নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোস্ট পোস্ট (২) - বাংলাদেশী বিয়ে - দুটি মনের মিলন নাকি অপসংস্কৃতি, অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা প্রকাশের মাধ্যম? শেম শেম!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৪



বিয়ে শব্দটির সংজ্ঞা একেকজন একেকভাবে দেবেন। তবে বেশিরভাগ মানুষ যা বললেন তার মানে দাড়াব - দুটি মানুষের একসাথে জীবন শুরু করার, একে অপরকে ভালোবাসার, সুখ দুঃখে পাশে দাড়ানোর সামাজিক ও ধর্মীয় অসাধারণ নিয়মটির পালন। আমাদের সমাজে এই অসাধারণ ব্যাপারটি নিতান্তই কুৎসিত একটি রূপ পাচ্ছে দিনকে দিন। সেসব নিয়েই আজকের রোস্ট পোস্ট!

পূর্ব রোস্ট পোস্ট: রোস্ট পোস্ট (১) - "আপনি কি কালো, বেঁটে, মোটা? তাহলে আপনার বেঁচে থাকা অর্থহীন!" ওহ মিডিয়া প্লিজ শ্যাট আপ!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

অপসংস্কৃতি: যেকোন সংস্কৃতির নানা অংশের মধ্যে বিয়ে একটি অন্যতম অংশ। নানা দেশের বিয়ের রীতিনীতি একেক রকম। বিয়ের পোশাক, খাবার, নাচ, গান, মেহমানদারী, সাজসজ্জ্বা ইত্যাদির মাধ্যমে একটি সংস্কৃতির অনেকটাই প্রকাশিত হয়। কোন দেশের বিয়েতে যদি বিদেশী সংস্কৃতি রাজ করতে থাকে, বুঝতে হবে সেই জাতি অনেকাংশেই এবং নানা দিক দিয়েই অন্য জাতির প্রতি আকৃষ্ট ও নির্ভরশীল।

পোশাক: আজকাল আমাদের দেশের বিয়েগুলো যেভাবে হচ্ছে তার সাথে বাংলাদেশী সংস্কৃতির দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোন সম্পর্ক নেই। শেরওয়ানি হতে হবে গুজরাটি বা কোন বলিউড মুভির নায়কের মতো, কনের পোশাক হবে ইন্ডিয়ান ওয়েস্টার্ন ফিউশন।

বেনারসি বড্ড ব্যাকডেটেড!


"শাশুড়ি নয় সে তো মা, বউ নয় সে তো মেয়ে" নামের ভারতীয় সিরিয়ালে গীতাঞ্জলি তার চতুর্থ বিয়ের দ্বিতীয় ম্যারেজ এনিভার্সারিকে স্মরনীয় করে রাখার জন্যে পুনরায় বিয়ের সময়ে যে লেহেঙ্গা পরেছিল, আমাকেও সেটাই পরতে হবে!



ফটোশ্যুট:



ছোটকালে আমরা খুব মজা করে আত্মীয় স্বজনদের বিয়ের ভিডিও, এলবাম দেখতাম। সেগুলো বিয়ের সেরেমনিতেই তোলা হতো। সবার মুখে হাসি, বর কনের চোখে মুখে লজ্জা লজ্জা ভাব লেগে থাকত। ব্যাকগ্রাউন্ডে রোমান্টিক গান বাজত। খুব মায়া মায়া ছিল সেসব ব্যাপার।



আজকাল সেসব তো হয়ই। তার সাথে সাথে বিয়ের আগেও ফটোশ্যুট হয়! ফটোশ্যুট শুনলেই তো প্রফেশনাল একটি ব্যাপার মনে হয়। নানা সুন্দর লোকেশনে গিয়ে বর কনে নানা দেশের আউটফিট পরে জড়াজড়ি করে ছবি তোলেন। (মাথা ঘোরানোর ইমো হবে)! বিষয়টি মোরালি ভালো খারাপের নয়, বাংলাদেশী হিসেবে আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়। বিষয়টির লজিকই বুঝিনা আমি।
এগুলো তো ওয়েডিং মডেল অথবা অভিনেতা অভিনেত্রীরা করবে। তারা নাহয় পেশাগত কারণে কৃত্রিমতা মিশ্রিত ছবিগুলো তুলতে পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষেরা তো রিয়েল মোমেন্টের ছবি তুলবে। বিয়ের আগের ছবিগুলো কোথাও বেড়াতে গিয়ে, শপিং করতে গিয়ে হুট করে তোলা হতে পারে। প্ল্যান প্রোগ্রাম করে এসব করার মানে কিরে ভাই?

মেকআপ:



একসময়ে কনের বান্ধবী, আত্মীয়রাই বিয়ের মেকআপ আন্তরিকতার সাথে করে দিতেন। সেই সারল্যে সৌন্দর্য থাকত, নব্য কনের মুখে লজ্জার রেশ কড়া মেকআপে মুছে যেত না। কিন্তু এখন? কনে সেই ভোরে গোসল করে বেড়িয়ে যায়, বিকেলে মেকআপ করে বাড়ি ফেরে!

একটা সত্যিকারের লজ্জার কাহিনী বলি।



একবার ক্লাসে আমি একটি লাল রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরে গিয়েছি। আমার পাশে বসা আফ্রিকান সহপাঠী ও বন্ধু আমাকে হেসে হেসে বলল "তোমাকে বেশ ব্রাইডাল লাগছে!" আমিও হেসে ফেললাম। সাদামাটা হলেও সেই কামিজটিতে সোনালী চুমকির কাজ ছিল বলে হয়ত এমন মনে হয়েছে তার। অথবা সে জানে আমাদের দিকে বিয়েতে লাল প্রাধান্য পায়। তার বলার এক্স্যাক্ট কারণ আমি জানি না। তবে এভাবে গল্পটা এমন দিকে মোড় নিল যে পাশের আরো কজন বন্ধু নিজের নিজের দেশের ব্রাইডদের ল্যাপটপে দেখাতে লাগল। এক কোরিয়ান দেখালো, এক কানাডিয়ান স্টুডেন্টও শেয়ার করল।
আমার কানাডিয়ান সহপাঠী বলল , "আই ওয়ান্ডার হাও ব্যাংলাদেশী ব্রাইডস লুক!" আমিও সাথে সাথে সার্চ দিলাম গুগলে, দেখানোর জন্যে

দেখে ওর প্রথম কথা ছিল, "ওহ মাই গড! সিমস লাইক দে হ্যাভ এ লট অফ মেকআপ অন!" হেসে ফেলল এটা বলে।

ওর কথা শুনে আমি খুঁজে গেলাম নরমাল সাজের কোন বাংলাদেশী কনেকে। কিন্তু যেই ছবিই চোখে পরে সবার পুরু অদ্ভুত মেকআপ!
কানাডিয়ান, ও কোরিয়ান ব্রাইডদের মেকআপ বেশ অভিজাত ছিল, স্কিনের সাথে মিশে ছিল। আর আমাদেরটা মনে হচ্ছিল স্কিনের ওপরে দশ কেজি আটার কারুকাজ! টিচার এসে গেলেন এসব করতে করতে, আর আমি ভাবতে লাগলাম, অন্য দেশের ব্রাইডেরা সুন্দর সব কম্প্লিমেন্ট পেল, আর আমার দেশেরটাকে দেখে হেসেই ফেলল!
আমরা আধুনিকতা ও সৌন্দর্যের নামে যা করছি তা যে আমাদেরকে হাসির পাত্র বানিয়ে দিয়েছে সেটা বোঝাতে এই ঘটনাই যথেষ্ট। আমি আর কিছু বললাম না বিষয়টি নিয়ে।

