নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য কথন

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৭

ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম।
তবুও কেন যে এমন আত্মঘাতী হামলা হয় আমার কিচ্ছু মাথায় ধরে না। আমি যেহেতু একটি মর্ডারেট ইসলামিক সমাজের মানুষ, তাই আমিও সবার মতো কিছু না পড়ে, না ঘেটেই নিশ্চিত জানি- ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা বা শ্রেষ্ঠ শাষন ব্যবস্থা।
কিছুদিন আগে রাতের বেলা ম্যানচেস্টারের ভয়ংকর আত্মঘাতী হামলার খবর নিউজে লাইভ দেখছিলাম। দেখতে দেখতে ভাবছি এই ছেলেগুলি কি ধর্ম জানে না? ধর্ম জানলে ক্যামনে এমন করে?

আজ সকালে ভাবলাম পড়াশোনা করা যাক। এই সুইসাইডাররা যে কেমন রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে চায় সেটা একটু পড়ে জেনে দেখি। ওদেরটা ভালো লাগলে নিজেও আইএসআইএস জয়েন দিমু। আমার ফেসবুকের বন্ধুদেরও কমু আপনেরাও আসেন। এইটাই ভালো, আমি পড়ছি।

নানান বইপত্র নামাইলাম। ধুলোয় হাঁচি দিতে দিতে পড়তে বসছি। সাথে আছে নেট এবং গুগল। দেখা যাক কই যাই।
আমার প্রথম আগ্রহ হইলো মহানবী (সঃ) এর এবং পরবর্তি খলীফায়ে রাশেদীনদের সময়ের পবিত্র শাষন ব্যবস্থা। বা দ্যা গোল্ডেন এজ অফ ইসলাম।

পড়তে শুরু করলাম প্রাক ইসলামিক যুগের আরব থেকে।
প্রাক ইসলামিক যুগে আরবে ছিলো মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। অনেক গোত্রের নামও ছিল স্ত্রীবাচক । মহিলারাই ছিল তখনকার সমাজে সম্পত্তি ও পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক। পুরুষরা শুধু পরিশ্রমই করতো কিন্তু পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করতো মহিলারা। মোহাম্মদের স্ত্রী খাদিজাও ছিলেন একজন সম্ভ্রান্ত প্রভাবশালী নারী। নিজের বিশাল ব্যবসা নিজেই দেখা শোনা করতেন। তার বানিজ্য বিস্তারিত ছিলো দামেস্ক, সিরিয়া সহ তৎকালীন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক প্রদেশে।

আমিতো অবাক! কয় কি? এর চেয়ে ভালো অবস্থাতো নারীরা বর্তমান কিউবাতেও পায়নাই। দেখি হাদিস কোরান কি বলে?

পরবর্তিতে ইসলাম নাকি নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। কিভাবে দিয়েছে আমি অবশ্য পড়ে কিছুই বুঝিনাই, অবশ্য আমাদের যে মুসলিম নারীরা হিজাব পড়ে সহি ইসলাম মানে- তাঁরা নিশ্চই পড়ে বুঝছে। আমার আবার তাদের উপর প্রচুর ভরসা। হাদিস, কোরআন যতই ঘাটলাম, আমি অবশ্য অন্যকিছু পাই। কি পাই এটা যারা ভাবছেন, তাঁরা কষ্ট করে যদি পুরো লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে কিছু উত্তর পাবেন। অনেক লম্বা সম্মান দিয়েছে। তাই শেষে দিয়েছি। যার খুব আগ্রহ, সেই যদি শেষ পর্যন্ত পড়ে তাহলে কিছু উত্তর পাবে।

এইবার যাই রাষ্ট্রিয় শাষন ব্যবস্থায়।

নিশ্চই সেখানে অনেক শান্তির বাণী থাকবে। যার কাছে প্ল্যাটো, এরিষ্টল, গৌতম বুদ্ধ, কনফুসিয়াসের বানীর বেইল থাকবে না।

“Good people do not need laws to tell them to act responsibly, while bad people will find a way around the laws” ― Plato

“Be kind, for everyone you meet is fighting a harder battle.” ― Plato

“It is not enough to win a war; it is more important to organize the peace.” ― Aristotle

What you do not want done to yourself, do not do to others. – Confucius

Peace comes from within. Do not seek it without. - Buddha

However many holy words you read, however many you speak, what good will they do you if you do not act on upon them? –Buddha

প্ল্যাটো, এরিষ্টল, গৌতম বুদ্ধ, কনফুসিয়াসের কয়েকটা লাইন পড়ে এবার শুরু করলাম ইসলামিক শাষন ব্যবস্থা পড়া।
যেমন মুসলমানরা যতো বিধর্মিদের রাষ্ট্র আক্রমন করেছেন, দখল করেছেন, সেই সব মানুষের প্রতি মুসলিম আইন কি? এবং কেমন ছিলো বা হবে? যতই পড়তে থাকি ততই আমার মনে হয়- বলে কী? এইটাই ইসলামিক আইন? শ্বাশত জীবন ব্যবস্থা? আমি ভুল পড়ছি নাতো?
আসুন দেখি কেমন ছিলো সেই আইন।

প্রথমে আসুন জেনে নেই খারাজ কী?

