নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৬ টি চরম ক্ষতিকর জিনিস যা আপনার বাচ্চা স্কুলজীবনে শিখছে। বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সচেতন করুন তাকে এখনই!

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৬

পূর্বের পর্বে বলেছিলাম যে বাকি তিনটি নিয়ে ফিরব। আজকে কথা রাখতে চলে এলাম। এ পর্বেও জরুরি সব বিষয় তুলে আনার চেষ্টা করেছি সবাই মিলে ডিসকাস করার জন্যে।

পূর্বের পর্বের লিংক: ৬ টি চরম ক্ষতিকর জিনিস যা আপনার বাচ্চা স্কুলজীবনে শিখছে। বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সচেতন করুন তাকে এখনই!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

৪) বুলি করা!

এটা মারাত্মক এক সমস্যা। প্রতি স্কুলেই কিছু বাচ্চা থাকে যারা বস গোত্রীয়, তাদের কাজ নতুন অথবা শারিরীক/মানসিক/অর্থনৈতিক/পড়াশোনায় দূর্বল শিক্ষার্থীদের ওপরে চোটপাট করা। অনেক সময়ে বাচ্চারা এসব ভয়ে স্কুলে যেতে চায়না, এমনকি সুইসাইড পর্যন্ত করে অত্যাধিক মেন্টাল স্ট্রেসে।
এজন্যে বিশ্বের নানা দেশে স্কুল বুলিং, সাইবার বুলিং বিষয়ক অনেক কর্মসূচি হয়। এটা একধরণের ক্রাইম। প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে এ ব্যাপার।

১) আপনার বাচ্চা মনমরা হয়ে থাকলে তার কাছে জানতে চান ব্যাপার কি। অনেকসময় ভয়ে এবং লজ্জায় বাচ্চারা এসব বিষয় শেয়ার করতে চায়না। সে সন্দেহজনকভাবে প্রাণহীন হয়ে পড়লে এবং কোনকিছু শেয়ার করতে না চাইলে তার শিক্ষকের সাথে কথা বলুন।

২) আপনার বাচ্চা নিজে কাউকে বুলি করছে কিনা, বা তেমন গ্রুপে যোগ দিয়েছে কিনা সেই ব্যাপারেও খোঁজ খবর রাখুন। ছোটবেলা থেকে দূর্বলের ওপরে অত্যাচারের অভ্যাসটা যেন তার মধ্যে গড়ে না ওঠে। তাছাড়া খারাপ সার্কেলে মিশে নানা ধরণের বাজে কাজে জড়িয়ে পড়বে। হয়ত বড় হবার পরেও নিজেকে শুধরাতে পারবেনা।

৩) মনে রাখবেন স্কুলে সে আলাদা আলাদা পরিবারের ছেলে মেয়েদের সাথে মিশছে। কারো কারো পরিবারে সঠিক মূল্যবোধ গঠনের মতো অভিভাবক নাও থাকতে পারে। মাঝেমাঝে আপনার বাচ্চার বন্ধুদেরকে বাড়িতে দাওয়াত করুন। খেলুন বাচ্চার বন্ধুদের সাথেও। মিশে যান এবং তার ফ্রেন্ড সার্কেলটা কেমন সেটা ভালোভাবে জেনে নিন। সে যার সাথে যেভাবে মিশবে তাই শিখবে। তাই সে কার সাথে কিভাবে মিশছে, প্রভাবিত হচ্ছে সে ব্যাপারে আপনাকে নজর রাখতে হবে।

আমাকে ছোটবেলায় মা কোনকিছু করতে মানা করলে, আমি উদাহরণ দিতাম, "মাআআআ লামিয়া তো এমন করে, মেঘাও এমনি, আমি করলে সমস্যা কি?" মা বলত, "ওদের মা আর তোমার মা এক না, আমি যা শিখাচ্ছি সেই মোতাবেক চলবে!"

আপনার সন্তানকে বুঝিয়ে দিন অন্ধভাবে তার বন্ধুদের ফলো যেন সে না করে। সবাই এক হয়না, যতজনের সাথেই মিশুক তাকে তার পরিবারের আদর্শমতো চলতে হবে সেটা তার মনে গেঁথে দিন। তাহলে কৈশোর, তারুণ্যেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন সন্তানকে নিয়ে।

৪) প্রচুর গল্প করুন আপনার বাচ্চার সাথে। আপনি সন্ধ্যা থেকে রাত একটার পর একটা সিরিয়াল দেখে যাচ্ছেন বা অফিস থেকে এসেই ফাইলপত্র ও হিসাবযন্ত্র নিয়ে বসে থাকছেন, সন্তানের দিকে হয়ত কোন খেয়াল নেই। "ও তো নিজ ঘরে পড়ছে/ভিডিও গেমস খেলেছে, আমার আর কি দরকার?" এমনটা প্লিজ ভাববেন না। আপনাকেই ওর সবচেয়ে বেশি দরকার। আপনিই যেন হন ওর বেস্ট ফ্রেন্ড!

৫) প্রেম পিরিতি!

আপনার সন্তান স্কুলে অনেকের সাথে মিশবে। বন্ধুত্ব করবে পড়াশোনার খাতিরে। একদম ঠিক আছে।
তবে ক্লাস ৫ এর বাচ্চারাও অনেক সময় প্রেমে জড়িয়ে পড়ে! নিশ্চই সেটা কোন কাজের কথা না। সবকিছুরই একটা বয়স থাকে। নিজেকেই যে বয়সে মানুষ ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেনা, তখন অন্য একজনকে বোঝার দায়িত্ব নেবার মানে নেই। সেসময়ে প্রেমে জড়ালে আবেগে ভেসে পড়াশোনা এবং সর্বোপরি জীবনের ক্ষতি বৈ কিছুই হবেনা। ভূগোলের ম্যাপ না এঁকে প্রেমিকার চুল আঁকবে, শ্রমের মর্যাদা নিয়ে রচনা না লিখে প্রেমিকের মর্যাদা নিয়ে রচনা লিখবে। এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে পরিবারকে এবং স্কুলকেও।

একটা সময়ে ছোটরা শুধু ছোটদের অনুষ্ঠানই দেখত। এখন আর তা নয়। ছোট ছোট বাচ্চাও বাবা মায়ের সাথে বসে হিন্দি সিরিয়ালের কুটনামি দেখছে আর বলিউড মুভির রোমান্টিক সব গান আওড়াচ্ছে। এদিকটায় আসলে কারো কোন নজর নেই। এভাবে ছোট বয়সেই তার মনেও রোমান্টিক ভাবের উদয় হয়! স্কুলে বেঞ্চের নিচে প্রেমপত্র চালাচালি করে ভুল বানানে। আপাতদৃষ্টিতে সুইট মনে হলেও আসলে এর পরিণতি খুব একটা ভালো সচরাচর হয়না।

১) এটা আটকাতে বিনোদনের জন্যে বাচ্চাদেরকে তাদের বয়স অনুযায়ী কাজে উৎসাহিত করতে হবে। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার প্রোপার রেস্ট্রিকশন থাকতে হবে। "ভাবী জানেনন, আমার বাচ্চা এইটুক বয়সে ফেসবুক এক্সপার্ট" বলে গর্ব করার কিছু নেই। বয়সের আগে কোনকিছু হাতে দেবেন না বাচ্চার হাতে। সে নেটে কি দেখছে সেই দিকে নজর রাখুন।

