![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am the slave of my baptism. Parents, you have caused my misfortune, and you have caused your own... - Arthur Rimbaud
কোরআনে একটি ঘটনা বর্ণিত আছে ( সূরা আল বাক্বারাহ্, আয়াত ২৫৯)। যেখানে একটি লোকের কথা বলা হয়, যে একটা বিধ্বস্ত জনপদের মাঝ দিয়ে যাবার সময় বলে উঠেছিল, মৃত্যুর পর কিভাবে আল্লাহ এদেরকে পুনরুজ্জীবিত করবেন? তখন আল্লাহ তাকে একশ বছর মৃত অবস্থায় রাখলো, এবং পুনরায় জীবনদান করল। তখন তাকে প্রশ্ন করা হল, কতদিন তুমি সুপ্ত অবস্থায় ছিলে? উত্তরে সে বলল, এক দিন অথবা তারও কিছু কম সময়। তখন তাকে জানানো হল, একদিন নয় বরং একশ বছর মৃত ছিল সে।
একইরকম আরেকটি ঘটনা আছে সুরা আল কাহফে, আসহাবে কাহফ, অর্থাৎ গুহাবাসীদের সম্পর্কে। স্বজাতি থেকে পৃথক হয়ে কয়েকজন যুবক যখন আল্লাহর উপাসনা শুরু করে, তখন তাদের উপর নির্দেশ আসে স্বজাতিকে ত্যাগ করে গুহায় আশ্রয় গ্রহণের। তারা তাই করে, সাথে ছিল একটি কুকুর। গুহায় তিনশ বছর ( এবং তারা তাদের গুহায় তিনশ বছর এবং অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত করেছে - আল কাহফ, আয়ত ২৫) নিদ্রিত অবস্থায় কাটানোর পর, যখন পুনরায় জাগ্রত হল তারা, এবং নিজেদের মনে প্রশ্ন আসল, কতোদিন ঘুমিয়ে ছিলো? কেউ কেউ উত্তর দিল একদিন অথবা তারও কিছু কম সময়। পরবর্তীতে খাবার কেনার জন্যে তাদের মধ্যে থেকে কোনও একজন লোকালয়ে যায় এবং জানতে পারে তাদের কাছে থাকা মুদ্রাগুলি আসলে তিনশ বছরের পুরনো।
মৃত্যু থেকে পুনরুজ্জীবিত করার আরেকটি ঘটনা বর্ণিত আছে সুরা আল বাক্বারাহ্ এর ২৬০ নম্বর আয়াতে। ইব্রাহিম যখন মৃতকে কিরূপে জীবিত করা হবে আল্লাহকে তা প্রদর্শন করতে বলল, আল্লহ তখন তাকে চারটি পাখি ধরে নিয়ে সেগুলোকে পোষ মানাবার নির্দেশ দিল। তারপর সেগুলোর দেহের বিভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্ন পাহাড়ে রেখে আসতে বলা হল, বলা হল, এরপর পাখিগুলিকে যখন ডাকা হবে দৌড়ে আসবে তারা।
সূরা বাক্বারায় আরেকটি ঘটনার উল্লেখ আছে, ৬৭ থেকে ৭৪ নম্বর আয়াতের মধ্যে। পুরো ঘটনা উদ্ধার করতে কোরআনের বাইরে যেতে হল, ঘটনাটা মোটামুটি এরকম, বনি ইসরাইল এর এক ধনী বৃদ্ধের কয়েজন ভ্রাতুষ্পুত্র ছিল যারা কিনা বৃদ্ধের অবর্তমানে তার সমস্ত সম্পত্তির মালিকানা পাবে। তাদের মধ্যে একজন কোনও একদিন রাতে বৃদ্ধকে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসে। পরদিন সকালে, যখন বৃদ্ধের নিহত হওয়ার ব্যাপারটা জানাজানি হয় ভাইদের একজন আরেকজনকে এ নিয়ে দোষারোপ করতে থাকে। এবং তখন তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়, আল্লাহর নবী মুসার নিকটে গিয়ে ব্যাপারটার মিমাংসা করবার জন্যে। তারা তাই করে। এবং মুসা তাদের একটা গরু জবাই করতে বলে। ব্যাপারটাকে মশকরা ভেবে এড়িয়ে যেতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত মুসার কথামত তারা গরু জবাই করে, কিন্তু কেমন গরু জবাই করতে হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয় এবং মুসাকে তারা বারবার প্রশ্ন করতে থাকে, এবং প্রতিবারই মুসা তাদেরকে গরুটির একটি করে বৈশিষ্ট্য বলে দেয়। অবশেষে গরুর সম্পূর্ণ বিবরণ যখন তারা পায় সে অনুযায়ী গরু জোগাড় করে আনে। বলা হয়ে থাকে মুসার শর্ত অনুযায়ী গরু খুঁজে পাওয়া সহজ ছিল না, তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল, কিন্তু গরুর যে মালিক সে গরু দিতে রাজি হল না, প্রথমে গরুর ওজনের সমান সোনা দেবার প্রস্তাব করল তারা, তাতেও রাজি না হলে গরুর ওজনের দশগুণ সোনা প্রদানের প্রস্তাব করলে রাজি হয়। গরু জবাই করা হল। এবং তখন মুসা জবাই করা গরুর একটা অংশ দিয়ে মৃত ব্যাক্তির গায়ে আঘাত করল আর মৃত ব্যাক্তিটি জীবিত হয়ে উঠল। তখন মুসা তাকে প্রশ্ন করল, তার হত্যাকারী সম্পর্কে এবং লোকটি তার উত্তর প্রদান করে আবারও মৃত অবস্থায় ফিরে গেল।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮
তানভীর আকন্দ বলেছেন: সেই বিতর্কে এখন যাচ্ছি না, তবে এই স্টোরিগুলো বিব্লিক্যাল সোর্সেও পাওয়া যায়, কোরআনে কিছুটা এদিক ওদিক হয়েছে। তবে মিথলজিক্যাল স্টোরিগুলি বরাবরই ইন্টারেস্টিং লাগে, সেটা গ্রিক মিথলজি হোক বা ভারতীয় কিংবা অ্যারাবিয়ান...
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
মিনহাজ শুভ বলেছেন: আপনি কি ব্যাপারটার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? নাকি ব্যাপারটার প্রচার করছেন। মানুষ যে ঘটনাকে বোঝেনা তাকেই আধ্যাত্মিক হিসাবে দেখে। আর যদি বুঝতেই পারেন তাও প্রশ্ন থেকেই যাবে। এটা আসলে দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। যেকোন ব্যাপারই কোন না কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতেই। কিন্তু আপনার ব্যাপারটা বুঝলাম না।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
তানভীর আকন্দ বলেছেন: আমি কোনও কিছুই করতেছি না। পিউরলি লিটারারি সেন্স থেকেই দেখতেছি। আপনি যখন মহাভারত পড়বেন, ধর্মগ্রন্থ হিসেবে সেটা এক ব্যাপার। আর যখন সেটাকে একটা এপিক হিসেবে দেখবেন সেটা আরেক ব্যাপার। যৌক্তিকতা-অযৌক্তিকতা সেখানে তুচ্ছ। আর মিথের ব্যাপারে যদি বলেন, আজকে আপনি যা করছেন, রাস্তা দিয়ে হেটে বেড়াচ্ছে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন, সেটাই হাজার বছর পরে মিথ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বছরের পর বছর ধরে, মুখে মুখে প্রচলিত হতে হতে সেটা হয়তো আর আজকের মতো থাকবে না, সেটা খুঁজতে যাওয়ারও প্রয়োজন দেখি না, হয়তো নৃতাত্ত্বিকগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এ ব্যাপারে একটা চমৎকার বই পড়েছিলাম ক্লদ লেভি ত্রস এর মিথ এন্ড মিনিং নামে। সে যাই হোক, মুখে মুখে বিবর্তিত হতে হতে যে অবস্থায়ই যাক, কেবলমাত্র এভাবে বিবর্তিত হয়েছে বলেইতো এর একটা সাহিত্যিক মূল্য তৈরি হবে। সেটাই দেখতে চাচ্ছি আমি...
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আদি সব রূপকথাকে মানুষ বাস্তব হিসেবে নিয়েছে।