নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েটি চলল প্রবাসের পথে - আগমনী বার্তা (সামু পাগলার নতুন সিরিজ :) )

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০



এই পোস্টটি মূলত নতুন সিরিজ আসার আগমনী বার্তা। আবার একদিক দিয়ে দেখলে আমার জীবনে প্রবাসের আগমনী বার্তাও বটে।
আমি সাধারণত কোন সিরিজ শুরু করলে শেষ করতে পারিনা। সেজন্যেই হয়ত ছোট্ট একটা সিরিজ আনা - যদিও এটা শেষ করতে পারবনা কিনা জানিনা। ;) সবসময় বিদেশে যাবার পরে কি হলো সেসব নিয়ে লেখা হয়েছে, দেশে জীবন কেমন কেটেছে সেসব নিয়েও লিখেছি। কিন্তু বিদেশে যাবার পথে কতসব ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটেছে সেসব শেয়ারই করা হয়নি। প্রবাসের পথে মানে মফস্বল থেকে ঢাকা এবং সেখান থেকে প্লেনে করে নানা দেশ পেড়িয়ে কানাডায় যাবার জার্নিটা ছিল ভয়, দু:শ্চিন্তা, উত্তেজনা, যন্ত্রণা, আনন্দ, অস্বস্তি, অজানার! জীবনের খুব কম অভিজ্ঞতাই এত আবেগের মিশেল হয় - কেননা সাধারণত আমরা কোন ব্যাপারে খুশি হই অথবা দুঃখ পাই। কিন্তু দেশ ছেড়ে বিদেশে যাবার ব্যাপারটায় পাওয়ার আনন্দ এবং ছেড়ে যাবার বেদনা দুটোই কড়া পরিমানে থাকে। সাতরঙ্গা আবেগের এক অদ্ভুত রোলার কোস্টারে যাত্রার পূর্বে সবাই সিটবেল্ট টাইট করে বেঁধে নিন। :)

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কাঠফাটা রোদে সবাইকে পাখা বেচে বেড়ানো রুগ্ন লোকটি দরদরে করে ঘামছে। একটা ছেড়া ও ময়লা জামা পরা কিশোর ছোটদের রঙিন ছবিওয়ালা অ আ শেখার/গল্প/ছড়ার বই ফেরি করতে করতে একনাগাড়ে বলে চলেছে "লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে!" অতিরিক্ত গরমে অন্য একটি বিশাল গাড়ির বাচ্চাটা কেঁদে কেঁদে উঠছে। তারই বয়সী আরেক বাচ্চা ভারী একটি বাক্সে নানা ধরণের চকলেট, লজেন্স, চুইংগাম, ছোট্ট চিরুনী বিক্রি করে বেড়াচ্ছে খালি পায়ে। কন্দ্রনরত বাচ্চার মা সেই শিশুটির কাছ থেকে বেশ কিছু চকোলেট কিনে নিল। তেল দেওয়া দুই বেণী করা, ফুল ফুল ফ্রক পড়া মেয়েটির হাত থেকে আধখাওয়া আইসক্রিম হুট করে পড়ে গেল আর সে ছলছল চোখে নিজের বাবার দিকে তাকাল। অভাবী বাবা কটমট চোখে তাকাল মেয়ের দিকে কিন্তু রাগ ধরে রাখতে না পেরে আবারো কুলফিওয়ালাকে ডাক দিল।
ভীড়ের মাঝের মানুষদের জীবনের ছোট ছোট গল্পগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে ভালো লাগে। নানা রকম মানুষের ভিন্ন গন্তব্যের আলাদা পথগুলো থেমে গেছে এই এক জায়গায়। বিত্ত আর অভাবের কত গল্প থাকে একেকটি ফেরিঘাটে!

