নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোস্ট পোস্ট (৩) - বিবাহ বানিজ্য, পাত্র পাত্রীর নির্বাক অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা - ঝলমলে লাইটিং এর পেছনের অন্ধকারের গল্প!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২



পূর্ব রোস্ট পোস্ট: রোস্ট পোস্ট (১) - "আপনি কি কালো, বেঁটে, মোটা? তাহলে আপনার বেঁচে থাকা অর্থহীন!" ওহ মিডিয়া প্লিজ শ্যাট আপ!
রোস্ট পোস্ট (২) - বাংলাদেশী বিয়ে - দুটি মনের মিলন নাকি অপসংস্কৃতি, অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা প্রকাশের মাধ্যম? শেম শেম!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

বিবাহ বানিজ্য: বিয়ে আজকাল দুটি মনের মিলন কে কেন্দ্র করে ধর্মীয় ও পারিবারিক উৎসবের নাম নয়, টপ টু বটম বানিজ্য হয়ে দাড়িয়েছে। বিয়ে শুরু হবার আগ থেকে বিয়ের পরেও চলতে থাকে বানিজ্যের খেলা।



বিবাহপূর্বে: বিয়ের সাথে বানিজ্য ব্যাপারটি সবসময়েই জড়িত ছিল। তবে এখন তা ডাল পালা গজিয়ে চারা গাছ থেকে বিশাল বটবৃক্ষ হয়েছে। আগে পাত্র ডাক্তারি পাশ করলেই অনেক যোগ্য মনে করা হতো। আজকাল শুধু ডাক্তার হলেই হয়না, তার ওপরে স্পেশালিস্ট ডিগ্রী লাগে। একসময়ে শুধু সরকারি চাকরি হলেই চলত, আজকাল উঁচু পোস্ট না দেখে বাবা মা বিয়ে দিতে চান না। আর প্রবাসী হলেতো সোনায় সোহাগা, কামাই তখন টাকায় নয় ডলারে! দেনমোহরটিও পবিত্র নিয়ম হিসেবে পালিত হচ্ছে না, অত্যাচার ও মাছের বাজারের দরাদরির পর্যায়ে চলে গিয়েছে।
আর পাত্রের বাবা মাই বা ছেড়ে দেবেন কেন? একসময়ে শিক্ষিত পাত্রীর দাম ছিল, এখন চাকরীজীবি বউ চাই। তবে শুধু চাকরি করলেই হবেনা, বাড়ির কাজেও তাকে হতে হবে পটু! সারাদিন চাকরি করে এসে বাড়ির কাজও করবে এমন চায় বেশিরভাগ পরিবার। আর যারা মোটা বেতনের চাকরির ব্যাপারে ছাড় দিতে রাজি থাকে, তারা অন্যদিকে পুষিয়ে নেয়। যৌতুক, ছি ছি কি বলছি! যৌতুক আজকালকার শিক্ষিত পরিবারে দেখাই যায়না, সবাই এ ব্যাপারে অনেক সচেতন। তবে "উপহার" তো আদান প্রদান হতেই পারে। ভারী গয়না দিয়ে মেয়েকে মুড়িয়ে দিতে হবে। পাত্রপক্ষের সবাইকে দামী দামী উপহার দিতে হবে। নাহলে তো পাত্রীপক্ষেরই নাক কাটবে!!!!

বিবাহ চলাকালিন খরচ: বিয়েতে শয়ে শয়ে হাজার হাজার লোককে দাওয়াত করা হয়। অতি বড়লোকেরা বিয়ের কার্ডের সাথে এতগুলো লোককে দামী উপহারও পাঠায়! এইসব লোকদের শত রকমের খাবারের খরচ, তাদের বিনোদনের জন্যে নাচ, গান, কৌতুক ইত্যাদি পরিবেশনা করার খরচ, তারা যেন সাজানো গোছানো চোখ ধাঁধানো লোকেশন ও ডেকোরেশন উপভোগ করতে পারে নসেই খরচ করতে করতে লাখ নয় কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে শুধু একদিনের জন্যে!
শুধু হোস্টই নয়, গেস্টদেরও আছে কিছু দায়িত্ব। কে কত দামী শাড়ি গয়না, স্যুট টাই পরে যেতে পারবে, কে কত দামী উপহার নিয়ে যেতে পারবে সেটারও লোক দেখানো প্রতিযোগিতায় মেতে সবাই।

এই পুরো বিষয়টি নিয়ে আমার আপত্তি থাকত না যদি হাজার হাজার মানুষ আপনজন হতেন, আর নবদম্পতিকে দোয়া ও ভালোবাসা দিতে আসতেন। কিন্তু নাহ! আগত অতিথিদের অনেকেই বর কনের নামই ঠিকভাবে জানেন না। আজকাল বিয়েতে কোন দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের প্রতিবেশীর গ্রামের বন্ধুর বোনকেও দাওয়াত দিতে হয়! এটা তখন আর আপনজনদের সাথে মনের আনন্দ উদযাপন নয়, কার বাবা তার মেয়ের বিয়েতে কত বেশি লোক খাওয়াতে পারল সেই প্রতিযোগিতা মনে হয়। এসব অতিথিদের অনেকের মধ্যেই ভালোবাসা ও আন্তরিকতা দেখা যায়না খুব একটা। কেননা তারা তো বিচারক হয়ে আসেন! বুঝলেন না? শেষ সেকশনে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারে আলোচনা করেছি।


অশ্লীলতা:
বিয়ে একটি পবিত্র ধর্মীয় রীতি। যেকোন ধর্মের বিয়েতেই ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে - কাজী সাহেব, পুরোহিত অথবা ফাদার পবিত্র ধর্মীয় কথামালার মাধ্যমে দুটো মানুষকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। তাই এই উৎসবটিত যথাযথ পবিত্রতা বজায় রাখা দরকার। আজকাল তা আর হচ্ছে কোথায়?

