নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি শূয়ারের সাথে বসবাসের ফতোয়া অগ্রাহ্য করি

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে ৭৫'র নারকীয়তার পর আমাদের অসামান্য অর্জনের ইতিহাস নিয়ে এক লুকোচুরি- কাঁটাছেড়া শুরু হয়। ফলাফল, সত্তরের দশকের শেষভাগ ও আশির দশকে জন্মানো মানুষগুলো ১৯৭১ এর প্রতিপক্ষ হিসেবে জেনে আসলো কোথাকার কি এক "হানাদার বাহিনী"'কে। যাদের আগ্রহ ছিলোনা অথবা বই পড়ার অভ্যেস ছিলোনা তাঁরা মগজে ধারন করলেন " হানাদার বাহিনী"। হানাদার বাহিনী আবার কি ? ১৯৭১ সালে গনহত্যা করেছিলো পাকি জানোয়ারের দল ( পাকি সেনাবাহিনী) আর তাদের দোসর এই দেশে জন্মানো কিছু বেজন্মা, যার নেতৃত্বে ছিল বাঙলার কাফের সর্দার গোলাম ।
সেই ভুলিয়ে দেয়ার অপচেষ্টার অবসান করেছে নতুন এক প্রজন্ম। যে প্রজন্ম প্রশ্ন করতে শিখেছে, যে প্রজন্ম ভুল ইতিহাসের পাহাড় খুঁড়ে উন্মোচিত করছে আমাদের গৌরবের ইতিহাস। আমরা আশাবাদী হচ্ছি আবারও। অনেক স্বপ্ন নিয়ে অনেক ভালবাসার, মমতার এই দেশকে এ প্রজন্ম নিয়ে যাবে শ্রেষ্ঠ'দের কাতারে। আমরা তো সেই জাতি, যাদের কল্পিত বীরে'র ( সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান, আয়রন ম্যান ) প্রয়োজন পড়েনা।
আমাদের দেশ সেইসব বাস্তবের বীর'দের দেশ যারা আক্ষরিক অর্থেই বীরত্ব ধারন করে রক্তের প্রতি অনুতে। শহীদ আযাদ, শহীদ হাফিয, শহীদ বদিউল আলম, শহীদ আলতাফ মাহমুদ, শহীদ রুমি সহ সকল বীর আমাদের। আমাদের দেশের জন্মলগ্নে যাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরন করিয়ে দেয় প্রতিদিন, " বাঙলাদেশ মীরজাফরদের জন্য বধ্যভূমি। বাঙালী মায়েরা জন্ম দেয় শহীদ নাদেরের মত অকুতোভয় বীর"।
বাঙালী মায়েরা মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও কলজের টুকরো ছেলেকে বলতে পারে, " বাবা, তুমি কষ্ট করে সহ্য করো, তবুও কারও নাম বলবেনা "।
বুকের মাঝে যদি বিন্দুমাত্র মনুষ্যত্বের লেশ থাকে, যদি থাকে নিজ সন্তানের প্রতি তিল পরিমান মমতা-ভালবাসা, যদি দেশপ্রেম এখনো বুকের মাঝে ঘূর্ণি সৃষ্টি করে তবে কাঁদুন। অনুভব করুন নিজের পুরো অস্তিত্ব দিয়ে শহীদ আজাদ‘কে। শহীদ আজাদের মায়ের বুকভরা যন্ত্রণা, সন্তান হারানো হাহাকার। সন্তান হারাবার শোক নিয়ে পৃথিবী ছেড়েছেন ১৯৮৫ সালের ৩০ শে আগস্ট, শহীদ আজাদের হারিয়ে যাবার ঠিক ১৪ বছর পরের ঠিক সেই দিনটিতেই । জুরাইন কবরস্থানে তাঁর কবরে লেখা আছে, “মোসাম্মৎ সাফিয়া বেগম- শহীদ আজাদের মা”।
শহীদ আজাদ……শহীদ আজাদ…শহীদ আজাদ
শহীদ আজাদের মা… শহীদ আজাদের মা… এই দেশের মা, বাংলাদেশের মা…
মগবাজারের ২৮ নম্বর বাড়ি, শহীদ আজাদের বাড়ি। ১৫ আগস্ট ১৯৭১, আজাদের বাড়িতে মাকে নিয়ে গেলেন রুমী। আজাদের মায়ের সাথে দেখা করলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। মুক্তিযুদ্ধের একটি গেরিলা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শহীদ রুমি ও শহীদ আজাদ। ১৯৭১ থেকে ১৯৮৫-সন্তানের জন্যে নীরবে অপেক্ষা করা, আর পথ চেয়ে থাকা, আর ক্রমশ চারদিক থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার এই ১৪টা অন্ধকার নির্জন করুণ বছরে আজাদের মায়ের কাছে যে অল্প কজন সুহৃদ আসতেন, তাঁর খোঁজখবর নিতেন সমবেদনার সঙ্গে, জাহানারা ইমাম তাঁদের একজন৷