অমুসলিম জিম্মির উপর ধার্যকৃত ভূমিকর হলো খারাজ। এই করের পরিমাণ ছিল ভূমিতে উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সময় এটা ধার্য করা হয়। খাইবার বিজয় করে তিনি এই কর প্রথা চালু করেন। অর্থাৎ, আপনার দেশ মুসলমান শাসক কতৃক দখল হবার পরে আপনার সাথে তাদের এই চুক্তি হবে যে, আপনি আপনার ফসলের অর্ধেক আপনার মুসলমান শাষককে দিতে বাধ্য। যদি আপনি ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহন করেন অথবা মুসলিম সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিতে পারেন তাহলে এই কর আপনার উপর প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। যদিও সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেয়াটা ছিল অসম্ভব। ইসলাম পূর্ব আরবে খারাজের অস্তিত্ব ছিলো না।

এবার আসুন জিম্মি কারা সেটা জেনে নেইঃ

আহল আল কিতাব বা গ্রহ্নানুগামীগনই আহল আল জিম্মার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। যারা পৌত্তলিক বা মুর্তি উপাসাসক তাদের ক্ষেত্রে দেশ ত্যাগ বা হত্যার বিধান। মহানবী (সঃ) আরবের ইহুদী ও খৃস্টানদের সাথে নিরাপত্তামূলক চুক্তি সম্পাদন করেন। তাদের বলা হতো আল্লাহ ও তার রসুলের নিরাপত্তা প্রাপ্ত বা সংক্ষেপে আহল আল-জিম্মাহ বা জিম্মি। পরবর্তিকালে ইসলামের সাম্রাজ্য বিস্তারের সাথে সাথে পারস্যের যুরাস্ট্রিয়ান, ভারতীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের, হারানের মূর্তি পূজকদের এবং উত্তর আফ্রিকার বার্বানদের প্রতি জিম্মির মর্যাদা সম্প্রাসারিত করা হয়।
কোনও রাষ্ট্র দখল করার সময় বা অবরোধ কালে সেই শহরবাসীকে আত্মসমর্পন করতে বলা হয়। তাঁরা আত্মসমর্পন করলে তাদের সাথে এই জিম্মি চুক্তি সম্পাদিত হতো।

জিম্মিদের বিধিনিষেধ ঃ

জিম্মিদের সাথে মুসলমানদের পার্থক্য বজায় রাখার জন্য তাদের আচার অনুষ্ঠান, পোশাক পরিচ্ছদের প্রতি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে কতগুলো বিধিনিষেধ প্রণয়ন করা হয়। এই নিয়মগুলো জিম্মিদেরকে মেনে চলতে হয়। যেমন - জিম্মিদের সাথে মুসলমানদের পার্থক্য নিরূপনকারী পোশাক পরিধানের আদেশ। সে পোশাকের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলো এক ধরনের কটিবন্ধ। পোশাকের উপর বিশেষ রকমের রঙ্গিন ছাপ বা তালি। এবং একখানা পাগড়ী। তাদের উপর আরো অনেক অপমানজনক বিধিনিষেধ আরোপ করা হতো, যেমন দামেস্কের পাকা রাস্তা দিয়ে তাদের চলা ফেরা করতে দেয়া হতো না। জিম্মিগন সাধারণত সামরিক বাহিনীতে চাকরী পেতো না। জিম্মিগণ নতুন গীর্জা, মন্দির, উপাসনালয় নির্মান করতে পারতো না, তবে ভগ্ন হলে সেটা মেরামত করতে পারতো। তাঁরা প্রকাশ্য স্থানে ধর্মিয় সমাবেশ, মিছিল, বা উৎসবাদি করতে পারতো না। তাদের গৃহ নির্মানের জন্য অনুমতি যোগার করতে হতো। এবং তাদের গৃহ মুসলমানের গৃহ থেকে উঁচু হতে পারবে না। মজলিশে কোনও মুসলমান অপেক্ষা তাঁরা উঁচু কন্ঠে কথা বলতে পারবে না। জিম্মি মুসলমানের উপর কতৃত্ব করতে পারবে না। মুসলমানের সাথে জিম্মির বিরোধ ঘটলে সেটা মুসলিম আইনে বিচার হবে জিম্মির ধর্মিয় আইনে নয়। ইসলাম বা মহানবী (সঃ) এর বিরুদ্ধে কোনও কুৎসা রটালে তাকে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত দেয়া হতো। বাদী বিবাদি যদি মুসলমান এবং জিম্মি হয় তবে আইন অনুসারে মুসলমানকে কাজীর দরবারে প্রবেশের অগ্রাধিকার দেয়া হবে ও তাকে জিম্মি অপেক্ষা উন্নত আসন দেয়া হবে।

এবার আসুন জেনে নেই গণিমত কি ?

গণিমত হচ্ছে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ। গণিমতের এক পঞ্চমাংশ মহানবী রাষ্ট্রের জন্য রেখে বাকী চার অংশ যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী সৈন্যদের মধ্যে বন্টন করে দিতেন। এক্ষেত্রে অশ্বারোহী সৈন্য, পদাতিক সৈন্যের দ্বিগুন পেতো। আর এক পঞ্চমাংশকে মহানবী তিন ভাগ করতেন, নিজের জন্য এক ভাগ, আত্মীয় স্বজনের জন্য এক ভাগ, আর একভাগ বায়তুল মালে জমা দিতেন। আর অমুসলিম যুদ্ধবন্দী নর নারীকে গণিমত হিসেবে যুদ্ধ অংশগ্রহণকারী মুসলিম সৈন্যদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হতো।

রাজস্বের উৎস কি ছিলোঃ

রাজস্ব ব্যবস্থা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পাঁচটি রাজস্ব আয়ের ৫ টি উৎস প্রদান করেন।

১. গনিমত বা যুদ্ধ প্রাপ্ত সম্পদ
২. যাকাত
৩. জিজিয়া
৪. খারাজ
৫. আল- ফে / আল ফাই

আল ফে/ আল ফাই কি ?

