![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।
মেয়েবেলা! হুমম, একটা সময় পর্যন্ত আনন্দ হৈ হুল্লোড়ে কেটে যায়। তবে শিশুবেলাটি মেয়েবেলায় পরিণত হতে হতে অনেককিছু পরিবর্তিত হয়ে যায়, তখন মনে হয়, ছেলেদের যেমন ছেলেবেলা থাকে, আমাদের মেয়েবেলাও যদি তেমনই হতো! তেমনই কিছু মুহূর্ত নিয়ে পোস্ট!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১) মাঠে খেলা!
তখনো মনে মনে বাচ্চাই আছি। কিশোরি ব্যাপারটা মনে তেমন একটা পরিবর্তন আনেনি। বুঝিইনা সেসব কি! দিব্বি হেসে খেলে দৌড়ে বেড়াচ্ছি।
বড় ছুটিগুলো খুব মজায় কাটত। সকালে কয়েক ঘন্টা হাতের লেখা প্র্যাকটিস, গ্রামার প্র্যাকটিস, ঘড়িতে ১০ টা বাজা মাত্র মায়ের দিকে অনুনয়ের চোখে তাকিয়ে পারমিশন নিয়ে ছুটে যাওয়া কাজিনদের কাছে। দুপুর পর্যন্ত নানা দুষ্টুমি, ছাদের গাছ পালা দিয়ে রান্না রান্না খেলা, কম্পিউটার গেমস খেলা, আর বিকেলে মাঠে যেয়ে ক্রিকেট ফুটবল খেলা। সেসময়ে পাড়ার ছেলেরাও যুক্ত হতো।
কাজিনদের সাথে ডিল থাকত। এক বেলা ওরা আমার সাথে মেয়েদের খেলা খেলবে, আরেক বেলা আমি ওদের সাথে ছেলেদের খেলা খেলব। এই ডিল করে বাইরে বাইরে এমন দেখানো হতো যে আমরা তো পছন্দই করিনা ওপোসিট জেন্ডারের খেলাগুলো খেলতে। বাধ্য হয়ে খেলছি। কিন্তু আসলে আমরা সব রকমের খেলাই মজা করে খেলতাম, শুধু খেলা কেন খুব মজা করে গল্পও করতাম সবাই।
যাই হোক, এই রুটিনে অভ্যস্ত আমি সদ্য কিশোরিবেলার ছুটিতেও বেড়িয়ে গিয়েছি খেলতে। হুট করে জানালা দিয়ে মাকে দেখি ইশারা করে আমাকে ডাকছে। আমি বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে ইশারা করলাম পরে আসছি, মা তারপরে কাজের লোককে দিয়ে ডেকে পাঠাল।
আমি গেলাম ঘরে, ব্যাস সেই শেষ, আর মাঠে যাওয়া হয়নি।
এই ধাড়ী বয়সে আমি কোন সাহস ও বুদ্ধিতে ছেলেদের সাথে খেলতে গেলাম সেটা নিয়ে অনেক বকাঝকা হলো। মা বলল, পাড়ার অন্যকোন মেয়েকে তোর মতো বেড়িয়ে যেতে দেখেছিস? আমি খেয়াল করে দেখলাম, আসলেই তো লাস্ট কয়েকবছর ধরে তো যে দুএকটা মেয়ে মাঠে আসত তারাও আর আসেনা, আমিই একটি মেয়ে ছিলাম পুরো গ্রুপে! লজ্জায় পড়ে গেলাম!
সেদিন রাতে মায়ের বকা ও কথায় লজ্জায় এবং আবারো মাঠে যেতে না পারার দুঃখে খুব খুব কেঁদেছিলাম। আচ্ছা কষ্ট কিসের বেশি ছিল? আমি খেলতে যেতে পারছিনা সেটার? নাকি আমার ছেলে কাজিন, সাথীরা পারছে সেটার?
পরের বিকেলবেলা সবচেয়ে ক্লোজ কাজিনটা ডাকতে এলো, আমি জানালাম যেতে পারবনা।
ও বলল, "হে হে হারার ভয়ে আসেনা।" ও ভেবেছিল ক্ষেপালেই আমি টুপিটা পড়ে চলে আসব।
কিন্তু তেমন কিছুই হলো না দেখে ও খেলতে চলে গেল। জানালা দিয়ে আমি ওদের খেলা দেখতে লাগলাম, আর ওরা বারবার আমাকে ইশারায় যেতে বলল।
কয়েকদিন আমি আসলেই যাচ্ছিনা দেখে ও এক বিকেলে পাশে বসে গলা খাদে নামিয়ে বলল, "কি হয়েছে?"
ওর ছয়ের উচ্চারণটা খুব লাউড হতো, শুদ্ধ ছিলনা উচ্চারণটা। আমার এখনো ওর "কি হয়েছে?" বলাটা স্পষ্ট মনে আছে। কি চিন্তা, দরদ ছিল ওর কন্ঠে! সারাক্ষন আমাকে ক্ষেপিয়ে, জ্বালিয়ে মারা মানুষটা আমার এত কেয়ার করত সেটা সেদিন বুঝলাম!
আমি "কিছু হয়নি" বললাম, ও ভাবল কোনকিছু নিয়ে রাগ করেছি। বেশ অনেকদিন রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা করে করে বুঝে গেল একসময়ে, আমার না বলা উত্তরটি, "আমার মেয়েবেলা হয়েছে!"
২) চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া!
এটা খুব মজার একটা ইচ্ছে। আমি ছোট থেকেই ক্রিকেট ভক্ত। কোন রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে যখন দেখতাম চায়ের দোকানে মানুষজন মজা করে ক্রিকেট দেখতে দেখতে চা খাচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছে, আমারো খুব ইচ্ছে করত! কিন্তু চায়ের দোকানে শুধু নানা বয়সের ছেলেদেরই দেখতাম, কিছু কিছু মেয়ে ফ্লাস্ক নিয়ে আসত চা নিয়ে যেতে। কিন্তু ওখানে বসে ওপেনলি আড্ডা দিতে দেখতাম না।
সমরেশের সাতকাহনে দীপাবলির চায়ের দোকানে চা খাওয়া নিয়ে রীতিমত ঝড় উঠেছিল, প্রতিবাদী মেয়েটি যা পেরেছিল আমি তা কোনভাবেই পারতাম না। মায়ের অন্যসব বকা গায়ে না লাগলেও, মা যখন নিচু স্বরে চোখ বড় বড় করে "ভালো দেখায় না, মেয়েদের সবকিছু মানায় না" ইত্যাদি বলত ভীষন একটা লজ্জায় কুঁকড়ে যেতাম। মায়ের সেই একেকটি বাক্য কত হাজার বাক্য যে লুকিয়ে থাকত! সেকারণে আমার জন্যে যে দেওয়াল পরিবার, সমাজ তুলেছিল, আমি নিজেকে তারচেয়েও ছোট চার দেওয়ালে বন্দি করতে শুরু করে দেই, যেন লজ্জায় পড়ার কোন আশংকাই না থাকে!
আমি চারিপাশ খেয়াল করে বোঝার চেষ্টা করতাম কোন কোন কাজগুলো অন্য মেয়েরা করছেনা, সেগুলো নিজেও করতাম না, কিন্তু কোনকিছুতে বাঁধা থাকলে সেসব কাজ করার ইচ্ছেটা বেড়ে যায়। লাভের লাভ কিছুই হতো না, "ছেলে হলে কত ভালো হত" টাইপ ভাবনা আসত মাথায়!
৩) বৃষ্টিতে ভেজা - মুক্তি!
হুমায়ুন স্যারের একটি কথা পড়েছিলাম বহু আগে। সেটি ছিল, "মেয়েদের মেয়েবেলা থাকেনা। দশ বছর বয়স থেকেই তাদের নিজেকে রক্ষা করে চলতে হয়।"
একবার কাজিনরা সবাই মিলে বৃষ্টিতে ভিজছি ছাদে। মা খালা একটু পরে নিতে এলো, পরীক্ষা পরীক্ষা, জ্বর চলে আসবে ইত্যাদি বলে। আমরা তাদের কথা তো শুনলাম ই না, উল্টো তাদেরকেও টেনে নিলাম! তারা একটু রাগ দেখালেও বৃষ্টির স্পর্শে সব ভুলে গেল মনে হয়! আমাদেরকে ঘরে ফিরতে বললেও, তাদেরই পা যেন নড়ছিল না কোমল, শীতল জলের স্পর্শ পেয়ে! প্রশয়সূচক বকা দিচ্ছিলেন আমাদের, এবং হয়ত নিজেদের ছোটবেলা মনে করছিলেন আমাদেরকে দেখে! আমরাও মহা আনন্দে ভিজে যাচ্ছিলাম। লাফালাফি, নাচানাচি, বৃষ্টির ছড়া সবই চলছিল।
আমার জীবনের খুব সুন্দর মুহূর্তগুলোর একটা ছিল সেটা নি:সন্দেহে। নানা কারণে আপনজনদের সাথে বেশি সময় আমি পাইনি জীবনে, যেটুকু পেয়েছি সেটুকু চোখে বসিয়ে নিয়েছি, মাঝেমাঝে মনে করে আবারো আনন্দের বৃষ্টিতে ভিজে যাই!