প্রতিবার ঢাকায় যাবার সময়ে মনে অন্যরকম আনন্দ থাকে। দাদার বাড়ি - নানার বাড়ি সব সেখানেই। এত বেশি মজায় সারাটা দিন কেটে যায় যে নিজেদের মফস্বলের বাড়িতে ফিরতে ইচ্ছে করেনা। কিন্তু জীবনে এই প্রথমবার মনে হচ্ছে গাড়িটা উল্টোদিকে নিয়ে ঘরের দিকে যেতে। কিচ্ছু ভালো লাগছেনা। আর কোনদিন মফস্বলের নীড়ে ফেরা হবেনা। স্কুলের বন্ধু ও টিচারদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসেছি। আামাকে ফ্রি চকলেট দেওয়া দোকানদার চাচুটাকেও জানানো হয়ে গেছে। চুরি করে দুধ খেতে আাসা বিড়ালটাও জেনে যাবে আর দুধ না পেয়ে।

মা বলেছে - অনেক দূরের তুষারদেশে যাব আমরা। মা আমাকে যতটা আনন্দ নিয়ে জানিয়েছে আমি ততটাই ভীতি ও ব্যাথা নিয়ে তাকিয়েছি। নিজের পরিচিত মানুষজন ছেড়ে ভিনদেশে যাব - ওখানে সবকিছু নাকি আলাদা। বাংলায় কেউ কথাও বলেনা। আমি তো অন্যকোন ভাষা জানিওনা। কিন্তু আমাকে নাকি ওখানকার স্কুলে পড়তে হবে - এটা কিভাবে সম্ভব? আমি কিচ্ছু বুঝতে পারবনা, আমার রোল নাম্বার সবার পেছনে থাকবে আর পড়া না পারার কারণে আমাকে পুরো ক্লাস দাড় করিয়ে রাখবে। দেশের টিচারদের পছন্দের আমি ওখানে ফেল করা ছাত্রী হয়ে যাব। পেপারে বড় বড় করে শিরোনাম আসবে "কানাডায় গিয়ে দেশের নাম ডোবাল এক ইংলিশ না জানা ছাত্রী!" নতুন স্কুলের সহপাঠীরা আমাকে ক্ষেপাবে "ফেল্টুস ফেল্টুশ"। দেশে আত্মীয় স্বজনের রোল নাম্বার কত? প্রশ্নের উত্তরে গদগদ হয়ে ওঠা আমি আর কাউকে মুখ দেখাতে পারবনা। এসব ভাবতে এত গরমের মধ্যে এক্সট্রা ঘেমে উঠলাম।

আহারে! আমার নানা নানী, দাদা দাদী, খালা খালু, ফুফা ফুপি, কাজিন ব্রাদার সিস্টার - ওদের আর দেখতে পাবনা? ওদেরকে ঘিরে কতশত সুন্দর স্মৃতি ভেসে উঠছে চোখের সামনে।
"ওরা আমাদের যেতে দেবে?" এমন প্রশ্নের জবাবে বাবা বলেছিল, "ধুর বোকা, ওরা কেন আটকাবে? ওরা এই খবরে অনেক খুশি। তোর দাদী আর নানী তো ফোন করে করে সবাইকে খবর করছে। উন্নত দেশে যাচ্ছি ব্যাপারটাই আলাদা, বুঝলি?"

কিছু না বোঝা আমি আস্তে আস্তে মাথা ওপরে নিচে নামালাম। আমার একটা আশা ছিল দাদা দাদী আমাকে যেতে দেবে না দূরদেশে, বাবার বুঝ দেওয়ায় সেই আশা দপ করে নিভে গিয়েছিল। বাবা মায়ের সিরিয়াসনেস দেখে ভেতরে ভেতরে অদৃষ্টকে যেন দেখে ফেলেছিলাম, জেনে গিয়েছিলাম আমরা বিদেশে যাচ্ছিই, কোনকিছু এটাকে আটকাতে পারবেনা!