আলফাই হচ্ছে দখলকৃত রাষ্ট্রীয় ভূমি সম্পত্তি। কোন দেশ দখল করলে বেদাবী ভূমি, পলাতকদের বা পরাজীতদের কৃষিখামার, অগ্নিমন্দির, পাঠাগার, ঘর বাড়ি, বনভূমি ইত্যাদিকে আলফাই বলা হতো।

জিজিয়া কর কি?

মুসলমান কতৃক অমুসলমানদের নিরাপত্তা করই এক কথায় জিজিয়া কর। অর্থাৎ, আপনি যদি মুসলাম না হন কিন্তু আপনার দেশের শাষক যদি মুসলমান হয়, তাহলে আপনার জান মালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আপনি তাকে জিজিয়া কর দেবেন। এই কর মুসলমানদের উপর প্রযোজ্য নয়। তবে আপনি যদি সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেন কিংবা মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন তাহলে আপনার জিজিয়া কর মওকুফ করা হবে। আমি আগেই বলেছি- সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেয়াটা জিম্মিদের জন্যে ছিলো অসম্ভব।

এই হচ্ছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পূর্নাঙ্গ জীবন বিধানের বিধর্মিদের প্রতি প্রয়োগিত আইন ! এটা কোনও মুসলমানের সাথে যদি কোনও অমুসলিম রাষ্ট্র করে? বা আমার জীজ্ঞাসা মুসলমানেরা ইতিহাসের কোন রাষ্ট্রের কাছে এই সম্মান পেয়েছে? বা এখনো পাচ্ছে। এবং বর্তমান সৌদিতে অমুসলিমদের প্রতি নিয়ম কানুন কি ?

আচ্ছা খলিফা পদপ্রার্থির হবার গুনাবলী কি একটু দেখি।

১. তাকে মুসলিম হতে হবে।
২. তাকে কুরাইশ বংশউদ্ভুত হতে হবে।
৩. তাকে পুরুষ হতে হবে
৪. তাকে বালেগ হতে হবে।
৫. তাকে অবশ্যই চরিত্রবান হতে হবে।
৬. তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে রোগমুক্ত হতে হবে।
৭. সামরিক ও বেসামরিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য কোরান হাদিসের উপযুক্ত জ্ঞান থাকতে হবে।

এবং এই খলিফা মুসলিম দেশের শাষক হবেন। এবং এই উপরক্ত নীতি বলবৎ করবেন। এবং তিনি যেই রাষ্ট্রের ক্ষমতাই দখল করেন তার সেই রাষ্ট্রের কোনও আইনে বিচার হবে না। কারণ মুসলিম আইনে সার্বোভৌম ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ, রসুলের আইন, বা খলিফার শাষন।

এবার আমার কাছে পষ্ট হচ্ছে- কেন এই মুসলমানরা যুদ্ধ করেন। ৬০০ খৃস্টাব্দ থেকে শুরু করে তাঁরা ১৯ শতকের প্রায় শেষ অব্দি প্রতিটি শতকে কত কত যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন তার সংখ্যা প্রায় একশর চেয়ে বেশি বই কম হবে না। যারা ইসলামী ইতিহাসের ছাত্র তাঁরা ভালো জানেন। কত দেশকে মুসলিম শাষক আক্রমন করেছে। আবার সেই দেশকে পূনরোদ্ধার করতে ঐ দেশের মানুষের আক্রমনকে প্রতিহত করেছে।

গনিমত বা যুদ্ধ প্রাপ্ত সম্পদ, জিজিয়া, খারাজ, আল- ফে / আল ফাই এর মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এই ধর্মে আখেরাতে বেহেস্তে যা দেবার লোভ দিয়েছে এর কাছে ইহকাল নেহাত কম মনে হচ্ছে না।

তাঁরা সিরিয়া জয় করেন, মেসোপটমিয়া জয় করেন, পারস্য জয় করেন, মিশর জয় করে, স্পেন জয় করেন, আফ্রিকা জয় করে, উজবেকিস্তান জয় করেন, আফগানিস্তান জয় করেন, ভারত জয় করেন, বাংলা জয় করেন, তাঁরা কিভাবে জয় করেন? এই তেরোশো বছরে তাঁরা কতগুলো যুদ্ধ করেছেন এক বার ভাবুন? অথচ যার নিজের দেশ, সে হবে পরাধীন, সে হবে গনিমতের মাল, সে দিবে জিজিয়া, খারাজ, আল- ফে / আল ফাই। বাহ ! সুন্দরতো সুন্দর না?

১৯৭০ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৪৬৩ টি আত্মঘাতী হামলা করেছে তাঁরা ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য। ৬০০ খৃষ্টাব্দ থেকে ১৯ শতকের শেষ অব্দি ১০০ মতো যুদ্ধ করেছে।

এই ধর্ম যদি শান্তির ধর্ম না হয় তাহলে শান্তির ধর্ম আর কি ?

