নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোস্ট পোস্ট (১) - "আপনি কি কালো, বেঁটে, মোটা? তাহলে আপনার বেঁচে থাকা অর্থহীন!" ওহ মিডিয়া প্লিজ শ্যাট আপ!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

টিভি খুললেই নানা ধরণের সেক্সিস্ট, রেসিস্ট, ডিজগাস্টিং, ফলস, হরিবল কনসেপ্টের এড দেখা যায়। আমি সবসময় ভাবি যে এগুলো লিগ্যালি কিভাবে মিডিয়ায় জায়গা করে নিচ্ছে? কেউ কি এদের বিরুদ্ধে কেস করেনা? যুগের পর যুগ কিভাবে ব্যাবসা করে যাচ্ছে এদের মালিকেরা? এমনই কিছু জঘন্য বিজ্ঞাপনী কনসেপ্টকে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে মেখে পোড়ানোর চেষ্টা করব এই লেখায়।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

ফেয়ারনেস ক্রিম!

এসব বিজ্ঞাপন যেকোন কিছুকে কালো ফর্সার সাথে জুড়ে দেয়। একটা মেয়ে চাকরি পাচ্ছেনা, ক্রিম মেখে ফর্সা হয়ে চাকরি পেয়ে গেল! একটা মেয়ে ধারাভাষ্য দিতে যাবে, তার জন্যেও নাকি তাকে ফর্সা হতে হবে! স্পোর্টসে নাম করতে চান? ভালো খেলার সাথে সাথে দরকার একটুখানি ক্রিম? ওমা নানা ম্যাগাজিনে আপনার ছবি ছাপা হবে, কালো হলে বিদঘুটে দেখাবে না? আপনার জীবনের স্বপ্ন যাই হোক না কেন, পূরণে দরকার একটুখানি ক্রিম! দ্যাটস ইট! তার সাহায্যে আপনি হয়ে উঠবেন ফর্সা (পড়ুন সুন্দরী), এবং তাহলেই সকল সাফল্য আপনার পায়ে ধরা দেবে!

আপনি জন্মগতভাবে যে রং নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখেছেন, যা আপনার দেশ, জাতি, পরিবারের কাছ থেকে পেয়েছেন, তা কত সময়ের মধ্যে ফর্সা হয়ে যাবেন জানেন? মাত্র ৭ দিন!

লিমিট থাকে সিরিয়াসলি লিমিট থাকে ধোঁকাবাজির, সেই লিমিট এসব ক্রিম কোম্পানি ক্রস করে দিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর। প্রতি বছরে নতুন নতুন আইডিয়া! কখনো প্রাকৃতিক আমাজনের জংগল থেকে আসা উপাদান, কখনো আধুনিক লেজার প্রযুক্তি ক্রিমের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে!
একসময়ে মেয়েদেরকে অত্যাচার করা হতো এসব দিয়ে, এখন জেন্ডার ইকুয়ালিটির!!!! যুগে বিভিন্ন রকম মেন ফেয়ারনেস ক্রিমও চলে এসেছে। ওগুলো মাখা মাত্রই চার পাঁচটি মেয়ে ফর্সা ছেলেটির জ্যাকেট ধরে ঝুলতে থাকে! বাহ বাহ!
একটা জিনিস খেয়াল করবেন আজকাল খুব কুচকুচে কালো মেয়ে অথবা ছেলেদেরকে এসব এডে দেখা যায়না, মোটামুটি শ্যামলাদের নিয়েই এডগুলো হয়। তারা হয় এটা বোঝাতে চাচ্ছে যে বিশ্বের সকল কালো মানুষকে তাদের ক্রিম শ্যামলা বানিয়ে ছেড়েছে অথবা কালোদের কোন ভবিষ্যৎই নেই!

যে তিনটি জিনিস আমরা শিখতে পারি যেকোন ফেয়ারনেস ক্রিমের এড থেকে,

১) কালো মানুষ সুন্দর হতে পারেই না, সম্ভবই না।
২) আপনি যত কালো হবেন আপনার ভবিষ্যৎ ততোই অন্ধকার হবে, কোন পেশাতেই সফল হতে পারবেন না যতোই শিক্ষিত, মেধাবী, পরিশ্রমী হোন না কেন। আপনার জায়গাটি নিয়ে নেবে কোন এক ফর্সা মানব মানবী।
৩) অপোজিট সেক্সকে আকৃষ্ট করতে না পারলে, চার পাঁচ জনের সাথে টাইম পাস করতে না পারলে জীবন বৃথা, কালো মানুষের প্রেমে তো কেউ পড়তে পারেই না!

প্রত্যেকটি ডাইরেক্ট বর্ণবাদী ম্যাসেজ, কোন রাখঢাক নেই! এরা ব্যানড কিভাবে হয়না আমি সেটা ভেবে অবাক হয়ে যাই!

শুধু আমাদের এশিয়ায় নয়, আফ্রিকাতেও একই ভাবে শয়ে শয়ে ফেয়ারনেস ক্রিম যুগ যুগ ধরে রাজত্ব করে আসছে। ওখানে অনেক মেয়ের স্কিন নষ্ট হয়ে চাকা চাকা কালো দাগ হয়ে গিয়েছে এসব ব্যবহারে। কেননা ক্রিমগুলোতে প্রচুর ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা লাভ তো দূরের ত্বকের ১২ টা বাজিয়ে দেয়।

একটা ৩০ বছরের বিবাহযোগ্য নিম্ন মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের মেয়ে, নিজের অসহায় বাবা মাকে ভারমুক্ত করতে কত আশা নিয়ে দিনের পর দিন একেকটি টিউব শেষ করে, আর হা করে আয়নায় তাকিয়ে ভাবতে থাকে, একটু ফর্সা কি হয়েছি? প্রতিদিন আশাহত হয়।
কোন ছেলে যখন কালো হবার কারণে বন্ধুদের কাছ থেকে "কাউলা, কালা, তেলাপোকা" ডাক শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, মেন ফেয়ারনেস ক্রিমগুলোর কাছে আত্মসমর্পণ করে, লুকিয়ে লুকিয়ে মাখে আর আশা করে থাকে রং একদিন ফর্সা হবেই। এসব অসহায় মানুষদের অসহায়ত্ব নিয়ে ব্যাবসা করতে লজ্জা লাগে না মিডিয়া ও কোম্পানিগুলোর?
এসব কোম্পানিগুলো কি বুঝতে পারেনা তারা কত বড় ক্ষতি করছে মানুষের? ওপেনলি রেসিজন কনসেপ্টকে ভিত্তি করে এড বানিয়ে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দিচ্ছে কালোবিরোধী চিন্তা চেতনা! টিভি খুললেই এসব দেখলে ছোট বাচ্চাটি থেকে শুরু করে বয়স্ক সবার মন মগজে ঢুকে যাচ্ছে কালো মানুষ অসুন্দরই শুধু নয় কোন সুখ, সাফল্য, ভালোবাসার দাবীদার নয়! স্বাভাবিকভাবেই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি পূর্ণ প্রোডাক্টগুলো কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কালোদের ফর্সা করার অসাধ্য সাধন করতে পারছেনা, কিন্তু সমাজটা কালো অন্ধকার ভাবনায় ছেয়ে যাচ্ছে এদের কল্যাণে।

হাইট বাড়িয়ে দেওয়া জুতো!