১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট। রাতে বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালায় পাকিস্তানি সেনারা। ধরা পড়ে ক্র্যাক প্লাটুনের একদল তেজী মুক্তিযোদ্ধা। আজাদকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় রমনা থানায়। আজাদের মা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান। ছেলেকে বলেন, “শক্ত হয়ে থেকো বাবা। কোন কিছু স্বীকার করবে না।” আজাদ তখন মার কাছে ভাত খেতে চায়। মা ভাত নিয়ে এসে ছেলেকে আর পায়নি। আর কোনদিনও মায়ের বুকে ফিরে আসেনি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আজাদ। তাঁর পরিচয়টা শুধু শহীদ আজাদের মা-ই নয়, তিনি নিজেও এক যোদ্ধা, তিনি বীর, তিনি কেবল মুক্তিযুদ্ধে ছেলেকে উৎসর্গ করেছেন, তা-ই নয়, সারাটা জীবন লড়ে গেছেন তাঁর নিজের লড়াই এবং সেই যুদ্ধে তিনি হার মানেননি৷
১৯৮৫ সালের ঠিক ১৪ বছর আগে, ১৯৭১ সালের ৩০শে আগস্ট রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা আজাদকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ৷ আজাদ আর ফিরে আসেনি ৷ এটা শহরের অনেক মুক্তিযোদ্ধারই জানা যে, এই ১৪টা বছর আজাদের মা একটা দানা ভাতও মুখে দেননি, কেবল একবেলা রুটি খেয়ে থেকেছেন; কারণ তাঁর একমাত্র ছেলে আজাদ তাঁর কাছে ১৪ বছর আগে একদিন ভাত খেতে চেয়েছিল; পরদিন তিনি ভাত নিয়ে গিয়েছিলেন রমনা থানায়, কিন্তু ছেলের দেখা আর পাননি ৷ তিনি অপেক্ষা করেছেন ১৪টা বছর, ছেলের আগমনের আশায় পথের দিকে চেয়ে থেকে ৷ অপেক্ষার এই ১৪টা বছর তিনি কোনো দিন বিছানায় শোননি, শানের মেঝেতে শুয়েছেন, কি শীত কি গ্রীষ্ম, তাঁর ছিল একটাই পাষাণশয্যা। কারণ, তাঁর ছেলে আজাদ শোওয়ার জন্যে রমনা কি তেজগাঁও থানায়, কি তেজগাঁও ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এমপি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা পায়নি ৷
শহীদ আজাদ’কে মগবাজারের বাসা থেকে তার মায়ের সামনে মারতে মারতে থানায় নেয়া হয়। আজাদ, শহীদ জুয়েল ধরা পরার পর টর্চার সেলে মিলিটারীদের প্রচন্ড মারে তাকে সিলিং ফ্যানের সাথে উলটা করে সারা দিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। সারা শরীরে বেল্ট দিয়ে পিটানো হয়। তার সারা গা রক্তাক্ত হয়ে যায় মুখ থেকে রক্ত পরছে কিন্তু তারা কিছুই ফাঁস করেনি। আজাদের মনোবল ভাঙ্গার জন্য কামারুজ্জামান (রাজাকার কামারুজ্জামান) সাথে করে আজাদের মাকে সামনে নিয়ে আসে। রমনা থানায় তার মাকে বলা হয় আজাদকে তার সিদ্ধিরগঞ্জ আর রাজারবাগ অপারেশনের অংশ নেয়া বন্ধুদের নাম ঠিকানা বলতে আর অস্ত্র কোথায় লুকিয়ে রেখেছে তা বলতে। কিন্তু তাদের সামনেই আজাদের মা পুত্রকে সাহস দিয়ে বলেছিলেন, ‘বাবা রে, যখন মারবে, তুমি শক্ত হয়ে থাকো। সহ্য কোরো। কারো নাম যেন বলে দিও না’।
শহীদ আজাদের কথা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন দশক। নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে জানালেন শহীদ আজাদের বীরত্বগাঁথা। চার দশক পেরিয়ে এসে আমরা জানতে পারছি পাকি পশুদের কলজে কাঁপানো শহীদ আজাদ সহ অন্যান্য বীরদের কথা, আত্মত্যাগের ইতিহাস। আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ মানুষদের মুছে ফেলার যে ঘৃণ্য অপচেষ্টা শুরু হয়েছিলো তা আজও চলছে। পাকি দোসর’রা ইতিহাসের নর্দমায় স্থান পাবে, এটাই তাদের নিয়তি। আর তাদের জন্য ঐ নিয়তি নির্ধারণ করবো আমরা। যদি তা করতে না পারি, তাহলে জেনে রাখুন শহীদ আজাদ, শহীদ রুমি, শহীদ বাকের, শহীদ আলতাফ মাহমুদ, শহীদ জুয়েল, শহীদ হাফিজ সহ সকল শহীদের পবিত্র রক্ত বিন্দুর সাথে বেঈমানি করছি আমি, আপনি, আপনারা সকলে।
তাই লন্ডন টাইমস্ এর শিরোনাম
"If blood is the price of independence then Bangladesh has paid the highest price in history"
-London Times (1971)