নাচ গান: বিয়েতে নাচ গান হওয়া স্বাভাবিক, তবে সেটা মনের আনন্দে আসা উচিৎ। আগেকার দিনে বাড়ির লোকেরাই যেমন চাচী খালা গোত্রীয় মানুষেরা বেসুরে গলায় গান গাইতেন, বাচ্চারা গোল হয়ে হাত পা নেড়ে নাচত। কেননা তাতে সুর তাল লয় মিলছে কিনা সেটা জরুরি নয়, দুটি মনের মিল হলো কিনা সেটা জরুরি। কিন্তু আজকালকার দিনে রীতিমত কোরিওগ্রাফার এনে নাচ প্র্যাকটিস করে বিয়েতে পরিবারের বুড়ো থেকে বাচ্চা সবাই একেকটি আইটেম পরিবেশনা করেন! (হতবাক হবার ইমো হবে)! সেটিও ভিনদেশী গান ও নাচের অনুকরণে!

view this link

সতর্কতাবানী: দূর্বল হৃদয়ের ব্যক্তিরা নিচের ভিডিওটি পুরোটা দেখবেন না, সহ্য করতে পারবেন না!
লীলাবালির আধুনিক ভার্সন! view this link

অনেকে হয়ত ভাবছেন সমস্যা কি?কেউ যদি নিজের মতো করে নিজের বিয়েটা এনজয় করতেই চায়? পারসোনাল চয়েস!

সমস্যা অনেকগুলো, তবে প্রধান সমস্যা দুটো:

১) বিষয়গুলো আমাদের নিজেদের আইডিয়া নয়, অদ্ভুত কনসেপ্টের বিদেশী সিরিয়াল দেখে এগুলো আমাদের "করতেই হবে" ভাবনাটি এসেছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে করা ব্যাপারগুলোতে একটি বাংলাদেশী পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই সহজ হতে পারছেন না। বাড়ির বড়রা, যারা সাদামাটা বাংলাদেশী ট্রাডিশনে এক জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন তাদের জন্যে একটু পরে পরে ছোটদের কাছে শোনা, "উফফ! তুমি কিচ্ছু জানো না, আজকাল এটাই ফ্যাশন!" ভীষনই অসম্মানজনক। কোরিওগ্রাফারদের তালে তাল মেলানো অনেক লজ্জাদায়ক। আমাদেরকে স্নেহ করেন বলে তাদের ওপরে এসব চাপিয়ে দেবার মানে হয়না। আমি নিজেই এযুগের মেয়ে হয়ে এসবে অস্বস্তি বোধ করব। আর বয়স্ক, মধ্যবয়স্কদের কথাটা ভেবে দেখুন। পরিবারের হাতেগোণা ইয়াং কিছু ডিজিটাল পোলাপান এবং ভারতীয় সিরিয়ালে এডিক্টেড আন্টি ছাড়া এসব আসলে কারো জন্যেই আনন্দের নয়। বরং চরম বিরক্তির।

২) আমি যখন ভিনদেশী কিছুকে আনছি, অবশ্যই সেটি আমার নিজস্বতাকে বাতিল করে সেই স্থানেই আনছি। কিন্তু ভিনদেশীদের তো আমি নিজের সংস্কৃতিতে প্রভাবিত করার যোগ্যতা রাখতে পারছিনা। মানে যা দাড়াল, "তুমি তোমার সংস্কৃতি অনুসরণ করছ, আমিও তোমার সংস্কৃতি অনুকরণ করছি!" তাহলে কি আমার সংস্কৃতি বিলুপ্ত হবে না? যদি আদান প্রদান বিষয়টি দুদিক থেকেই হতো, তাহলে সে ভয় থাকত না। কিন্তু সব দেশের মানুষ তো নিজস্বতাকে বলি দেবার মতো বোকামি করবেন না। যা হারানোর আমরাই হারাব। বিয়ে ব্যাপারটি ব্যক্তিগতই শুধু নয় সামাজিক বন্ধন, তাই এতে সমাজিক কিছু দায়বদ্ধতা থাকা আবশ্যক।
তাই সোজা বাংলা ভাষায় আমি এসব পারসোনাল চয়েস ও আধুনিকতার চৌদ্দ গুষ্টি কিলাই! X(

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পোস্ট আর বাড়াতে চাচ্ছিনা, কিন্তু এখনো অনেক কথা রয়ে গিয়েছে। শিরোনামের সবকিছু কভার করতে গেলে পর্বটি অনেক বেশি লম্বা হয়ে যাবে। আরো কিছু ভয়াবহ অশনী সংকেতের ব্যাপারে লিখব পরের পর্বে।

আপনারা হয়ত কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন এবং নতুন জামানার কোন রীতি দেখে আপনারও মাথায় বাজ পড়েছে! আমি যা লিখেছি
তার বাইরের কোন আজব ব্যাপার আপনাদের চোখে পড়লে মন্তব্যে জানান।


ছবিসূত্র: সকল মামার সেরা মামা, গুগল মামা গুগল মামা! :)

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

আপনার বিয়েতে আমাকে দাওয়াত দিবেন কিন্তু!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ অনেকদিন পরে আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম! ভীষন ভালো লাগছে।

ধন্যবাদ। আপনাকেও জানাই নতুন বছরের অজস্র শুভেচ্ছা।

হাহাহা, বিয়ে আজকাল যেভাবে হচ্ছে, তাতে ভয় লাগে এ ব্যাপারে ভাবতেও! যদি আল্লাহ কপালে বিয়ে লিখে রাখে, দাওয়াত পাবেন।



২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: Good idea

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, থ্যাংকস ফর ইওর কমেন্ট!
শুভেচ্ছা!

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিয়েতে মানুষ বারবার করে না।
কাজেই অনেকের অনেক রকম শখ থাকে। এটা দোষের কিছু না।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেটাই তো। একবারই বিয়ে করে বেশিরভাগ মানুষ, তাতেই নিজস্ব সংস্কৃতিকে বাতিল করে দিলে তো আবারো বিয়ে করে ভুল শুধরানোর উপায় থাকেনা। আর এই শখগুলো আমাদের নিজস্ব সৃষ্টিশীলতা থেকে আগত নয় বরং ভিনদেশী মিডিয়ার চাপিয়ে দেওয়া। এটা আমাদের চাওয়া নয়, আমাদেরকে এভাবেই চাইতে হবে সেটা অন্যকারো শিখিয়ে দেওয়া। আর সেখানেই আমার যতো সমস্যা। শখ তো দেশীয় সংস্কৃতির মধ্য দিয়েও পালন করা যেতে পারে। দেশীয় পোশাক, গান নাচ, সরলতা ঘেরা বিয়ে কি হতে পারেনা?

তবে দ্বিমত থাকতেই পারে।

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১২

অচেনা হৃদি বলেছেন: বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে দেশি কনেদের সাজ নিয়ে একটা স্ট্যাটাস পেয়েছিলাম। এক লোক বিয়ের সাজে কনের নাকের রিং এর কথা লিখল। ঐ বেচারা লিখেছিলেন নিজের বৌয়ের নাকে বিরাট রিং দেখে তাঁর কাছে খুব বাজে মনে হচ্ছিল। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন- আসলে বিয়ের সাজে কি কনের নাকে ঐ রিং অপরিহার্য?
আমি আগে কখনো কনের নাকের রিং নিয়ে ভাবিনি। ঐ স্ট্যটাস দেখার পর অনেক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কনের নাকের রিং খেয়াল করে দেখেছি। এরপর যত বৌ এর নাকে রিং দেখেছি মনে হয়েছে যেন এই রিং নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় একটা জিনিস। এদেশের বেশিরভাগ মেয়ের মুখে, মানে নাকে এই বিশাল রিং মোটেই মানায় না!
অদ্ভুত ব্যপার হল, বৌ এর নাক চিকন হোক বা মোটা হোক, খাড়া হোক বা চ্যাপ্টা হোক, ঐ মোটা চ্যাপ্টা নাকে রিং সুন্দর দেখাক বা অসুন্দর দেখাক, রিংটা ঐ নাকে লাগাতেই হবে, লাগানো যেন ফরজ।
এভাবে আরও অনেক কিছুই আছে বিয়ের সাজে যেগুলোর ধর্মিয় কিংবা সামাজিক কোন মুল্য নেই, তবুও অতি আবশ্যক মনে করে সবাই এগুলো ব্যবহার করছে।
আমি ভাবছি, নিজের বেলায় আমি এই রিং ব্যবহারের আগে একশো বার ভেবে দেখবো।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হৃদি আপু এসেছে! আশা করি ভালো আছেন আপু!

