![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্টুডেন্ট লাইফ শেষ হবার আগেই জব পেয়ে যাওয়ায় জবকে অনেক সহজ মনে হইতো, আর তখন মহা আগ্রহে এবং উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষা করেছিলাম কবে ভিজিটিং কার্ড মানে লোক-দেখানি কার্ড পাবো!
যাইহোক আমার প্রথম অফিস ছিল এক পাকিস্তানী সফটওয়্যার ফার্ম। জীবনের প্রথম কার্ড তাও নিজ নামের! তাই কার্ড পাওয়া মাত্র ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে ক্লাস করতে গিয়ে বন্ধুদের মাঝে বিতরণ করলাম! (কি ভুলটাই না করছিলাম) বন্ধুরা সবাই কার্ডটা নিয়ে দিলো বিশাল দাঁত কেল্যানি! মানেটা একটুপর’ই টের পাইলাম। “পাকিস্তানী জঙ্গিবাদ” “পাকিস্তানের দালাল”, আমার নামের পাশে “রাজাকার” “আল-বদর” লিখে কিংবা “কার্ডের কোনায় পাকিস্তানের পতাকা এঁকে খিক-খিক হাসি! পোলাপাইন মহা-উৎসাহে আমার থেকে আরও কার্ড নিল! আমিও মহা খুশি, কিন্তু আমি আসল ব্যাপার টের পাইলাম আরও পরে!
সবগুলা কার্ড আমার কাছেই একটু পর ব্যাক আসলো!
এরপর আর কাউরে সহজে আর কার্ড দেই নাই! বিশেষঃত বন্ধু মহলে।
যাইহোক, আর কিছুদিন পর অই জবটা ছেড়ে দেই। তাই ৫ বক্স (৫ বক্স’ই কার্ড দিছিল, বিলাইতে পারছিলাম মনে হয় গোটা বিশেক মাত্র!) কার্ডই বাসায় নিয়ে এলাম! বাশার সব ভাই-বোন তো মহা খুশি! ওদের ঝালমুড়ি খাবার জন্য কার্ডের অভাব হবে না ভেবে!
সেই সময়ে আমরা মাছ পোষা শুরু করছিলাম! একদিন বাইরে থেকে এসে দেখি, আমার কার্ড দিয়ে মাছরে খাওয়াচ্ছে! আবার মাছের ইয়ে তুলতে এই কার্ড এর রোজকার ব্যাবহার আমাকে বাকশুন্য করে দিতো এক একদিন
!
আর এইবার নতুন কার্ড পেয়ে বাসাতেই আনি নাই! ওগুলা অফিসের ড্রয়ারের শোভা বর্ধন করুক!
শেষ কথাঃ সেই “পাকিস্তানী জঙ্গি” লেখা কার্ডগুলো আজ’ও যত্ন নিয়ে রেখে দিয়েছি! প্রিয় স্মৃতি হিসাবে!
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১০
স্বপ্নছায় বলেছেন: বাইচ্যা গেছেন
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪২
আন্দোলন বলেছেন: ভিসিটিং কার্ড তো হরলিচ্ক্স , মালটোভা আর মুড়ি খাওয়ার জন্যই :!>
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
স্বপ্নছায় বলেছেন: আপনার কার্ড হউক আর কেউ চোখের সামনে সেইটা দিয়ে মুড়ি খাক, তখন দেখবেন হার্ট বারনিং কারে কয়!
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২৩
কালোপরী বলেছেন: আপনার বন্ধুরা ভালই করসে
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
স্বপ্নছায় বলেছেন: এইড্যা কি কইলেন আপা :'( :'(
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৭
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: আমার এখনো ভিজিটিং কার্ড হবার টাইম আসে নাই।