শুধু ভারতকে ধর্মের নামে ভাগ করে ১৯৪৭ সালে হত্যা করেছে ১৪ মিলিয়ন মানুষ। কতলোক মাইগ্রেট করেছে তার সংখ্যা জানা নাই। আমাদের বাংলাদেশে এতো বৌদ্ধ মঠ। বৌদ্ধরা গেলো কই? এতো পুরানো পুরানো প্রাসাদের মতো হিন্দু বাড়ি হিন্দুরা গেলো কই? সুমিয়েরিয় সভ্যতা, ব্যবলিনিও সভ্যতা, এশিরিয় সভ্যতা, ইজিপশিয়ান সভ্যতা, উর সভ্যতা, ভারতীয় সভ্যতা বাংলার গৌরবের প্রাচীন ইতিহাস বৌদ্ধ সভ্যতা গেলো কই ঐসব অঞ্চল থেকে? মুসলিম শাষকরা যেখানে গেছে তাদের সভ্যতা সংস্কৃতি আগে ধ্বংস করে দিয়েছে। যানো তাঁরা আর নিজেদের শিকড় খুঁজে না পায়। আমাদের বাউলদের গানের ২ হাজার বছরের সভ্যতায় অনেক প্রাচীন পুথি ছিলো। ইখতিয়ার উদ্দিন মোজাম্মদ বখতিয়ার খিলজি সব পুড়িয়ে দেয়। যেমন তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেছিলো। তাঁরা কোন দেশের সংস্কৃতি সহ্য করতে পারে না। যেমন এখন পারেনা হেফাজতে ইসলাম। তাদের অনুভূতিতে লাগে।

আহা ! আত্মসম্মান থাকলে কোন ধর্মের মানুষ একটা মুসলিম দেশে থাকবে। অথচ মুসলমানরা কোন দেশে থাকে না? সেই দেশের কোন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে না। তবুও তাদের আরেকটু বেশি চাই। তাই এই আত্মঘাতী হামলা। আগে এরা সরাসরি রাষ্ট্র আক্রম করতো। এখন নানা ধরনের দেশের সাথে চলতে হয় জোট আছে তাই চক্ষু লজ্জায় সরাসরি আক্রমণ করতে পারছেনা। তবে যারা এই হামলা করছে যদি তাঁরা সফল হয় তাতে তাদের লাভ বই ক্ষতি নেই। আর মরে গেলে শহীদের দরজাতো আছেই। এই বিষয়েও মাশাল্লাহ হাদিস কোরানে কম সমর্থন নেই।

যাক, অনেক পড়াশোনা হইছে। এবার থামি। আমার যদি কোনও তথ্যে ভুল হয়- তাহলে আমি ক্ষমা প্রার্থি। ভুল তথ্য উপাত্ত দেয়ার অভিপ্রায় আমার নেই। যদি কেউ সংশোধন করে দেন তো কৃতার্থ হবো। আমি জানি পাঠকের পড়াশোনা লেখকের চেয়ে অনেক বেশি হতেই পারে।

আর হিজাবী সহি মুসলিম আপারা। আপনাদের জন্য এই নীচের বিশাল অংশ। পড়েন। আমি নানা জায়গা থেকে ঘাটাঘাটি করে তথ্য নিয়েছি। যদি এখানেও কোন ভুল থাকে সংশোধন করে দেবেন। আর অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্যে মার্জনা করবেন।

ইসলাম দিয়েছে নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান!

1) নারীর অবস্থান পুরুষের নিচে। ( কোরআন 4:34, 2:228)
2)তাদের মর্যাদা পুরুষের অর্ধেক। ( কোরআন 2:282, 4:11, বুখারি 3:48:826, 1:142 )
3)তারা পুরুষের অধিকৃত সম্পত্তি। (বুখারি 5:59:524)
4)তারা কুকুরের সমতুল্য। (বুখারি 1:9:490, 1:9:493, 1:9:486, মুসলিম 4:1032)
5) ভালবাসার অযোগ্য। (বুখারি 7:62 :17, দাউদ 41:5119)
6) তাদের বন্ধক রাখা যায়। (বুখারি 5:59:369)
7) পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে তারা অপবিত্র। (কোরআন 2:222, আল তাবেরী, বই নং 1, পৃষ্ঠা 280 ) হজ্ব করার অযোগ্য। (বুখারি 1;6:302)
8) তারা নিকৃষ্ট ( বুখারি 9:88:219) বুদ্ধিহীন ( বুখারি 2:24:541) অকৃতজ্ঞ ( বুখারি (1:2:28) খেলার পুতুল ( আল মোশারফ, 1 নং বই, পৃষ্ঠা 263) হাড়ের মতো বক্রতাযুক্ত। ( মুসলিম 8:3466-68, বুখারি 7:62:113-114, 4:55:548)
9) তারা পুরুষের চাষযোগ্য ক্ষেত্র। ( কোরআন 2:223, দাউদ 11:2138)
10) তারা শয়তানের রূপ। ( মুসলিম 8:3240)
11) তাদের মাঝে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ। ( বুখারি 4:52:110-111)
12) তারা বিশ্বাসঘাতক। ( বুখারি 4:55:547)
13) পুরুষের জন্য ক্ষতিকারক। ( বুখারি 7:62:33)
14) নেতৃত্ব দেয়ার অযোগ্য (বুখারি 9:88:219)
15) প্রার্থনা ভঙ্গ হওয়ার কারণ। ( বুখারি 1:9:490, 1:9:493)
16) স্বামীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তারা বাধ্য। (মুসলিম 8:3368)
17) পুরুষরা ইচ্ছা করলেই ধর্ষণ করতে পারবে। (কোরআন 70:29-30,দাউদ 11:2153,31:4006, বুখারি 5:59:459,8:77:600,8:3432,8:3371)
18) পুরুষ পারবে চারজন নারীকে বিয়ে করতে। ( কোরআন 4:3)
19) তালাকের অধিকার রয়েছে শুধু পুরুষদেরইই। (বুখারি 8:4871-82, মিশকাত হাদিস নং 15)
20) স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অধিকার রয়েছে পুরুষদেরই। ( কোরআন 4:34, মুসলিম 4:21127) যার কারণে কোনো জবাব চাওয়া হবেনা। ( দাউদ 11:2142)
21) বেহেস্তে পুরুষের জন্য রয়েছে বহু কুমারী সম্ভোগের ব্যবস্থা। ( কোরআন 33:48,44:51-54,55:56-58,78:31-35, মুসলিম 40:6795,40:6796, বুখারি 4:54:476, তিরমিজি 2687)
22) শুধুমাত্র নিরবতাই তাদের বিয়ের সম্মতি। ( বুখারি 9:86:100-101,9:85:79)
23) সর্বদা আবদ্ধ রাখতে হবে পর্দায়। ( বুখারি 5:59:462,6:60:282)
24) মৃত্যুর পর তাদের অধিকাংশের জন্য রয়েছে দোজখের আগুন। ( মুসলিম 36:6596-7, বুখারী 7:62:124,1:2:29,2:18:161)

তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্খা কর এবং আল্লাহ্কে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও। ২-২২৩

আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ্ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ্ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। ২-২২৮

আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন: একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর অংশের সমান। অত:পর যদি শুধু নারীই হয় দু-এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অত:পর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যেতর পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। ৪-১১

হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ্ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋন গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহ্কে ভয় করে এবং লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। অত:পর ঋণগ্রহীতা যদি নির্বোধ হয় কিংবা দূর্বল হয় অথবা নিজে লেখার বিষয়বস্তু বলে দিতে অক্ষম হয়, তবে তার অভিভাবক ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখাবে। দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়। তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা, তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহ্র কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে, সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার পক্ষে অধিক উপযুক্ত। কিন্তু যদি কারবার নগদ হয়, পরপর হাতে হাতে আদান-প্রদান কর, তবে তা না লিখলে তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ। কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে পাপের বিষয়। আল্লাহ্কে ভয় কর তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আল্লাহ্ সব কিছু জানেন। ২-২৮২

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অত:পর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। ২-২৩০

তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ্ তার কাজ সহজ করে দেন। ৬৫-৪

পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ্ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সবার উপর শ্রেষ্ঠ। ৪-৩৪

সকল সধবা নারীদের তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে, কিন্তু তোমাদের স্বত্বাধীন যেসব দাসী রয়েছে তাদের হারাম করা হয়নি। এ হল তোমাদের জন্য আল্লাহর বিধান। এদের ছাড়া অন্য সব নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে এ শর্তে যে, তোমরা তাদের কামনা করবে অর্থের বিনিময়ে বিয়ে করার জন্য, ব্যভিচারের জন্য নয়। বিয়ের মাধ্যমে যে নারীদের তোমরা সম্ভোগ করেছ তাদের দিয়ে দিবে তাদের নির্ধারিত মহর। আর তোমাদের কোন গুনাহ হবে না যদি মহর নির্ধারণের পর তোমরা কোন বিষয়ে পরষ্পর সম্মত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, হেকমতওয়ালা। ৪-২

পুরুষের তুলনায় নারীর মর্যাদা
নারী-পুরুষের প্রকৃতিগত সম্পর্ক বিষয়ে এমন ব্যতিক্রমী বক্তব্যকে অনেকে প্রমাণ হিসেবে হাজির করেন, সমান গুরুত্ব সত্ত্বেও প্রকৃতির ভিন্নতায় যার সম্পর্ক রাত-দিনের মতো। পূর্বাপর বিবেচনায় না এনে বক্তব্যকে ভুল বোঝার একটি সরল দৃষ্টান্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিচে উল্লেখিত বক্তব্য :
يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ فَإِنِّي أُرِيتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ. فَقُلْنَ وَبِمَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ. مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَذْهَبَ لِلُبِّ الرَّجُلِ الْحَازِمِ مِنْ إِحْدَاكُنَّ. قُلْنَ وَمَا نُقْصَانُ دِينِنَا وَعَقْلِنَا يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : أَلَيْسَ شَهَادَةُ الْمَرْأَةِ مِثْلَ نِصْفِ شَهَادَةِ الرَّجُلِ؟ قُلْنَ بَلَى. قَالَ: فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ عَقْلِهَا. أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ؟ قُلْنَ: بَلَى. قَالَ: فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ دِينِهَا.
‘হে নারী সমপ্রদায়, তোমরা বেশি বেশি সদকা করো। কেননা, আমি তোমাদের বেশি জাহান্নামের অধিবাসী দেখেছি।’ মহিলারা বললেন, কেন হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, ‘তোমরা অধিকহারে অভিশাপ দাও এবং স্বামীর অকৃজ্ঞতা দেখাও। বুদ্ধিমান পুরুষকে নির্বুদ্ধি বানাতে অল্প বুদ্ধি ও খাটো দীনদারির আর কাউকে তোমাদের চেয়ে অধিক পটু দেখিনি।’ তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের জ্ঞান ও দীনের অল্পতা কী? তিনি বললেন, ‘মহিলাদের সাক্ষী কি পুরুষদের সাক্ষীর অর্ধেক নয়?’ তাঁরা বললেন, জী, হ্যা। তিনি বললেন, ‘এটিই তাদের জ্ঞানের অল্পতা। যখন তাদের মাসিক শুরু হয় তখন কি তারা নামায ও রোজা বাদ দেয় না?’ তাঁরা বললেন, জী, হ্যা। তিনি বললেন, ‘এটিই তাদের দীনদারির স্বল্পতা। [1]