হাজারটা মন খারাপের মাঝে একটা ব্যাপার ভেবে মনে হালকা একটু স্বস্তি বয়ে গেল। নেক্সট কয়েক মাস একটানা ওদের সাথে থাকার সুযোগ পাব। বিদেশে যাবার আগে বেশ কিছু এমন কাজ আছে যেটা নাকি ঢাকাতেই করতে হবে। সেসব কাজ সারতে এবং আপনজনদের সাথে কিছু সময় কাটাতেই আগে আগে ঢাকায় যাওয়া।

গাড়ি ফেরি পার হয়ে অনেক দূর চলে এসেছে। একটু আগে রোদ থাকলেও এখন মিষ্টি একটা হাওয়ায় শরীরের ক্লান্তি যেন মিটতে শুরু করেছে। হালকা একটু মেঘেই প্রকৃতির অন্যরূপ! গাড়ির খোলা জানালার পাশে বসে একদৃষ্টে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম। প্রচন্ড বাতাস চোখে লেগে কেমন যেন একটা তন্দ্রার ভাব এলো। আর হুট করে একটা চেহারা এবং ভাবনা মনে ভেসে উঠল - আচ্ছা, বিদেশে চলে গেলে তো ওর সাথে আর কখনো দেখা হবেনা!
এতকিছুর মাঝে সেই একজনের কথা মনে পড়ায় নিজেই চমকে উঠলাম। বেশ কিছু সময় আগে প্রথম একটি ছেলেকে ভালো লেগেছিল। একদিন বিকেলে হাঁটতে বেড়িয়েছিলাম নানুর সাথে, তখনই মায়াবী চোখ আর হাসির একজনকে দেখেছিলাম ক্ষানিকের জন্যে। পরে আর কখনো দেখা হয়নি যদিও অনেকদিন পর্যন্ত বাইরে গেলেই দোকানে, রাস্তায় খুঁজতাম চেহারাটা। তাকে জাস্ট আরেকবার দেখার ইচ্ছে ছিল। কখনো খুঁজে না পেয়ে কৌতুহল বেড়ে গিয়েছিল তার ব্যাপারে। হয়ত সে কারণেই দেশ ছাড়বে এমন খবরে তার কথা আবারো মনে পরল। এসব ভাবতে ভাবতে নিজেকেই বোকা মনে হলো, দেশে থাকলেও তো দেখা হতোনা। এত কোটি মানুষের ভীড়ে কিভাবে দেখা হবে আর দেখা হলেই বা কি করার আছে?

নিজের বুঝ দিতে দিতে অনেকটা পথ পেড়িয়ে ঢাকায় চলে এলাম এবং ক্লান্ত শরীর আর মনে দাদার বাড়িতে প্রবেশ করেই বাড়ির আবহাওয়া দেখে অবাক হয়ে গেলাম.......

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পাঠকের জন্যে কুইজ: দাদার বাড়িতে গিয়ে অবাক কেন হলাম?
সঠিক উত্তর এবং উত্তরদাতার নাম পরের পোস্টে যোগ করে দেওয়া হবে।

ছবিসূত্র: অন্তর্জাল!

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কত বছর বয়সে আপনি প্রবাসে গেছেন?

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যখন সদ্য কিশোরী ছিলাম তখন। সামনের পর্বগুলোতে সেই বয়স ও সময়ের নানাকিছু ডিটেইলে আসবে।
ধন্যবাদ মন্তব্যে।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব কথা কয়েক বাক্যে বলা যায়, সেটার জন্য আপনার" সিরিজ"এর দরকার হয়; আপনি বকবক করতে ভালোবাসেন?

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আমি বকবক করতে অনেক ভালোবাসি।
আবারো ফেরার জন্যে ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আকন বিডি বলেছেন: ফার্স্ট হইতে চাইলাম দেখি চাঁদগাজী স্যার জায়গা দখল করছেন X(( :((

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এতে কষ্ট/রাগের কি আছে? ফার্স্ট হবার তো কোন প্রাইজ নেই। :)

মন্তব্যের আন্তরিকতা মন ছুঁয়ে গেল।
ভালো থাকবেন।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "যখন সদ্য কিশোরী ছিলাম তখন। সামনের পর্বগুলোতে সেই বয়স ও সময়ের নানাকিছু ডিটেইলে আসবে।
ধন্যবাদ মন্তব্যে। "

-আমার প্রশ্ন ছিলো, "কত বছর বয়সে আপনি প্রবাসে গেছেন? "
-ইহার উত্তর দিতেও "সিরিজ" লাগবে? কানাডা কি বকবক লালন পালন করে?

