![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দামে কম মানে ভাল, বাংলাদেশী ডাক্তার
আমার মোবাইলে তোলা প্যানারোমা ডি সেন্ট মার্টিন।
সিলেট থেকে ফিরেই মনে মনে ঠিক করেছিলাম রোজার পরে আবার কোথাও বেড়াতে যাব। আমার কপালটাই এমন ভাল যে ১৫-১৬ রোজার দিকে যখন সিলেট ভ্রমনের সফরসঙ্গী ও আমার ছোট ভাই ডাঃ সাগর বললো যে আমি সেন্ট মার্টিন যাব কিনা, তখন কোন কিছু না ভেবেই বলে দিলাম "যাব"। 'যাব' কি মতলব 'যাবই-যাব'
যারা যারা যেতে চান তাদের সুবিধার জন্য আমার এই পোস্ট। আজ পড়ুন তিন পর্বের "ভ্রমন সেন্ট মার্টিন" এর প্রথম পর্ব।
মজার ব্যপার হলো, পুরো ম্যানেজমেন্টে আমাকে কিছুই করতে হয় নাই, ছোট ভাইগুলি আমাকে কিছুই করতে দেয় নাই। আমি সেরাম আরাম করছি, খাইছি-দাইছি-ঘুমাইছি আর হেগেছি, বদের হাড্ডি পুলাপানগুলা এর জন্য আমার নাম দিলো গ্রীক দেবতার নামানুসারে "হাগলেজিয়াস"
। যা হোক, কাহিনী হলো, যাওয়ার কথা ছিলো ১০-১২ জনের কিন্তু এজইউজুয়াল লাষ্ট মুহুর্তে যা হয় আরকি, এর পিছনে লোমফোট হইছে, ওর পাইলসের ব্যথা, তার বাতজ্বর ইত্যাদি ইত্যাদির চিপায় পরে শেষে রইলো বাকি ৫, আমি, সাগর, অভি, সাদ ও সুজন। চার চারটা পুরান ঢাকাইয়ার সাথে আমি একজন নাদান নতুন ঢাকাইয়া
ঈদের পর দিন রাতে আমারা রওনা দিলাম। বাসে যাব, টিকেট আগেই কাটা ছিলো (লাষ্ট মুহুর্তের টিকেট ), টিকেট কাটার দায়িত্বে ছিল অভি। ও মোটামুটি ভাল একটা গাড়িই ঠিক করেছিল, গাড়ির নাম রিলাক্স!!! নামের সাথে কি অসাধারন মিল তার কাজে
। সারা রাস্তা রিলাক্সেই চলছে
। গাড়ি ছাড়ার কথা ছিলো ৮ টায় কিন্তুর কম্পানীর কুদরতে গাড়ি ছাড়লো রাত ১০টায় (মাএ দুই ঘন্টা লেট
) পিছনের সিটে দুইটা সেরাম জুটি সারা রাস্তায় ফ্রি বিনোদন দেওয়াতে গাড়ির কোম্পানীর উপর বেশিক্ষন রেগে থাকতে পারলাম না।
পিছনের টায়ারেও যদি কচকচ শব্দ হয় তাও পুরা গাড়ির সব লুল পেসেন্জার ঘাড় ঘুরাইয়া পিছনে তাকায়।
জুটি দুইটা কক্সবাজার নেমে যাওয়ার পর আমরা পরলাম উথালপাতাল ডিগবাজীর ভিতর। রাস্তাও মাশাল্লা, দুনিয়ার সবচেয়ে ক্লাসিক রোলার কোস্টারও এর সামনে কিছুই না। এক একবার ঝাকি খাইয়া আসমানে ঘুরে আসা যায়। বুঝ অবস্থা। এর ভিতর সুজন গান ধরলো, "এই পথ যদি শেষ না হয় ..."। আমি মনে মনে বলি, আর বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারবো না, ছেড়ে দিব। যাক বহু কষ্টে শেষের আড়াই ঘন্টা শেষ হলো। আমরা এখন টেকনাফ। বাস থেকে নেমেই আমি তখন বাথরুমের খোজ THE SEARCH ...