বিয়ের দাওয়াতে আসা মানুষজনকে বিনোদিত করতে রিয়ালিটি শো করা ছোটখাট তারা অথবা উঠতি মডেলদের নিয়ে এসে পারফর্ম করায়। ভিনদেশী সেসব গানের কথায় এবং নাচের অঙ্গভঙ্গি ও পরিবেশনা শালীনতার বহু মাইল দূরে থাকে। আমাদের সংস্কৃতিতে গুরুজনদের সামনে টিভিতেও যদি কোন বেশি ইনটিমেট গান অথবা স্বল্পবসনা নায়িকার এক্টিং চলতে থাকে ছোটরা অস্বস্তি বোধ করে। চ্যানেল পাল্টে ফেলে। সেখানে এভাবে লাইভ অশালীনতা পরিবারের সবাই কিভাবে উপভোগ!! করতে পারে?



উপরোন্ত, আমাদের সংস্কৃতিতে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। গুরুজনদের শ্রদ্ধা ও ছোটদের আদরের ব্যাপার রয়েছে। আমাদের সমাজে দশ বছর ধরে সংসার করা স্বামী স্ত্রীও একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় না গুরুজন ও বাচ্চাদের সামনে। সেখানে হবু বর ও কনে একে অপরের কোলে উঠে, জড়াজড়ি করে নানান ধরণের পোজ দিয়ে যেসব ছবি তুলে যায় সবার সামনে! দেখলে চোখ কপালে ওঠে। আর শুধু বর কনেই নয়, বরের সাথে কনের বোন ও বান্ধবী, কনের সাথে বরের ভাই ও বন্ধুরাও অশালীন মাত্রার কাছাকাছি এসে ছবি তোলে। আমরা যে সমাজে বড় হয়েছে, সেখান থেকে এই প্রাণীরা এমন অসভ্য কিভাবে হয় আমি বুঝিনা।

হবু বর কনে ছবি অবশ্যই তুলবে স্বজনদের সাথে। তাতে কোন আপত্তি থাকতে পারেনা। বিয়ের স্মৃতিগুলো ছবিতে ছবিতে অমলিন হয়ে থাক, তবে সেটা বাংলাদেশী সংস্কৃতির মায়া ও আদব কায়দাকে ধারণ করে।


পাত্র পাত্রীর নির্বাক অসহায়ত্ব:




আমাদের দেশে নিজের বিয়ে নিজে এনজয় করতে পারে কয়জন? ছবি তোলার মুহূর্তটুকু বাদে বর ও কনেকে কমই হাসতে দেখা যায়। দুজনের চোখে মুখে একঘেয়েমি ও ক্লান্তির ছাপ সহজেই ধরা যায়। ভারী শাড়ি ও গয়নায় দমবন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয় কনের। পাগড়ি ও শেরওয়ানীতে বরের অবস্থাও গরমের দেশে খুব একটা সুবিধার হয়না। বিয়ের মূল অংশটুকু তো আধা ঘন্টাও লাগার কথা নয়। কিন্তু অনুষ্ঠান চলতেই থাকে, চলতেই থাকে। স্টেজে পুতুলের মতো বসে থাকে দুটি মানুষ, একেকজন পরিচিত অপরিচিত অতিথি এসে তাদেরকে নিয়ে একেকটি কমেন্ট করে যায়। কেউ ভালো কথা বলে, তো কেউ ইশারায় খোঁচাও দিতে ভোলেনা পাত্র পাত্রী অথবা পরিবারের লোককে। সেভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। পাত্র পাত্রী যেন চিড়িয়াখানার প্রাণী, প্রদর্শনীর জন্যে রেখে দেওয়া হয়েছে, সবাই ইনভাইটেশন কার্ড নামক টিকিট কেটে দেখে যাচ্ছে!

"মেয়ে তো শ্যামলা, মেকআপের মাঝেও বোঝা যাচ্ছে", "ভাবী মেয়ে হিসেবে ছেলে একটু বেঁটে হয়ে গেল না?", "ভাই প্রবাসী পাত্র পেলেন না? শুনলাম ছেলে দেশে সামান্য ব্যাংকে জব করে!", "ওদের নাকি প্রেমের বিয়ে! টিকলে হয়, বিয়ের পরে প্রেম আর থাকে না, কম তো দেখলাম না!", "না জেনে শুনে বিয়ে করেছে, বিয়ের পরে এডজাস্ট করতে পারবে? আধুনিক যুগে যত্ত সব ব্যাকডেটেড ব্যাপার স্যাপার!" "বিয়ের আয়োজন একদম ভালো হয়নি, কৃপণ মনে হয়!", "বিরিয়ানিতে মাংস কম, মেহমানদারীর কি ছিড়ি!"