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার যেটুকু উত্তর দেবার শুধু সেটুকুই দেব। জ্বি কানাডা বকবক শান্ত অনেককিছুই লালন পালন করে।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বকুলের ফুল কুড়ানোর মতো, একটু একটু করে, যতনে তুলে আনা
স্মৃতি, জীবন বোধ, আর অচেনা আপন অলখে হারানোর বোঝা না বোঝার ব্যাথা!
সিরিজতো প্রথমেই জম্পেস জমিয়ে ফেললে সখি!
অগ্রিম অভিনন্দন :)

আগের আধুরা সিরিজের সাথে কোনো জংশনে কি মিলনের সম্ভাবনা আছে?
না একদম আলাদাই হবে এটা?

সকল সূখের পিছেই থাকে যাতনা
রইল অসীম শুভেচ্ছা, শুভকামনা



০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ! লেইট লতিফ আজ এত আগে? সূর্যটা কোনদিক দিয়ে উঠল? :)

ইশ! আপনার মতো করে যদি লিখতে পারতাম, তাহলে মন্তব্যের প্রথম দুটো লাইন পোস্টেও কোথাও থাকত।

ধন্যবাদ, আপনারা পাশে থাকলেই জমে যাবে।

আগের আধুরা সিরিজের সাথে কোনো জংশনে কি মিলনের সম্ভাবনা আছে?
এখনো কিছু ভাবিনি, তবে আপনার কারণে আইডিয়াটা মাথায় এলো, দেখা যাক সামনে কি হয়!

আসলেই - সকল সুখের পিছে থাকে যাতনা - এরচেয়ে সত্য আর কিছু নেই। জীবন দিয়ে বুঝেছি সেটা।

চমৎকার মন্তব্য বরারবের মতো।
শুভকামনা!

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দাদার বাড়ীতে ঐ একজনের দেখা পেয়েছিলেন নাকি?

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, রোমান্টিক কিছুই ভাবলেন! সামনের পর্বে দেখা যাবে আপনার অনুমান ঠিক কিনা! :)

ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার প্রশ্নটা প্রহর করে ফেলেছেন। ফ্রি-তে লজেন্স খাওয়া কিশোরীর কাকে ভালো লাগতে পারে এ বয়সে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।

দাদার বাড়ির আবহাওয়াটা কি খুব হোমলি ছিল? কাজিনরা এবং আত্মীয়স্বজন সবাই জড়ো হয়েছিল নাকি? আচ্ছা, এত কঠিন প্রশ্নের জবাব দিতে পারলাম না।

আপনার শুরুটা অসাধারণ হয়েছে। লেখা খুবই প্রাঞ্জল এবং চিত্তাকর্ষক। একজন কিশোরীর মনে এ অবস্থায় যেরকম অনুভূতি হতে পারে, আপনি তা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আইসক্রিম পড়ে যাওয়ার পর বাবার রিএকশন, দাদা-নানির কাছে প্রত্যাশিত উত্তর না পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ চমৎকার।

এর পরের পর্ব যদি প্রশ্ন দিয়ে শেষ করেন, তাহলে তার নীচে উত্তরটাও লিখে রাখবেন দয়া করে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উরে মা! সেইরাম এক মন্তব্য করেছেন। বেশ যত্ন নিয়ে পড়েছেন সেটা বুঝতেই পারছি।

সেই দোকানদার চাচার কাছে যদি আমি এখনও যাই, তিনি আমাকে আবারো ফ্রিতে কিছু না কিছু দেবেন। অনেক স্নেহ করতেন আমাকে ছোট থেকেই।

এর পরের পর্ব যদি প্রশ্ন দিয়ে শেষ করেন, তাহলে তার নীচে উত্তরটাও লিখে রাখবেন দয়া করে।
পোস্টে যেমনটা লেখা আছে - এক পর্বের কুইজের উত্তর পরের পর্বে আসবে। এভাবে পাঠকের কাছে সময় ও সুযোগ থাকবে কুইজের জবাব দেবার।

যাই হোক, জাস্ট টু বি ক্লিয়ার আইসক্রিম আমার হাত থেকে পড়েনি এবং ওটা আমার বাবার রিএকশন ছিলনা, জাস্ট কোন এক যাত্রীর!