আমাদের গাড়ি টেকনাফ পৌছালো সকাল ৭:৩০ মিনিটে। সেখান থেকে শিপে সেন্ট মার্টিন। বাজেটের টানাটানিতে আমাদের কপালে সিট জুটলো না, ফলাফল স্ট্যান্ডিং জার্নি বাই শিপ ফর্ম টেকনাফ টু সেন্ট মার্টিন।
কেয়ারী সিন্দাবাদের ডেকে আমি, অভি ও সাগর।
অভি,সাগর,সুজন ও সাদ ... আরে আমি কই ??? আমার ছবি নাই কেন ???
তবে নাফ নদীর দুই পাড়ের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য সাথে সাগরের উথালি-পাথালি ঢেও, দুরের পাহাড়সারিতে মেঘের আনাগোনা দেখতে দেখতে সময়টা ভালই কেটে যাবে।
দুরে কিন্তু বার্মা।
আর আপুরা তো আছেই সারাটা রাস্তায় শুধু ক্লিক আর ক্লিক, কোনটা রেখে কোনটা ধরে রাখবেন তা নিয়ে আপনি পরবেন দ্বিধা THE CONFUSION
অবশেষে বেলা ১২:৩০ মিনিটের দিকে আমরা পৌছে গেলাম আমাদের ডেস্টিনেশন সেন্ট মার্টিনে। এখানে বেশ অনেক গুলো কটেজ, মোটেল, হোটেল ও রিসোর্ট আছে। বলা যায় পুরো দ্বীপ জুড়েই রিসোর্টের ছড়াছড়ি। (দ্বীপটা আর দ্বীপ নাই, বাঙ্গালী বুঝলো না কিছুই
) অফ সিজন-সিজনাল ভেদে রুম রেট উঠা নামা করে। আমাদের বুকিং ছিলো হোটেল সিটিবি তে। কিন্তু যেয়ে শুনি ওদের জেনারেটর নষ্ট আর সিটিবিতে যাওয়ার রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। তাই সিটিবি বন্ধ। ফলে আমাদের থাকার ব্যবস্থা তারা "হোটেল সেন্ডসোরে" করে দিয়েছে। কিন্তু তারা সিটিবি পুরো হোটেলটা আমাদের ব্যবহার করতে দিলো। একটা কথা বলি, আমরা ৪ দিন ৩ রাত ছিলাম, সেন্ট মার্টিনের প্রতিটা জায়গায় আমরা গেছি, প্রতিটা হোটেলে আমরা ঘুরেছি কিন্তু ট্রাস্ট মি ম্যান, সিটিবি ইজ দি বেস্ট হোটেল ইন সেন্ট মার্টিন। হুমায়ন আহাম্মেদের সমুদ্র বিলাসের পাশেরটাই সিটিবি। এর ভিউটা অসাধারন, এর লোকেশনটা অসাধারন, এর সাথে লাগোয়া বিচটা অসাধারন এবং যেইটার কথা না বললে আমি আমার ভুড়িটাকে অপমান করবো সেইটা হলো এর বাবুর্চিটা অসাধারন টু দা পাওয়ার "যার যত দিতে মন চায়"। নাম আলমগীর (পুরো দ্বীপেই আলমগীরের ছড়াছড়ি,সবচেয়ে কমন নাম এইটা, যারেই জিগাই নাম কি উত্তর আসে আলমগীর, মনে হয় যেন, বাবার নাম আলমগীর, নিজের নামও আলমগীর, পুলার নামও আলমগীর, নাতির নামও আলমগীর,এই অবস্থা)। ওর বার-বি-কিউ এর স্বাদ মুখে লেগে আছে এখনো। সুস্বাদু সুভাসেই আপনি তারছেড়া THE MAD
আবার ঘাটে ফিরে যাই। শিপ থেকে নেমে প্রথম যে কাজটা আমরা করেছি তা হলো খাওয়া। সেই আগের রাতে মাএ ৬টা রুটি আর দুই প্লেট গরুর ভুনা সাথে সবজি জুটছিলো তারপর আর কিছু জুটে নাই, ব্যাসম্ভব খিদা লাগছিলো। সবচেয়ে কাছের রেস্টুরেন্টে ঢুকে গনহারে খাবারের অডার্র দিয়ে বিল দেখে চোখ কপাল ছাড়িয়ে আসমানে। ঠকা খেয়ে শিখলাম। এরপর আর ঐ রেস্টুরেন্টে খাই নাই। নগদে ১৫০০ টাকা গচ্চা দিয়া আমাদের অবস্থা তখন "এইটা কি হইলো" FUCK YOU MAN
হোটেলে ব্যাগ ব্যাগেজ রেখে দৌড়ে চলে গেলাম বিচে। এই বিচের পাশেই হোটেল ''প্রাসাদ প্যারাডাইস'' ও হোটেল প্রিন্স হ্যাভেন। বিচের পাশেই পাবেন টাটকা নারিকেল ও ফ্রাই হতে থাকা কাকড়া, চিংড়ি ও লবস্টার। দাম খুবই সস্তা।
নারিকেল জিঞ্জিরার নারিকেলের শাস।
এতো পান করছে যে বসে থাকতে কষ্ট হইতেছে। আরেকটা লাগবে সুজন ???