যাই হোক, এভাবে কিছুক্ষন চলার পরে হুট করে খালা অন্যরকম গলায় চিল্লিয়ে উঠল, "চল সবাই, এতক্ষন ধরে বলছি কারো কানে যাচ্ছেনা? বেয়াদব হয়ে গেছে সব।" এভাবে খালা কখনো বকত না, বকলেও আল্লাদ করে বকত। সেই তিনি আমার দুজন কাজিনকে তো একেবারে টেনে হাত ধরে নিয়ে গেল, আমাদেরকেও গরম চোখ দিয়ে ইশারা করল নিচে যাবার। আমার মাও তাই করল। আমি পুরো হতবাক হয়ে গেলাম, একটু আগেই তো এই দুজন সিনেমার হিরোইনদের মতো মিষ্টি হাসিতে বৃষ্টিতে দাড়িয়ে ছিল। হুট করে কি হলো?
আমরা কয়েকজন কাজিন মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম। সবাই গোসল করে ভেজা জামা পাল্টে গোল টেবিল থুক্কু গোল কার্পেট বৈঠকে বসলাম। ড্রয়িং রুমের কার্পেটের ওপরে গোল হয়ে বসে ফিসফিসানি শুরু হলো। আমাদের কাজের আপুটা (সেও ভিজতে গিয়েছিল আমাদের সাথে) বলল, "আমি কিন্তু বুঝছি আফা, তয় কইতে পারুম না!" তাকে অনেক জোড়াজুড়ি করার পরে যেটা বের হলো সেটা হলো, পাশের বাড়ির জানালায় দাড়িয়ে থাকা এক লোক নাকি আমাদের দিকে "কিরাম নজরে" তাকিয়ে ছিল।
আমি তখন "কিরাম নজর" বিষয়টি বুঝতাম না, তবে এটুকু বুঝতাম যে বাবা, টিচার, ডাক্তার, আত্মীয় ছাড়া অন্যকোন পুরুষ খারাপ কারণেই তাকায়। এটা একটা নোংরা ব্যাপার। খালার বকার ঢংয়েও বুঝতে পারছি, সেই "কিরামটা" ভীষন খারাপ কিছুই ছিল। সেই লোকের রাগটাই আমাদের ওপরে ঝেড়েছিলেন তিনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে শরীরে কেমন যেন ঘেন্না ঘেন্না লাগল। মনে হলো একটা পাপ হয়েছে, কিছু না জেনে বুঝেও সেই পাপের অংশ হয়ে গিয়েছি আমি, আমরা!
এরপর থেকে বৃষ্টিতে ভেজা সহ যেকোন প্রকার আনন্দের ব্যাপারে "রয়ে সয়ে" চলতে হবে, বেশি উচ্ছলতা দেখানো যাবেনা সেটা সবাই বুঝে গিয়েছিলাম। কেননা আপেলকে চাকুর ওপরে রাখা হোক অথবা চাকুকে আপেলের ওপরে, কাটতে তো আপেলকেই হয়!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
হুমম, আমি জানি যে পুরুষেরও নিজস্ব সংঘাত আছে। তাদের জীবনটাও বেড অফ রোজেস না। আর সবকিছুতে নারী পুরুষ একেবারে সমান সমান হতে পারেনা। কিন্তু অনেক বৈষম্য আমরা এবসুলেটলি ফর নাথিং তৈরি করেছি। সেসব বৈষম্য একজন মেয়ের আত্মসম্মানবোধকে ছোট থেকেই মেরে ফেলে। আর ছেলেদের মনেও একধরণের হাইয়ার অথোরিটি টাইপ ভাব গেঁথে দেয় ছোট থেকেই। মেয়েদের অনেক আগেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তুমি মেয়ে, এই অপরাধে তোমাকেই বেশি দায়িত্ব নিতে হবে, কেউ যদি তোমার দিকে খারাপ চোখে তাকায় তোমার দোষ, কেউ তোমাকে নিয়ে বাজে কথা বললে তোমার দোষ। সবকিছুতেই তোমার দোষ। ভুল তোমার তরফ থেকে হলে তোমার দোষ, ভুল সামনের তরফ থেকে না হলেও তোমার দোষ কেননা তুমি ঠিক থাকলে তো ছেলেটি ভুল করত না!! তোমার ভুলগুলো পাপ, আর পুরুষের পাপগুলো ভুল! হাহা।
যদিও দেশীয় সমাজ অনেক পাল্টেছে, লিস্টে যা লিখেছি তার মধ্য দিয়ে হয়ত আজকালকার নব্য কিশোরিরা যাচ্ছেনা, অথবা যাচ্ছে অনেকক্ষেত্রেই!
তাই আমি এই পোস্টে পুরুষ ব্লগারদের পাশাপাশি নারী ব্লগারদের মূল্যবান মন্তব্য চাই। একেক পরিবারের নিয়মনীতি একেকরকম। কেমন ছিল আপনাদের মেয়েবেলা? কোন বৈষম্য কি ফেস করেছেন? নাকি করেননি? সেসব কি আপনার বড়বেলার ওপরে ছোট বড়, ভালো মন্দ কোন প্রভাব ফেলেছে?
লেটস গেট ইনটু এন ওপেন, হনেস্ট ডিসকাশন। তাহলে আমাদের সামনের জেনারেশনটা অন্তত ছেলেবেলার মতোই একটা মেয়েবেলা পাবে!
ছবিসূত্র: অন্তর্জাল!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ ও প্রথম মন্তব্যটিতে উৎসাহ দিয়ে যাবার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১০
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস এ লট ভাই!
শুভেচ্ছা!
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪১
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ছেলেবেলা/মেয়েবেলা কথাটা কেন জানি আমার খুব অপছন্দ। ওটাতে কেমন একটা লিঙ্গ বৈষম্যের ছাপ। তার চেয়ে "শৈশবের/কৈশরের দিনগুলি" কথাটা কি সুন্দর!
অর্ধেক পড়েছি। মজার ঘটনা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমারো অপছন্দ। শব্দ আলাদা হলেও যদি দুটি বেলাই একই রকম সুযোগ সুবিধায় কেটে যেত তবে হয়ত আমার অপছন্দ হতোনা।
মজা করে অবশ্য পোস্টটি লেখা হয়নি, টপিকটি সিরিয়াস।
আপনার হনেস্টি ভালো লাগে, না পড়ে বা অল্প পড়ে সবটুকু পড়ার ভান নিয়ে মন্তব্য করেন না। সময় করে শেষটুকুও পড়বেন আশা করি।
যাই হোক, পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৩
প্রামানিক বলেছেন: মেয়েবেলার বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৯
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মোস্ট ওয়েলকাম, আপনাকেও ধন্যবাদ। এক লাইনে পোস্টের মূল বক্তব্যই যেন তুলে ধরলেন।
ভালো থাকুন প্রামানিক ভাই।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৩
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৬
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করে এসেছি!
থ্যাংক এ লটটট!
৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
এখন মাঠ নাই । তবে চায়ের দোকান আছে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়ের দোকানে সবাই এক সাথে বসেই চা খায় । ধোয়ার লাঠিও খায় । আমি খাই না । তবে চা খাই । এইটা বন্ধুরা মিলে খাওয়ার মাঝে আনন্দই আলাদা ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাচ্চারা মাঠ পাচ্ছে না এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে?
হুমম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং তার আশেপাশের এলাকার ব্যাপার আলাদা। আমি পাড়ার চায়ের দোকানগুলোর কথা বলছিলাম।
পাঠ ও সুন্দর একটি মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!
৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সমাজে মেয়েরা বড় হতে থাকলে একটা অদৃশ্য দেয়াল তুলে দেওয়া হয়....
আমার কাছে ছেলেবেলা, মেয়েবেলা নয় শৈশব আর কৈশোরই ঠিক মনে হয়....
প্রত্যেক মানুষেরই একটা স্বাভাবিক শৈশব বা কৈশোরের দরকার....
যেখানে ছেলে বা মেয়ে বলে কোনো ভেদাভেদ গ্রহণযোগ্য নয়....
এটা ঠিক যে ছেলেদের কাছে মেয়েদের শারীরিক গঠন বা মানসিক অবস্থা ভিন্ন..
তবে উল্টোটাও ঠিক....
তাই নিরাপদ উচ্ছল কৈশোরই কাম্য....
তবে যাই বলো বৃষ্টি ভেজা মেয়েদের দেখতে পরীর মতো
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২২
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। দেওয়ালটি আসলে অদৃশ্যও নয়, কঠিন ইটের দেওয়ালটি খুব বাজেভাবে দৃশ্যমান!
খুব সুন্দর করে লিখেছেন। সহমত অবশ্যই। হেসে খেলে বেড়ে ওঠার অধিকার সকল শিশুর আছে, সেখানে জাত পাত, গায়ের রং, ধর্ম, আর্থিক অবস্থা - কোনকিছুই বাধা হওয়া উচিৎ না!
এতদূর তো ঠিকই ছিল, শেষে আবার কি বললেন? পরীদের দিকে তাকালে, শেষে পরীদেরই পাখা কেটে ফেলা হয়!
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সমরেশ মজুমদারের কালবেলা সিরিজ পড়েছ????
অনিমেষের শৈশব, কৈশোর, যৌবনের কথা ফুটে উঠেছে চারটি উপন্যাসের ঐ সিরিজে....
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নারে সেটা পড়া হয়নি। তবে শুনে লোভ হচ্ছে, দেশে গেলে কেনার চেষ্টা করব।
৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক নিপুণ তার সাথে মেয়েবেলার বাস্তবতা একেঁছেন যা আমাদের ছোট্টবেলায় দেখেছি মিস করতাম তাদের যাদের সাথে বড় হতে শরু করেছিলাম ওরা যখন দল ত্যাগ করতো তখন প্রথম প্রথম হয়তো বুঝতামনা ওদের অনুপস্থিতির কারণ পরে ঠিকি বুঝতে পারতাম।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয়কে টেনে এনেছেন। মেয়েদের প্রতি বৈষম্য কিন্তু ছেলেদেরকেও ভোগায়! তাদেরকেও কষ্ট দেয়!
