ঠিকই আছে। ভালো খারাপ সবখানেই আছে। সবার জন্যে কথাগুলো অবশ্যই খাটেনা। এখানেও স্ট্রং, ইউনাইটেড বাংলাদেশী কমিউনিটি রয়েছে। তবে খারাপ যারা তাদের ব্যাপারে বলি।

ওপরে একজন কমেন্টে বলেছেন ভালো খারাপ মিলিয়েই বাংলাদেশ। আসলেই তাই। বাংলাদেশে খারাপ যেমন আছে, জাতিগত ভাবে ভালো অনেক কিছুও আছে। কানাডা বা অন্য যেকোন দেশের জন্যেও সেটা ঠিক। প্রতিটি জাতি নিজের মতো। কিন্তু প্রবাসীরা যে আসলে কোন কালচারের আমি সেটা ধরে উঠতে পারিনা। কেমন যেন গোলমেলে মনে হয় তাদের স্বভাব। বেশিরভাগই দুটো কালচারের প্রভাবে খিচুড়ি হয়ে যান। ইংরেজদের সামনে বাইরে নিজেকে কানাডিয়ান বা যে দেশে আছেন তেমন দেখাবেন, বাংলাদেশকে ব্যাংলাদেশ বলা শুরু করে দেবেন। আবার ভেতরের বাংলাদেশী সত্ত্বাকেও পুরোপুরি ছাড়তে পারেন না। মন ও মস্তিষ্কের যুদ্ধ চলে মনে। যেমন একবার ভাবেন সন্তানকে দেশে নিয়ে দেশীয় কালচারে বড় করবেন, আবার ভাবেন যে দেশে তো সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তার অভাব; বিদেশী কালচারই সই। সবসময় দোটানায় ভোগেন সবকিছু নিয়ে। একধরণের হীনমন্যতা এবং অস্থিরতা তাদেরকে ঘিরে ফেলে।

যখন মানুষ নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেনা, অন্যদের ওপরে রাগ ঝাড়ে। যখন দেখেন কেউ পুরোপুরি বিদেশে কালচারে মিশে গেছে, রেগে যান। আবার যখন দেখেন কেউ পুরোপুরি দেশী কালচার রক্ষা করে চলছেন সেখানেও উপদেশের ঝুড়ি খুলে বসেন। নিজের মনে তো শান্তি নেই, তাই অন্যদের বিরক্ত করে বেড়ান।
এভাবেই তিনটি গ্রুপ হয়ে যায়। দেশী, বিদেশী, আর মাঝামাঝি। আর সেসব গ্রুপ পরে রাজনীতি ও খেলার ভিত্তিতে ভাগ হয়ে যায়। সেই ভাগ হওয়া গ্রুপগুলো চাকরি, ব্যাবসায় সাফল্যের ভিত্তিতে ভাগ হন। সবশেষে নিত্যদিনের ছোটখাট মনোমালিন্যে আবারো ভাগ হয়। এভাবে ভাগ হতে হতে এক গ্রুপে বেশি মানুষ অবশিষ্ট থাকেনা। অনেকসময় একাই একটি গ্রুপ! আর এক গ্রুপের মানুষ অন্য গ্রুপের মানুষে চেহারাও দেখে না। বাংলাদেশে বিশ্বকাপের পরে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার মানুষ এক হতে পারে সব ভুলে, কেননা সবাই মানসিকভাবে স্থির ও স্বাভাবিক। কিন্তু প্রবাসে মুখ দেখাদেখি বন্ধ তো বন্ধ! ডান!

একবার এক ভারতীয় কলিগ বাবাকে বলেছিল, "তোমরা বাংলাদেশীরা মিলেমিশে থাকো না তেমন!" হাসতে হাসতে বলেছিলেন তবে বাস্তব। ভারতীয় বিশেষত শিখরা আঠার মতো লেগে থাকে। আর আমরা কি করি তা তো বললামই।

যাই হোক, আমরা এমনই, সেটা বলা ছাড়া আর কোন উপায় দেখিনা। আশা করি, উন্নতি হবে মন মানসিকতার।

২৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৫

রাফা বলেছেন: হুমমম...... কথাগুলো বাস্তবতার নিরিখে সত্য হোলেও উল্টো চিত্রও আছে আমাদের সমাজেই।আপনার লেখাতেও সেটা উল্লেখ করেছেন।এটার সমাধান খুবই সহজ আত্ম-উপলব্দী ,আত্ম-সমালোচনা, বিবেক ও নিজের বোধ‘কে জাগ্রত করা ।এই সদিচ্ছগুলো দিয়েই বদলে দিতে পারি সমাজ ও রাষ্ট্রকে। শুরুটা হতে হবে পরিবার থেকেই।

ধন্যবাদ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ! ভীষন সুন্দর মন্তব্য করলেন অল্প কথায়। প্রতিটি পয়েন্টের সাথে একমত।

এটার সমাধান খুবই সহজ আত্ম-উপলব্দী ,আত্ম-সমালোচনা, বিবেক ও নিজের বোধ‘কে জাগ্রত করা ।এই সদিচ্ছগুলো দিয়েই বদলে দিতে পারি সমাজ ও রাষ্ট্রকে। শুরুটা হতে হবে পরিবার থেকেই।

এড করার কিছু খুঁজে পাচ্ছিনা। মনেরই কথা। নিজেকে আগে সমালোচনা করা শিখতে হবে, নিজের চড়কায় তেল দিতে হবে। অন্যরা কি করছে সেটা বিচারের দায় আমার না সেই মানসিকতা রাখতে হবে।

থ্যাংকস এ লট মন্তব্যের জন্যে।
শুভকামনা।

২৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: আরেহ পাগলী খুব ভালো কয়েকটা পয়েন্ট তুলে এনেছো। এ পয়েন্টগুলো এমন মানুষগুলোর বাসায় বাসায় গিয়ে টাঙ্গানো উচিৎ। অবশ্য বলে কি লাভ! আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের চরিত্রই এমন!
ভালো আছো আশা করি।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সায়মা আপু! তোমার মন্তব্যটা এতদিন আমার চোখেই পড়েনি। আজ এই পোস্টের আরেকটি পার্টের জন্যে লিংক এড করতে গিয়ে খেয়াল করলাম। সরিইইই ফর লেট রিপ্লাই।

খুব ভালো একটা আইডিয়া দিয়েছো। এমন মানুষ খুঁজে খুঁজে তাদের বাসায় টাঙ্গানো যেতে পারে, আবার রাস্তাঘাটে তাদের গলায় ঝুলানোও যেতে পারে। এধরণের মানুষেরা অনেকের সুইসাইডের কারণ হন। এদের কথা ও কাজ আসলে লাইটলি এভয়েড করার মতো কিছু না, বরং উচিৎ জবাব দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।

হ্যাঁ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি, তুমি আর দুলাভাইও ভালো আছ নিশ্চই?
ভালো থেকো।

২৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩১

অজানিতা বলেছেন: সহমত আপু।
ধন্যবাদ লেখার জন্য।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সহমত প্রকাশে ধন্যবাদ।
মোস্ট ওয়েলকাম।

ভীষন ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.