আমি যখন দেশে ছিলাম সকালে টিভি খোলামাত্র সব চ্যানেলে এমন জুতোর এড দেখাত যা পরে দৌড়ালে লম্বা হওয়া যায়। একেক চ্যানেলে একেক নামের প্রোডাক্ট রিপেটেডলি প্রকাশিত হতো। সেখানে একেকটি কেস দেখা যেত, অভিনেতারা নানা সিচুয়েশন বর্ণনা করেন যেমন কারো বিয়ে, চাকরি, বন্ধু, প্রেমিক/প্রেমিকা জোটাতে পারছিলনা কম হাইটের কারণে, এই প্রোডাক্ট ব্যবহারের তিন মাসের মধ্যে নাকি তারা লম্বা হয়ে জীবনে সবকিছু এচিভ করে ফেলেছে! হাউ রিডিকিউলাস!
ছেলেরা কালো হলেও চলে যায়, তাই সেখানে মেয়েদেরকে বেশি টার্গেট করা হয়। আর হাইটের ক্ষেত্রে ছেলেদের স্ট্র্যাগলটা বেশি থাকে। কম হাইটের হলে ছেলেদেরকে বন্ধুমহলে নানা ধরণের কৌতুকের পাত্র বানিয়ে দেওয়া হয়। হীনমন্যতায় পরে এসব মানুষ যাই পান তা দেখে ঝুলে থাকেন একটু লম্বা হবার আশায়। একটা বয়সের পরে মানুষ আর বাড়তে পারেনা সেভাবে, নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে একটু বড়সর, শক্তিশালী লাগতে পারে। কিন্তু কোন ঔষুধ খেয়ে, জুতো পরে কয়েকমাসের মধ্যে লম্বা হওয়া জাস্ট সম্ভব না! এতে টাকা খরচ করার মানেই হয়না। এসব অনেক প্রোডাক্ট প্রতিবেশী দেশের, বিদেশী কিছুর প্রতি তো আমাদের বেশি আগ্রহ ও ভরসা থাকেই। তাই ফোন করে ইউজলেস জিনিসগুলো অর্ডার করার আগে কেউ বেশি একটা ভাবে না, কিন্তু এতে করে আপনার পকেটের টাকা অন্য দেশের মানুষের পকেটে চলে যাচ্ছে। আপনার ক্ষতি, দেশের ক্ষতি।

ওজন কমিয়ে দেওয়া বেল্ট!

উফফ! পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর, নিম্নমানের ফটোসপ দেখতে চাইলে এসব বেল্ট, জেল ইত্যাদির এড দেখা উচিৎ যা দশ মিনিটে বডি ফ্যাট পুড়িয়ে ফেলে! হাহা। প্রথমে অনেকগুলো পোশাক পরা বাজে এংগেল থেকে তোলা ছবি, পরেরটি বিকিনি পরে তোলা ছবি! মানে এরা জানে পাবলিককে বোকা বানাতে বেশি এফোর্ট লাগেনা। নারী পুরুষ নির্বিশেষে মোটা হবার অপরাধাে সবার হাসির পাত্র হয়ে যায়। সবখানেই এদেরকে টিপস দেবার মানুষের অভাব হয়না। এই ডায়েট সেই ডায়েট, এই থ্যাইল্যান্ডের পিল সেই ইন্ডিয়ার আয়ুর্বেদ, কতজনের কত কথা! কত টিটকারি। আরেহ ভাই যে মোটা সে নিজের টাকারটা খেয়ে মোটা, আপনার এত কি? আপনাকে কে অধিকার দিয়েছে কাউকে নিয়ে তামাশা করার?

মোটা কমানো সম্ভব তবে তার কোন স্বল্পমেয়াদী উপায় নেই। প্রতিদিন ব্যায়াম করে, পুষ্টিকর খাবার খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব। তবে একবার ওজন কমানোর পরেই যে আবার অনিয়মিত জীবনে ফিরতে পারবেন তা কিন্তু নয়। মোটা মানুষদের ওজন গেইন করার টেনডেনসি থাকে, ফিট থাকতে চাইলে পুরো জীবনই নিয়ম মেনে চলতে হবে। উল্টো পাল্টা প্রোডাক্টে টাকা খরচ না করে বাড়িতে ইউটিউবে নানা ধরণের এক্সারসাইজ দেখে সেগুলো নিয়মিত করে যেতে পারেন। কঠিন মনে হচ্ছে? অন্যেরা আপনাকে নিয়ে হাসছে সেজন্যে নয়, আপনি নিজের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্যে, নিজের প্রতি ভালোবাসা থেকে সবকিছু করুন। তাহলেই পারবেন।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

শেষ কথা: অনেকেই আছেন যারা বন্ধুদেরকে মোটু, বাটু, কালু ইত্যাদি নামে ডেকে থাকে। ভাবে যে এটা একটা ইন্নোসেন্ট মজা। কিন্তু আপনার এই মজার অংশ আপনার সেই বন্ধুটি মলিন হাসিতে যোগ দিলেও তার আত্মবিশ্বাস ও আত্ম ভালোবাসা কমতে থাকে। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেই নিজেকে ঘৃণার চোখে দেখতে থাকে। ভার্সিটি স্টুডেন্ট নিজের চেহারা নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকায় সুইসাইড করেছে এমন খবর পেপারে পড়েছেন নিশ্চই? আপনি কি চান আপনার কোন বন্ধু, আত্মীয়, পরিচিতর সাথে তেমনই হোক? নিশ্চই নয়, তাই বলব কালো লুকস নিয়ে ক্ষেপানো, পচানোর বিষয়টিকে এড়িয়ে চলুন, অন্যকেও সতর্ক করুন এ ব্যাপারে। আপনি নিজেও নিশ্চই পারফেক্ট নন? আপনি অন্যকে সম্মান দিয়ে চললে, অন্যদের কাছ থেকেও অসহ্য মন্তব্যগুলো পেতে হবেনা আর।

যারা নিজেদের বাহ্যিক আবরণের কারণে নানাবিধ মনোকষ্টে আছেন, তাদেরকে বলব এই পৃথিবীতে প্রচুর আকর্ষনীয় মানুষ আছেন যারা পেশাগত জীবনে অসফল, ৩/৪ বার বিয়ে ভেঙ্গেছে। আবার এমন অনেক মানুষ আছেন যাদেরকে সমাজ অসুন্দরের তকমা দেবার পরেও তারা নিজ ফিল্ডে সফল, এবং সুন্দরভাবে সংসার করে যাচ্ছেন। এমন অনেক বড় বড় রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়, সফল ব্যবাসায়ী ও চাকুরে, সাহিত্যিক, আঁকিয়ে তো রয়েছে পৃথিবীতে উদাহরণ হিসেবে। তাই এসব ভন্ড মিথ্যে প্রোডাক্টের পেছনে একটা টাকা খরচ না করে, নিজের সময় নষ্ট না করে নিজের প্যাশন অনুযায়ী কাজ করে যান। পচে গলে যাওয়া সমাজের চোখে "সুন্দর" বলতে যা বোঝায় তা হয়ত হবেন না, তবে নিজের মনে প্রকৃত সুখ, শান্তি ও আত্মমর্যাদা খুঁজে পাবেন নিশ্চই।

নাম্বারিং দেখে হয়ত বুঝতে পারছেন, এটি একট সিরিজ, নানা বিষয় নিয়েই রোস্ট পোস্ট আসতে থাকবে। লেখালেখির প্রধান উদ্দেশ্য তো সমাজের চোখ খোলা, সেই কাজে গঠনমূলক আলোচনা, এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে পাশে থাকুন।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পাঠকের জন্যে প্রশ্ন: আমি একটা জিনিস কখনোই বুঝতে পারিনা, ৭ দিনে ফর্সা, ১০ মিনিটে পাতলা, ৫ দিনে লম্বা করে দেওয়া প্রোডাক্টগুলো মানুষজন কেন ব্যবহার করে যাচ্ছে দিনের পর দিন? এসব অসম্ভব তাতো সহজেই বোঝা যায়, তবে কেন সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এসব এত জনপ্রিয়? আপনাদের কোন আইডিয়া থাকলে আমাকে বোঝান।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ওগুলো মাখা মাত্রই চার পাঁচটি মেয়ে ফর্সা ছেলেটির জ্যাকেট ধরে ঝুলতে থাকে! বাহ বাহ!
..............................................................................................................................
হা হা হা
এটা কোন প্রেম নয়
টাকার ধান্ধা
.............................................................................................................................