সুস্থ, সুখী সমাজের জন্যে তাই সমতার ওপরে কোন কথা নেই।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্যে থ্যাংকস এ লট।
ভালো থাকবেন সুজন ভাই।
১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই লেখায় ফিরব ......
সময় নিয়ে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মনি আপু, অবশ্যই, আমিও তাই চাই। এই পোস্টে সময় নিয়ে নিজের মূল্যবান মতামতটি রেখে যাবেন।
শুভকামনা!
১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ওরে বোন ওটা বান্ধবীদের জন্য বলা
ওটুকু মাইন্ড ডাইভার্সন এর জন্য দেওয়া....
যখন চারপাশে যা বলা হয় বা করা হয় তার একটা প্রভাব পড়ে কথায়, লেখায়.....
এটার থেকে সহজে রক্ষা নেই.....
এর প্রভাব তোমার উপর টেস্ট করলাম
নেভার মাইন্ড কিউট গার্ল
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওরে ভাই যার জন্যেই বলেন না কেন আমি খোঁচা মারবই।
এহ শিক্ষক হয়েছেন আমার! টেস্ট করে বেড়াচ্ছেন! আপনার টেস্টের গুষ্টি কিলাই!
কিউট গার্ল আমাকে বললেন? বলে থাকলে উচিৎ ও সত্য বলেছেন। হাহাহা!
১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৬
ম্যাড ফর সামু বলেছেন: ছেলে হবার সুবাদেও আমাকে অনেক বাধা-বিপত্তির মুখে পার করতে হয়েছিল আমার ছেলেবেলা। আপনার মেয়েবেলা'র গল্টাও হৃদয় ছুঁয়ে গেল। আসলে এ সব আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থার একটা রূপমাত্র। এ নিয়ে এখন আক্ষেপ না করে বরং যা আপনি নিজে পাননি তা আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তুলে রাখুন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এখন আক্ষেপ না করে বরং যা আপনি নিজে পাননি তা আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তুলে রাখুন।
ব্লগে লিখে লিখে তারই ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস করছি।
ধন্যবাদ গোছালো মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা!
১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আহারে.... কিউটরা খোঁচা মারলে সেই লাগে
সবাই সবার শিক্ষক
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহাহা পারেনও আপনি মজা করতে!
নাহ নেই না, ফাজিল শিক্ষক নেইনা!
১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার বিশ্বাস ছেলেবেলা/-মেয়েবেলা একটা নিদৃষ্ট বয়সের পরে
আর থাকেনা। কৈশর/যৌবন সময়টা থাকে টালমাটাল
এসময়টা সবাইকেই খুব সচেতনভাবে অতিক্রম করতে
হয়। ইসলাম ধর্ম আমাদের খুব সুন্দর একটা বিধান দিয়েছে।
এই বিধান পরিপূণভাবে পালন করতে পারলে ছেলেবেলা -মেয়েবেলার
ক্ষেদ দূরীভূত হবে।
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু মূসা আল আশয়ারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস থেকেও এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণিত আছে।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন: ‘প্রত্যেক চোখ যেনা করে। মেয়েলোক যখন সুগন্ধি মেখে কোন মজলিশের পাশ অতিক্রম করে, সেও যেনাকারিণী”। (আবু দাউদ ও তিরমিযী)
মহান আল্লাহ্ সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। মানব সমাজে এ পরম আকর্ষণের প্রতি ইসলাম বিধি-নিষেধ আরোপ করে সৌন্দর্য চর্চার একটি মাপকাঠি রচনা করে দেয় যাতে ভারসাম্যপূর্ণভাবে তার চর্চা হয় ও অশ্লীলতার কারণ না হয়ে যায়। তাই প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর কর্তব্য হলো, সৌন্দর্য চর্চাকে স্বীয় স্বামী ও মহিলা অঙ্গন পর্যন্ত সীমিত রাখা। মুহরিম ব্যক্তিদের পর্যন্ত তা সম্প্রসারিত করা দোষণীয় নয়। এছাড়া অন্যদের সামনে সাজ-গোজের কোন মূল্য নেই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মন্তব্য করেছেন। তাতে কোন সমস্যা নেই, ধরে নিলাম ছেলে মেয়েকে আলাদা রাখা হলো, পর্দার মধ্যে রাখা হলো।
সেইক্ষেত্রেও সকল সুযোগ সুবিধা থাকা উচিৎ ছেলে ও মেয়ে শিশুদের। দরকার হলে আলাদা আলাদা খেলার মাঠ, বেড়াতে যাবার জায়গা, আড্ডা দেবার বা সোশালাইজ করার জায়গা ইত্যাদি। সমাজে শালীনতা ও পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব শুধু মেয়েদেরই নয় যে তারাই সব বলিদান দিয়ে বাড়িতে বসে থাকবে। আল্লাহর সৃষ্টি মুক্ত বাতাস, নীল আকাশের ওপরে অধিকার তো শুধু একপক্ষের হতে পারেনা।
পাঠ ও গোছালো মতামত প্রদানে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!
১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০০
মুক্তা নীল বলেছেন: মেয়েবেলা!!! মেয়েদের কোন বেলায় বৈষম্যতা নেই, বলতে পারেন?
মেয়েবেলা, কৈশোরে, যৌবনে এমনকি বৃদ্ধ বয়সে? আপনার আজকের লেখার বিষয় বস্তুু পড়ে মনটা আনন্দে ভরে গেলো ।
"তোমার ভুলগুলো পাপ, আর পুরুষের পাপগুলো ভুল --এ-ই কথাই তো আমাদের দেশের/সমাজের মূলমন্ত্র। ঘুরে ফিরে এক কথাই।
আমার বোনছিলো ভীষন ঘরকুনো,আর আমি ছিলাম ঘুরুনি। বাইরের খেলা ধুলা পছন্দ কি যে ভালো লাগা, কিন্তু ঐ যে ঘরে দুই পুলিশ মা আর বড় বোন। ( মনে করিয়ে দিলেন অতীত)।
আপনার বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার স্মৃতি, আমাকে আমার কৈশোরে নিয়ে গেলো সেই বাসার ছাদে ।
আপনি তো দেখছি আমার মতো দীপাবলীকে পছন্দ করেন। ন হন্যতের
মৈত্রীয় দেবীও আমার ভীষন পছন্দের ।
আপনি মেয়েবেলা লিখেছেন অনেক মনোযোগ দিয়ে । অনেক সূক্ষ বিষয় দারুণ ভাবে বিশ্লেষণ দিয়েছেন । সেজন্যে আপনাকে আমার একদম মন থেকে ভালবাসা জানালাম । শুভ রাত্রি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জোশ একটি মন্তব্য করেছেন! থ্যাংকস এ লট আপু!
হাহা তা যা বলেছেন, মেয়েদের সকল বেলাতেই বৈষম্য। শৈশবের বৈষম্যগুলো দেখে ছেলেদের মাথায় ঢুকে যায় যে এটাই তো স্বাভাবিক, জীবনের পুরোটা সময় তো এরা বৈষম্য সহ্য করেই যাবে। ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ, স্বামীর নানরূপ মানসিক শারিরীক নির্যাতন- ইত্যাদির দুঃসাহস একজন পুরুষ কোথা থেকে পায় বলুন তো? সেই ছোট থেকে দেখে দেখে তারা বুঝে যায় যে সমাজ পরিবার যেকোন কিছুতে তাদের পাশে থাকবে, তারা অন্যায় করলে সমস্যা হবেনা!
ওহ আচ্ছা! আমার মতো একই রকম অভিজ্ঞতা আপনারও।
দীপাবলি ইস জাস্ট এন ইনসপিরিশন! শি ইজ অসাম! সে আমার জন্যে শুধু একটি কাল্পনিক চরিত্র নয়! তার মতো হাজারটি দীপাবলির আলোয় সমাজ আলোকিত হয়ে উঠুক!
আপনার জন্যেও অনেক ভালোবাসা রইল।
শুভ হোক আপনার প্রতিটি বেলা!
১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:১৩
ল বলেছেন:
যুগ বদলেছে সাথে মেয়েবেলার মধুরতা ---
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মেয়েবেলা কি কোন যুগেই মধুর ছিল? হয়েছে?
ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভকামনা!
১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সবার ছোট্ট বেলাই অনেক মজার। এতে কোন খারাপ কিছু নেই। সবাই খুব মজা করে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সাজ্জাদ ভাইয়া, পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
মন্তব্যটি কেমন যেন লাগল, পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে মেলাতে পারলাম না। আমিই হয়ত বুঝতে পারিনি।
শুভেচ্ছা!
১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুবই সেনসিটিভ এবং গুরুত্বপূর্ন টপিক নিয়ে আজকে সখির উপস্থাপনা।
যদিও গড়পরতা চলমান ধারনা আর সত্য যোজন যোজন দূরের, কিন্তু চর্চা এবং অভ্যস্ততায় আমরা তাকেই বিধান বলে মেনে অভ্যস্ত।তা যেমন জীবন যাপনের ক্ষেত্রে, তেমনি ধর্মীয় বিশ্বাসে!