আপনার অনুমানটি ঠিক কিনা পরের পর্বে জানবেন, অনেক ধন্যবাদ কুইজে অংশ নেবার জন্যে।
শুভকামনা।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪১

মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: আপনার আমার অনুভূতি একি রকম তবে আবার ভীষণ রকমের বিপরীত। আমার অনুভূতি গুলো যদিও এত তীব্র ছিল না বয়সে অনেক ছোট ছিলাম বলে। বাবা-মা যদিও আমাকে গল্প শোনাতো সবুজ শ্যামল, অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, সহজ সরল ভাল মনের সব মানুষ এর দেশ বাংলাদেশ। তবুও ভাবতে অনেক খারাপ লাগছিল যে তীব্র গরম, মশা-মাছি তে ভরপুর, নোংরা একটা দেশে আমি গিয়ে থাকবো! সবথেকে বড় কথা শেখানে আমার এত্ত প্রিয় তুষার পরে না! ভাবা যায়! আমি স্নো ম্যান বানাতে পারবো না! বন্ধুদের গায়ে তুষার ছুঁড়ে মারতে পারবো না! তুষারে হুটোপুটি করতে পারবো না! অমন অদ্ভুত দেশে যাবার মানে কি? যদিও আমাকে তারা বলে ছিলেন যে তুষার না থাকলেও আছে পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর বৃষ্টি! সে বৃষ্টিতে আবার না ভেজাও যায়! তুষার না ছুঁড়তে পারলেও বন্ধুদের সাথে কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি করতে পারবো। ছিঃ! কাঁদাতে কেও হাত দেয়! এমন সব অনুভূতি দলা পাকিয়ে অনেক কান্না আসছিল। কেঁদেছি ও অনেক দিন ধরে। কিন্তু বাংলাদেশে ফিরে আসার পরে কিছু মাস অনেক কষ্ট হলেও আসে পাশের মানুষদের, আত্মীয় স্বজনদের, বন্ধুদের তীব্র ভালোবাসায় ভুলে গিয়ে ছিলাম সব কষ্ট।

আপনার স্মৃতিশক্তি অনেক প্রখর! অনেক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম স্মৃতি ও মনে আছে আপনার! লেখা ভাল হয়েছে। সোনাবীজ ভায়ের মত আমার ও মনে হচ্ছে যে দাদা বাড়ীতে অনেক আত্মীয়-স্বজন এসে ছিল এদের দেখে অবাক হয়ে ছিলেন। এত বেশি মানুষ হয়ত আশা করেননি।

ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তবুও ভাবতে অনেক খারাপ লাগছিল যে তীব্র গরম, মশা-মাছি তে ভরপুর, নোংরা একটা দেশে আমি গিয়ে থাকবো!
এটুকু পড়ে এত মেজাজ খারাপ হলো পিচ্চি কালের আপনার ওপরে যে বলার না! আপনি এখন ভালোমানুষ কিন্তু পিচ্চিকালে অনেক খারাপ ছিলেন, নিজের দেশকে নিয়ে কিসব ভাবনা! দেশে না আসলে সারাজীবন বাংলাদেশকে এমনই ভাবতেন। প্রবাসে এমন অনেক ব্রাউন চামড়ার মানুষ দেখেছি যাদের বাবা মা বাংলাদেশে কিন্তু জন্ম বিদেশে - তাদের বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবনা খুবই নেগেটিভ। দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ব্যাপারে একটা জিনিস জানেনা, বাংলাদেশের প্রতি অসম্মানজনক মনোভাব রাখে। কিন্তু নিজেকে মাইনোরিটি বলে কোন বেনেফিট নেবার প্রয়োজন হলে ঠিকই বাংলাদেশী বনে যাবে। আপনার বাবা মা অনেক ভালোমানুষ এবং তারচেয়েও বড় কথা - ভালো প্যারেন্টস। তারা আপনাকে বুঝিয়েছে বাংলাদেশের সৌন্দর্যের ব্যাপারে, কিন্তু অনেক প্রবাসী বাবা মা তো উল্টো আরো বিষ ঢালে দেশের বিরুদ্ধে। রাগে গা জ্বলে আমার এসব মানুষজনকে দেখলে। এধরণের দু একটা প্রবাসীর জন্যে সব প্রবাসীর মান সম্মান পানিতে যায়।