আমি যা লিখতে চেয়েছি তা আপনি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন। এমন মন্তব্যই চাচ্ছিলাম।

অদ্ভুত ব্যপার হল, বৌ এর নাক চিকন হোক বা মোটা হোক, খাড়া হোক বা চ্যাপ্টা হোক, ঐ মোটা চ্যাপ্টা নাকে রিং সুন্দর দেখাক বা অসুন্দর দেখাক, রিংটা ঐ নাকে লাগাতেই হবে
এটাই আসল কথা। মানাক না মানাক অন্য কেউ যেহেতু করেছে আমাকেও করতে হবে। স্রোতের সাথে শরীর ভাসিয়ে দিতে হবে, তাতে আমি যতোই হাসির পাত্রী হই না কেন! নাকফুল নয় শেমফুল!

এভাবে আরও অনেক কিছুই আছে বিয়ের সাজে যেগুলোর ধর্মিয় কিংবা সামাজিক কোন মুল্য নেই, তবুও অতি আবশ্যক মনে করে সবাই এগুলো ব্যবহার করছে।

এক্স্যাক্টলি! মূল্যহীন কাজ কারবার স্বকীয়তরা চড়া মূল্য দিয়ে করে যাচ্ছেন অনেকেই। নিজে তো করছেই আবার অন্যকেও, "ওমা আজকাল এটাই ফ্যাশন, জানেন না?" বলে কাদায় চোবাচ্ছে।

অসাধারণ মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা আপু।
শুভকামনা!

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নাহ! সখিও মুরুব্বি হয়ে গ্যাছে ;)

হা হা হা

এই জামানার মেয়ে হয়ে সুস্থ সুন্দর, স্বকীয় ভাবনা ধারনের যে তাড়না তাতে ধন্যবাদ।
নিজস্ব সংষ্কৃতিকে ভুলে গিয়ে যারা একপেশে অনুকরণে মাতাল তারা নিজেদের তো ডুবাচ্ছেই
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছে খারাপ উদাহরণ।

নিজের সংষ্কৃতিতে আপনার করে ভাবতে হবে। গর্বের সাথে তাকেই আধুনিক উপায়ে উপস্থাপনা করলে করা যেতে পারে
ভারতীয়রা যা করে। নিজেদের সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপি ব্রান্ডিং করছে -নিজস্ব ষ্টাইলে!
আমাদের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বলতে যারা আছেন - তারাতো আবার দিনকানা, দেশ কানা!
ফলে এটাকো প্রমোট করার রক্ষা করার রাষ্ট্রীয় যে চেতনা তা বিলুপ্ত প্রায়! তা হোক নাটকে বা সিনেমায়! কিংবা মঞ্চে!

ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। স্রোতে গা ভাসিয়ে চলছে প্রজন্ম। অভিভাবকদের এক দিনইতো, থাক! বলে সেই স্রোতে জোয়ার দিচ্ছে!

বিস্ময় বালিকার মতো প্রতি ঘরে ঘরে যদি একজনও থাকতো, আমাদের নিজস্ব সংষ্কৃতিকে রক্ষায় কোন চিন্তা থাকতো না। :)

লেইট, হ্যাপি নিউ ইয়ার :)
সুস্থ সুন্দর চেতনা দীর্ঘজীবি হোক।
ছড়িয়ে পড়ুক সুন্দরের আলো ভুবন জুড়ে :)

অন্তহীন শুভকামনা

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

হুমম একটু লেটই হয়ে গেল, যাই হোক নতুন বছরের অজস্র শুভকামনা! আপনার সকল পুরোন স্বপ্ন পূর্ণ করুক নতুন বছরটি, আর চোখে মেখে দিক নতুন কিছু স্বপ্নের রং!

মুরুব্বিরা ছেলেমানুষি করলে, ছোটদেরই মুরুব্বি হয়ে যেতে হয় সখা! :) বাড়ির বড়রা একটু কড়া হলে ব্যাপারগুলো এমন হতো না।

মোস্ট ওয়েলকাম সুস্থ, স্বকীয় ভাবনায় পাশে থাকার জন্যে আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

নিজস্ব সংষ্কৃতিকে ভুলে গিয়ে যারা একপেশে অনুকরণে মাতাল তারা নিজেদের তো ডুবাচ্ছেই
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছে খারাপ উদাহরণ।

সহমত, আমাদের পরের পরের প্রজন্মের কথা ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়। বাংলাদেশী সংস্কৃতি বলে কিছু যে আছে সেটা হয়ত তা জানতেই পারবেনা!

নিজের সংষ্কৃতিতে আপনার করে ভাবতে হবে। গর্বের সাথে তাকেই আধুনিক উপায়ে উপস্থাপনা করলে করা যেতে পারে
ভারতীয়রা যা করে। নিজেদের সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপি ব্রান্ডিং করছে -নিজস্ব ষ্টাইলে!

সেই, ওদের থেকে পোশাক, গান নাচ নয় দেশ ও সংস্কৃতি প্রেম শেখা উচিৎ আমাদের। যদিও তারাও বাস্তবিকভাবে পশ্চিমি সংস্কৃতিতে অনেকাংশেই ডুবে গিয়েছে। তবে মিডিয়ায় নিজস্ব সংস্কৃতিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।

অভিভাবকদের এক দিনইতো, থাক! বলে সেই স্রোতে জোয়ার দিচ্ছে!

উফফ! ভীষন জরুরি একটি কথা। আমার পোস্টে লেখা উচিৎ ছিল এমনকিছু। আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ এ দিকটি নজরে আনার জন্যে। একদিনেই যে সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেটা অনেকে বুঝতে চাইছেন না।

সুন্দর মন্তব্যটির জন্যে আবারো কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: সমস্যার শুরুটা হয়েছে সেই ফটোশুট থেকেই' ছবি তুলবে তাও আবার প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার ভারী ড্রেস আর মেকাপ না হলে কি হয়? বিয়েতো মানুষ একবারই করে =p~ আর ফেসবুক নামে এক অসুখ আছেনা? সেখানেও তো সেইরকম সেইরকম ছবি দিতে হবে' সবার প্রশংসা পেতে হবে' নিজের বিয়ে' বিয়ের ছবি বেস্ট হতে হবে। ইদানীং আবার কাপলদের বিয়ের ছবি নিয়ে কত একজিবিশন হয় সেখানে পারটিসিপেট করে যদি কোন প্রাইজ পাওয়া যায় তাহলে তো আরও বাহবা পাওয়া যাবে। আর যাই হোক আমার সবকিছু টপ হতেই হবে =p~

এগুলো এখনকার ৯৯ দশমিক মেয়ের কথা বললাম আপু যেটা আপনিও বলেছেন।

এবার আমার কথা বলি' বিয়ের জন্য বেনারসি অথবা কাতান বেস্ট' লাল রঙ এর। একটু মেকাপের দরকার থাকলেও তাই বলে এইটুকু একটা ফেসের উপর মেকাপের পাহাড় :|| পুরো অখাদ্য লাগে আমার কাছে।
এবার আসি ছবির কথায়' হা আপু আগের বউগুলো কি সুন্দর লাজুক লাজুক থাকতো' কি অদ্ভুত সুন্দর লাগতো বউগুলো কে। কিন্তু এখনকার মেয়েগুলো বউ মানে কি' লজ্জা কাকে বলে তা জানে বলেতো মনে হয়না। হল ভর্তি মানুষের সামনে কেমন নির্লজ্জ এর মত এই পোজ ওই পোজ দেয় বরের সাথে কি যে বিরক্ত লাগে X(( আর মেয়েগুলোর সাথে সাথে ছেলেগুলোও। ভাবটা এমন যেনো বিয়েটা করছেই শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য।