আর এর মূল কারণ হল জ্ঞান। মাত্রাভিন্নতায় যার যার দৃষ্টিকোন থেকে সেই সবচে সঠিক -এই কূপমন্ডুকতায় সকলেই সুদৃঢ়।
নিজের আপেক্ষিক সীমাবদ্ধতাটা আর কারো চোখেই পড়ে না। জ্ঞানের এবং সত্যের উন্মুক্ত মহাপ্রান্তর শুন্য পড়ে রয়।
নারী পুরুষ বা নারীত্ব পুরুষত্ব নিয়ে আমাদের প্রচলিত ভুল জ্ঞানই এর একটা মৌলিক কারণ । তাই একটু পেছন থেকেই আলোচনায় আসি।
নারী পুরুষ বাহ্য শারিরীক গঠনে সহজে দৃশ্যমান। আমরা সহজেই নারী পুরুষ চিহ্ণিত করি। কিন্তু প্রকৃত নারী পুরুষের সঙ্গা ভিন্ন।
প্রকৃত সাধকগণ পরমাত্মা/রুহের দুটি গুণ জ্ঞান ও বিবেককে সুমতি নারী এবং জীবাত্মা (নফসের) ষড়রিপু বা ছয় কুরিপুকে কুমতি নারী হিসাবে বিবেচনা করে থাকে। নিজ দেহে অবস্থিত সুমতি নারী এবং কুমতি নারীকে চিনা জানা করতে হবে। কুমতি নারীত্বকে তালাক না দিয়ে কুমতি নারীত্বকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করে সুমতি নারীত্বে পরিনত করতে হবে।
জ্ঞান ও বিবেক দ্বারা জীবাত্মা/নফস/মন/জীবনীশক্তি পরিচালিত হলে কালবে সতভাবের(সতগুন) উদয় হয় এবং মন সর্বদা ভালো কাজে ধাবিত হয় -এটাই প্রকৃত পুরুষত্ব!
এটা অর্জন কারীরাই প্রকৃত পুরুষ। মহান পুরুষ! তা বাহ্য দেহধারী নারীও অর্জন করতে পারেন। যেমন রাবেয়া বসরি!
অপরদিকে নফসের ষড়রিপু (কুমতি নারী) তার দশ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে রুহের জ্ঞান ও বিবেককে (সুমতি নারী) পরাজিত করতে পারলে, মানব মনে সর্বদা রাজসিক ভাব (রজ:গুণ) এবং তামসিক ভাব (তমগুণ) বিরাজ করে । ফলে মানুষ খারাপ চিন্তা, খারাপ কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না এবং মন সর্বদা দুনিয়ার রঙ্গিন আবেদনের দিকে ছুটে চলে, কামনা বাসনার মোহ সাগরে ডুবে থাকে। নাড়ী'র টানেই সে চলে নারী। যে কোন বিষয়োপরি মোহাচ্ছন্নতা, আসক্ততাই হল নারীত্ব। তা দেহগত আকৃতির পুরুষ হোক বা নারী- সেই নারী!
যে জন্য মহান সাধক গণ বলেছেন ড এ শুন্য র নাড়ী মানে নিজের ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রনের সাধনা করতে, কিন্তু ভক্তবৃন্দ বা সাধারন মানুষ অজ্ঞনতায় ব-এ শূন্য র নারীতে জ্ঞানহীন ডুবে আরো অধো:পাতে হারিয়ে যাচ্ছে। আরোপিত বিধি বিধানে নারীকে আবদ্ধ করতে চাইছে।
আপাত অপ্রসাংগিক মনে হলেও এ সংগা টুকু আলোচনা করলাম এ জন্যে যে জানার সীমাবদ্ধাতই জীবনের বোধ চেতনা নির্মানের প্রধান অন্তরায়। আমি যদি পূর্ন জ্ঞান অর্জন করতে পারি আমার চেতনা, দৃষ্টি ভঙ্গি পূর্ন রুপে বিকশিত হয়। আমি মুক্ত মনে সুন্দর সিদ্ধান্ত গুলো গ্রহণ করতে পারি আত্ম বিশ্বাসের সাথে দৃঢ়তায়।।
যেহেতু আমাদের সমাজে নরী নিয়ন্ত্রনের ধর্মাস্ত্র অস্ত্র সবচে বেশী ব্যবহৃত হয়। তাই ধর্মীয়লোজি গভীর ভাবে জানাতেই তা থেকে মুক্তির পথ মিলতে পারে। ইসলাম কত সুন্দর মহত এবং মর্যাদায় নারীকে অনুভব করতে বললো, আর আমরা তারই নাম নিয়ে নারীকে প্যাকেটজাত পণ্য বানিয়ে মূলত সেই আইয়ামে জাহেলিয়াতের পথেই চলছি। প্রথমত নারীর মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করে। ২য়ত এই অবদমন আরোপের ফলে মূলত যেই ভোগ, লিপ্সা এবং অবাধ জীবন যাপনে আইয়ামে জাহেলিয়া সত্যি বিরাজ করে তার দিকেই সেই বন্ধী নারীদের প্ররোচিত করছি- মুক্তির নামে। নিরন্তর প্যাকেটজাত থাকতে থাকতে তারা ঐ খোলামেলা জীবনকেই স্বাধীনতা বা মুক্তি ভাবছে। এর দায়ও কথিত অজ্ঞান ধর্মগুরুদের।
অথচ আল্লাহর রাসুল সা: কত বাস্তববাদীতায় চর্চায় নারীর খেলধূলা সহ মৌলিক বিকাশের চর্চা, তা করে দেখিয়ে গেছেন।
হুজুরের প্রায় ওয়াজে বলে থাকেন- নবীজি মা আয়েশাকে নিয়ে রাতের বেলা চাঁদের আলোতে প্রকৃতিতে দৌড়াদৌড়ি খেলতেন।
ভাবা যায়- আমাদের কোন হুজুর তার স্ত্রীকে খুশি করতে মাঠে দৌড়াচ্ছেন?
অথচ এটাই সত্যিকারের ইসলাম। স্ত্রীর সন্তুষ্টির জন্য তার ইচ্ছের মূল্য দিতে কত বড় উদার মনের হতে হয় তার শিক্ষা।
আরেকটা ভুল করেন হুজুরেরা- মনে করেন এই কাজটা রাতের আঁধারে বা গোপনেই করতে হয় বুঝি! বর্ণনায় রাত থাকার কারণে। এবং নারীকে বন্দী করতে আরেক প্রস্থ কাপড় চড়ানোর অযুহাত খুঁজে নেন। অথচ সহজেই বোঝা যায় আরবের তপ্ত মরুতে পাগলেও দিনের বেলা খেলতে বেরুয় না। রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে গেলেই তা সহজ। যা বর্তমান আরবের জীবন যাপনেও দৃশ্যমান।
অথচ এই ভূল অনুভবের কারণে কত লক্ষ কোটি নারীর নারী জীবন অভিশপ্ত হয়েই শেষ হয়। জোরে হাসা যাবেনা। দৌড়ানে যাবে না। খেলধূলা করা যাবে না। এমনই কঠিন শৃংখলিত জীবন!
অথচ যা বাস্তবতার, সুন্নাতের পুরোই উল্টো। জ্ঞানের একপেশে অনুভব বা অজ্ঞানতার কারনেই।
নারী পুরুষ নয় একজন মানুষের স্বাভাবিক বিকাশের সকল পথই উন্মুক্ত ইসলামে। কিন্তু আমাদের ভূলে আমরা নিজেদেরতো বৃত্তাবদ্ধ করছিই ইসলামকেও বদনামের ভাগী করছি অন্ধ ধর্ম! ব্যকডেটেড ধর্ম, নারী স্বাধীনতা বিরোধী ধর্ম বলে। অথচ সবচে বেশী নারীর ইজ্জত এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার হুকুম দিয়েছে যে ধর্ম।
তাই মেয়ে বেলাগুলো দু:সহ স্মৃতি হয়ে এবং একটি স্বত্তার অবগুন্ঠিত হবার কাল হয়ে স্মৃতিময় এবং আজো চলমান। একমাত্র জ্ঞানই পারে এ দুর্দশা থেকে নারীকে, মানুষকে মুক্তি দিতে। পুথিগত নয়, আত্মার জ্ঞান, সত্য জ্ঞান অন্বেষায় দৃঢ়তায় চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। নিজে, পরিবারে। তবেই বদলাবে মানুষ, পরিবার, সমাজ।
আর কোন মেয়ে, মেয়েবেলা নিয়ে লিখবেনা এমন কষ্টের সাতকহান।
মেয়ে বেলা হবে মানুষ হবার মুক্ত বিহঙ্গের মতো আত্মায় স্বত্তায় বিকশিত হবার মাহেন্দ্র ক্ষন।
সেই মধুময় স্মৃতি সারা জীবন স্বার্ণালী অনুপ্রেরণা হয়ে জীবনকে সাজাবে নিত্য।
অনেক লম্বা হয়ে গেল মন্তব্য। দু:খিত সখি, আশা করি মূলবক্তব্যটা বোঝাতে পেরেছি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা
আর জনমের মেয়েবেলা হোক সুন্দর সুবর্ন অনন্যা
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা এ কি করেছেন সখা! মূল পোস্টের চেয়ে কয়েকশ গুণ দামী আপনার এই মন্তব্য! অ সা ধা র ণ!
