নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলোমেলো ডায়েরী: শৈশবের ৯ টি সবচেয়ে স্বস্তির, মজার মুহূর্ত! আমার সাথে আপনারটা মেলে কি? :) :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫



পূর্বের পর্বগুলো: এলোমেলো ডায়েরি: ঈদ ইন বিদেশ ভার্সেস বাংলাদেশ। দেশীয় ঈদের যে ৬ টি জিনিস প্রবাসে সবচেয়ে মিস করি!
এলোমেলো ডায়েরী (২): ৭ টি গা জ্বালানি বাংলাদেশী সমাজের কথা, শুনলে মনে হয় বক্তার মাথায় গরম পানি ঢেলে দেই!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১) ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হবার পরে বাড়িতে ফেরার মুহূর্তটা। যা পড়তাম তার বেশিরভাগই পরীক্ষায় উগড়ে দেবার পরপরই মাথা থেকে মুছে যেত। কিন্তু রবীঠাকুরের ঐ ছড়াটি পুরো রাস্তা মনে মিষ্টি একটি সুরের মতো করে বাজতে থাকত! ঐ একটি পড়া জিনিস কোন বছর ভুলতাম না। হাহা।

ওটুকুই আসল "ছুটির" মজা ছিল। বাড়িতে ফেরার পরে এতদিনের সব "এটা করব, ওটা করব" প্ল্যান গুলোকে হুট করে কেমন যেন ফিকে মনে হতো! কোন কিছু "পাব পাব" সময়টা অনেক বেশি আনন্দের, পেয়ে যাবার পরে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে চারপাশ।



২) যে পরীক্ষায় খারাপ করব ধরে নিয়েছিলাম, সেখানে অস্বাভাবিক ভাবে ভালো করা! আর যেদিন হোমওয়ার্ক করে যাইনি সেদিন যদি টিচার পড়া না ধরতেন বা ধরলে আগডুম বাগডুম বললেও অন্যমনস্ক টিচার বুঝতে না পারতেন! পুরোটা নার্ভাস টাইম পার করার পরে যখন সেই ক্লাস শেষের ঘন্টা পড়ত অথবা টিচার ভুলভাল পড়া শুনেও "গুড বা ঠিক আছে" বলে বসতে বলতেন। উফফ! স্বর্গ! :)

৩) চিপস ও চুইংগামের প্যাকেটের মধ্যে সেই খেলনা বা স্টিকারটি পাওয়া যেটি এখনো কালেকশনে নেই। চিপস কেনাই হতো ফ্রি খেলনাগুলোর জন্যে অথবা প্রিয় খেলোয়াড়, রেস্টলারদের কার্ড পাওয়ার জন্যে। তখন ট্যাটু স্টিকার কালেকশন করাটাও একটা হবি ছিল বাচ্চাদের। সেগুলো রুমে, ব্যাটে, হাতে লাগানো মানে "ভাবস" ;) বেড়ে যাওয়া।





৪) টিফিনে লুচি, লাড্ডু, পুড়ি, সামুচা, কালো মিষ্টি ইত্যাদি পাওয়া! মা সাথে মজার মজার টিফিন দিয়ে দিত, কিন্তু ঐ যে, "পরের বাড়ি পিঠে, খেতে বড় মিঠে!" ;)
যদি ডিম আর কলা টিফিনে আসত কি যে মন খারাপ হতো সবার! টিফিন টাইম হবার আগেই অনেকে খোঁজ নিতে চলে যেত, টিফিন মাসির গামলায় কি আছে জানার চেষ্টা করত। হাহা।

৫) গোসলের সময়ের আগ দিয়ে বৃষ্টি হওয়া, কেননা তখন বড়রা ভিজতে অতোটা বাঁধা দিতেন না। তারা ভাবতেন, ভিজে কাঁদামাটি লাগলে সমস্যা নেই, গোসল তো করেই ফেলবে বাচ্চারা।
কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই বৃষ্টি অসময়ে আসত। এমন যে কতবার হয়েছে, মেঘলা আকাশ দেখে গোসল করতে যাচ্ছিনা, বৃষ্টিতে ভিজে তবেই যাব। বেলা বেশি হয়ে গেলে মা জোর করে গোসলে পাঠাত, আমিও ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে বোরড। ওমা! কি অবাক ব্যাপার, গোসল করে বের হয়ে চুলও মুছতে পারলাম না, জোরে জোরে বৃষ্টি পড়া শুরু!



