নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১৬) - কানাডার ডাক্তার, ও আমার অস্বস্তিকর "ধরণী দ্বিধা হও" মূহুর্ত!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

পূর্বের সারসংক্ষেপ: একটি বাংলাদেশী পরিবার কানাডায় গিয়ে জীবনটাকে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করার সংগ্রামে নেমে পড়ল। পরিবারের মেয়েটি একদিন তার বাবা মায়ের সাথে গিয়ে ওখানকার স্কুলে ভর্তি হয়ে এলো। তাকে একটি নির্ধারিত দিন থেকে ক্লাস শুরু করতে বলা হয়। অন্যদিকে পরিবারের কর্তা ও কর্ত্রীও কিছু কোর্সে ভর্তি হয়ে পড়লেন চাকরির জন্যে। ঘরে বাবা মায়ের অনুপস্থিতে মেয়েটি লুকিয়ে মনোরম পাহাড়ি এলাকাটি ঘুরতে যেয়ে বিপদে পড়তে পড়তে বাঁচল। এভাবে করে স্কুলের প্রথম দিন চলে এলো এবং বেশ ঘটনাবহুল দিনটি শেষও হয়ে এলো।

পূর্বের পর্বগুলোর লিংক:
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১) - প্রথমবার প্রবাসে প্রবেশের অনুভূতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (২) - জীবনের গল্প শুরু হলো এইতো!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৩) - সুখে থাকতে কিলায় ভূতে! (কুইজ বিজেতা ঘোষিত)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৪) - বাংলাদেশ ভার্সেস কানাডার দোকানপাট, এবং বেচাকেনার কালচার! (কুইজ সলভড)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৫) - কেমন ছিল কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তি হবার প্রস্তুতি পর্ব?!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৬) - কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তির ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৭) - কানাডার স্কুল ভ্রমণ এবং দেশীয় মফস্বলের স্কুলের টুকরো স্মৃতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৮) - কানাডার প্রথম খারাপ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৯) - আবারো দুটিতে একসাথে, প্রেমের পথে... :`> (কুইজ সলভড)
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১০) - লাভ বার্ডসের প্রথম কানাডিয়ান ক্লাসের অভিজ্ঞতা....
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১১) - মায়ের বিদেশী ক্লাসমেট্স, কালচার শক এবং বাবার জেলাসি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১২) - কানাডিয়ান গুন্ডার কবলে.......
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১৩) - কানাডিয়ান গুন্ডার কবলে পথ ভুলে এডভেঞ্চারে.......
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১৪) - বৈদেশী স্কুলে প্রথম সে দিন.......
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১৫) - প্রথম দিনে লজ্জা, অস্বস্তিতে একের পর এক গুবলেট.....

পূর্বের সিরিজের লিংক: কানাডার স্কুলে একদিন এবং কানাডার স্কুলে একেকটি দিন

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কানাডিয়ান স্কুলের প্রথম সপ্তাহটি বিভীষিকাময় সময়ের মতো কেটে গেল। ক্লাসে টিচারদের কথাই ঠিকমতো বুঝতে পারিনা, পড়াশোনা তো দূরের ব্যাপার। অন্যদিকে ফিজিক্যাল এডুকেশনের লম্বা ক্লাসটি শরীরকে অবশ করে দেয়। শুক্রবারের বিকেলে ক্লান্ত, বিদ্ধস্ত শরীর ও মন নিয়ে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফিরে মনে হলো, আরেহ পরবর্তী দুদিন আমার কোন ক্লাস নেই! দমবন্ধ ভয় ও ভীষন ক্লান্তিময় দিনগুলো থেকে একটু বিরতি পাচ্ছি! কাল সকালে চোখ খোলা মাত্র আমাকে অন্যদিনের মতো ভিনদেশী স্কুলের ভয়ে কুঁকড়ে যেতে হবেনা।
তীব্র গরমে ঘামে ভেজা শরীর হুট করে মেঘলা বাতাসের ছোঁয়ায় যেমন চনমনে হয়ে ওঠে, আমার মনও উইকেন্ডের ভাবনায় তেমনই অনুভব করল।