২) ফোন ও কম্পিউটারে ভিডিও গেমস নয়, মাঝেমাঝে কাছের পার্কে দৌড় করিয়ে আনুন। আপনার আশেপাশে মাঠ না থাকলে ঘরের মধ্যেই ব্যাট বল খেলতে উৎসাহ দিন। পড়ার মতো নিয়ম করে খেলতে বলুন।

৩) শিশুদের জন্যে প্রচুর ভালো ভালো শিক্ষনীয় কার্টুন, এনিমেটেড মুভি তৈরি হয়। সেসব দেখুন তার সাথে বসে।

আমাদের পরিবারের পরিচিত এক ব্রাজিলিয়ান আছে, তিনটি কিউট বাচ্চার বাবা। তিনি গল্প করতে করতে বলছিলেন একদিন, "কতদিন যে বড়দের কোন অনুষ্ঠান দেখিনা!" তিনি সারাদিন কাজ শেষে বাড়িতে এসে বাচ্চাদের সাথে ইউটিউবে ছোটদের প্রোগ্রাম দেখেন।
এটাই সঠিক। বাচ্চাদেরকে পাশে বসিয়ে হা করে রোমান্টিক সিন দেখবেন আর তারা আমের মতো লাল টুসটুসে হয়ে পেকে যাবে না সেটা কিভাবে আশা করেন? বাচ্চাদের ধারণক্ষমতা মারাত্মক এটা কখনো ভুলবেন না। "ওরা বাচ্চা, ওরা তো কিছু বুঝবেনা" এটাই বড়দের সবচেয়ে বড় ভুল। ওরা যা বোঝে তা বরং আপনিও বুঝবেন না।

৪) মনে রাখবেন, এসব ব্যাপারে যত লুকানোর চেষ্টা করবেন ততো ক্ষতি। যে মুহূর্তে মানা করবেন অপোজিট সেক্সের সাথে মিশতে, সেই মুহূর্তে তার কৌতুহল বেড়ে যাবে। নানা উল্টাপাল্টা সোর্স থেকে এসব বিষয়ে জানার চেষ্টা করবে এবং ভুলভাল ধারণায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আসলে খোলামেলা আলোচনা ছাড়া কোন গতি নেই।

আমার এখনো মনে আছে যখন ৭ বা ৮ এ উঠেছিলাম, আমাদের বাংলা টিচার বলেছিলেন, প্রেম করলে ভার্সিটিতে, এখানে যেন কারো নামে বদনাম না শুনি! আমরা মেয়েরা সব লজ্জায় মুখ ঢাকছিলাম তার কথায়। প্রেম যে বড় লজ্জায় বিষয়! হাহা।

তবে আজকালকার যুগে আরো আগেই বাচ্চাদের সাথে এসব নিয়ে কথা বলা উচিৎ। তারা এসব বুঝিবে না ভাবিয়া ভুল করিবেন না। বরং তাহারা ডিজিটাল বাচ্চা, তাহাদের মগজ বড়দের চাইতেও অধিকগুণে পরিপক্ক এসব ব্যাপারে! ;) অল্প বয়সে প্রেমে জড়িয়ে যাবার খারাপ দিকগুলোর ব্যাপারে তাদেরকে সাবধান করুন। ছোট বয়সে প্রেম করে জীবনের ক্ষতি করেছে এমন ছেলেমেয়েদের উদাহরণ দিন। অপোজিট সেক্সের সাথে সুস্থ বন্ধুত্বে এবং সম্মানজনক আচরণে উৎসাহ দিন।


৬) পড়াশোনা পড়াশোনা পড়াশোনা!


আপনার বাচ্চা কি ভোরে বেড়িয়ে যায় ব্যাচ টিউটরের জন্যে? তারপরে দুপুরে স্কুল শেষ করে দৌড়ায় কোচিং এ? বিকেলে বাড়িতে এসে হাত মুখ ঠিকভাবে ধোবার আগেই চলে আসে টিউটর? স্কুল, কোচিং, টিউটরের একই বিষয়ের আলাদা আলাদা হোমওয়ার্ক করতে করতে কি তার রাত একটা বাজে? আবারো সেই ভোরে উঠে একই রুটিন?

আপনি কি বুঝতে পারছেন পুরো ব্যাপারটি কত অমানবিক? একজন শিশুর জীবন এমন হতে পারেনা। শুধু শিশু কেন, বড়দেরও দৈনিক কিছু ঘন্টা বিনোদনের দরকার হয়। স্কুলে ১০০ টা বাচ্চার মধ্যে অনেককিছু বুঝতে পারেনা বাচ্চা। এজন্যে কোচিং বা টিউটরদের দিকে হাত বাড়ায় অভিভাবকেরা। ঠিক আছে। কিন্তু আমি কখনোই বুঝতে পারিনা কোচিং, প্রাইভেট টিউটর, ব্যাচ টিউটর সব একসাথে কেন লাগে?

১) কোচিং, বা ব্যাচে অল্প বাচ্চার মধ্যে যদি আপনার বাচ্চা বোঝে তো ভালো, সেটাই যথেষ্ট। আর তা নাহলে জাস্ট প্রাইভেট টিউটর রেখে দিন। এইটুক এইটুক বাচ্চাদের সমাজের এক টিউটর, অংকের আরেক। কেননা অংকের শিক্ষক সমাজ শেখায় না। মানে কি? সব সাবজেক্টেই টিউটর লাগবেই, নাহলে স্ট্যাটাস থাকবেনা এমন একটা ভাব যেন সবার মাঝে। সমাজ, ধর্মের মতো বিষয়গুলো একটু মন দিয়ে পড়লে বোঝার কথা। না বুঝলে আপনিই ওকে বুঝিয়ে দিতে পারেন। যদি আপনার বাচ্চা অংক, বিজ্ঞানে দূর্বল না হয়, স্কুল একবার বোঝানো মাত্র ধরে ফেলে তবে সেসবের টিউটরেরও প্রয়োজন নেই। যে বিষয়ে আপনার সন্তান দূর্বল শুধু সেই বিষয়ের জন্যে টিউটর রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয়ে আপনি নিজেই তাকে পড়ালে। এতে করে কিছু সময় দিতে পারবেন নিজের সন্তানকে আর বাচ্চাটিকে খাওয়া শেষ না করেই টিউটরের কাছে দৌড়াতে হবেনা।