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে ধন্যবাদ।

টাকার ব্যাপার নয়, ওরা বোঝাতে চায় যে সুন্দর হলেই নাকি মেয়েরা ছেলেদেরকে দেখা মাত্র "হাই হ্যান্ডসাম!" বলে ডাকা শুরু করে দেয়! ছেলেটির আসল নামে তো আর ডাকেই না!
অবশ্যই এটা প্রেম নয়, সুন্দর নর অথবা সুন্দরী নারীকে দেখে তাকে পেতে চাওয়াকে প্রেম দেখানো হয় সিনেমা, বিজ্ঞাপন, গানে সবখানে। বাস্তবেও দেখা যায় কলেজের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলেটি, বিয়ের বাজারে সবচেয়ে সুন্দর মেয়েটিকেই মানুষ চায়। এসব প্রেম নয়, লোভী মনের নোংরামি। পরিবার, সমাজ, মিডিয়া সবাই মিলে এমন একটি ভাবনাকে জাস্টিফাই কিভাবে করে তাই আমি ভাবি!

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

নজসু বলেছেন:



আপনার এই পোষ্টটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি আমি।
কতগুলো সত্যি, কতোক মানুষের ভন্ডামি করে অর্থ উপার্জন, মানুষকে ধোকা দেয়ার বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার শেষ কথাগুলো সবার ঠান্ডা মাথায় অন্ততঃ একবার ভাবা উচিত।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ টপিককে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সেটা বোঝার জন্যে।

কতোক মানুষের ভন্ডামি করে অর্থ উপার্জন, মানুষকে ধোকা দেয়ার বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
এক্স্যাক্টলি! এমন একটা লাইন আমার লেখায় থাকা দরকার ছিল। ধন্যবাদ, যথাযথ বলেছেন।

হুমম আমি আশা করি একজন মানুষও হয়ত এই লেখাটি থেকে পজিটিভ কিছু শিখবে।

শুভকামনা রইল আপনার জন্যে।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাহিরাহি বলেছেন: প্রায় দশ বছর আগে আমার একজন কলিগের সাথে এ নিয়ে তর্ক হয়েছিল, কিন্তু আমার কথা আমলে নেয়নি।
তার মতে এতে দোষের কিছু নেই, একজন মানুষ ফর্সা হতে চাইবেই।
শুধু মাত্র গায়ের রং এর জন্য একটি ছেলে বা মেয়েকে অগ্রাধিকার দেয়া খুবই লজ্জাজনক।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে ফর্সাকে সুন্দর মনে করে সে ফর্সা হবার চেষ্টা করল, যে শ্যামলাকে সুন্দর মনে করে সে ট্যান হবার চেষ্টা করল। এতে করে সে বেশি সুন্দর বোধ করল। আচ্ছা এতদূর মেনে নিলাম, কিন্তু তার সাথে চাকরি পাওয়া, খেলাধূলা, গান, নাচ যেকোনকিছুতে সফল হবার যোগসূত্র কোথায়? কালো অসুন্দর, এবং অসুন্দর অসফল এটা কিভাবে প্রচার করতে পারে মিডিয়া। হাউ ডেয়ার দে?

আপনার কলিগের দোষ কি? সমাজে এসব এমনভাবে ছড়িয়ে গেছে সেই পুরোন যুগ থেকে যে মানুষজন ২+২ = ৪ এর মতো ফর্সা = সুন্দর, কালো = অসুন্দর ধারণাকে মেনে নিয়েছে। যেন এর বিপরীতে কিছু হতেই পারেনা!

শুধু মাত্র গায়ের রং এর জন্য একটি ছেলে বা মেয়েকে অগ্রাধিকার দেয়া খুবই লজ্জাজনক।

কঠিনভাবে সহমত!

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভীষন ভালো থাকুন।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



হেই! অনেক সুন্দর একটি পোস্ট। দেখা সাক্ষাত তো খুবই সীমিত। কেমন কাটছে সময়গুলো? শুভকামনা থাকলো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

কতদিন পরে! কেমন আছেন?

দেখা সাক্ষাত তো খুবই সীমিত।

হুমম ব্যস্ত জীবনের দায় সব!

ভালো কাটছে দিন, সকল শুভকামনা রইল আপনার জন্যেও।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।ধন্যবাদ

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মোস্ট ওয়েলকাম।

আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্যে।
শুভেচ্ছা।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: হ্যাল্লো আপু, অনেকদিন পর। কই ছিলেন এতদিন???
মিস করেছি আপনাকে।

এন্ড অন দ্য টপিক, আমি এখন পুরো নিগ্রো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই, পৃথিবীতেই ছিলাম রে। অন্য কোন গ্রহে যাবার সুযোগ পেলাম না। ;)

আমিও আপনাদের সবাইকে অনেক মিস করেছি। নানা ব্যস্ততা কাটিয়ে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।

টপিকের উদ্দেশ্য সহব্লগারদের গায়ের রং জানা ছিলনা, পুরো বিষয়টি নিয়ে তাদের মতামত, মনোভাব এসব আলোচনায় আসলে ভালো হয়।

আপনার একই কমেন্ট দুবার এসে গিয়েছিল, তাই একটি ডিলিট করে দিয়েছি।

ভালো থাকবেন অনেক।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫১

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ পোষ্ট। ধন্যবাদ

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রামানিক ভাই, অনেক খুশি হলাম আপনাকে পোস্টে পেয়ে।
মোস্ট ওয়েলকাম, আপনাকেও ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের উচিত যারাআ এরকম চটকদার বিজ্ঞাপন দেয়- তাদের কানে ধরে শায়েস্তা করা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কঠিনভাবে সহমত। প্রতিটি দেশে এসব বিজ্ঞাপন ব্যান করে দেওয়া উচিৎ কেননা ওরা মুখের ওপরে মিথ্যের পর মিথ্যে বলে মানুষকে হীনমন্যতার অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকুন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার একই কমেন্ট দুবার এসে গিয়েছিল, একটি ডিলিট করে দিলাম।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: য়ো আপু,
-আমি একবার ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী উৎপাদন বন্ধ করা নিয়ে, মজার একটা ডিবেট করেছিলাম =p~
-আমি একজন লম্বা মানুষ, এবং লম্বা মানুষ একটু বেকুব প্রকৃতির হয়!
-আমি একসময় মোটা ছিলাম, পড়তে পড়তে শুকিয়ে গেছি (২ বছরে ওজন কমেছে ৮ কেজি :P )
-এসব ক্যাপিটালিস্টরা করছে, বিজনেস করার জন্য, এজন্যই আমি টিভি, রিয়েলিটি শো থেকে ১০০ হাত দূরে!