স্মৃতিশক্তি নিয়ে বললেন, মজার ব্যাপার আমার অনুভূতি মনে থাকলেও দিন তারিখ সংখ্যা জায়গার নাম ইত্যাদি মনে থাকেনা অথবা গুলিয়ে যায়।

ধুলো ভাইয়ের উত্তরটাই দিয়েছে! কপিবাজ কপিবাজ! হাহাহা।
দেখা যাক, আপনাদের অনুমান ঠিক কিনা।

আপনিও ভালো থাকবেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একটা জিনিস মনে হলো, আপনার কাছে তো প্রথমে বাংলাদেশ বিদেশ ছিল, যেহেতু জন্ম অন্যদেশে। যান সেই লজিকে পিচ্চি বনুকে মাফ করা গেল। :)

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৩

মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: এটুকু পড়ে এত মেজাজ খারাপ হলো পিচ্চি কালের আপনার ওপরে যে বলার না!

আসলে আমি তো আর বাংলাদেশ সম্পর্কে নেটে সার্চ দিয়ে ভাল, খারাপ দুইটা সাইড পেয়ে ছিলাম। তার মধ্যে খারাপ সাইড গুলোই বেশি ছিল বিদেশি সব ওয়েব সাইটে। আমি সে সব জায়গা থেকেই শুনে ছিলাম এসব।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ সেটা পরে মনে হয়েছে তাই পরের প্রতিমন্তব্যে মাফ করে দেওয়া হয়েছে।

যেসব সাইট আর মিডিয়া বাংলাদেশকে নিয়ে শুধুই নেগেটিভ নিউজ করে তাদের চোখ জ্বলে যাক, মুখ পুড়ে যাক।

আপনি তখন বাংলা পড়তে পারতেন নাকি দেশে এসেই শিখেছেন?

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:



দুই আর চার নং মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্য পড়ে আই ক্যান্ট স্টপ লাফিং পিচ্চু :)

আমারও প্রথমে মনে হয়েছে সেই ফার্স্ট ক্রাশের দেখা কি মিললো কিনা দাদাবাড়ীতে ।
পরে মনে হলো এটা খুব অভবিয়াস হয়ে যায় তাই এটা হবেনা ।
দাদা বাড়ীতে মনে হয় সব কাজিন ব্রাদার সিসরা ওয়েট করেছিল ওয়েলকাম করতে ।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যেমন প্রশ্ন তেমন উত্তর। :)

দুটো গেস! দেখা যাক, কোনটা ঠিক হয় কিনা সামনের পর্বে জানা যাবে।

চটুল মন্তব্যের জন্যে থ্যাংকস আপু।
ভালো থেকো।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৩

আকন বিডি বলেছেন: আগে বল্গ এ কেউ লেখা দিলে কে ফার্স্ট মন্তব্য করতে পারে তার প্রতিযোগিতা হতো।ফার্স্ট হলে তাকে ডিজিটাল চা পানি দিয়ে আপ্যায়ণ করা হতো। ;) আমি থার্ড হইছি আমি কি কিছুই পাবো না? :-/ X(

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আসলেই তো! তেমন একটা কালচার তো ছিল। অনেকে অবশ্য পরিচিত ব্লগারদের এমনিতেই চা কফি দিতেন।

অবশ্যই পাবেন, বলেন চা নাকি কফি নাকি অন্য কোন খাবার চাই? :)

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১১

আকন বিডি বলেছেন: না খাবো না। :( চেয়ে খেতে পারবো না। :>

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, আপনি না চাইলে বুঝব কিভাবে আপনার চা পছন্দ নাকি কফি? আচ্ছা আপাতত চাই নিন।

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: কুইজ এর উত্তর দিতে পারবো না।
আপনি কি চা বানাতে পারেন?
এতদিন আমি মনে করেছিলাম, আপনি ছেলে। হায় কপাল।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি পারি।

এতদিন আমি মনে করেছিলাম, আপনি ছেলে। হায় কপাল।
সিরিয়াসলি? কিভাবে? আপনি কত দিন ধরে আমার ব্লগে আসছেন! আমার মেয়েবেলার স্মৃতিকথন পোস্টেও আপনার মন্তব্য আছে। আমি অবাক হলাম আপনার কথায়!!!