২) নিজের সন্তানের প্রয়োজন বুঝুন দয়া করে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলার বা সৃষ্টিশীল কিছুর দিকেও নজর দিতে বলুন তাকে। সে যেন কিছু একটা করে জীবনে দাড়াতে পারে সেটা দেখাই তো আপনার দায়িত্ব। সেটা পড়াশোনাই হতে হবে এমনকোন কথা নেই। সবাই পড়াশোনায় ভালো হয়না, কেউ কেউ অন্য প্রতিভা নিয়ে জন্মায়। ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে তার শৈশব, কৈশোর কে হত্যা করবেন না। মনে রাখবেন, জীবন একটাই। এখানে হাসি, আনন্দ, বিনোদের প্রয়োজন রয়েছে।
আর বাচ্চার মার্কের কথা কি শুধু ওর জন্যেই ভাবেন? নাকি পাশের বাড়ির ভাবী, অফিস কলিগের বাচ্চার মতো রেজাল্ট না করলে মুখ দেখাতে পারবেন না সেই ভাবনা কাজ করে? ড্রাইভারের সন্তান গোল্ডেন পেল, আপনারটা ডায়ামন্ড না পেলে তো নাক কাটা যাবে। সেজন্যে দিনে চৌদ্দবার বাচ্চাকে চাপ দিচ্ছেন, ড্রাইভারের বাচ্চার কোন সুযোগ সুবিধা নেই, তার পেছনে আপনি অনেক টাকা ঢালছেন কিন্তু সে কিছুই করতে পারছে না এসব বলে তাকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছেন ভেতর থেকে। আপনার এমন আচরণে সে হীনমন্যতায় ভুগে আরো জেদী, বদমেজাজী হয়ে যাবে এবং একসময়ে হাতের বাইরে চলে যাবে। দয়া করে নিজ স্বার্থে নয়, বাচ্চার সুখের কথা ভেবে তাকে মানুষ করুন। তাহলে আপনার সাথে তার সম্পর্কে তিক্ততা আসবেনা কখনো।

পাখিকে মাছের মতো সাঁতার কাটতে বলবেন না দয়া করে, তার জন্মই যে মুক্ত আকাশে ওড়ার জন্যে!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আমি পোস্টে যেসব ভুলের কথা বলেছি তা অনেক বাবা মা ও শিক্ষক করে থাকেন। আশা করি এই পোস্টটি কারো না কারো চোখ অন্তত খুলবে। আমি জানি স্রোতের বিপরীতে চলার কথা বলছি। আজকালকার যুগে এমন বাবা মা, পরিবার হওয়া কঠিন। কিন্তু নিজের সন্তানের সুখ এবং দেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যে ধীরে ধীরে এসব পরিবর্তন আমাদেরকে আনতেই হবে।

পূর্বের পোস্টে অসাধারণ সব মন্তব্যে এসেছে। আমি প্রতিমন্তব্যে তো ধন্যবাদ দিয়েছিই, আবারো দিচ্ছি। আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ, গোছালো মতামতের কারণে পোস্টের মান বাড়ে। থ্যাংকস এ লট! :)

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: উপকারী পোস্ট, ভালো হলো জেনে।

বাবা মা'ই সন্তানের বড় বন্ধু হতে পারলে আর কোন সমস্যা থাকেনা।

আমি ছেলের সাথে বসে কার্টুন দেখি হা হা হা ছেলের মা বিরক্ত হলেও আমার কার্টুন ভালো লাগে, মটুপাতলু তো আমারও খুব প্রিয় কার্টুন

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই নয়নসাহেব! আপনাকে পোস্টে পেয়ে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ। কারো উপকারে লাগলেই পোস্ট সার্থক।

বাবা মা'ই সন্তানের বড় বন্ধু হতে পারলে আর কোন সমস্যা থাকেনা।
এক্স্যাক্টলি। এটাই আসল কথা।

আপনজনদের নিয়ে ভালো থাকুন।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ২য় হলাম

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা! কংগ্রাটস ভাই। :)

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৬

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:


পরিবারের কর্তারাই যত নষ্টের মূল।

আপনি যেভাবে বাচ্চাদের পরিবেশের অসংগতি তুলে ধরেছেন আর তার তার সাথে যে উপদেশ গুলো দিয়েছেন।

সত্যিই প্রশংসনীয়।

আরেকটা কথা, এই পোস্ট খানি আমার আপুকে পড়তে দিয়েছি।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আনন্দিত বোধ করছি আপনার মন্তব্যে।

বাহ! আশা করি আপুর কিছু সাহায্য হবে।

ভালো থাকুন।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপু ২য় পর্বে ২য় কমেন্টটি করে যথারীতি ভালো লাগছে।
যাহোক,স্কুল বুলিং বিষয়টা খুব খারাপ। এটা আমাদের দিকে তেমন একটা সমস্যা না। আমাকে যারা স্কুলে জ্বালাতো তারাই আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। :D
তবে আমেরিকার প্রত্যেকটা স্কুল শুট্যার বুলিং এর স্বীকার হয়েছে বলে শুনেছি! আমাদের এখানে আমরা মারামারি করি, স্যারদের কাছে বিচার দেই, কান ধরে উঠবস করাই তারপর ছুটির পরে একসাথে ফুটবল খেলি!
আমি সরকারি স্কুলে পড়েছি, সেখানকার গতানুগতিক চিত্র তুলে ধরলাম, বাকিদের কথা তেমন সুবিধার না।
যাহোক, দেখুন কপাল কি জিনিস, বললেন ৫ এর বাচ্চারাও অনেক সময় প্রেমে জড়িয়ে পড়ে! আর আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে উঠেও একটা মেয়েকে হাই দেয়ার আগে ১০ বার ভাবি এবং ততক্ষনে মেয়েটি চলে যায়! হাহ! কপাল!
পাখিকে মাছের মতো সাঁতার কাটতে বলবেন না কথাটা ভালো লেগেছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম মানছি, আমেরিকার তুলনায় আমাদের দেশের স্কুল সেফটি এন্ড কালচার বহুগুণে বেটার। কারো সাথে তুলনা করে নয়, আমরা নিজেদের মতো করে অসাধারণ দেশ হবো।

বন্ধুদের সাথে মজার ছলে মারামারি, কথা কাটাকাটি, মিলমিশ হয়ে যাওয়া আলাদা ব্যাপার। সেটা বুলিং না। কারো দূর্বলতাকে নিয়ে হাসাহাসি করা বুলিং, সেই প্রবণতা আমাদের সমাজে শুধু অবুঝ ছোটদের মধ্যে নয়, বড়দের মধ্যেও আছে। উই মাস্ট স্টপ দিস। সামনাসামনি না বললেও অনেকে হীনমন্যতায় ভোগে। যেমন এক মোটা ছেলেকে তার বন্ধুরা সবসময় ক্ষেপায়, সে সবার সাথে হাসে ঠিকই, কিন্তু রাতের আঁধারে সেও কষ্ট পায়। একদিন পেপারে পড়লাম ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র চেহারা নিয়ে হীনমন্যতায় সুইসাইড করেছে। ভাবতে পারো? ছোট থেকেই নিশ্চই তিলে তিলে মরেছে এবং আলটিমেটলি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

হাহা, কি রে, হাই স্পিড ইন্টারনেটের যুগে তোমার হাই লোড হতে এত সময় নেয় কেন? স্পিড বাড়াও। ;)

ভালো লাগার লাইনটির কথা জানিয়েছ, বুঝলাম যে মন দিয়ে পড়েছ। থ্যাংকস সেজন্যে।
ভীষন ভালো থেকো।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪০

