নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোস্ট পোস্ট: কোভিড ১৯ এর রিক্যাপ - কমাসে বেড়িয়ে আসা জাতীয় চরিত্রগুলো! আমরা এতো খারাপ? X((

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৫

লিখব লিখব করেও লেখা হচ্ছিলনা, চুপচাপ হয়ত মনের মধ্যে সব কথাগুলোকে সাজাচ্ছিলাম। করোনা নামক ভাইরাসটি চোখে আঙুল দিয়ে আমাদেরকে যেন আয়না দেখিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজের স্বার্থে কতটা নামতে পারি গত কয়েক মাসে তার অনন্য রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে। সেসব নিয়েই এলো এবারের রোস্ট পোস্ট!



পূর্বের রোস্ট পোস্ট!
রোস্ট পোস্ট (১) - "আপনি কি কালো, বেঁটে, মোটা? তাহলে আপনার বেঁচে থাকা অর্থহীন!" ওহ মিডিয়া প্লিজ শ্যাট আপ!
রোস্ট পোস্ট (২) - বাংলাদেশী বিয়ে - দুটি মনের মিলন নাকি অপসংস্কৃতি, অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা প্রকাশের মাধ্যম? শেম শেম!
রোস্ট পোস্ট (৩) - বিবাহ বানিজ্য, পাত্র পাত্রীর নির্বাক অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা - ঝলমলে লাইটিং এর পেছনের অন্ধকারের গল্প!
রোস্ট পোস্ট (৪) - সোশ্যাল মিডিয়া- আমাদের মন মানসিকতা কি বিকৃত হয়ে যাচ্ছে? সুস্থ হবার উপায় কি?
রোস্ট পোস্ট (৫): বাংলাদেশী ধারাবাহিক ভার্সেস ইন্ডিয়ান সিরিয়াল! আমরা কেন জনপ্রিয়তায় এত পিছিয়ে? সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বাঁচার উপায় কি?

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

বাড়িওয়ালা ভাড়াটে!
এটা কিন্তু একসময়ে মধুর একটা সম্পর্ক ছিল অন্তত আমার দেখামতে। ছোটকালে দেখেছি, যেকোন বিশেষ দিনে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটের মধ্যে খাবার আদান প্রদান হতো। ঈদের নামাজে একসাথে যেতেন। সম্পর্কটা দুই প্রতিবেশীর মতো ছিল - মালিক এবং দাসের মতো নয়। আগেকার দিনেও খারাপ বাড়িওয়ালা ছিলেন নিশ্চই কিন্তু এতটা নৃশংসতা কি ছিল? হুট করে কেন এমন পরিবর্তন! হয়ত অনেক অযোগ্য মানুষের আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার কারণে। অর্থ/ক্ষমতা/খ্যাতি সবাই ডিজার্ভ করেনা, মূল্যবোধহীন মানুষদের হাতে এসব দামী জিনিস চলে যাওয়ায় সাধারণেরা হচ্ছেন শোষিত।

কিছু বাড়িওয়ালা তাদের ডাক্তার/নার্স ভাড়াটেকে করোনার ভয়ে বাড়ি ছাড়া করেছেন। যারা দেশের হিরো তাদেরই এমন অনাদর? এসব দেখে কোন বাবা মা তাদের সন্তানকে জমি বেঁচে ডাক্তারির মতো কঠিন সাবজেক্টে পড়তে পাঠাবেন না।
সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার এবং মফস্বল/গ্রাম থেকে আসা ছাত্রছাত্রীরা কি বিপাকে পড়েছেন! কাজ নেই তাই ভাড়া দিতে পারেননি কমাস, সেজন্যে মধ্যরাতে বের করে দিয়েছেন বাড়িওয়ালা আর জিনিসপত্র ফেলে দিয়েছেন রাস্তায়!

হ্যাঁ আমি বুঝি সকল বাড়িওয়ালা বড়লোক নয়, ভাড়ার টাকায় অনেকের সংসার চলে। তারা সবার ভাড়া মাফ করে দিক সেটা বলছিনা, কিন্তু করোনার সময়ে মানুষকে বের করে দেওয়া এবং তাও বিনা নোটিশে, ইচ্ছেমতো মাঝরাতে! এটাতো দাদাগিরি! কোন সুস্থ মানুষ এসব করতে পারেনা। করোনার চেয়ে বড় ভাইরাস তো এদের মনে আছে!

যারা বাড়িওয়ালা তারাও হয়ত জীবনের কোন এক পর্যায়ে ভাড়াটে ছিলেন, তাহলে এমন অমানবিক আচরণ কিভাবে করতে পারেন? যেসময়ে একে অপরের পাশে থাকা উচিৎ, তখন উল্টো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মাঝরাস্তায় বের করে দেওয়া হচ্ছে! আমি থ হয়ে যাই, শিক্ষা/সভ্যতা/রুচিবোধ কোন কিছুই কি এদের নেই?