যদিও গড়পরতা চলমান ধারনা আর সত্য যোজন যোজন দূরের, কিন্তু চর্চা এবং অভ্যস্ততায় আমরা তাকেই বিধান বলে মেনে অভ্যস্ত।
এরচেয়ে সুন্দর করে বিষয়টিকে বলা যেত কিনা আমি জানিনা।
কারণ জ্ঞান নয় সখা, বরং তার অভাব! হাহা।
অপ্রসাংগিক একেবারেই মনে হয়নি। বরং একটি মূল ভাবনাকে ধরে নানামুখী ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে আপনার কথাগুলো।
প্রতি ধর্মেই নারী ও পুরুষের অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে বলা হয়েছে নিশ্চই। নিজের ধর্মেরটা স্বাভাবিকভাবেই বেশি জানি। নারীকে পণ্যের মতো বিক্রি হবার হাত থেকে বাঁচাতে, তার সম্মান ও সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসলামে রয়েছে নানা বিধান। নবী রাসূলেরা করেছেন নানা যুদ্ধ। কিন্তু কিছু সুবিধাবাদী ধর্মান্ধ ব্যক্তি হাইলাইট করছে নারীর দায়িত্ব এবং পুরুষের অধিকারকে। নারীর অধিকার ও পুরুষের দায়িত্বগুলোকে চতুরতার সাথে এড়িয়ে ধর্মকে ছোট করেছে। শেম অন দেম।
আপনি যে গল্পটি শেয়ার করলেন সেটা জানা ছিলনা। সত্যিই নবী রাসূলেরা কত ভালো সন্তান ও স্বামী ছিলেন! এসবই তো ইসলামী জীবনের অংশ।
আপনার এই মন্তব্য পোস্টের মূল্য বাড়িয়েছে কয়েকগুণ! আপনি সরি বলছেন কেন? আমি ভীষনরকম কৃতজ্ঞ। কতকিছু যে শেখার আছে আপনার কাছ থেকে! নানা বিষয়ে কত জ্ঞান ও দর্শন আপনার! সত্যিই অবাক হয়ে যাই মুগ্ধতায়।
হুমম সকল শিশু ও কিশোরদেরই সুস্থ সুখী জীবন নিশ্চিত হোক।
ভালো থাকুন সখা। এভাবেই জ্ঞানের গুণের আলো ছড়াতে থাকুন।
১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৩
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ইয়াং লেডি,
(আমার এখনো ওর "কি হয়েছে?" বলাটা স্পষ্ট মনে আছে। কি চিন্তা, দরদ ছিল ওর কন্ঠে! সারাক্ষন আমাকে ক্ষেপিয়ে, জ্বালিয়ে মারা মানুষটা আমার এত কেয়ার করত সেটা সেদিন বুঝলাম!)
লাইনটা পড়ে হাসি পেয়েছিল, তাই মজার কথা বলেছি(প্রথম মন্তব্যে)।
এবার পুরোটা পড়েছি। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ছেলে মেয়ের মধ্যে বৈষম্য ছিল, আছে, হয়তো থাকবেও। তবে সামনের দিনগুলোতে এর পরিমনটা কমে যাবে। ছেলে বা মেয়ে নয়, সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখলেই সমস্যাগুলো মিটে যায়।
[ আমি এই পোস্টে পুরুষ ব্লগারদের পাশাপাশি নারী ব্লগারদের মূল্যবান মন্তব্য চাই ]
বিজ্ঞপ্তি টানিয়েকী হবে!! আপু ব্লগাররা যা হিংসুক!!!
ভিগুদার মন্তব্যে আমি পুরাই ক্র্যাশড্।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেই লাইনটিও একটি আবেগের জায়গা থেকেই লিখেছিলাম। একজন নারীর প্রতি বৈষম্য পুরুষকেও অস্থিরতা ও অশান্তিতে ফেলে দেয়, সেটাই প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম।
হুমমম, আমারো মনে হয় সামনে এটা কমতে কমতে শূন্যতে যাবে। দামী কথা লিখেছেন, সবার ওপরে মানুষ, এত বিভেদ সবাইকে শুধু অসুখীই করে গিয়েছে যুগে যুগে।
ওমা এ আবার কি কথা! নানা পোস্টের মতো এই পোস্টেও বেশকিছু নারী ব্লগার সুন্দর ও মূল্যবান মতামত রেখেছেন। কিসব যে বলেন!
হুমম আমিও! অসাধারণ একটি মন্তব্য করেছেন উনি!
আপনাকে ধন্যবাদ আবারো এসে মন্তব্য করায়।
ভালো থাকুন।
২০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলেই মেয়েদের মেয়ে বেলা শুরু হয়ে গেলে সমাজ ,সংসার সবাই তাকে বন্দী করে রাখতে চায় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে।
সে এক অব্যক্ত অধ্যায় নারীর জীবনে।
প্রথাভাঙ্গা দীপাবলিকে মনে করিয়ে দিলেন। সমরেশের দারুণ সৃষ্টি দীপাবলি আজও মনে গেথে আছে সেই চা বাগান আর তার জীবন যুদ্ধ।
ব্লগে দারুণ একটা লিখা পড়লাম।
++++++
ধন্যবাদ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই সুন্দর মন্তব্য, এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত করার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আসলেই মেয়েদের মেয়ে বেলা শুরু হয়ে গেলে সমাজ ,সংসার সবাই তাকে বন্দী করে রাখতে চায় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে।
পুরুষ হয়েও যে আপনি এটা রিয়ালাইজ করতে পেরেছেন সেটাই বলে দেয় যে নারী পুরুষের বৈষম্য কমতে কমতে শূন্যতে যাবে একদিন!
মোস্ট ওয়েলকাম।
সকল শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যে।
২১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহারে মেয়েবেলা
কত মজা করেছি। আপি কিয়ের বড় ছোট আর কিশোরী তরুণী আমি চাকুরী হওয়ার আগ পযন্তই ভাইবোনদের সাথে খেলেছি
মার্বেল ডাংগুলি ক্রিকেট ফুটবল কানামাছি রুমাল চোর বউছি আর কত শত খেলা আর আশ্চর্য্য হলেও সত্য বাড়িতে গেলে এখনো খেলি। গত সপ্তাহের শ্বশুর বাড়ি গেছি , ব্যাটমিন্টন ক্রিকেট ফুটবল খেলেছি বাচ্চাদের সাথে। মাশাআল্লাহ ওজনও কইমা গেছেগা হাহাহাহা আমি মনে হয় বুইড়া হইলেও খেলমু পুতের বউদের সাথে হাহাহাহা
সাইজে ছোট হওয়াতে তেমন কারো চোখে লাগে না হাহাহাহা
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ ছবি আপু!
আপনি তো দারূণ মজা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন! ইশ! আপনার মতো জীবন যদি আমার হতো!
এমন জীবন সব মেয়ের হোক। বাবা মায়ের, শ্বশুড় শ্বাশুড়ি এবং নিজের ও স্বামীর বাড়ি, সবখানে হাসতে খেলতে থাকুক!
একটু আবেগী পোস্টে আপনার মনখোলা মন্তব্যে ভীষন ভালো লাগল।
ভালো থাকুন আপু।
২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেকদিন পর আবেগী একটা লেখা পড়লাম; প্রথমবার "সাতকাহন" পড়ার অনুভূতি'র মত অনুভব হচ্ছিল।
++++++ ধন্যবাদ চমৎকার এই লেখাটির জন্য
ভাল থাকা হোক সবসময়; মনের মত, নিজের মত করে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সাতকাহন পড়ে কত কেঁদেছিলাম! উফফ! সেই অনুভূতির কোন বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়!
আপনার মন্তব্যে কি ভীষন অনুপ্রেরণা যে পেলাম! মনে হলো সত্যিই ভালো কিছু লিখেছি। হাহা।
আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনিও নিজেকে নিয়ে এবং আপনজনদেরকে নিয়ে ভালো থাকুন।
২৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
১৪. ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৯ ১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আমার বিশ্বাস ছেলেবেলা/-মেয়েবেলা একটা নিদৃষ্ট বয়সের পরে আর থাকেনা। কৈশর/যৌবন সময়টা থাকে টালমাটাল এ সময়টা সবাইকেই খুব সচেতনভাবে অতিক্রম করতে হয়। ইসলাম ধর্ম আমাদের খুব সুন্দর একটা বিধান দিয়েছে। এই বিধান পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারলে ছেলেবেলা -মেয়েবেলার
ক্ষেদ দূরীভূত হবে।
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু মূসা আল আশয়ারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস থেকেও এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণিত আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘প্রত্যেক চোখ যেনা করে। মেয়েলোক যখন সুগন্ধি মেখে কোন মজলিশের পাশ অতিক্রম করে, সেও যেনাকারিণী”। (আবু দাউদ ও তিরমিযী)
মহান আল্লাহ্ সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। মানব সমাজে এ পরম আকর্ষণের প্রতি ইসলাম বিধি-নিষেধ আরোপ করে সৌন্দর্য চর্চার একটি মাপকাঠি রচনা করে দেয় যাতে ভারসাম্যপূর্ণভাবে তার চর্চা হয় ও অশ্লীলতার কারণ না হয়ে যায়। তাই প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর কর্তব্য হলো, সৌন্দর্য চর্চাকে স্বীয় স্বামী ও মহিলা অঙ্গন পর্যন্ত সীমিত রাখা। মুহরিম ব্যক্তিদের পর্যন্ত তা সম্প্রসারিত করা দোষণীয় নয়। এছাড়া অন্যদের সামনে সাজ-গোজের কোন মূল্য নেই।
--------------------------
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০০ ০
লেখক বলেছেন: আপনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মন্তব্য করেছেন। তাতে কোন সমস্যা নেই, ধরে নিলাম ছেলে মেয়েকে আলাদা রাখা হলো, পর্দার মধ্যে রাখা হলো।
সেইক্ষেত্রেও সকল সুযোগ সুবিধা থাকা উচিৎ ছেলে ও মেয়ে শিশুদের। দরকার হলে আলাদা আলাদা খেলার মাঠ, বেড়াতে যাবার জায়গা, আড্ডা দেবার বা সোশালাইজ করার জায়গা ইত্যাদি। সমাজে শালীনতা ও পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব শুধু মেয়েদেরই নয় যে তারাই সব বলিদান দিয়ে বাড়িতে বসে থাকবে। আল্লাহর সৃষ্টি মুক্ত বাতাস, নীল আকাশের ওপরে অধিকার তো শুধু একপক্ষের হতে পারেনা।
পাঠ ও গোছালো মতামত প্রদানে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা!