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমাদের দেশের অভিভাবক সমাজ বুলিং এর ব্যপারটা ভালো বোঝেন না। উন্নত দেশগুলোতে স্কুল বুলির ব্যপারে যেভাবে সচেতনতা গড়ার চেষ্টা করা হয় সেভাবে এদেশে হয় না। এদেশে বুলিং হয়, কিন্তু এই আচরণকে বুলিং বলে তা অনেকেই জানেন না।অনেক সময় মায়ের কারনেও বাচ্চারা বুলি আচরণের মুখে পড়ে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই।
আমাদের ক্লাসের এক মেয়ের মা খুব সুন্দরী ছিলেন। তিনি স্কুলে মেয়েকে আনা নেয়া করতেন। স্বাভাবিকভাবে তিনি খুব সাজগোজ করে স্কুলে যেতেন। আমাদের সহপাঠী তার মায়ের সাজগোজের কারণে ক্লাসের কিছু ছেলেদের বাজে কথা শুনত। সবাই শুনলে বলবে ছোট বাচ্চারা আবার কেমন বাজে কথা বলে? ছোট বাচ্চারা যে কটূক্তি করতে পারে এটা কিভাবে বোঝাবো? এনিওয়ে, ঐ মেয়েটা মায়ের কারণে খুব হীনমন্যতায় ভুগত। ঘর থেকে বের হতে সবাই একটু সাজগোজ করে, আমরাও সাজি। কিন্তু বাচ্চাকে স্কুলে আনা নেয়ার সময় অভিভাবকের মাথায় থাকা উচিৎ তিনি ডেটিং এ যাচ্ছেন না, স্কুলে যাচ্ছেন।

অন্য দুটো ব্যপারে এতো সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন, এগুলো নিয়ে এড করার মত কিছু আমার নেই।

আপুর এই পোস্টগুলো খুব ভালো। আপনি বলছেন স্রোতের বিপরীতে চলার চেষ্টা করছেন। আমার তেমন মনে হয়নি। এই তিনটি পয়েন্টকে ডিনাই করবে তেমন কেউ আমার মনে হয় নেই। তবে হ্যাঁ, সবাই আসলেই এক ধরনের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে কারো কারো সঠিক বোধোদয় ঘটে। তখন তারা সেই স্রোতধারা থেকে বের হয়ে আসেন। আশা করি আপনার এই পোস্ট এরকম ভেসে যাওয়া অভিভাবকদের উপকারে আসবে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হৃদি আপু!

ঠিক, একদম ঠিক। বুলিং এবং এর ক্ষতিকর প্রভাবের ব্যাপারে সচেতনতা সেভাবে নেই। গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।

বোঝানোর কিছু নেই, ছোটরা অনেককিছুই পারে। আমি তো লেখাতে বলেছিই তাদের ধারণক্ষমতা অসাধারণ। টিভিতে, বাড়িতে যা দেখছে শিখে ফেলছে সাথে সাথে। একজন মহিলা যতোই সাজুক, তাকে নিয়ে কটুক্তি করতে হবে এই কথা ছেলেরা কোথা থেকে শিখতে পারে? পরিবার ও সমাজ থেকেই তো।
হুমম আমি মানছি নারী পুরুষ সবারই উচিৎ পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী পোশাক পরা। তবে কেউ বেশি মেকআপ নিলে তার সন্তানকে নিয়ে বা সেই নারীকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলতে হবে সেটা কুৎসিত চিন্তাধারা। শেম অন দোজ গাইজ।

আমি স্রোতের বিপরীতে চলার চেষ্টা করছি না, আমি স্রোতের বিপরীতেই চলি। আর সবাইকে আহবান জানাচ্ছি। ডিনাই করবে না মৌখিকভাবে, কিন্তু কাজে ফলোও করবে না। কেননা আমরা একটা ভুল সিস্টেমে ফেঁসে গিয়েছি, শিশুদেরও ফাঁসিয়ে দিয়েছি। এখান থেকে অন্যরকমভাবে চলা কঠিন। কিন্তু ভুলভাল নিয়ম ভেঙ্গে জাগতে হবে, এখনই।

আশা করি আপনার এই পোস্ট এরকম ভেসে যাওয়া অভিভাবকদের উপকারে আসবে।

আমিও সেটাই আশা করি। কারো না কারো চোখ যেন খোলে এসব লেখা পড়ে।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে থ্যাংকস আপু।
ভালো থাকবেন।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এসবের পাশেও তথ্যের অবাধ প্রবাহ যেমন ফেসবুক, ইউটিউব নতুন জেনারেশনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এসব নিয়েও লেখা সমৃদ্ধ করবেন। এই জিনিস ছাত্রদের মাথায় নতুন উম্মাদনা এনেছে। এটাকে আমি একনাম্বারে রাখব।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ব্লগ পোস্টের এইতো সমস্যা। ডিটেইলে লিখলে মানুষ শর্টকাট চায়, আর শর্টে লিখলে এটা বাদ গেছে, ওটা বাদ গেছে। বড় লিখলে পরে পড়ব বলে আর পড়তে আসেনা, ছোট লিখলে বলে পড়ার আগেই শেষ হয়ে গেল! কোনদিকে যাবে লেখক/লেখিকারা! হাহা।

আপনি যা বললেন তা লেখায় কিছুটা টাচ করেছি। আরো ডিটেইলে লিখিনি কেননা টপিকটি অনেক বড়, একটি পোস্টের সাবসেকশনে নয়, পুরো পোস্টই তেমন বিষয় নিয়ে লিখতে হবে।

আর পরিবার সময় দিচ্ছে না, স্কুলে বুলিং এর শিকার হচ্ছে বলেই তো বাচ্চারা ভার্চুয়াল জগতে আসক্ত হচ্ছে। মেইন সমস্যা পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় আমার কাছে।

অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভকামনা।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

মৌরি হক দোলা বলেছেন: অপেক্ষায় ছিলাম :)

৪নং এর ব্যাপারটায় আমি আমার আম্মুর থেকে অনেক সাপোর্ট পেয়েছি। সারাদিন শেষে স্কুল থেকে আসার পরে গল্পোচ্ছলে আম্মুর সাথে সব কথা শেয়ার করতে হতোই। এখনো ফোনে তাঁর সব কাহিনি শোনা চাই :) আর এ কারণেই আম্মুর সাথে আমার খুব ভালো একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আর তাই স্কুলজীবনে ছোটোখাটো অনেক ভুলের সময় আমি তাঁকে পাশে পেয়েছি। তিনি আমার ভুলত্রুটিগুলো বন্ধুর মতো করে শুধরে দিয়েছেন। :) :)

আর ৬নং এ..... আহ!!! নবম শ্রেণির কথা মনে পড়ে। কোচিং টু স্কুল, স্কুল টু কোচিং। সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে গিয়ে বাসায় পৌঁছতাম। আমি বরাবরই চাপ কম নেয়ার চেষ্টা করি। তাতেই আমার এই অবস্থা ছিল, আর আমার কিছু বন্ধু ছিল যারা চাপের উপর চাপ নিতে ভালোবাসত মানে একই বিষয় তারা তিন-চার জায়গায় পড়ত :P তাদের অবস্থা হত আমার চেয়েও করুণ :(

ভালোলাগা পোস্টের বাকি অংশ... তাই নতুন করে ভালোলাগার কিছু নেই :) :)

অনেক অনেক ভালোবাসা ,আপু.....