আপনাদের দিকে শীত কেমন? আমার শরীরে তো জ্যাকেট হুডি আঠার মতো লেগে আছে, অপারেশন করে খোলা লাগবে!
(পোষ্টটি ভালো করে পড়িনি, চোখ বুলিয়েছি, পরে পড়ে ভালো কিছু মন্তব্য করবোনে)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই প্রান্ত!

এসব ক্যাপিটালিস্টরা করছে, বিজনেস করার জন্য
জানি, কিন্তু তাই বলে কোন এথিকস থাকবেনা? মানুষের ক্ষতি করে কেন টাকা কামাতে হবে? ভালো ও কার্যকরী প্রোডাক্ট বানিয়েও তো মানুষের উপকারের পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করা যেত।

তো জ্যাকেট হুডি আঠার মতো লেগে আছে, অপারেশন করে খোলা লাগবে!
হাহাহা, কথাটি বেশ মজার লাগল, মনে থাকবে।

শীত মোটামুটি, কোনদিন বেশি কোনদিন কম।

হনেস্টি ভালো লাগল, ভালো কিছু মন্তব্যের অপেক্ষা থাকল।

পড়াশোনা ভালো করে করো, খাওয়া দাওয়াও ঠিকমতো করো। ভালো থেকো অনেক।

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:



কতদিন পরে এলে--- একটু বসো

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই অনিকককক! আসলেই অনেকদিন পরে, মিসড ইউ সো মাচচচ!

কেমন আছ বলো? আগের মতোই অগোছালো নাকি একটু গোছাচ্ছ নিজেকে?

বসেই আছি বস, এসেছি আরো কয়েকদিন আগে। যতদিন পরেই আসিনা কেনা ব্লগবাড়ি সেই প্রথমদিনের মতোই আপন লাগে!

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ ! আমি ভালো আছি। আই আলসো মিসড ইউ। B-) হা হা হা
আগের মত আগোছালো আছি কিনা? নাহ আগের থেকে আরও বেশী আগোছালো হয়েছি ;)
এনিওয়ে, ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা নাও।
হ্যাপি ব্লগিং হা হা হা


বাই দ্যা ওয়ে--- ওজন কমিয়ে দেয়ার কোনো বটিকা সত্যি আছে নাকী? ;)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: রাক্ষসের মতো বিনা কারণে হাসছ কে মি: আলিফ লায়লা?

তুমিও ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা নাও।

সেসব পোস্টেই লেখা, কষ্ট করে পোস্ট পড়লেই উত্তর পেয়ে যেতে।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাহ! দারুন বিষয় নিয়ে লেখা।

আমি আরেকটি বিষয় যোগ করে দিলাম, চাকরির বিজ্ঞাপনে মেয়েদের সুন্দর হতে হবে, স্মার্ট হতে হবে, কেন? মেয়েদের কি সৌন্দর্য ছাড়া কাজের মূল্য নেই?

আমি কালো, কিন্ত আমি ৭ দিনে ফরসা হওয়ার ক্রিম ইউজ করিনা, আমার যা মন চায় আমি খাই মোটা হলাম কিনা, পেট বেড়ে গেল কিনা, আই ডোন্ট কেয়ার B-) যদিও আমার হাইট ভালো তবে খারাপ হলেও টেনশন ছিলনা।

আল্লাহ যাকে যেমন বানিয়েছে তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকলে, নিজেকে গুছিয়ে রাখলে ওই টুকুতেই অনেক ভালোথাকা সম্ভব। কনফিডেন্ট হচ্ছে সবকিছু।

কিছুদিন আগে মন থেকে ইচ্ছে হল হিজাব পরবো। আমার মেয়ে কলিগরা শুনে হাসতো, বোনরা নিষেধ করেছে, বলেছে হিজাব পরলে সুন্দর লাগবে না, আমারও খুব ইচ্ছে ছিল চুল রিবন্ডিং করার, কিন্তু আমি কারও কথা কোন কিছুকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজের মনের কথা শুনেছি। একদিনের ডিসিশনে হিজাব ধরে ফেলি এবং নিজেকে এমন ভাবে প্রেজেন্ট করি যে এখন আমার বোন ও কাজিনরা সহ আমার মেয়ে কলিগরাও আমাকে ডেইলি আমাকে কমপ্লিমেন্ট দেয়। আবারও বললাম, কনফিডেন্স হচ্ছে সবকিছু।

এনিওয়ে, এতদিন বিজি ছিলেন বুঝি আপু? ভালো লাগলো অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে :-<

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই কথা আপু, অনেকদিন পরে দেখে ভালো লাগল। আমি বিজি ছিলাম অনেক, তাই ব্লগে আসা হয়নি।

এটাও একই বিষয়। মিডিয়ায় নানা এডে দেখাবে যে সুন্দরীরা সহজে চাকরি, খেলাধূলা, গান নাচে সফল হচ্ছে, সেই প্রভাব বাস্তব দুনিয়াতেও পরে। অত্যাধুনিক মেকআপ, এডিটিং সমৃদ্ধ সুন্দরী!! মডেলদের বিউটি স্ট্যান্ডার্ডস সাধারণ মেয়েদেরকে অসহায় করে তোলে।

একদম ঠিক করেন, ফর্সা হবার মতো ক্রিম বাজারে নেইও, সবই ভন্ড। আর যদি ক্রিম মেখে ফর্সা হওয়া যেত, তবুও কোন কালোর মেয়ে বা ছেলের সেসব ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই, তারা তাদের মতো করেই সুন্দর!

আল্লাহ যাকে যেমন বানিয়েছে তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকলে, নিজেকে গুছিয়ে রাখলে ওই টুকুতেই অনেক ভালোথাকা সম্ভব। কনফিডেন্ট হচ্ছে সবকিছু।
এক্স্যাক্টলি। আপনি নিজেকে ভালোবাসতে, সম্মান করতে পারলে চারিপাশের মানুষও করবে। একদম ঠিক বলেছেন।

হিজাবের ব্যাপারটি অনেক সুন্দর একটি ব্যাপার। আপনাকে অভিনন্দন জানাই, নিজের মনমতো ডিসিশনটি নিতে পারায়। দেখবেন এখন চারিপাশের মানুষ আপনাকে দেখে হিজাব ধরবে। কনফিডেন্ট পিপল আর লিডারস, নট ফলোয়ারস!

কথাটি যখন উঠল, একটু বলি, আজকাল অনেক মানুষ হিজাব নিয়ে এত নোংরামী করছে! আমি কিন্তু আপনার কথা বলছিনা আপু, যারা এমন তাদের কথা বলি। টাইট জামা, কড়া লিপস্টিক সহ হেভী মেকআপ, আর হেজাবের চারিপাশ দিয়ে জ্বলজ্বলে অরনামেন্টস! সেসব করলে হেজাব না পরেও তো করা যায়, ধর্মীয় পোশাকটিকে এতটা নিচে নামানোর কিছু ছিলনা। আসলে একসময়ে মা খালাদের বোরখা পরতে দেখেছি, ইরানি হিজাবগুলো দেশে আসার পর থেকে মাথার চারিদিক দিয়ে দেওয়া হিজাব দেওয়া শুরু হলো। দলে দলে দেশী মহিলারা পরতে লাগলেন। এটা একটা ফ্যাশনের মতো হয়ে গিয়েছে। সব মেয়েরই আজকাল হিজাবে, শাড়িতে, স্কার্টে একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় দিতে হয়। হিজাবটি যে ফ্যাশন নয়, এটা পরে ইরানি মেয়েদের মতো পুতুল পুতুল হওয়াটা উদ্দেশ্য নয়, বরং ধর্মীয় বিধান মেনে চলাটাই কারণ, সেটা অনেকে বোঝেই না।
আমি হিজাব করিনা, তবে যারা ঠিকমতো করেন, তাদেরকে খুব সম্মান করি। যারা হিজাব পরে শরীর দেখানোর চেষ্টা করে, সেইসব ফেক মানুষদেরকে ঘৃণা করি।

পাঠ ও ভীষন সুন্দর একটি মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা রাশি রাশি!

