নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইস‬ আজ যদি জুয়েলটা বেঁচে থাকত

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪

ব্যাবা ব্যাবা ব্যাবাগোওওওওওওওওওও-``````````````````আ`` আজ চারিদিক শুধু শুনতে পাই ৭১ এ ফেলে যাওয়া অসংখ্য অবৈধ শিশুর ক্রন্দন।ধন্য বাদ অররা শ্যাম মানকশ্ বাহিনীকে,নিয়াজী বাহিনীর ও তাদের অবৈধ জারজ সন্তানদের আরেকটা দিন যন্ত্রনাময় করে দেয়ার জন্যে।আজ জারজের ক্রন্দনে মিরপুরে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে,চারিদিকে খালি ব্যাবা ছাগলের ডাকেস্থির-প্রতিবেদক কাশেম টিভি
‪#‎ইস‬ আজ যদি জুয়েলটা বেঁচে থাকত---এক একটা নির্যাতনের জবাব দিত সুদে আসলে,আজ তাকে সত্যি মিস করছি
আঙ্গুল তিনটা রাইখেন দেশ স্বাধীন হলে আমি হব ন্যাশনাল ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন -শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল বীরবিক্রম জুয়েল ।
পুরো নাম আব্দুল হালিম চৌধুরী।
জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রসায়নে অনার্স সমাপ্ত করা অত্যন্ত রসিক এই ছেলেটি ছিল ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান। তখনকার দিনে ওয়ানডে ম্যাচ খেলা হত চল্লিশ ওভারের। আর এই ৪০ ওভারের খেলায় ঢাকার ক্রিকেটে তুফান নামে পরিচিত ছিল একটি ছেলে, সে হচ্ছে জুয়েল। ১৯৭১ সনের ২৫ শে মার্চের নৃশংস তান্ডবলীলা দেখে মেলাঘরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয় জুয়েল। কিংবদন্তি খালেদ মোশাররফ আর মেজর হায়দার জুয়েলসহ অন্য গেরিলাদের ট্রেনিং দিয়ে পাঠিয়ে দেন ঢাকায়।
যাত্রা শুরু হয় ক্রাক প্লাটুনের। জুয়েল, বদি, রুমীরা গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে খোদ ঢাকা শহরেই পাক হায়েনাদের যম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। একের পর এক দুঃসাহসী অপারেশনের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে বুঝাতে সক্ষম হয়, “খোদ ঢাকা শহরে পাকিস্তানীদের নাকের ডগায় যখন মুক্তিপাগল যোদ্ধারা পাকি,,,দের ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে তখন পুরো দেশের চেহারা আরও ভয়াবহ। বাঙ্গালিরা যে যুদ্ধ করছে তা কোন গৃহযুদ্ধ নয়, তা মুক্তিযুদ্ধ” জুয়েলদের অসাধারণ সব বীরত্বে রোমাঞ্চিত কে ফোর্সের প্রধান খালেদ মোশাররফ ও দুই নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর হায়েদার ভারী ভারী সব অস্ত্রের চালান দিতে থাকেন জুয়েলদের। সেগুলোর সদ্বব্যবহার করতে থাকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দেশসেরা এই তরুণরা। সিদ্ধিরগঞ্জে একটি যুদ্ধে হাতে মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হন জুয়েল। ডা. আজিজ ও তার স্ত্রী ডা. সুলতানা যখন জুয়েলের হাতে অস্ত্রোপচার করছিলেন তখন জুয়েল ডা. আজিজকে অনুরোধ করেন, “ ডা. সাহেব আঙ্গুল তিনটা রাইখেন।
দেশ স্বাধীন হলে আমি হব ন্যাশনাল ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন ।” জুয়েলের প্রথম স্বপ্ন দেশ ঠকই স্বাধীন হয়েছিল কিন্তু তিনি তা দেখে যেতে পারেননি। ১৯৭১ সনের ৩০শে আগস্ট দিবাগত রাতে সহযোদ্ধা শহীদ আজাদ‘র বাসা, মুক্তিযোদ্ধাদের মতে যা ছিল ছোটখাটো ক্যান্টনমেন্টের মতো সেই মগবাজারের হাজী মনিরুজ্জামান ভিলায় ঢাকার লোকাল রাজাকার কামরুজ্জামান (পরবরতীকালে পক্ষাঘাতে মৃত) এর সহযোগিতায় ঘেরাও করে ফাকিস্তানী আর্মি। মূলত আজাদদের বাসাটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গোপন আস্তানা।
তাই পাকিস্তানীদের হাতে ধরা পড়েন অনেক গেরিলা যোদ্ধা। পাক হায়েনারা গ্রেফতার করে নিয়ে যায় আজাদ, জুয়েল, মনোয়ার, বাশার ও সেকেন্দারকে। অন্য অনেকের মতো আর কোনদিন সন্ধান পাওয়া যায়নি জুয়েল, রুমি, আজাদদের। ওই যে লাল-সবুজ পতাকা, ৫৬০০০ বর্গমাইলের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এসব ই আমরা পেয়েছি জুয়েলদের মতো লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। এই জুয়েলের নামেই মিরপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারীর একটা অংশের নামকরণ করা হয় "শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড"।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৬

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: আঃহাঃ জুয়েল তোমায় নমঃস্কার শতবার নমঃস্কার । আমরা সুখে আছি তোমারই ত্যাগের বদৌলতে । তুমিও সুখে থাকো যেখানেই থাকো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.