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মৌরি!

তিনি আমার ভুলত্রুটিগুলো বন্ধুর মতো করে শুধরে দিয়েছেন।
এটাইতো চাই। স্যালুট তোমার আম্মুকে। সব মাই যেন এমন হয়।

হ্যাঁরে বাস্তব চিত্র। খুবই বিপদজনক একটি ব্যাপার এটা। কষ্ট হয় ভাবলে, বাচ্চাদের ওপরে এত চাপ দিতে অভিভাবকের বুক কাঁপে না?

পাঠ ও বিস্তারিত মন্তব্যের জন্যে থ্যাংকস।
ভালো থেকো আপু!

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দেখুন একটা টাইপো হয়ে গেছে!!, ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার হবে :P

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, ইটস ওকে। ক্লিয়ার করে দিয়ে যাবার জন্যে থ্যাংকস। :)

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ঈদ মোবারক আপু, অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।


ঈদের ছুটি পেয়ে সেই বারোটা থেকে এখনও গাড়িতে বসে আছি, এখনও ঘন্টা লেগে যাবে বাসায় পৌঁছাতে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আহা, ঈদের জার্নি সত্যিই খুব কষ্টের। সেই সময়টাতে ব্লগে এসে ভালোই করেছেন। বোরিং সময়টা কিছু করতে করতে কেটে যাচ্ছে!

আপনাকেও ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানাই। খুব সুন্দর ভাবে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ কাটান।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনি আমাকে লেখতে বাধ্য করাচ্ছেন!

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বী???

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

নাজিম সৌরভ বলেছেন: স্কুল বুলি যে কত পীড়াদায়ক হতে পারে তা আমি খুব গভীরভাবে বুঝি।
আমি ছিলাম গ্রামের ছেলে, আমার প্রাইমারি স্কুল গ্রামের। সেখানে আমি অন্যদের তুলনায় ছোটখাটো ছিলাম, ক্লাসে একমাত্র আমি ফর্সা ছেলে ছিলাম। আমার নাম হয়ে গিয়েছিল 'মেয়ে'। কি ভয়ানক যাতনার বিষয়। একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে কোন ভুমিকা ছাড়াই মার খেলাম দুটো ছেলের হাতে। সেদিন কেঁদে কেঁদে বাসায় ফেরার পর আব্বু বাধ্য হয়ে আমাকে নিয়ে পরদিন স্কুলে গিয়ে স্যারদের বিচার জানালেন। সেই ছেলেগুলো শাস্তি পেয়ে আমাকে কষ্ট দেয়া বন্ধ করেছিল ঠিক। তবে অন্য দুর্বল ছেলেদের সাথে একই আচরণ অব্যাহত থাকে।
আমাদের দেশে ইউনিতে র‍্যাগিং বন্ধের জন্য অভিভাবকগন সচেতন। কিন্তু র‍্যাগিং এর মূল শেকড় রয়ে গেছে প্রাইমারি স্কুলেই, এটা উনারা বুঝেন না।

ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টের জন্য। আশা করি অনেকে আপনার লেখনী থেকে কিছু দিকনির্দেশিকা পাবেন।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ারের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আপনি একা নন, বেশিরভাগ মানুষই জীবনে এমন সব বুলিং এর শিকার হয়। খুবই দুঃখজনক।

আপনি লাকি যে আপনার বাবার সহায়তা ও সাপোর্ট পেয়েছিলেন। অনেক সন্তান সেটা পায় না, বাবা মা উল্টো বাচ্চাকেই দোষারপ করে। বলে যে, অন্য বাচ্চাদের সাথে তো এমন হচ্ছেনা, নিশ্চই তোমারই দোষ আছে। বাচ্চাটি তখন আরো বেশি ভেঙ্গে পড়ে।

আমাদের দেশে ইউনিতে র‍্যাগিং বন্ধের জন্য অভিভাবকগন সচেতন। কিন্তু র‍্যাগিং এর মূল শেকড় রয়ে গেছে প্রাইমারি স্কুলেই, এটা উনারা বুঝেন না।
এক্সিলেন্ট কথা। একদম ঠিক। সবাই ভাবে বাচ্চাই তো। লড়বে, ভুলে যাবে। এতে আর এমন কি আছে? কিন্তু ছোটকালের বাজে অভ্যাসগুলো যে পিছু ছাড়তেই চায় না! এ বিষয়ে সচেতনতা অতীব জরুরি।

আপনার অভিজ্ঞতা ও মন্তব্য পোস্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। থ্যাংকস এ লট।
শুভকামনা সকল।

১২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ঘুনে ধরা। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সত্যিই খুব কঠিন ব্যাপার। তোমার এই পর্বের প্রতিটি কথার সাথে আমি একমত। কিন্তু ভালো কথা, ভালো পরামর্শ আজকাল মানুষের কাছে হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে। মানুষের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ এত নিচে নেমে গেছে যে তারা খারাপকে ভালো এবং ভালোকে খারাপ মনে করে।


ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঠিক বলেছেন হেনাভাই। একটি দুটি মানুষ নয় পুরো সিস্টেমটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখান থেকে বেড়িয়ে আসা কঠিন হবে, কিন্তু শিশুদের কথা ভেবে হলেও আসতেই হবে।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।
সুখী ও সুস্থ থাকুন।

১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




ইন্টারনেট, ফেবু ইউটিউব এসব নিয়ে লেখব আরকি!

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ আচ্ছা আচ্ছা। এবারে বুঝলাম।

পোস্টের শেষে আমার নাম নিয়ে কৃতজ্ঞতা শেয়ার করবেন কিন্তু আইডিয়ার জন্যে। ;)

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার নাম উচ্চারনের আগে সোনা..., অচেনা... চঞ্চল.... এসবের নামও বলতে হবে। কেননা কেউই নতুন জেনারেশনের উচ্ছন্ন হবার আসল কারণটি বুঝতে পারেনি। আপনি আমার আগের দুটো পোষ্ট পড়েননি হয়ত!

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যেসব ব্লগারদের নাম নিলেন সবাই প্রিয় ব্লগার। উন্নতমানের ব্লগার।

হুমম, মানুষের শেকড় পরিবার, সেই শেকড়েই নানা রোগ বেঁধে আছে। সেটা আগে ঠিক করতে হবে। আর আপনি যেটাকে প্রধান সমস্যা ভাবছেন সেটা নিয়েও লিখুন। পয়েন্ট অফ ভিউ যেমনই হোক সবার মধ্যে এসব ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি হওয়া দরকার।

জ্বি ঠিক, পড়ার সুযোগ হয়নি।

শুভেচ্ছা।

১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:










বিশ্লেষণ সোজাসাপ্টা... পড়ে দেখতে পারেন। বাস্তবতা অত্যন্ত রুঢ়! পেলব ভাষায় উহার মর্মে প্রবেশ হয়না...