আমরা নারিকেল খাইলাম প্রতিটা ১৫/২০/২৫ টাকা করে (কে বলে "সাইজ ডাজন্ট ম্যটার" ) তারপর দাপাদাপি, সাগরের ঢেওয়ে গা ভাসিয়ে দেওয়া, পানির সাথে মিতালি, বিচ ফুটবল ...
বিচ ফুটবল। ওই দুই পিচ্চি হইলো খাম্বা মানে গোল পোস্ট
টোটাল টাইমপাস THE FUN UNLIMITED
বিকালে পানি থেকে উঠে হোটেলে ফিরেই দিলাম ঘুম। মরার মত ঘুমালাম রাত ১০টা পর্যন্ত। হোটেল আল বাহারে (হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইসের আগে পরবে) ছুরি,লাক্ষা ও চিংড়ি দিয়ে সারলাম ডিনার। সেখান থেকে সবাই মিলে হাটতে হাটতে গোরালি সমান পানি ভেঙ্গে গেলাম সিটিবিতে। হোটেলের কেয়ারটেকার আমাদের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেল। আমরা সিটিবির সাদে ঢেরা বসালাম রাতের তারা ভরা আকাশ দেখবো বলে। কিন্তু ব্যাডলাক, আকাশ ছিলো মেঘলা, রাতের তারা আর দেখা হলো না। এর ভিতর সাগর গান ধরলো "ও আমার দেশের মাটি, তোমার বুকে ঠেকাই মাথা ..."। পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বিরামহীন ঢেওয়ের আছড়ে পরার তুলনাহীন শব্দ। এর সাথে কোন কিছুর তুলনা চলে না। সারা রাত আমরা সিটিবির সাদে সাগরের ও সাগরের গান শুনে কাটিয়ে দিলাম যেখানে এক সাগর গান গাইতে গাইতে ঘুমিয়ে পড়লো আর এক সাগরের কোন ক্লান্তি নাই ... সে বিরামহীন ... সেই সাগর অনন্ত ... আমি ফিলিং স্বর্গ THE PARADISE LOST
ফজরের আজান দিলো মসজিদে। তখন কেন জানি না পুরো দ্বীপের সব কুকুর একসাথে চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করলো। আমি সিরিয়াসলি ভয় পাইছিলাম। এবং জীবনের প্রথম আমি আবিস্কার করলাম যে আমি ভূত-প্রেত-খারাপ বাতাসে বিশ্বাস করি। যতক্ষন আজান হলো ততক্ষনই কুকুরগুলো চিৎকার করলো। এখানে বলে নেই, মাএ ৩ কিমি লম্বা একটা দ্বীপের প্রতি কদমে আপনি ৪-৫ করে কুকুর দেখতে পাবেন। ভাদ্র মাসে যে কি অবস্থা হয় আল্লাহই জানে। একটা দুইটা কুকুর না, শয়ে শয়ে কুকুর। প্রতি বছরে গড়ে ১২০০-১৫০০ কুকুর মেরে দ্বীপের উত্তর প্রান্তে পুতে ফেলা হয়।
সিটিবির সাদে বসে জীবনের প্রথম সকাল হওয়া দেখলাম।
এর আগেও সকাল হতে দেখেছি কিন্তু এমন সকাল আমার জীবনে এই প্রথমই আসলো। চারিদিকে সাগর মাঝখানে ছোট্ট একটা দ্বীপ। সে দ্বীপে মানুষ মাএ ৭ হাজার। যারা খুবই সহজ-সরল। যাদের লোভ লালসা খুবই কম, যারা ইসলামী অনুশাসনের ভিতর বড় হয়, যাদের জীবন ধারায় ইসলাম মিশে আছে, সেখানে আমি মাটি থেকে ৩৫ ফুট উপরে বসে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সকাল হওয়া দেখলাম ... এর কোন তুলনা হয় না ... এর চেয়ে সুন্দর কিছু হতে পারে না ... লাখ টাকা দিয়েও এই সৌন্দর্য বিদেশে গিয়ে পাবেন না ... AGAIN THE PARADISE LOST