ডাক্তার/নার্স - পেশেন্ট!

একজন ডাক্তার ও পেশেন্টের সম্পর্কটা ভীষন রকম বিশ্বাসের। ভাবুনতো এমন কত শারিরীক ও মানসিক সমস্যা রয়েছে আমরা বন্ধুদের বলিনা, কিন্তু নির্ভয়ে অপরিচিত ডাক্তারদের বলে ফেলি!
যদিও বর্তমানে আমাদের দেশে ডাক্তার/নার্সদের সম্মান অনেকটাই কমে গিয়েছে। ভুল চিকিৎসা, অমানবিক ব্যবহার, মফস্বলের চেম্বারে না যাওয়া, টাকা উপার্জনের জন্যে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট/মেডিসিনস প্রেসকাইব করা সহ নানা কারণে সাধারণের মধ্যে বিতৃষ্ণা জমে গিয়েছে এককালের সর্বোচ্চ সম্মনিত পেশাটির ওপরে। খবর তখনই হয় যখন খারাপ কিছু হয়। একজন ডাক্তার নাওয়া খাওয়া ছেড়ে রোগীর সেবা করছেন সেটা কোন চটকদার বিষয় নয়, এজন্যে আমাদের কানে আসেনা। সব ডাক্তার খারাপ নয় এবং আমাদের দেশে একজন ডাক্তারকে ডেইলী যে পরিমাণ রোগী দেখতে হয় তাতে ভুলভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক। তাই বলব সকল ডাক্তারদের অসম্মান না করে, স্পেসিফিক খারাপ ডাক্তারদের নিয়ে বলুন।

ভূমিকা শেষ, এবারে আসল কথা বলি। ডাক্তার ও পেশেন্টদের অনেক নাটকই দেখল জাতি করোনাকালে। প্রথমে তো ডাক্তার/নার্সরা রোগীদের ধারেকাছে ঘেষে চিকিৎসাই করতে চাইলেন না করোনার ভয়ে! অবশ্য তাদেরও বা দোষ কি? প্রোপার পিপিই না থাকায় তারা মনে সাহস করতে পারেন নি। চারিদিকে অব্যস্থাপনা ছড়াছড়ি। পিপিই পৌঁছায় না, পৌঁছালে পর্যাপ্ত পরিমাণে নয় অথবা এফেক্টিভ নয়। পেশেন্টরাও কম যান না! করোনার সিম্পটন লুকিয়ে চিকিৎসা করাতে যান - তাদের ভয় করোনা জানলে ডাক্তার বের করে দেবেন! এধরণের রোগীদের ট্রিট করতে গিয়ে অনেক ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। যে বিশ্বাসের কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেই বিশ্বাসেরই ভীষন রকম অভাব তৈরি হয়েছি রোগী ও চিকিৎসকদের মাঝে। দুঃখজনক!

যেই হিরোরা আমাদেরকে এই বিপদ থেকে বাঁচাবে, তারাই একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত; বাড়িওয়ালা বের করে দেয়, হোটেলে ব্যবস্থা নিম্নমানের - সেখানেও গাদাগাদি করে থাকা, কর্মক্ষেত্রে পিপিই না পাওয়া সহ আরো কতকি! তাদের সম্মান/সুবিধা তো দূরের কথা, একটু মানবিক আচরণ করতে পারছিনা আমরা। পেপার খুললে প্রতিদিনই ডাক্তারের করোনায় আক্রান্ত/মৃত হবার খবর পাচ্ছি। ভয় লাগে এসব দেখলে - মনে হয় যেন মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে জাতি!
ডাক্তারের এই অবস্থা হলে, সাধারণ রোগীদের মধ্যে ভীতি বাড়ে স্বাভাবিকভাবেই। আমরা জানতাম আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্র উন্নত নয়, তবে এতটা খারাপ অবস্থা সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতেই কি করোনা এলো?

স্বামী-স্ত্রী/বাবা মা-সন্তান!

