নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নস্টালজিয়া

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

'চাঁদমামা আজ বড্ড একা,বড় হয়েছে আমি,
রোজ রাতে আর হয়না কথা হয়না শোনা সেই রুপকথার গল্প.
ডাকছে পুরনো সময় আমাকে শোনো,সময়টা আজ কেমন যেন,
বড় হয়ে গিয়েছি আমি'
সময় যতই যাচ্ছে শৈশবের স্মৃতি ততই মনে পড়ছে, আজো মনে রোজ মায়ের কাছে রুপকথার গল্প শোনা, রাতে ঘুমামোর আগে মায়ের হাত আমার মাথায় ভুলিয়ে দেওয়ার স্মৃতি , সিন্দাবাদ এর গল্প, আলিবাবার " খুলযা সিম সিম " শোনা,ম্যাগাইভার দেখা মায়ের - বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিন,সবককিছুই আজ মনের নস্টালজিয়া জাগ্রত করেছে সবসময় মনে হয় আবার যদি ফিরে পেতাম আমার শৈশব ছোটবেলায় পাড়ার পুকুরে বন্ধুরা মিলে গোসল করার মধুর মুহূর্ত, আমি আবার সাতার কাটতে জানি না, তো বন্ধুরা আমাকে ধরে পুকুরে নামিয়ে মাঝখানে নিয়ে যেতো।খুব ভয় পেতাম সেই সময়গুলোতে।পুকুরে নামিয়ে দিতে পারে বন্ধুরা, এই ভয়ে অনেকসময় বাসা থেকে বের হতাম না কিন্তু এখন বারবার মনকে বলছি, " এখন যদি আবার সেই মজার শৈশব ফিরে পাই, তাহলে আর ফিরে আসতে চাইতাম না ধীরে ধীরে বড় হচ্ছি, আলাদা হয়ে গেছি সবাই, হাতেগুনা ৪-৫ জনের সাথে এখনো সম্পর্ক আছে।তাদের ও অনেক মনে পড়ছে,স্কুলে যখন ভর্তি হই তারপর থেকে আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে আমাদের অঞ্চলে থাকা হন্টেড বাড়ী ও পুরনো বাড়ি গুলায় অভিযান চালাতাম,ভূলতে পারি না কিছুই
সময় নামের এক চিরবহমান জিনিসের নিচে চাপা পরে যাচ্ছে শৈশব।শৈশব আমাকে ডাকছে তার কাছে কিন্তু চাইলেতো ফিরে যেতে পারবোনা।
ছোটবেলায় বইয়ে পড়েছিলাম, " বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই ! "
আমরা বর্তমানে চাঁদ দেখি বিল্ডিং এর চিপায় নাহয় খুব কষ্ট করে হলেও খোলা আকাশের নিচে গিয়ে এই যান্ত্রিক যুগে, যান্ত্রিক সভ্যতায় বাঁশবাগান খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কিন্তু একটু গভীরভাবে খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাই " বাঁশবাগান এখন আমাদের জীবনে জন্মাইতেছে প্রতি ক্ষনে ক্ষনে।সেই বাঁশবাগানের ভিতর দিয়ে চাঁদ দেখা অসম্ভব আমাদের পক্ষে।তবে জীবনের এই বাঁশবাগানের ভিতর দিয়ে চাঁদ দেখা যাবে কি যাবেনা তা একমাত্র আমাদের কর্মকান্ডই বলে দেয়,ইদানীং আমার জীবনের বাঁশবাগানে প্রচুর বাঁশ জন্মাইছে, সেই বাগানের ভিতর দিয়ে চাঁদের দেখা পাওয়া যাবেনা বললেই চলে।
শহুরের পিচঢালা পথ আর সারিসারি অট্টালিকার পিস্টন হতে নিজেদের বের করে নিয়ে এনে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিয়ে আনা খুবই জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের জন্য।
নাহয় একদিন পরিবেশ হতে বাঁশবন বিলুপ্ত হয়ে যাবে,জীবন ভরে যাবে বাঁশবনে চাঁদ দেখাও সম্ভব হবে না আমাদের জন্য।
সব হারিয়ে ফেলা মানুষ আসলে ছোট শিশুটির মত একা!ভাষাহীনরা কাঁদে, অন্যরা কান্নার মত করে কথা বলে যায়।সব হারিয়ে ফেলা মানুষের ব্যাক্তিভাষা আসলে কান্না।দৃষ্টিহীনরা অন্ধকারে থাকে, অন্যরা দেখে ভেজা চোখে এসব মানুষ বাঁচে ভেজা দৃষ্টির মত স্যাঁতস্যাঁতে জীবনে।ছোটবেলার সেই দিনগুলো হঠাৎ করেই বদলে যায়।মানুষ বড় হয় কিন্তু মন ঠিকই ছোট থেকে যায়।
হঠাৎ করেই আমরা প্রিয় মুখগুলিকে হারিয়ে ফেলি এবং অন্ধকারে পথ চিনে বাড়ী ফিরে মাতালের মত একলা একা।
সারাটি রাত তাকিয়ে থাকি, জাগিয়ে দেয় প্রতিরাতে কত পুরনো স্মৃতি কত পুরনো মুখ পিছু ফেলে আসি জীবনের রেলস্টেষনে,সামনে এগিয়ে যাই জীবনের ফুটপাথ ধরে।
আমরা বড্ড একা হয়ে যাই,ব্রেকফেল গাড়ীর মত নির্বাক চলতে থাকি।ছোট বেলার মত আর হয়না একজন বিপদে ড়লে দশজন আর এগিয়ে আসে না। সবাই এখন ব্যাস্ত যার যার জীবনে।সব প্রিয় মানুষ গুলিকে হারিয়ে মানুষ হয়ে যায় মন খারাাপের মত একা!
মন খারাপ একা একা, শহরের মোড়ে মোড়ে, যেখানটায় ঠায় পেত আগে ল্যাম্পপোস্ট গুলি।
এরপর মানুষ সবকিছু পিছনে ফেলে অতিদীর্ঘ ভ্রমনে বেরোয়,কখনও কখনও ভুল করে আবার পুরানো রাস্তার বাঁকে,এক চিলতে পুরানো আকাশের নীচে,দেখা হয়ে যায় কতশত পুরনো মুখ।কিন্তু আগের মত টান আর ফিরে আসেনা,কেউ কেউ আজীবনের জন্য চলে যায় এ জীবন থেকে তারা আর কখনই আসবে না অথবা কেউ আসবে বলে কথা দিয়ে কথা রাখেনা।
তারপর মানুষ গুলো এগিয়ে যায় সফল হয় পিছে কেউ নেই কেউ থাকেনা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

অঘ্রান প্রান্তরে বলেছেন: সব হারিয়ে ফেলা মানুষ আসলে ছোট শিশুটির মত একা!ভাষাহীনরা কাঁদে,
আজীবনের জন্য চলে যায় এ জীবন থেকে তারা আর কখনই আসবে না_____________'


অনেক ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম কবি;;;

জাগিয়ে দেয় প্রতিরাতে কত পুরনো স্মৃতি কত পুরনো মুখ পিছু ফেলে আসি জীবনের রেলস্টেষনে____

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

অঘ্রান প্রান্তরে বলেছেন: ভালো থাকুন সব সময়...

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আপনিও

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.