বিচ থেকে সূর্য্যোদয় দেখবো বলে আমরা সিটিবি থেকে নেমে বিচে চলে আসলাম। সকালের প্রথম আলোয় গা ভাসিয়ে, সাগরের পানিতে পা ভিজিয়ে হাটতে হাটতে আমরা ফিরলাম আমাদের রুমে। ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিয়েই টের পেলাম... গরম ... কারেন্ট এসি কোনটাই নাই ... কিন্তু ঘুম হলো মরার মত ... (চলবে)
তথ্য:-
১) সেন্টমার্টিন আসবেন আর সানস্কিন লোশন আনবেন না, এ হতে পারে না। আমাদের মত ভুল করলে অবশ্য নতুন চামড়া পাবেন। দয়া করে লোশন সাথে আনবেন। জ্বলে রে ... যেখানে ঘষা লাগে সেখানেই জ্বলে ... আমার আম্মা আমাকে দেখে যা বললো তার মানে দাড়ায়, "ওভেন থেকে বের করে আনা ফ্রাই" হয়ে গেছি আমি আর সাগর।
২) ৩-৪ দিন থাকার ইচ্ছা থাকলে দুই লিটারের ২টা পানির বোতল সাথে আনবেন। স্থানীয় পানি আমার পেটে কোন ভাবেই হজম হলো না, ফলাফল "হাগাজিয়াস" টাইটেল।
৩) পানি শেষ হয়ে গেলে কোন টেনশন করবেন না। কারন আপনি আছেন নারিকেল জিঞ্জিরাতে। ৩টা ডাব কিনেন ৪ লিটার প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ পরিষ্কার মিষ্টি পানি পেয়ে যাবেন।
৪) হাগাজিয়াস স্পেশাল টিপস- টিস্যু রাখবেন সাথে। বিপদে কাজে দিবে।
৫) আপনার ডিএসএলআর এর দাম কত? ২ লাক্ষ ??? মানিব্যাগে কত আছে, ৫০ হাজার??? সাথে আরও কিছু দামি দামি জিনিসপত্র??? কই রাখবেন এসব??? সাগরে নামছেন না চুরি যাওয়ার ভয়ে?? ভুলে যান যে আপনি ঢাকার মানুষ ম্যান, আপনি এখন সেন্টমার্টিনে। রাস্তা থেকে একটা ১০-১২ বছরের বাচ্চাকে সাথে নিয়ে আসেন। ওর কাছে সব কিছু রেখে ঝাপিয়ে পরুন সাগরে। ধুমাইয়া ঝাপান। ভুলে যান যে কিছু দামীদামী জিনিসপত্র রেখে আসছেন তীরে। আপনি যদি ভুলেও যান যে আপনি কাওকে কিছু দিয়ে আসছিলেন, অসুবিধা নাই, ঐ বাচ্চাটি আপনাকে ঠিকই খুজে বের করে সব ফেরত দিয়ে আসবে। একটা টাকা সরাবে না। বিনিময়ে আপনি যা দিবেন তা-ই নিবে। ৪ দিন টানা পরিক্ষিত। এতোটাই সৎ এখানকার মানুষ।
৬) এখানকার স্থানীয় কোন মেয়েকে আপনি রাস্তায় দেখবেন না। সিরিয়াসলি একটা মেয়েও দেখিনি। শুধু যারা বাইরে থেকে আসে তারাই। তারাই বা কম কিসের ??? একটু রয়ে সয়ে কি চলা যায় না??? অনুরোধ রইলো এখানকার সামাজিক ব্যবস্থাকে সম্মান করার জন্য। সম্মানজনক কাপড় পরিধান করুন।
৭) ফাস্টএইড বক্সটা সাথে রাখবেন প্লিজ। কাজে দিবে।
৮) একটি হাসপাতাল আছে এখানে কিন্তু ডাক্তার নাই।
৯) কোস্টগার্ড পুলিশ আছে ২২ জন। ক্রাইম জিরো বলা যায় এলাকাটিকে।
