নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারনে সুফিবাদ মৌলবাদের দুশমন

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৪



সুফিবাদ বা সুফি দর্শন একটি ইসলামী আধ্যাত্মিক দর্শন। আত্মা বা কলব সম্পর্কিত আলোচনা এর মুখ্য বিষয়। আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই হলো এ দর্শনের মূলকথা। মহান আল্লাহকে জানার ও তাঁর দিদার লাভ করার আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আধ্যাত্মিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সুফি দর্শন বা সুফিবাদ বলা হয়। হজরত ইমাম গাজালি (রহ.) এর মতে, মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে পবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ণরূপে আল্লাহুতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সুফিবাদ। সুফ অর্থ পশম আর তাসাউফের অর্থ পশমি বস্ত্র পরিধানের অভ্যাস। অতঃপর মরমিতত্ত্বের সাধনায় জীবনকে নিয়োজিত করার কাজকে বলা হয় তাসাওফ। যিনি নিজেকে এইরূপ সাধনায় সমর্পিত করেন ইসলামের পরিভাষায় তিনি সুফি নামে অভিহিত হন। শরিয়তের পরিভাষায় সুফিবাদকে তাসাউফ বলা হয়। যার অর্থ আধ্যাত্মিক তত্ত্বজ্ঞান। তাসাউফ বা সুফিবাদ বলতে অবিনশ্বর আত্মার পরিশুদ্ধির সাধনাকে বোঝায়। আত্মার পবিত্রতার মাধ্যমে ফানাফিল্লাহ এবং ফানাফিল্লাহর মাধ্যমে বাকাবিল্লাহ লাভ করা যায়। তাসাউফ দর্শন অনুযায়ী এ সাধনাকে ‘তরিকত’ বা আল্লাহপ্রাপ্তির পথ বলা হয়। তরিকত সাধনায় মুর্শিদ বা পথপ্রদর্শকের প্রয়োজন হয়। সেই পথ হলো ফানা ফিশ্শাইখ, ফানা ফিররাসুল ও ফানাফিল্লাহ। ফানাফিল্লাহ হওয়ার পর বাকাবিল্লাহ লাভ হয়। বাকাবিল্লাহ অর্জিত হলে সুফি দর্শন অনুযায়ী সুফি আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ শক্তিতে শক্তিমান হন। তখন সুফির অন্তরে সার্বক্ষণিক শান্তি ও আনন্দ বিরাজ করে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) স্বয়ং সুফি দর্শনের প্রবর্তক। তিনি বলেন, মানবদেহে একটি বিশেষ অঙ্গ আছে, যা সুস্থ থাকলে পুরো দেহ পরিশুদ্ধ থাকে, আর তা অসুস্থ থাকলে পুরো দেহ অপরিশুদ্ধ হয়ে যায়। জেনে রেখ এটি হলো কলব, আত্মা বা হৃদয়। আল্লাহর জিকির বা স্মরণে কলব কলুষমুক্ত হয়। সার্বক্ষণিক আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমে কলবকে কলুষমুক্ত করে আল্লাহর প্রেমার্জন সুফিবাদের উদ্দেশ্য। যারা তাঁর প্রেমার্জন করেছেন, তাদের তরিকা বা পথ অনুসরণ করে ফানাফিল্লাহর মাধ্যমে বাকাবিল্লাহ অর্জন করাই হলো সুফি দর্শন।

সুফিবাদ উৎকর্ষ লাভ করে পারস্যে। সেখানকার প্রখ্যাত সুফি-দরবেশ, কবি-সাহিত্যিক এবং দার্শনিকরা নানা শাস্ত্র, কাব্য ও ব্যাখ্যা-পুস্তক রচনা করে এ দর্শনকে সাধারণের কাছে জনপ্রিয় করে তোলেন। কালক্রমে বিখ্যাত অলি-আল্লাহদের মাধ্যমে নানা তরিকা গড়ে ওঠে। সেগুলোর মধ্যে ক’টি প্রধান তরিকা সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করে :

গাউছুল আজম বড় পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানি (রহ.) প্রতিষ্ঠিত- কাদেরিয়া তরিকা, সুলতানুল হিন্দ হজরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.) প্রতিষ্ঠিত চিশতিয়া তরিকা, গাউছুল আজম হজরত আহমদ উল্লাহ মাইজভা-ারি প্রতিষ্ঠিত কাদেরিয়া মাইজভা-ারিয়া তরিকা, হজরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দি (রহ.) প্রতিষ্ঠিত নকশবন্দিয়া তরিকা এবং হজরত শেখ আহমদ মুজাদ্দিদ-ই-আলফে ছানি সারহিন্দি (রহ.) প্রতিষ্ঠিত মুজাদ্দিদিয়া তরিকা। এছাড়াও সুহরাওয়ার্দিয়া, মাদারিয়া, আহমদিয়া ও কলন্দরিয়া নামে আরও ক’টি তরিকার উদ্ভব ঘটে।

