![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের এক ব্লগার ভাইয়ের (রুবেল১৯৮৭) লেখাটা পড়ে মনে হল কিছু লেখা দরকার। ব্লগার রুবেল ভাইয়ের অনেকগুলো দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে আমি একমত না।
আমি মানি তাকওয়ার ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। যার তাকওয়া নেই তার বাহ্যিক পোষাক-আশাক কোন কা্জেই আসবে না। কিন্তু যার তাকওয়া আছে, সেই লোকই ইসলামের বিধিবিধানগুলো মেনে চলে।
উনি বলেছেন আরবের পুরুষরা হিজাবের মত এক ধরনের পোষাক পড়ে যেটা আমাদের আবহাওয়ার সাথে উপযোগী নয়। আমি তার সাথে একমত। ইসলামে আপনাকে শার্ট বা প্যান্ট পড়তে নিষেধ করা হয়নি। তবে কিছু নিয়ম মানতে বলা হয়েছে। পোষাকটা এমন হওয়া উচিত যেটা পড়ে আমরা নামায পড়তে পারবো এবং বসে প্রসাব করতে পারবো।
প্রসাবের কথা এজন্য বললাম, অনেকে দাড়িয়ে প্রসাব করে যেটা রাসূলের সুন্নাতের খেলাফ। তাদের প্রায় বলতে শুনা যায় প্যান্ট পড়ে বসে প্রসাব করা যায় না।
এজন্য ইসলামে পুরুষরা কি ধরনের পোষাক পড়বে এবং মহিলারা কি ধরনের পোষাক পড়বে তার একটা মানদন্ড আছে।
মহিলারা কখনো পুরুষের পোষাক পরিধান করবে না এবং পুরুষাও কখনো মহিলাদের পোষাক পড়বে না।
রুবেল ভাই বললেন,
(কুরআনের কোথাও দাড়ি রাখা ও নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক পরিধানের নির্দেশ নাই।) ভাই মনে হয় হাদিস জানেন না অথবা যেটা তার ভাল লাগে না তা মানেনা।
দাড়ি সর্ম্পকে হাদিসে কি আছে?
১. হযরত আবু দারদা রা: হতে বর্নিত, রাসূল সা: বলেন, সে লোকদের সাথে আমার কোন সর্ম্পক নাই যারা শেভ করে, চিতকার করে এবং মানষিক দু:খে তার কাপড় ছেড়ে।" -মুসলিম-৫০১। এরকম আরো অসংখ্য হাদিস রয়েছে যেখানে স্পষ্টভাবে দাড়ি রাখার কথা বলা হয়েছে।
২. আর পুরষদের টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারীতো আল্লাহপাকের দেখাই পাবে না। বুখারী-৫৭৮৪
মহিলারা কোন ধরনের পোষাক পড়বে সেটাও ইসলামে বলা আছে। আপনি যদি বলেন, আমাদের দেশে প্রচন্ড গরম তাই মহিলারা যদি ছোট ছোট কাপড় পড়ে কোন সমস্যা নাই, কাপড় দিয়ে তাকে যাচাই করা যাবে না, সে মানুষ হিসেবে খুব ভালো, নামায পড়ে ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবেতো ভাবলে হবে না। আল্লাহ এবং রাসূল সা: যেসব নিষেধ করেছেন সেগুলো আপনি কোনভাবেই করতে পারবেন না।
পোষাক সংক্রান্ত হাদিস-
১.হযরত কুতায়বা (রহঃ) হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্নিত, দুই ধরনের পোশাক পরিধান করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তা হলো একটি কাপড় শরীরে জড়িয়ে তার এক পার্শ্ব কাঁধের উপর তুলে দেওয়া এবং দুই ধরনের বেচা-কেনা হতে নিষেধ করা হয়েছে, স্পর্শের এবং নিক্ষেপের বেচা-কেনা।গ্রন্থঃ সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ ক্রয় – বিক্রয় হাদিস নাম্বারঃ ২০১২