আবার ভাবলাম, নাহ, পুরো সময়টা ছুটি কাটানো যাবেনা। আমি টিচারদের বেশিরভাগ কথাই বুঝি না, যা একটু বুঝতে পারি নোট করে নেই। নোটগুলোর বেশিরভাগ লাইনই পূর্ণ থাকে না, কোন লাইনের প্রথম অর্ধেক আছে, তো কোনটার শেষ অর্ধেক। টিচার যদি কারো প্রশ্নের জবাবে এক কথা আবারো রিপিট করতেন তখন আমি পুরোপুরি ধরে ফেলতাম। তাছাড়া ওভারঅল আমার নোট দেখলে মানুষজন আমাকে তারছিড়া পাবলিক অথবা বধিরই ভাববে নিশ্চই।
আমি প্ল্যান করলাম নোট এবং বইয়ের সেই চ্যাপ্টারগুলো পাশাপাশি রেখে খাপছাড়া ব্যাপারগুলো মেলানোর, বোঝার চেষ্টা করব। কিছু না বুঝতে পারলে অন্ধভাবে মুখস্থই করব। কিন্তু পড়াশোনা করব। তবে সেই শুক্রবার রাতটা কিছু না করেই কাটিয়ে দেবার পরিকল্পনা করলাম।

রাতে বাবা বলল। "কালকে তোমার ছুটি, তোমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাব।"
আমি বললাম, "আমি তো ঠিক আছি, ডাক্তারের কাছে গিয়ে কি করব? আমি যাব না।"

আমার না যেতে চাইবার মূল কারণ ছিল, দুটো দিন আমি কোন ফরেনারের দাঁত ভাঙ্গা, কানে পীড়াদায়ক ইংলিশ শুনতে চাইনি। শুধু দুটো দিন একটু ব্রেক চেয়েছিলাম।

বাবা বলল, "ধুর কি বলো? রেগুলার চেকআপ। ইমেইল পাঠিয়েছে আমাদের ফ্যামিলি ডক্টরের অফিস থেকে। যেতেই হবে।"

আমি ভাবছি বাবা মা কদিনে ফ্যামিলি ডক্টরও জুটিয়ে ফেলেছে! পরে জেনেছিলাম এখানে সবার জন্যেই ফ্যামিলি ডক্টর সেট করা থাকে। দেশে যেমন কারো কারোরই শুধু পরিচিত ডক্টর থাকে, এখানে তেমন না।

পরেরদিন পুরো ফ্যামিলি চলে গেলাম। হাঁটতে লাগলাম সবাই। অনেকক্ষন ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি কিন্তু পথ শেষ হচ্ছেনা।
বাবাকে বললাম, "আর কতদূরে?"
বাবা বলল, "আরো বেশ দূরে মা!"
আমি অবাক হয়ে বললাম, "বাবা তাহলে বাস নিলাম না কেন?"
বাবা বলল, "বাস নিলে এক দেড় ঘন্টা লাগবে হাঁটলে পঁচিশ মিনিট, তাই।"

বাস যেহেতু ঘুরে ঘুরে যায়, নানা জায়গায় থামে, তাই অনেকক্ষেত্রে বাসের পথ বেশি টাইম লাগে। সেজন্যেই বাবা হেঁটে যাবার প্ল্যান করেছে। দেশে সবসময় গাড়ি ও রিকশার ওপরে থেকেছি, পঁচিশ মিনিট হাঁটা অনেক বেশি মনে হচ্ছে। আর একটা মজার বিষয় খেয়াল করেছি। বিকেল বেলায় ইচ্ছেমতো গন্তব্যহীনভাবে নিজের মনের আনন্দে হাঁটলে সময়ের হিসেবই থাকেনা। কিন্তু কোথাও যাবার জন্যে পাঁচ মিনিট হাঁটতেও বিরক্তি লাগে! এমন কেন হয়? হয়ত গন্তব্যের চেয়ে জার্নি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে! গন্তব্য পথকে নির্দিষ্টতার জালে বন্দি করে বাড়িয়ে দেয়, গন্তব্যহীনতায় মাইলের পর মাইল নিশ্চিন্তে হেঁটে যাওয়া যায়, কেননা স্টিয়ারিংটা নিজের হাতেই থাকে। যখন ইচ্ছে থেমে যাব, কে কি বলবে?

