নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহুদিন পরে নিয়ে এলাম রোস্ট পোস্ট: সোশ্যাল মিডিয়া- আমাদের মন মানসিকতা কি বিকৃত হয়ে যাচ্ছে? সুস্থ হবার উপায় কি?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

হুমম অনেকদিন পরে লিখছি। গত কিছু মাসে মনের ভেতরে যা যা জমে গিয়েছে সেসব নিয়েই লিখব। দেখুন তো, আপনার আর আমার মনের কথাগুলো মেলে কিনা?


পূর্ব রোস্ট পোস্ট: রোস্ট পোস্ট (১) - "আপনি কি কালো, বেঁটে, মোটা? তাহলে আপনার বেঁচে থাকা অর্থহীন!" ওহ মিডিয়া প্লিজ শ্যাট আপ!
রোস্ট পোস্ট (২) - বাংলাদেশী বিয়ে - দুটি মনের মিলন নাকি অপসংস্কৃতি, অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা প্রকাশের মাধ্যম? শেম শেম!
রোস্ট পোস্ট (৩) - বিবাহ বানিজ্য, পাত্র পাত্রীর নির্বাক অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা - ঝলমলে লাইটিং এর পেছনের অন্ধকারের গল্প!



সু্স্থ রুচি বিরূদ্ধ কন্টেন্ট:

সোশ্যাল মিডিয়ায় অসাধারণ কন্টেট পাওয়া যায়। শিক্ষামূলক থেকে শুরু করে বিনোদনমূলক, কি নেই ভার্চুয়াল জগতে? বড় বড় তারকারাও আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব একাউন্ট থেকে কন্টেন্ট নির্মাণ করছেন। আগে ইয়াং ছেলেমেয়েরা ফ্রি টাইমে নানা রকমের বাজে কাজে জড়িয়ে পড়ত, আজকাল তারাই বাড়িতে বসে মেধা ও শ্রম দিয়ে ভিডিও তৈরি করছে আর ভালো টাকা পয়সাও পাচ্ছে। যেসব মানুষেরা বাইরে কাজ করতে পারেনা কোন পারিবারিক দায়িত্বের কারণে তাদের জন্যেও সুন্দর একটি আয়ের মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের পেশাটি। তো সমস্যা কি?

সমস্যা হচ্ছে উদ্ভট কিছু কন্টেন্ট। সৃষ্টিশীল কোনকিছু না করে অনর্থক বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে অনেকেই হচ্ছেন ভাইরাল।
যেমন খাবার বিষয়ক ভিডিও যদি রেস্টুরেন্ট রিভিউ হয় তবে কোন রেস্টুরেন্টে যাবার আগে ভিডিওতে সেখানকার মেন্যু, প্রাইস, স্বাদ ইত্যাদি সম্পর্কিত আইডিয়া পেয়ে অনেক মানুষ উপকৃত হতে পারেন।
কিন্তু বাড়িতে বসে বসে সিম্পল ডাল ভাত হাত দিয়ে চেটে চেটে খাবার ভিডিও করা আর উদ্ভট উচ্চারণে কথা বলা কোন কন্টেন্ট হলো? নাহ হলোনা, কিন্তু এমনকিছু কন্টেন্ট মাত্রাতিরিক্ত ভাইরাল হলো!

view this link
view this link

ওপরের ভিডিও শুধু একটি উদাহরণ। আরো নানা রকম নিরর্থক ভিডিও ইউটিউবে ঘুরে বেড়ায়। কিভাবে পেন এর খাপ খুলতে হয় থেকে শুরু করে কিভাবে শ্বাশুড়ির মাথায় তেল মালিশ করতে হয়! কি ভাবছেন মানুষ ওসব দেখেনা? মজার ব্যাপার কোন সুন্দর, উপকারী বিষয়ের চেয়ে এসব ভিডিও মানুষ আরো বেশি দেখে! সৃষ্টিশীলতার জায়গায় চূড়ান্ত ভাড়ামী, বোকামি, পাগলামি বেঁচাকেনা হচ্ছে!



ভাইরাল সিনড্রম এবং নেগেটিভিটি:

সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু কিছু মানুষকে দেখলে মনে হয় তাদের খেয়ে দেয়ে আসলেই কোন কাজ নেই। নিজস্ব কাজ বা স্বপ্ন থাকলে যেকোন উঠতি তারকা থেকে শুরু করে লিজেন্ডারি মানুষ, সকলের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হতো না, আর সেই বিতর্কের পক্ষে বিপক্ষে জাতি ভাগ হয়ে যেত না! উই জাস্ট ক্যান্ট লেট এনিথিং গো! সবকিছুকে ধরে বসে থাকতে হবে! কারো কথা বা কাজে পান থেকে চুন খসলেই হলো! ভার্চুয়াল বুলিরা সেই মানুষটিকে যত রকম মানসিক টর্চার করা যায় করে যাবে। কেউ একজন নিজের একটি ব্যক্তিগত ওপিনিওন দিল, সেটা হয়ত এক অংশের দর্শকের সাথে মিলল না, ব্যাস সেই মানুষটি সহ তার ভক্তদের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে সফল ও বিজয়ী অনুভব করবেন অনেকে।



রিসেন্ট এমনি একটি ভাইরাল টপিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি মানুষের উপচে পড়া ঘৃণা দেখে আমি হতবাক হয়েছি, লজ্জিত বোধ করেছি! আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি ওনাকেও এভাবে অসম্মান করা যায়! ওনার গল্প, কবিতা, গান এবং অন্যান্য সৃষ্টিকর্ম অনেকের পছন্দ না হতেই পারে, তাই বলে এমন গালাগালি? তার মতো গুণী, কালজয়ী কাউকে এভাবে ছোট করা যায়? এতে কি রবী ঠাকুর ছোট হলেন নাকি তাকে সম্মান দিতে না পারা মানুষেরা নিজের মূর্খতা ও কুশিক্ষা প্রমাণ করল?

যেকোন বিষয়ে এত বেশী নেগেটিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার একটি কারণ আমাদের বাস্তবতা! ট্রাফিক জ্যাম, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, সাউন্ড/ওয়াটার/এয়ার পলুশন, মশার কামড়ে - গাড়ির আঘাতে প্রতিদিন আপনজন হারানোর ব্যাথা, ভীড় - সবকিছুর লম্বা লাইন, পারিবারিক ও সামাজিক চাপ এগুলো তো আছেই। কিন্তু নানা উন্নত দেশেও সোশ্যাল মিডিয়া সমাজে নেগেটিভিডি ছড়িয়ে দিচ্ছে। তার কারণ কি? কারণ বাস্তবিক জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার এডেড প্রেশার! প্রতি সপ্তাহে একবার রেস্টুরেন্ট থেকে ছবি দিতেই হবে! দামী বাড়ি, গাড়ি, স্বামীর জন্যে কি রান্না করলাম, বোনকে কত টাকা সালামী দিলাম এমনকি মাদারস ডে তে মা কে কি উপহার দিলাম সেটাও সবাইকে ঘটা করে জানাতে হবে! নাহলে তো মান থাকবেনা। ফেসবুক ওপেন করলেই কোন আত্মীয়কে দামী গাড়িতে, কোন বন্ধুকে দামী বাড়িতে দেখে মনে হিংসা, স্ট্রেস বেড়ে যাচ্ছে। রাগ থেকে ক্ষোভ, ক্ষোভ থেকে ঘৃণা আর ঘৃণা থেকে গণপিটুনীতে নিরীহ কাউকে হত্যা করা! প্রথমে যে রাগের প্রকাশ ছিল ভার্চুয়াল কমেন্টে সীমাবদ্ধ তা এখন বাস্তব এমনকি জাতীয় জীবনেও ভয়াবহ রং দেখাচ্ছে!

নারী পুরুষের দ্বন্দ্ব!

ইউটিউবে বেশিরভাগ বাংলা গান, নাটকের নিচে একটি অংশ নারীকে ছোট করে মন্তব্য করে। "আজকালকার" মেয়েরা কতটা খারাপ, বাজে, ছলনাময়ী, অশালীন, অনৈতিক জীবন যাপন করছে সেসব নিয়ে সমালোচনা চলছে অবিরাম। মজার ব্যাপার যেসব "আজকালকার" ছেলেরা এসব মন্তব্য করছে তারাও খুব একটা সুস্থ, শালীন জীবনধারণ করছেনা। কিন্তু সমাজ যে তাকে শিখিয়েছে, "তোমার পাপ ভুল আর কোন মেয়ের ভুল পাপ!"