জয়নাম বিনতে আবু সালামা থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী বলেন- যে নারী আল্লাহ ও শেষ বিচারে বিশ্বাস করে তার পক্ষে বৈধ না কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক করা। তবে সে তার স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন শোক করতে পারে। সহী বুখারী, বই-২৩, হাদিস-৩৭০

হাম্মাম মুনাব্বি থেকে বর্নিত যা আবু হোরায়রা কর্তৃক অনুমোদিত, আল্লাহর নবী বলেছেন- বাড়ীতে স্বামী উপস্থিৎ থাকা অবস্থায় কোন নারীর তার অনুমতি ব্যতিত রোজা রাখা উচিত না। তার অনুমতি ব্যতিত বাড়ীতে এমন কেউ থাকা উচিত না যারা মাহরাম( পিতা-মাতা, ভাই-বোন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পর্কিত)। এমনকি স্বামীর অনুমতি ব্যতিত কোন স্ত্রীর কোন সম্পদ ব্যয় করাও উচিত না। সহী বুখারী, বই -৫, হাদিস- ২২৩৮

জাবির থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী একজন নারীকে দেখলেন এবং সাথে সাথে তিনি তার অন্যতম স্ত্রী জয়নবের কাছে আসলেন যিনি তখন তার ত্বক রঙ করছিলেন এবং তার সাথে যৌনক্রীড়া করলেন। তারপর তিনি তার সাথীদের কাছে ফিরে গেলেন ও তাদের বললেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শযতানের রূপ ধারন করল। তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস- ৩২৪০

আব্দুল্লাহ মাসুদ থেকে বর্নিত, আমরা একবার আল্লাহর নবীর সাথে অভিযানে বের হয়েছিলাম ও আমাদের সাথে কোন নারী ছিল না। তখন আমরা বললাম- আমাদের কি খোজা (নপুংষক) হয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ? তখন তিনি আমাদের তা করতে নিষেধ করলেন ও স্বল্প সময়ের জন্য কোন মেয়েকে কিছু উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে বিযে করার জন্য অনুমতি দিলেন। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৩২৪৩

আবু হোরায়রা থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূলকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- একটা নারীকে চার কারনে বিয়ে করা যাবে – তার ধন সম্পদ, মর্যাদা, সৌন্দর্য ও ধর্ম। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৪৩৫৭

আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে বৈদিক সভ্যতা বলে একটা সভ্যতা ছিলো। পাঁচ হাজার বছর সে এই উপমহাদেশকে জ্ঞান ধ্যান সভ্যতা দিয়েছে। যার উপর চারটি বেদ গ্রহ্ন নিয়ে বেদ সমগ্র পাওয়া যায়। এই সভ্যতাকে ভেড্ডিড সিভিলাইজেশনও বলে। লালন নানান জায়গায় ঘুরতেন। নানা মুনির থেকে জ্ঞান আহরন করতেন। মানুষের প্রতি মানুষের এই আলগা শাষন বা ইশ্বর আল্লাহর নাম নিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো দেখে তিনি বুদ্ধিমানের মতো একটা গীত রচনা করেছিলেন। অনেক কথা একটি লাইনে তিনি বলে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন- ‘’বেদে নাই যার রূপরেখা’’ অর্থাৎ বেদও যাকে ডিফাইন করতে পারেনি পাঁচ হাজার বছর সভ্যতা চালিয়ে- বলি,

পাবে সামান্যে কী তার দেখা ?
‘’বেদে নাই যার রূপরেখা’’

-Zahirul Islam Ani (অনি)
- ২৪/০৫/১৭

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন: মিথ্যাচার অনেক করেছেন পরিকল্পিতভাবে।শুধু ভারতকে ধর্মের নামে ভাগ করে ১৯৪৭ সালে হত্যা করেছে ১৪ মিলিয়ন মানুষ-একথা জঘণ্য মিথ্যা।হিন্দু কংগ্রেসী আর বজরঙ্গীরা ১৯৩৭ সালে মণ্ত্রীসভা গঠন করে "বন্দেমাতরম"কে জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা,গরু হত্যা নিষিদ্ধ আর রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে ভয়াবহ অবস্হার সৃষ্টি করেছিল।১৯৪৬ এ স্বাধীন যুক্ত বাংলার প্রস্তাব জিন্নাহ মানলেও গান্ধী আর নেহেরূ মানেনি।হিন্দুদের মধ্যে ভয়ংকর জাতিভেদ প্রথা থাকায় তারা বিদেশী মুসলিমদের স্বাগত জানিয়েছিল।
পড়াশোনা করে কথা বলেন।প্ল্যাটো, এরিষ্টল, গৌতম বুদ্ধ, কনফুসিয়াস-কেউ ইংরেজীতে বাণী দেননি।পান্ডিত্য না দেখিয়ে যে ভাষায় লিখছেন,সেই বাংলায় বানীগুলি দিলে ভাল হতো।

২| ০১ লা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১২

স্বতু সাঁই বলেছেন: শুনেছি, লোহা লক্কর সব কিছু ধর্ম আছে, মানুষের ধর্মটা কিরে বাপু?