১০) দ্বীপটিতে তিনটি মাদ্রাসা, একটি প্রাইমারি স্কুল ও একটি ইসলামি রিসার্স সেন্টার আছে।
১১) টেকনাফ থেকে আপনি ট্রলারে করেও আসতে পারেন। আর যদি "মানি ডাজন্ট ম্যটার" হয়ে থাকে তাহলে স্পিডবোট কেন নয় ???(চলে না বলে )
১২) যত পারেন মাছ খান। সাগরপারের দ্বীপে এসে মুরগি খুজে তাদের দ্বীপে যাওয়াই উচিত না। এমন আবালের সংখ্যা কম না।
১৩) ভুলেও প্যাকেজে যাবেন না প্লিজ। সেন্ট মার্টিনের ১০০ ভাগের ১ ভাগও দেখতে পারবেন না। তার চেয়ে সময় হাতে নিয়ে নিজে চলে যান। খুবই ভাল লাগবে, গ্যারান্টি দিলাম, না লাগলে নগদে পয়সা ফেরত। (মানসিক ভাবে অসুস্থরা এর আওতামুক্ত)
১৪) তথ্য:- টিকেট ননএসি ১১০০ টাকা, এসি ১৮০০টাকা, ঢাকা-টেকনাফ। গাড়ি মাঝে দুইবার থামে।
১৫) বেসরকারি কম্পানি 'কেয়ারী' এর দুইটা শিপ চলে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে, কেয়ারী সিনবাদ (ভাড়া ৫৫০ টাকা, আপ-ডাউন, খুব বেশি ভির থাকলে দালালই ভরসা,৫০ টাকা বেশি লাগবে।) ও কেয়ারী ক্রুজ (১০০০-১২০০-১৪০০ টাকা, আপ-ডাউন, অফ সিজনে বন্ধ থাকে)। টিকেট কাটার সময়ই কনফার্ম করবেন আপনি কবে ফিরছেন, তাহলে আপনি সিট পাবেন। তাছাড়া সিট পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। লিখিয়ে নিবেন টিকেটে যে আপনার একটা সিট আছে। আমরা যেহেতু অফ সিজনে (ঈদের পরদিন গেছি বলে ভির ছিলো কিন্তু অন সিজনের চেয়ে ভির কম) গিয়েছি সেহেতু যাত্রী ছিলো কম তাই এখানেও লেট। শিপ ছাড়লো ১০ টায়। অন্যান্য দিন টেকনাফ থেকে ছাড়ে ৯ টায়, আর সেন্ট মার্টিন থেকে বেলা ৩টায়।
১৬) হোটেল সেন্ডসোরের এক রাতের সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৫০০/১০০০/১৫০০/২০০০ টাকা (অফ সিজন-সিজনে), ব্লু মেরিন রিসোর্টের ভাড়া ১২০০-৩৫০০ টাকা(অফ সিজনে)। হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইসের ভাড়া ২০০০ টাকা। আমরা দুই রুম ডাবল বেড তিন রাত-চার দিনের বিল এসেছিলো ৫০০০ টাকা। অফ সিজন বলে ...
১৭) মেইন সমস্যা কারেন্ট। রাতে হোটেল রুমে গরমে ঘুম আসে না। দুপুরে হোটেলের নিজস্ব জেনারেটর ও দ্বীপের জেনারেটর মিলে ২ ঘন্টা আর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত কারেন্ট থাকে।
১৮) সেন্ট মার্টিনে আপনি সব ধরনের নেটওয়ার্কই পাবেন। টেলিটকটা একটু ডিসটার্ব করে।
বালের নেটওয়ার্ক জিপির। ছবি আপলোডই করতে পারতাছি না। পরে করে দিব নি কেমন???
২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ধন্যবাদ ... ঘুরে আসেন পারলে ... এতো সুন্দর ... বাট অফকোর্স বৌ ছাড়া যাবেন না খবরদার ... এমন জায়গায় বৌ ছাড়া গেলে পস্তাবেন ...