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮

কিশোর মাইনু বলেছেন: প্রথমে সায়েন্টিফিক দৃষ্টিকোণ থেকে ও তারপর আমার পার্সোনাল মতামত ব্যাক্ত করছি।
*ফেয়ারনেস ক্রীম অনেক বড় ধোকাবাজি। কারণ এইসব ক্রীমের ক্ষমতা নেই আপনাকে ফর্সা বানানোর। আপনি কালো, অর্থ্যাৎ আপনি শরীরে মেলানিন বেশী। এবং তার প্রয়োজন বলেই সে আছে। ধরলাম, এইসব ক্রীম মেলানিন কমিয়ে ফেলে, তাহলে আপনার লাভের থেকে ক্ষতি ই বেশী হবে।
এখানে কিছু বলার নেই, আপু। ফর্সা ত্বক কালো ত্বকের থেকে ক্ষেত্রবিশেষে একটু হলেও সুন্দর। আর এটাকে পুজি বানিয়ে, অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করে যারা যারা ব্যবসা করে, তাদেরকে আমি মানুষের কাতারেই ফেলিনা।
কালো,
সেতো কালো নয়,
যদি তার ভিতরে আলো রয়।

*একটা মানুষ লম্বা হওয়ার পিছনে অনেক কিছুই কাজ করে। ক্রোমোসোম, তারপর তার শৈশবকাল, কিশোরকাল। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর মানুষ আর বাড়ে না। যতই চেষ্টা করা হোক না কেন।
আর লম্বা-খাটো নিয়ে আমি কিছু বলব না, কারণ আমি ৫:৮ হওয়ার পরে ও আমারর আফসোস,ইস আরো ২ইঞ্চি যদি লম্বা হয়তাম!!!

*বেল্ট পরে যদি চিকন হওয়া যায়, তাহলে ওদের বেল্ট কিনার দরকার কী??? আপনার বেল্টটি টাইট করে পড়ুন, চিকণ হয়ে যাবেন।
ডায়েট কন্ট্রোল ছাড়া চিকণ হওয়ার আর কোন ওয়ে নেই। আর ডায়েট কন্ট্রোল মানে কম খাওয়া না। ক্যালরি খ্রচ করা। আপনি খেলেন ২০০cal, খরচ করলেন ১০০cal, তখন ই আপনি মোটা হবেন। আর এটা continue করলে আপনার মেটাবলিজম পাওয়ার কমে যাবে। আর তখন আপনি যত কম ই খান না কেন আপনার ওজন বাড়বে।


*এরকম আরো অনেক আছে আপু। শ্যাম্পু, স্পেশাল সাবান, হ্যান্ডওয়াশ কোনটার ই কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আর এইসব পণের বিজ্ঞাপন এমনভাবে করা হয়, আরে দুনিয়া যাক চুলোয়, আমার পণ্য বিক্রি হলেই হল।

*শেষ কথা:যারা হ্যাপ্যিতেশে ভোগে তাদের উদ্দেশ্যে, আপনি মোটু, খাটো, কালো যাই হোন আপনি এমন ই। আপনি অসুন্দর না। এই দুনিয়ার কোন সৃষ্টি ই অসুন্দর না।

*প্রশ্নের উত্তর:আশা করতে দোষ কি আপু, হোক না সেটা মিথ্যা আশা।
মানুষ বাচে আশায়,
অপেক্ষায় ভালবাসায়।


<আমি প্রথম মন্তব্য না পড়েই করেছিলাম আপু। এতদিন পর দেখলাম, আগে তো খবর নেই, তারপর পোস্ট পড়ে যাবে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মেলানিনের ব্যাপারটি আমিও জানি। শরীরের রং পরিবর্তন করা অনেক বড় একটি ব্যাপার, ক্রিম মেখে সেটা অসম্ভব। এত সিলি একটা আইডিয়া কার মাথায় প্রথম এসেছিল কে জানে!

ফর্সা ত্বক কালো ত্বকের থেকে ক্ষেত্রবিশেষে একটু হলেও সুন্দর।
ক্ষেত্রবিশেষে আবার কালো ত্বকের অধিকারী মানুষদের বেশি সুন্দর লাগে। আমাদের মিডিয়াতে এমন অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী আছেন যারা হয়ত হাইট, গায়ের রং সবমিলে সুন্দর বলার মতো, কিন্তু তাদের দেখে কেন যেন ভালো লাগেনা। আবার অনেকের চেহারা হয়ত পারফেক্ট না, কিন্তু ভালো লেগে যায়। বাস্তব জীবনেও এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। সৌন্দর্য অনেক বড় একটি কনসেপ্ট, একে রং ও হাইট ওয়েটের ভিত্তিতে বাক্সবন্দী করা অনেক বড় একটি ভুল।

আমিও ওদেরকে মানুষের কাতারে ফেলিনা। ঘৃণা রইল এসব ভন্ড ব্যাবসায়ীদের জন্যে।

*বেল্ট পরে যদি চিকন হওয়া যায়, তাহলে ওদের বেল্ট কিনার দরকার কী??? আপনার বেল্টটি টাইট করে পড়ুন, চিকণ হয়ে যাবেন।
হাহাহা, গুড ওয়ান!
ডায়েট কন্ট্রোল জরুরি, এক্সারসাইজ জরুরি। তারপরেও খুব একটা পরিবর্তন না হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। হাইট, গায়ের রং পরিবর্তন করার কোন দরকারই নেই, তবে বেশি মোটা মানুষদের নিজেদের সুস্বাস্থ্যের জন্যেই ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিৎ।

*এরকম আরো অনেক আছে আপু। শ্যাম্পু, স্পেশাল সাবান, হ্যান্ডওয়াশ কোনটার ই কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আর এইসব পণের বিজ্ঞাপন এমনভাবে করা হয়, আরে দুনিয়া যাক চুলোয়, আমার পণ্য বিক্রি হলেই হল।
ওগুলো তো তাও বলে যে জীবানু মারবে, মেনে নেওয়া যায়। অপরিষ্কার আপনাকে পরিষ্কার করবে। কিন্তু গায়ের কালো রং, হাইট পাল্টে ফেলার এডগুলো শেমলেস, ১০০% শেমলেস।

*শেষ কথা:যারা হ্যাপ্যিতেশে ভোগে তাদের উদ্দেশ্যে, আপনি মোটু, খাটো, কালো যাই হোন আপনি এমন ই। আপনি অসুন্দর না। এই দুনিয়ার কোন সৃষ্টি ই অসুন্দর না।
নাথিং টু এড, একদম আমার মনেরই কথা।

