নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহস থাকতে হয় সত্য জানতে সাহস থাকতে হয় প্রতিবাদ জানাতে

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৮

সাহস থাকতে হয় সত্য জানতে সাহস থাকতে হয় প্রতিবাদ জানাতে,পা চাটা কুকুর হলে হয় না,প্লাস্টিকের মেরুদন্ড হলে হয় না,বাঙ্গালী ১৯৭০ এ ইয়াহিয়া জান্তাকে ভয় পায়নি এখন কেন পাবে?
কুমিল্লা সেনানিবাসের আবাসিক এলাকায় রোববার একটি মেয়ে গন-ধর্ষণের পর নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছে। মেয়েটিকে যেভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে তাতে মনে হয় অনেক আগেই কিছু নরপশুর কুনজরে ছিল সে এবং সেদিন তারা তাকে একা পেয়ে অত্যাচার করেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা মেয়েটিকে মেরে ফেলেছে।
যে কোন মেয়েকে ধর্ষণ করতে ধর্ষকদের কাছে যুক্তির অভাব হয় না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের ঘটনায় এখনো কোন ধর্ষক দায় স্বীকার করেনি।
তবে ধর্ষকামী কিছু নরপশু ফেসবুক ও ব্লগে তার দোষ বের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যদিও তনু হিজাব করতো, তাদের মতে তার চলাফেরা সাবলীল ছিল না, কারণ সে থিয়েটার করতো। এসব যুক্তি শুনে খুব স্পষ্ট বুঝা যায় যে, এইসব ধর্ষকামী নরপশুরা ইসলামী উগ্রবাদে বিশ্বাসী। বাংলার সংস্কৃতি এদের কাছে খুব ঘৃণার বিষয়।
সাধারণভাবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ইসলামী দলের সাথে যুক্ত পুরুষরা ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির জন্য মেয়েদের পোশাক-আশাককে দায়ী করে। তবে এরা দেড় বছরের শিশু বা মাদ্রাসার হিজাবী/বোরকাওয়ালী বা বৃদ্ধ মহিলাদের ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খোলে না। আবার অমুসলিমদের ধর্ষণের ব্যাপারেও তাদের কোন বক্তব্য নেই। মানে এগুলো হতেই পারে। অমুসলিমরা যেহেতু কাফের ও তারা যেহেতু নরকে যাবে, সেহেতু তাদের সাথে যেকোনো ধরণের অত্যাচার জায়েজ।
বোধকরি সেনানিবাসের (উত্তরপাড়া বলে কুখ্যাত) কর্মকর্তারাও এ ধরণের উগ্র ইসলামী ধ্যান-ধারণা থেকে বের হতে পারেনি। নইলে তারা কেন এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে? কেন সাধারণ মানুষকে তদন্ত সম্পর্কে জানতে দিচ্ছে না? লুকোচুরির কি আছে? যা সত্য তা বলতে কিসের এত দ্বিধা? কেন এই রাখঢাক?
তার মানে কি তারা সেই সব সন্দেহভাজন ধর্ষকদের চেনেন? তার মানে কি ধর্ষকরা কোন বড় অফিসারের আত্মীয়?
তনুর ময়নাতদন্ত হবে, কিন্তু সেখানে যে কোন প্রভাব কাজ করবে না তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে? সেনাবাহিনী সম্পর্কে আমাদের ধারণা সুখকর নয়।
এর আগে চট্টগ্রামের নৌ-বাহিনীর তিনটি মসজিদে একই সময়ে গ্রেনেড হামলার ঘটনাও চাপা দিয়েছে সেনা গোয়েন্দারা।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর আংশিক সত্য (ককটেল হামলা বলে) একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দায় সেরেছে তারা। কিন্তু সত্যি ঘটনা লুকাতে পারেনি। যা লুকাতে পেরেছে তা হলো সুইসাইড বোমা হামলাকারীর পরিচয় ও হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
হামলাকারীরা এখন কোথায় আছে, তারা কি বলেছে এবং তাদের মদদদাতা কারা সে বিষয়ে কোন তথ্য কি পাবে দেশের জনগণ? হয়তো না। হয়তো কোন বিদেশী মিডিয়ার প্রশ্নবাণে আক্রান্ত হলেই কেবল সেনা গোয়েন্দারা মুখ খুলতে পারে।