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৪

আকন বিডি বলেছেন: আমাকে কেউ সাধিলে, না করিতে পারি না। তাই পান করলুম। বলি একটু বিস্কুট সন্দেশও কি নেই ঘরে। শুধুই চা হলে গৃস্থের চলে? অতিথি নারায়ণ বলে কতা! এবারে মত গেলুম। অতিথিনারায়ণকে ভাল মন্দ কিছু খেতে দিলে জগৎ সংসারের মঙ্গল হয়। মনে থাকে যেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এ কেমন অতিথি! প্রথমে চা টিও চেয়ে নিতে পারলনা আর এখন কতকিছু! হাহাহা। যাবার সময় হলে যান, তবে সন্দেশগুলো সাথে নিয়ে যান। :)

১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:০৪

আনমোনা বলেছেন: আমার মনে হয় দাদা-দাদী হঠাৎ মত পাল্টে তোমাদের আসতে দিতে চায়নি। তাদেরও মন খারাপ হয়েছিলো। হয়তো ফোনে তোমাকে সান্তনা দিয়েছে, তুমি ভেবেছিলে সবাই খুব খুশী। পরে দেখলে তাদেরও মন খারাপ।

আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে সারপ্রাইজও দিতে পারে।

কবিতা পড়ার প্রহর দারুন একটা রোমান্টিক গেস করেছে, তার নামের মতই। সত্যি হলে মন্দ হয়না। উপন্যাস কি সিনেমা হয়ে যেতে পারে।

আকন বিডি নাহয় লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে চেয়েই খেলো। কিন্তু ছোটবেলায় কারো বাসায় বেড়াতে গিয়ে, যদি চা-নাস্তা আসতে দেরী হতো, তাহলে মনে মনে গৃহস্থের মুন্ডুপাত করনি? আর নিজের বাড়ির চেয়ে অন্যের বাড়ির সন্দেশ সবসময়ই ভালো।

পরের পর্বের বকবকানি শুনতে আবার আসবো।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মনা আপু!

বাহ! অনেক রকম উত্তরই দিয়েছ, দেখা যাক কোন একটা ঠিক হয় কিনা। পরের পর্বে উত্তর জেনে যাবে!

কিন্তু ছোটবেলায় কারো বাসায় বেড়াতে গিয়ে, যদি চা-নাস্তা আসতে দেরী হতো, তাহলে মনে মনে গৃহস্থের মুন্ডুপাত করনি?
না করিনি আপু, কেননা নাস্তা আসলেও আমাদের বাচ্চাদের বাড়ির বড়রা শিখিয়ে নিয়ে যেতেন যেন বেশি না খাই পরের বাড়িতে - তাহলে তারা ভাববে আমরা বাড়িতে খাবার পাইনা। হাহাহা। সো আমাদের জন্যে নাস্তা আসা না আসা সমানই ছিল।

হাহা, আশা করি পরের বকবকানিগুলো তোমার সহ সবার ভালো লাগবে এবং এই বকবকানি কেন জরুরী সেটাও ফুটে উঠবে।
ভালো থেকো গো প্রিয় আপু।

১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:২০

লরুজন বলেছেন: আফনে কত বছর বয়সে বিদেশ গেছলাইন?

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই প্রশ্ন প্রথমেই একজন করেছিলেন, তাকে যা এবং যতটুকু বলেছিলাম আপনাকেও নিশ্চই তাই বলব!
ধন্যবাদ মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৪৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি সেখানে গিয়েও যে বাংলায় লেখতে, পড়তে পারেন এটা ভাল। পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পরের পর্বেও আপনাকে পাশে পাব জেনে আনন্দিত বোধ করছি।
সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।

১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মেয়েটি কেন প্রবাশে যাচ্ছে
আমাদের ছেড়ে ?