এতক্ষন যা বললাম সেগুলো প্রফেশনাল সম্পর্ক ছিল। টাকা ও সার্ভিসের আদান প্রদান যেখানে হয় সেখানে নাহয় মানবতা আশা করলামই না। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো? বউমার একটু হাঁচিকাশি হলো ব্যাস! করোনা সন্দেহে শ্বশুড়বাড়ির মানুষ বাপের বাড়িতে তাড়িয়ে দিল! মেয়েদের আসল বাড়ি নাকি শ্বশুড়বাড়ি - এই মন্ত্রে দীক্ষিত করে তাদেরকে পাঠানো হয় অন্য বাড়িতে। কিন্তু শ্বশুড় বাড়ির মানুষেরা এসবে বিশ্বাস করেন না, তাই বউ অসুস্থ হলেই তাদের "নকল" বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়!
উল্টো কেসও দেখা যায়। করোনায় আক্রান্ত পিতামাতাকে সন্তান/বউমা বের করে দেয় খোলা আকাশের নিচে। মৃত স্বজনকে দেখতেও যায়না করোনার ভয়ে। মহৎ কিছু ভলান্টিয়াররা চিতায় আগুন দেয়, কবরে মাটি দেয়! কিন্তু এটুকু মহত্ব নিহতের আত্মীয়দের হয়না!



বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে নারী নির্যাতন বহুমাত্রায় বেড়েছে - বিশ্ব মিডিয়ায় খবর পাঠকেরা এমনটাই বলছেন। যেহেতু স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির মানুষেরা সারাক্ষন বাড়িতেই অলস মস্তিষ্ক নিয়ে বসে আছেন, মানসিক/শারীরিক নানা ধরণের অত্যাচারে নারীরা জর্জরিত। অন্যদিকে, কিছু কিছু পুরুষের মতে তারাই নির্যাতিত ছলনাময়ী/লোভী নারীজাতির অত্যাচারে! নারীরা ন্যাকা কান্না কাঁদছেন এবং মিডিয়া একতরফা ভাবে সেটা প্রচার করছে! কোন পক্ষের কথা শুনবেন এবং মানবেন সেটা যার যার বিষয়। কিন্তু "মাইয়াগো মাইয়াগো তুই অপরাধীরে, পোলা ও পোলারে তুই অপরাধীরে!" গানের যুগে নারী ও পুরুষের পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ যে তলানীতে সেটুকুতে অন্তত আমরা সহমত পোষণ করতেই পারি।

নাগরিক-দেশ!

দেশ এবং তার নাগরিকদের সম্পর্ককে এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় যে আমরা একে মা ও সন্তানের সম্পর্ক মনে করি। মাতৃভূমি দেশের আরেক নাম! সবাই হয়ত দেশের জন্যে জীবন দেবার সাহস করবে না, কিন্তু নিজের জীবন বাঁচাতেও আমাদের এত আপত্তি?

স্বল্পআয়ের মানুষদের বের হতেই হয়, তাদেরকে কিছু বলছিনা। কিন্তু যারা মার্কেটিং/ডেটিং/সমুদ্রভ্রমণ/পিকনিক/জাস্ট বোরড রিজনসে বাইরে যাচ্ছেন তাদেরকে কি করা উচিৎ? সত্যি কথা হলো, লকডাউন ঠিকমতো আমাদের দেশে কখনো হয়ইনি। একদিকে লকডাউনের ম্যাসেজটি সাধারণের মাঝে পৌঁছে দিতে পারেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষেরা। অন্যদিকে মানুষেরা করোনাকে একটি চাইনিজ রোগ মনে করে, জেদ দেখিয়ে, পুলিশের মার খেয়েও বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

আবার কিছু কিছু প্রবাসীরাও কম যান না। তারা তো টাকা দিয়ে দেশকে কিনে নিয়েছেন। তারা যে দেশের জন্যে নিঃস্বার্থ কোন দান করেননি বরং নিজের মা/বউ/বাচ্চার খরচ পাঠিয়েছেন সেটা তো স্বীকারই করবেন না।

আমি মানছি প্রবাসীরা অনেক হেনস্থার শিকার হয়েছেন করোনার কারণে। লম্বা জার্নির পরে, কোয়ারেন্টাইনের নামে অনেকক্ষন তাদেরকে আটকে রাখা হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। কিন্তু সেটা নিজের দেশকে গালি দেবার যৌক্তিক কারণ হতে পারেনা। করোনা হওয়া মাত্রই তো দেশ মায়ের কোলে পালিয়ে এসেছিলেন। একবারো ভাবেননি যে গরীব দেশের মানুষদের করোনার হুমকিতে না ফেলি, আমরা না গেলে দেশে করোনা ছড়াবেই না, আর আমরা গেলে এত বাজে ভাবে ছড়াবে যে সেটা সামলানো যাবেনা। সেই দেশটিকে বাজেভাবে গালি দিতে বিবেকে বাঁধলনা আপনাদের?