পোষাক পরিধান সংক্রান্ত এরকম অসংখ্য হাদিস রয়েছে। একটু হাদিস পড়েন সব জানতে পারবেন।
কিভাবে পোষাক পরিধান করা হবে, কি পোষাক পরিধান করা হবে, কোন পোষাক পড়া ইসলামে হারাম, এগুলো আমাদের জানতে হবে। শুধু কোরআনের একটা আয়াত দিয়ে আপনি সব কিছূ ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে হাদিস জানতে হবে।
ইসলাম হচ্ছে পরিপূর্ণ জীবন-বিধান। আমাদের জীবন কিভাবে পরিচালিত হবে তা সুন্দরভাবে কোরআন এবং হাদিসে বলা আছে।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
সামুরাই০০৮ বলেছেন: কোরআনে দাড়ি সম্পকে সরাসরি কোন আয়াত আছে কি'না তা আমরা জানা নাই। তাই এ নিয়ে আমি কিছূ লিখি নি। ভাই আমিওতো তাই বললাম একজন মুসলিম নারি এবং পুরুষ কি পড়বে এবং পড়বে না তা ইসলামে বলা আছে।
৩| ০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৯
দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: আমার অনেক ভালো লাগলো যে খুব পর্যদুস্ত না হলেও আধা পাকা অনেক ইসলাম বিশেষজ্ঞ ব্লগে পেলাম।
এরকম যুক্তি তর্ক করা ভালো তবে সহিত হাদিস ও কোরআনের দালিলিক স্বাপেক্ষে হওয়া বাঞ্ছনীয়।
আমরা সব সময় সাবধান হবো যে কোন জাল,যয়িফ,মওযু,হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে কাউকে যেনো বিভ্রান্ত না করি। আমরা আরো শক্তিশালী হবো যেনো কোন ব্লগার ইসলাম বিদ্বেষ পূূর্ন কোন মন্তব্য করতে না পারে।
পাদটীকাঃ (১) দাঁড়ি রাখা সুস্নাত। এটা নবী করিম সাঃ এর অভ্যসগত সুস্নাত হুকুম গত সুস্নাত নয়। হুকুমগত সুস্নাত পালন না করলে গুনাগার হতে হবে। আর অভ্যাসগত সুস্নাত পালন না করলে গুনাগার হবেনা তবে নেকী পাবে।
যার কারনে কোরআনে দাঁড়ি রাখা হুকুম পেশ করা হয়নি।
(২) কোরআন ও সহিহ হাদিসে ঢিলে ঢালা পোশাক পরিধান করার হুকুম পাওয়া যায় তবে পোশাকের কোন বিবরন দেয়া হয়নি। এর যুক্তি স্বরুপ বিশেষজ্ঞগন পাঞ্জাবি আলখাল্লা, মেনে নিয়েছেন। তবে শার্ট প্যান্ট পড়াতেও দোষের কিছু দেখিনা যদি তার ভেতর আকিদা ভালো থাকে।
সঙ্গত কারনে বর্তমান বিশ্বের আলোচিত ইসলামী গবেষক
ডঃ যাকির নায়েক প্যান্ট শার্ট পড়েন। ধন্যবাদ----
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
নবীউল করিম বলেছেন: কোরআনে ছেলেদের দাড়ি ও মেয়েদের চুল ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কি কিছুই বলা নেই?
লেখছেন যখন তখন,আপনাদের উভয়ের উচিৎ আরও সময় নিয়ে পড়ালেখা করে এই বিষয় নিয়ে লেখা।
উনি যেমন ভুল আছেন তেমনি আপনার মধ্যেও তাড়াহুড়া লক্ষ করলাম। নির্দিষ্ট পোশাক নাই সত্যি, তেমনি কি পোশাক একজন মুমিন পড়তে পারে না তা তো নির্দিষ্ট করে বলা আছে।