যেকোন বিয়েতে গোল হয়ে তিন চারজন মানুষ হাতে কুলফি, কোল্ড ড্রিংক, কাবাব বা অন্যকিছু সাবাড় করতে করতে ওপরের কথাগুলোই বলতে থাকে। আরেহ ভাই, দুটো মানুষ নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কেউ পারফেক্ট না। কিন্তু তারা পারফেক্ট সুখের সংসার যেন করতে পারে সেই দোয়া করতে কি টাকা লাগে? আন্টিরা, আপনারা যে চেহারায় এত মেকআপ লাগান, দেখতে তো পেত্নীর মতো লাগে। কথাবার্তার মধ্যেও রাক্ষসীপনা দেখাতেই হবে? চেহারা সুন্দর করার জন্যে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেন, বিনা খরচে মনকেও সুন্দর করার ইচ্ছে করেনা? আর আংকেলগণ, জীবনে ভালো খাবার খান নি যে কারো বিয়েতে গিয়ে টেবিল ম্যানার্সের বারোটা বাজিয়ে ভুভুক্ষের মতো কবজি ডুবিয়ে খেয়ে যান? খান ভালো কথা, আয়োজন ও মেহমানদারী নিয়ে প্রশ্ন তুলতে লজ্জা লাগেনা? আপনাদের মতো মানুষদের কারণে বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধন আনন্দ নয় বরং অত্যাচারের মধ্য দিয়ে কেটে যায়। সমাজের কিছু কিছু সরল মানুষ আপনাদের মতো মানুষদের কুটিল ও জটিল মনকে গুরুত্ব দিলেও, আমি আপনাদের মতো মানুষদের ভাবনা চিন্তার খ্যাতা পুড়ি!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পূর্বের পর্বে সবগুলো পয়েন্ট শেষ করতে পারিনি, পোস্ট লম্বা হয়ে যাবার আশংকায়। তাই আগেই বলেছিলাম আরো একটি রোস্ট পোস্ট আসবে এই বিষয়ে, এসেও গেল।
আপাতদৃষ্টিতে ঝলমলে ও পরিচ্ছন্ন মনে হওয়া বিয়ে বাড়ির ভেতরের অন্ধকার, ধুলাবালি ও মাকড়সার জালের গল্প শেষ হলো। পাঠক নিজের বা আত্মীয়দের বিয়েতে দেখা অসংগতি অথবা কোন খারাপ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে পারেন।


ছবিসূত্র: অন্তর্জাল!

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

নজসু বলেছেন:


লিংকের ১ নম্বর পোষ্টটা পাঠ করে মজা পেয়েছিলাম। কমেন্টও আছে।
আপনার আর লেখা পাঠ করা হয়নি। আপনার লেখাগুলো পড়ার আগ্রহ রইল ।
পাঠ করবো।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা।
জ্বি অবশ্যই সময় করে পড়বেন রোস্ট পোস্টগুলো এবং নিজের গুরুত্বপূর্ণ মতামত রাখবেন।

প্রথম মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: বাস্তব সত্য।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম, কঠিন ও বাস্তব সত্য!

ধন্যবাদ মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: একদম সত্যি লিখেছেন। একটা জাতি নষ্ট হওয়ার যত উপক্রম আছে সবি এখন বিদ্যমান। সমাজের এই নৈতিকতার ক্ষরণ একদিন কোথায় গিয়ে থামবে কে জানে। যদি চারদিক থেকে বদলে দেওয়ার স্লোগান আসে হয়তো বদলে যাবে এমন চিত্র কিন্তু দরকার সু-শিক্ষার।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুজন ভাই, আপনাকে পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।

ঠিকই বলছেন, এভাবে একটি দুটো পরিবার, পাড়ার নষ্টামি পুরো জাতিকে নষ্ট করে দিতে পারে। না থামালে জীবনেও থামবে না, চলতেই থাকবে সামাজিক বিকৃতি। এসব ঠেকাতে সবার পূর্বে ব্যক্তি সচেতনতা ভীষনভাবে জরুরি।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে থ্যাংকস ভাই।
ভালো থাকুন।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সব সত্য কথা লিখেছেন। ১০০% সত্য। আমি বলল বাঙ্গালীরা চালাক কিন্তু বুদ্ধিমান না।
আর ২ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওটা দেখে মেজাজ খারাপ হয়েছে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বেশ ইন্টারেস্টিং কথা বললেন তো! চালাক কিন্তু বুদ্ধিমান না! হয়ত! আমরা এক টাকা বাঁচাতে গিয়ে লাখ টাকার লস করি!
আমারো এসব ভিডিও দেখলে মেজাজ গরম হয়ে যায়।