৬) ঈদের কয়েক মাস আগে প্রথম কারো কোন কথায় মনে হওয়া, "আরেহ বছর ঘুরে আবার ঈদ আসছে!" হয়ত বাবা মা ঈদে কার জন্যে কি উপহার নেবেন সেটা লিস্ট করছেন, বা বান্ধবীরা ঈদে নানার বাড়ি যাবে না দাদার বাড়ি যাবে এটা নিয়ে আলোচনা করছে।
এটা সবাই মানবেন যে ঈদের দিনের চেয়েও বেশি আনন্দের "ঈদ আসছে, ঈদ আসছে!" সময়টা!
ঈদের রাতে আমার মনটা যে কি ভীষন খারাপ হতো! বুকটা খালি খালি লাগত!


৭) বেশ অনেকদিন নানা নানী, দাদা দাদী, মামা মামী বা যেকোন আত্মীয়ের বাসায় কাটিয়ে নিজের বাড়িতে, নিজের বিছানায় শরীর এলানোর মুহূর্তটা! আপনজনদের ছেড়ে আসার সময়টা ভীষন কষ্টের, কিন্তু নিজের আপন নীড়ের যে কি মায়া! সেই মায়ায় ঘরে ঢোকামাত্র মন খারাপ পালিয়ে যেত!

৮) ছোট ছোট মজা - বড় কারো জামা পড়ে, ছোট কাজিন বা ভাই বোনদের ভয় দেখানো যে আমার দু হাত গায়েব! পাওডার মেঝেতে ফেলে "পিছলাপিছলি" খেলা! দরজার পিছে দাড়িয়ে থাকা, কেউ আসলে "ভু" বলে ভয় দেখানোর জন্যে। গাড়িতে যেতে যেতে চাঁদকে চোখে চোখে রাখা, কে আগে যায় চাঁদ না গাড়ি? :D



৯) বহুদিন বহু চেষ্টার পরে কোন ভিডিওগেম জেতা বা ফাইনাল স্টেজে যাওয়া। ওহ দোজ ওয়ের দ্যা ডেজ আই মিন গেমস!
রোডর‌্যাশে আমার সবচেয়ে প্রিয় পার্ট ছিল কিকিং আদার বাইকস। আমার ছেলে সাথী বন্ধুরা শুধু শেষে "উইনার কিস" পাওয়ার জন্যেই খেলত। :`> ছেলেগুলো ছোট থেকেই শয়তান হয়! হাহাহা।

ডেস্কবলের ঐ পাওয়ারগুলো মনে আছে? গুলি করার, আগুন ছোড়ার, অনেকগুলো বল পাবার ইত্যাদি নানাকিছু! মনের মতো পাওয়ার পেতে কি যে ভালো লাগত! আর খেলায় হারা হারা সময়ে "লাইফ" পাওয়া! মনে হতো আসলেই দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি!

ডুম ওয়াজ রিয়েলি স্কেয়ারি। যখন একেক জায়গা থেকে একেক ভূত আসত, সত্যিই চমকে উঠতে হতো। বাট কয়েকবার খেললে একটা আইডিয়া হয়ে যেত। কোথায় লুকানো উচিৎ, কোথায় লাইফ বাড়বে ইত্যাদি!
আর ভি কপ? তিনটি ধরণ শেষ করে দ্যা আলটিমেট বসকে প্রথমবার মারার মুহূর্তটা কখনো ভোলা যাবেনা!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

খুঁজলে এমন অনেক হাজার সুন্দর মুহূর্ত পাওয়া যাবে। ছোটবেলাটা হয়ই এমন আনন্দময়! আপনাদের সাথে কোনগুলো মিলল আর নতুন কি কি মজা করতেন সেটা অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।

সকল ছবিসূত্র: অন্তর্জাল!

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর অসাধারণ একটি পোস্ট।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সাজ্জাদ ভাইয়া, থ্যাংকস এ লট প্রথম মন্তব্যে।
ভালো থাকবেন।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: নস্টালজিক হলাম, আরে রোড় র‍্যাশতো আমারও প্রিয় খেলা ছিল কত সময় যে নষ্ট করেছি এই গেমের পিছনে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নষ্ট বলবেন না, বলুন কত সোনালী সব সময় কাটিয়েছি গেমটির কারণে! হাহা, সত্যিই রোডর‌্যাশের সেই মিউজিকটা স্টার্ট হওয়া শুরু করলেই কি যে আনন্দ আর উত্তেজনা শুরু হতো মনে!

ধন্যবাদ মন্তব্যে।
শুভকামনা!