আপু' গায়ে হলুদের কথাও বলতে হবে। আগে কি সুন্দর সিম্পল ফুলের গহনা আর হালকা মেকাপে শাড়ি পরতো কি স্নিগ্ধ লাগতো কিন্তু এখন হলুদেও আরটিফিশিয়াল ফুল পরতেই হবে।

আর গহনা? সবার প্রথম প্রশ্ন মেয়ের শশুড়বাড়ি থেকে কয় ভরি গহনা দিলো? অল্প হলে মান থাকবেনা' ওমুকে অত পেয়েছিল তমুকে অত।

এবার আসি দেনমোহরে' এখানেও সেম' কত টাকা দেনমোহর' ছেলের সামর্থ্য বিবেচনা না করেই বিশাল বিশাল এমাউন্ট দাবী করে বসবে এবং তা নিয়ে আবার দর কষাকষি।

বিয়েতে শাহ নজর বলে একটা বিষয় ছিলো' খুব ভালো লাগতো' বউটি কি লাজুক লাজুক ভাবে আয়নায় তাকাতো। এখন তা দেখিনা আর দু এক জায়গায় দেখলেও লাজুক ভাব থাকেনা। লজ্জা যে নারীর ভুষন তা ভুলেই গিয়েছে সব।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই কথা আপু!

আপনি পোস্টের সবকিছু নিয়ে লিখেছেন, এডও করেছেন নতুনকিছু। এমন মন্তব্য ভীষনই উপকারী, মূল পোস্টের মানই বাড়িয়ে দেয়।

হ্যাঁএএএ, ওই ফেকবুকই তো সমস্যা। আজকাল সুখে থাকা নয়, মানুষকে দেখানো যে আমি সুখে আছি সেটা জরুরি। একজিবিশন? প্রাইজ! আর বইলেন না বইন, মাথা ঘুরায়!

হুমম, আমারো একই কথা। বিয়েতে লাল রংই বেস্ট। তা যদি হয় বেনারসি তবে তো সোনায় সোহাগা! আর মেকআপের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল লুকিং ও ফ্রেশ মেকআপ জরুরি।

শুধু বউই নয় রে, আগেকার দিনে জামাইরাও মুখে রুমাল দিয়ে লজ্জা লজ্জা করে তাকাত। দেখে মনে হতো লজ্জা শুধু নারীরই নয় পুরুষেরও ভূষন হতেই পারে। হ্যাঁ নিজে নিজেই এর ওর কোলে উঠে পোজ দেয়। বিয়ের কনে, নারী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবেও তো স্বাভাবিক কিছু স্বস্তি অস্বস্তি বোধের ব্যাপার আছে। এদের কি তাও নেই?

ভাবটা এমন যেনো বিয়েটা করছেই শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য।
হাহা হিহি! তাই তাই!

হ্যাঁএএ হলুদ তো পুরোপুরি পাল্টে গেছে। কেননা এটি আর গায়ে হলুদ নেই, হলদি সেরেমনি বা বডি টার্মারিক হয়ে গিয়েছে।

টাকা পয়সার বিষয়গুলো নিয়ে পরের পর্বে লিখব।

চমৎকার মন্তব্যে থ্যাংকস এ লট।
ভালোবাসা আপু।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। যুগের দাবি কি আর করার!
এখন বিয়ের অনেক কিছুই মিস করতে হয়। দেখা যাচ্ছে কনে এবং বরের হলুদ সন্ধ্যা একি সেন্টারে একি মহরতে হয়।

আমাদের গুরুজী কোথায়? গুরুজীকে নতুন সাজে আবার নুতন ঢঙ্গে একটা বিয়ে করিয়ে দেই।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ সুজন ভাই! পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল!

যুগের এমন দাবি মানি না মানব না। :)

হ্যাঁএএএ, আজকাল তো সব অনুষ্ঠানে বর কনে পাশাপাশি বসে থাকে, আগে আলাদা করে হতো। অবশ্য এতে খরচ বেঁচে যায়।

হাহা, গুরুজ্বী তো এক এনিভার্সারিতে দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে করেছিলেন একই বুড়িভাবীকে! হুমম তবে গুরুজ্বী তৃতীয়বারের মতো ডিজিটাল স্টাইলে বিয়ে দেওয়া যেতেই পারে। ;)

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই সিরিজের প্রথম পর্বটা আমার পড়া হয়নি। ওই সময় আমি বোধ হয় আমার বুড়ির সাথে গল্প করছিলাম।

যাই হোক, এই পর্বটি পড়ে এবং লীলাবালি নাচ গান দেখে শুনে আমার বিয়ের দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আমার মায়ের এক মামী ( মানে আমার নানী) ছিলেন আমার বিয়ের ঘটক। নানী ছিলেন দুই পরিবারেরই ঘনিষ্ঠজন এবং খুবই রসিক মানুষ। আমার বৌভাতের দিন নানীকে প্যান্ট শার্ট পরিয়ে মুখে রঙ মাখিয়ে কম বয়সী মেয়েরা বাড়ির উঠানে খুব নাচ গান করেছিল। তবে সবই ছিল অপেশাদারী আনাড়ি কায় কারবার। আর তখন বিদেশী সংস্কৃতির এমন আগ্রাসন ছিল না। তারপরেও নানীকে প্যান্ট শার্ট পরিয়ে নাচানোর জন্য বাড়ির মুরুব্বীরা মেয়েদেরকে বকা ঝকা করেছিলেন, যদিও বকা ঝকার সুর ছিল নমনীয়।

এখনকার ওয়েডিং সং এবং মেয়েদের সাজ গোজ ও মেক আপ নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। বললে ব্যাকডেটেড ওল্ড ম্যান হিসাবে চিহ্নিত হয়ে যেতে পারি। হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই!

হাহা, হ্যাঁ আপনি হয় বুড়িভাবীর সাথে রোমান্স অথবা তানিশার সাথে দুষ্টুমি করছিলেন! :)

অনেক ভালো লাগল আপনার স্মৃতির অংশটুকু পড়তে।
তখনকার দিনে গুরুজনেরা কড়া ছিলেন তাই ছোটরা সামলে থাকত। এখন তো বড়রাই বেশি লাফালাফি করেন ভিনদেশী সংস্কৃতি নিয়ে।

আপনি আর যাই হোন ব্যাকডেটেড কোনভাবেই নন। আপনার মতো যুগ উপোযোগী চিন্তাধারা অনেকের মাঝেই দেখিনা।

মোস্ট ওয়েলকাম এবং আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভকামনা।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: চট্টগ্রামের বিয়ের উপর বাংলাদেশে আর কোন বিয়ে নাই । বিয়েটা উৎসবের শুরু । এটা আজীবন চলতে থাকে

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি কখনো চট্টগ্রামের বিয়ে দেখিনি, আশা করি কখনো সেই সৌভাগ্য হবে।

বিয়েটা উৎসবের শুরু । এটা আজীবন চলতে থাকে
হুমম রোস্ট পোস্টে সুইট একটি কথা বললেন।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

বলেছেন: জাতী হিসেবে আমরা নিকৃষ্ট আধুনিক হয়ে যাচ্ছি-----------------

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এটাকে আধুনিকতাও বলেনা। এটাকে বোকামি ও অন্ধ অনুকরণ বলে।

কৃতজ্ঞতা মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা।

১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আধুনিকতার নামে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির কালো থাবা.....