শুধু কি তাই? জীবন বাঁচাতে এসেছেন ঠিক আছে, জীবন বাঁচানো ফরজ কাজ। তো এসেই ১০০ লোক দাওয়াত দিয়ে বিয়ে করতে হলো? করোনার মধ্যে বিয়ে করে বাচ্চার নাম করোনা রাখতে না পারলে জীবন ব্যর্থ হয়ে যেত আপনাদের? ১৪ দিন আইসোলেশনে না থেকে পরেরদিনই পাড়া বেড়াতে চলে গেলেন, করোনার বিষ ছড়িয়ে দিলেন গরীব রিকশাওয়ালা, দোকানদার, চা মামা এবং নিজেরই প্রিয় স্বজনদের মাঝে। ছি ছি! আর বাংলাদেশের কিছু মানুষ এত সরল যে এতকিছুর পরেও এসব প্রবাসী "ভাই" দের পক্ষে সাফাই গাইছেন! মানছি প্রচুর প্রবাসী দেশের জন্যে অনেক অবদান রাখছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে খারাপ প্রবাসীদের অন্যায়জনক আচরণের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করবনা।





-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


আমি কোনভাবেই বলছিনা আমাদের দেশের/পৃথিবীর সব মানুষ খারাপ হয়ে গিয়েছে। ডাক্তার/নার্সেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, অনেক বউ ঝুঁকি নিয়ে করোনায় আক্রান্ত স্বামীর সেবা করছেন, বাবারা নিজের সন্তানকে বের হতে না দিয়ে যেকোন প্রয়োজনে নিজেই বাইরে যাচ্ছেন, কিছু বাড়িওয়ালা ভাড়া মাফ করে দিয়েছেন, প্রচুর মানুষ দান করছেন কর্মহীন গরীব ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের, এবং পুলিশেরা যে ঝুঁকিটা নিচ্ছেন সেটার জন্যে যতো প্রশংসাই করিনা কেন কম হয়! কিন্তু পোস্টে সেসব নিয়ে বলা হয়নি কেননা এটাই তো স্বাভাবিক - যে যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবেন, মানুষ হয়ে মানবতা দেখাবেন। রোস্ট পোস্টের কাজই হলো সমাজের অসংগতিলোকে তুলে আনা, তাই পোস্টে পজিটিভ কিছু ছিলনা। তবে যারা করোনার মধ্যে দয়া ও মানবতার মান রাখছেন তাদেরকে কোটি কোটি সালাম জানিয়ে শেষ করছি।

এই! এই পাঠকেরা চলে যাবেন না, আরেকটি জরুরী কথা। অন্যকেউ মানুক না মানুক আপনি করোনায় নিজেকে নিরাপদে রাখার জন্যে সকল বিধি মেনে চলুন। বাইরে কম যাওয়া, গেলে মাস্ক/গ্লভসের ব্যবহার, বারবার হাত স্যানিটাইজ করা, ভুলেও চোখ/নাক/মুখে হাত না দেওয়া এবং বাইরে থেকে কোনোকিছু কিনে আনলে সেটাকেও ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন, আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষটিও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন আপনার অসাবধানতায়! ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন!

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামের প্রশ্নটার উত্তর, দুঃখজন হলেও সত্য, এ্যাফারমেটিভ!
মানবিক আচরণ এবং সেবামূলক মনোভাবের পরিচয়ও মাঝে মাঝে দুই একটা পাওয়া যায়, তবে তা বিপরীত চিত্রের তুলনায় এতই নগণ্য যে ধর্তব্যের মধ্যে পড়েনা।
সমাজ সচেতনতামূলক এই পোস্টের জন্য সাধুবাদ!!
পোস্টে দ্বিতীয় ভাল লাগা + +।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কত কম কথায় কি সুন্দর ভাবে বলে গেলেন!

মানবিক আচরণ এবং সেবামূলক মনোভাবের পরিচয়ও মাঝে মাঝে দুই একটা পাওয়া যায়, তবে তা বিপরীত চিত্রের তুলনায় এতই নগণ্য যে ধর্তব্যের মধ্যে পড়েনা।
আসলেই! এমন স্পষ্ট কথার পরে আর কিছু যোগ করার থাকে না।

অনুপ্রেরণা হয়ে পাশে থাকার জন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
নিরাপদে থাকুন শ্রদ্ধেয় ব্লগার।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ বড় পরিসরে এ লেখায় ক্ষোভ, কস্ট, হতাশা, সমবেদনা, মর্মপীড়া, মমত্ববোধ সবই আছে। কষ্ট পেলেও ভাল লাগল আপনার পর্যবেক্ষণ!
আমি কিন্তু ভাই আমার সহধর্মিণীকে ছেড়ে যাইনি। একাই ঘর আর সন্তানদের সামলেছি! তার ও দেখ-ভাল করেছি। অবশেষে আমিও আক্রান্ত হলাম। কিন্তু সৌভাগ্য যে, খুব বেশী ভোগান্তি হয়নি। এখনো খানিকটা অসুস্থ!