পাঠ ও যথাযথ মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভাবী, বাবুকে নিয়ে সুখে থাকুন।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টের কথাগুলোর মধ্যে ভুল কিছু নাই। আমি শুধু একটা কথাই বলবো যে, এসব নষ্টামির গোড়ায় আছে মূর্খতা। আমাদের সমাজে শিক্ষিত মানুষ (ডিগ্রি ভিত্তিক শিক্ষা নয়) খুবই কম। ১০০ জন মানুষের মধ্যে শিক্ষিত মানুষ দুই একজনের বেশি পাওয়া যাবে না। বিবাহ বানিজ্য, মোটা বেতনের চাকরিজীবি বা প্রবাসী পাত্র চাই, বিয়ের খরচে প্রদর্শন বাতিকতা, নিজস্ব সংস্কৃতি বহির্ভূত বিদেশী সংস্কৃতির অশ্লীলতা, মেহমানদের অযাচিত ও অবাঞ্ছিত কথাবার্তা এইসব কখনো শিক্ষিত মানুষের লক্ষণ হতে পারে না। শিক্ষিত মানুষ দাওয়াত খেতে এসে কখনো নিন্দা করে না, বরং সকল বিষয়ে প্রশংসা করে।
আমার আত্মীয়স্বজন পরিমণ্ডলে এরকম বাড়াবাড়ি আমি অনেক দেখেছি। তবে আমার নিজের বিয়ে ছিল খুবই সাদামাটা। বিয়েটা যদি এই যুগে হতো, তাহলে হয়তো বাড়াবাড়ি হতেও পারতো। বললে হয়তো বিশ্বাস করবে না যে, আমাদের ২৫ তম বিবাহ বার্ষিকীতে ছেলেরা ও আমার শ্যালিকারা যে আয়োজন করেছিল তা' আমাদের সাদামাটা বিয়ের চেয়ে অনেক বেশি রঙিন ছিল। তারপরেও আমার কঠোর নজরদারীর কারণে কেউ কোন নষ্টামি বা বাড়াবাড়ি করতে সাহস পায়নি। এমনিতে আমার আত্মীয়স্বজনের সংখ্যা অনেক। তার মধ্যে কিছু কাট ছাঁট করে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই, মহামূল্যবান একটি মন্তব্য করেছেন।

পুরোপুরি সহমত পোষন করছি আপনার সাথে।
শিক্ষা বলতে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে বুঝি। আপনার ভাষায় ডিগ্রি ভিত্তিক শিক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলরস, মাস্টারস, পিএইচডি ইত্যাদি থাকা মানুষেরা বিকৃত রুচির পরিচয় দিচ্ছে পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার অভাবে। এসব মানুষকে এক কথায় অশিক্ষিত, আনস্মার্ট বলা যায়। এভাবে বলা শুরু করলে যদি এরা শুধরায়!

হুমম আগেকার দিনের বিয়েগুলো ঠিকভাবে হতো। সরলতা ও শালীনতাকে মেনে। আর আপনার মতো আধুনিক ও শিক্ষিত মানুষ নতুন জামানা পুনরায় বিয়ের সময়েও কোন ধরণের অপসংস্কৃতি ও কুরুচিপূর্ণ আচরণকে সমর্থন করবেন না তা জানা কথা।

পাঠ ও যুক্তিযুক্ত মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন ভাই।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার বড় ছেলের বিয়েতে একমাত্র মেহমানদারীর ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়াবাড়ি হয়েছিল। প্রায় ১১০০ মেহমানকে দাওয়াত করা হয়েছিল। এটার একটা কারণও ছিল। এই ১১০০ মেহমানের মধ্যে আমার আত্মীয়স্বজনের সংখ্যাই ছিল প্রায় নয়শর মতো (বেয়াই বাড়ির আত্মীয়স্বজন সহ)। বাঁকিরা আমার প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধব, অফিস কলিগ ও আমার ব্যবসায়িক অংশীদাররা। আমার পরিবারে এবং আমার ও আমার স্ত্রীর বংশে আমাদের বড় ছেলের জন্ম হয়েছিল প্রথমে। সে ছিল সকলের আদরের পাত্র। এসব কারণে সবাইকে দাওয়াত না দিয়ে পারিনি।
এই একটিমাত্র বিষয় ছাড়া এই পোস্টে বর্ণিত অন্য কোন ব্যাপারেই কোন অনৈতিক ও মাত্রাছাড়া বিষয় আমার ছেলের বিয়েতে ছিল না।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাব্বাহ ১১০০ মেহমান! তবে আমি পোস্টেও লিখেছি সবাই আপনজন হলে তাতে আপত্তি থাকার কথা নয়। কোন আপনজনকে দাওয়াত না দিলে সারাজীবনের জন্যে তার মনে কষ্ট থেকে যাবে। কারো মনে কষ্ট দেওয়া বিয়ের উদ্দেশ্য নয়।
যারা শুধু লোক দেখানোর জন্যে, অহংকার করে স্ট্যাটাস দেখানোর জন্যে হাজার হাজার স্বল্প বা অপরিচিত মানুষকে দাওয়াত করে তাদেরকে নিন্দা জানাই।

পুনরায় এসে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করে যাবার জন্যে থ্যাংকস। এধরণের মন্তব্যে পোস্টের মান বাড়ে।
শুভেচ্ছা।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাস্তব অভিজ্ঞ!!
মনের ক্ষেদ ঝেড়ে ফেলুন!
দুস্ট লোক মন্দ কথা বলবেই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ব্যক্তিগত নয় তবে পরিচিত অনেককেই বিয়ে বিষয়ক নানা বিড়ম্বনায় পড়তে দেখেছি। ক্ষেদ, রাগ, বিরক্তি মূলত সেখান থেকেই আগত।

দুষ্ট লোকের মাত্রা ও প্রভাব যে আকারে বেড়ে চলেছে তা এক অশনি সংকেত সমাজের জন্যে।

পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: অধরা চৌধুরী আর তার ম্যাজিক মামুনীর দর্শক শ্রোতার জন্য এত্তগুলান শুভকামনা! :( :( :(

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি মজার মন্তব্য করেছেন, স্যাড ইমো কেন?

ভালো থাকুন অনেক অনেক।

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বাস্তবতা :(

আপনার বিয়ের দাওয়াত চাই ;)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম বাস্তবতা কঠিন! নিষ্ঠুর!