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস এ লট ফর শেয়ারিং। আমি সময় করে পড়ব।

১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টের আগের পোষ্ট টি খুব মন দিয়ে পড়েছি।
চমৎকার লিখেছেন। আমি মনে করি লিখে লিখে একদিন আমাদের দেশটা বদলানো সম্ভব।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি মনে করি লিখে লিখে একদিন আমাদের দেশটা বদলানো সম্ভব।
অনেক দামী একটি কথা লিখেছেন। অসাধারণ। আসলেই কলমের শক্তি আর কোনকিছুতে নেই।

ধন্যবাদ মন দিয়ে পোস্ট পড়ার জন্যে।
ভালো থাকুন।

১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমরা একে অপরের লেখা না পড়লে মাঝে একটা গ্যাপ তৈরী হয়। এতে ব্লগিং এর মজা আসে না।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সহমত। কিন্তু একজন পাঠক লেখা তখনই পড়বেন যখন লেখাটি তার মনে আগ্রহ তৈরি করবে। ব্লগে এলাম বলে একটা পর একটা লেখা পড়ে যাব সেটা তো না, যে লেখা মনকে আনন্দ দেবে অথবা কিছু শেখাবে সেটাই তো পড়ব। আর সময়, পরিস্থিতিরও ব্যাপার আছে। অনেকে ব্লগে প্রচুর সময় দিতে পারে, অনেকে নানা কারণে সময় করতে পারেনা। যাই হোক, সবধরণের ব্লগার নিয়েই আমাদের সামু একটি পরিবার।

১৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ পর্বেও যথারীতি চমৎকার বিশ্লেষন আর কার্যকারণ অনুসন্ধান হয়েছে। যা বিষয়ের মূল-কে সন্ধান করেছে।
সমাজের মৌলিক যে নিউক্লিয়াস তা হল পরিবার। পরিবারের দায়িত্ব সবচে বেশি।
পরিবারের উদাসিনতা, বাবা-মা দুজনেরই চাকুরীর পিছে ছোটা! একক পরিবারের অধিক বিকাশ! যৌথ পরিবারের ভাঙ্গন,
ধর্মীয় চর্চার মাত্রাতিরিক্ত ভাবে কমে যাওয়া! আধুনিকতার নামে অতি আধুনিকতার বিষে নীল হয়ে যাওয়ার গোপন নেশা!
সামাজিক সো কলড স্ট্যটাস রক্ষা, সাংস্কৃতিক নিয়ন্ত্রনহীনতা, সব মিলিয়ে এক জটিল আবর্তে দেশ, সমাজ, পরিবার । সর্বোপরি আগামী প্রজন্ম যারা বেড়ে উঠছে।

রোগের কারণ পেলে যেমন চিকিৎসা সহজ হয়। সামাজিক ব্যধির ক্ষেত্রেও তেমনি। যে কারণ সমূহ খঁজে পাওয়া গেল তার রিকভারীর পথ পদ্ধতি খুঁজতে হবে। কিভাবে হারানো সভ্যতা, সৎ, সত্য সুন্দরকে বদলে যাওয়া চটুল, মিথ্যা, মোহাচ্ছন্ন মানসিকতায় প্রতিস্থাপন করা যায় তাই ভাবতে হবে এবং কাজ করতে হবে।

পরিবারের কর্তাদের ভূমিকা অনন্য। বিশাল। মায়ের ভূমিকাও তেমনি বিশাল। মিনিমাম এথিকসের মধ্য দিয়ে, সৌজন্যতা, শ্রদ্ধা, সম্মান আর ধর্মীয় মৌলিক সত্য, সুন্দর শিক্ষায় যদি ভিত গড়ে দেয়া যায়- ভবিষ্যতে হাজারো প্রলোভন আশা করি তা টলাতে পারবে না।

পথ দেখানো রাহবারের দায়িত্ব।
পথে চলা না চলা একান্তই আপনার সিদ্ধান্ত।
আর পরিণতি টুকু শুধু আপনার নয় কিন্তু- পরিবারের সবার এবং অনাগত ভবিষ্যত প্রজন্মেরও।

@ ভ্রমরের ডানা ভায়া, আপনার পোষ্ট গুলো দেখলাম। ২ আর তিন একই লিংক আসলো মনে হল।
যাইহোক। আপনি আলোচনা করেছে রোগের সিম্পটম নিয়ে, আর লেখক লিখছেন রোগের কারণ নিয়ে।
রোগ ভাল হয়ে গেলে রোগের সিম্পটম থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
গালি কি আপনি জানেন না? আমি জানিনা? আরো অনেকেই জানে না।
আমি, আপনি অনেকে প্রয়োগ করেনা। জ্ঞান, বিবেক, প্রজ্ঞা দিয়ে চালিত হয়।
আবার এসব রহিত হয়ে গেলেই বস্তির বাস্তবতা বিলাসী ড্রয়িংরুমেও হতে পারে।নয়কি?

জ্বর এসেছে। ডাক্তারের কাছে শুনেছেন নিশ্চয়ই জ্বর নিজে কোন রোগ নয়। অন্য রোগের উপসর্গ প্রকাশক মাত্র।

চলুক আলোচনা। বেরিয়ে আসুক সুন্দর চলার পথের দিশা। অনাগত প্রজন্মরাই রয়ে যাবে। আমরা চলে যাব।
যে শিক্ষা দিয়ে যাব তারই প্রকাশ ঘটাবে তারা বিশ্বাসে, কর্মে, আচরনে।
বাকী সিদ্ধান্ত টুকু আপনার হাতে।






১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ সখা! আমার পোস্টের চেয়ে বহুগুণে চমৎকার আপনার বিশ্লেষন! সত্যিই অসাধারণ।

সমাজের মৌলিক যে নিউক্লিয়াস তা হল পরিবার। পরিবারের দায়িত্ব সবচে বেশি।

একদম ঠিক বলেছেন। আগেকার দিনে, খুব আগেরও না, আমাদের ছোট বা কিশোরিকালেও তো সবাইকে একসাথে বসে টিভি বিশেষত সন্ধ্যা ৭ টার খবরটা দেখতে দেখেছি। কিন্তু আজকাল একে তো তিন চার সদস্যের একক পরিবার, তারাও আবার তিন রুমে বসে নিজ নিজ ল্যাপটপ বা ফোনের সামনে বসে থাকে! যে যার সময়মতো খাচ্ছে, বাড়িতে আসছে যাচ্ছে। হাই হ্যালো বাই বাই টাইপ সম্পর্ক হচ্ছে পরিবারের মানুষদের মধ্যে!