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: বাালীর ঠার বলেছন: িয়ত রাখলাম, তথ বহুল ভাল লেগেছ হয়তা কখনা কােজ লাগত পাের।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ... ঘুরে আসেন পারলে ... এতো সুন্দর ... বাট অফকোর্স বৌ ছাড়া যাবেন না খবরদার ... এমন জায়গায় বৌ ছাড়া গেলে পস্তাবেন ...
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: ছরম পোস্ট......।।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: দন্যবাদ ....
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
আমি অতি সাধারণ বলেছেন: পোস্ট এ প্লাস !!
আমি কক্সবাজার যাওয়া নিয়ে একটু জানতে চাচ্ছি !
১। আমরা দুই জন যাব । বিচের কাছে ভাল (এসি রুম) হোটেল মাঝারি ভাড়া (১০০০-২৫০০ per night ) কোন গুলো ? কয়েকটা রিকমেনড করতে পারবেন?
২। ৩ রাত/ চার দিন অথবা ২ রাত তিন দিন ভাল হোটেলে খাবার খরচ কেমন পড়বে ? breakfast/ lunch/ dinner? দুই জনের? জানি মেনুর উপর depend করে কিন্তু আমি on an average জানতে চাচ্ছি।
৩। যারা যারা কক্সবাজার গিয়েছেন recently , please আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। কোথায় থেকেছেন? কোথায় ঘুরেছেন? কি খেয়েছেন ? ইত্যাদি ।
অনেক ধন্যবাদ !
২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ... আমি সেন্ট মার্টিনের সাথে সাথে কক্সবাজারও দেখা এসেছি। সেন্ট মার্টিনের কাছে কক্সবাজার কিছুই না ... আপনারা কি কাপল যাবেন ??
প্রথম কথা, "বিচের কাছে ভাল (এসি রুম) হোটেল" তাও ১০০০-২৫০০ টাকাতে আপনি ২০০০-এ থাকতে পারতেন, এখন পারবেন কি না জানি না। কারন বীচের যত কাছে, রেট তত বেশী। আমি একটা সহজ বাজেট আপনাকে দেই কেমন। ধরি আপনারা কাপল যাচ্ছেন। তাহলে ৪ দিন-৩ রাতের প্লান করুন। এর বেশি লেন্দি করলে মজা থাকবে না। তো রুম রেটে বাজেট রাখেন ১০ হাজার টাকা(অফ সিজনে), শপিং এর জন্য ৫ হাজার টাকা, ঘুরাঘুরিতে যাবে আরও ২-৩ হাজার টাকা, খাওয়া দাওয়ায় প্রতি বেলা এভারেজ ৪০০-৫০০ ধরে রাখেন। হালকা খাওয়া (ভাত,ভর্তা,ডাল) ৩০০ টাকা। এছাড়া যদি স্পিডবোটে চড়তে চান তাহলে অতিরিক্ত ২-৩ হাজার টাকা, যদি ওয়াটারহুন্ডাতে চড়তে চান তাহলে মিনিটে ১৫০ টাকা (মনে নাই, এমনই মনে হয়)। ওখানে আরেক ধরনের টয় কার আছে এক রাউন্ড ৩০০ টাকা, (কি দরকার, ঘন্টা ১২০০ টাকা, ৩ ঘন্টার জন্য ভাড়া করেন, হিমছড়ি পর্যন্ত টয় কারে করে চলে যান বৌ নিয়ে, এই ডিল সবার সামনে করা যাবে না)। সৈকতে মালা-দুল-ব্রেসলেট পাওয়া যায়, প্রতিটা ১০ টাকার এক পয়সা বেশি দিবেন না। নিরিবিলির খাবার ভাল।
হোটেল সি ওয়ার্ড (এদের সেকেন্ড ফ্লোরে একটা সুইমিং পুল আছে, ডোবার চেয়ে বড় হবে না)
একটা কথা ভাই, অফ সিজন আর সিজনের রুম রেটের পার্থক্য টা এমন, একই রুম ২০০০ টাকা অফ সিজনে, ঐ রুমই সিজনে ২০০০০ টাকা দিলেও পাবেন না।(এই তথ্যটা আমাদের গাইড বললো, ভ্যারিফাই করতে পারি নাই)
কক্সবাজারে KFCআছে।
আর মাছ খেতে চাইলে সেন্ট মার্টিনে ... মাস্ট ...