এসব ভাবতে ভাবতে একটা বিল্ডিং এর সামনে চলে এলাম। আগে কখনো আসিনি বলে বেশ খুঁজতে হলো বাবাকে, ডাক্তারের অফিসটি। একটু ব্যাকওয়ার্ড জায়গায়, গলির মধ্যে। ছোটখাট কাঁচের দরজাটি খুলে ঢুকে গেলাম। বাবা রিসিপশনিস্টকে বললেন আমাদের এপয়েন্টমেন্ট আছে। তিনি কম্পিউটারে চেক করে ওয়েট করতে বললেন।

চারিদিকে চোখ বোলাচ্ছি। একদিকে একটি বড় এক্যুরিয়াম রাখা, সেখানে কালারফুল সব মাছ। মনে মনে ভাবছি, দেশের বাড়িতেও আমাদের এক্যুরিয়াম ছিল, আহারে মাছগুলোর খাওয়া, পানি পরিষ্কার সব আমিই করতাম। ভাই বোনহীন আমার নিঃসঙ্গ শৈশবে ওরাই ছিল পরম বন্ধু! চোখ ছলছল করে উঠল ওদের কথা ভেবে। সামনের দেয়ালে বড় একটি ফ্ল্যাট টিভি, এখানে অবশ্য সবখানে ফ্ল্যাট টিভিই দেখেছি এসে থেকে। আমার এখনো মনে আছে, সেখানে একটি ইংলিশ মুভি দেখানো হচ্ছিল। কুকুর ও বিড়ালের এনিমেটেড মুভি।

রুমের অন্য সাইডে কাঁচের দরজা। সেখান থেকে এক মোটাসোটা, বেঁটে আপেলের মতো টকটকে হোয়াইট মহিলা হাসতে হাসতে এলেন, একজনের নাম ধরে ডাকলেন। সামনের সিট থেকে তখন একজন ওনার সাথে চলে গেলেন। বুঝলাম আমাদের টাইম আসলে নাম ডাকা হবে। একটু পরে এসে আমাদের নাম নিলেন, আমরা ওনার সাথে গেলাম।
কাঁচের দরজার ওপাশে ছোট ছোট সব রুম। একটি রুমে নিয়ে গেলেন। আমাদের সবার হাইট, ওয়েট, ব্ল্যাড প্রেশার মাপলেন।
তারপরে আরেক রুমে নিয়ে গেলেন। আমরা কেন এসেছি জানতে চাইলেন। বাবা বলল, রেগুলার চেকআপ এবং ফ্যামিলি ডাক্তারের সাথে পরিচিত হতে। সেই মহিলা আরো কিসব প্রশ্ন করল, বাবা উত্তর দিলেন।

উনি, "ওকে, ওকে, ইউ অল ওয়েট হেয়ার, ডক্টর উইল বি হেয়ার শর্টলি!" বলে দরজা লাগিয়ে চলে গেলেন।

সেই রুমটিতে একটি বেড ছিল, কিছু যন্ত্রপাতি। ছোটখাট আলমারি, আর হাত ধোঁবার ব্যবস্থা। কয়েকটি চেয়ার এবং একটি কম্পিউটার। কানাডায় এসে এই জিনিসটি বারবার মুগ্ধ ও অবাক করে। অতোটুকু রুমে এতো জিনিস, কিন্তু গিজগিজে মনে হচ্ছেনা। পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা তার মধ্যেও ম্যানেজ করে ফেলেছে কিভাবে যেন! এরা আসলেই অনেক গোছালো!