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১০

আনমোনা বলেছেন: অতিথি আসলে চেয়ার টেনে তাতে উঠে দরজার ছিটকানি খোলা।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মনা আপু!

হাহা খুব মজার একটা জিনিস মনে করিয়ে দিলে। আসলেই এটা আমিও করেছি।

পোস্ট পড়ার জন্যে থ্যাংকস।
ভাল থেকো।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। মিল আছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কোনগুলো মেলে?

মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা!

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০০

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন।খুবই ভাল লাগল।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লিখতে লিখতে আমিও ছোটবেলায় ফিরে গিয়ে মজা পেয়েছি। পাঠকেরাও নিজেদের শৈশবকে মনে করে আনন্দ পেলে আমার খুবই ভালো লাগবে।

মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ!
শুভকামনা!

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪০

সেতুর বন্ধন বলেছেন: "পুরানো সেই দিনের কথা,,,,,,"

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়।
ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।
আয় আর একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশ বেশ B-))

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার শৈশবের সাথে কোনটা মিলেছে?

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৬

আনমোনা বলেছেন: আমি আর্কুর পিছে আসিনি, আগেই এসেছি।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হিহি হাহা। ইউ আর ফানি।

তুমি তো অনেক আগেই আসো আপু, ঐ আর্কি ব্যাটা একদম শেষের দিকে এসে গাড়ি গাড়ি ক্রেডিট নিতে চায়। লল।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৮

আনমোনা বলেছেন: চেয়ার টেনে উঠে দরজা খুলে দিলাম।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। সব'কটিই মিলেছে।

স্কুল টাইমে স্যারেরা ক্লাসে আসাযাওয়ার ফাঁকেফাঁকে আমরা 'ক্রস পেন' এবং কলম খাতা দিয়ে আরো কিছু খেলা ছিলো, ওগুলো খেলতাম।
নাইন-টেনএ টিফিন টাইমে 'দাবা খেলা' ও বেশ পছন্দ ছিলো।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওয়াও সবগুলো মিলেছে? জোশ!

এই এই এসব পেন খাতার খেলাগুলো আমরাও অনেক খেলেছি। বাচ্চারা হাতের কাছে যাই পাক না কেন সেটাকে খেলনা বানিয়ে ফেলতে পারে। হোক তা খাবার বা পড়াশোনার কোন জিনিস!

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

১১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্কুল পালিয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে যাওয়া, বড় ভাইয়ের সাথে ঘুড়ি উড়ানো আর একটা শয়তানি কাজ (এখানে বলবো না) এগুলোই ছিল আমার স্বস্তির মুহূর্ত। তখনকার দিনে একতলা স্কুল ভবনের কামরাগুলোর জানালায় গ্রিল থাকতো না। তো আমার বড় ভাই পেছন দিকের একটা জানালা দিয়ে ছোট্ট এক টুকরা ঢিল আমার গায়ে ছুঁড়ে জানিয়ে দিতেন যে এখন ঘুড়ি উড়ানোর সময় হয়ে গেছে এবং তিনি আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। ব্যস! পরের পিরিয়ডে আমি আর স্কুলে নেই। জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে বড় ভাইয়ের সাথে আমি উধাও হয়ে যেতাম। কী মজার সব দিন ছিল সেসব।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইশ কি সুন্দর একটি মন্তব্য! কতসব আনন্দময় স্মৃতি লুকিয়ে থাকে সবার শৈশবে! আপনার এক লাইনের গল্পগুলো পড়ে আমি এবং এ পোস্টে আসা সবাই অনেক মজা পেয়েছি। ধন্যবাদ হেনাভাই!

অনেক ভালো থাকুন।

১২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট আপি

কিন্তু এখনো বৃষ্টি এমন করে। ঈদে শ্বশুর বাড়ি ছিলাম। বৃষ্টিতে ভিজবো বলে গোসলে যাচ্ছি না। কিন্তু বদ বৃষ্টি আর আসে না। গোসল করে ঘরে পৌছা মাত্রই বৃষ্টি। দেবরের বউ তখন ভিজে গোসল করে আমাকে চেতায় হাহাহা... তবে ভিজছি এবার বৃষ্টিতে গোসল সেড়ে পুকুরে ঝাপ দিয়েছি। আহা গ্রামের জীবন আনন্দময় জীবন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ছবি আপু!

থ্যাংকস পোস্টটাকে সুন্দর বলার জন্যে!