ধর্ষণ হলে মেয়েটিকেই দোষারোপ করা হচ্ছে। একটি মেয়ে ধর্ষিতা হলে প্রথমে আম জনতা মেয়েটির বয়স দেখবে, বেশি ছোট হলে বেচারারা চুপ হয়ে যাবে। যদি কিশোরী/তরুণী/যুবতী হয়ে থাকে তবে ধর্ষণের সময়ে তার বুকে ওড়না ছিল কিনা সেটা দেখবে। যদি থাকে তবে মেকআপ ছিল কিনা সেটা দেখবে। যদি এসব রিকোয়েরমেন্টে পাশ করতে না পারে তবে ধর্ষিতা অথবা মৃত মেয়েটিকে বাজে ভাবে গালাগালি করা হবে। মেয়েটির বাবা মা কে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হবে। ধর্ষককে মেয়েটি আহবান জানিয়েছিল সেটা প্রমাণ করে দেওয়া হবে। যদি খুব শালীন পোশাকের, মেকআপহীন মেয়ে হয় জনতা কনফিউজড হয়ে যাবে! কোন একটা মেয়েকে তো দোষ দিতেই হবে। কি করা যায়? কি করা যায়? হ্যাঁ, এটা প্রচার করা হবে যে মিডিয়ার মেয়েগুলো স্বল্পবসনা হয়, তাদের দেখেই ছেলেদের মাথা ঘোরে আর আশেপাশের মেয়েদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে!

আমি মানছি যেকোন নারী পুরুষের অশালীন পোশাক, কথা, ভাবনার মধ্যে থাকা উচিৎ না। কিন্তু তাই বলে ধর্ষণ করে শাস্তি দিতে হবে?
মনে রাখবেন যেই মুহূর্তে আপনি একটা স্ট্যান্ডার্ড সেট করবেন, যেমন, "যেসব মেয়ে ওয়েস্টার্ন পোশাক পড়ে তাদের ধর্ষিত হওয়া উচিৎ" সেই মুহূর্তে অন্য কোন জায়গায় অন্য কোন পুরুষ আরেকটি স্ট্যান্ডার্ড সেট করছ, "যেসব মেয়ে লিপস্টিক/টিপ/কাজল/পারফিউম ব্যবহার করে তারা ধর্ষন ডিজার্ভ করে", এই স্ট্যান্ডার্ড হয়ত আপনার বোনের সাথে মিলে যায়! সো নেভার জাজ উইমেন সো মাচ, বিকজ সাম আদার মেন উইল বি জাজিং ইওর স্টিস্টার উইথ ইকুয়াল ব্রুটালিটি।

নিজে ভালো থাকুন, নিজের পরিবারের মানুষদের নীতি শিক্ষা দিন। ব্যাস হয়ে গেল। একটি সমাজে সব ছেলে যেমন একরকম নয়, কেউ সিম্পল, ধার্মিক আবার কেউ অনেক ফ্যানেশবল, রকস্টার - তেমনি সব মেয়েরাও এক নয়। যতক্ষন একটা মেয়ের নিজের মতো নিজের মধ্যে আছে, আপানর কোন ক্ষতি করছেনা, ততক্ষন পর্যন্ত আপনার কোন অধিকার নেই তাকে ছোট করার।

পরকীয়া সমাজের একটা বর্ধিত সমস্যা। সেখানে অবাক ভাবে দু ক্ষেত্রেই মেয়েটিকেই দায়ী করা হয়। যদি একজন পুরুষ তার বউকে ছেড়ে অন্য নারীর কাছে যায়, তবে "অন্য" নারীটি দোষী কেননা সে মেয়ে হয়ে অন্য মেয়ের জীবন ধ্বংস করল, পুরুষটিকে নিজের স্বার্থে হাত করল। আর বউই বা কেমন বউ যে স্বামীকে ধরে রাখতে পারে না? অপরদিকে যদি একজন নারী নিজের স্বামীকে ধোঁকা দেয় তবে "অন্য" পুরুষটিকে নিয়ে কিন্তু কোন আলোচনা হয়না। সেখানেও মেয়েটি বাজে, চরিত্রহীনা! চাকুর ওপরে আপেল পড়ুক বা আপেলের ওপরে চাকু, কাটবে তো আপেলই!
আমার মতে, "তৃতীয়" নারী বা পুরুষেরাও এমনকিছু পবিত্র নয়, তবে সবসময় সেই বেশী দোষী যে কমিটমেন্ট ব্রেক করে সে হোক নারী বা পুরষ। আমার এই সহজ ভাবনাটি সমাজের অনেকেই বিশ্বাস করেন না। কোন মেয়ের পরকীরা বা যেকোন খারাপ কাজ নিয়ে বেশি লাফালাফি করলে অন্য কোন মেয়ের এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের কেসকে ধামাচাপ দিয়ে কিছু ব্যক্তিকে বাঁচিয়ে দেওয়া যায়! ইউটিউব, ফেসবুক এমনকি ব্লগেও নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা এবং উপস্থিতির হার বেশি। এর কারণে মেয়েদের পয়েন্ট অফ ভিয়্যু চাপা পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢোকামাত্র এসব একতরফা এটাকিং কথা পড়ে নারীরা মানসিক ভাবে স্ট্রেসড হচ্ছেন নিশ্চিতভাবে।
আবার অনেক নারী নিজেরাই কথায় কথায় পুরুষদের এটাক করছেন। "ছেলেরা একেকটা জানোয়ার" এই কথার মধ্যে নিজের বাবা ও ভাইকেও যে জড়িয়ে ফেলছেন সেটা বুঝতে পারছেন না।

যদিও প্রচুর নারী ও পুরুষ একে অপরকে সম্মান দিয়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করছেন, সমাজিক নানা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির ভিডিও বানাচ্ছেন। কিন্তু সেসব ভিডিও বেশি মানুষ দেখেনা, অন্ধ ও কুসংস্কারচ্ছন্ন, পশ্চাৎপদ চিন্তাধারার, গালাগালির ভিডিওগুলোরই বেশি প্রচার ও প্রসার হচ্ছে। ভালো পুরুষ ও নারীরা হেরে যাচ্ছে। আর তার জন্যে দায়ী আমরাই। শুধু মাত্র কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরাই নষ্ট খাবার খাচ্ছি ও খ্যাতি দিচ্ছি।

কোন সুস্থ ও সরল কিশোর বা তরুণ যদি নারীর প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য প্রতিদিন পড়ে, মনের অজান্তেই সেও নারীদের ছোট করে দেখা শুরু করবে। সে যখন যেখবে "আরেহ বাহ! ধর্ষণ করলে তো সমাজকে পাশেই পাব!" সেও ধর্ষক হয়ে যাবে। অন্য নানা প্রকার খারাপ কাজ করে দোষটা নিজের মায়ের ওপরে, প্রেমিকার ওপরে বা অন্য কোন নারীর ওপরে দিয়ে দেবে। যত দোষ, নারী ঘোষ! তার চেতনা মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াবেনা, বরং সোশ্যাল মিডিয়ার জং ধরা শেকলে আটকে থাকবে।



আমি বলছিনা যে মেয়েরা খারাপ হয়না, তবে মেয়েরা খারাপ কিছু করলে অনেক বেশি পস্তাতে হয় ছেলেদের তুলনায়। এতে করে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। তারা খারাপ কাজে বেশী আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের ভবিষ্যৎ গোল্লায় যাচ্ছে।

সেলিব্রেটি!!!?? রিয়েলি?

আরো একটি ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, অশালীন ও নোংরা সব কন্টেন্ট ভাইরাল হওয়া! অনেক মানুষই আজকাল "সেলিব্রেটি!!!" ইউটিউবার কেননা তারা ধর্মকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে অথবা কোন রাজনীতিবিদ, ক্রিকেটার, অভিনেতা, গায়ক, সাংবাদিক বা যেকোন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে! সব ধর্ম বা মানুষকে সবার ভালো নাই লাগতে পারে। তাই বলে নোংরা ভাষায় গালাগালি, অশালীন মিমস বানানো কতটা যুক্তিসঙ্গত? ভদ্রভাষায় সমালোচনা করা যায়না? এসব মানুষদের দোষও দিতে পারিনা, যা বিক্রি হচ্ছে তাই তারা বেঁচে দিচ্ছে। কষ্ট লাগে কমেন্ট সেকশন দেখলে। শয়ে শয়ে মানুষ বাজে সব ভাষা ব্যবহার করছে। কি ভীষন রাগ মানুষের মধ্যে! সবকিছু নিয়ে!



কারো ধর্মীয় বা রাজনৈতিক চেতনা আপনার থেকে আলাদা? কেউ আপনার প্রিয় গায়কের গানে ডিজলাইক দিল? ব্যাস সেই মানুষটির রুচি পছন্দ, পরিবারকে টেনে এনে গালাগালি করলেন। একবারো ভাবলেন না সেই মানুষটির নিজস্ব চয়েস থাকতেই পারে! সব ধরণের ভিডিও হোক সে গান কবিতা, কমেডি বা ধর্ম রাজনীতি, মন্তব্যের সেকশনে শুধু গালাগালি, ঝগড়াঝাটি, দল বানিয়ে একে অপরকে ছোট করার উৎসব চলতে থাকে! নানা ধরণের অবাস্তব গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি মহল সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে, আর সাধারণ মানুষ বিবেক বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে সবকিছু গিলছে। আজকাল মানুষ এক মুহূর্ত শান্তিতে থাকতে পারেনা, অন্যকে শান্তি দিতে পারেনা। অজানা অচেনা মানুষের সাথে যেকোন মুহূর্তে নির্দ্বিধায় ঝগড়া বাঁধিয়ে দিচ্ছে!


ভবিষ্যৎ কি?