ঐতিহাসিকভাবে মুসলমানরা সুফিদের আধ্যাত্মিক সাধনাকে প্রকাশ করার জন্য তাসাউফ শব্দটি ব্যবহার করতেন। ঐতিহাসিক সুফিদের মতে, তাসাউফ ইসলামের একটি বিশেষ রূপ, যা ইসলামিক শরিয়া আইনের অনুরূপ। তাদের মতে, বিশ্বের সব ধরনের মন্দ এবং গর্হিত কাজ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শরিয়া এ বিশ্বকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। তারা মনে করেন, তাসাউফ ইসলামের অবিচ্ছেদ্য এবং ইসলামিক বিশ্বাস এবং অনুশীলনের অপরিহার্য অংশ। কার্ল এর্নস্টের মতে, সুফিবাদ শব্দটি কোনো ইসলামিক গ্রন্থ বা কোনো সুফিদের কাছ থেকে আসেনি। তার মতে শব্দটি এসেছে প্রাচ্যের ভাষাবিষয়ক ব্রিটিশ গবেষকদরে কাছ থেকে। ইসলামিক সভ্যতায় তারা যে মনোমুগ্ধকর বিষয় উপলব্ধি করেন এবং তৎকালীন যুক্তরাজ্যে ইসলাম সম্বন্ধে নেতিবাচক ধারণা বা বিশ্বাস বিরাজ করছিল তার মধ্যে কৃত্রিম পার্থক্য সৃষ্টি করতে তারা সুফিবাদ শব্দটি ব্যবহার করেন।

বাংলায় সুফিবাদের আবির্ভাবকাল সঠিকভাবে বলা কঠিন। তবে একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত এদেশে ইসলামের সর্বাধিক প্রচার ও প্রসার হয়েছে বলে জানা যায়। আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে সুফিরা এসে বঙ্গদেশে সুফিবাদ প্রচার করেন। খ্রিস্টীয় একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীতে যেসব সুফি-সাধক এদেশে ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, শাহ সুলতান রুমি (রহ.), বাবা আদম শহীদ (রহ.), শাহ সুলতান বলখি (রহ.), শাহ নিয়ামতুল্লাহ বুতশেকন (রহ.), শাহ মখদুম রূপোশ (রহ.), শেখ ফরিদউদ্দিন শক্করগঞ্জ (রহ.), মখদুম শাহ দৌলা শহীদ (রহ.) প্রমুখ। এরা ধ্যান-সাধনায় গভীর পা-িত্যের অধিকারী ছিলেন। বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন বলেও কথিত হয়। তাদের অসাধারণ জ্ঞান, বাগ্মিতা ও মানবপ্রেমের কারণে এদেশের সাধারণ মানুষ সুফিবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন। এভাবে ক্রমেই বঙ্গদেশে সুফিবাদ প্রসার লাভ করে।

১২০৪ থেকে ১২০৫ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি কর্তৃক বাংলাদেশ বিজিত হলে ইসলামের শরিয়ত ও মারেফাত উভয় ধারার প্রচার ও প্রসার তীব্রতর হয়। শাসকশ্রেণীর সঙ্গে অনেক পীর-দরবেশ এদেশে আগমন করে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন। মুসলিম বিজয়োত্তর যে কয়জন সুফি-দরবেশ ইসলাম ও সুফিবাদ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তাদের মধ্যে শেখ জালালুদ্দীন তাব্রিজি (রহ.), শাহ জালাল (রহ.), শেখ আলাউল হক (রহ.), খাজা খানজাহান আলী (রহ.), শরফুদ্দীন আবু তাওয়ামা (রহ.), শাহ ফরিদ উদ্দীন (রহ.) প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তারা সুফিবাদের আধ্যাত্মিক তত্ত্ব চমৎকারভাবে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেন। ফলে বঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে এ মতবাদ প্রসার লাভ করে। সুফি সাধকদের আগমনের আগে বঙ্গদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের লোক বসবাস করতেন। এ দুই ধর্মের গুরু-সাধকরা আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে দীক্ষা দান করতেন। সুফিরা ইসলামের মহাসত্যের প্রতি মানুষকে আহ্বান করেছেন প্রেমের মাধ্যমে। মানবপ্রেম তথা সৃষ্টির প্রতি প্রেমের মাধ্যমে স্রষ্টার প্রেমার্জন সুফিবাদের মূল আদর্শ। সুফিরা নিজেদের আদর্শ জীবন এবং সুফিবাদের প্রেম-ভ্রাতৃত্ব-সাম্যের মধুর বাণী প্রচার করে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এদেশের সাধারণ মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিংবদন্তি পুরুষে পরিণত হয়েছেন। অনেকের মাজার-মাকবারা আছে, যেগুলোর প্রতি আজও সব শ্রেণীর মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পবিত্র ও পুণ্য স্থান বিবেচনায় সাধারণ মানুষ দোয়াদরুদ পাঠসহ নিয়মিত জিয়ারত করে ও কামনা-বাসনায় মানত করে।

