নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়েদ০৯

যে যাই বলুক, তাতে অামার মাথা ব্যাথা নেই।

সৈয়দ ছায়েদ অাহমদ

অামি একজন সাধারন পাবিলক মানে ধুম পাবলিক!!

সৈয়দ ছায়েদ অাহমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একবার জেলখানা থেকে বের করে দেখস না, সালাহউদ্দিন কাদেরের হুঙ্কার

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন বার্তা ডটকম

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে করা চার আবেদনের শুনানিতে ট্রাইব্যুনালে তীব্র হট্টগোল হয়েছে।



মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।



আবেদনের শুনানিকালে দফায় দফায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। হট্টগোলের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের দুই-তিনজন আইনজীবী আসামির কাঠগড়ায় থাকা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দিকে তেড়ে যান। অন্যদিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীরাও তাদের দিকে তেড়ে যান।



বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য বিচারপতিরা বিচারপতি মো. নিজামুল হকের স্কাইপ সংলাপের ব্যাপারে অবগত ছিলেন কিনা-তা জানতে চেয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি হয় প্রথমে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।



তিনি বলেন, “ট্রাইব্যুনাল স্বাধীনভাবে কাজ করেনি। বিচারপতি মো. নিজামুল হক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আইন প্রতিমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক আয়োজন করে দেয়ার কথা বলেছেন। বিচারপতি নিজামুল হককে বলা হয়েছে, তিনটা রায় দেন। আমরা আপনাকে আপিল বিভাগে নিয়ে আসবো।”



এসময় ক্ষুদ্ধ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দাঁড়িয়ে বলেন,“ট্রাইব্যুনালের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার জন্যই এসব আবেদন করা হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না।”



এসময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী দাঁড়িয়ে ক্ষুদ্ধ কন্ঠে বলেন, “অবশ্যই এসব শুনতে হবে। এটাকে কি গণআদালত বানাতে এসেছেন। সতিত্বের কোনো পার্সেন্টেজ নেই। বলা যায় না কারো এতো পার্সেন্ট সতিত্ব আছে, এতো পার্সেন্ট নেই।”



এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কিছু সময় হৈচৈ চলে।



হৈচৈয়ের মধ্যে সালাহউদ্দিন কাদের বলেন, “স্কাইপ সংলাপ প্রকাশ না হলে এতোদিনে তো সাঈদী সাহেবের ফাঁসি হয়ে যেতো। আমাকেও ফাঁসি দিয়ে দিক। সমস্যা তো নেই। ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।” এসময় ট্রাইব্যুনাল বিরতিতে যায়।



২টা ২০ মিনিটের দিকে আবারো ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, “সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী আদালতে চিৎকার করছেন, বিচার কার্যক্রম বিঘ্নিত করছেন। তাই তাকে এজলাসে আনা হবে না।”



এসময় ব্যারিস্টার ফখরুল ওই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে নিশ্চয়তা দেন। পরে সালাহউদ্দিন কাদেরকে আবার এজলাসে আনা হয়।



এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দাঁড়িয়ে বলেন, “যে আবেদন করা হয়েছে, তা আদালত অবমাননার শামিল।”



এসময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানও বলেন, “আমরা ব্যবস্থা নেব।”



তিনি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আবেদনে উষ্মা প্রকাশ করে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, “আপনিতো এ আবেদন ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে করেছেন। আপনি তো আমাদের সার্টিফিকেট চাচ্ছেন।”



জবাবে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বলেন, “বিচার বিভাগে স্ক্যান্ডাল বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। ক্যাসেট কেলেঙ্কারি মানবজমিনে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে বিচারপতি মো. নিজামুল হক যতবড় কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছেন এত বড় কেলেঙ্কারি আর কখনও ঘটেনি।”



আবারও ট্রাইব্যুনাল আবেদনের ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করলে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী দাঁড়িয়ে বলেন, “আপনারা আমার ওপর রাগ করেন, আমার আইনজীবীদের ওপর রাগ কইরেন না। কারণ তারা আমার নির্দেশেই এ আবেদন করেছেন।”



তিনি বলেন, “নিষ্পাপ মনে এ আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতিদের পক্ষে এ আবেদন করা হয়েছে।”



জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “কোনো আইনজীবী এ ধরনের আবেদন করতে পারেন না। আবেদনটি খারিজ হওয়া উচিত। একইসঙ্গে আবেদনকারীর আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল হওয়াও প্রয়োজন।”





এরপর আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি হয়। ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম এ আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেন, “বিচারক জহির আহমেদকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বিচারে হস্তক্ষেপ করেছেন। একইসঙ্গে স্কাইপ সংলাপ বিচারপতি নিজামুল হকের কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনে তাকে এ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হোক।”



জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “এসব আবেদন আদালত অবমাননার শামিল। এ সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালে এটর্নি জেনারেল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি চুপ থাকুন।” তখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “আপনি চুপ।”



এ সময় উভয়পক্ষে হট্টগোল বেধে যায়। সালাহউদ্দিন কাদের এবং অ্যাটর্নি জেনারেল উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন। ট্রাইব্যুনাল কক্ষে পুলিশও প্রবেশ করে। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কামরুল হাসান খান আসলামসহ রাষ্ট্রপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দিকে তেড়ে যান। সালাহউদ্দিন কাদেরের আইনজীবী জয়নাল আবেদীনসহ কয়েকজন আসলামের দিকে তেড়ে যান।



কয়েক মিনিট পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে সালাহউদ্দিন কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন এহসানুল হক হেনা।



এর আগে শুনানিতে অংশ নিয়ে সালাহউদ্দিন কাদের বলেন, “ফাঁসিতো লিখেই রেখেছেন। বেলজিয়াম থেকে রায় এসে গেছে। আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো অভিযোগ নেই। অথচ প্রতিদিন পত্রিকায় লেখা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নাকি আমার বিচার হচ্ছে।”



মামলার কার্যক্রম শেষে তিনি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশীয় সাক্ষী পাওয়া গিয়েছিল। শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নূর আলী, আজম জে চৌধুরীরা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। সেইসব মামলার কী হলো?”



সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “এতো যখন তেড়ে আসস ক্যান, জেল খানা থেকে একবার বের করে দেখস না।”



বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।



নতুন বার্তা/এজেখান/আরকে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

আঃ রাজ্জাক রাজু বলেছেন: ভয় পাইছি

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৪

রিওমারে বলেছেন: আওয়ামীলিগের সুরঞ্জিতআর বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গায়ে মনে হয় শুয়োরের রক্ত আছে। এদের আচরনে সর্বদাই তা প্রমান করে।।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

িশশু দর্পন বলেছেন: ওর কিচ্ছু হইবো না । হালা একটা গাওরা মাল ।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৬

মাসু২০০৯ বলেছেন: এই সেই দৌর সালাউদ্দিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.