আজকের বাচ্চা ছেলেটিই কালকের পুরুষ হবে, আর মেয়েটি হবে একজন নারী - এজন্যে ইউটিউবের যেসব মন্তব্য কোন ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠিকে একতরফা ভাবে আক্রমণ করে যায়, তাদেরকে শাস্তির আওতায় এনে সেসব মন্তব্য ডিলিট করতে হবে।
অশিক্ষিত কুরূচিপূর্ণ মানুষদের পাবলিক্যালি মন্তব্য করতে দেওয়া যাবেনা। কেননা কার কোন মন্তব্য কোন বাচ্চা পড়ছে আর কি শিখছে আমরা জানিনা। এসকল বিষয়ে মনিটরিং খুব জরুরি। সব দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে দিলেও হবেনা। আমাদের সাধারণ মানুষদেরও মূর্খতাপূর্ণ ও অসচেতন কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। বাবা মায়েরও উচিৎ না ছোট বাচ্চা বা ইভেন কিশোর কিশোরীদেরও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতে দেওয়া। এই আসক্তি ওদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে যেকোন সৃষ্টিশীলতা ও বিবেক, আবেগের মারাত্মক ক্ষতি করছে। একটা বয়সে মনটা কাদার মতো থাকে, যা দেখে, পড়ে, শোনে তাই শেখে মানুষ। সেই বয়স পার হবার আগে কারো ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটা, টিকটক, মিউজিক্যালি ইত্যাদি কি এটা জানার দরকার আছে বলে মনে করিনা।

একজন অপরাধী সে নারী হোক বা পুরুষ একদিনে হয়না, বাস্তবিক ও অন্তজার্লীয় সমাজের বড় মানুষদের কথা ও আচরণে স্লো পয়জনিং হতে হতে তার মানবিক চেতনা মারা যায়। অনেক শিশু, নারী ধর্ষিত, খুন হলো, অনেক পুরুষ অর্থনৈতিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতির শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল। এখন তো সাবধান হওয়া উচিৎ আমাদের, নাহলে আজকের রিপিট টেলিকাস্ট দেখতে হবে আগামিতে।

সুন্দর মনে, সুন্দর চেতনায়, সুন্দর বিষয়বস্তু ও মন্তব্যের চর্চা হলেই তো আমরা সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ পাব।



ছবিসূত্র: অন্তর্জালের অলিগলি!

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর পোস্টটি যদিও এক টানে পড়া যায়ি নি এক বসায় কিন্তু পড়া শেষ হল। বিষয়টি একদম সময় সাময়িক; আলোচনায় যেকেউ তার বিপরীতে ভাবনার অবকাশ নেই। আপনি অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ধাপে-ধাপে আলোচনা করছেন। এর উত্তরনের চিন্তাও গ্রহণ যোগ্য। এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সবাই শুধুই প্রশংসা কুড়াতে চায় এই ট্যাবু থেকে বেড়িয়ে আসতে পারলেই হয়তো সমাজ, সংস্কৃতি উন্নত ধারায় প্রবাহিত হতো। ভাল থাকুক সমাজের প্রতিটি জীবন। সুন্দর হউক সবার পথ চলা।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সুজন ভাই! অনেকদিন পরে পোস্ট দিলাম, আর প্রথমেই আপনাকে পেলাম। খুব ভালো লাগছে।

এক্স্যাক্টলি! ঠিক পয়েন্টে হিট করেছেন। "প্রশংসা কুড়ানো" বা ভাইরাল হবার এটেনশন সিকিং মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। নাহলে নষ্ট একটি ভবিষ্যৎ আমাদের জন্যে অপেক্ষা করে থাকবে।

আমারো একই কথা - ভাল থাকুক সমাজের প্রতিটি জীবন। সুন্দর হউক সবার পথ চলা।

ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল সুজন ভাই।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৯

আনমোনা বলেছেন: বিকৃতমানসিকতার মানুষ আগেও ছিলো, এখনো আছে, ভবিষৎএও থাকবে। কত রকম বই যে পড়েছি, ঠিক নেই। বিকৃতমানসিকতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমান যুগের একটি অনিবার্য বিষয়, এড়ানোর উপায় নেই। যেটা করা যেতে পারে, টিন এজারদের সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ লিমিটেড করা, যেটুকু করে তা খুব ক্লোজলী অবসার্ভ করা। ওদের লুকিয়ে নয়, জানিয়েই। সেই সাথে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, সে বিষয়ে আলোচনা করা, তাদের মতামত জানতে চাওয়া। তাদের ম্যাচুরিটি গ্রো করার সাথে সাথে আস্তে আস্তে ছেড়ে দেওয়া।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মনা আপু! এর আগে সব বাসি পোস্টে আসতে হয়েছে তোমাকে, এখন গরম গরম পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল। :)

সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা কতকিছু ভালো হচ্ছে সেটি দিয়েই পোস্ট শুরু করেছিলাম। আসলেই অনেক মহৎ ও সুন্দর কাজ করা সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে। দ্যা টেকনোলজি ইজ স্মার্ট, গট নাথিং এগেইনেস্ট ইট।

কিন্তু এটাও ঠিক সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে অনেক নেগেটিভ করে দিচ্ছে, রিসেন্ট নানা গবেষণা থেকে তা বোঝা যাচ্ছে। কোন একটি বাজে ঘটনা আগে মানুষ একদিন, দুদিন পেপারে পড়ত। এখন পেপারে পড়ছে, ফেসবুকে এসে পোস্ট দেখছে, ইউটিউবে মন্তব্যের ঝড় দেখছে। সবমিলে একই বাজে খাবার বারবার গিলেই যাচ্ছে নানা মাধ্যমে! এতে করে মনটা বিষিয়ে যাচ্ছে।

একটি বই বা যেকোন প্রিন্ট মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যমের মতো দ্রুত, ব্যাপক হারে পৌঁছাতে পারেনা। একটি কাগজের বই কিনতে টাকা লাগে, দোকানে যেতে হয়, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া এক ক্লিকেই সব হাজির করছে। শান্তশিষ্ট গৃহিনী হুট করে ফেসবুকে প্রেম শুরু করে দিচ্ছে, দায়িত্ববান বাবা মেয়ের বয়সী মেয়ের সামনে "কুল ডুড ইয়াং" হিসেবে নিজে প্রেজেন্ট করছে, এবং আরো হাজারটা কাহিনী। ডাবল লাইফ লিড করছে অনেকেই। বাস্তব জীবনে যে ছেলেটি মেয়েদের চোখের দিকে তাকাতে ভয় পায় সেই ফেসবুকে নোংরা কথা বলে যাচ্ছে। "কেউ আমাকে দেখতে পারছেনা" এই স্বাধীনতা অনেক ক্ষতি করছে। একসময়ে ক্ষতির পরিমাণ শুধু ব্যক্তি পর্যন্ত ছিল, এখন বেড়ে জাতীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছে!

সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমান যুগের একটি অনিবার্য বিষয়, এড়ানোর উপায় নেই। যেটা করা যেতে পারে, টিন এজারদের সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ লিমিটেড করা, যেটুকু করে তা খুব ক্লোজলী অবসার্ভ করা। ওদের লুকিয়ে নয়, জানিয়েই। সেই সাথে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, সে বিষয়ে আলোচনা করা, তাদের মতামত জানতে চাওয়া। তাদের ম্যাচুরিটি গ্রো করার সাথে সাথে আস্তে আস্তে ছেড়ে দেওয়া।
ভীষনভাবে সহমত পোষন করছি। আমার মনে হয় মডারেশন দরকার। একটা সারটেইন এজ এর আগে এবং কিছু সারটেইন সোশ্যাল মিডিয়া রিলেটেড কোর্স না করলে কাউকে একাউন্ট খুলতে দেওয়া যাবেনা।

সুন্দর মন্তব্যে থ্যাংকস। ভালো থেকো আপু।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে মানুষের মনোজগতের অন্ধকার দিকটা ক্রমাগতভাবে মানব জাতিকে বিবেক বিবেচনা বোধের বাইরে ঠেলে দিচ্ছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছে। মানুষের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে ধ্বস নেমেছে। আমার কাছে মনে হয়, কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা, মন্তব্য ও অন্যকে হেয় করার প্রবণতা অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও একপেশে মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। যথার্থ শিক্ষিত মানুষ কখনো এমন কাজ করতে পারেন না। বরং সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে এই অন্ধকারের মধ্যেও অনেক শিক্ষিত মানুষ রুচিশীল সৃষ্টিকর্মে নিয়োজিত আছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের সংখ্যা খুবই কম এবং দিনে দিনে তা' আরও কমে যাচ্ছে।

কবিগুরুকে নিয়ে অযৌক্তিক ও অশালীন মন্তব্যে আমি নিজেও খুব দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু মূর্খদের সঙ্গে তর্ক করে নিজেকে তাদের স্তরে নামিয়ে ফেলবো না বলে কোন মন্তব্য করিনি।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হেনাভাই!

অপব্যবহার! হ্যাঁ একদম ঠিক শব্দ। যে জিনিসটির ঠিক ব্যবহার দুনিয়া পাল্টাতে পারত, তারই অপব্যবহার মানুষ খুন পর্যন্ত করছে!

