নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have nothing left to offer you but the melancholy of my cheerless dreams...

তানভীর আকন্দ

I am the slave of my baptism. Parents, you have caused my misfortune, and you have caused your own... - Arthur Rimbaud

তানভীর আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবেলের মিনার

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

বাবেলের সেই মিনারের কথা মনে আসে— বুক অব জেনেসিস বা আদি হিব্রু বাইবেলে যার উল্লেখ আছে, একাদশ অধ্যায়ের শুরুর অংশে। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে এককালে একটা জাতিই বিচরণশীল ছিল। তাদের সকলের ভাষাও ছিল এক। পূর্বদিক বরাবর যাত্রা শুরু করে একসময় সিনার নামক এক স্থানে এসে পৌছালো তারা এবং সিনারের সমতল ভূমিতে বসবাস শুরু করল । একসময় তারা মাটি দিয়ে ইট বানানোর সীদ্ধান্ত নেয়, যাতে করে পাথরের বদলে ইট দিয়ে দালান নির্মাণ করতে পারে। তারপর সেই ইট দিয়ে তারা এক মিনার নির্মাণের সীদ্ধান্ত নেয়, সুউচ্চ সেই মিনার উঠে যাবে স্বর্গ অবধি, যাতে সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে না পড়ে, কোনওদিন বিক্ষিপ্ত না হয়ে তারা এর চূড়ায় বসবাস করতে পারে চিরকাল। ঈশ্বর যখন নেমে এলেন সেই শহরে এবং শহর ও এর মিনার দর্শন করলেন, তিনি ভাবলেন , এখন মানুষ একতাবদ্ধ, আর তাদের মধ্যে একটি ভাষাই বিরাজমান, আর এর ফলাফল এই, এ অবস্থায় তারা যা ইচ্ছা করবে তাই করতে পারবে, তাদের দমানো সম্ভব নয়। সুতরাং ঈশ্বর প্রথম মানুষের মধ্যে একাধিক ভাষার উদ্ভব ঘটালেন, যাতে করে তারা একে অপরকে বুঝতে না পারে এবং বিভক্ত হয়ে পড়ে, তাই ঘটল, আর তারপর সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল তারা, এবং অনির্মিত অবস্থায় ফেলে রেখে গেল বাবেলের সেই মিনার।



গল্পটার একটা সংস্করণ আমরা কোরআনেও পাই (সুরা আল মুমিন, আয়াত ৩৬, ৩৭), যদিও একটু ভিন্নরকম, ফেরাউন নির্দেশ দিলেন হামানকে এক সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণের, যাতে করে আকাশের পথে উঠে যেতে পারে সে আর চাক্ষুষ করতে পারে মুসার ঈশ্বরকে। যদিও সে প্রাসাদ নির্মিত হয়েছিল কিনা তা উল্লেখ করা নেই কোরআনে।

এ নিয়ে জি. কে. চেস্টারটনের একটা গল্প আছে, (The man who knew too much বইয়ে, endless well নামে সম্ভবত), এখানে ভিন্ন আরেকটা সংস্করণ পাই আমরা, সুলতান আলাদিন—প্রদীপের গল্পের সেই আলাদিন নয় অবশ্যই, তবে তারও কাজ করে দেবার জন্যে জিন বা জিন জাতীয় কিছু প্রাণী ছিল। সুলতান আলাদিন যখন নির্দেশ করলেন একটা সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণের যেটা উঠে যাবে তারকামণ্ডলী পার হয়ে স্বর্গের দিকে এমনকি পার হয়ে যাবে স্বর্গের সীমানাও, তখন ক্ষুব্ধ হলেন ঈশ্বর আর পৃথিবীতে প্রেরণ করলেন বজ্র, যেই বজ্র আঘাত করল সেই প্রাসাদে আর তা ভেঙে গুড়িয়ে দিল। সেখানে সৃষ্টি হল গর্ত, সেই গর্ত নেমে গেল নীচ থেকে আরও নীচে, তৈরি করল তলহীন এক কুয়ো, যেই কুয়োয় অনন্ত কাল ধরে পতিত হতে থাকল সুলতানের পাপিষ্ঠ আত্মা।

চেস্টারটনের এই গল্পের উৎস কোথায় জানি না, এ গল্পটাও বেশ চমৎকার। তবে মানুষের বিচিত্র ভাষা ও জাতিতে বিভক্ত হয়ে পড়ার বাইবেলের এই গল্পটাই মনে হয় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।


ছবি : The Tower of Babel by Pieter Bruegel the Elder, 1563

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মতিগতি ভালা না =p~

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

তানভীর আকন্দ বলেছেন: আরে কী বলেন এইগুলা :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.