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা তাই নাকি? আপনি দয়া করে নিজের শরীরের খেয়াল রাখবেন। মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে, ভাবীও আক্রান্ত হয়েছিলেন! তিনি এখন কেমন আছেন?

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখতে পারছি না। নেট স্লো।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আই এম সরি এবাউট দ্যাট, ছবি ও ভিডিওগুলো ঠিকমতোই আপলোড হয়েছে। একটু লোড হতে দিলেই দেখতে পারবেন ইনশাল্লাহ। ততক্ষন পোস্টটি পড়তে থাকুন! :)

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৭

একাল-সেকাল বলেছেন:
আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস ২৫ মার্চ

কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করিতে হয়েছিল সে মরেনাই, তেমনি করোনা ভাইরাস আমাদের মারিয়া প্রমাণ করছে আমরা কতটা বর্বর, অসভ্য, মিথ্যাবাদী, চোর, প্রতারক।
যে হারে মানুষ শহর ছাড়ছে তাতে বলাই যায়, বাড়িওয়ালাদের গলায় TO-LET ঝুলিয়ে রাস্তার মোরে দাড়িয়ে থাকতে হবে।
অল্প হলেও এর বিপরীত দিকটাও কিন্ত লক্ষণীয় বটে ।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ সুন্দর একটা স্ট্যাটাস!

কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করিতে হয়েছিল সে মরেনাই, তেমনি করোনা ভাইরাস আমাদের মারিয়া প্রমাণ করছে আমরা কতটা বর্বর, অসভ্য, মিথ্যাবাদী, চোর, প্রতারক।
খুব সুন্দর করে বললেন। আমি আশা করে বসেছিলাম যে করোনার কারণে আমাদের জাতিগত দ্বন্দ, স্বার্থপরতা, দূর্নীতি সবকিছু একপাশে সরে যাবে। মানুষকে বাঁচাতে, এই বিপদের দিনে, মানুষের মানবতা জেগে উঠবে! কিন্তু উল্টোটা হলো, অনেকদিনের বাজে অভ্যাসগুলো আসলে এক ঝড়ে ধুয়ে মুছে যায়না। জাতিগত চরিত্র গঠন করতে আরো অনেক বছর লেগে যাবে। :(

বিপরীত দিক বলতে কি বাড়িওয়ালার ওপরে ভাড়াটের অত্যাচারের কথা ইনডিকেট করেছেন?

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: তার জন্যই তো আমার এ দশা! তিনিই প্রথম আক্রান্ত হন। এখন সবাই সুস্থতার দিকে। ধন্যবাদ আপনাকে সহমর্মিতার জন্য। ভাল থাকবেন- সাবধানে থাকবেন।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, জেনে নিশ্চিন্ত বোধ করছি যে সবাই সুস্থ হচ্ছেন। ভাবী অনেক লাকি যে আপনার মতো সঙ্গী পেয়েছে। :) আমি শুনলাম, কিছু রেয়ার কেসেস আছে যেখানে করোনা ঠিক হবার পরে আবারো হচ্ছে। ভয় পাওয়ানোর জন্যে বলছিনা ভাই, শুধু সাবধান করছি। সুস্থ হবার পরেও সচেতন থাকতে হবে পুরো পরিবারকে।
আল্লাহ আপনাদের সবাইকে ভালো রাখুক!

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা ভাইরাসের আগে থেকেই আমাদের দেশের মানুষ নিষ্ঠুর আর অমানবিক হয়ে গেছে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আর করোনার কারণে সেসবের উলঙ্গ রূপ আমাদেরকে দেখতে হচ্ছে! ভেবেছিলাম করোনার মতো বড় বিপদে সবাই আবারো এক হবে, কিন্তু নাহ, তা আর হলো কোথায়?

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৩

একাল-সেকাল বলেছেন:
আপনার বিশ্লেষণধর্মী তথ্য বহুল পোস্ট প্রিয়তে।
দুঃখিত, অস্পষ্ট মন্তব্যের জন্য। বিপরীত দিক বলতে ভাড়াটিয়ার প্রতি সদয় বাড়িওয়ালাদের কথা বলেছি।
নিজেকে 49 (পাগল) মনে হয়, যখন ভাবি, ৪৯ বছর আগে এই জাতি দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিল।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ থ্যাংকস এ লট প্রিয়তে রাখার জন্যে, অনুপ্রাণিত হলাম।

না ইটস ওকে, আবারো এসে ক্লিয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ। আসলে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কৌতুহল থেকেই যে উল্টো কি হচ্ছে! নতুন কোন খবর আছে নাকি। যাই হোক, দয়াবান মানুষদের কথা পোস্টের শেষে আমিও লিখেছি।