আপনি যেমন বললেন পরিবারের মা আর বাবার ভূমিকা বিশাল, কিন্তু সেই বড়রাও তো সারাদিন ফেসবুক সহ নানা সাইটে ব্যস্ত থাকছে। উদ্ভট সব কান্ড কারখানা করছে। ছোটদের চেয়ে বেশি ছেলেমানুষী তো তাদের পেয়ে বসেছে! উফফ! কি জঘন্য ব্যাপার স্যাপার।

রোগের কারণ পেলে যেমন চিকিৎসা সহজ হয়। সামাজিক ব্যধির ক্ষেত্রেও তেমনি। যে কারণ সমূহ খঁজে পাওয়া গেল তার রিকভারীর পথ পদ্ধতি খুঁজতে হবে। কিভাবে হারানো সভ্যতা, সৎ, সত্য সুন্দরকে বদলে যাওয়া চটুল, মিথ্যা, মোহাচ্ছন্ন মানসিকতায় প্রতিস্থাপন করা যায় তাই ভাবতে হবে এবং কাজ করতে হবে।


কারণ তো সবার জানা, কিন্তু যে ঘুমানোর অভিনয় করে তাকে জাগানো যায়না। "ভাবীই বাচ্চাটার যা পড়ার চাপ, খেলার সময়ই পায়না, এভাবে তো ওর প্রোপার গ্রোথ হবেনা" এসব বলা মা বাবারা কি বাচ্চাটির ওপর থেকে ফার্স্ট সেকেন্ড হবার চাপটা উঠিয়ে নিতে পারেনা? বারবার কোচিং, প্রাইভেট না করিয়ে ছোট ক্লাসের পড়াগুলো নিজেই একটু দেখিয়ে দিতে পারেনা? তাহলেই তো অটুকু জানের ওপরে অমানবিক চাপটা পড়েনা। নাহ, কথা বড় বড়, কাজের বেলায় কিছুই না।

@ ভ্রমরের ডানা ভায়া, আপনি আলোচনা করেছে রোগের সিম্পটম নিয়ে, আর লেখক লিখছেন রোগের কারণ নিয়ে।

ভ্রমরের ডানাকে যা বলেছেন একেবারে সহমত। যথাযথ বলেছেন।

হুমম চলুক আলোচনা, এবং কিছু ফল আসুক সেসব আলোচনা থেকে।
অজস্র ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা!

১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০০

বর্ণা বলেছেন: বেশ উপকারী কথা গুলো

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পরিবার, সমাজের কাজে আসলেই লেখা হবে সার্থক।
ধন্যবাদ মন্তব্যে।

২০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বুলি একটি ভয়াবহ ব্যাধি। আমি আমার শৈশবে এর শিকার হয়েছি, এর ভয়াবহতা অচিন্তনীয়। কিন্তু অভিভাবকেরা এটাকে হালকাভাবে নেন; তা সে আক্রান্ত বা আক্রমনকারী যারই অভিভাবক হন না কেন। গত সপ্তাহে ভারতীয় একটি রিয়েলিটি শো'তে একটি ছেলে বুলি নিয়ে একটি র‍্যাপ গেয়েছিল, যা ছিল তার নিজের উপর ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে। নিচে লিংক শেয়ার করলাম

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেকেই র‌্যাগিং এর ভয়াবহতা বুঝতে পারেনা, এর মধ্য দিয়ে যাওয়া মানুষজন সুইসাইড করে কতটা কষ্ট ও অপমান নিয়ে তা সবাইকে বুঝে সচেতন হতে হবে।

ভিডিওটা তো দেখতে পারছিনা!
যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যে।

২১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:

২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি সুস্থ আছেনতো?

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও মন্তব্যের উত্তর না পেয়ে মনে হল- সব ঠিকাছে তো?
!!!
ব্যস্ততা না অসুস্থতা?
ব্যাস্ত হলে সময় নিন।
অসুস্থ হলে দোয়া রইল।


১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

সোওওও সুইট অফ ইউ। কত আন্তরিকতার সাথে খবর নিতে এসেছেন! জাস্ট লাভ ইওর সিনসিওরিটি।

অনেকদিন ব্লগে আসিনি, কারণ সব আড্ডাঘরে লিখে এসেছি। একটু কষ্ট করে দেখে নিয়েন প্লিজ। আপনার অন্য মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য পরে দেব।
াি
অনাবিল সুখ ঘিরে রাখুক আপনাকে।

২৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার সব পয়েন্ট এসছে , জরুরী তো অবশ্যই!
ভালোলাগা পোষ্ট এ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা আপু।
শুভেচ্ছা রইল।

২৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: :D :D :D
প্রান্ত ভাইয়ের কথা শুনে মজা পেলাম। বাট ভালো আছেন।

সামু আপু বুলি-র কথা বললেন। বুলি/র‍্যাগিং একটা লিমিট পর্যন্ত ঠিকাছে।
তারপর আর না।

পড়াশোনার বিষয় টা আসলেই গুরুত্বপুর্ণ। রীতিমত রোবট হয়ে যাচ্ছে এখনকার বাচ্চারা। সকালে,বিকেলে,রাত্রে সারাদিন ই কোচিং। অভিভাবকদের সচেতন হওয়া দরকার।

প্রেম-পিরিতি নিয়ে কিছু কমুনা। :-/ আমার সার্কেলে আমি একমাত্র বান্দা যে এখনো পর্যন্ত একটা ও প্রেম করতে পারেনাই। |-) :(( :-<
আমার ফ্রেন্ড-রা এখন আর "সিংগেল আছি" বলেনা। বলে "মাঈনু আছি"। |-) 8-| :-<

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

আমি দ্বিমত পোষন করছি। আমার মনে হয় বুলিং কোন সীমার মধ্যেই ঠিক নেই। যেমন অনেক সময়ে মানুষজন বন্ধু, সহপাঠীদের মোটা, বেটে, কমদামী পোশাক, ফোন থাকা, অথবা পড়াশোনায় খারাপ হওয়া এসব নানা কারণে ক্ষেপায়, আর ভাবে সামনের মানুষটি সিরিয়াসলি নিচ্ছে না। কিন্তু শোনা যায় সেই ছেলেটি বা মেয়েটি সুইসাইড করে ফেলেছে এসব নিতে না পেরে! আর লিমিট টা ঠিক করবেই বা কে? আপনার সহ্যশক্তি একটা লিমিট পর্যন্ত, আমারটা আরেকটা লিমিট পর্যন্ত। সবাই তো এক না। কেউ অল্পতেই ভয় পেয়ে যায়, হীনমন্যতায় ভোগে। আমরা যেহেতু সবসময় সামনের মানুষটার মন বুঝতে ও জানতে পারিনা, তাই সবসময় রেসপেক্টফুল থাকা জরুরি। খুব কাছের বন্ধু না হলে ভেবে চিন্তে সামনের মানুষটির ইমোশন হার্ট না করে কথা বলতে হবে। কেননা আমরা অস্থির একটি যুগে বাস করছি। মানুষজন নানা স্ট্রেসে জর্জরিত থাকে এমনিতেই। এরমধ্যে কারো কষ্ট কমাতে না পারলে বাড়ানোও উচিৎ হবেনা।

পড়াশোনার বিষয় টা আসলেই গুরুত্বপুর্ণ। রীতিমত রোবট হয়ে যাচ্ছে এখনকার বাচ্চারা। সকালে, বিকেলে, রাত্রে সারাদিনই কোচিং। অভিভাবকদের সচেতন হওয়া দরকার।

কঠিনভাবে সহমত।

আমার ফ্রেন্ড-রা এখন আর "সিংগেল আছি" বলেনা। বলে "মাঈনু আছি"।

হাহাহাহা হিহিহিহি! হাসতে হাসতে শেষ। হাউ ফানি!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!