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
আমি অতি সাধারণ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
আপনি এতোটা explain করে লিখবেন ভাবিনি... অনেক ধন্যবাদ । হ্যাঁ couple. আর সে shopping করবে না বলেই মনে হয়, already ওর কাছ থেকে হাল্কা শপথ আদায় করে নিয়েছি
! শুধু থাকা, ঘুরাঘুরি, খাওয়া then back to Dhaka.
আপনি কবে গিয়েছিলেন ? কোন সমস্যায় পরেছিলেন? আচ্ছা, কোন/ কয়েকটা হোটেল এবং এর আশেপাশের restaurant recommend করতে পারবেন? আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি দুই-তিন দিনের বেশি থাকব না।
+++++++
“নিরিবিলি” টা কোথায় exactly? কোন হোটেলের পাশে? সাধারণত দুপুরে/ রাতে/ সকালে কোন ধরনের খাবার আইটেম থাকে? দাম কেমন? অনেক ধন্যবাদ !
২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: মেয়েরা যখন শপথ করে যে সে শপিং করবে না তখন বুঝতে হবে পরিস্থিতির চাপে ফেলে সে তার দাবী আদায় করার প্লান করছে। সিরিয়াসলি ভাই সাবধান ... ভাবি মনে হয় কিছু চাইবে না, মুখে বলবে,"ওগো, তুমি তো আমাকে কিছুই কিনে দিলে না..." এরপর যে স্যাড লুকটা দিবে না, আপনের ইজ্জত শেষ। থাক ভাই, ভাবীর শপিং এর জন্য একটা বাজেট রাইখেন।
(ভাবি কবে খাওয়াবেন :> )। যা হোক, আমি রোজার ঈদের পরের দিন রাতে গেছিলাম।
ওকে, শুধু থাকার ব্যপারে আমি হ্যাল্প করতে পারবো না কজ আমি ফ্রি থেকেছি, আপনি কক্সবাজার নেমে একটা রিক্সা ভাড়া করবেন তারপর সব হোটেলে ঘুরবেন, যেইটার প্রাইজ রিজনেবল মনে হবে সেখানে উঠে পরবেন। রথ দেখা কলা বেচা আই মিন হোটেল খোজা আর কক্স বাজার শহরটা ঘুরে দেখা দুটোই হয়ে গেল। ভাবির 'ঘুরাঘুরি' প্রায় শেষ, আপনের আলগা খরচ কইমা গেল। তয় "মানি ডাজন্ট ম্যাটার" হলে মারমেইড ও ইকো মারমেইড হোটেল দুইটায় চক্কর দিয়ে আইসেন। এই গরিবের টাকা নাই তাই সব স্বাদ পুরন করতে পারে নাই।
ট্রান্সপোর্টের ব্যপারেও আমার আইডিয়া নাই। খাওয়া দাওয়া করবেন নিরিবিলি, কাশবন, পর্যটন হোটেলের নিচে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। দামের ব্যপারেও আমার আইডিয়া নাই। (বিলতো আমাকে দিতে হয় নাই) এছাড়া আর্মিদের একটা রেস্টুরেন্ট আছে। হিমছড়ি-ইনানী যাওয়ার পথে পরে।
ভাবি এইবার ডেফিনেটলি খাওয়াতে হবে। --> ভাই কি আছে জীবনে কন তো?? এতো ট্যাকা সেফ করে কি করবেন ??? ভাবিরে নিয়া প্লেনে যানগা। ভাবি সারপ্রাইজে হার্ট এটাক খাইবো প্লাস সেকেন্ড টাইম আপনের উপর ক্রাস খাইবো। গেরানটি দিলাম ... NOVOAIR জন প্রতি ৬২৫০ টাকা লাগে যাইতে (মাএ)।
কক্সবাজারে দেখার মত কি আছে??? সাগর ??? সেন্ট মার্টিনের সাগর আর সৈকতের কাছে কক্সবাজারের টা কিছুই না রে ভাই। আর দেখবেন ইনানী বীচ আর হিমছড়ি। হিমছড়িতে ভাই টয় কার ভাড়া করে নিয়ে যাইয়েন, ভাবি পিছে বইবো আপনে চালাবেন, কিছুদুর যাইয়া আপনে পিছে বসবেন ভাবি চালাবে। সেরাম ফিলিংস ব্রো সেরাম ফিলিংস ...