আমার কাছে মনে হয়, কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা, মন্তব্য ও অন্যকে হেয় করার প্রবণতা অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও একপেশে মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড আমার মনের কথা।

এই একই কারণে আমিও চুপ ছিলাম। অনেক উঁচু মানের মানুষকে রাস্তায় নামাচ্ছে মূর্খের দল। তাদেরকে কিছু বলা আর ব্রিক ওয়ালে মাথা চাপড়ানো একই ব্যাপার।

মোস্ট ওয়েলকাম হেনাভাই, আপনিও ভীষন ভালো থাকবেন।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

শায়মা বলেছেন: আমিও ভাবি নিস্পাপ শিশুটিই একদিন খুনী হয়ে ওঠে ......:(

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ শায়মা আপু! পোস্টে পেয়ে খুব খুশি হলাম।

এক্স্যাক্টলি। আমরা সবাই নিষ্পাপ হয়েই পৃথিবীতে আসি। পারিবারিক ও সামাজিক ভায়োলেন্স আর সোশ্যাল মিডিয়ার নানা বাজে প্রভাবই একজন শিশুকে সুস্থ ভাবে বড় হতে দেয়না, তার মন মানসিকতাকে বিষিয়ে দেয়। বড়রা সচেতন না হলে ছোটরা তো বখে যাবেই!

মন্তব্যে ধন্যবাদ, শুভকামনা।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: বহুদিন এলেন, পোষ্ট দিলেন।
ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি বহুদিন পরে হলেও এলাম তো নিজ ঘরে! :)
আপনিও ভীষন ভালো থাকুন পরিবারকে নিয়ে।

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৮

রাকু হাসান বলেছেন:



ধন্যবাদ মনের অব্যক্ত কথাগুলো লিখে পোস্ট করার জন্য । আমি মনে করি আপনার তুলে ধরা বিষয়বস্তু নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হওয়া দরকার । সচেতনতা বাড়ানো দরকার । আপনার বিশ্লেষণ চমৎকার হয়েছে । যে দুটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তা আগে দেখিনি । এখন দেখে অবাক হচ্ছি । এত ভিউ হলো কিভাবে ? এ রকম ভিডিওর অভাব নেই সোসাল মিডিয়াতে। এসব প্রমাণ করে আমরা কতটা বাজে সময় পার করি । তা না হলে অনর্থক ভিডিও দেখে এমবি খরচ ও সময় নষ্ট করে লাভ নেই । আপনার প্রত্যেকটি লাইনের সাথে আমি একমত । নোংরা জিনিসের প্রতি আকর্ষণটা আমাদের বেশি । হালের সেফুদা নামে একজন ছিল ,মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষের লাইভে হাজার হাজার ভিউ হয় । অশ্রাব্য গালাগাল শুনার জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে । আরেকজন ছিল প্রবাসী । এরা প্রতিনিয়ত অশ্লীলতা ছাড়াচ্ছে ছোট থেকে বড় সবাই এগুলো দেখছে । সে চাক না না চাক অবচেতন মনে একটা প্রভাব পড়ছেই । প্রাপ্ত বয়সে সেটা আরও প্রকট হবে । বিকৃত মানসিকতার অ নেক প্রজন্ম এভাবেই বেড়ে উঠছে । এক দুটি প্রজন্ম বিকৃত মানসিকতার নিয়ে বেড়ে উঠলেও একটি কথা ছিল । আসছে দিনে সুস্থ্য রুচিবোধের মানুষ পাওয়াটাই দুষ্কর হবে । আমরা ফেমাস হবার জন্য নোংরা এক মানসিকতা গড়ে তুলছি। আরও আছে প্রথম হবার প্রতিযোগিতা । আমার ছবিটাই সবচেয়ে বেশি সুন্দর হতে হবে । ভালো লাইক পেতে হবে । অন্যের লাইক পেতে ওর টাইমলাইনে গিয়ে সব ক’টা পোস্টে লাইক দিয়ে আসতে হবে । পড়ে বা না পড়ে ,বলতে হবে ইনবক্স বা কমেন্টে লাইক কমেন্ট করতে । অদ্ভুদ সব । এসবের শেষ কোথায় ? কে থামাবে এগুলো । অতি নোংরা কিছু ইউটিউভ চ্যালেন খুব অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে অনবরত । বাচ্চারা খুব দেখছে । বিনোদনের মাধ্যমে গুলো নির্মলতা হারাচ্ছে । অনেক ধরে এটা হয়ে আসছে ,কমছে না । রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে অনেক ট্রল হয় ,খুব পীঁড়া দেয় আমায় । বিখ্যাত ব্যক্তিরা বাদ যাচ্ছেন না । সোসালমিডয়াতে ফেমাস হওয়া পৃথিবীর সেরা সহজ কাজ গুলোর মাঝে একটি । যদি কেউ আত্মসম্মান জলাঞ্জলি দিতে জানে। আমরা না জেনেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে দিচ্ছি । বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থা গুলো বিশেষ নজর থাকে এখন সোসালমিডিয়ার দিকে । কিছু দিন সিআইএ'র কিছু গোপন দলিলের খবর শুনে আমি হতবাক । ওরা কিভাবে সোসাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে আর আমরা বিলিয়ে দিচ্ছি তথ্য । এটা নিয়ে একিদন লেখার ইচ্ছা আছে । সোসাল মিডিয়ার কল্যাণে অনেকেই তথাকপিত সেলিব্রেটি হয়েছে । এতে অন্যরাও উৎসাহীত হচ্ছে সেলিব্রেটি হতে তা বেশির ভাগই নেতিবাচক কন্টেন্ট এর মাধ্যমেই হচ্ছে । অন্য কে হয়রানি করাটা এখন একদম সহজ ব্যাপার । ফেসবুক পোস্ট,কমেন্ট কে কেন্দ্র করে মারামারি ,হাতাহাতির ঘটনা তো এখন পত্র পত্রিকায় দেখাই যায় । সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে আামাদের ডিপ্রেশন,দুচিন্তা ক্রমেই বাড়ছে । অন্যের মুখরোচক খাবার,নান্দনিক পোশাক ,গাড়ি ইত্যাদির ছবি দেখে হীনমান্যতায় ভুগছে । এগুলোর প্রভাব কিন্তু সুদূরপ্রসারি । রাজনীতিবিদরা সোসাল মিডিয়ার কল্যাণে ফায়দা লুটছে । ট্রল কে আমরা অধুনিক
যুগের অতি সাধারণ বিষয় হিসাবে ধরে নিচ্ছি । ব্যক্তিগতভাবে ট্রল আামার একদম পছন্দ না । এখানে সুস্থ্য রুচিবোধের অভাব আছে বলে মনে করি ।

এই বিষয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ । আমি চাই মাইক হেসন কোচ হোক ;) । সামু পাগলার পোস্টে মন্তব্য করবো অথচ ক্রিকেটীয় কিছু থাকবে না ! এটা হয় কিভাবে ;) :P ্ ঈদ কেমন কাটালেন ? :)

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাব্বাহ! এত সুন্দর ডিটেইলড মন্তব্যে আমার পোস্টের মান কয়েক গুণ বেড়ে গেল! ম্যানি ম্যানি থ্যাংকস।

এত ভিউ হলো রোস্টারদের কারণে। বাংলাদেশ ও কোলকাতার প্রায় সব ইউটিউবারই মেয়েটিকে রোস্ট করেছে। এতে করে মেয়েটি নিজেকে সেলিব্রেটি ভাবছে। আজকাল "কুখ্যাতি" কেও মানুষ খ্যাতি হিসেবে ধরে নেয়। সবাই আমাকে নিয়ে হাসছে তার মানে আমাকে নিয়ে ভাবছে, ব্যাস এতেই খুশি এই পাগলগুলো!

নোংরা জিনিসের প্রতি আকর্ষণটা আমাদের বেশি ।
এক্স্যাক্টলি। আপনি যেসব চরিত্রের কথা বলেছেন আমি লেখায় ইনডাইরেক্টলি তাদের একটিভিটি নিয়ে লিখেছি। কারো নাম নেইনি কেননা এমন অজস্র মানুষ রয়েছে। আর তাদের চেয়ে বেশি দোষ তো দর্শকদের যারা উৎসাহ দিয়ে এদের বড় করছে।

এরা প্রতিনিয়ত অশ্লীলতা ছাড়াচ্ছে ছোট থেকে বড় সবাই এগুলো দেখছে । সে চাক না না চাক অবচেতন মনে একটা প্রভাব পড়ছেই । প্রাপ্ত বয়সে সেটা আরও প্রকট হবে । বিকৃত মানসিকতার অ নেক প্রজন্ম এভাবেই বেড়ে উঠছে ।

বাবা মা বাচ্চাকে সাথে নিয়ে এসব দেখছে, ভাবছে অনেক হাসির কিছু। অহংকার করে সবাইকে বলছেন, "আমার বাচ্চা তো ইউটিউব ফেসবুকের পোকা, এই বয়সে এত বোঝে!" এগুলো যে পোকা না পাকা অতিমাত্রায়, তা যদি স্বয়ং বাবা মাই না বোঝে তাহলে সন্তানের ভবিষ্যৎ কি?