নাহ, এই বৃষ্টি আর শুধরালো না। তবে তোমারো বেশ মজা, এখনো শৈশবই কাটিয়ে যাচ্ছ! আর দেবরের বউকে পেয়েছ সাথী হিসেবে! :)

এমনই ভালো থেকো আপি।

১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বড় আফসুস সেই দিনগুলো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
++++++++++++++

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তা ঠিক, তবে এখন যা চলছে তাও অনেক সুন্দর। শৈশবে যেমন আমরা বুঝতাম না শৈশব কতটা সুন্দর সেভাবেই বর্তমানের সুন্দর সময়টাকে পূর্ণ মনে এনজয় করতে পারিনা। আসলে জীবনের প্রতিটি সময়েরই আলাদা মজা থাকে।

প্লাসের জন্যে থ্যাংকস এ লট।
শুভকামনা!

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। সবগুলোই মিলেছে। আসলে শৈশব কৈশোরে এইগুলা এভারেজ সব শিশু'ই করে।

স্টিকার সংগ্রহ করা, হাতে লাগানো; বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলা, মোবাইলে সাপ খেলা, ক্যারেম খেলা, কম্পিউটারে হিটম্যান -৪৭, ভি কপ,এরিয়া ইত্যাদি সিরিজের গেম খেলা তখন বেশ আনন্দের ছিলো। সমস্যা ছিলো বিদ্যুতের।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এভারেজ শিশুরা করে তবে সব শিশুরই কিছু এক্সট্রা গল্প থাকে। জিজ্ঞেস করার কারণ সেসব আলাদা গল্প শোনার লোভ!

সাপের খেলাটা আসলেই অনেক জনপ্রিয় ছিল, এখন যা বোরিং লাগে তা তখন খুব উত্তেজনাকর মনে হতো। এডিক্টিভ!

ধন্যবাদ আবারো এসে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্যে।
ভালো থাকুন।

১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোনগুলো মেলে?
মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা!

সব গুলোই। বৃষ্টিতে ভেজা, টেটু লাগানো, গেমস খেলা।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ট্যাটু লাগানোর জন্যে কত যে বকা খেতাম! মা বা বড় কেউ দেখলে বরফ দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে দিত, এগুলো নাকি বিগড়ে যাওয়া বাচ্চাদের কাজ, ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে - আরো কতকি! হাহা ওহ দোজ ডেজ!

ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যের উত্তরে।
ভালো থাকুন।

১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অমন করে শৈশব
স্মৃতি কে জাগাতে চায়?
সবতো নয়গো মধুর
কিছু কিছু বেদনাও জাগায়!

১, ৭, ৮, ৯ মোস্টলি কমন। :)
আর ছেলে মানুষ বলেই বাকী কিছু ভিন্নতাতো থাকবেই। রোড র‌্যাশের প্রাপ্তযোগের হিসেবে ;)
বর্ষাতে পুকুরে ডুব দিয়ে বৃষ্টির শব্দ শোনা
রেল ব্রীজ থেকে লাফিয়ে নদীতে ডাইভ দেয়া
রেলের পালকীতে দাড়িয়ে ট্রেন যাবার সময় কাপুনি অনুভব
রেলের পাতে কান পেতে ট্রেন কতদূরে বোঝঅর চেষ্টা!
সকাল বেলা স্কুলের সামনে বটগাছের নীচে আইসক্রীম ্ওয়ালারর ঢাকনা দিয়ে স্পেশাল বাড়ি শুনলে বুঝতাম-
দিজ দা টাইম টু মেক লিপস রেড ;) বরফ আইসক্রিম খেলে ঠোট, জিভ লাল হয়ে যেত আইসক্রিমের রঙে ;)
বৃষ্টির সময় স্কুলের গাছের পাকা কাঠাল খোঁজা ;) (একদিন গাছে সাপ দেখার পর থেকে বন :-/ )
বৃষ্টির জলে জাম্বুরা দিয়ে বল না পানি ছিটাছিটি বোঝা যেতনা একসময় ;) খেলা
শরীর ভাল না থাকলে বা ভিজতে না পারলে- কাগজের নৌকা বানিয়ে উঠোনের জমা জলে ছেড়ে দেয়া - - -

হেনা ভাইয়ের মতো দুষ্ট মিষ্টি ঘটনা আছে- এখানে বলা যাবেনা ;) B-) হা হা হা

উফসসস আর পারনিা সখি! স্মৃতির ভারে বুঝি তলিয়েই যাব। আজ তবে থাক এটুকুই :)

শেষ বেলায় সেই অমর গান শৈশব নিয়ে :

ইয়ে দৌলত ভি লেলো ইয়ে সোহরত ভি লেলো
ভালে ছিনলো মুঝসে মেরে জাওয়ানী
মাগার মুঝকো লটাদো বচপান কা শ্রাবন
ও কাগজ কি কাস্তি ও বারিষ কা পানি!!!