আজকালকার ফ্যাশন দেখে বিয়ে করার সাহস হয়না। সাহস করতে পারলে দাওয়াত দেওয়া হইবে।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: আগের পোষ্টে একখানা মন্তব্য জাতীয় কিছু দিয়েছিলাম, জানি না তাতে কতটুকু হৃদয়ের কথা প্রকাশ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আসলে সব বিকৃতরুচি, অঢেল টাকার ঝলকানি আর সামাজিকতার নামে অশ্লীলতা। এ ব্যাপারে ৫ নং মন্তব্য আবু হেনা ভাইয়ের সাথে আমি একমত।
সবাই আপনার বিয়ের দাওয়াত চাইছে, আমিও আপনার বিয়ের দাওয়াত চাইলে হয়ত পাবো, কিন্তু কানাডা গিয়ে দাওয়াতে এটেন্ড করাতো সম্ভভ নয়, তবে আশা করি বিয়ের সকল তথ্য ও ছবিসহ একখানা ঝাক্কাস পোষ্ট দিয়ে আমার হৃদয় রাঙিয়ে দেবেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাইয়ের মন্তব্যটি আসলেই সুন্দর। আমিও ওনার বিশ্লেষনের সাথে একমত।

নিজের বিয়ের কথা ভাবছি না, যখন ভাবব দেখা যাবে সবার আব্দার রাখতে পারি কিনা।

শুভেচ্ছা।

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

ইয়াসিনুর রহমান ফাহিম বলেছেন: একদম খাঁটি কথা বলেছেন ভাই। প্রিয়তে রাখলাম।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি ভাই নারে আপু, নিক নেমের কারণে কনফিউশন হয়েছে বুঝতে পারছি। ইটস ওকে।

সত্য কথার চেয়ে খাঁটি আর কি হতে পারে?

মন্তব্য ও প্রিয়তে রাখার জন্যে থ্যাংকস এ লট।
শুভকামনা!

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: যতই ভূরিভোজ করানো হোক , শেষ মেষ দুর্নাম গায় সবাই।

সবকিছুতেই বিদেশী/অপসংস্কৃতি ঢুকে গেছে।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এক্কেবারে ঠিক বলেছেন। তাই হয়ে থাকে। কিছু কিছু মানুষ দাওয়াত খেতে যায় অন্যের দোষ ত্রুটি ধরার জন্যেই।

হুমম ঠিক, এভাবে ঢুকে যেতে যেতে একসময় নিজ সংস্কৃতিকেই বিদেশী ও অপরিচিত মনে না হয়!

মোস্ট ওয়েলকাম, আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।
ভালো থাকুন।

১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

নীলপরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই পরি আপু! অনেকদিন পরে আমার কোন পোস্টে আপনাকে পেলাম। খুব ভালো লাগল।

থ্যাংকস। উৎসাহিত হলাম।
ভালো থাকুন আপু।

১৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সবগুলো ই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে এনেছেন !!
সিনেমা থিয়েটার দেখে দেখে জীবন মানেই জি বাংলা করে ফেলছি আমরা :( তার উপর আজকাল অনুষ্ঠানের যা সব নাম। হতাশ লাগে ; সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়েরা কি বিয়ে করবে না তাহলে ?
এসব কারনে অনেক বিবাহ যোগ্য ছেলে মেয়ে কে বলতে শুনি , এ যুগে বিয়ে একটা প্যারা।

আশা করব আপনারা যারা বিয়ে কে প্যারা হিসেবে দেখছেন, আপনাদের হাত ধরেই আমাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে নিজস্ব সংস্কৃতিতে বিয়ে হয়ে উঠুক জীবনের সব চাইতে সুন্দর ও সুখের গল্প , মুহূর্ত।


লেখায় ভালোলাগা।

ও হ্যাঁ নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মনিরা আপু! পোস্টে পেয়ে ভীষন খুশি হলাম।

হাহাহা, একেবারে ঠিক বলেছেন। জীবন মানেই জি বাংলা স্লোগানটিকে অনেকে বেশিই সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়েছে।

হ্যাঁএএএ এক্স্যাক্টলি, আজকাল স্বল্প আয়ের অথবা সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত মানুষদের জন্যে বিয়ে একটি ভয়ের নাম হয়ে গিয়েছে। কেননা মহা ধুমধাম করে অনেক টাকা খরচ করে বিয়ে করতে না পারলে সমাজের অনেকেই খোঁচা দিয়ে কথা বলে। যেন যে কারো বিয়ে নিয়ে কথা বলার অধিকার নিয়েই তারা পৃথিবীতে এসেছেন!

বিয়ে নামক জিনিসটি সত্যিই মহা প্যারা মনে হয়। আশেপাশে যত কাপল দেখি খুব হ্যাপি কজনকে দেখি? দেশে বসবাসরত আত্মীয়দের তো আরো সমস্যা। স্বামী ভালো হলে শ্বাশুড়ি ভালো না অথবা উল্টোটা। বউদের নিয়েও শোনা যায় হাজারো অভিযোগ। আর বিয়ের আগের যা ঝক্কি ঝামেলা তাতো পোস্টে লিখেছিই। কিন্তু সব মানুষ যদি সুন্দর ও সহযোগিতাপূর্ণ মনের হতো, তবে এই একই রীতি কত সুন্দর ও উপভোগ্য হতে পারত!