মৌলবাদীরা যেখানে কট্টর, সূফিরা সেখানে উদার!তারা যেখানে বিধানের জন্য মানুষ হত্যার ফতোয়া খোঁজে.. সুফিরা মানুষকে বাঁচাতে বিধান ব্যাখ্যার চেষ্টা করেন,মৌলবাদীরা যেখানে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে সূফিরা প্রেমের বানী নিয়ে আসে,তারা যখন বস্তু মোহে অন্ধ সূফিরা তখন বস্তু ত্যাগে আনন্দিত!তারা যখন বাহ্য বিধানে আক্ষরিক অর্থে মশগুল, সূফিরা অন্তর্নিহীত তাৎপর্য অনুসন্ধানে রত..
তারা যখন স্রষ্টার সৃষ্ট বস্তুর সাধনে ব্যাস্ত, সূফিরা তখন স্রষ্টার প্রেমাকাঙ্খায় উতল!
ইদানিং সৌদি সালাফি ওহাবীরা আরবের তেলের অর্থে- তাদের মতবাদ জোর করেই চাপিয়ে দিতে ব্যাস্ত! কিন্তু হৃদয় তো এমন -যেখানে প্রেমেরই জয় জয়কার।সুফিবাদ মানুষকে শেখায় 'প্রেম, ত্যাগ,উদারতা,মানবিকতা,অসাম্প্রদায়িকতা, বিনয় ভদ্রতা।আর মৌলবাদ হলো 'কিছু স্বার্থান্বেষী অপগোষ্টির পেট পুজার পূঁজি। এরা ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে, নিজেদের স্বার্থোদ্ধার করে।
সুফিবাদ বলে 'সকল কিছুর লোভ ছেড়ে, এক শ্রষ্টাতে বিলীন হও।মৌলবাদ বলে 'তপজপ করো স্বর্গ বা বেহেশত পাবার জন্য! 'এর জন্য যদি অন্যের প্রাণ নিতে হয়, তাও করো! 'প্রয়োজনে নিজেকেও উড়িয়ে দাও! তাহলেই পাবে 'সত্তরজন হুর পরি,এদের সাথে রঙ্গ করার জন্য।
মৌলবাদ, মানবতার গুলবাগে বিষ বৃক্ষ। এর কাজ হলো, সব কিছুই বিষাক্ত করে দেয়া।পক্ষান্তরে সুফিবাদ হলো সৌরভ ছড়ানো ফুটন্ত ফুল।এই ফুলের সৌরভ, স্থান কাল,,ধর্ম ভেদে কেউ বাদ পড়েনা।তাইতো দেখি,খাজা বাবার দরবারে হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ, খৃষ্টান, শিখ,সববাই নত মস্তকে ভক্তি দেয়।
সুফিবাদ শিক্ষা দেয় মানুষকে আপন করতে,বেদনাহতের ব্যথা দূর করতে,ভালোবেসে আলিঙ্গন করতে।আর মৌলবাদ শেখায়, ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে কেমন করে নিজ স্বার্থ হাসিল করা যায়,কেমন করে অন্যের মগজ ধোলাই করা যায়,কেমন করে মানুষের মুন্ডু কাটা যায়,কেমন করে হিংসার বিষ সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া যায়!!

সুফিরা সৃষ্টির প্রতি প্রেমের মাধ্যমে স্রষ্টার প্রেমার্জন সুফিবাদের এ আদর্শের দ্বারা বৈষ্ণবধর্ম, লৌকিক মরমিবাদ, বাউল ধর্মমত ও অন্যান্য ভক্তিবাদ কমবেশি প্রভাবিত হয়। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনেও সুফিদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। যেমন নদী ও সমুদ্রপথে যাতায়াতের সময় মাঝিরা বদর পীরের নাম স্মরণ করে। শুধু তাই নয়, নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর উদ্দেশে শহরের যানবাহনে পর্যন্ত বিভিন্ন পীর-আউলিয়ার নাম লেখা থাকে। লৌকিক ধারার মুর্শিদি-মারফতি, মাইজভান্ডারী ও গাজীর গান, গাজীকালু-চম্পাবতী কাব্য ও অন্যান্য মরমি সাহিত্য, মাদার পীর ও সোনা পীরের মাগনের গান ইত্যাদি বিভিন্ন পীর-দরবেশকে কেন্দ্র করে রচিত। এভাবেই বাংলায় মানুষের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বৈষয়িক জীবনের নানা ক্ষেত্রে সুফিবাদের প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলছে।

বিস্তারিত-ভিডিও টিতে দেখুন

https://web.facebook.com/mufassil.islam/videos/1010852455635624/view this link[link|https://web.facebook.com/mufassil.islam/videos/1010852455635624/|সুফিবাদ

https://youtu.be/N4blfA-Fdb4

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সূফিবাদের উৎপত্তি, বিকাশ, বঙ্গে আগম কার্য পদ্ধতি মোটামুটি সুন্দর বিশ্লেষন করেছেন। কিন্তু শিরোনামের মূল বিষয়টাই যেন অনুপস্থিত!