আজকাল এত বাজে সব লেখায় মানুষ এমন কমেন্ট করে! কিছু কিছু লেখক লেখিকা সিরিজ আকারে পুরো হিন্দি সিরিয়াল লিখে যাচ্ছেন, আর কমেন্ট সেকশন দেখলে আপনার মাথা খারাপ হয়ে যায়। সবাই এমন ভাবে নিম্নমানের লেখাগুলোর প্রশংসা করছে যেন সাক্ষাত রবীঠাকুর তাদের চোখের সামনে বসে আছে!

যারা রবীঠাকুরকে গালাগালি করে তাদের নৌকায় তুলে কোন দূর দ্বীপে দিয়ে আসতে পারলে মনটা শান্ত হত।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

অন্যের মুখরোচক খাবার,নান্দনিক পোশাক ,গাড়ি ইত্যাদির ছবি দেখে হীনমান্যতায় ভুগছে ।
সত্যি, মানুষের অহংকার আর হিংসা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। ফেসবুকে সুখের ছবিগুলো দেখে হিংসা হচ্ছে, আর কারো দুঃখের স্ট্যাটাস দেখে কোথাও একটা সুখ! খুব আনহেলদী একটা প্র্যাকটিসে জড়িয়ে যাচ্ছি আমরা।

হাহা তাতো বটেই, আমি কাকে চাই তাতো বলেছিলামই, তবে মনে হচ্ছে মাইক হেসনের সুযোগ বেশি। যেই হোক না কেন অগোছালো দলটিকে গুছিয়ে নিক এটাই কামনা।
প্রবাসের ঈদ যেমন হয় তেমনি, সাদামাটা।

দারূণ একটি মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা।

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পোস্টে হাজার/ দেড়হাজার কমেন্ট হয় বলে কমেন্টে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আমার আর কমেন্ট করা হয় না। আজও যেমন প্রথম দিকে একটু দেখেই বুঝতে পারলাম কমেন্ট করতে গেলে আরো অনেকটাই পড়তে হবে। এই মুহূর্তে ব্লগিং করার মতো অবস্থায় নেই। ।কিন্তু পরে যখন সময় নিয়ে আসবো ততক্ষণ হয়তো তেরোশো বাহান্ন নম্বর বা তারও বেশি কমেন্টস হবে। কাজেই প্রথম দিকে থাকার লোভে একটু অগোছালো কমেন্ট করলাম। দেখি পরের দিকে আবারো আসা সম্ভব হয় কিনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কি যে বলেন ভাই, ওভাবে মন্তব্যে শুধু আড্ডাঘরে পড়ে, আর আড্ডাঘর শুধু আমার নয়, আমাদের পোস্ট। সো আপনার পিছিয়ে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সময় সুযোগ করে বিষয়বস্তু নিয়ে নিজের মূল্যবান মতামত দিয়ে যাবেন।

আন্তরিক ধন্যবাদ ঘুরে যাবার জন্যে।
শুভেচ্ছা।

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৪

নাসির ইয়ামান বলেছেন: সমস্যার সমাধান বলেছেন হয়তো,তবে এর বাস্তবায়ন হবে তো?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি হবে যদি আমরা নিজেদের পরিবারের দিকে তাকাই। সবসময় কর্তৃপক্ষের এই করা উচিৎ, ওমুকের ঐ করা উচিৎ জ্ঞান না দিয়ে যদি নিজেদের দিকে তাকাই, তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: Social media become the heaven for the criminals people. Thats why negative events are concurrently emerging repidly.

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মোবাইলে ছিলেন বোধহয়! যাই হোক, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভালো ভালো কাজও হচ্ছে। কিন্তু খারাপ লোকেরা বেশি এটেনশন পাচ্ছে, সেটাই মেইন সমস্যা। এজন্যে যা স্বর্গ হতে পারত ভালোদের, তা নোংরা চিন্তার মানুষদের স্বর্গ হয়ে যাচ্ছে।

আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা।

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১৩

গরল বলেছেন: সবকিছুর মূলে হচ্ছে শিক্ষা, বিশেষ করে শিশু শিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা। মনজগতের বিকাশ হওয়ার আগেই যদি রুচি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তা সারা জীবনেও পাল্টানো যায় না এরপর সে যতই শিক্ষিত হোক না কেন। এখনকার বাচ্চারা ছোট বেলায় ইশপের গল্প না পড়ে দেখে শুধু মোটু-পাকলু বা ডোরেমন। তাহলে তাদের রুচি আর কত ভালো হবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম। শিক্ষার অভাব এবং এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক দু প্রকার শিক্ষার কথাই বলছি, মানুষকে এত নিচে নামাচ্ছে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েরা রবীঠাকুরকে ঘৃণা করছে, বড় বড় মানুষদের নিয়ে নোংরা কথা বলছে, টিকটকে জিএফ বিএফ এর সাথে ভিডিও দিচ্ছে! বাবা মা কি দেখে না এসব? আমরা তো কারো দিকে আড়চোখে তাকাতেও ভয় পেতাম, আর এরা ভিডিও করে সবাইকে দেখাচ্ছে! আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী কারোরই লজ্জা নেই! অবশ্য বড়রাও তো কম ভাড়ামো করছে না। টিভিতে কুরূচিপূর্ণ অনুষ্ঠান আর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনর্থক ভিডিওতে মজে আছে, ছোটরাও তাই শিখছে!

সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:০৬

সোহানী বলেছেন: চমৎকার ভাবনা।

যেভাবে সবাই ইউটিউব কেন্দকি হচ্ছে তাতে অবশ্যই সচেতনতা দরকার। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাধঁবে??? কর্পোরেট বেনিয়া কখনই তোমার ভালো চাইবে না, ধ্বংসই করে যাবে তরুন সমাজকে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সোহানী আপু! পোস্টে পেয়ে খুশি হলাম। ভালো আছেন আশা করি।

বিড়ালের গলায় ঘন্টা প্রতি পরিবারের হেডকে - সে দাদা দাদু, নানা নানু, বা বাবা মা হোক, তাদেরকে বাঁধতে হবে। তাদের নিজেদের ঠিক থাকতে হবে এবং ছোটদেরকে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো খারাপ দুটোই বোঝাতে হবে।

ধন্যবাদ মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বাধীনতা আর স্বৈরাচার - দুটোই সমান বিপদজনক!

স্বাধীনতার প্রকৃত উপলদ্ধিহীনতা এর অপপ্রয়োগে সমাজের বারোটা বাজায়!
আবার স্বৈরাচারিতার প্রচন্ডতাও মানুষকে উন্মাদনায় ডুবিয়ে দেয়।

আমাদের রাষ্ট্রীয় মটো কি ক্ষমতার শীর্ষে যারা তারাও বোধকরি বলতে পারবে না।
আমাদের সংস্কৃতির থিম কি? হা করে থাকবে প্রশ্ন করলে!
আমাদের বাংলাদেশী পরিচয়ের ব্রান্ডিংয়ে হাইলাইটস করার উপাদান গুলো কি কি?

ধর্ম, বর্ণ সামাজিক অবস্থান ভেদে সার্বজনীন যে আত্মমর্যাদাপূর্ণ যে জাতিগত পরিচয়; তার জন্য নেই কোন রুপরেখা।
আগে যেটা পরম্পরায় বয়ে আসতো পরিবার হয়ে, তাও বিপন্ন বৃহৎ পরিবারের ভাঙ্গনে
ক্ষুদ্র হতে হতে আমাদের ভাবনারাও ক্ষুদ্র হয়ে গেছে। স্বার্থপরতা! ব্যাক্তিকেন্দ্রিকতা, সাথে কর্পোরেট উস্কানী!
ব্যাস! অতিথিপরায়ন, সহিষ্ণু, বাউল, প্রেমিক বাঙালী জাতি হয়ে যাচ্ছে -স্বার্থপর, অসহিষ্ণু, ধর্ষক জাতিতে!!

রাষ্ট্রীয় দিক নির্দেশনা যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন অভিভাবক শ্রেণির ব্যাপক অংশগ্রহন। মিডিয়া হাউজগুলো সবচে বেশী দায়ী এ ক্ষেত্রে। তারা নির্ধারন করতে পারতো ব্যাপক বৃহত্তর জাতিগত চেতনায়! যেহেতু ডমিনেশনের একটা বড় চাবি তাদের হাতে। কিন্তু দু:খজনক ভাবে তারা যেমন গণতন্ত্র এবং আমজনতরা স্বার্থের বিরুদ্ধ কাজ করছে, তেমনি করছে জাতিয় সংষ্কৃতি ধ্বংসের মাধ্যম হিসেবে। সুস্থ ধারার, সামাজিক বন্ডিং বৃদ্ধি করার মতো নাটক বহুদিন দেখিনা। পারষ্পারিক দায়! সম্পর্কের পবিত্রতা, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা একদম অনুপস্থিত।
কমেডির নামে ভালগারিজমে চলে যাচ্ছে। হাস্যরসের নামে মৌলিক সুকুমার বোধগুলোকে হত্যা করছে। আর সব শেষে টিআরপি বাড়ানোর অজুহাতে অসুস্থ সংস্কৃতি, যে কোন শর্তে আপোষ করছে। যার আলটিমেট পরিণতি হচ্ছে সামাজিক জীবনের গিট গুলো, বাঁধন গুলো আলগা হয়ে যাচ্ছে। ভুগছে আমজনতা। বদলে যাচ্ছে আমাদের জাতিগত পরিচয় আমাদের অজান্তেই।!

