নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়েদ০৯

যে যাই বলুক, তাতে অামার মাথা ব্যাথা নেই।

সৈয়দ ছায়েদ অাহমদ

অামি একজন সাধারন পাবিলক মানে ধুম পাবলিক!!

সৈয়দ ছায়েদ অাহমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রীমঙ্গল উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

০৮ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৮







ঢাকা নিউজ 24ডট কম, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার (৭ জুলাই ২০১১)



শ্রীমঙ্গলের উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির ৫ জন সদস্য সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার নিয়োগ বিধি মোতাবেক হয়নি দাবি করে এ নিয়োগ বাতিল করার আবেদন জানিয়ে গত ২ জুলাই জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।



বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ৫ সদস্যের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য থাকার পর গত ১৫ জুন শুন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগে ইন্টারভিউ বোর্ডে সরকারি বিধি মোতাবেক ডিজির প্রতিনিধি জেলার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সদস্য হিসেবে নিয়োগের বিধান থাকলেও উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ইন্টারভিউ বোর্ডে শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়। যেখানে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের চেয়ে সিনিয়র বা সমমানের শিক্ষক নিয়োগ কমিটিতে থাকার কথা সেখানে একজন সিনিয়র শিক্ষককে রাখা নিয়োগ বিধির পরিপন্থী। যে শিক্ষককে উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হয়েছে অর্থাৎ কবিতা রানী দাস চুনারুঘাট পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের একজন ভোকেশনাল ইন্সট্রাক্টর। সে হিসেবে তাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনের পরিপন্থী বলে অভিযোগ করা হয়। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা হতে হলে অবশ্যই বিএ, বিএড, এমএ, এমএড এং সহকারি শিক্ষক হিসেবে ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু কবিতা রানী দাস চুনারুঘাট পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে একজন ভোকেশনাল ইন্সট্রাক্টার হিসেবে এমপিও ভূক্ত হন। এছাড়া তিনি চুনারুঘাট পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হতে কোন ধরনের রিলিজ লেটার সংযুক্ত না করেই গত ১৬ জুন শ্রীমঙ্গল উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন।



অভিযোগ পাওয়া গেছে, ইন্টারভিউ গ্রহনের দিনে মৌখিক পরীক্ষার সময় ডিজির প্রতিনিধি শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মিসেস আরতী রানী দেব ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দ্বীজেন্দ্র লাল রায় মিলে জোগসাজেসে নিয়োগ বোর্ডের কোন সদস্যদের সাথে কোন ধরনের আলাপ আলোচনা ব্যতিরেকে তার বাসা থেকে কাগজে লিখে আনা প্রশ্ন করেন নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা কবিতা রানী দাসকে। তিনি একাই প্রশ্ন করেন এবং বোর্ডের বাকি পাঁচ সদস্যকে কোন ধরনের প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি বলে অভিযোগ করা হয়।



শ্রীমঙ্গল উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিজেন্দ্র লাল রায় কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিজির প্রতিনিধি শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মিসেস আরতী রানী দেব জানান, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের সংবাদ তিনি পাননি। তিনি জানান সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও সচ্ছ ভাবে উপস্থিত ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যের সবার মতামত নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরী করেছেন এবং সবার সম্মতিতে তাকে নিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এর প্রমান হিসাবে উপস্থিত সবার স্বাক্ষর যুক্ত কাগজ পত্র রক্ষিত আছে বলে দাবি করেন তিনি। এতে পক্ষপাতিত্ব বা অনিয়ম করা হয়নি এবং সম্পন্ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে তাকে নিযোগ দেওয়া হয়েছে।



এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ৫ সদস্য স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। জানাযায়, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষিকা কবিতা রানী দাস শ্রীমঙ্গলের সরকার দলীয় সর্মথীত কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তির নিকট আত্মীয়। ঢাকা নিউজ 24ডট কম/প্রতিনিধি/বিজিকে.











মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.