স্বাধীনতার সময় নিগ্রহের শিকার হতে থাকা বীরাঙ্গনারা"মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মায়েরা যা দিয়েছে সেই ঋণ আমরা কীভাবে শোধ করবো?
না এগুলো কোন শিল্পকর্ম নয়,
নয় স্কুল বালকের ন্যুড আর্ট.....
তোমাদের পেয়ারের পাকিস্তানি ভাইয়েরাই তোমার রক্তের সাথে এমনটা করেছিলো। সিলেটের শালুটিকরে পাকিস্তানীদের একটি হেরেমের দেয়ালে দেয়ালে ছবিগুলো এঁকেছিলো তোমাদের বড় ভাই পাকি নরপশুরা...
ধর্ষণের জ্বলন্ত প্রমাণকে বুকে ধরে আজও সেই দেয়াল টিকে আছে...
এই ছবি গুলো আরেকটা জিনিস প্রমাণ করে, তা হচ্ছে এই পাকিস্তানী নরপিশাচেরা কখনো ভাবেনি যে তারা পরাজিত হবে। তাদের ভাবনা ঠিকই ছিলো, পরাজিত হলে কি "আফ্রিদি ম্যারি মি" প্ল্যাকার্ড উঠতে পারে বাঙালীর হাতে?
এই ছবিগুলো প্রমাণ করে যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ সাধারন কোন যুদ্ধের ধর্ষণ নয়। এটা পাক বাহিনী শুধুই প্লেজারের জন্য করে নাই, তারা এটা করেছে দায়িত্ব বোধ থেকে। শুধু প্লেজারের জন্য বেয়নেট দিয়ে যোনি পথ খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতে হয় নয়া, দাঁত দিয়ে স্তন ছিঁড়ে ফেলতে হয় না, দু দিক থেকে পা টেনে চিঁরে ফেলতে হয় না, একজনকে আশিবার ধর্ষণ করতে হয় না।
খুলনার একটি ক্যাম্প থেকে যখন কাচের জারে ফরমালিনে সংরক্ষিত মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায় খুব নিখুঁতভাবে কাঁটা, যখন সিলেটের দেয়ালে ধর্ষকেরা সদম্ভে এঁকে রেখে যায় নিজেদের কৃতকর্ম, তখন বুঝে নিতে হয় এই ধর্ষণ দু’একজন সামরিক কর্মকর্তার বিচ্ছিন্ন মনোরঞ্জন নয়। তখন বুঝতে হয় তারা এসব করেছিলো একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে, এবং সেই এজেণ্ডায় তারা শতভাগ সফল।
হে বাঙালী,
সাহস থাকলে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে এমন আরেকটা নিদর্শন দেখাও...
না পারলে জেনে রেখো,
তুমিই পৃথিবীর বিরলতম প্রাণী।
যে নিজের মা-বোনদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন কর.
তারপরও যখন পাকিস্থানের ছক্কার মার দেখে তালি দাও আমার মনে হয় নিজের মায়ের বস্ত্রহনন্ দেখে তালি দাও।পাকিস্থানের চারের মার দেখে তালি দাও মানে নিজের চোখের সামনে বোনের ধর্ষণ দেখে তালি দাও।
তোমরা তা করতে পার,তবে আমি চিৎকার করে বলি আমি শূয়ারের সাথে বসবাসের ফতোয়া অগ্রাহ্য করি।কুত্তার বাচ্চারা নিরপেক্ষতা দুচাইস না আমার মা বোন বাবার রক্তের দাগ এখনও মুছে নাই
তথ্য কৃতজ্ঞতা-আরিফ রহমান

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ৭১ এর ইতিহাস কে যে বস্তাপ্ঁচা গাজখুরি গল্প বলে তার ব্লগে থাকার অধিকার নাই, তাই রিপোর্ট করলাম।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

মারটিনি টোরিয়েনি বলেছেন: ফাকিস্তানের(dont mind) কুকীর্তি উন্মোচন যদি বস্তাপচা হয় তবে আপনি কি?

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

সায়ান তানভি বলেছেন: balo likecin

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখনি। ধন্যবাদ

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

মারুফ তারেক বলেছেন: একটা যুদ্ধ-
আমাদের স্বাধীনতা।
এই সবকিছুর জন্য চরম মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের।


যারা পাকিস্তান নিয়ে গর্ববোধ করে, চিৎকার করে।
আমার সন্দেহ হয়, তাদেরকে পাকিস্তানী কেউ জন্ম দিয়েছিল কিনা।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্যে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.