দেশের জন্যে যুদ্ধ করা জাতির জীবনবোধ, চরিত্র এভাবে ধুলায় মিশে যেতে পারেনা। আমি এখনো আশা রাখি, একদিন সবকিছু পাল্টাবে। বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা উন্নত হবে ইনশাল্লাহ।

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন রোষ্টে লবন কম হলে যেমন হয় তেমনি লাগছিল ;)
কি নেই কি নেই ভাবতে ভাবতে মনে পড়লো, আরে হ্যা
এই করোনার সেরা আবিষ্কারটাইতো মিস করেছেন - শােহদ করিম, জেকেজির আরিফ, আর সুন্দ্র ডাক্তার সাব্রিনা!!! X((

আমজনতার ভুলে তো অভ্যন্তরীন ক্ষতি যা কিছু হচ্ছিল, নিজেদের জীবন দিয়ে দায় চুকেবুকে যাচ্ছিল
কিন্তু তিনারা একেবারে আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশের বারোটা শুধু নয় তেরোটা বাজিয়ে দিয়েছেন!
অবশ্য ইনারা তো শুধু মঞ্চের সামনের নট-নটী, পর্দার পেছনের কারিগরদের ধরার কোন লক্ষন, সাহস খবর কিছূই নেই!

ধন্য আমার সোনার স্বদেশ!
পৃথিবীর একমাত্র দেশ বোধকরি যেখানে তেলের সবচে নিম্নমূল্যের সময়ে গাড়ী ভাড়া ৬০ % বাড়লো।
রাষ্ট্রের দায়হীন সব দায় চুকানোর দায় কেবল। আমজনতার!
পকেট খালি হলেও তবু এটুকু শান্তি পাই একজনে দু সিট নিয়ে মিনিমাম ডিস্টেন্স রক্ষাটা হচ্ছে !

আর মাকাল বৃক্ষ লাগিয়ে সুস্বাদু ফল আশা বৃথা বৈকি!
মধ্যরাতের ভোটচুরির, স্বৈরাচারিতার দায়হীন সরকারের কাছে দায় আশাওতো বোকামী বটে।
যার ক্রনিক ফল হলো টোটাল সিস্টেমের ভুমিধ্বস পতন! করোনা না এলে হয়তো বোঝা যেতনা।
মেকি আবরন, মিথা মিডিয়াবাজি আর ধমক ধামকে ক্ষিদা পেটেও জাতি পেটভরার তৃপ্তিতে উন্নয়নের মহাসড়কে
দৌড়াতেই থাকতো!


২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা! :)

দারুন রোষ্টে লবন কম হলে যেমন হয় তেমনি লাগছিল ;)
হাহাহা রান্নায় সমালোচনার জন্যে ধন্যবাদ, নাহলে রাঁধুনী উন্নত হবে কি করে ;) । আর এতে করে অন্য যেসব পাঠকের মনে এই প্রশ্নটি এসেছে, তারাও আমার দিকটা জেনে যাবেন! :)

আমার রোস্ট পোস্টগুলো সাধারণত ব্যক্তিকে নয়, সিস্টেমকে বা বড় চক্রকে রোস্ট করে। কেননা ব্যক্তিকে টানলে, পুরো আলোচনা সেই মানুষটির আশেপাশে হতে থাকে। কিন্তু আমি গোটা সমাজকে নিয়ে লিখতে চেয়েছি, সাধারণকে নিয়ে লিখতে চেয়েছি, যারা অনেক গর্ব করে বলেন, আমরা "বড় মানুষদের" মতো খারাপ নই তাদেরকে তুলে আনতে চেয়েছি।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে করোনার আগে থেকেই দেশে নানা রকম মানুষের অপকর্ম বের হয়ে আসছে, করোনার পরেও কিছুদিন এসব চলবে। এর সাথে করোনার আসলে সম্পর্ক নেই, এই সিজনটাই এমন ধরে নিন। পৃথিবীর উন্নত/অনুন্নত দেশের নেতা/নেত্রীদেরও নাম বড় বড় কারাপশন স্ক্যান্ডালস এ আসে, ফেমাস তারকাদের ক্রাইমস সবারই জানা। আমরা যদিও ভাবি এসব বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও হয়না, কিন্তু বিশ্বের নানা মিডিয়ার খবর ফলো করলেই বোঝা যায়, অনেক দেশের গল্প বাংলাদেশের মতোই। দ্যা রোড টু ফেম/ফরচুন ইজ ফিলড উইথ সিনস, এন্ড উই নো পিপল এট দ্যা টপ হ্যাভ ডান সাম মেজর মোরাল কম্প্রোমাইজেস টু রিচ দেয়ার। কিছু মানুষ সৎ পথ ওপরে উঠলেও, সেটা কম সংখ্যায়। যদিও পৃথিবীর অন্য কোন দেশের পাওয়ারফুল মানুষেরা খারাপ সেটা আমাদের দেশের খারাপ হওয়াকে জাস্টিফাই করেনা একদমই। যা অন্যায় তা অন্যায়। আমি শুধু এটুকু বলতে চাচ্ছি যে সেটা আমাকে শকড করেনা। এই পোস্টে যা যা লিখেছি তা আসলেই আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ মিডল ক্লাস ডাল ভাত খাওয়া মানুষদের মধ্যে এত নৃশংসতা!