প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায় ধন্যবাদ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ না হবার পরে বোঝা উচিৎ যে আশা মিথ্যে। এমন অনেকেও ব্যবহার করেন এসব প্রোডাক্ট যারা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী নন। তবুও এসবে মাসে মাসে টাকা খরচ করেই যান! ভাবতেই অবাক লাগে! কোন লেভেলের ডিপ্রেশনে গেলে এভাবে মানুষ মন মগজ কাজ করে দেওয়া বন্ধ হয়ে যায় তা অনুমেয়।

১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: টাক সমস্যার সমাধান দরকার :(

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নাহ, সমাজের অযৌক্তিক বিউটি স্ট্যান্ডার্ডস গুলো পরিবর্তিত হওয়া দরকার।

১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন!
দারুন টপিক নিয়ে লিখেছেন।
এই সব খ্যাত বিষয় কেন যেন মানুষ বুঝেও বুঝে না।
১) আমার এক ফ্রেন্ড ছিল ফেয়ার & লাভলি তে। এর কাছ থেকে শুনা। প্রডাক্টের দামের ৭০~৭৫% এ্যাড কস্ট প্লাস মার্কেটিং। বুঝুন তাহলে ভিতরে কি দেয়! ;)
২) আমার স্ত্রীর কাছ থেকে শুনা। ওর এক বান্ধবীকে স্কুল থেকে দেখে এসেছে রেগুলার ফেয়ার & লাভলি মাখতে (বেচারী দেখতে শ্যামলা)। গত পনের বছরেও কোন চেন্জ নেই। কনর্ফাম হবার জন্য আমি এর ছোট বেলার কালার ছবি দেখেছিলাম।

তবে এই সব লোক ঠকান ব্যবসা মেয়েদের কে নিয়ে বেশি হয়।
চলুক এই পোস্ট। সাথেই আছি আমি.......
শুভ কামনা রইল!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মানুষ কেন বুঝেও বোঝে না সেটা আমি বুঝিনা।

ওদের আর দোষ কি? মানুষকে বোকা বানানো যখন এত সহজ তখন কষ্ট করে গুণগত মানের ক্রিম ব্যবহারের প্রয়োজন তো নেইই।

পোর হার! ১৫ বছর ধরে! আসলে একটা পর্যায়ের পরে ফর্সা হবার জন্যে নয়,
১) মানুষজনের আদেশ উপদেশ মেনে মেখে যায়, না মাখলে তো সবাই বলবে শ্যামলা মেয়ের দেমাগ কত! একটু ক্রিম মাখলে এতদিনে পরিবর্তন নিশ্চই চোখে পরত!
২) অভ্যাসবশত, অনেকটা নেশার মতো হয়ে যায় হয়ত।

জানি না, আমি শিওর না আসলে মানুষ কিভাবে ইউজলেস ফেয়ারনেস ক্রিমগুলো কিনতে পারে, আবার সেটা এত বছর ধরে ব্যবহার করতে পারে।

পাঠ ও বেশ সুন্দর একটি মন্তব্যে ধন্যবাদ জানাই।
সকল শুভকামনা আপনার জন্যে!

১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনি কি এসব কোম্পানীর ভাত মারতে চান নাকি! :P
এসবে যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য সহানুভূতি ছাড়া আর কী-ইবা দেওয়ার আছে? আপনি যতই যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন না কেন কনজ্যুমাররা এসব বিশ্বাস করবে না। কারণ দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হলেও সাময়িক ফলাফলে এরা অনেকেই সন্তষ্ট। তবে আপনার লেখা যদি একজন মানুষেরও উপকার করে তাহলেই আপনি সার্থক। কী বলেন মিস বোকামতী? :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি যতই যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন না কেন কনজ্যুমাররা এসব বিশ্বাস করবে না।
ট্রু দ্যাট। আগে বিউটি স্ট্যান্ডার্ডস পরিবর্তন করতে হবে। কালোকে অসুন্দর বলে আমরা এটা আশা করতে পারিনা যে মানুষ ফর্সা হবার চেষ্টা করবেনা। কালো, বেটেরাও সুন্দর, ছোট থেকে সব ধরণের সৌন্দর্যে বিশ্বাস আনতে পারলে বা শিশুদের সেভাবে গড়ে তুলতে পারলে এসব প্রোডাক্ট আপনা আপনি বিতাড়িত হয়ে যাবে।

হুমম, কিছু কিছু ক্রিম স্বল্প সময়ে ত্বককে কিছুটা উজ্জ্বল করে, কিন্তু তার মধ্যের ক্ষতিকর প্রোডাক্টগুলো যখন রিএকশন দেখাতে শুরু করে স্কিনের বারোটা বেজে যায়। আচ্ছা এদের বিরুদ্ধে কেউ কেস করেনা? কিভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব প্রোডাক্ট বাজারে!

আপনি বোকা কোনদিক দিয়ে? ভালোই তো আমাকে ভেঙ্গিয়ে ফাজলামি করলেন বুদ্ধি খাটিয়ে! শয়তান কোথাকার! X(( ;)

১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: প্রতিমন্তব্য পড়ে আরও একটু বলতে আসলাম আপু,

@ টাইট জামা, কড়া লিপস্টিক সহ হেভী মেকআপ, আর হেজাবের চারিপাশ দিয়ে জ্বলজ্বলে অরনামেন্টস-- পর্দা বা হিজাবের উদ্দেশ্য কাউকে আকর্ষণ করা নয় কিন্তু ইদানিং দেখা যায় হিজাব পরে এমনসব অরনামেন্টস আর হাবিজাবি কি সব পরে দেখলেই বিরক্ত লাগে । আর বিষয়টি এমন যেন মেয়েদের চুলই সবকিছু, শুধু চুল ঠেকে টাইট জামা পরলে সেটা কি আর শালীন থাকা হল ?
স্টাইল সবভাবে করা যায়, স্মার্ট সবভাবে হওয়া যায়, সুন্দর ও শালীন ভাবে হিজাব বা পর্দা করেও যায় । যারা ভাবে হিজাব পরে তাকে ভালো লাগছেনা, স্মার্ট লাগছেনা, তার মন লাগছেনা তাতে তাহলে তা কন্টিনিউ করার দরকারও নেই । আর মন থেকে পরলে এমনিতেই তাকে অনেক সুন্দর লাগবে তাতে তার আফসোস করার কিছু নেই যে সে অন্যদের মতো অরনামেন্টস পরতে পারছেনা । ওসব ত্যাগ করতে পারলে পড়বে আদারওয়াইজ ঢং করার জন্য নয় । মেয়েদের শালীনতাই সৌন্দর্য, টাইট বোরকা পরে আরও অশালীন থাকার চেয়ে তা না পরাই শ্রেয় ।



@ইরানি হিজাবগুলো দেশে আসার পর থেকে মাথার চারিদিক দিয়ে দেওয়া হিজাব দেওয়া শুরু হলো। দলে দলে দেশী মহিলারা পরতে লাগলেন। এটা একটা ফ্যাশনের মতো হয়ে গিয়েছে। সব মেয়েরই আজকাল হিজাবে, শাড়িতে, স্কার্টে একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় দিতে হয়। হিজাবটি যে ফ্যাশন নয়, এটা পরে ইরানি মেয়েদের মতো পুতুল পুতুল হওয়াটা উদ্দেশ্য নয়, বরং ধর্মীয় বিধান মেনে চলাটাই কারণ, সেটা অনেকে বোঝেই না
--- এই বিষয়টি নিয়ে আমারও চরম বিরক্তি আছে আপু । হা ঠিক, হিজাব এখন শালীনতার চাইতে স্টাইল আর ফ্যাশন বেশী, আমি বুঝিনা যে আমি যদি মন থেকে শালীন থাকার জন্য না পরি ফেসবুকে ছবি দেওয়ার জন্য ঠং করে কি লাভ । আর হ্যাঁ, কিছু মেয়ে কি যে করে, মাথার উপরে কাপড়ের পাহাড় বানিয়ে রাখে দেখলেই অসহ্য লাগে আমার |-) তবে আমরা যারা বিষয়গুলো বুঝি তারা চাইলেই সুন্দর ও শালীনভাবে কনফিডেন্টলি নিজেকে উপস্থাপন করে অন্যকে দেখিয়ে দিতে পারি যে পর্দা করে, শালীন থেকেও স্টাইল করা যায়, ফ্যাশন করা যায়, সুন্দর হওয়া যায় । সবকিছু মনের ব্যাপার ।