মৌলবাদীরা যেখানে কট্টর, সূফারা সেখানে উদার!
তারা যেখানে বিধানের জন্য মানুষ হত্যার ফতোয়া খোঁজে.. সুফিরা মানুষকে বাঁচাতে বিধান ব্যাখ্যার চেষ্টা করেন..
মৌলবাদীরা যেখানে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে সূফিরা প্রেমের বানী নিয়ে আসে.
তারা যখন বস্তু মোহে অন্ধ সূফিরা তখন বস্তু ত্যাগে আনন্দিত!
তারা যখন বাহ্য বিধানে আক্ষরিক অর্থে মশগুল, সূফিরা অন্তর্নিহীত তাৎপর্য অনুসন্ধানে রত..
তারা যখন স্রষ্টার সৃষ্ট বস্তুর সাধনে ব্যাস্ত, সূফিরা তখন স্রষ্টার প্রেমাকাঙ্খায় উতল!

ইদানিং সৌদি সালাফি ওহাবীরা আরবের তেলের অর্থে- তাদের মতবাদ জোর করেই চাপিয়ে দিতে ব্যাস্ত! কিন্তু হৃদয় তো এমন -যেখানে প্রেমেরই জয় জয়কার।
++++++++++

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৭

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: অনুপস্থিত নয়,ভিডিও টা দেখুন তাহলেই ক্লিয়ার হবে,আপনার তথ্যগুলোও গ্রহন করা হয়েছে ধন্যবাদ

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১০

কানিজ রিনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেই সাথে এমন
পোষ্ট আরও আসা করি।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৮

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

মুসাফির নামা বলেছেন: পবিত্র ও পুণ্য স্থান বিবেচনায় সাধারণ মানুষ দোয়াদরুদ পাঠসহ নিয়মিত জিয়ারত করে ও কামনা-বাসনায় মানত করে।
খুবই দুঃখজনক পোস্ট।কোরআন হাদীসের রেফারেন্স ছাড়া মনগড়া কথায় পনিপূর্ণ। সুফিবাদ বা মৌলবাদ কোনটাই গ্রহণযোগ্য কথা নয়।মুসলিমদের মূল কোরআন হাদীস।সুফিবাদ নয় বরং আল ইহসান হচ্ছে মুসলিমদের আল্লাহর দিদার লাভের সর্বোচ্চ পর্যায়। তবে সাধনার সর্বোচ্চ এই পর্যায়ে যেন নিজের প্রবৃতির দাসত্ব হওয়ার কোন সুযোগ নেই।আশা করি ,আগে থেকে অনুরক্ত না থেকে কোরআন হাদীস অধ্যয়ন করলে সঠিকভাবে ইহসানের সন্ধান পাবেন।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কালনী নদী বলেছেন: ভিডিওটা দেখতে পাচ্ছি না কেন? আবার লিঙ্কটা দয়া করে আপডেট করবেন কি?
এ্ বিষয়ের লেখা সংগ্রহে না নিয়ে কি পারি?
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে :)

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৪

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ইউটিইব,ফেসবুক লিংক দেয়া আছে একটু কষ্ট করে কপি পেস্ট করে নিন

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৯

কালনী নদী বলেছেন: আসলে পরে ভালো করে পড়ার জন্য সংগ্রহে রাখছি, তাই নিচের লিখাটা মিস করছিলাম!
ভিডিওটা দেখতেছি, জানা সত্যটাই যেন আবার জানছি।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২১

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৩

কালনী নদী বলেছেন: আমার প্রিয় শাহরুখ খানের বাঁশ! হাহাহা সমস্যা না, ইতিহাসকে হজম করতে পারাটাই আসল ব্যাপার, উগ্রবাদিতে শান্তি নাই।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৬

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ,এই শাহারুখ কে কিছু বলা হয়নি শুধুমাত্র উদাহরন হিসেবে তুলে আনা হয়েছে

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

কিবরিয়াবেলাল বলেছেন: সুফিবাদ নিয়ে আপনার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ।মানুষের সকল শুভ কর্মই আধ্যাত্মিকতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ।যারা সুফির ষ্পর্শ পায়নি তারা
জীবনের সুন্দরতম অনুভূতি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আমিও মন থেকে সেটা উপলব্ধি করি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.