বিরক্তিকর ওয়েট শুরু হলো। কানাডায় এলে এই জিনিসটি ডেফিনিটলি সবচেয়ে বিরক্ত করবে যে কাউকে। ডক্টরের এসিসট্যান্ট একবার চেক করেন, তারপরে আবারো মেইন ডক্টরের জন্যে লম্বা ওয়েট শুরু হয়। দুদফা অপেক্ষার মানে কি? একবারে ডক্টর দেখলেই তো পারে।

যাই হোক, বেশ অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পরে, একজন মানুষ রুমে হাসিমুখে ঢুকলেন। হাসিটা এমন যেন আমরা পেশেন্ট নই, তার শ্বশুড়বাড়ির লোক, বিরিয়ানি খাবার দাওয়াত দিতে এসেছি! এত প্রাণবন্ত হাসি এরা কিভাবে দেয় কে জানে! হোয়াইট লোকটির হাইট ঠিকঠাক, নাকটা টিয়াপাখির ঠোঁটের মতো খাড়া, আর চোখে চশমা। তাকে দেখলে বোঝা যাচ্ছে যে সে ডাক্তার।

কানাডায় আপনি চেহারা দেখেই অধিকাংশ মানুষের পেশা বুঝে ফেলবেন। পুলিশ ও ফায়ার ফাইটাররা লম্বা ও জায়গান্টিক ফিগারের হবেই হবে, শিক্ষকদের চোখে মুখে ফ্রেন্ডলি, বুদ্ধিদীপ্ত ভাব থাকবেই, আর ডক্টরদের দেখেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভদ্র, আন্তরিক ও প্রফেশনাল মানুষ মনে হবে। আমি অনেকদিন পর্যন্ত কনফিউজড হয়ে ভাবতাম, এরা কি চেহারা দেখে ভার্সিটিতে চান্স দেয় নাকি?

ডক্টর সবার সাথে কুশল বিনিময় করে কম্পিউটারের সামনে বসে একটি সাইটে লগইন করলেন। তারপরে আমাদেরকে একের পর এক প্রশ্ন করে গেলেন। কতদিন কানাডায়, অরিজিনালি কোথা থেকে, কোন এলার্জি আছে কিনা, ফ্যামিলিতে কাছের আত্মীয় স্বজনদের অসুখ বিসুখের ব্যাপারেও জানতে চাইলেন।
মায়েরগুলোও বাবাই বলে দিল। এরপরে তিনি আমার দিকে ইশারা করে বাবাকে প্রশ্ন করলেন, "একটাই সন্তান?"
বাবা হেসে হ্যাঁ বলল।
উনি তখন আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করতে লাগলেন।
এখানে কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছি কিনা? স্কুলের নাম কি? কেমন লাগছে কানাডায়? ইত্যাদি।
উনি বেশ সফটস্পোকেন এবং ধীর ধীরে কথা বলেন, তাই প্রায় সবই বুঝতে পারছি আর উনিও আমার ভাঙ্গা ইংলিশ বুঝতে ধরে ফেলছেন। তাই আমি বেশ কনফিডেন্ট ও কনফরটেবল হয়ে গেলাম ওনার সাথে।

একসময়ে উনি আমাকে অদ্ভুত সব প্রশ্ন করতে লাগলেন।

জানতে চাইলেন আমার এলকোহোল, ড্রাগ, সিগারেট কোনকিছু নেবার ইতিহাস আছে কিনা? এখন নেই কিনা?
আমি অবাক হয়ে গেলাম, আমাকে দেখে কি নেশাখোর মনে হচ্ছে ওনার?
আমি সজোরে দুদিকে মাথা নেড়ে জানালাম না।

উনি তারপরে আরো অদ্ভুত প্রশ্ন করলেন।

ডু ইউ হ্যাভ এনি কিডস? হ্যাভ ইউ এভার বিন প্রেগন্যান্ট?

