নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমর্থনের জন্য কোন দেশ পাওয়া না গেলেও পাকিস্তান নয়।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১২


১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি সাধারণ মানুষ আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। মাসের পর মাস এই কোটি মানুষের খাবার, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ যাবতীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করতে হয় ভারত সরকারকে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে যে পরিমাণ সহায়তা পাওয়া গিয়েছিলো তা ছিল অপ্রতুল। শরণার্থীদের খরচ চালানোর জন্য ভারত সরকার নতুন একটি কর আরোপ করেছিলো সে দেশের সাধারণ মানুষের উপর, যার নাম ছিল "শরণার্থী সহায়তা কর।" এই অর্থে আমাদের এই বিশাল সংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচাতে ভারতের সাধারণ মানুষের অবদান অনস্বীকার্য্য।

আমাদের মুক্তি সংগ্রামে সরাসরি সামরিকভাবে যুক্ত হবার অনেক আগে থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করলেও ভারতের সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে শুরু থেকেই। উক্ত কর সাধারণ মানুষ থেকে কিভাবে নেয়া হবে তা অনেক আলোচনার পরে নির্ধারিত হয় যে ডাক মূল্য সংযোজন কর হিসেবেই তা নেয়া হবে। পোস্টাল সার্ভিসের স্বাভাবিক মূল্যের উপর স্বল্প পরিমাণ কর সংযোজন করা হয়েছিলো যা চালু করা হয়েছিলো ১৯৭১ সালের ১৫ই নভেম্বরে।

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হবার পরে ধীরে ধীরে শরণার্থীরা নিজ ভূমিতে ফেরত আসা শুরু করলেও ভারতে উক্ত কর চালু ছিল ১৯৭৩ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত। আরেকটি ছোট্ট তথ্য যুক্ত করি, ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় পতাকা নিয়ে ঢুকেনি, তাদের প্রতি করা নির্দেশ ছিল তারা যেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েই আমাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে পাশাপাশি যুদ্ধ করে। এটা সম্ভব হয়েছিলো আমাদের তৎকালীন নেতৃত্বের ইস্পাত-কঠিন ব্যক্তিত্ব এবং আত্মসম্মানবোধের কারণেই। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এমনটাই শর্ত দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে। এবং তিনি তা মেনে নিয়েছিলেন।

নাহ, এরপরে কোন যুক্তিতেই ভারত এবং পাকিস্তানকে এক পাল্লায় মাপা যায় না, খেলার সাথে রাজনীতি আমাকে মিশাতেই হয়। যেদিন খেলায় বাংলাদেশ থাকবে না সেদিন আমরা যে কোন এক পক্ষকে হয়তো সমর্থন করি, তবে কোনভাবে তা পাকিস্তান হতে পারে না। ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ না খেলার কারণে আমরা নিজেদের পছন্দের কোন না কোন দেশকে সমর্থন করি। সমর্থনের জন্য কোন দেশ পাওয়া না গেলেও পাকিস্তান নয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

মাসুদ মাহামুদ বলেছেন: ভাল লিখেছেন

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: সেটা কখনো সম্ভব নয়।
এদশে পাকিস্তানের সাপোর্টার বেশি।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

মোঃ তালেব বলেছেন: ভাল পোষ্ট।।। দাদারাও কিন্তু বাশ দিচ্ছে বর্তমান। পাকি সাপোটার তো নব্ব rajakar...., কিন্তু তাদের কি বলবেন যারা নিজ দেশ বাদ দিয়ে ভারতের সাপোর্ট করে।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: পাকিস্তানকে পিডায়া দেশ ছাড়া করা হইল =p~
https://www.youtube.com/watch?v=iVe48GDxOFk

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.