![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাকিস্থানের ছক্কার মার দেখে তালি দেওয়া মানে নিজের মায়ের বস্ত্রহরন দেখে তালি দেওয়া।পাকিস্থানের চারের মার দেখে তালি দেওয়া মানে নিজের চোখের সামনে বোনের ধর্ষণ দেখে তালি দেওয়া বলেই মনে হয় আমার,আজও কিছু পাকি অবৈধ সন্তান আলো বাতাস ভোগ করে পাকি বাবাদের নাম নেয় কি নির্ভয়ে।এক একটা ম্যারী মি আফ্রিদী যখন আমি দেখি মনে থেকে একটা কথাই আসে"ভাই বাদ দেন এক একটা বাংপাকী জারজ এক এক ফোঁটা শুক্রানুর চরম অপচয়"
চলেন একটা গল্প বলি---
১৯৮০ সালে ভারত সফরের যাবার পথে একটা ছোট্ট সফরে ঢাকা এবং চিটাগাংয়ে দুটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে প্রথমবারের মত স্বাধীন বাংলাদেশে আসে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে এ দলে ছিল তৎকালীন পাকিস্তানের সব তারকা ক্রিকেটাররা। ছিলেন তৎকালীন হার্টথ্রব ক্রিকেটার ইমরান খানও।
বিমানবন্দরে বিমান এসে থামার পর দেখা গেল প্রচুর তরুনী ভিড় করে আছে টারমাক ঘিরে, এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্য তাদের মাঝে। শেষবারের মত আয়নায় মুখ দেখে নিচ্ছেন তারা, শত হলেও তাদের স্বপ্নের পুরুষ ইমরান খান আসছেন…
দরজা খুলে দেখা দিলেন ইমরান, হাত নেড়ে অভিবাদন জানালেন তার নারীভক্তদের। নিচে নেমে হাত জোড় করে বললেন, নমস্তে… ইমরান খানকে সামনাসামনি দেখবার অভাবিত শিহরনে উপস্থিত নারীরা উপেক্ষা করে গেলেন সেই নমস্তে সম্বোধন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকি শুয়োররা আমাদের মা-বোনদের ভারতীয় মালাউন বলে গালি দিত, সেনাদের উপর জেনারেলদের অর্ডার ছিল, যতটা সম্ভব এই ইন্ডিয়ান নারীদের ভিতর সাচ্চা পাকিস্তানী বীজ বপন করে দিয়ে আসতে হবে। যেন এই দেশের পরের প্রজন্ম সাচ্চা পাকিস্তানী মুসলমান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে…
যুদ্ধশেষে এক পাকি অফিসার সহজ গলায় জানিয়েছিল, “আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো, যে একজন ভালো মুসলমান কখনোই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।”
ইমরান যে তার পূর্বপুরুষের মত তখনও, স্বাধীনতার নয় বছর পরেও তাদের ভারতীয় হিসেবে বিবেচনা করতেছে, সেইটা এয়ারপোর্টের টারমাকে দাঁড়ায়া শিহরনে কাঁপতে থাকা মেয়েদের মনে একটাবারের জন্যও আসল না। কিন্তু মিডিয়া সেই জিনিসটা ক্যাচ করল, প্রচার হবার পর কিছু তেজী বাঙালী যুবক স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ বাঙলা গালিতে ভরে দিল পাকিস্তানীদের। কিছু মিডিয়ায় পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হল, পাকিস্তানীরা তাদের পূর্বপুরুষদের ধারা বজায় রেখে বরাবরের মত নিতান্তই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করল বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে, বাঙ্গালীদের… ফলাফলটা হয়তো তারা কল্পনাও করতে পারেনি।
জানুয়ারির দুই তারিখে প্রথম দুইদিনের ফ্রেন্ডলি ম্যাচের টি- ব্রেকের সময় কিছু অতি সাধারণ শান্ত, মছুয়া(পাকিস্তানিরা আমাদের মাছ খাওয়াকে ব্যঙ্গ করে আমাদের মছুয়া বলে) বাঙালী ছেলে মাঠের ভেতর ঢুকে গেল। তারপর পাকিস্তানীদের ড্রেসিংরুমে ঢুকে যে পাকিস্তানীরা আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও ঠাট্টা করেছিল, তাদের সাউন্ড ছাড়া বাঙলা মাইর দিল। মাইর হইল, শব্দ হইল না। এই মাইরের কোন বাপ-মা, দাদা-দাদি কিংবা আত্মীয়-স্বজন নাই। পাকদলের স্পিনার ইকবাল কাসেমের হাত ভেঙ্গে গেল, অন্য ক্রিকেটাররা গুরুতর আহত হল… ম্যাচ এবং সফর ওইখানেই পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়…
এরপর অনেকদিন বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক বরফশীতল ছিল। পাকিস্তানী ক্রিকেট বোর্ড কিংবা অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা অবশ্য তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায়নি। অবশ্য তারা যেখানে ৭১রের জন্যই ক্ষমা চায়নি, সেখানে এইটা তো বড়ই মামুলি ব্যাপার…
তারপরও আজো কিছু মানুষ পাকিস্তানকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সমর্থন করে, তারপরও কিছু মানুষ পাকিস্তান সমর্থনকে জায়েজ করার জন্য ক্রিকেটের সাথে মুক্তিযুদ্ধ কিংবা আফ্রিদির সাথে গণহত্যা না মেশানোর পরামর্শ দেয়
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৯
মুসাফির নামা বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি এদেশের ৬০-৭০% মানুষকে অপমান করছেন।বাংলাদেশের বাহিরে অন্য যেকোন দেশের তুলনায় এ দেশে পাকিস্তান ক্রিকেটের সাপোটার বেশি।আমি অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে পাকি ক্রিকের দারুণ ভক্ত দেখেছি।অখানকার সব মানুষতো আর খারাপ না।দিন শেষে খেলা শুধুই খেলা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০০
মহা সমন্বয় বলেছেন: পাকিস্তানকে পিডায়া দেশ ছাড়া করা হইল

https://www.youtube.com/watch?v=iVe48GDxOFk