নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭১ ও একটি শোকগাঁথা

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০২

যুদ্ধশেষে একটি পাক ক্যাম্প থেকে উনারা প্রায় ৩০০ জন নির্যাতিতা নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেন। পাকসেনাদের মাত্রাতিরিক্ত লালসার শিকার হয়ে অনেক নারীই পড়নের শাড়ী গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করায় পাকসেনারা তাদের কাছ থেকে সব কাপড় কেড়ে নিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় বন্দী করে রেখেছিল।
এদের মধ্যে একটি মেয়ে বারবার মুক্তিযোদ্ধাদের পায়ে পড়ে অনুরোধ করছিল তাকে যেন গুলি করে হত্যা করা হয়। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় অফিসার রা এতে বিস্মিত হয়ে পড়েন। এক মহিলা নার্সকে দেয়া হয় মেয়েটির সুশ্রুষা আর রহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব।
কেচো খুড়তে বেড়িয়ে আসে সাপ। জামায়াতের কুখ্যাত গুণ্ডা হামিদুল কবির খোকা যুদ্ধের মাঝেই আল শামস বাহিনী গঠন করে সারা চট্টগ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। মহামায়া ডালিম হোটেলে তার একটি আলাদা নির্যাতন কক্ষ ছিল। খোকা ছিল মারাত্মক ধরণের নারীলোভী। প্রতিদিন নিত্যনতুন নারী ধর্ষণ ছিলো তার নেশা। তাকে খুশী করতে কিছু কিছু পাক দালালেরা সারাদিন এই কাজেই ব্যস্ত থাকতো।
উল্লেখিত বীরাঙ্গনাটি সে সময় সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার পিতা ছিলেন পুরোপুরি প্যায়ারে পাকিস্তানের অন্ধ ভক্ত। একদিন অন্য কোথাও "ভার্জিন" নারীর ব্যবস্থা করতে না পেরে খোকাকে খুশী করতে তার পিতাই তাকে খোকার আস্তানায় দিয়ে আসে!! রেখে আসার সময় সে তার পিতাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করায় তার পিতা বলেছিল ,"যুদ্ধের সময় এসব জায়েজ আছে। পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব "
সারারাত তার উপর নির্মম নির্যাতন চালায় খোকা। অত্যাচারের তীব্রতায় অজ্ঞান হয়ে গেলেও থামেনি খোকা। পরদিন তাকে উপটোকন হিসেবে পাঠিয়ে দেয় আর্মি ক্যাম্পে। এক নারী তার আবার দুইদিন ভালো লাগতো না।
পাক ক্যাম্পে পরবর্তী ৭ মাস অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন তিনি। প্রতিদিন ২০/৩০ জন পাকসেনা তার উপর নির্যাতন চালাতো। এমনকি যোনি পথে সিদ্ধ ডিম পর্যন্ত ঢুকিয়ে দিত। তীব্র অত্যাচারে তার প্রায় মানসিক বিকৃতি দেখা দেয়।
মুক্তিবাহিনী যখন তাকে উদ্ধার করে তখন সে ৪ মাসের গর্ভবতী। সে বারবার বলছিল , "বাকিরাতো তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে। আমি কোথায় যাবো? আমার পরিবারই তো আমাকে এখানে রেখে গেছে। তার চেয়ে আমাকে আপনারা মেরে ফেলুন। আমার কস্ট তাহলে লাঘব হবে। "
মেয়েটিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তী খবর আর জানেন না।
মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মোজাফফর

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৫

বিজন রয় বলেছেন: এসব বলে আর লাভ কি!!
দেশ এখন ভাল নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.