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেটাই। আধুনিক শব্দটি শুনলে তাই আজকাল আমার গা জ্বলে, সব নষ্টের গোড়ায় এই শব্দটি! X(

পাঠ ও যথাযথ মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমাদের নিজস্ব একটা সংস্কৃতি আছে
দুঃখের বিষয় আমরা সেটাকে উপক্ষো করে
বিজাতীয় সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে জগাখিচুড়ি
সংস্কৃতির চর্চা করছি।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মন্তব্যে লাইনগুলোকে এমন ভাবে সাজিয়েছেন যে কবিতা মনে হচ্ছে। বেশতো!

সহমত প্রকাশ করছি। নিজস্বতাকে কেউ কিভাবে এত সহজে ভুলে যায়?

ধন্যবাদ পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৪

রাকু হাসান বলেছেন:


হুম শেষ লাইনটি তো পুরাই মিঠুন চক্রবর্তীর ডায়ালগ মারিলেন সামু মিয়া ;) হাহা
অভিনন্দন দারুণ পোস্টের জন্য ।আপনার প্রত্যেকটি পয়েন্টের জন্য একমত পোষণ করছি । গুরুত্বপূর্ণ টপিক কিন্তু এখন পর্যন্ত এভাবে কেউ তুলে ধরতে দেখি নি (ব্লগে)
আসল সমস্যা আমাদের রুচিতে । বাঙালিত্বে । বাংলা কে আমরা কতটুকু ধারণ করি ? আমার মনে প্রকৃত বাঙালি খোঁজার কোনো সার্ভে হলে সেখানে হাজারে একটা পাব কিনা সন্দেহ । টিভি চ্যালেনগুলোর প্রভাব তো ভালো ভাবেই পড়েছে ,সেটা স্বীকার করতেই হবে। আমাদের পরিবার নামট সামাজিক সংগঠন টি ঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছে না ,তাঁরা সচেতন না । জাস্ট যুগের চাদিহা বলেই ছেড়ে দিচ্ছে । কিন্তু এত বড় ক্ষতি হচ্ছে যে সেটা নিজেরাও কল্পনা করে দেখে নি । বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী কে দেখি তারা অনেকটা বেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসে । আমাদের জাতীয়তাবাদ ,সংস্কৃতি আগের অবস্থান থেকে যে কোনো সময়ের চেয়ে নিম্ন মানের । এটা অশনি সংকেত । সামাজিক আন্দোলন গড়ে ‍তুলা দরকার এসব বন্ধ করতে । ছোট সময় থেকেই এটা হয়ে আসছে ,আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব থেকে বাঁচার উপায় ? সংস্কৃতি বিনিময় করা অন্যদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন বা সাংস্কৃতির আদান প্রদানের মাধ্যমে ,যদি তাই হয় তাহলে তো আমরা পুরোই উল্টা । শুধু দিয়েই গেলাম ।

সংস্কৃতি আমরা ধারণ করছি না ,বরং বর্জন করছি দিনকে দিন।এভাবে চলতে থাকলে ভয়বহ রুপ ধারণ করবেই । কোনো জাতি কে নিশ্চয় ,সংস্কৃতি দিয়ে চিনবে ,কল্পনা করুন আগামী ৫০ বছর পর আামদের চিরাচায়িত সংস্কৃতির কতটা ধারণ করবো ? আমার মনে এমনটা হতে থাকলে অবশিষ্ট থাকবে । বাঙালি নারী আমি দেখিই না বলতে গেলে ,। শাড়ী পরা মেয়ে দেখা বড়ো ভার । ভাগ্যিস শীর্ষ রাজনীতিবিদ (নারী) শাড়ী পরিধান করছে । নতুন প্রজন্মের যারা আসবে ,তারা দেখবেন শার্ট প্যান্ট পরে বসে থাকবে । সংস্কৃতির আগ্রাসন বন্ধ করা জরুরি । এসব ক্ষেত্রে ফ্রান্স ,রাশিয়ানদের খুব ভালো লাগে । আপনার অনেকগুলো ভালো লাগার বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো আপনি বাঙালি সংস্কৃতির ধারক (আমার অনুমান,লেখা,মন্তব্যে,আড্ডায় এটা ভেসে আসে বারবার ) আপনাকে অভিনন্দন । অনেক শুভকামনা করি । শুভরাত্রি ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই রাকু হাসান!

এহ, এমন ডায়ালগ শুধু সামুপাগলাই দিতে পারে, মিঠুন টিঠুন সব ফেইল! ;) :)

গুরুত্বপূর্ণ টপিক কিন্তু এখন পর্যন্ত এভাবে কেউ তুলে ধরতে দেখি নি (ব্লগে)

ধন্যবাদ, গর্বিত বোধ করছি।

সংস্কৃতি বিনিময় করা অন্যদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন বা সাংস্কৃতির আদান প্রদানের মাধ্যমে ,যদি তাই হয় তাহলে তো আমরা পুরোই উল্টা । শুধু দিয়েই গেলাম ।

আমার মূল সমস্যা এখানেই। আমরা অন্য সংস্কৃতির কিছু ট্রাই করছি, জানছি, বুঝছি সেটা খারাপ না। কিন্তু অন্যদেরকে নিজের ব্যাপার জানাতে পারছিনা। এভাবে করলে তো বিলুপ্ত হয়ে যাব আমরা।

হুমম অনেক কর্মজীবি নারীই শাড়ি পরেন, সালোয়ার কামিজ পরেন। কিন্তু ছেলেরা তো সেই কবে থেকে বাংলাদেশী পোশাক আর পরে না! সেটা দুঃখজনক!

আপনার গোছানো ও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের সাথে পুরোপুরি সহমত পোষন করছি।

ধন্যবাদ। ভালোলাগা ও অভিনন্দনে আনন্দিত ও উচ্ছসিত করলেন।
ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।

১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার সামু ভাবনা পোস্ট করেছি....

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আলোচিত সেকশন থেকে আমার নজরে এসেছে সেটি। অবশ্যই কমেন্ট করব সময় করে।

১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৮

শরীফ আতরাফ বলেছেন: বছর দুয়েক আগে আমার মামাতো বোনের বিয়ে ছিল। বিয়েতে সবই ঠিক ছিল কিন্তু এই মেকআপ এর ব্যাপারটাতে এসে বেশ ভজঘট পাকিয়ে গেলো। কনেকে বিয়ের দিন সকালে নিয়ে গেছে পার্লারে। আসতে আসতে দুপুর হলো। বিকালের দিকে যখন বর কনে স্টেজে উঠেছে তখন আমি পুরো হতভম্ব। আমার বোন দেখতে বেশ ভালো তবে কিছুটা শ্যামলা। তখন দেখলাম স্রেফ সাদা আর সাদা।পুরো বিদঘুটে লাগছিলো। অনেক বাঙালি পরিবারে গায়ের রঙ নিয়ে যে মনোকষ্ট থাকে তা ঢাকার চেষ্টা আরকি। এরপর হতভম্ব ভাব কেটে যাওয়ার পর স্রেফ হাসি আসছিলো।কোনোমতে কেটে পড়ে বেচেছি।অনুষ্ঠানে আসা অধিকাংশ মহিলারই একই অবস্থা ছিল। এখনো যত বিয়েতে যাই এই ঘটনার ব্যতিক্রম পাইনি।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে, এমন মন্তব্য পোস্টের জন্যে অনেক কার্যকরী।