নূরু ভাইকে ধন্যবাদ তার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনাকেও সুন্দর প্রতিমন্তব্যে। আপনাদের দু'জনের কথোপকথন তাই মন্তব্যে তুলে দিলাম। বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের দার্শনিক মন্তব্য প্রশংসার দাবি রাখে। তার অতি উঁচু মার্গের সকল দর্শনে যদিও কন্ঠ মেলানো কঠিন, তবু তিনি তার মন্তব্যের শেষাংশে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আন্তরিক অভিনন্দন তাকে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই!
ধন্যবাদ কষ্ট করে আপনার প্রিয় মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলো তুলে ধরার জন্যে।
সত্যিই তারা অসাধারণ মন্তব্য করেছেন। কোন তুলনা হয়না।
আপনাকে ধন্যবাদ পোস্ট ও মন্তব্যগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ার জন্যে। খুব খুশি হয়েছি আমি।
ভালো থাকবেন সবসময়।
২৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: ছেলে বেলা, মেয়ে বেলা না বলে কিশোর বেলা বলা যায় না?
ছেলে বা মেয়ে বললে একটু বৈষম্যের চাপ পড়ে না
যাকগে কিশোর স্মৃতি সর্বদায় মধুর হয় আমার কাছে।
পোষ্টে ভালোলাগা ++
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কিশোর বেলার অপোজিটে কিশোরীবেলাও বলা যেতে পারে। কিশোরই কেন বলা হলো, কিশোরী কেন বলা হয়না বা হলো না সেটা নিয়েও তর্ক বাঁধতে পারে।
আর মেয়েবেলা বলে আসলে কোন শব্দ নেই। সাধারণত ছেলেবেলাকেই ব্যবহার করা হয় শৈশব বোঝানোর জন্যে।
আবার ছেলেমানুষী শব্দটির মানে খুব ইন্নোসেন্ট কিছু, নারী পুরুষ উভয়ের জন্যেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মেয়েমানুষ শব্দটিকে কেমন যেন নেগেটিভ অর্থে ব্যবহার করা হয়।
নানা শব্দের ব্যবহারই বুঝিয়ে দেয় আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান কোথায়! নারী পুরুষ, কিশোর কিশোরী, যুবক যুবতী বলায় কোন সমস্যা দেখিনা। সব ভাষার ব্যাকরণেই এসব আছে। সমস্যা হচ্ছে ভাবনায়, নারী পুরুষের চেয়ে ছোট কিছু বা অসহায় কেউ সেই ভাবনায়!
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভালোলাগা ও প্লাসে। ভীষন উৎসাহিত হলাম।
ভালো থাকুন।
২৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
আপনার এই পোস্টে ছেলে হয়েও অযাচিত ভাবে চলে আসলাম শুধুই আপনার নাম দেখে! লেখাটা পড়ার পর কিছু লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু বিদ্রোহী ভৃগু ভাই এতই চমৎকার করে ব্যাখ্যা করেছেন, তার উপর আর কিছু আমার লেখা আমার সম্ভব বা উচিৎ না।
আমাদের সামাজিক অবস্থা আসলে এমন যে, ইচ্ছে করলেও হুট করে সব পালটে ফেলা সম্ভব না। ইসলামের আংশিক জ্ঞান নিয়ে মেয়েদেরকে কঠিন অদৃশ্য বেড়াজালে আটকে রেখে দেয়া হয়। বাবা মার দোষ দিয়েই বা লাভ কি? আমাদের মানসিক রুচি এখন আদিম পর্যায়ে রয়ে গেছে। মেয়েদের সম্মান করা টা যেন এক বিশাল হীন মন্নতা। এই বিষয় নিয়ে একটা পোষ্ট দিব হাতে যদি সময় পাই।
আমি কিন্তু বড় হয়েছি আমার কাজিন এক বড় আপুর সাথে খেলতে খেলতে! কোনটা মেয়েদের আর কোনটা ছেলেদের বুঝতামই না। ছোট বেলায় অনেকগুলি পুতুল ছিল আমার, খুব মজা লাগত এদের নিয়ে আপুদের সাথে খেলতে। স্কুলে ৩/৪ ক্লাসে উঠার পর ছেলেদের সাথে ঘুরাঘুরি শুরু করলাম। এত অল্প বয়সে ছেলে মেয়ে পার্থক্য বাচ্চাদের বুঝানোই ঠিক না।
আপনার মেয়েবেলা খুবই দুর্দান্ত কেটেছে আরও কাটত যদি না....
আপেল কাটা নিয়ে লাইনটা খুব করে মন ছুয়ে গেল। অসাধারন একটা লাইন। আমার কোন একটা গল্পে ঢুকে গেলে কিন্তু মাইন্ড করবেন না।
ভালো বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার এই পোস্টে ছেলে হয়েও অযাচিত ভাবে চলে আসলাম শুধুই আপনার নাম দেখে!
প্রথমত যেখানে মেয়েদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেখানে ছেলেরা অযাচিত হতে পারেনা। হাহা। আমি পোস্টেও বলেছি যে পুরুষের ব্লগারদের পাশাপাশি নারীদেরও মন্তব্য চাই। কেননা এ বিষয়ে পুরুষের মতামত এবং নারীর অভিজ্ঞতা দুটোই ভীষন জরুরি!
আর আমার নাম দেখে এসেছেন জেনে ভীষনই আনন্দিত বোধ করছি!
ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগু ফাটিয়ে দিয়েছেন! হাহা। সত্যিই অসাধারণ একটি মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুধু ইসলাম নয়, অন্যান্য ধর্মকেও ব্যবহার করা হয়েছে নারীদের ওপরে বৈষম্য তৈরির জন্যে। যারা নারীকে ছোট করতে চায় তারা কোন না কোন বাহানা তৈরি করেই ফেলে!
লাভ কি জানি না তবে আমার মনে হয় পুত্র সন্তানের পিতা মাতা আরো স্ট্রিক্ট হলে, সকল বিষয়ে, "ও তো ছেলে, একটু আকটু ওমন করবেই!" বলে দোষ না ঢাকলে, সমাজের বৈষম্য অনেকাংশে কমে যাবে।
অবশ্যই, আপনার অসাধারণ লেখা অবশ্যই পড়তে চাই এ বিষয়ে। অপেক্ষায়......
হুমম আমার আর কাজিনদের মতোই ছিল আপনার অভিজ্ঞতা।
আপনার মেয়েবেলা খুবই দুর্দান্ত কেটেছে আরও কাটত যদি না....
এই পোস্টটি এক লাইনে লিখলে এমনই হতো। অসাধারণ লাইনটি!
না মাইন্ড করবনা একদমই। আপনি আরো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন নিশ্চই।
মোস্ট ওয়েলকাম এবং আপনাকেও ধন্যবাদ দারূণ মন্তব্যটির জন্যে।
শুভকামনা!
২৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭
সোহানী বলেছেন: প্রিয় সামুপাগলা, তুমি যে অভিযোগ বা বিষয়গুলো তুলে এনেছো তা যুগ যুগ ধরেই মেয়েদের অভিযোগ। আর এ অভিযোগগুলোর অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে বা আরো হবে। এখন বলি কিছু ব্যালেন্সে কথা, কেন মা খালারা আমাদের পায়ে শিকল দিয়েছেন?? হাঁ, সেটা আমাদের ভালোর জন্যই। কারন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ বা বলতে পারো এ পুরুষ দখলকৃত এ সমাজ এখনো মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। তাই আমাদের নিরাপত্তার খাতিরেই এ সাবধানতা। আমরাতো ছেলেদের চোখে পর্দা পড়াতে পারবো না বা তাদের সাথে শক্তিতেও পারবো না তাই এ সাবধানতা। যেদিন ছেলেদের দৃষ্টি মেয়েদের জন্য নিরাপদ হবে সেদিন কোন মা খালা বারন করবে না আমাদের। আর সাবধানতা শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও আমি দেখেছি এতো খোলাখুলি সমাজেও মায়েরা মেয়েদের সাবধান করছে, আগলে রাখছে। আসলে এ পুরুষ শক্তি সবখানেই কমবেশী হায়েনা। তাই ওদের এ নর মাংসের লোভ থেকে নিজেকে বাচাঁতেই এ সাবধানতা।
অনেক ভালো থাকো।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রিয় সোহানী আপু! পোস্টে পেয়ে খুশি হয়েছি অবশ্যই!
সেটাই তো দুঃখ! যুগ যুগ ধরে বলে যাবার পরেও সমস্যাগুলো পুরোপুরি মিটছে না!
মা খালারা যা করেছেন ভালোবাসা থেকে করেছেন, সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ভালো হচ্ছে কিনা এবং কেন হচ্ছে না সেটা নিয়ে সন্দেহ এবং প্রশ্ন আছে।
পুরুষের চোখে পর্দা কেন পড়াতে পারবনা? সমাজটি এমন পুরুষশাসিত কিভাবে হলো?