পাঠ এবং সুন্দর ও মূল্যবান একটি মন্তব্যের জন্যে থ্যাংকস আপু।
ভালো থাকুন।

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




এখানে মহাপুরুষ অপুর উক্তি থাকা জরুরী,

উনি অনেক জ্ঞানী মানুষ । তিনি এইসবের মোহমায়াতে নিজেকে জড়াবেন না । বুদ্ধর মত তিনি শান্তির বানী নিয়ে ব্যস্ত আছেন । তার কাছে দুনিয়ার কিছুই ভাল না । সব কিছুই একটা জাল । এত এত খরচ করে কি হবে । বৎসরা তোমরা মানব কল্যানে কাজ করো । বিয়ে করে কেন জীবন নষ্ট করবে । তার চেয়ে ঈশ্বরের সৃষ্টি দেখে আনন্দ নাও ।


বিয়ে শাদীতে একটু আনন্দ হতেই পারে । তবে এখন সেটা আমার ছাড়িয়ে গিয়েছি । আমার মামার বিয়েতে আমরা কত মজা করেছি সেটা মনে আছে । গ্রামের বিয়ে গুলো আসলেই মজার । আর শহরে এখন শো অফ ছাড়া কিছুই না ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বিয়ে শাদীতে একটু আনন্দ হতেই পারে । তবে এখন সেটা আমার ছাড়িয়ে গিয়েছি ।
একদম লাখ টাকার কথা বলেছেন। বিয়ে একটি আনন্দের মুহূর্ত বর, কনে ও পরিবার পরিজনের জন্যে। সেটা এনজয় করা স্বাভাবিক কিন্তু এনজয় তো করছে না আজকাল কেউ। লোক দেখানো এসব বিকৃত সাজে ও কাজে কেউ কিভাবে মানসিক তৃপ্তি পেতে পারে? আপনি যা বললেন আরকি। সরলতায় ঘেরা বিয়েগুলোই আনন্দময়, শো অফ বিয়ে গুলো শুধু অশান্তি বয়ে আনে। আর গ্রামেও সেই সরলতা আজকাল দেখা যায়না। সেখানেও অপসংস্কৃতি মানুষের মাথা চিবিয়ে খাচ্ছে।

যাই হোক, পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: হঠাৎ বিয়ে নিয়ে সামু পাগলার পাগলামী শুরু হলো ক্যানে!!!!!!!!! ডাল মে কুছ কালা হ্যায়...... ;)

তয় কথা খারাপ বলেন নাই। বিশেষ করে ফরির ন্যায় থুক্কু পরীর মতো মেয়েগুলো যখন মুখে দুই কেজি ময়দা লাগিয়ে ওন্দা বিলাইয়ের মতো বিভৎসভাবে ঘুরঘুর করে তখন মুঞ্চায় কুদাল দিয়ে ছেঁচে ময়দার স্তর নামিয়ে দেই। X(

কিছু বলাও যায় না কারণ নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার দুঃসাহস কে দেখাতে পারে। :(

তয় বিয়ে বাড়িতে একটু হৈ চৈ না হলে তো মরা-বাড়ি মনে হবে এ বিষয়ে সামু পাগলার মতামত কি? /:)

ভালো লাগল ভাবনাটুকু।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা হিহি! শুধু বিয়ে নয়, সমাজের নানা দৃষ্টিকটু নিয়ম রীতি, আচার ব্যবহার, দর্শন ভাবনা দেখে আজকাল সামুপাগলার মাথার তাড় ছিড়ে যাচ্ছে! সেসবের বিরুদ্ধে বলতেই রোস্ট পোস্ট দিয়ে যাচ্ছি।

হাহা, আসলেই আল্লাহ কত সুন্দর করে মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। ছোট চোখ, কালো রং, বেঁটে, বোচা নাক ইত্যাদির মধ্যেও সৌন্দর্য আছে! আমরাই দেখতে ও ভাবতে পারিনা সেভাবে এজন্যে তার সৃষ্টি নিয়ে খেলতে যেয়ে উদ্ভট করে ফেলি নিজেদেরকে।

ব্যাপারটি নারী স্বাধীনতারই শুধু নয়। অনেক নারী এভাবে মেকআপ নিতে চান না, কিন্তু শ্বশুড়বাড়ির মানুষের প্রেশারে নিতে হয়। মেয়েটিকেই বাজে ও হাস্যকর দেখায়, কিন্তু মেয়েটি সবসময় দোষী নয়।

ওমা সেই বিষয়ে মতামত তো পোস্টেই আছে। যেমন আগের পোস্টে লিখেছি নাচ গান হোক, তবে বাড়ির মানুষেরা নিজেদের মধ্যে করুক মনের আনন্দে। কোরিওগ্রাফার এনে লোক দেখানো কার্যক্রম অথবা এই পোস্টের ভিডিওটির মতো অশ্লীল নাচ গান থেকে বিরত থাকা উচিৎ। পাত্র পাত্রী ছবি তুলুক তবে অশালীন অঙ্গভঙ্গিতে নয়। এমনিও যা হচ্ছে আজকাল আনন্দের জন্যে তো হচ্ছে না। ব্যাস লোক দেখানোর জন্যে করে যাচ্ছে। না নিজে খুশি হতে পারছে না অন্যকে খুশি করতে পারছে!