আমি একজনের কথা শুনেছিলাম। সে ফর্সা ছিল। পার্লারে যাবার পরে বেশ কিছু অপশন দিল, একটি অপশন ছিল বেশি সাদা করে দেবার অপশন! আরেকটি ছিল ন্যাচারাল মেকআপ অপশন। তারা ন্যাচারাল অপশনই চুজ করে, কিন্তু সেই কনের ছবিতে দেখেছিলাম তাকে সাদা ভূত মনে হচ্ছিল! ভাবুন তাহলে সাদা করে দেবার অপশনটা কতটা ভয়ংকর ছিল!!!
ফর্সা শ্যামলা কালো সবাইকেই ভূত বানায়। শ্যামলা কালোর মধ্যেও অদ্ভুত একটা সৌন্দর্য থাকে। শেম অন দোজ পিপল হু ক্যান্ট সি ইট!
সেইরে, প্রথমে হতবাক তারপরে হাসি, শেষে বিরক্তিতে পালাই পালাই, আজকালকার বিয়েতে সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এমনই অনুভব করে থাকে।

শুভকামনা আপনার জন্যে।

১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কিরণ মালার 'পাখি' ড্রেসের কথা মনে পড়ে গেল; হায়রে কত কাহিনী!! এদেশের বউ-শাশুড়ি-নাতনী-আয়া সবাই বিদেশি সংস্কৃতিতে এত মশগুলো যে, ঠিক সময়ে দেখতে না পেলে পরদিন 'কাজা' তুলে! B:-) এই জাতির নিজস্ব সব কিছুই বেক ডেটেড, তাদের কাছে। হিন্দি আর স্টার জলসার সিরিয়ালের নায়িকা আর টগবগে নায়করা এদেশের বিরাট হিরো/হিরোইন। তাদের চাওয়া-খাওয়া, হাঁটা-জুটা, পোষাক-কোষাক সব কিছু কপি করতে হবে। :( :(

একটি জাতি যখন সীমাহীন অস্থিরতায় আর আত্ম পরিচয় সংকটে ভোগে তখন অন্য জাতি ও তাদের কালচারকে কপি করে সুখ খুঁজে; নিজেদের আপগ্রেড করার চেষ্টা করে। এদেশে এখন তাই ঘটছে। কোনটি সংস্কৃতি আর কোনগুলো অপসংস্কৃতি তা বিচার করার ঘিলুর ঘাটতিও এ জাতির প্রকট।

এজন্য বিয়ের পোশাকে অমুক নায়ক, তমুক নায়িকা সাজতে চায়। পোষাক গুজরাটি হোক, কাশ্মিরী হোক কিংবা মারাঠি হোক ওটা চাই-ই চা-ই। আর দোকানদাররা কাস্টমারের চাহিদা বুঝে রকেটের গতিতে কালেকশন বাড়ায়। ব্যবসা বলে কথা; এখানে নীতিবাক্য খাটে না।

পাগলুর বিয়েতে দাওয়াত পাওয়ার চান্স সীমিত। ভদ্র মহিলাকে বউ সাজলে কেমন লাগবে জানি না। দাওয়াত পেলে মেকাপ আর বেনারসিতে মোড়ানো বরফে মোেড়ানো সাদা পরীকে একবার চুপিচুপি দেখে আসবো। B:-) শুভ নববর্ষ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

পোস্টের মতো আপনার মন্তব্যগুলোও অসাধারণই হয়। ধন্যবাদ।

ওহ হ্যাঁ হ্যাঁ আমিও পেপারে পড়েছিলাম। ঐসব লো কোয়ালাটি, অদ্ভুত পোশাক কিনতে না পেরে মানুষজন নাকি সুইসাইড করে!

এই জাতির নিজস্ব সব কিছুই বেক ডেটেড, তাদের কাছে। হিন্দি আর স্টার জলসার সিরিয়ালের নায়িকা আর টগবগে নায়করা এদেশের বিরাট হিরো/হিরোইন। তাদের চাওয়া-খাওয়া, হাঁটা-জুটা, পোষাক-কোষাক সব কিছু কপি করতে হবে।
দুঃখজনক, ভীষনই দুঃখজনক!

একটি জাতি যখন সীমাহীন অস্থিরতায় আর আত্ম পরিচয় সংকটে ভোগে তখন অন্য জাতি ও তাদের কালচারকে কপি করে সুখ খুঁজে; নিজেদের আপগ্রেড করার চেষ্টা করে।
ভালো বিশ্লেষন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বৃহৎ প্রতিবেশী দেশের প্রভাব পরে ছোট দেশটির ওপরে। কানাডা আমেরিকার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে। কিন্তু আমরা তো অন্য অনেক জাতির মতো শান্ত জাতি নই, আমরা বিদ্রোহ করতে জানি ভাষা, স্বাধীনতা, সম অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। আমাদের এই পরিণতি তবে কেন হবে?

আচ্ছা, মহাবুড়ো, একটা জিনিস বুঝলাম না, বেনারসি মেকআপ ঠিক আছে, কিন্তু বরফে মোড়ানো হবে কেন? আমি কি স্নোম্যান থুক্কু স্নোওম্যান নাকি? শীতল বরফে নিজেকে মুড়লে কাঁপতে কাঁপতে মরেই যাব, বেচারা আমাকে বিয়ে করতে আসা ছেলেটির তখন কি হপ্পে? ;) :D

নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যেও।

১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৯

রাকু হাসান বলেছেন:


পাগল মানুষের হয়েই ইতু সুন্দর মন্তব্য কিভাবে করেন ? এটা খুউব হাইস্যকর ব্যাপার :P B-))
যা হোক শুভ সকাল ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই রাকু হাসান।

ঐ হাইস্যকর বিষয়টি এত ভাইরাল হয়েছিল কেন বুঝিনা। আজকাল সবাই কথায় কথায় এটাই বলে।

আপনেও তো আড্ডাঘরের পাগলা সদস্য, আপনে যদি পাগল হইয়া সুন্দর মন্তব্য করবার পারেন, আমি পারুম না কিল্লায়? হাহাহা।

শুভ হোক আপনার প্রতি বেলা!

১৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১১

সোহানী বলেছেন: কুল ওম্যান কুল.............। আরে এত্তো ক্ষেপলা কেন?

হিন্দি সিরিয়াল শুধু বিয়েতে নহে আপুমনি, ইহা এখন আমাগো নিত্যদিনের অংশ :D :D । শুধু ড্রেস বা নাচই নহে, নিউ নিউ গফ/বফ/হাবি/কাবি পাল্টানো, একাধিক সম্পর্ক বা পরকীয়া, শাশুড়ির সাথে মল্য যুদ্ধ .... সব কিছুতেই হিন্দি সিরিয়াল/সিনেমার জয়জয়কার। আরে আমরা আধুনিক হচ্ছি না, মানে স্মার্ট আর কি??? তাইতো এসব করতেই হবে, তা না হলে মান সন্মান কি থাকবে!!!!!!!!!!!!!!!!

তোমার ভাবনাকে স্যালুট জানাই, কিন্তু যাদের ভাবনা দরকার তারাতো দিনরাত এসব নাচে গানে মশগুল.....। দেশ থেকে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করো দেখবা সব ঠিক হয়ে গেছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সোহানী আপু!

আপনিই বলেন, এমন নমুনাদের নিয়ে লিখতে গেলে মেজাজ গরম হবেনা? কুল থাকার উপায় কোথায়? লেখা পড়েও যদি লজ্জা হয় কোন ডিজিটাল পাবলিকের!

হুমম সত্যি। তবে শুধু ভিনদেশী সংস্কৃতির প্রভাব নয়, একাধিক সম্পর্কের পেছনে রয়েছে সামাজিক পরিবর্তনগুলো। যেমন নারীর শিক্ষা ও চাকরিতে বেশি বেশি অংশগ্রহনে নারী পুরুষ বেশি বেশি মেশার সুযোগ পাচ্ছেন। আর নানা সোশাল সাইটস তো আছেই, সেখানে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস গোপন করে অনেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ সম্পর্ক! দু:খজনক। প্রতি ভালোর সাথে ফ্রি ফ্রি কিছু খারাপ এসেই যায়!