আমি একটি বিষয়ে সবসময় ভীষন অবাক হই। আমাদের সমাজে একটি মেয়ে সন্ধ্যার আগে বাড়ি না ফিরলে বাবা মা পায়েচারি শুরু করে দেয়, মেয়েটি রাত করে ফেরার পরে বাড়ির কারো হাতে মারও খেতে হতে পারে। বুঝলাম মেয়েটির ভালোর জন্যে এসব করা হয়েছে।
কিন্তু ছেলে সন্তানটি যখন সন্ধ্যা রাতে বাড়ির বাইরে দাড়িয়ে থাকে, কাজ সেরে রাত করে ফিরতে থাকা মেয়েদেরকে টিজ করে বাড়ি ফেরে, তখন তার বোন মা জেগে জেগে তার জন্যে ভাত নিয়ে অপেক্ষা করে। কেউ ছেলেটাকে সিরিয়াসলি জেরা ও শাসন করো রে বাপ!
একটি মেয়ে যদি বাবা মাকে এসে বলে আমাকে একটা ছেলে ডিস্টার্ব করছে তাহলে তাকে তার বাবা মা বলবে যে, "নিশ্চই তুইই কিছু করেছিস, এত সেজেগুজে বাইর কেন যাস? এত মেয়ে থাকতে তোকে কেন? কাল থেকে কলেজে যাওয়া বন্ধ, বিয়ে দিয়ে দেব!"
কিন্তু একটি ছেলের বাবাকে যদি কেউ বলে আপনার ছেলেটি রাস্তায় মেয়েদের ডিস্টার্ব করছে, বাবা মা ছেলেটিকে বকবে। কিন্তু এমনভাবে নয় যে দ্বিতীয় দিন ছেলেটি বাড়ি থেকে বের হতে পারবেনা বা অন্য কোন উচিৎ শাস্তি যার কারণে সে এমন ভুল করবেনা আর!
মেয়েটির ভুল না থাকা সত্ত্বেও বাবা মা যে পরিমাণ লজ্জ্বা পায়, অনেকাংশে ছেলেটির ভুল থাকার পরেও ততটা লজ্জ্বা পান না।
"ছেলেরা কথা শোনে না", "ওরা একটু অবাধ্য হয়ই", "মেয়েদেরই মানিয়ে চলতে হয়, জেদ রাগ ছেলেরা দেখাতেই পারে" ইত্যাদি কোন ফ্যাক্ট নয়! এগুলো সমাজের অন্ধ ওপিনিওন যাতে দুঃখজনকভাবে ছেলেদের মা খালারাও সায় দিয়ে যায়!
ছেলেদের দৃষ্টি মেয়েদের জন্যে সেদিনই নিরাপদ হবে, যেদিন মা খালা, বাবা খালুরা ছোট থেকেই ছেলেদেরকে বসিয়ে তাদেরকে নারীর সম্মানের ব্যাপারে বোঝাবে, কথা না শুনলে কড়া ভাবে শাসন করবে।
ইফ ইউ টিচ বয়েজ সাম গুড লেসেন, দেয় বিকাম দ্যা ম্যান অফ টুমরো, ইফ ইউ ফেইল টু ডু সো, দে বিকাম দ্যা ম্যানিআকস অফ টুমরো!
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার তুলেছেন। অন্য দেশেও এমনই অবস্থা। আমরা যেমন ভাবি পশ্চিমা দেশে বাবা মায়ের স্নেহ বা পারিবারিক কালচার নেই, সন্তানেরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়ায়, তা একেবারেই নয়। এখানেও মেয়ে ডেটে গেলে বাবা মা চিন্তা করে। ছেলেটির সাথে যেন তার বাড়িতে না যায়, অথবা অপরিচিত কারো গাড়িতে না যায় এসব ব্যাপার তাদেরকে শেখায়। মেয়েদের নিয়ে চিন্তা সব কালচারেই করে। কিন্তু কিছু কিছু কালচারে একপাক্ষিকভাবে মেয়েদের ওপরে মাত্রাতিরিক্ত কঠোর নিয়ম আরোপিত হয়। সেটাই সমস্যা!
মন্তব্যের জন্যে থ্যাংকস এ লট আপু!
আপনি খুব প্র্যাকটিক্যাল একটি মন্তব্য করেছেন। আমিও মানি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেয়েদের সাবধান ও বুদ্ধিমতী হতে হবে। কেউ একজন কিছু মিষ্টি কথা বললেই তার সাথে অপরিচিত জায়গায় যাওয়াসহ নানা বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আর আজকের ছেলেদেরকে কালকের পুরুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শুভকামনা!
২৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) মহা-ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু, পরাক্রমশীল, এবং প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
মানব সম্প্র্রদায় আল্লাহর প্রিয় বান্দা এবং সৃষ্টির সেরা জীব। তিনি পরম যত্নে শুধুমাত্র তার ইবাদত করার জন্য মা্টি থেকে
মানব সৃষ্টি করেছেন এবং ফেরেশতাদের থেকে অধিক সম্মানিত করেছেন তাই ফেরেশতাদের সর্দারকে
মানবের আদি পিতা আদমকে সেজদা করতে বলেছিলেন্ কিন্তু অহমিকার কারণে আদম (আঃ) সেজদা না
করার কারণে সে ফেরেশতাদের মাঝ থেকে বিতাড়িত। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করা ও তার ইবাদত করা
মানবের একমাত্র ধ্যান ও জ্ঞান হওয়া কর্তবৗ।
ইসলামের জন্য আল্লাহর কুরআন একমাত্র জীবন বিধান যাহাতে কোন ভুলভ্রান্তি নাই এবং মানবের কল্যান নিহিত।
মানুষের আচার আচারণ ও কোন নিয়মে চলতে হবে তার দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। অন্য সকল নিয়ম কানুনের ,মাঝে
নারীা পুরুষ কি ভাবে চলবে এবং তার কতটুক দ্বায়িত্ব কর্তব্য তা পবিত্র এই গ্রন্থে উল্যেখ আছে। আমরা আর্বাচীন তাই
তার মহাবনীকে আমরা না বুঝে তর্কে লিপ্ত হ্ই (নাউজুবিল্লাহ) এবং সীমা অতিক্রম করি। আমাদের মনে রাখতে হবে
নিশ্চয় আল্লাহ সীমা লঙ্ঘন কারীদের পছন্দ করেন না। [সূরাঃআল-মায়ীদাঃ৮৭ )
ইসলামে নারী পুরুষের পর্দা সম্পর্কে বলা হয়েছে। সে্ই বিধান মতো চললে পৃথিবীতে শান্তি বজায় থাকবে।
্ইসলামের বাইরের ধর্মালম্বীরা এবং ইসলামধর্মের লোকেরা যারা আল্লাহর বিধান মেনে চলেনা তাদের জন্য
রয়েছে কঠিন শাস্তি কারণ আল্লাহ প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
নারী পুরুষের পর্দা বিষয়ে আল্লাহতায়ালা সব শ্রেণির ইমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেছেন তিনি যেন তাঁর স্ত্রীদের, কন্যাদের এবং মুমিনদের নারীদের চাদর দ্বারা নিজেদের আবৃত রাখার আদেশ দেন। কিছু আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদেরও সম্বোধন করেছেন, কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও। মোটকথা, কোরআন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান করেছে। এটি শরীয়তের একটি ফরজ বিধান। এ বিধানের প্রতি সমর্পিত থাকা ইমানেরও দাবি।
নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দা পালন করা ফরজ। ইসলামে উভয়কেই পর্দা পালনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। পর্দা পালন করা মুসলিম নারীর অনন্য রুচিবোধ ও সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ। পর্দা পুরুষের উন্নত চরিত্র গঠনের মাধ্যম; পাশাপাশি নারীর মান-সম্মান, ইজ্জত-আবরুর রক্ষাকবচও বটে।
হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি ও মায়মুনা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে ছিলাম। এমতাবস্থায় (দৃষ্টিহীন সাহাবি) আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে আগমক করলেন।
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা পর্দার অন্তরালে চলে যাও।
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! ইনি (আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম) কি দৃষ্টিহীন নন? ইনি তো আমাদেরকে দেখছেন না।
জবাবে আল্লাহর রাসুল বললেন, তোমরা কি তাকে দেখছো না? (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি, মিশকাত)
উল্লেখিত হাদিস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে জানা যায় যে, কোনো নারী পর্দার ভেতরে থেকে কোনো পুরুষকে দেখাও বৈধ নয়। পুরুষের জন্য যেমন নারীদের সঙ্গে অবাধ দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ নয়; ঠিক তেমনি নারীদের জন্য পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ নয়।
সুতরাং নারী ও পুরুষের জন্য পর্দা পালন করা সমভাবে প্রযোজ্য।
