![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সালামের বিধান সর্বপ্রথম প্রয়োগ করা হয় জান্নাতে, যেখানে আল্লাহপাক আদম আ: কে সৃষ্টির পর ফেরেশতাদের উদ্দেশ্যে সালাম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হযরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন আল্লাহতা'লা আদম আ: কে সৃষ্টি করলেন এবং বললেন যাও! ঐ দলটিকে সালাম কর। তারা হল ফেরেশতাদের একটি দল। তারা তোমার অভিবাদনের কি উত্তর দেয় তা মনযোগ সহকারে শ্রবন কর। কেননা এটি হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের অভিবাদন। তিন গেলেন এবং বললে আসসালামু আলাইকুম। জবাবে তারা বললেন, " আসসালামু আলাইকা ওরাহমাতুল্লাহ"। রাসূল সা: বলেন, ফেরেশতারা প্রতি উত্তরে "ওরাহমাতুল্লাহ" বাক্য বৃদ্ধি করলেন।
পবিত্র কোরআনের নির্দেশ, "হে নবি, আমাদের আয়াতের উপর বিশ্বাস রাখে এমন লোকেরা যখন আসে আপনি তাদেরকে ' সালামুন আলাইকুম' বলুন। (সূরা আন আম:৫৩)
আল্লাহর পক্ষ হতে জান্নাতবাসীদের সালাম জানানো হবে।
" তাদের জন্য জান্নাতে সর্ব প্রকার ফলমূল এবং তারা যা চাইবে তাই পাবে। মহান প্রতিপালক আল্লাহর পক্ষ হতে বলা হবে ' সালাম'।" সূরা ইয়াসীন:৫৮)
মুত্তাকী লোকেরা যখন জন্নাতের দরজায় পৌছবে তখন জান্নাতের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতারা তাদের সালামের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানাবেন। সূরা জুমার-৭৩
এজন্য আল্লাহতালা বলেন, " যখন তোমরা নিজেদের ঘরে প্রবেশ কর, নিজেদের লোকজনের সালাম কর দুআ হিসেবে যা মহান আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত হয়েছে এবং যা বরকতময়"। সূরা নূর-৬১
অন্যের ঘরে প্রবেশকালে সালাম প্রদান করার নির্দেশ আল্লাহপাক দিয়েছেন সূরা নূর এর ২৮ আয়াতে।
সুতরাং আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ সর্বস্তরে সালামের প্রচলন করা।
©somewhere in net ltd.