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মেয়েটির যে অন্যকোন উপায় নেই - তার বাবা মা গেলে তো তাকেও যেতেই হবে! তবে এই যাত্রায় আপনাদের সবাইকে সাথে করে নিয়ে যাবে। :)

ভীষন রকম মিষ্টি একটি মন্তব্য করেছেন।
ভালো থাকবেন ভাই।

১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২১

খলিল মাহ্‌মুদ বলেছেন: প্রিয় লরুজন ভাই নজরুল@ কোনো একজন আপনাকে অনেক মিস করছে। আপনি কি তার উপর গোস্যা করেছেন?

২০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পাগলী অবাক মায়াবী চোখে ;)

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই আর্কি!? কি খবর? দিনকাল কেমন কাটছে?

হাহা দেখি আপনার উত্তর ঠিক হয় কিনা, পরের পর্বে জানা যাবে।

২১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দাদার বাড়ী গিয়ে তারই দেখা পেলেন, যাকে আপনার লাগতো ভালো।

অথবা সব আত্মীয় স্বজন একসাথে হয়েছিলেন ।

এগিয়ে যান আপা সাথেই আছি

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ছবি আপু! কুইজে অংশ নেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, পরের পর্বে জানবেন এটা সঠিক উত্তর কিনা।

এগিয়ে যান আপা সাথেই আছি
খুব ভালো লাগল এ কথাটা, সবাইকে পাশে চাই সামনের পর্বগুলোতে।

সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন আপু।

২২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ঝরঝরে কথামালায় নিজের কথা গল্প করে বলে যাওয়া সিরিজগুলো বরাবরই ভালো লেগেছে। এবারের সিরিজটিও যে মুগ্ধ করবে সে ধারাবাহিকতায় পাঠে তৃপ্তি নিয়ে ফিরলাম। পরের পবর্বে অপেক্ষায়।

পথের মোড়ের লোকিয়ে লোকিয়ে দেখার সেই শ্যামলা ছেলেটা না হয় আবার। যার হাসি মন ভুলিয়েছিল।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুজন ভাই!

চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন। অন্য সিরিজেও পাশে ছিলেন, এই সিরিজেও পাশে পাব আশা করি।
কুইজের উত্তরটি সঠিক কিনা সেটা পরের পর্বে জানবেন।

আসবে, সময়মতো পরের পর্ব আসবে ইনশাল্লাহ।
ততক্ষন পর্যন্ত ভালো থাকুন।

২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: এটা আমার ব্যর্থতা।
আমি স্যরি।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইটস ওকে, সরি বলার কিছু নেই। এমনিও আমি ছেলে না মেয়ে সেটা জানা জরুরী না, লেখা পাঠকের কেমন লাগল সেটা জরুরী।
ভালো থাকুন।

২৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দেশ ছেড়ে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতিকালীন সময়ের মানসিক অবস্থা বেশ দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছ। অত ছোট বয়সেই একটা ছেলেকে ভালো লেগে গেল? তুমি তো আর একজন আলেয়া দেখছি!

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দেশ ছেড়ে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতিকালীন সময়ের মানসিক অবস্থা বেশ দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছ।
আপনার মতো সুলেখকের কাছ থেকে এমন কথা মারাত্মক রকম প্রেরণা দেয়। থ্যাংকস এ লট।

তখন আসলে বুঝতে পারতাম না ওটা ভালো লাগা। আমার শুধু মনে হতো ঐ চেহারাটা আবারো দেখতে চাই। এখন পেছনে ফিরে তাকালে মনে হয় যে কিছু অনুভূতি ছিল বলেই হয়ত ওমন চাওয়া!

নারে ভাই, আলেয়া আপার মতো প্রেমিকা আমি হতে পারবনা। তার মতো সরল ও ভালোমানুষ হতে পারলে জীবন ধন্য হয়ে যেত। জীবনে যতটা সুখ পাবার কথা ততটা পাননি, তবুও নিজের সব দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন একমনে। আমরা সাধারণ মানুষেরা তো শুধু মুগ্ধ হতে পারি অমন মানুষ দেখে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.