অনেক কথা বলে ফেললাম আপু =p~ :P

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবারো এসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সুন্দরভাবে বলে যাবার জন্যে। আরেহ বেশি বলাই তো ভালো, যতো বেশি কথা, ততো বেশি পরিষ্কার আলোচনা! এমন কারো নজরে পরলে সে হয়ত নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারবে।

একদম আমার মনের কথা বলেছেন, শুধুমাত্র চুল ঢেকে টাইট পোশাক পরে শরীরের সকল অংগ দেখিয়ে, মুখকে আকর্ষনীয় করে কেমন টাইপ শালীনতা বজায় রাখা হয় তারাই জানেন। কোন মেয়ের যদি সাজতে, নিজেকে আকর্ষনীয় ভাবে প্রেজেন্ট করতে ভালো লাগে করুক, তবে হিজাবের মতো পবিত্র কিছুর মুখোশ ধরে নয়। ইফ ইউ ক্যান্ট ক্যারি ইট উইথ ডিগনিটি, ডোন্ট ওয়েআর ইট! বিদেশে মেয়েরা অনেক ছোট ছোট ড্রেস পরে, কিন্তু চোখে এতটা অশালীন লাগেনা। আবার অনেক হিজাবধারীকেও অশালীন মনে হয়। আসলে মেয়েটির মনে, ও বডি ল্যাংগুয়েজে কি আছে সেটা খুব জরুরি। শুধু শরীর নয়, মনকেও ঢাকতে জানতে হয়।

পাহাড় কন্যাদের দেখলে ইচ্ছে করে!!! হিজাবেও ডিজিটাল হতে হবে? কোনদিন হিজাব, কারো বিয়ের অনুষ্ঠানে বা পার্টিতে গেলে হিজাব গায়েব। এটা আবার কিরে ভাই? ইটস আ অল টাইম কমিটমেন্ট! উফফ, অসহ্য।

আপনার কথা ও ভাবনা অনেক সুন্দর আপু। আপনি অন্য অনেকের মতো না। আপনার সাথে মন্তব্যের আদান প্রদানে মুগ্ধ হয়ে যাই প্রতিবার। এমনই থাকুন সবসময়, ভালো থাকুন।

১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: মাঝে মাঝে ভাবি, এই আকাঙ্খাগুলো তাদের তৈরি করে দেয়া, যাতে মার্কেটে চলে, নাকি আমরা এমন চাই বলেই মার্কেট তৈরি হয়। নাকি এ এক অভেদ্য দুষ্টচক্র?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমরা চাই বলেই মার্কেট তৈরি হয়েছে। আগের যুগে আমাদের দাদী নানী এবং তাদের পূর্বের যুগেও পাত্রী দেখতে আসলে গায়ের রং দেখত। মেয়ে কালো হয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হত। ফেয়ারনেস ক্রিম গুলো হচ্ছে হলুদ, মসুরের ডাল মেখে রোদের দিকে তাকিয়ে থাকার আধুনিক ও ক্ষতিকর ভার্সন!
তবে এখন যেভাবে মানুষজন শিক্ষিত ও আধুনিক হচ্ছে, তাতে মিডিয়ার অত্যাচার না থাকলে বর্ণবাদীতার আধুনিক ট্যাবলেট সবাই এখনো খেয়ে যেত না। সবার নজর খুলে যেত।

আপনাকে পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল হাসান ভাই। ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

টুপি খোলা অভিবাদন সখি,

আত্মবিশ্বাস, আত্ম মর্যাদা আত্ম পরিচয়ের জায়গাইটাই ভেঙ্গে দিচ্ছে কর্পোরেট দস্যুরা! স্রেফ নিজেদের ব্যবসার জন্য নীতি নৈতিকতা মূল্যবোধকে বিসর্জন দিয়েই নেমেছে ! আমরাও হাজার বছরের প্রচলিত শুভ শিক্ষা গুলোকেও বিসর্জন দিয়ে ইঁদুর দৌড়ে নেমেছি তথাকথিত আধনিকতার নামে! যার ফলে শৈনে শৈনে বেড়ে ওঠা ব্যাঙের ছাতার মতো এসব কোম্পানী!
ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্বাস্থ্য, মন এবং মৌলিক অবস্থান। পুরুষেরাও মেনস পার্লারে কিউতে!

মানুষ হিসেবে মানুষের সম্মান মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হোক। বর্ণবাদ বর্নবাদী চেতনা বিলুপ্ত হোক।
আমাদের হাতেই অস্ত্র। আমাদের চেতনাই আমাদের শক্তি!
বদলে যাবার ইচ্ছের জ্ঞান বাতিতে আলো জ্বালাতে পারলেই হলো!
জ্বলে উঠবে আলো, মুছে যাবে হীনমন্যতা আত্মবিশ্বাসে আলোয় চমকাবে চেহারা।

শুভ দিনের শুভজাগরনের শুভারম্ভে শুভেচ্ছা :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা! কি ব্যাপার? আজকাল ঘন ঘন প্রোফাইল পিক পরিবর্তিত হচ্ছে দেখছি! :)

অভিবাদনে ধন্যবাদ ধন্যবাদ।

আত্মবিশ্বাস, আত্ম মর্যাদা আত্ম পরিচয়ের জায়গাইটাই ভেঙ্গে দিচ্ছে কর্পোরেট দস্যুরা!
রাইটলি সেইড, ওয়েল সেইড। সাধারণের দোষ নেই বলবনা, তবে ২৪ ঘন্টা টিভিতে, পথে চলতে চলতে, ঘরের জানালা দিয়ে দেখা বিলবোর্ডগুলো মনকে স্বাভাবিকভাবেই প্রভাবিত করে ফেলে। ক্ষতিকর, ইউজলেস এবং বর্ণবাদী চেতনার যেকোন পণ্যকে ব্যানড করতে হবে। সেটাই শেষ কথা।
সেটাই, আজকাল নারী পুরুষ নির্বিশেষে অত্যাচার চলছে। সুন্দর হতেই হবে, আর সুন্দর মানে কি? ফর্সা লম্বা ইত্যাদি! যত্তসব বোকা বোকা ভাবনা।

মানুষ হিসেবে মানুষের সম্মান মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হোক। বর্ণবাদ বর্নবাদী চেতনা বিলুপ্ত হোক। আমাদের হাতেই অস্ত্র। আমাদের চেতনাই আমাদের শক্তি! বদলে যাবার ইচ্ছের জ্ঞান বাতিতে আলো জ্বালাতে পারলেই হলো! জ্বলে উঠবে আলো, মুছে যাবে হীনমন্যতা আত্মবিশ্বাসে আলোয় চমকাবে চেহারা।
কবিসাহেব, আপনার সাধারণ কথাগুলোও কবিতার মতো! পড়তে, ভাবতে, মানতে ভালো লাগে। নাথিং টু এড, টোটালি এগ্রি!