২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: খুবই জরুরি পোস্ট।

আমাদের অভিভাবকগণ যেন আরেকটু সচেতন হন, সেটাই কামনা।

এটা নিশ্চিন্তে প্রিয়দের সাড়িতে যুক্ত হবে।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ ওয়াও! অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য এবং প্রিয়তেও নেবার জন্যে।

জ্বি অভিভাবক, শিক্ষক, সমাজ সবাইকে সচেতন হতে হবে। নাহলে শিশুদেরকে মহামূল্যবান শৈশব হারাতে হবে।

আপনার জন্যেও শুভকামনা রইল।

২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপু আপনাকে অনেক দিন দেখি না; যদিও আমি অফলাইনে ব্লগ পড়ি, লগইন করি না, আপনাকে দেখে আসলাম। ভালো আছেন তো?
আপনিও কি আমার মতো অনিয়মিত হয়ে গেলেন আপু?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁরে ভাই, আমিও অনিয়মিত হয়ে গিয়েছিলাম নানা ব্যস্ততায়। তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে?

২৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আমি নিজেও একজন স্টুডেন্ট। স্যার কি আর বলবো আমি নিজে খুব হতাশ আমাকে নিয়ে আমার পরিবারের চিন্তা-ভাবনা গুলোকে মনে করে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি স্যার না, আপু। যাই হোক, হতাশ হবেন না বলা সহজ কিন্তু পরিবারের মানুষজন যদি প্রতিনিয়ত কোন নেগেটিভ কথা বলতে থাকে তবে যে কারোই আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে যেতে পারে। তবে এটা বলব, যে পরিবারের মানুষজন যদি রাগ করে তবে অনেকসময় কনসার্ন ও ভালোবাসা থেকে করে। যদিও সেটা ঠিক না, বকে মেরে কটু কথা বলে সন্তানের ভালো করা যায়না, তবুও আমাদের আগের জেনারেশনটা এভাবেই ভালোবাসা দেখায়। আমাদেরও তাদেরকে বুঝতে হবে। আর এগিয়ে যেতে হবে। আগে নিজের চাওয়া গুলোকে বুঝতে হবে, আমরা অনেকেই জানিনা যে জীবনে কি চাই? এজন্যে পূরণও হয়না কোন চাওয়া। নিজেকে জানলে মানুষ নিজেকে নিয়ে সিকিউর হয়ে যায়। নিজের ভালোমন্দ গুলো মেনে সেভাবে সবার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারে। সেটা একটা প্রটেক্টিভ বাবলের মতো কাজ করে। তখন কারো কথাই গায়ে লাগেনা।

দোয়া রইল, আপনার সকল স্বপ্ন পূরণ হোক।

২৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

আরোগ্য বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

২৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাইয়া! আপনার শরীর ও মন ভালো আছে আশা করি।

থ্যাংকস, মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করলেন।
শুভকামনা।

৩০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তিন মাস পেরিয়ে গেল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ওহ! ভাবা যায়!

তিনমাসে ৯০ দিনে মিনিমাম ১৮০ বার ক্লিকাইছি
জরিমানা হবে আপনার :P
এইভাবে গায়েব হয় কেউ???!!!

আড্ডাঘরে তাও মাঝে মাঝে উঁকি ঝুকি মেলে!
এখানেতো একেবারেই নাইইই!

এতো দেখি গুম হবার মতো যাতনা ;)
মরে গেলে যেমন জেনে শুনে মনেরে বোঝানো য়ায়- আল্লার মাল আল্লায় নিছে!
গুম হলে তেমনটি হয়না। আছে না নাই'র মহাশুন্যতার ধা ধা'র যাতনা কুড়ে কুড়ে খায়!

আপনার ভক্ত পাঠকদের অধিকাংশই আশা করি এ হালেই আছে :-B
হাজার ব্যস্ততার ফাঁকেও ফিরে আসুন সামুর ভালবাসার মহা সমুদ্রে!


১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

হ্যাঁ গায়েব হয়, আমিতো মাঝেমাঝেই গায়েব হয়ে যাই। আমি যে সিজনাল ব্লগার সেতো সবারই জানা। তা জেনেও যে এতবার ক্লিক করে হাত ব্যাথা করেছে তার দোষ! ;)

আপনার এই মারাত্মক আন্তরিক কমেন্টটি পরপর তিনবার পড়েছি, অবাক হয়েছি এমন অকৃত্রিম স্নেহ ভালোবাসায়। দেখার সাথে সাথে জবাব লিখিনি, বা বেশ দেরী করেই লিখলাম। কারণ হচ্ছে সেই সময়ে আপনার সামুতে ফেরার আহবানটা রাখতে পারতাম না। বাস্তব জীবনের নানা ব্যস্ততার জালে অন্তর্জালকে সময় দিতে পারছিলাম না। এখন হাতে সময় আছে, আড্ডাঘর, সামু, সখার মানে নিজের ব্লগবাড়িতে সময় দেবার। :) ইনশাল্লাহ সামুর মহাসমুদ্রে ডুবে থাকতে পারব বেশ কিছুদিন।

ভীষন ভালো থাকবেন। আপনার বা আমার কোন লেখায় দেখা হোক জলদিই।

৩১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২

মৌরি হক দোলা বলেছেন: আপু, কেমন আছেন? B-)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মৌরি! জোশ আছি, তোমার কি খবর? পড়াশোনা কেমন চলছে? প্রান্ত কেমন আছে জানো কিছু?

৩২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

মৌরি হক দোলা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আপু। ভালো আছি :) পড়াশোনাও আপনাদের দোয়ায় ভালোই চলছে ! যতদূর জানি প্রান্তও আপনার মতোই জোশ আছে B-) হা...হা...

আপু, দেশে আছেন? ২১তারিখে দেখা হচ্ছে তো? :)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, যাক ভাই বোন দুটোই ভালো।

নারে বোন দেশে নেই, তাই দেখাও হচ্ছে না। তোরা সবাই মজা কর, আমি একাই পরে থাকি। :(

৩৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

গরল বলেছেন: খুবই ভালো একটা পোষ্ট, অভিভাবকদের শেখা উচিৎ অনেক কিছু। আমিও বাসায় থাকলে মেয়ের সাথে দুরন্ত চ্যানেল, শিন চান আর ডরিমন দেখি। ভালই লাগে, তবে মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে যাই মেয়ের নন স্টপ প্রশ্নের কারণে :) , তখন উঠে চলে যাই।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।

হুমম, বাচ্চাদের প্রশ্নগুলোর সাথে ডিল করা নিয়েও একটি পোস্ট লিখেছিলাম বেশ আগে। যাই হোক, আপনি খুবই ভালো কাজ করেন। এভাবেই ও আপনাকে খেলার, টিভি দেখার সাথী, বন্ধু ভাবতে পারবে। ওর মনে হবেনা যে আপনি আলাদা কেউ বা আপনার কাছ থেকে কোন কিছু লুকানোর প্রয়োজন আছে। আপনি উঠে যাবার সময়ে ভাবীকে বসিয়ে দিয়ে যাবেন, কেউ না কেউ পাশে থাকলেই হলো! :)

পাঠ ও উপযোগী একটি মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা আপনার ও মামনীর জন্যেও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.