পুরুষের পর্দায় নিরাপদ থাকবে নারী ইসলাম ধর্মে নারী ও পুরুষ উভয়ের ওপর ধর্মীয় বিধানাবলি পালনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। শারীরিক গঠন ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীর ক্ষেত্রে অবশ্যপালনীয় বিধানাবলি কোনো কোনো সময় শিথিলযোগ্য। এ ছাড়া সর্বদা নারী ও পুরুষ উভয়কেই ইসলামের নিময়কানুন মেনে চলতে হবে এমনটি সত্য। যদি কোনো নারী অথবা পুরুষ ওই বিধানাবলি লঙ্ঘন করে, তাহলে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে, যা স্পষ্ট করে আল-কোরআনে বলা হয়েছে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই বিধানাবলির ব্যাখ্যা একচোখা নীতিতে বিশ্লেষণ করে নারীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে ধর্মীয় গোঁড়ামি, অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণে নারীদের পুরুষের চাপিয়ে দেওয়া অনেক বিধানের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়। যদিও শরিয়তের ওই বিধানাবলি পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য। ইসলামের এমনই একটি অবশ্যপালনীয় বিধান হলো পর্দা, যা নারী-পুরুষ উভয়ের ওপর আরোপিত হয়েছে। কিন্তু যুগে যুগে এই পর্দা প্রথা নারীর ওপর কঠোরভাবে পালনের নামে নারীকে বস্তুত কারাগারের ন্যায় অন্ধকার জীবন যাপনে বাধ্য করা হয়েছে। এ কথা ঠিক যে সমসাময়িককালে এ ব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তবে এ কথাও সত্য যে আজও অবৈধ পর্দা প্রথার বেড়াজাল ছিন্ন করে ইসলামের অনুসারী সব নারী ইসলামের দেওয়া স্বাধীনতার স্বাদ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারেনি। আর আজও পুরুষের ওপর যে পর্দা ফরজ করা হয়েছে, সে বিষয়টি অধিকাংশ পুরুষের অগোচরে রয়ে গেছে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পর্দার পালনে কুরআন ও হাদিসের ওপর আমল করে পরকালীন জীবনের সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কষ্ট করে সময় নিয়ে লম্বা একটি মন্তব্য করেছেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
আমি যখন পোস্টটি লিখছিলাম ধর্মীয় দৃষ্টিকোণটি ভাবিনি কেননা নানা দেশে নানা ধর্মের আড়ালে মেয়েদেরকে ছোট করা হয়েছে। আবার সেই ধর্মকে মেনেই অনেকে নারীকে সম্মান করা শিখেছে। আর সব মানুষ একটিই ধর্ম পালন করবে সেটা সম্ভব নয়, একজন নারী ও পুরুষের ধর্ম যাই হোক, সম্মান ও নিরাপত্তার পূর্ণ অধিকার তাদের আছে।
নি:সন্দেহ উপরওয়ালার বিধান এবং ধর্মের সঠিক পালন সমাজে স্থিতি ও শান্তি আনতে পারে। ধর্মের মূল কাজ তো সেটাই! কিন্তু ধর্মান্ধদের জন্যে তার উল্টোটা হচ্ছে। ধর্মে নারী ও পুরুষের অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে বলা হয়েছে সমানভাবে। কিন্তু কিছু সুবিধাবাদী ধর্মান্ধ ব্যক্তি হাইলাইট করছে নারীর দায়িত্ব এবং পুরুষের অধিকারকে। নারীর অধিকার ও পুরুষের দায়িত্বগুলোকে চতুরতার সাথে এড়িয়ে ধর্মকে ছোট করেছে।
থ্যাংকস এ লট দুবারই যত্ন নিয়ে মন্তব্য করে যাওয়ায়।
ভালো থাকুন!
২৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার কোনদিনই এরকম মনে হয়নি যে শুধু লিঙ্গ পার্থক্যের কারণে মেয়েরা ছেলেদের মতো সব কিছু করতে পারবে না। কেন পারবে না? পুরুষের মতো পেশী শক্তি নেই বলে? তাহলে মেয়েরা অলিম্পিকে মোর দ্যান টু হানড্রেড কেজি ওয়েট লিফটিং করে কিভাবে? রেসলিং করে কিভাবে? গুলি মারো এসব কথায়। ধর্মীয় কারণে? গুলি মারো ওসব গোঁড়া ধার্মিকদের। ধর্মে মেয়েদের দিকে অনৈতিক দৃষ্টিতে তাকাতে পুরুষদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। আর সব কিছু বকোয়াস। পরিবার ও সমাজের মানুষ কি ভাববে সেই কারণে? এটাকে আরও বেশি করে গুলি মারো। একে-৫৬ রাইফেল দিয়ে। তা' না হলে কিছুই বদলাবে না। তাই বলে আমি কিন্তু তসলিমা নাসরিনের তরিকায় সমাজ বদলের পক্ষপাতি নই।
ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এজ ইউজাল, অসাধারণ একটি মন্তব্য করেছেন।
মেয়েদের বিপক্ষ সকল শক্তিকে এক মন্তব্যে গুলি মেরে দিলেন। ইশ! যদি সবাই আপনার মতো উদার চিন্তার হতো, তবে সমাজটা যে কি সুন্দর হতো!
মোস্ট ওয়েলকাম, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ মূল্যবান একটি মন্তব্য করে যাওয়ায়।
শুভেচ্ছা!
২৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: ছেলেবেলা বা মেয়েবেলা শব্দদুটিই যত নষ্টের মূল। শব্দটা শুধু শৈশব হলে সব ঝামেলা মিটে যেত। কিন্তু আমাদের সমাজ শৈশবকে টেনেহিঁচড়ে সব সময় ছেলেবেলা বা মেয়েবেলা বানিয়ে দেয়। টানাহেঁচড়াতেই শেষ না, এরা ছেলেদের বেশ লম্বা চওড়া একটা ছেলেবেলা দেয় কিন্তু মেয়েদের দেয় সংক্ষিপ্ত মেয়েবেলা। পরিবার এর মুরুব্বিদের দোষ ও নেই, সমাজের মূল্যবোধে বেশ আগেই ঘুণে ধরেছে। কোলের বাচ্চা থেকে কয়েক বাচ্চার মা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে নিয়মিত। এখন নিউজপেপার খুললেই নিয়মিত দেখা যাচ্ছে এমন খবর। এত গেল পেপার এর খবর, খবর হয় না এমন কত ঘটনা যে আছে তা ভাবার ও অনেক বাইরে। তবে এত কিছুর পরেও সুস্থ শৈশব না থাকলে, সুস্থ মানুষ, সুস্থ সমাজ গড়ে উঠবে না। ছেলে মেয়ের সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। আপনার লেখা অনেক ভাল হয়েছে। আপনার লেখার মধ্যে অনেক সরলতা আর চুম্বক এর মত আকর্ষণ আছে। পানি নিয়মিত সাহিত্য চর্চা করলে বেশ উন্নতি করবেন। আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভ কামনা রইল।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:১১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মেয়েবেলা শব্দটি সেভাবে ব্যবহৃত হয়না। সাধারণত ছেলেবেলাকেই ব্যবহার করা হয় শৈশব বোঝানোর জন্যে।
আবার ছেলেমানুষী শব্দটির মানে খুব ইন্নোসেন্ট কিছু, নারী পুরুষ উভয়ের জন্যেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মেয়েমানুষ শব্দটিকে কেমন যেন নেগেটিভ অর্থে ব্যবহার করা হয়।
নানা শব্দের ব্যবহারই বুঝিয়ে দেয় আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান কোথায়! কন্যা পুত্র, নারী পুরুষ, কিশোর কিশোরী, যুবক যুবতী বলায় কোন সমস্যা দেখিনা। সব ভাষার ব্যাকরণেই এসব আছে। সমস্যা হচ্ছে ভাবনায়, নারী পুরুষের চেয়ে ছোট কিছু বা অসহায় কেউ সেই ভাবনায়!
এরা ছেলেদের বেশ লম্বা চওড়া একটা ছেলেবেলা দেয় কিন্তু মেয়েদের দেয় সংক্ষিপ্ত মেয়েবেলা।
বেশ লিখেছেন। দশ বছরের শিশু তিরিশ বছরের পুরুষের দ্বারা নির্যাতিত হলে, মানুষজন বলে, "পুরুষমানুষ অল্প???? বয়সে এমন একটু আকটু করেই, মেয়েটিরই চালচলন ঠিক ছিলনা, অন্যকারো সাথে তো করলনা, ওর সাথেই করল!!!!!" এই সমাজ এমনই পচে গলে গিয়েছে!
সুস্থ শৈশব না থাকলে, সুস্থ মানুষ, সুস্থ সমাজ গড়ে উঠবে না। ছেলে মেয়ের সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
সব কথার শেষ কথা এটাই। একজন মেয়েকে সুস্থ শৈশব দিতে না পারলে, সে বড় হয়ে সুস্থ মা হয়ে সুন্দর মনের সন্তান কিভাবে গড়বে? একজন নারীর ক্ষতি করলে শেষমেষ কোন না কোন পুরুষও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রশংসা, দোয়া ও শুভকামনার জন্যে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই।
আমিও দোয়া করি, ভালো থাকুন অনেক।
৩০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯
মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: দুঃখিত। শব্দটি "পানি" না, "আপনি" হবে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:১১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়তে পড়তে বুঝেছিলাম, কষ্ট করে ঠিক করে দেবার জন্যে ধন্যবাদ।
৩১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭
দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: ঠিক বলেছেন
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:১২
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সহমত পোষন করায়।
পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকুন।
৩২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবারো কি ব্যস্ততার ঘেরাটোপে?
সুস্থ আছেন আশা করি।
এখন আছি ভীষম সমস্যায়! মাঝে মাঝে আইডিতে --- এক শুন্য সাত পুরাই কনফিউজড করে দেয়!
পোষ্ট দেখে ঢুকেই হোচট খাই - এহহে এতো আদি আসল টা নয়
হা হা হা
শুভ প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায়
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
আরোহী আশা বলেছেন: বাহ বাহ বেশ ভালো লাগলো