৩| ০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

জেকলেট বলেছেন: ভাই! ভিসা রিফিউজড??? মাইন্ড খাইয়েন না। বিদেশিরাও আপনাদের চালাকি ধরে ফেলেছে।

আপনি তো বিশাল ব্লগ লিখলেন প্রত্যেকটায় আপনার পড়া লেখার পর্যাপ্ততার অভাব ভালোভাবেই লক্ষনিয়। সবকিছু নিয়ে নয় একটা মিথ্যা আর একটা সামাজিক ন্যায় বিচার নিয়ে কথা বলব আপনার লেখা থেকেই
১) প্রাক ইসলামিক যুগে আরবে ছিলো মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা: ভাই মেয়ে শিশুদের জীবন্ত কবরটা তাহলে কি মেয়েরাই সীদ্ধান্ত নিত?? নিলে মেয়েদের কি অবস্থা ছিলো চিন্তা করেন!!! একজন মেয়ে মানুষ নিজে মেয়ে হয়েও এবং পরিবারের প্রধান হয়েও নিজের বাচ্ছা শুধু মেয়ে হওয়ার কারনে জীবন্ত পুতে ফেলত!! আর যদি পুরুষরা সিদ্ধান্ত নিত তাহলে মাতৃতান্ত্রিক কেমনে হলো??
প্রাক এসলামি যুগে মেয়েদের মানুষের মর্যাদাও দেয়া হতনা। আপনি খাদিজা (রা:) উদাহরন টানতে পারেন, উনি উনার বংশের প্রভাবের কারনে একসেপশনাল ছিলেন। আরেকটা কথা, প্রাক ইসলামি যুগে একজন নারী নেত্রীর নাম বলেন ত??? আবার বইলেন না আবু লাহাব, আবু জাহেল, উৎবা, সোআইবা এরা নারী নেত্রী ছিলো। এরা তৎকালীন আরবের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা ছিলো। গোত্র প্রথায় গোত্র গুলোর নাম দেখলেই বুযা যায় কেমন নারী প্রধান রাষ্ট্র ছিলো???
প্রাক ইসলামিক যুগে আরবে নারীদের অবস্থা সম্পর্কে সকল স্কলার এমনকি বিধর্মি স্কলার ও একমত যে প্রাক ইসলামি যুগে মেয়েদের অবস্থা খুব ই খারাপ ছিল। হুমায়ুন আজাদের বই পড়ে লিখতে গেলে এই রকম ধুতিতে টান পড়বে।

এইবার ন্যায়বিচার সম্পর্কে: যাকাত এবং যিজিয়া: দেশে এবং বিদেশে এইঅভিযোগ সম্পর্কে অনেকবার আমাকে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে ব্যাপার না আপনাকে আবার দিচ্ছি: যাকাত এবং জিজিয়ার সম্ভাব্য তিনটি সমাধান আছে:
১) রাষ্ট্রের সবার উপর (মুসলিম, অমুসলিম) যাকাত বাধ্য করা: আচ্ছা আপনি যদি অমুসলিম হন এবং আপানাকে যদি আমি নামাজের জন্য বাধ্য করি আপনি কি মানবেন?? নিশ্চয় না। তাহলে একজন অমুসলমানকে আমরা শুধু ইকুয়ালিটির ভিত্তিতে মুসলমানদের অবশ্যই করনিয় একটা ফরয পালন করতে কেমনে বাধ্য করতে পারি?? এটা কি ন্যায়বিচার হত?? যাকে আমরা সর্বোচ্চ ন্যায় বিচারক হিসাবে মানি সেই আল্লাহর একটা অন্যায় হত নয় কি এবং আপনারা তখন কি করতেন সহজেই অনুমেনিয়।
২) শুধু যাকাত রাখা অমুসলমানদের জন্য কোন কর না রাখা: এইটা ও কি ন্যায়বিচার হয়? একি রাষ্ট্র একজন মুসলিম এবং একজন অমুসলিম সমান সুবিধা ভোগ করবেন, শুধু একটি ধর্মের মানুষের উপর এডিশনাল কর ফেলা টা কি ন্যায়বিচার হত?? আর যে সকল মুসলমান অমুসলিম শাসিত এলাকায় থাকত তদের কি অবস্থা হত একবার চিন্তা করে দেখার অনুরোধ রইল।
৩) বর্তমান ইসলামিক ব্যাবস্থা: ইসলাম মুসলমানদেরকে বলছে তোমরা যাকাত দিচ্ছ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য। কেননা একজন মুসলমানের কাছে আল্লাহর রাযী এবং খুশি হচ্ছে জীবনের একমাত্র চাওয়া। একজন প্রকৃত মুসলমান তার সম্পদ এবং জীবন বিলিয়ে দিতে পারে শুধু আল্লহকে খুশি করার জন্য।
অপরদিকে একজন অমুসলমান যে আল্লাহকে বিশ্বাসই করে না তার কাছ থেকে আল্লাহকে খুশি করার জন্য কর নেওয়া জগন্যতম অবিচার। আবার আপনি একজনের কাছ থেকে কর নিবেন কোন কিছুর বিনিময় ছাড়া তাও কোনভাবে ন্যায় বিচারের আওতায় পড়েনা। তাই একজন অমুসলমানকে যাকাতের সমান কর দুনিয়ার নিরাপত্তা এবং জিহাদে অংশগ্রহন না করার শর্তে জিজিয়া নামক কর নেয়া হয়। এখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্টা হয়েছে আর কিছু নয়।
এখানে রাষ্ট্র সবারপ্রতি সমান আচরন করেছে আর কিছু নয়। আর খোলামন নিয়ে যদি পর্যালোচনা করেন তাহলে দেখবেন আপনাদের দৃস্টিতে মুসলমানরাই বরং এখানে বেশি দায়িত্ব নিয়েছে।
আপনি নারী অধিকারের ব্যাপারে যি রেফারেন্স আনছেন এইভাবে চেরী পিক করলে ত ভাই সমস্যা। আমার যতটুকু আমার সুবিধার মনে হলো ততটুকু বল্লাম আড় যেটা ভালো লাগলোনা তা এবয়েড করলাম এটা তো ঠিক না।
চেরী পিকের একটা উদাহরন, পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে তারা অপবিত্র: এই অপিবত্র বলতে কি বুযানো হয়েছে?? পিরিয়ড চলাকালিন সময় কোন মহিলা ইসলামের কোন ফরয ইবাদত থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এর দুইটা কারন:
১) পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা অনকে সময় দূর্বল থাকে তাই ফরয ইবাদতের অতিরিক্ত চাপ দেয়া হয়নি। এমনকি এসময় সহবাস বা সেক্স ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২) জেনারেল নিয়ম: ইবাদতের মধ্য সবচেয়ে বড় ইবাদত হচ্ছে নামাজ। এবং আপনাকে নামাজের আগে অবশ্যই অযু করতে হবে। আর অযু নষ্ট হওয়ার করেনের মধ্যে একটা হচ্ছে শরীরের কোন অংশ হতে রক্ত বা পুজ বের হওয়া। আশা করি বুজতে পরেছেন।
পিরিয়ড চলাকালিন রান্নাবান্না বা বিছানা আলাদা করা, ঘরের বাহিরে থাকতে দেয়ার মত জুলুম ইসলাম ই প্রথম বন্ধ করেছে। আজকের পৃথিবীর অনেক উন্নত রাষ্ট্র এই উনিশ শতকের শেষ পর্যন্ত যা চলে আসছিলো।
আপনার উথ্বাপিত প্রত্যেকটা প্রশ্নের ই সমধান ইসলামে আছে। কারন আপনি যে প্রশ্ংুলো করেছেন এই গুলো অনেক পুরোনো এবং ইসলামিক স্খলাররা এই সকল প্রশ্নের সমাধান অনকে আগেই দিয়ে দিয়েছেন। পড়ালেখা করেন প্রত্যকেটার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা আপনি পাবেন।