পাঠ ও সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।

১৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৫

সোহানী বলেছেন: তুমি যা বলছো তাতে কেউই দ্বিমত করবে না। কিন্তু এখানে অনেকগুলো কিন্তু আছে। যেমন এর পিছনের লিংক অনেক দূর। মানে শুধু সমাজই নয়, পরিবার, রাষ্ট্র, শিক্ষা, রুচি, কালচার অনেক অনেক কিছু দায়ী। কোনভাবেই এই পরিবর্তন ঠেকাতে পারবে না, এটা রোলিং স্টোন চলতেই থাকবে এবং পরিবর্তন হতেই থাকবে যতক্ষন না বড় কোন ধাক্কা খায়।

ধর, ছোট্ট উদাহরন। আমরা সবাই জানি এ ভারতীয় চ্যানেল আমাদের সমাজ, পরিবার, শিক্ষাকে ধ্বংস করছে। অশিক্ষিতদের কথা বাদ দাও শিক্ষিতরা যে দিনের পর এগুলো হজম করছে তা কিভাবে ঠেকাবা? আমি যখন দেশে কাজ করতাম তখন দেশের স্বনামধন্য হাই অফিসিয়াল বিশেস করে মহিলাদের সাথে কথা হতো। আমি তাজ্জব হয়ে খেয়াল করতাম যেকোন বিভিন্ন প্রোগ্রামে তারা কিভাবে সেসব নাটক ফাটক নিয়ে কথা বলতো, তাদরে ড্রেস আপ নিয়ে কথা বলতো, এমন কি সে সব ড্রেস কেনার জন্য ভারত পর্যন্ত দৈাড়াতো। এখন দেখো, আমি যদি দেখি আমার মা এসব করছে তখন আমিতো তা করবোই!

আমার আন্ডারে একজন মহিলা ডাক্তার ছিল। মাঝে মাঝে আমি তাকে ড্রপ করতাম অফিস থেকে। যতক্ষন গাড়িতে থাকতো ততক্ষন স্টার টিভির সিরিয়াল নিয়ে কথা বলতো। আমি বার বার বলতাম আমি কখনই সেসব চ্যানেল দেখি না তাই নিয়ে কিছুই জানি না। কিন্তু উনি ইনায়ে বিনায়ে মোবাইলে ছবি দেখিয়ে বলতো দেখেন আপু, এই ড্রেসটা মেয়ের জন্য বানিয়েছি অমুক সিরিয়ালের অমুক নায়িকা থেকে... ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা । এখন বলো সে যদি এমন করে তাহলে তার মেয়ের বিয়েতো স্টার টিভির সিরিয়াল এর মতো চাইবেই। সেটাই স্বাভাবিক।

তাই আমি সবসময়ই বলি, এখানে দরকার রাস্ট্রের খবরদারী। রাস্ট্র যদি সেসব চ্যানেল বন্ধ করে তাহলে আমাদের কালচারের অর্ধেক সমস্য কমে যাবে।

সরি, অনেক বড় মন্তব্য করলাম........

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সোহানী আপু! সরি বলেন কেন? মন্তব্য যত বড় হয়, প্রতিমন্তব্যে আলোচনা করে পোস্টের বক্তব্যকে সহযোগিতা করার সুযোগ ততো বেশি থাকে!

এইসব অপসংস্কৃতি নিয়ে আমি আগের পর্বেই ডিটেইলে লিখেছি। আমিও যখন দেশে ছিলাম সিরিয়াল দেখতাম না। তবে কিছু বাংলাদেশী শোয়ের পাশাপাশি আমার মা কিছু ভারতীয় বাংলা নাটক দেখত। মায়ের সাথে আমিও দেখতাম। তখন গল্পনির্ভর সিরিয়াল হতো ওদের, মেকআপ ও বিয়ে সর্বস্ব ছিলনা। হিন্দি সিরিয়ালগুলোর বিষয়ে কিছু না জানার জন্যে আমাকে আমার বান্ধবীরা, আর আমার মাকে বান্ধবীর মায়েরা এলিয়েন মনে করত! কানের কাছে সেসব গল্প পাগলের মতো করেই যেত, আমি বুঝতাম না তবুও! হাহাহা, সিরিয়ালগুলো নেশার মতো সবাইকে আচ্ছন্ন করে রাখে! যত যাই বলেন, কিছু নিশ্চই আছে। কি আছে সেটা নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। :)

এখন রাষ্ট্রও কিছু করতে পারবে বলে মনে হয়না! বেশিরভাগ জায়গায় নেট সুবিধা পৌঁছে গেছে, চ্যানেল না আসলেও একটা এপিসোডও পাগল ভক্তরা মিস করবেনা। নেট যতোই স্লো হোক, হা করে দেখতে থাকবে ধৈর্য্য ধরে! ব্যক্তি সচেতনতা, দেশীয় সুস্থ ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানই হয়ত মুক্তি দিতে পারবে।

অফটপিক: সৈয়দ তাজুল ইসলামের পোস্টে আপনার মন্তব্যের জবাবে কিছু লিখেছি, জানিয়ে রাখলাম।

সুন্দর মন্তব্যটির জন্যে থ্যাংকস এ লট আপু।
এত এত ভালো থাকবেন!

১৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৭

সোহানী বলেছেন: সেখানের মন্তব্যটা আবারো এখানে পেস্ট করলাম ;) ;) ;)

সামুপাগলা: আমি ঠিক সেটাই বলি। ব্যাক্তি জীবনে যাই থাকি না কেন ব্লগ জীবনে দায়িত্বশীলতার পরিচয়ই নিজের ব্যাক্তিত্বকে তুলে ধরে।

দেখো, আমি যদি আমার সত্যিকারের পরিচয় দিয়ে ব্লগিং করি তাহলে কিন্তু অনেক কিছুই লিখতে পারবো না। সেটা প্রফেশনালই বাধাঁ আসবে কিংবা ব্যাক্তি জীবনে বাধাঁ আসবে। সেক্ষেত্রে তুমি অনেক কম বয়স থেকে ব্লগিং শুরু করেছো বলে সেসব থেকে দূরে আছো। তাই অনেক বেশী স্বাধীন লিখার ক্ষেত্রে। কিন্তু ওই যে ম্যাচিউরিটির কথা বল্লাম, সে তোমার অনেক বেশীই। আমি ভাবনার ম্যাচিউরিটির কথা বলছি। তোমার বয়স কত আমি আন্দাজ করতে পারি, ধরো ২০/২১। এই বয়সে এ ধরনের চিন্তা সত্যিই অসাধারন। আমি লিখি এ ধরনের লিখা কারন আমি দেশের রাস্তার রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে কেবিনেট পর্যন্ত পদচারনা ছিল। দেশের এমন কোন সেক্টর নেই আমি কাজ করিনি। তাই গ্যাপগুলো তুলে ধরার চেস্টা করি ব্লগ লিখে।

অনেক অনেক ভালো থাকো.... ব্লগ ছেড়ে যাবে না এবং আমাদের মাঝেই থাকবে এ ই প্রত্যাশা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা থ্যাংকস আপু।

হুমম সুন্দর করে বলেছেন।

আপনার লেখা পড়েই বোঝা যায় যে আপনি নানা সেক্টরে এক্সপেরিয়েন্সড, সেজন্যে দেশের ভালো মন্দ অনেককিছু গভীরে দেখেছেন। দূর্ভাগ্যবশত আমি নিজের দেশের সাথে অতো স্মৃতি গড়ে তোলার সুযোগ পাইনি। কিছুদিন আগে মা কোন আত্মীয়ের সাথে কথা বলছিলেন, অনেকদিন পরে কোনভাবে তাদের যোগাযোগ হয়। আমার ব্যাপারে হয়ত তিনি কিছু জিজ্ঞেস করছিলেন ওপাশ থেকে, মাকে বলতে শুনলাম, "ওতো ছোটবেলা থেকেই বিদেশে, কিন্তু দেশের প্রতি মায়া আছে, অনেকে তো..." আরো অনেক কথা সেসব নাই বলি। মায়ের সেই ছোট থেকেই বিদেশে কথাটি মনে ধক করে লাগল। রিয়ালাইজ করলাম, আরেহ তাইতো! আমার জীবনের কতটুকু সময়ই বা পেলাম স্বদেশে? কতকিছু মিস করেছি আমি! প্রবাসী কমিউনিটি, বাংলা ব্লগ, বাংলা পেপার, বাংলা নাটক সিনেমা বিজ্ঞাপন, গান, ফোন স্কাইপে আত্মীয় স্বজন এসবে আর কতটুকুই বা ছোঁয়া যায়? দূর থেকে হয়ত মনে হতে পারে সবই জানি, এই মুহূর্তে দেশে কোন রাজনৈতিক আলোচনা সবচেয়ে চলছে, কোন খেলায় অনেকে নজর রাখছে, কোন সিনেমা রিসেন্টলি এসেছে ও কেমন ব্যবসা করেছে, কোন কোন ইস্যুগুলো দেশের মানুষকে ভাবাচ্ছে, হাসাচ্ছে, কাঁদাচ্ছে সব জানি আমি। কিন্তু কোথাও একটা এটাও জানি যে এই জানার মধ্যেও অনেক ফাঁক ও শূন্যতা আছে। ম্যাচিউরিটি যা এসেছে সেই শূন্য জায়গা থেকেই এসেছে, আর পূর্ণঅংশগুলো লেখা হয়ে আছে ব্লগের পাতায়।

আপন ভেবে নিজের অনেক কথা বললেন আপু, ভালো লাগল।

নাহ নাহ, সেতো সম্ভবই না। হুটহাট উধাও হতে পারি কোন কারণে, তবে পুরোপুরি ব্লগ ছাড়তে পারবই না। আপনাদেরকে, ব্লগকে অনেক ভালোবাসি যে!

ভীষন ভালো থাকবেন আপু।

১৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৪

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: আপু আমি শুধু নাচের ভিডিওটি দেখলাম।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, আপনার হনেস্টির জন্যে হাততালি দিচ্ছি। অনেকেই পুরো পোস্ট পড়েনা, সময় বা ইচ্ছে যার অভাবেই হোক না কেন। কিন্তু মন্তব্যে সেটা কেউ স্বীকার করেনা, আপনি করতে পেরেছেন সেজন্যে আপনাকে অভিনন্দন।

সকল শুভকামনা!

২০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

গরল বলেছেন: হিন্দি চ্যানেল দেখে দেখে মানুষে রুচি নষ্ট হয়ে গেছে, ছোট বেলায় মেথর পট্টির বিয়েতে যা দেখতাম এখন ভদ্রলোকেরা সেসব করছে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এক্স্যাক্টলি। শিক্ষিত, বনেদী পরিবারগুলোতেও কি পরিমাণ ছ্যবলামি যে ভরে দিয়েছে সোশ্যাল ও টিভি মিডিয়া! বলার নয়!

পাঠ ও উচিৎ মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

২১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

নাসির ইয়ামান বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের প্রথম বিয়েও কিন্তু বাড়াবাড়ির কারণে ভেঙে গিয়েছিলো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.