দারুন লেখা, ভাবনা গুলোর পরিপক্কতা ছুঁয়ে গেছে! পোষ্টে উল্লেখিত একেকটি বিষয়েই বিশাল লেখনি হতে পারে।
তাই ভাবনায় সহমত হয়ে আমি শুধু আমার সামান্য ভাবনা শেয়ার করলাম!

হাইবারনেশন শেষ হলো তবে সখির!!!!!!!!! ;)
বাপ্রে! কত দীর্ঘ সময় . . . . . .

দারুন প্রত্যাবর্তনে শুভকামনা অন্তহীন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা! কতদিন পর! উফফ!

স্বাধীনতা আর স্বৈরাচার - দুটোই সমান বিপদজনক!
স্বাধীনতার প্রকৃত উপলদ্ধিহীনতা এর অপপ্রয়োগে সমাজের বারোটা বাজায়!
আবার স্বৈরাচারিতার প্রচন্ডতাও মানুষকে উন্মাদনায় ডুবিয়ে দেয়।

ওয়াও! অসাধারণ লিখেছেন সখা!

ব্যাস! অতিথিপরায়ন, সহিষ্ণু, বাউল, প্রেমিক বাঙালী জাতি হয়ে যাচ্ছে -স্বার্থপর, অসহিষ্ণু, ধর্ষক জাতিতে!!
চরম সত্যি এই লাইনটি পড়ে মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল। সত্য কেন এত কঠিন হয়? কেন এত বেশী তেতো হয় যে গেলা যায় না?

রাষ্ট্র, মিডিয়া অনেক বড় কিছু। তাদের কথা নাহয় বাদই দিলাম। আমরা সাধারণেরা কি করছি? অজুহাতের পর অজুহাত দাড় করাচ্ছি। পাওয়ারফুল মানুষগুলোকে গালাগালি করছি, তাদের দূর্নীতির কারণে দেশটা রসাতলে যাচ্ছে সেটা বলছি। কিন্তু নিজেরাও তো এমনকিছু সাধু সন্ন্যাসী নই আমরা। কারাপশন তো আমরাও করছি, নিজের দু টাকা লাভে ঘুষ তো সাধারণেরাও খাচ্ছে, সস্তা ভিউয়ের জন্যে অশালীন ভিডিও তো আমরাই বানাচ্ছি। যেমন ডেঙ্গু যেন না ছড়ায় এজন্যে কর্তৃপক্ষ সকলের বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে বললেন। অনেকে বলল কি, আমরাই যদি পরিষ্কার করি তো কর্তৃপক্ষ আছে কি করতে? যেন একটা জেদাজেদীর খেলা! আমরা যেমন আমাদের ওপরের মানুষেরাও তেমন হলে বলার তো কিছু থাকেনা। তারা তো আমাদের মধ্যে থেকেই এসেছেন।
যদি অন্যদের দিকে আঙুল না তুলে, প্রতিটি সাধারণ মানুষ নিজের দায়িত্ব ও অধিকার বিষয়ে সচেতন হতো তাহলে সবকিছু ঠিক না হলেও অনেককিছুই ঠিক হয়ে যেত।

সামান্য নয়, অসামান্য সব ভাবনা শেয়ার করেছেন। আপনার একেকটি মন্তব্য পোস্টের মানকে ছাড়িয়ে যায়। কৃতজ্ঞতা জানাই।

হাহা, জ্বী দীর্ঘ সময়। তবুও আপনাদের সবাইকে সবসময় পাশে পাই, এর যে সৌভাগ্যের আর কিছু হতে পারেনা।
ভালো থাকুন প্রতিটি মুহূর্ত!

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত জ্ঞানী পোস্ট। :)

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা ধন্যবাদ জ্ঞানের কথা বুঝতে পারা জ্ঞানী ব্যক্তিকে। :)
ভালো থাকুন।

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ভাই বলেছেন
কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা, অকথ্য মন্তব্য ও অন্যকে হেয় করার প্রবণতা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও একপেশে মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

একপেশে অবস্যই। ভাল করে লক্ষ করলে দেখবেন এই কুলাঙ্গাররা সবাই একটি চিহ্নিত রাজনৈতিক/ধর্মিয় গোষ্ঠির পক্ষ হয়ে মন্তব্যগুলো করছে। গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দলনে কোমলমতিদের হাতে জঘন্য ভাষাযুক্ত প্লাকার্ড (চেটেরবাল কন্ডম-শাউয়া চ বর্গিয়) নষ্ট ফাকিং প্রজন্মে পরিনত করে ফায়দা হাসিল করা হচ্ছিল।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলাকালিন প্রথম আলোর কমেন্ট বক্স উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল মাশরাফিকে অকথ্য গালাগাল করতে।
আমি প্রতিবাদমুলোক কমেন্ট করতে গেলে আমার কমেন্ট ছাপেনি, অতচ ভুল বানানে অকথ্য ভাষাগুলো ছাপা হচ্ছিল।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মাশরাফি ভাইকে নিয়ে এত বেশি বাজে কথা হচ্ছিল যে আমি প্রথম আলো পড়া বন্ধ রেখেছিলাম কিছুদিন। আজও দেখলাম তাকে নিয়ে বাজে একটি রিপোর্ট লেখা হয়েছে। যে মানুষটিকে ফুলের বন্যায় বিদায় দেওয়া উচিৎ ছিল, তাকে টেনেহিচড়ে রক্তাক্ত হৃদয়ে আমরা বিদায় করছি। নির্বাচক, সাংবাদিক, দর্শক সবাই মাশরাফি ভাইয়ের পিছে পড়ে গিয়েছে। কেন তিনি দেশের জন্যে এত ব্যাথা নিয়ে খেলতে গেলেন? কেন এই শরীরেও রাজনীতির কঠিন মাঠে পরিশ্রম করতে নামলেন? কেন দায়িত্বহীন কাউকে নিজের দায়িত্ব বোঝানোর চেষ্টা করলেন? এসবই ভুল ছিল তার! এত বেশি অকৃতজ্ঞ আর নিচে মন মানসকিতার কিভাবে হতে পারি আমরা? হ্যাঁ তিনি ভালো ক্রিকেট না খেললে ক্রিকেটিয় সমালোচনা চলতে পারে। কিন্তু তার বাবা মাকে ধরে গালাগালি, তিনি নাকি স্বার্থপর ক্ষমতালোভী! একটা মানুষের এত ভালো সব কথা আর কাজকে আমরা কিভাবে এত জলদি ভুলতে পারি? আমরা আসলে মাশরাফি ভাইয়ের মতো মানুষদের ডিজার্ভই করিনা। এটাই চরম সত্য।

সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা।

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপনার লজিক চমৎকার এবং আপনার জ্ঞানের সমৃদ্ধির প্রশংসা করতেই হয়!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৪

নতুন বলেছেন: এখন মানুষ বই পড়ে না। তাই এই জেনারেসনের মাঝে জ্ঞানের গভীরতা কম তাই তারা খুবই হালকা বিষয়ে আমুদে মেতে উঠে।

আগে ব্লগিং, ইউটিউবে ভিডিও বানাতো নিজের আনন্দে এখন বানায় বেশি ভিউের জন্য টাকা আসে সেই জন্য।

সোসাল মিডিয়া থাকবে এবং বাড়তেই থাকবে, কিন্তু আমাদের সন্তানদের জ্ঞান বৃদ্ধি, উন্নত চিন্তার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বই পড়তে উতসাহি করতে হবে। তাদের বিশ্বসাহিত্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

স্কুলে বিশ্বসাহিত্য পড়ার বিষয়টা যোগ করতে হবে, আগে আমরা বই পড়েছি বাড়ীতে পড়ার ফাকে এখন সেই সময়ে পোলাপাইন ফেসবুকে পড়ে থাকে.....