আমজনতার এটা বলার কোন রাইট নেই যে তার ভুলে বেশি ক্ষতি হচ্ছেনা। বাড়িওয়ালা নিজের জায়গা থেকে শুধু ভাড়াটেকে নামাতে পারতেন তাই করেছেন, যদি তিনি বড় কোন নেতা হতেন বাংলাদেশকে বিদেশের সামনে নামিয়ে দিতেন। ক্ষমতা নেই বলে আমি খারাপ হতে পারছিনা, সেটা গৌরবের বিষয় নয়। সাধারণের প্রচুর দায়িত্ব আছে দেশের প্রতি, ওপরমহলের অন্যায় আমাদের অন্যায়ের অজুহাত হতে পারেনা। আমরা বড় বড় নেতাকে নামিয়ে দিয়েছি অতীতে, আর আজ নিজের পাপ ঢাকতে তাদের অন্যায়ের পেছনে লুকাচ্ছি! সমস্যাটা এখানেই। পাবলিক যেটা পারে সেটা কোন একটি মহল কখনো পারেনা।

আমি পোস্টে যেসব লিখিনি, মন্তব্যে সেসব নিয়েই লিখেছেন। এতে করে পোস্টের মূল্য বাড়ল, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
সুখে থাকুন, নিরাপদে থাকুন!

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আর করোনার কারণে সেসবের উলঙ্গ রূপ আমাদেরকে দেখতে হচ্ছে! ভেবেছিলাম করোনার মতো বড় বিপদে সবাই আবারো এক হবে, কিন্তু নাহ, তা আর হলো কোথায়?

না বাংলাদেশের মানুষ কখনও আর এক হবে না।
তবে ক্রিকেট খেলার সময় সবাই এক হয়ে যায়। বাংলাদেশের সাথে কারো খেলা শুরু হলে দেশের প্রতিটা মানুষ বভাংলাদেশোকে সাপোর্ট করে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এভাবে বলবেন না ভাই। ইনশাল্লাহ একদিন স্বপ্নের দিন আসবে!

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৬

মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: "এই বার এই বার
খুকু চোখ খুলল।
আলসে নয় সে,
ওঠে রোজ সকালে।
রোজ তাই চাঁদা ভাই
টিপ দেয় কপালে।"


শেষ পর্যন্ত আড্ডাঘর এর বাইরে বছরের প্রথম লেখা লেখা পোষ্ট করেই ফেললেন! যাইহোক না কেন, আপনি কিন্তু গত কিছু মাসে ঘটে যাওয়া আমাদের মধ্যের কাল চ্যাপ্টার গুলোর একটা সামারি। এসব কিন্তু আগেও ছিল আমাদের মাঝে জাস্ট করোনার টাইমে বেশি ফোকাস পেয়েছে। ১০০ টাকার জন্য বন্ধুকে হত্যা, প্রেম করতে রাজি হয়নি বলে হত্যা, বাবা/মায়ের হাতে সন্তান হত্যা অন্যকে ফাসানোর জন্য, অসুস্থ্য বয়স্ক মা/বাবাকে দুরের কোন রাস্তায় ফেলে আসা, মধ্য রাতে ভাড়াটিয়াকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া, গরীবের জন্য বরাদ্দ ত্রান লুটেপুটে খাওয়া। এসব খুবই কমন ঘটনা আমাদের জন্য। আমি করোনার শুরুর দিকে একটা ঘটনা পড়লাম যে, এক লোক নারায়ণগঞ্জে জব করত। সে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে নিজের বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু সেখানে তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েরা তাকে একটা রুমে নিয়ে তালা বদ্ধ করে রাখে। তার সেবা করা দূরে থাক, এক বেলা খাবার ও দেয়নি! না খেয়ে অসুস্থ শরীর কিছুদিন পরে মরে পরে থাকে। গ্রামের মানুষ প্রবল দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। যে মানুষ টা স্ত্রী সন্তানের সুখের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করত, তার বিনিময়ে সে কি পেল? আপনার লেখার নিচের কথা গুলো খুবই দরকারি লেখা। কেউ মানুক না মানুক আমাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ করেই ফেললাম, কেউ একজন খুব তাগাদা দিচ্ছিল অনেকদিন লিখিনা, আমার ছুটি শেষ হয়ে যাবে ইত্যাদি বলে। ;) ;) লিখতে তো হতোই!