আমি ভাবলাম, ভাই বোন আছে কিনা জিজ্ঞেস করতে গিয়ে কিডসের কথা জানতে চেয়েছেন ভুলে।
আমি বললাম, "সরি?"
উনি আবারো একই কথা রিপিট করলেন। আমি মায়ের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে দেখি, মাও অবাক। বাবার দিকে তাকিয়ে দেখি বাবা লজ্জা পেয়ে গেছে!
আমি আবারো না বললাম।
বাবা মায়ের সামনে ওনার এমন প্রশ্নে আমি এত লজ্জা পেয়েছি বলার নয়।
মাথা নিচু করে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে ভাবছি,

"ধরণী, তুমি দ্বিধা হও
আমি তন্মধ্যে প্রবেশ করি"

আমাদের অবস্থা দেখে ডাক্তারও একটু অপ্রস্তুত হলেন, এবং সেটি লুকানোর জন্যে হেসে, "গুড গার্ল!" বলে কম্পিউটারে টাইপ করা শুরু করলেন।

তখন আমি মনে মনে তখন খুব রাগ করছিলাম ডাক্তারের ওপরে আমার বয়সী কিশোরি ও অবিবাহিতা মেয়েকে এসব প্রশ্ন করার জন্যে। কিন্তু পরে বুঝেছি ওদের কালচারে এসব কমন ব্যাপার তাই নিশ্চই কম্পিউটারের ফর্মে এসব প্রশ্ন লেখা থাকে। পূরণ করতে ওনাকে জানতেই হয়।

তারপরে উনি আমাদের ভ্যাকসিনেশন হিস্ট্রি দেখতে চাইলেন। দেশের সব ডকুমেন্টস তাকে দেখানো হলো। উনি অনেক লম্বা সময় নিয়ে সেগুলো এসেস করতে থাকলেন। একবার রুমের বাইরেও গেলেন কারো সাথে কিছু আলোচনা করতে।
এসে জানালেন, বেশ কিছু ভ্যাকসিনেশন আমাদের কারোর দেওয়া নেই। আমি ভাবছি দেশে তো সব দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। এখানে আবার এসব কি?
পরে জেনেছিলাম কিছু ভ্যাকসিনেশন দেশে তখনো এভেলেইবল ছিলনা, কিন্তু কানাডায় সেগুলো দেওয়া হতো। ওরা কিছুটা এডভ্যান্সড ছিল।
উনি আমাদেরকে আরেক জায়গায় যেতে বললেন, সেখানে নাকি ওরা ভ্যাকসিনেশনগুলো দিতে পারবে। সেই জায়গার ঠিকানা দিয়ে এপয়েন্টমেন্ট করতে বললেন সুবিধামতো সময়ে।

উফফ! নতুন দেশে আসা আসলেই নতুন জন্মগ্রহণের মতো। আরেক ঝামেলা মাথায় এসে পড়ল। ছুটির দিনটাও পুরো শান্তি পেলাম না। ধুর, এই দেশটি কি আমাকে একটু শান্তি দেবে না? কি ক্ষতি করেছি আমি এর? কানাডায় যেয়ে কত শত বার যে বিরক্তিতে অথবা হতাশায় এমন কথা মাথায় এসেছে তার হিসেব নেই।

ডাক্তারের ওখান থেকে বেড়িয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি অনেক সময় হয়ে গিয়েছে। আবারো বেশ কিছু পথ হেঁটে বাড়ি যেতে হবে। বাড়ি ফিরতে ফিরতে আরেকটি জিনিস বুঝলাম। গন্তব্য কোন অপরিচিত জায়গা হলে পথ লম্বা মনে হয়, তবে গন্তব্য নিজের আপন, স্বস্তির বাড়ি হলে পথ আরো দীর্ঘ হয়ে যায়। পৌঁছানোর আকুলতা ও জলদিটা যে বেড়ে যায়.....