অনেক সুন্দর মন্তব্য পোস্টটিতে দিয়ে যাবার জন্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা।

২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর মুখ নয় সুন্দর মন চাই....
যার যা আছে তা নিয়েই সে অনন্য......
সেখানে অন্য কিছু চাওয়াটা বাতুলতা........

দারুণ কিছু বিষয় তুলো ধরায় অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মোস্ট ওয়েকলাম এবং আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ, এত সুন্দর করে কয়েক লাইনে পোস্টটির সারকথা তুলে ধরায়।
ভালো থাকুন।

২১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তবে পোস্টটা কিন্তু মারাত্মক সুন্দরী ;) ;)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা, গুড ওয়ান! ভেরি ফানি! :)

২২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পাঠকের জন্য প্রশ্ন অংশটি নিয়ে বলি। নারী পুরুষ নির্বিশেষে অতি মূর্খ টাইপের মানুষরা এইসব রাবিশ ও বোগাস এ্যাডের ফাঁদে পা দেয়। সে হয়তো অনেক লেখাপড়া করেছে, অনেক বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করেছে, কিন্তু আসলে সে কিছুই শেখেনি। তার জ্ঞানের ভাণ্ডার শুন্য। এসব মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা বলতে কিছুই নাই। এদের জন্য আমার করুণা হয়।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই, রাবিশ ও বোগাস, দুটো ভীষন যথাযথ, উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করেছেন।

সে হয়তো অনেক লেখাপড়া করেছে, অনেক বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করেছে, কিন্তু আসলে সে কিছুই শেখেনি। তার জ্ঞানের ভাণ্ডার শুন্য। এসব মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা বলতে কিছুই নাই। এদের জন্য আমার করুণা হয়।
বাহ! কঠিন মন্তব্যে সঠিক কথাটাই বলেছেন। ভীষনভাবে সহমত পোষন করছি।

ধন্যবাদ হেনাভাই, পাঠ ও এমন উচিৎ মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

২৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই মিডিয়াগুলো ছেলে মেয়েদের মাথা চিবিয়ে খাচ্ছে।

বাহরী এ্যাড দেয় কাজের কাজে কিছু হয় না। যদিও বা একটু ফল পাওয়া যায়। শরীরের বল নিয়ে নেয় (মানে ক্ষতি করে)

ধন্যবাদ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম সঠিক ও উচিৎ কথা বলেছেন। এ্যাডে যা বলে তার ১% ও এচিভ করতে পারেনা প্রোডাক্টগুলো। উল্টো মানসিকভাবে হতাশ করে দেয়। লজ্জা হওয়া উচিৎ তাদের যারা মানুষের হতাশাকে পুঁজি করে বানিজ্য করে।

মোস্ট ওয়েলকাম, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটিতে।
শুভকামনা।

২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:০১

নাসির ইয়ামান বলেছেন: ব্লগে এতো সুন্দর বিষয়ে লেখা হয়,আপুর আর্টিকেল না পড়লে জানতেই পারতাম না!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ! থ্যাংকস এ লট। অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো থাকুন।

২৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১৪

সুপারডুপার বলেছেন: যারা এই ধরণের সমস্যার মধ্যে আছেন তাদের কে মহাজাতকের আত্মনির্মাণ বইটি পড়ে দেখতে অনুরোধ করছি।
ডাউনলোড লিংক : আত্মনির্মাণ-কোয়ান্টাম মেথড - মহাজাতক

সুন্দরের মূল্য সৃষ্টির শুরুতেও ছিল এখন ও আছে ও থাকবে। পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতা, পরিপাটি -গোছানোর মূল্য আরো বেশি।

কিছু জিনিস ভাগ্য হিসাবেই মেনে নিতেই হবে। যেমন : জন্মস্থান ও কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ । এটা আমরা নিজে নির্ধারণ করতে পারি না। তবে এটা সমস্যা হলে মাথা খেটে ভালো কিছু করতে পারি। তাই , কালো, বেঁটে, মোটারা ও মাথা খেটে ভালো কিছু করতে পারে।
মাথা খাটানোর ক্ষেত্রে , প্রকৃতি নিজেই বর্ণবাদী। মানে , যারা মাথা খাটাচ্ছে তাদের প্রকৃতি স্মার্ট হিসাবেই সম্মান দেয়।

ছেলে - মেয়ের মধ্যে আকর্ষণের কেমিস্ট্রি বলা মুশকিল। তবে , একজন কালো, বেঁটে, মোটা, যদি পরিপাটি -গোছানো ও স্মার্ট হয় , প্রকৃতি তাকে ঠিকই উঁচু পদে নিয়ে যায়।

আর বিজ্ঞাপনের কথা বললে , বিজ্ঞাপন দেওয়াই হয় মানুষের দুর্বলতা কে কেন্দ্র করে পোডাক্ট বিক্রি হওয়ার জন্য। বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রভাবিত হওয়া, যে মানুষ বিজ্ঞাপন দেখে /শোনে তার মাথার উপর নির্ভরশীল।



১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুন্দরের মূল্য সৃষ্টির শুরুতেও ছিল এখন ও আছে ও থাকবে। পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতা, পরিপাটি -গোছানোর মূল্য আরো বেশি।
মানছি, তবে সুন্দরের মূল্য নিয়ে নয় সংজ্ঞা নিয়ে আমার সমস্যা। সুন্দরের সংজ্ঞা যদি অসুন্দর কিছু হয় তবে কি মানা যায়?

মাথা খাটানোর ক্ষেত্রে , প্রকৃতি নিজেই বর্ণবাদী। মানে , যারা মাথা খাটাচ্ছে তাদের প্রকৃতি স্মার্ট হিসাবেই সম্মান দেয়।
অসাধারণ লিখেছেন।

তা মানলাম, কিন্তু এত বেশি অবাস্তব সব প্রমিসেস কিভাবে করতে পারে তারা? ৭ দিনে গায়ের রং পরিবর্তন? রিয়েলি? আর মানুষ বিশ্বাসও করছে। সত্যিই ভাবলেই অবাক হয়ে যাই।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
সুখে থাকুন।

২৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:২৫

গরল বলেছেন: যে দেশে পানি পড়া, ঝাঁড়-ফুক বা পেপে পাতার রসকে চিকিৎসা মনে করে তারা এসব প্রোডাক্ট কিনবে, এটাই স্বাভাবিক। সরকারিভাবে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ, ইউনানী ও আয়ুর্বেদি মেডিক্যাল কলেজ আছে, খুব শীঘ্রই ঝাঁড়-ফুক মেডিক্যাল কলেজও চালু হওয়া অসম্ভব কিছু না। মানুষ যেমন, সরকার তেমন, ব্যাবসায়ীরা যে কাঠাল ভেঙে খাবে এটা আর নতুন কি?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শুধু কি আমাদের দেশে রে ভাই? এশিয়ার উন্নত দেশগুলোতেও ব্লিচিং এর জন্যে মানুষ পাগল হয়ে যায়! দুঃখজনক।

হাহাহা, ঝাঁড়-ফুক মেডিক্যাল কলেজ! ভালোই বলেছেন।

ধন্যবাদ পুরনো পোস্টটিতে মন্তব্য করে যাওয়ায়।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.