থ্যাংকস আপু।
হুমম, চ্যানেল বন্ধ করতেই হবে। অথবা আমাদের গুলো ওদেশে পাঠাতে হবে।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

১৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: আপনার অসামান্য দেশপ্রেম, সংস্কৃতিপ্রেম, সুরুচিপূর্ণ মনোভাব দেখে আমি পুরাই মুগ্ধ, বিশ্মিত। ইশ্ কি সুন্দর করেই না আপনি আমার মনের কথাগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার বুননে বেঁধে ফেলেছেন।
এগুলো বর্তমান ডিজিটাল আগ্রাসীর প্রাথমিক নমুনামাত্র। অদূর ভবিষ্যতে আরও কতকিছুই যে আমাদের দেখতে হবে। মানুষ অনুকরণপ্রিয়, কিন্তু এই অনুকরণ করতে গিয়ে মাঝে মাঝে এমন উদ্ভট আর হাস্যকর কাণ্ড করে বসে যে, হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসে। আমি নিজেও অনেকগুলো বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে পুরাই বিচলিত, শেষ পর্যন্ত অশ্বস্তি নিয়ে কোনমতে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দ্রুত বিদায় হয়েছি সেখান থেকে।
তাই এখন আর পারতপক্ষে এসব অনুষ্ঠানে এটেন্ড করি না, মনে মনে শুধু ভাবি 'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, আর এখন আমরা কি হইলাম'। ছোটবেলায় বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াতে এবং বিনা দাওয়াতে আমার উপস্থিতি ছিল বাধ্যতামূলক। আহ্ বউয়ের মুখ দেখতে গিয়ে শাড়ি, ওড়না দিয়ে একহাত/অর্ধহাত লম্বা ঘোমটা সরিয়ে দেখতে হতো! আর এখন নতুন বৌয়ের শুধু মুখ নয় ইচ্ছে না হলেও আরও কতকিছুই দেখতে হয়!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ ওয়াও! আপনার আর আমার নিক নেম প্রায় একই রকম! আই হোপ, কেউ গুলিয়ে ফেলবেন না আমাদেরকে।

ধন্যবাদ মুগ্ধতায়।

আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। আজকাল বিয়ে সহ নানা অনুষ্ঠানে যাওয়া টর্চার হয়ে গিয়েছে। উদ্ভট নিম্নরুচির পোশাক, নাচ, গানে মাথা ঘোরে। শিক্ষিত পরিবারগুলোতেও অশালীনতার জোয়ার দেখা যায়। স্বকীয়তাকে বাঁচাতে হলে সচেতনতা ছাড়া কোন গতি নেই।

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!

২০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

তারেক ফাহিম বলেছেন: এসব করে করে আমাদের নিজেস্ব সাংস্কৃতি একদিন হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে।

আমি এমন অনেক মর্ডানদের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দি না :( সব আমেজ আছে কিন্তু মনের আমজেটা হারাই :((

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, সেটাই। এখন থেকে সচেতন না হলে অনেক বড় মাশুল দিতে হবে আমাদেরকে।

সব আমেজ আছে কিন্তু মনের আমজেটা হারাই :((
লাখ টাকার কথা বললেন। আসলেই তাই।

ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভকামনা।

২১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপুরে, বড় জটিল দিক নিয়ে আলোচনা করলে।

আমাদের সমাজ এখন পুরাই বিজাতীয় অপসংস্কৃতিতে পাগল হয়ে আছে। কোন কোন এলাকায় খতনার সময় গানবাজনা নাচের নামে স্বদেশি সংস্কৃতিকে হত্যা করে বিজাতীয় কালচার এবে বসানোর চেষটা করছে। আমার দেখা এমন অনেক ফ্যামিলি আছে , যেগুলোর সামনের দৃশ্য দেখলে মনে হয়, এরা খুবই আনন্দে আছে কিন্তু বাস্তিবে এদের ফ্যামিলিতে অশান্তির কারখানা।
মনে হিয় না আমরা এ থেকে বেরুতে পারবো!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, পরিস্থিতি যখন জটিল হয়ে পরে, আলোচনাগুলোও জটিল দিকেই যায়।

পাগলই হয়ে গিয়েছে, একদম যথার্থ বলেছেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও নোংরামী ছেয়ে গেছে।

যেগুলোর সামনের দৃশ্য দেখলে মনে হয়, এরা খুবই আনন্দে আছে কিন্তু বাস্তিবে এদের ফ্যামিলিতে অশান্তির কারখানা।

এক্স্যাক্টলি। অনলাইনে ছবি দেয় স্বামী স্ত্রী হাতে হাত ধরে, কিন্তু ছবি তোলার পরে আর হাতের সাথে হাত থাকেনা। শুরু হয় ঝগড়া, অশান্তি! এ সুখ নয়, সুখের অসুখ!

চেষ্টা করলে, সময় থাকতে সচেতন হলে অবশ্যই বের হতে পারব।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

২২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দুটো সামুপাগলা :D

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা। বেশি হাইসেন না, কদিন পরে দুটো আর্কিওপটেরিক্সও গজিয়ে উঠতে পারে! ;)

২৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৫

পুলক ঢালী বলেছেন: বিয়েটা ভালবাসায় ঘর বাধার জায়গা থেকে স্থানচ্যূত হয়ে বানিজ্যিক আবহ ধারন করেছে। সাজগোজের জন্য আগে বিউটি পারলারে যেতে হতোনা এখন শুধু পারলারে গেলেই হবেনা স্টেটাস বজায় রাখার জন্য পারসোনাতে যেতে হবে। তবে এগুলোর জন্য বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরাই দায়ী। কার এত বুকের পাটা আছে এসব স্বাধ আহ্লাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তোপের মুখে পড়তে ? :D

তোমার বিয়েটা রজনীগন্ধা আর তিব্বত পাউডার দিয়ে কোরো আর আমাদের দাওয়াৎ দেওয়ার কথাটা যেন না ভুলো তাই এটা এখনি ডায়রীতে নোট করে রাখ। :D
ভাল সচেতনতামূলক পোষ্ট।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই পুলক ভাই! পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল।

মাঝেমাঝে মনে হয় বিয়েটা কখনোই কি শুধু ভালোবাসার জন্যে করত মানুষ? আমাদের দাদার দাদার দাদারার যুগেরও ছেলের পরিবার যৌতুক, মেয়েরা পরিবার বড় বংশ, ও অর্থ দেখে বিয়ে দিত। আসলে অনেকক্ষেত্রে বিয়ে নামক সামাজিক বন্ধনটি শুধু সমাজকেই খুশি করেছে , দুটো মানুষকে কাছে আনতে পারেনি।