স্মৃতির ঝাঁপি খূলে দেয়ায় - অন্তহীন শুভেচ্ছা আর অফুরান শুভকামনা

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

আপনি তো ফাটিয়ে দিচ্ছেন। একের পর এক সেরা মন্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন! সুন্দর মন্তব্যের জন্যে সামু কোন পুরষ্কার ঘোষণা করলে আপনিই পেতেন নিশ্চিত! :)

রোড র‌্যাশের প্রাপ্তযোগের হিসেবে
হাহা আপনিও! আপনাকে কত ভালো ভেবেছিলাম। ;)
লিপস রেডের কথা পড়ে আমি কি ভাবলাম আর পরে কি বের হলো! হাহাহা।

ইশ! থামলেন কেন? একটার পর একটা পড়তে কি যে ভালো লাগছিল। এসবের বেশিরভাগই আমার করা হয়নি। আমি অতটা বান্দর বাচ্চা ছিলাম না তো। ;) আর আপনি, হেনাভাই কিসব যে করে বেড়িয়েছেন ছোটকালে যা সবাইকে বলাও যায়না! না বলার কারণে আমাদের কল্পনা ডানা মেলে অনেক কিছু ভেবে নিচ্ছে! :D

মন ছোঁয়া মন্তব্যটিতে কৃতজ্ঞ।
সবসময় ভালো থাকবেন প্লিজ।

১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: মজার মজার স্মৃতি।
আরো কিছু হয়তো, অনেকের জীবনে ঘটেছে, যেমন,
ম্যাচ বক্স আর সিগারেটের প্যাকেট জমিয়ে টাকা বানানো?
গল্পের বই ধার করে নিয়ে পড়া?
গরু গোসল করানো জন্যে নদীতে নিয়ে গরুর লেজ ধরে নদী পার হওয়া ?

শুভ কামনা রইল।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ম্যাচ বক্স জমিয়ে আমিও কি যেন একটা করতাম, কিন্তু কি সেটা মনে পড়ছেনা! হাহা।
গল্পের বই ধার করা হয়নি কখনো, কিনেই পড়তাম।
আর শেষেরটর অভিজ্ঞতা একদমই নেই।

সুন্দর একটি মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।

১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বলা যাবে না B-)) B-)

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁএএ, তা আর কেন বলবে? তুমি তো একটা আস্ত শয়তান! ;)

১৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৫

মিরোরডডল বলেছেন: মনে পড়ে ছোটবেলায় প্রতিবছর ফাইনাল পরীক্ষা শেষে ঢাকা থেকে সবাই মিলে গ্রামের বাড়ী বেড়াতে যেতাম । অনেকগুলো পরিবার একসাথে । কাজিনরা সবাই মিলে খেলতাম । মুগ্ধ হয়ে গ্রাম দেখতাম । গ্রামের মানুষের সরলতা দেখতাম । অনলি ফর ফিউ ডেইজ কিন্তু এর মাঝেই অনেকি ভালো লাগা ছিল ।

ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভেজাটা অনেক মিস করি এখন । বৃষ্টি আসবে আর ভিজবো না তাই কি হয় !
কত যে বকা খেতাম অসময়ে বৃষ্টি ভেজার জন্য । মোস্ট অফ দা টাইম ছাদে চলে যেতাম । রিকশায় হুডটা ফেলে দিয়ে কত যে ভিজেছি ! এখানে সেরকম আর হয়না । যদিও অনেকদিন পর লাস্ট সানডেতেও ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছি :- )

আরও অনেক মিল । ওগুলো লিখতে গেলে একটা পোষ্ট হয়ে যাবে ।
খুব ভালো লাগলো পুরনো দিনে নিয়ে গেলেন ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই বলছি, বেশ পুরনো লেখায় মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।

কাছাকাছি অভিজ্ঞতা। গ্রামে না হলেও নানা জায়গায় বেড়াতে যেতাম সব রিলেটিভসরা মিলে। একসাথে খাওয়া, ঘোরা, শপিং করা, আর সারাক্ষন হিহি হাহা করা। উফফ কিসব আনন্দময় দিন গিয়েছে - ভাবলেও চোখ ছলছল করে ওঠে!

সুন্দর মন্তব্যে নিজের স্মৃতিগুলো শেয়ার করার জন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.