নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিয়ার বাংলিশ প্রজন্ম,আমরা কি এমন কুলনেস চেয়েছিলাম?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৯

আজকাল শত শত গজিয়ে উঠা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের যা অবস্থা।গত ১৬ই ডিসেম্বরের কথা,

টিভিতে দেখলাম এক ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্রকে জিজ্ঞেস করা হল ১৬ ই ডিসেম্বর কি দিবস। ব্যাটা হাইসা হাইসা উত্তর দিল কালোরাত। অবাক হইনি। লাখ টাকা বেতনের ইংরেজি মিডিয়ামে পড়া এই দামড়াদের কাছে কুলনেস হইল ইংরেজি একসেন্টে দম্ভ কইরা বলা, বাংলাডেশ! উফ সো ডিসগাস্টিং। এক ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্র একবার জিজ্ঞেস করছিল সিক্সটি নাইনের বাংলা কি। বাদ দেন একটা গল্প শোনাই
পানু কে রফিক প্রথম দেখেছিল থিয়েটারের মেক আপ রুমের সামনে। সেদিন পানুর চোখ দুটো দেখে রফিকের পৃথিবী নড়ে উঠেছিল। চোখ দিয়ে দরদর করে পানি ঝরছিল। রফিক জিজ্ঞেস করায় বলল নাটকে রফিকের অভিনয় দেখে কাঁদছে।
পথচলার শুরুটা এভাবেই। হটাত বাবার নির্দেশে পাড়ি জমায় ঢাকায়। যেদিন মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকা আসার সময় সেদিন পানুর হাত ধরে কথা দিয়েছিল রফিক
- কথা দাও ফিরে আসবে
-কথা দিলাম
ঢাকা এসে প্রেসে চাকরি নেয় রফিক। এদিকে ওদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হবার পড় দুই পরিবার মিলে বিয়ে ঠিক করে। ৫২ এর ফেব্রুয়ারীর ২৪ তারিখে ছিল রফিক আর পানুর বিয়ের দিন। বিয়ের কেনাকাটার কথা উঠলে পানু রফিক কে বলেছিল
- এই শুন আসার সময় আমার জন্য আলতা এন। বিয়েতে পায়ে আলতা লাগাব
ফেব্রুয়ারীর ২১ তারিখ মানুষের কাছে শুনল একশো চুয়াল্লিশ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করা হবে। বিয়ের বাজার করে ফিরছিল রফিক। বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠল রফিকের চোখে। যোগ দিল মিছিলে। মনে মনে হয়ত পানুকে বলেছিল , যদি না ফিরি ক্ষমা করে দিও আমায়।
পুলিশের ছোড়া গুলি ঠিক কপালে বিদ্ধ হয় রফিকের। মগজ উড়ে যায় রফিকের। ভাষার জন্য প্রাণ দেয়া প্রথম শহীদ হল রফিক। হাতে ধরা বাজারের ব্যাগটা ছিটকে পড়ে রাস্তায়। আর তিনদিন পর বিয়ে হবে এমন যুবকের স্বপ্নিল চোখ নিয়ে তখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে রফিক। বোতল ফেটে রাস্তায় গড়ায় প্রিয়তমার জন্য কেনা আলতা। রফিকের রক্ত পানুর পায়ের আলতা মিলে মিশে এক ইতিহাসের জন্ম দেয়
পানুকে দেয়া কথা রাখতে পারেনি রফিক। ফিরে আসেনি। বিয়ের তিন দিন আগে মৃত্যুর সাথে বিয়ে করে মায়ের ভাষাকে মাথার উপরে রেখে পানুকে ছেড়ে চলে যায় রফিক...
ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া কুল প্রজন্ম অবশ্য ফার্মের মুরগী। রফিক কে, হু ইজ রফিক। কি ক্ষেত নাম। পিটবুল বল ম্যান। বাপের লাখ টাকায় ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে কোনমতে ও লেভেলস টা শেষ করেই ইউরোপ আমেরিকা চলে যাব। ফাক বাংলাদেশ ম্যান। আবার বাংলা মিডিয়ামেও হাজার হাজার আছে যারা পড়ে বাংলা মিডিয়ামে কিন্তু সাইজা থাকে ইংরেজ
পিটবুল চিনে হানি সিং চিনে থার্টি ফার্স্ট ডিজে পার্টি সব চিনে শুধু রফিক কে চিনে না। ১৬ ই ডিসেম্বর কালোরাত ভ্যালেন্টাইন্স হল সেক্সি নাইট। জানেনা আমাদের পিটবুলের মত হাফলেডিস আইকন লাগেনা,আমরা হইলাম ক্র্যাক হেডেড রফিক দের দেশ। বুঝেনা আমাদের ইউরোপ আমেরিকা থেকে ধার করে ক্লাস আনা লাগেনা, আমরা প্রিয়তমার পায়ের আলতা বুকের রক্তে মিশিয়ে নিজেদের ক্লাস নিজেরা লিখি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২০

আলগা কপাল বলেছেন: বাস্তবতা। আসলে সিসটেমটাই বিগড়ে গেছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.