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





ভালো তো ।

আমি দেশে বসেই এখনো কোন ছুটি পাচ্ছি না । সাত দিন সমান হয়ে গিয়েছে । সারা সপ্তাহ অফিস । শুক্রবারে ক্লাস ।

জিন্দেকি ঝান্ড হয়ে গেছে ।

ভাবতেছি জাপান চলে যাবো । নোয়াখালীর ভিসা কোথা থেকে দেয় ?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন, কানাডায় শনি রবি দুদিন ছুটি পাবার ব্যাপারটি অসাধারণ। যদিও এখন দেশে অনেক জায়গায় দুদিন ছুটি দেয়। তবে আগে শুধু শুক্রবারেই ছুটি থাকত।

আহারে, আপনার জন্যে খারাপ লাগছে। তবে ব্যস্ত সময়গুলো ফুরিয়ে অনেক বেশি সাফল্যের দেখা পাবেন নিশ্চই। ইটস নট ইজি, বাট ইটস ওর্থ ইট!

হাহাহা, কি জানি!

পাঠ ও প্রথম মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা সকল!

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় বিদেশ চলে যাবো, কিন্তু আপনার অবস্থা দেখে তো মনে হচ্ছে গেলে ঝামেলা কম হতো না!
লেখায় প্লাস। +++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা ঠিক ধরেছেন। আসলে ওখানে শুরুর কবছর যে কি ভীষন স্ট্র্যাগলের! অনেকে ফিরেও আসে দেশে সবকিছুর সাথে ফাইট ও এডজাস্ট করতে না পেরে। কষ্ট করে গুছিয়ে উঠতে পারলে অবশ্য শান্তিতে থাকা সম্ভব, কিন্তু নিজ দেশে নেই সেই ব্যাপারটি সবসময় মন খারাপ করিয়ে দেবেই।

প্লাস ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। উৎসাহিত হলাম ভীষন।
ভালো থাকুন।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সামুপাগলা,বরাবরের মতই সুন্দর ঝরঝরে লেখাটিতে প্লাস।
সামনে কানাডায় আপনার সবচেয়ে সুখের স্মৃতিটি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মোস্তফা সোহেল! পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল।

ধন্যবাদ প্লাসে। আনন্দিত।

সুখের সময় এখনো বহুদূরে, সামনে স্ট্র্যাগলের গল্গগুলোই বেশি থাকবে যেহেতু শুরুর দিকের গল্প লিখছি। তবে একসময়ে সুখের গল্প আসবে নিশ্চই। সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকুন।

শুভকামনা।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: লেখাটি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। কানাডায় আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত করলেন ভীষনভাবে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্যেও।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ভাগ্য ভালো যে আপনি ভ্যাকসিন নিতে যাচ্ছেন অথচ সুঁইয়ের ভয় চিন্তা করেন নি !

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভ্যাকসিনেশনের প্রয়োজন পড়বে সেটা আমি ভাবিনি। ওখানে গিয়ে যখন জানলাম, মন খারাপ হলো। তবে যেহেতু তখনই নয়, অন্য আরেক জায়গা থেকে আরেক সময়ে নিতে হবে, ভয়টা আমাকে হিট করেনি।

যাই হোক, ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা!

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



হেই!
ডাক্তার বললেই হয়ে গেল? আপনি কি সত্যিই গুড গার্ল?

এবার তাহলে শুনুন।
আসলেই বলছি, আপনি সত্যিই গুড গার্ল!

গল্প যথারীতি সুন্দর হয়েছে। অনেক অনেক শুভকামনা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!

হাহা, সো সুইট অফ ইউ! এবার আপনিও বললেন, আসলেই হয়ে গেল! আমি সত্যিই গুড গার্ল! এতগুলো মানুষ তো আর ভুল বলবে না। ;)

ধন্যবাদ অনেক।

আপনার জন্যেও সকল শুভকামনা রইল!

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent writing

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ সাজ্জাদ ভাইয়া! কেমন আছেন? শরীর ভালো তো?