হয়তো তাদের কাছে হামলার তথ্য থাকার পরেও ঠেকানো যায়নি বলে তারা লজ্জিত। কিন্তু জনগণ তো জানে, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে জামায়াত ও উগ্র ইসলামী দল ও জঙ্গিবাদীদের সমর্থকের অভাব নেই।
এর আগে ২০১২ সালে নিষিদ্ধ জঙ্গি দল হিজবুত তাহরীরের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের খবর জাতি জানতে পেরেছিল ঘটনার অনেক পরে। কোন আসামীকে সামনে আনা হয়নি, এবং শেষ পর্যন্ত কয়জনের কি শাস্তি হয়েছে, কতজন পলাতক এসব বিষয়ে কোন তথ্য নেই কারো কাছে।
এরপর থেকে হিজবুত তাহরীর নিয়মিত সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের জন্য প্রকাশ্যে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এর কোন নেতাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সেনাবাহিনী বা পুলিশের গোয়েন্দারা। পারবেও না, কারণ সরকারের প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবে হিজবুত তাহরীরের অনেক সমর্থক আছে। গত কয়েক বছরে গণহারে তাদের জামিন পাওয়া ও গ্রেপ্তার এড়িয়ে প্রকাশ্যে তর্জন গর্জন দেখে তাই মনে হয়।
বিভিন্ন সামরিক সরকারের আমলে জনগণের সাথে সেনা সদস্যদের আচরণ যে কত জঘন্য হতে পারে তা বোধকরি কেউ ভুলে যায়নি।
আবার পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের উপর যুগ যুগ ধরে চলা অত্যাচার, নির্যাতন, জমি দখল, ধর্ষণের পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী এই সেনাবাহিনী। তারা সরাসরি এসব ঘটনায় অংশ না নিলেও আশেপাশে উপস্থিত থেকে ক্রিমিনাল ও রাজনৈতিক মদদপুষ্ট অ-আদিবাসীদের লেলিয়ে দিয়ে অত্যাচারকে নিশ্চিত করে।
এসব ঘটনায় পুলিশ মামলা নিতে বা করতে ভয় পায়। সেনাবাহিনীর অনুমোদন ছাড়া কোন মামলা হয়না সেই অঞ্চলে। আর মামলা হলেও তার বিচারের মুখ দেখে না। সেখানে কোন ঘটনা ঘটলে এবং তার সাথে সেনাবাহিনী যুক্ত থাকলেও তারা মিডিয়াকে কোন তথ্য দেয় না। বিজিবি বা পুলিশকে দিয়ে তারা একটা মনগড়া বক্তব্য দেয়।
সম্প্রতি দেখলাম জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত বিভিন্ন দেশের সেনাসদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশের সেনাও আছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে খবর না হলে আমরা জানতেই পারতাম না। অথচ সেনা গোয়েন্দারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি বলে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েই খালাস। এরপর কোন মিডিয়ার আর সাহস হয় না ফলাফল সম্পর্কে তাদেরকে জিজ্ঞেস করার।
সশস্ত্র বাহিনীর বাজেট বা অস্ত্র কেনা-বেচা নিয়েও কোন তথ্য তারা মিডিয়াকে দেয় না। আবার তাদেরকে দেদারসে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। শান্তিরক্ষী মিশনে পাঠানো নিয়ে কত যে ঘুষ বাণিজ্য হচ্ছে তার খবরও মিডিয়াতে আসে না।
সেনাবাহিনীকে দিনে দিনে এতোটা স্পর্শকাতর মাথামোটা একটা বাহিনীতে পরিণত করার কারণটা কি? এ ধরণের নির্লজ্জ মিথ্যা বলা এবং ধামাচাপা দেওয়াই কি সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কৃতি? তারা কি বাংলাদেশের ভেতরে একটি সুরক্ষিত দেশের উচ্চমার্গীয় বাসিন্দা যে তাদের জন্য আইন-কানুন আলাদা থাকবে
লিখেছেন- সাংবাদিক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)
নরফিকা.কম

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০০

দইজ্জার তুআন বলেছেন: +++++++++++++++

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৭

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: এর অর্থ কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.