৪| ০১ লা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: একজন ভারতীয় ব্যক্তির এই লেখাটা পড়লে বোঝা যাবে,কংগ্রেসী হিন্দুরা কতোটা ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক ছিল আর কেন ভারতীয় মুসলমানরা অলাদা রাষ্ট্র চাইতে বাধ্য হয়েছিল।

Even though Muslim League and Congress were against the Government of India Act 1935, yet it was implemented in the winter of 1937. Now, what lay before them was the task of persuading their concerned masses to support them in the upcoming elections. But Muslim League, which stood for separate electorates, was unfortunately divided in several factions owing to personal and ideological differences. Congress, on the other hand, was raising slogans of joint electorates. Congress also wanted Hindi to be declared as the official language in the Deva Nagri script, while Muslims were in favour of Urdu in Persian script to be officially declared as the national language of the Indian sub-continent.



The result of elections came as a huge shock to both the parties. Congress, who claimed to be representing 95% of the total Indian population, could not even secure 40% of the seats. It won almost 750 seats out of 1,771 in 8 out of 11 provinces. Its success was restricted to Hindu-majority provinces only. As for the results for the Muslim League, they were greatly disappointing. Out of 491 Muslim seats, it could only capture 106 and 26 of them were taken by Congress. Hence, the final success of the elections was named in the favour of Congress, which gained majority in Bihar, Orissa, Madras and U.P and other regions.



The Congress didn’t set up ministries for about four months demanding British government to not interfere in its legislative affairs. Discussions between them took place, and at last, the British agreed without making any formal amendment to the Government of India Act 1935. As a result of which, Congress ministries were formed in July 1937 but with bitter policy against Muslims: Hindi became the national language, Congress flag became the national flag, and Bande Matram became the national anthem. A strict prohibition was laid on cow slaughter and singing of Bande Matram, taken from the novel of Chandra Chatterji, was started in schools. Construction of new mosques was banned and Muslims were harassed while they offered prayers.



Twenty-seven months of Congress rule were characterized by rising political Hinduism, which seemed to be working only for the welfare of Hindu community and revenging the previous 700-year Muslim rule over them, as stated by some Congress leaders. Educational reforms were introduced that were purely anti-Muslim in spirit. The purpose of Warda Taleemi Scheme was to displace the idea of two nation theory from minds of Muslim children, while Vidya Mandar Scheme aimed at promoting Hindu culture by making Mandar education necessary at elementary level. Muslims were also kept back in economic circle. They were expelled from government offices and career opportunities were closed for them. Their trade and agriculture was a target of Hindu’s harm, and they couldn’t appeal justice which already had Hindu imprints upon it. As a result, and to nobody’s surprise but huge dismay, massive Hindu-Muslim riots took place.



Several reports such as “Pirpur Report”, “Muslim Sufferings under Congress Rule”, and “The Sharif Report” were issued by Muslims leaders to give word and voice to the injustice and cruelty they were receiving under Congress reign, and they found expression in newspapers.



When World War II started in 1939, the British were fighting against the Axis Powers. The Viceroy of India announced India’s involvement without consulting its representative political leaders. Congress asked for transfer of power in repayment of their cooperation in war, which the British government denied. As a result, Congress ministries resigned. Thus came to an end the nightmarish rule which had terrorized Muslim community beyond imagination. Quaid-i-Azam asked the Muslims to observe it as a ‘Day of Deliverance’ with peace and without any harmful intent towards any other nation. Prayers of thanksgiving and gratitude were offered and Muslims took a sigh of relief from the atrocities committed against them in the two-year Congress rule.


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.