থ্যাংকস এ লট।

ভালো থাকবেন।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার কানাডা কথন। শুভ কামনা নিন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লিটন ভাই, পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল। ভালো লাগায় উৎসাহিত বোধ করছি। ধন্যবাদ।
আপনার প্রতিও শুভকামনা রইল!

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডাক্তারের শেষ প্রশ্ন আমাকেই লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। ওদের কালচারে এসব ডালভাতের মতো ব্যাপার বলে মেডিক্যাল চেক আপের সময় প্রশ্নটা হয়তো কম্পালসারি। কিন্তু আমাদের কালচারে নাক কাটা যাওয়ার মতো অবস্থা। তার ওপর আবার প্যারেন্টের সামনে! ওহ! হরিবল!
বাসে গেলে দেড় ঘণ্টা, হেঁটে গেলে পঁচিশ মিনিট। এ যে দেখছি আমাদের ঢাকার যানজটের যন্ত্রণার মতো। হাঃ হাঃ হাঃ।

অনেক চড়াই উৎরাই টপকে কানাডায় পড়াশুনা করছো। তোমার জীবন সংগ্রামের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা ও শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হেনাভাই!

লজ্জার পাবার মতোই প্রশ্ন। ছি ছি! আমার তো এখনো ভাবলে লজ্জা লাগে।

হাহাহা, তা যা বলেছেন। সত্যিই বাসে করে বেশি টাইম লাগে- বাসের জন্যে ওয়েট করা, বাসের নানা জায়গায় থামা ও লোক নেওয়া, লং কাট নিয়ে সবাইকে নামাতে নামাতে যাওয়া ইত্যাদি কারণে।

মোস্ট ওয়েলকাম। আপনাকেও ধন্যবাদ হেনাভাই। আপনার শেষের কথাগুলো মনকে ছুঁয়ে গেল। দোয়া করবেন আমার জন্যে।
সুখী ও সুস্থ থাকুন।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার লিখনী। একটু একটু করে জেনে যাচ্ছি আপনার প্রবাসের সাতকাহন। তবে বিস্মিত হই এতো নিখুত কথন স্মৃতীতে আটকে রেখেছেন কি করে! আবার এতো নিপুণতার সাথে যে কাগজের জমিনে সাজিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক তার প্রতিভার জয় হউক। ভাল থাকুন সবসময়।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুজন ভাই! আপনাকে পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।

হাহা, আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটা কপালে লেখা ছিল, তাই অনেককিছুই মনে আছে।

অনেক ধন্যবাদ সুজন ভাই। ভীষনভাবে অনুপ্রাণিত করলেন।
আপনি এবং আপনার পরিবারও সর্বদা ভালো থাকুক।

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: জীবন মানেই যুদ্ধ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম ১০০% সত্য কথা!

ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভকামনা!

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ডাক্তারের প্রশ্ন শুনে আমারও আক্কেল গুড়ুম! বলে কী! :)

তবে মিস বোকামতীর প্রবল বেগে না সূচক মাথা ঝাঁকানোটা দেখতে পেলে খুবই ইন্টারেস্টিং লাগত। :`>

লেখা ভালো লাগল। প্লাস।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই বোকা বেস্ট!

আপনার আক্কেল আছে যে সেটা গুড়ুম হলো? :D

হিহি হাহা। সামনাসামনি তো সেটা দেখার উপায় আর নেই, লেখার মাধ্যমে কল্পনা করে নিন।

থ্যাংকস প্লাসের জন্যে। ভাগ্যিস ব্লগে আর মাইনাস বাটনটি নেই, আপনি যে বোকা প্লাস দিতে গিয়ে মাইনাসই দিয়ে দিতেন। ;)

মি: বোকা ভালো থাকুক।

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শেষ প্রশ্নটা আসলেই ওড....