হাহা, আমার মনে হয় কি মেয়েদের এসব চাওয়া ছেলেদের অথবা সমাজের চাওয়া পূরণ করতেই এসেছে। যুগে যুগে পুরুষ সাহিত্যিকেরা নায়িকার বর্ণনায় দুধ সাদা রং, কাজল কালো ডাগর আঁখি, লম্বা চুল, মানানসই ফিগার, হাইট ইত্যাদি ব্যবহার করে এসেছেন। একটা সাধারণ বাংলাদেশী মেয়ে, যে মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে এসেছে, সে হুরপরীর মতো পারফেক্ট রূপ কোথায় পাবেন বলুনতো ভাই? আগেকার দিনে এত পার্লার, সাজার দ্রব্য ছিলনা, এজন্যে নারীরা যেতেন না। এখন সুযোগ পেয়ে সবাই পার্লারে যাচ্ছে, চোখ বড় করছে, গায়ের রং সাদা করছে, খুশি হচ্ছে নিজেকে সুন্দর ভেবে। কিন্তু বেশি বেশি করে যে জোকারের মতো লাগছে তাকে, সেটা সে বুঝতে পারছেনা। সেভাবে সুস্থ মাথায় নিজের দিকে তাকাতে পারছেনা। ছোট থেকে অসুস্থ সমাজের অমানবিক, আনরিয়ালিস্টিক বিউটি স্ট্যান্ডার্ডস এর কারণে তার বুদ্ধি লোপ পেয়েছে।
এমন অনেক পুরুষই আছে, বউ মেকআপে সময় নিলে চিল্লাচিল্লি করে, আবার বউ সাধারণ সাজে তার সাথে পার্টিতে গেলে লজ্জায় নাক কাটা যায়। মেকআপ দেখলে আটা ময়দায় তাদের গা গুলায়, হাসি পায়, কিন্তু নিজের শ্যামলা/কালো বউটিকে নিয়ে কোথাও বেড়ুতে লজ্জা পান। মেয়েরাও অনেক সময় দুটো বিপরীতমুখী জিনিস একই সাথে চায়। কোন কোম্পানির মালিককে বিয়ে করবে, কিন্তু তার বয়স থাকতে হবে ২৫ এর কোটায়। এত সাকসেস কম সময়ে কিভাবে পাবে ছেলেরা? আসলে নারী পুরুষ উভয়কেই কি পেতেই হবে এবং কি স্যাকরিফাইস করা যেতে পারে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। আর ভালোবাসা ও সম্মান নামক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিব্বত পাওডার! হাহাহা। ভালো বলেছেন।
হুমম, যে ভাই আমার, নিজের প্রেম নিয়েই ব্যস্ত সারাক্ষন, আমার বিয়ে আর হবে কিভাবে? হাহাহা।

থ্যাংকস।
ভালো থাকুন।

২৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনারা হয়ত কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন এবং
নতুন জামানার কোন রীতি দেখে আপনারও মাথায় বাজ পড়েছে!

........................................................................................
মেয়েদের এসব ব্যাপার স্যাপার দেখে, দেখে মাথায় বাজ পড়ে নাই
তবে চােখ পঁচে গেছে , তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে, এই অতি উদ্ভট বিষয় নিয়ে গবেষনা করি না ।
............................................................................................................................
কারন কণে বা বর এসব নিয়ে কি কথা বলবে ? মিশ্র সমাজে বড় হয়ে, কি আমাদের করণীয় বা
কি আমাদের সংস্কৃতি তা চিন্তায় আনে না, ভাবে এখন কোন বান্ধবী বিয়েতে কি করেছে তার চেয়ে এককাঠি
বেশি হওয়া চাই ।
.............................................................................................................................

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বিয়ে দুটো মানুষের হয়, ছেলে ও মেয়ের। তাই ব্যাপার স্যাপারগুলো শুধু মেয়েরাই দেখাচ্ছেনা, পুরুষেরাও পোশাক, গান, নাচ, মুভি ইত্যাদিতে ভিনদেশী সংস্কৃতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

একটা ভালো পয়েন্ট এনেছেন। আজকাল সব স্ট্যাটাস দেখানোর খেলা। রিমির বিয়েতে বর ঘোড়াতে এসেছে, তাই সিমি বিয়েতে বরকে হাতিতে আসতেই হবে! উফফ, পাগল সব!

পাঠ, মন্তব্য, ছবিটির জন্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

২৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আচ্ছা সিরিয়ালে তো তিন চার টা বিয়ে হয় । তাহলে তিন চার টা বিয়ে করতে গেলে এত ক্ষেপে যায় ক্যান ?


যাই হোক,
এই বিষয় টা নিয়ে বলার কিছু নাই । আমার মামার বিয়ে একে বারে সাদামাটা ভাবে হয়েছে । কয়েক জন বন্ধুও ঘরোয়া ভাবে আত্মীয় স্বজন নিয়ে বিয়ে করেছে ।

আর কেউ কেউ তো কাজী অফিসে রীতিমত আমাদের দৌড়ের উপর রেখে বিয়ে করেছে । সেভাবে করলেই কিন্তু ভাল ।

এত এত খরচের কি আছে রে বাপ ।

আপনার বিয়ের দাওয়াতের আশায় থাকলাম ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ জেনে ভালো লাগল, কিছু সুস্থ মানুষ এখনো সমাজে আছেন যারা লোক দেখানোর জন্যে বিয়ে করেন না।

জ্বি অবশ্যই, সেটাই ভালো, একদিনের জন্যে কোটি কোটি টাকা খরচ করার কি আছে? যত্তসব।

উফফ! সবাই আমার বিয়ে নিয়ে পরল কেন! এত মানুষকে দাওয়াত দিলে তো আমার নিজের বিয়েই আর সাদামাটা থাকবেনা। :P

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

২৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: দারুণ! কী আর মন্তব্য করবো? পোস্টের সৌন্দর্য বেড়ে গেছে দারুণ সব কমেন্টে। বিয়ের ব্যাপারে এখন যা হচ্ছে এটা হলো কুসুম কোমলের অবক্ষয় আর সামাজিক মূল্যবোধের পচনের জন্য। এ থেকে কীভাবে জাতি রক্ষা পাবে? ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম সহমত পোষন করছি, ভীষন সুন্দর সুন্দর মন্তব্য, আলোচনায় সহব্লগারেরা পোস্টের মান বাড়িয়ে দিয়েছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

বিয়ের ব্যাপারে এখন যা হচ্ছে এটা হলো কুসুম কোমলের অবক্ষয় আর সামাজিক মূল্যবোধের পচনের জন্য।
সহমত, যোগ করার কিছু নেই, এক বাক্যে সব বলে ফেলেছেন।

সচেতনতা, স্বকীয়তাই জাতিকে রক্ষা করতে পারবে।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

২৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: দুটো সামুপাগলা@ আকিওপটেরিক্স। আসলে সামুপাগলা দুটো নয় মনে হয় তিনটে হবে। কারণ সম্ভবত শুধু সামুপাগলা' নামেও একটি নিক রয়েছে। আর সামুপাগলা০০৭ আপ্পি তো রীতিমত একজন জেমস বন্ড এর মত ব্রান্ড আইটেম সামুতে। এখন আমি কি করি?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নারে ভাই, আমি অতো বড় কিছু নই। তবুও বলব, যেহেতু ব্লগে একাউন্ট খুলে বেশি সময় হয়নি, আপনার নতুন একটি নিক নিয়ে একাউন্ট খোলা উচিৎ। মানুষজন ভীষনভাবে কনফিউজড হবেন এত কাছাকাছি নামে। তারপরে আমি মেয়ে, আপনি ছেলে। সেই ব্যাপারটিও অনেকে গুলিয়ে ফেলবেন। সবচেয়ে বড় কথা ব্লগে স্বকীয় একটি আইডেন্টিটি তৈরি করতে বাঁধা পাবেন। অনেকে আপনাকে দোষারপ করবে, দুজনের তুলনা করতে পারে কেউ কেউ। অনেক কষ্ট করে মেধা ও শ্রম দিয়ে লিখে যাবার পরেও যদি শুধু নাম সমস্যায় ব্লগে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে না পারেন, তা হবে দুঃখজনক। যেকোন লেখায় ২ টি কমেন্ট আপনার লেখা নিয়ে, ৫ টি কমেন্ট আপনার নিক নেম নিয়ে হলে আপনারই খারাপ লাগবে। এখন এই সমস্যা থেকে বের হবার সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত উপায় হচ্ছে ভীষন ইউনিক একটি নাম খুঁজে, সেটাকে নিজের ব্লগীয় পরিচয় বানিয়ে, সামনের ব্লগিং পথকে সুগম করে তুলুন।

আর আমি কখনো অন্যকোন সামুপাগলা ব্লগে দেখিনি, হয়ত আছেন আমার চোখে পড়েনি, দেখে থাকলে সেই নিকটি নিতাম না।

হ্যাপি ব্লগিং।
শুভকামনা!

২৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ++++++++++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা হিহি, এতগুলো প্লাস দিলেন, কিন্তু লাইক লিস্টে আপনার নামটি একবারও আসল না! ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.