একদম, আমিও জানি এসব সবময়েই ছিল। কিন্তু করোনার মধ্যেও মানুষের মানবতা জাগবেনা উল্টো আরো অমানুষ হয়ে যাবে এটা ভাবিনি। এই করোনার সময়ে মাঝরাতে কাউকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া অথবা নিজের জান বাঁচানোর জন্যে ডাক্তার/নার্সের চিকিৎসায় অস্বীকৃতি জানানো কিন্তু একজনের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা। আজকাল কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতেও কারো বিবেকে বাঁধছেনা।

খুবই দুঃখজনক একটা ঘটনা শেয়ার করলেন। যে বউ সারাদিন সবার খেয়াল রাখে দিনশেষে তার অসুখে শ্বশুড়বাড়ির কাউকেই পাশে পায়না, আর যে বর সারাদিন পরিশ্রম করে সবার মুখে খাবার জোগায়, তার অসুখের দিনে এক গ্লাস পানিও কেউ এগিয়ে দিলনা! ছি ছি ছি! গা গুলিয়ে ঘেন্না আসে এসব মানুষদের কথা বলতে/শুনতে গেলে।

পোস্ট উপযোগী মন্তব্যের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:২৭

সোহানী বলেছেন: তোমার রোস্ট পোস্ট বরাবরেই ভালোলাগে। অনেকদিন পর লিখলা মনে হয়।

কিন্তু সত্যটা হলো আমাদের দেশ সব কিছুর উর্ধ্বে। তুমি ইকোনমিক্স, বিজনেস, ফিজিক্স, পলিটিকেল সাইন্স........... পৃথিবীর তাবৎ থিউরি গুলাইয়ে এক করলেও কিছুতেই কিছু হবে না। আমাদের দেশ স্বয়ং বিধাতা চালাচ্ছে। তবে স্বীকার করি, এমন দৈর্য্যশীল জাতি মনে হয় এ গ্রহে বিরল।

যেভাবে খুশি চলছে, কেউই নিয়ম নীতি মানবিকতা আইন কানুন ভদ্রতা ভালোবাসা কোন কিছুরই ধার ধারে না।সবাই যে এখনো বেচেঁ বর্তে আছে তাতেই আমি খুশি।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সোহানী আপু! ভালো আছেন আশা করি।
জ্বি আপু অনেকদিন পরে লিখলাম এবং সেই লেখায় আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগল। :)

দেশতো দেশ আপু, আমি অবাক হয়ে যাই কানাডাতেও অনেকে এন্টি মাস্ক প্রটেস্ট করে! আমেরিকার কথা তো বাদই দিলাম - ওখানে সরকার/নাগরিক মিলে যা করছে সেটা আমাকে হতবাক করেছে। এসব দেশে শিক্ষার হার বেশি তবুও এতটা স্টুপিডিটি? মাস্ক পরা নাকি তাদের স্বাধীনতাকে হরণ করে! আই এম লাইক হোয়াটটট?

বাংলাদেশে সমস্যা বাঁধবে সেটা জানতাম, স্বাস্থক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কথা অনুমানে ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষেরাও এতটা নির্দয় হয়ে গিয়েছে ভেতরে ভেতরে সেটা আমার ধারণায় ছিলনা।

আসলেই! দেশে যে লেভেলের অনিয়ম হয়েছে, সেই তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম, এটাকে আল্লাহরই রহমত বলতে হবে! অথবা রাইট স্ট্যাট্স আমাদের কাছে নেই - সেটাও হতে পারে। :(

যাই হোক, এসব নিয়ে বলতে গেলে কথা ফুরাবেনা।
ভালো এবং নিরাপদে থাকবেন আপু!

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১৫

আনমোনা বলেছেন: আসল কথা বলেছ শেষ প্যারায়। আমাদের জন্য কেউ কিছু করবেনা, নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মনা আপু, ঠিকই বলেছ। এটা আড্ডাঘরেও হাজারবার বলেছি সবাইকে, নিজের অফলাইন আপনজনদেরও বলেছি। যে অন্যরা নিয়ম না মানলেও, জীবন বাঁচাতে যা যা করা দরকার সব করতে হবে!

মন্তব্যের জন্যে থ্যাংকস।
ভালো থেকো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.