এক পাশে সমুদ্র এক পাশে পাহাড় মাঝখানে রাস্তা, পিছে বৌ ... WHAT IS LIFE ...
ইনানীতে যাওয়াটা উচিত ইজিবাইকে। ফিলিংসের ব্যাপার স্যাপার আর কি ... আস্তে চলে, সময় লাগবে বেশি, অনেক টাইম দিতে পারবেন ভাবীকে ...
বাদাও ভাই, আমি লাবনী, ইনানী আর অন্যান্য পয়েন্টের পার্থক্য ধরতে পারি নাই, সব যায়গাতো একই রকম ... তাইলে ???
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
আমি অতি সাধারণ বলেছেন: Awesome Description!! হা হা ! আমি হাসতে হাসতে টায়ার্ড হয়ে গেলাম।
ভাই, শপিং এর জন্য রাখছি কিন্তু বলে কি নিজের বারোটা বাজাবো ! ব্লগে ভ্রমনের উপর অনেক আর্টিকেল পড়ছি , ঢাকায় যেটা ১০০ সেটা নাকি সেখানে ৫-৬০০ ! আমি তো দুই দিনে দেউলিয়া হয়ে যাব ! তবে ইচ্ছা আছে কোন souvenir কিনে গিফট করা ।
আপনার toy car এর ব্যাপারটা অসাধারণ মনে হচ্ছে। try করতে হবে... তবে উনারে surprise দিতে গিয়ে আমি নিজেই surprised হয়ে যাই কিনা চিন্তা করতে হবে।
ভাই প্লেন এর কথা বইলেন না। তবে আপনার ভবিষ্যৎবাণী ঠিক মনে হচ্ছে... কিন্তু আপাতত প্লেন এর কথা চিন্তা করছি না।
আপনার দারুন আইডিয়ার জন্য খালি ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করতেছে না ... এই নেন মিষ্টি খান ...
View this link
আধা ঘণ্টা try করে ব্লগে মিষ্টি আপলোড করতে পারলাম না... আফসোস !
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: থাক ভাই আমার কপালে আসলে মিষ্টি নাই ...
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
আমি অতি সাধারণ বলেছেন: সরি । একটা কমেন্ট মুছে দিয়েন। ডাবল হয়ে গেছে... মাঝে মাঝে ইন্টারনেট এর স্পীড দেখলে
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: আর বলবেন না ... প্রায় ৪ হাজার পিক তুলছি,দিতে পারতাছি না
৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
ডানামনি বলেছেন: ইন্টারনেটের স্পিডের যন্ত্রনায় আগের কমেন্ট আপলোড হয়নি।
আমি গিয়েছিলাম ৬-৭ বছর আগে, টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন ট্রলারে। সাথে ছেরা দ্বীপ ও ছিল।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪২
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: সেই দিন আর নাই আপু ... সেন্ট মার্টিন এখন ধ্বংশের পথে ...
৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: মজা লইলেন মনে হয়? এখন সেন্ট মার্টিন যেতে হলে কি বিয়া করতে হবে নাকি? এখনো করি নাই ...... তবে যাবার ইচ্ছা আছে......
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: মজা নিলাম মানে ... > ... কইলাম একলা গেলে খালি মনে হবে কি যানো নাই-কি যেন নাই ... সিরিয়াসলি ম্যান ... সেন্ট মার্টিন যাওয়া উচিত কাপলদের ... জায়গাটাই এমন ...
১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
ইয়ার শরীফ বলেছেন: ্মজা পাইলাম
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ঘুরে আসেন ... আরও বেশী মজা পাবেন ...
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৯
জুহো. বলেছেন: সেন্ট মার্টিন নিয়ে আমি একটা লেখা দিয়েছিলাম, তিনটা পর্বের। মূলতঃ একটা ম্যাপ করার চেষ্টা করেছি আমাদের অনন্য সম্পদ এই দ্বীপটার।
আমার সেন্ট মার্টিন ভ্রমন কাহিনী -ফিরে এসে বানাতে হল হোটেল লোকেশন ম্যাপ পর্ব-১
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: লাভ নাই ভাই ... দ্বীপটাকে ধ্বংশ করার সব পরিকল্পনা হয়ে গেছে ...
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৬
বাঙ্গালীর কুঠার বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম, তথ্য বহুল ভাল লেগেছে হয়তো কখনো কাজে লাগতে পারে।