দশ`ন,সাহিত্য,ধমী`য় বিষয়ের জ্ঞান ছাড়া যদি একটা জেনারেসন বেড়ে উঠে সেটা খুবই ভয়ংকর ব্যাপার।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম ঠিক কথা দিয়ে শুরু করেছেন। স্বল্পবিদ্যার কারণে ছোট ছোট বিষয়ে অতি মুগ্ধতা, রাগ, ঘৃণা, ভালোবাসা কাজ করছে মানুষের মধ্যে। আর মূল্যহীন বিষয়গুলো কদিন খুব হিট হলেও, মানুষজন জলদি বোরডও হয়ে যাচ্ছে, নতুন মূল্যহীন কিছুর খোঁজ করছে। এই সাইকেল চলতেই থাকছে।

ফেসবুকেও ভালো ভালো লেখা আছে, সেসব না পড়ে যতসব আজেবাজে কাজ (গুজব ছড়ানো, মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা একাউন্ট হ্যাক করে ইত্যাদি) করছে একটি অংশ।

দশ`ন,সাহিত্য,ধমী`য় বিষয়ের জ্ঞান ছাড়া যদি একটা জেনারেসন বেড়ে উঠে সেটা খুবই ভয়ংকর ব্যাপার।
এরচেয়ে সুন্দর করে বলা সম্ভব নয়। কঠিনভাবে সহমত।

ভীষন রকম যথাযথ একটি মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বর্তমানের প্রজন্ম স্মার্টফোন নামক খেলনা নিয়ে মেতে আছে। শুধু স্মার্ট নাম দিলেই স্মার্ট হয় না। ভালো বললেই ভালো হয় না। এরা বই বাদ দিয়ে মোবাইল, কম্পিউটার, ট্যাব ব্যবহার করে। কিন্তু এগুলোর পরিমিত ব্যবহার হচ্ছে না। এগুলো দিয়েও যে নানা উপকারী কাজ করা যায় তা অধিকাংশ ব্যবহারকারীই জানে না। ছবি তুলে, ভিডিও করলেই হলো। তারপর আপলোড করে তথাকথিত সামাজিক হওয়ার চেষ্টা ।

দিন দিন এসব ডিজিটাল মাধ্যমগুলো সমাজের ক্ষয় করে চলেছে। তোমার পোস্টে যেগুলো বলেছো তা ছাড়াও আরো অনেক ধরনের উল্টাপাল্টা কাজ এই তরুণ সমাজ করছে। হ্যাকিং করে সম্মানহানি করা, গুজব ছড়ানো, ফেইক নিউজ, ক্লিক বেইউ এসব এখন অহরহ হচ্ছে। এদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই আছে ভাইরাল হওয়ার বিশ্রি উপায়। তোমার পোস্টের লিংকের ভিডিওর ভিউ কাউন্টই দেখায় কিভাবে এসব জিনিস জনগণ গিলছে !

শেয়ারইট এ্যাপ এ অত্যন্ত অশালীন ভিডিও আসছে। অপেরা সহ নানান ব্রাউজারে নিউজ আকারে আজেবাজে খবর, ভিডিও আসছে। টিকটিক সহ নানান ভিডিও এ্যাপগুলোর মাধ্যমে অশালীন কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। আর ইউটিউবসহ নানান এ্যাপস খুবই ধীরেধীরে অশ্লীল কন্টেন্ট মূল পাতায় যোগ করছে। Stories নামে একটা ট্যাব দেখবা সকল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাপে যোগ হয়েছে। সেখানে নানান আজেবাজে ছবি-ভিডিও আসছে। সাথে আছে অশালীন, আপত্তিকর বিজ্ঞাপন। আর লাইভ নামের ফিচার দিয়ে তো খুন করার দৃশ্যই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এগুলো সময়ের সাথে মানুষের রুচি পাল্টে দিচ্ছে। মানবমস্তিষ্ক হয়ে যাচ্ছে বিকৃত।

দেশের সর্বোচ্চ সার্চ করা জিনিস দেখলেই আরো ক্লিয়ার হতে পারো। সেখানে উদ্ভট জিনিস, নানান অভিনেত্রীর নাম শোভা পাচ্ছে। অশ্লীল সাইটগুলো দেশে দেখা লিস্টে উপরের দিকে অবস্থান করছে (এলেক্সা র্যাংক)।

ইন্টারনেট জগতে সবচেয়ে নিগৃহীত হচ্ছে নারীরা। এ বিষয়ে আর কি বলবো ! দেশের যেকোনো পত্রিকার ওয়েবসাইট খুললেই অসংখ্য ধর্ষণের খবর। এসব দেখে শিউরে উঠতে হয় ! যারা ধর্ষিতার পোষাক নিয়ে প্রশ্ন করে তাদের নিজের বোনটি শিকার হলেও কি পোষাক নিয়ে প্রশ্ন তুলবে?

সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতির ধারা বন্ধ করার কোনো সহজ উপায় নেই। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। সমাধানের একমাত্র উপায় হলো বই পড়ার অভ্যাস করা। বর্তমান প্রজন্ম বই তেমন পড়তে চায় না। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই বিষয়ে আমি ব্লগার নতুনের সাথে একমত। শুধুৃমাত্র পাঠ্যবই পড়ে মানুষ হওয়া যায় না। দরকার বিবিধ জ্ঞানের।



গবেষণা তো ভালোই করেছ। তাহলে তুমিও এগুলা ব্যবহার করো। আমি ব্যবহার না করেও এসব বিষয়ে জানি। সময় পেলে ডার্কওয়েবে ঘুরে এসো ;)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বর্তমানের প্রজন্ম স্মার্টফোন নামক খেলনা নিয়ে মেতে আছে। শুধু স্মার্ট নাম দিলেই স্মার্ট হয় না।
কুডন্ট এগ্রি মোর।

পরিমিতির যে কথা বললেন সেটাই আসল সমস্যা। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন সোশ্যাল মিডিয়া নয় তবে একটি বাজে এডিকশন ছিল বাচ্চাদের সেটা হলো ভিডিও গেমস। প্রতি বাড়িতে নিয়ম ছিল সারাদিনে হোমওয়ার্ক শেষ করার পরে এক ঘন্টা খেলা যাবে। আজকাল এমনকোন রেস্ট্রিকশন নেই বাচ্চাদের ওপরে! কর্মজীবী বাবা মায়েরা বাচ্চাকে সারাদিন সময় দেন না। রাতে বাড়িতে থাকার সময়ে বাচ্চারা যদি সময় কাটাতে চায় তাহলে ট্যাবলেটটা হাতে দিয়ে বলেন, "যাও বাবা খেলো!" অদ্ভুত ব্যাপার! এই যে টিকটক, মিউজিক্যালির এতসব অশালীন ভিডিও কি বাবা মায়ের চোখে পড়ে না? পড়ছে কিন্তু শাসন করতে গেলে তো ক্যারিয়ার, হিন্দি সিরিয়াল, ব্যক্তিগত ফ্রি টাইমের ক্ষতি করতে হবে। তাই "ডিজিটাল প্যারেন্টস" হবার চেষ্টায় সবাই।

মেয়েদের ব্যাপারটি নিয়ে কি আর বলব! এত নোংরা সব মন্তব্য মেয়েদের নিয়ে করা হয়! যেন শালীনতা, ভদ্রতার সব দায় মেয়েদের। যাই হোক না কেন নারীদের ছোট করতে, দোষ দিতে কি যে ভীষন আনন্দ পাচ্ছেন এক শ্রেনীর পুরুষ! এসব মানুষদের সাথে ঝগড়া করার মূর্খতা দেখাইনা। এরা পাল্টাবে না, নারীদের অসম্মানের কুশিক্ষা এরা বাবা, দাদার থেকে পেয়ে আসছে। এটাকেই এরা ২্+২ = ৪ মনে করে। ছি!

বই পড়াই হোক বা গান, নাচ সহ যেকোন সৃষ্টিশীল কাজে ব্যস্ত থাকা আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে পরিমিতি বোধ, এসবই বর্তমান পরিস্থিতি পাল্টাতে পারবে।

নাহ করিনা, অন্যদের ব্যবহার করতে দেখি। ;)

ডিটেইলে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন, থ্যাংকস এ লট।
ভালো থাকুন।

১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: এই ধরনের ভিডিও গুলো বরাবরই এভোয়েট করি।

অনেক বেশি অবাক হলাম লিংকের ভিডিওটা দেখে।


কমেন্টস্ এর ব্যাপারে বলতে গেলে- বেশিরভাগ শিক্ষিত লোকরাই কু- মন্তব্য করে থাকে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যেটা দেখেছেন সেটা কিছুই না, দেশ বিদেশে এমন অনেক উদ্ভট ভিডিও রয়েছে, যেখানে একটি মানুষ শুধু খেতেই থাকে পুরোটা ভিডিও! আরো অনেক প্রকারের অনর্থক কন্টেন্ট দেখা যাচ্ছে সারাবিশ্বে।

শিক্ষিত? কেমন শিক্ষিত? একেক জনের ভাষা আর ভাবনার ধরণ দেখলে তো এইট ফেইল মনে হয়। সত্যিই! আর যারা অনেক শিক্ষিত হয়েও একপেশে, গালাগালিপূর্ণ মন্তব্য করছেন তাদের পারিবারিক শিক্ষার অভাব আছে। যেমন পদার্থবিদ্যায় মাস্টারস করলে শুধু বিজ্ঞান জানা যায়, কিন্তু মূল্যবোধ তো পরিবার থেকে আসে। কারো পরিবারের সবাই যদি মূল্যবোধহীন হয় সেই মানুষটি যত বড় ভার্সিটির যত বড় ডিগ্রীই নিক না কেন, আচরণ মানুষের মতো হবেনা।

ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা।

১৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি ব্লগে এখন ব্যস্ততার জন্য আসতেই পারি না। বেশ কয়েকদিন আগে এই পোস্ট পড়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল একটা মন্তব্য করা দরকার, সেজন্যই আজকে লগইন করলাম।।
ইন্টারনেট, সোসাল মিডিয়ার এই উন্মুক্ততা আসলে কতটুকু আমাদের দেশে দরকার সেটা ভেবে দেখার দরকার। ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়া বাবা মার বাচ্চাদের স্মার্ট বানানোর জন্য। এদের কতভাগ স্মার্ট হয় আর কত ভাগ নষ্ট হয় সেটার দেশে সমীক্ষা চালানো দরকার। Youtube, shareIt, Fecebook সহ সোসাল মিডিয়াগুলিতে যেহারে এডাল্ট কন্টেন্ট আসে, আমি ভয়ে বাচ্চাকে ইন্টারনেটেই ঢুকতে দেই না।
মেয়েরা নিজেরাই আজকাল নিজেদের টেনে হিচড়ে নীচে নামাচ্ছে। লোকজন্দের আর দোষ দিয়ে লাভ কি? নিজেকে এত সহজলভ্য করলে এর পরিনতি এই রকম হতে বাধ্য।

অনেকদিন পরে লিখলেও লেখার টোন একই আছে। পড়ে ভাল লাগলো, আপু। ভাল থাকুন, সব সময়।
শুভ রাত্রী।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মেয়েরা নিজেরাই আজকাল নিজেদের টেনে হিচড়ে নীচে নামাচ্ছে। লোকজন্দের আর দোষ দিয়ে লাভ কি? নিজেকে এত সহজলভ্য করলে এর পরিনতি এই রকম হতে বাধ্য।
এধরণের মন্তব্যের বিরুদ্ধেই পোস্টে লিখেছি। এই মন্তব্যটিতে অনেক বড় একটা সমস্যা আছে। সমস্যাটা এত বড় যে আমি একটি মন্তব্যে হয়ত এডরেসও করতে পারবনা ঠিকভাবে।

মেয়েরা নিজেদেরকে নীচে নামাচ্ছে, তো দেখে নেই "আজকালকার" মেয়েরা কি এমন করছে। ওহ তার আগে এটাও বলে রাখি, আমাদের নানী দাদী ইভেন তাদের শত বছর আগের নারীদের যুগেও ছেলেরা "আজকালকার" মেয়েদের ব্যাপারে এমন ধারণাই পোষণ করত। সবযুগের "আজকালকার" মেয়েদেরকে খারাপই মনে করা হয়ে থাকে।

১) মেয়েরা পরকীয়ায় জড়াচ্ছে, স্বামী সন্তানকে ফেলে চলে যাচ্ছে কারো হাত ধরে। ভীষনকরম অপরাধের কাজ, ক্ষমা করা যায়না এমন অপরাধ। কিন্তু এমন হাজারটা ছেলেও তো আছে যারা পরকীয়া করছে, বউ পেটাচ্ছে, মাতাল হয়ে বউকে মেরেধরে বউয়ের টাকায় ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে, বউকে না জানিয়ে আরেকটা বিয়ে করে বাড়ি ফিরছে।
২) মেয়েরা ছোট ছোট কাপড় পড়ছে। বাংলাদেশী পোশাক পড়ছেনা। কিন্তু রাস্তাঘাটে যতগুলো শাড়ি, বোরখা, হেজাব, সালোয়ার কামিজ পড়া মেয়ে দেখা যায়, সেই তুলনায় বেশিরভাগ ছেলেরা তো ওয়েস্টার্নই পড়ছে। ধর্ম, সংস্কৃতি রক্ষার দায়িত্ব তবে শুধু মেয়েদের?
৩) মেয়েরা প্রেম করছে কারো সাথে, বিয়ে করছে অন্যকারো সাথে। নিঃসন্দেহে খারাপ কাজ, তবে ছেলেরা কি মেয়েদের মন ভাঙ্গে না? মেয়েরা নিজেদেরকে জলদি সামলে নিতে পারে। মদে ডুবে না গিয়ে নিজেকে গুছিয়ে নেয়। চারিদিকে ঢোল পিটিয়ে বলতে থাকে না যে "আমার মন ভেঙ্গেছে, অমুক বাড়ি সুদর্শন ছেলে আমার মন ভেঙ্গেছে! ছলনাময় সব!"
যদি সব মেয়ে সকল বাজে অভিজ্ঞতা শেয়ার করত তাহলে দেখা যেত খারাপ ভালো ছেলে মেয়ে দুজনের মধ্যেই আছে।

সমাজের এই ভাবনা একদম ভুল যে একটি মেয়ে লেট নাইট পার্টি করলেই তাকে ধর্ষণ করা যায়, শাশুড়ির সাথে মানাতে না পারলে তাকে পোড়ানো যায়, জব করতে গেলে "গিভ এন্ড টেকের" প্রপোজাল দেওয়া যায়, বিয়ের আগে নানা ছেলের শয্যাসঙ্গী হলে তার ভিডিও প্রকাশের ভয়ে দেখিয়ে বারবার অনেককে দিয়ে ধর্ষণ করা যায়। (কোন সভ্য দেশে এভাবে ভাবা হয়না, এগুলো ১০০% বেআইনি)

আমি বলছিনা যে একটা মেয়ের অশালীন পোশাক পড়া উচিৎ (কোনটা শালীন কোনটা অশালীন সেটা বিচার করা সহজ নয়), বা স্লিপিং এরাউন্ড নৈতিক কিছু, আমি এটা বলছি যে মেয়েটি যা করছে কোন না কোন পুরুষের সাথে মিলেই করছে। তাহলে কিছু কিছু পুরুষের মনে কেন এটা গেঁথে গিয়েছে যে মেয়েটিকে আলাদা করে শাস্তি দেওয়া যায়? যে কাজে একটি ছেলে "পুরুষ দ্যা রিয়েল ম্যান" হচ্ছে সেই একই কাজে মেয়েটি কেন "স্ল্যাট" হচ্ছে?

আপনি বললেন অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ কি? তো নারীজাতিকে তো আমরা দোষ দিয়েই যাচ্ছি যুগের পর যুগ ধরে। তাতেই বা লাভ কি হয়েছে? একটা মেয়ে যতোই খারাপ হোক না কেন তাতে ছেলেটির ধর্ষণ, খুন, শারীরিক অত্যাচার বৈধ হয়ে যায়না। একটা মেয়ে যে পোশাকেই ধর্ষিত হোক না কেন দোষ ধর্ষকের। একটা মেয়ে যে অপরাধেই খুন হোক না কেন বিচারবহির্ভূত হ্ত্যা অপরাধ। কত সহজ একটা ব্যাপার আমরা এত হাজার বছরেও বুঝতে পারিনি!

মেয়েদের সাথে যতোই খারাপ হোক তারা নাকি কাউকে দোষ দিতে পারবেনা, আয়নায় তাকিয়ে নিজের দোষ ধরতে হবে। তারপরে মেন্টাল স্ট্রেস নিতে না পেরে আত্মহত্যা করতে হবে। বাহ! এভাবেই সমাজের সকল অপরাধ কমে যাবে।? মেয়েগুলো যদি একটু ভালো হতো তবেই পুরুষেরা ধর্ষণ বন্ধ করে দিত।? আমি যদি বলি, "পুরুষেরা একটু ভালো হলে মেয়েরা সকল খারাপ কাজ ছেড়ে দেবে? পুরুষের যদি না তাকায় মেয়েরা ছোট পোশাক পড়বে কার জন্যে? মেয়েদের আহবানে সারা না দিলেই তো হলো, তাহলেই তো পরকীয়া, বিয়ের আগের অনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে যায়।" আর উই লিডিং এনিহোয়েআর? নো উই আর নট!

মেয়েদেরকে নিজেদের ভুলের দায়িত্ব নিতে হবে, এবং ছেলেদেরকে নিজেদের। ধর্ষণ বা যেকোন সেক্সুয়াল এবিউজ যেকোন অবস্থাতে অপরাধ (কোন মেয়ে করুক বা ছেলে)। সেল্ফ ডিফেন্স ছাড়া অন্যকোন কারণে কাউকে মারধোর করা যাবেনা (ছেলে হোক বা মেয়ে)। যদি কেউ এমন অপরাধ করে দোষ ১০০% অপরাধীর। বিশ্বের সভ্য সমাজগুলো যা সহজে বুঝেছে, আমাদেরকেও এখন সভ্য হয়ে তা বুঝতে হবে।

আপনার কথাটি আমি ঠিকভাবে লিখি এখন:
ছেলেমেয়েরা নিজেরাই আজকাল নিজেদের টেনে হিচড়ে নীচে নামাচ্ছে। একে অপরকে আর দোষ দিয়ে লাভ কি? নিজেকে যতই সহজলভ্য করুক কেউ (ছেলে বা মেয়ে), তার পরিনতি কোন রকম এবিউজ, খুন, ধর্ষণ, বাজে ভাবে তাকানো, গালাগালি হতে পারেনা। অপোজিট সেক্সকে দোষ না দিয়ে নিজে আগে ঠিক হই, ব্যাস সমাজ পাল্টে যাবে।

আপনি সময় করে মনে করে এসে পোস্টটিতে মন্তব্য করে গিয়েছেন। থ্যাংকস ফর দ্যাট।
ভালো থাকুন, সবাইকে ভালো রাখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.