সেই গুড গার্ল আছে তো ;)

পোস্টে ভালোলাগা :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কিইই জানি! আবারো রেগুলার চেকআপ করতে গেলে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে। ;) :D

ভালোলাগায় কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা।

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার সর্বশেষ পোস্টটা পড়ার আমন্ত্রণ রইলো :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়েছি, প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্যও করেছি। ধন্যবাদ।

১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৪৩

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: লেখায় বেশ আন্তরিকতার রেশ মিশিয়ে মিস্টি করে পরিবেশন ,অসাধারন ! ভালো লাগলো আবারও ! ভালো থাকবেন !

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা আপনিও অনেক মিষ্টি করে মন্তব্যটি করলেন। মন ভালো হয়ে গেল পড়ে। আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
বরাবরের মতোই আরেকটি ইউনিক পর্ব :)

দেখে সবাই, অনুভব করতে পারে অল্প জনা
অনুভব করে কেউ কেউ প্রকাশিতে পারে ক'জনা!

শুধু কাহিনী নয় এর মাঝে জীবন বোধের, অনুভবের নির্যাস মিশে দারুন ককটেল হয়ে যায়!
পথ ভাবনা, ফেস রিকগনিশন থিম, মাছেদের জন্য মায়া . . . সরল ভাবুক মনেরই প্রকাশ।
হায় হায়- ধরনী দ্বিধা হও!!!
অনুভব যথাযথতো বটেই!
কান গরম, গালে লজ্জ্বার লালিমা, চোখে অপ্রস্তুত অসহায় দৃষ্টি! আহারে!

যেই দেশে যেই কালচার- কি আর করা, সখি!
আহারে, কিশোরী মনের অবুঝ লাজুক বাঙালী অনুভবের পুরোই তেরটা বাজিয়ে দিয়েছিলো ডাক্তার সাহেব!
তীব্র বেগে মাথা দোলানোতেই যেন সকল প্রতিবাদ, আবেগ ছিল একসাথে!

ডাক্তারের রুমে ওয়েট করার বর্ণনায় 'ক' বুঝি 'ন' হয়েগেছে টাইপোর কারণে! (একদিনে= একদিকে)
পড়ার গতি হালকা বাম্প করে ;)
অগ্রিম সরি, নট মাষ্টারি, জাস্ট নজরে এনে দেওয়া সখি। আমার নিজেরই কিন্তু প্রচুর টাইপো থাকে :P
সক্কাল বেলা খুব ফ্রেশ মুডে পড়লাম তো, অনেক অনেক কথা বলে ফেললাম! :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন
জনম জনম থাকো সূখে -প্রার্থনা জনম জনম :)



০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

আপনি এখন থেকে সক্কাল বেলা ফ্রেশ মুডেই আমার পোস্টগুলো পড়বেন। :) এমনিতেও আপনার মন্তব্যগুলো অসাধারণ হয়, তবে এটা সব অসাধারণকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।

এধরণের কথামালাকে কি বলে? কবিতার মতো লাগে কিন্তু পুরোপুরি কবিতাও নয়! ব্লগে শুধু আপনার মধ্যেই এভাবে লিখে যাবার প্রতিভা দেখেছি। অন্যরকম! অনন্য!

ওমা ওমা, সরি ফর হোয়াট? আমার যদি পাঠকদের কাছ থেকে বানান বা অন্যকোন ভুল জানার ইচ্ছে নাই থাকত, তবে তো আমি ব্লগে পোস্টই করতাম না। নিজের ডায়েরীতে লিখে রেখে দিতাম। সবাই পড়বে, আমাকে শুধরে দেবে, কিছু শিখবে ও শেখাবে সেটাই তো চাই! সো থ্যাংকস এ লট ভুলটি ঠিক করে দেবার জন্যে। আর চুপিচুপি বলি, স্পিডব্রেকারটা ইচ্ছে করেই দিয়েছিলাম যেন পড়তে পড়তে সখা অন্যমনস্ক হয়ে মনোযোগ না হারিয়ে ফেলে। ;)

থ্যাংকস এ লট সুন্দর মন্তব্যটির জন্যে।
সখাও জনম জনম সুখে থাকুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.