![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বালকত্ব হারিয়ে একজন যুবক যখন পৃথিবীর সমস্ত নিয়ে সংশয়বাদী হয়ে উঠছিল, তখন তুমি তাকে শূন্যতা পূরণের অপূরণীয় আহ্বান জানিয়েছিলে। সে কোনদিন আর দ্বিধান্বিত হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে পারে নি। সকল কাঁশফুল ছুঁয়ে দেখার তীব্র ইচ্ছা অথবা মেঘের জলোপভোগের দারুণ অর্জন উপেক্ষা করে সে তোমার কাছে ছুটেছিল দেবত্ব লাভের লোভে, প্রেমিকত্ব নয়তো হীনত্বের আকর্ষণে।
তুমি একজোড়া টমেটোকোয়ায় যুবকের বুকভূমিতে ডেকে আনলে সীমাহীন সাইক্লোন। তাতে তলিয়ে গ্যালো হৃদয়সমুদ্দুরের সকল কোস্টগার্ডেরা, ভেসে গ্যালো শামুক-ঝিনুক-প্রবালের সুপ্রিয় হাটসমুহ এবং মর্মরতার বেদনাদায়ক শব্দ সৃষ্টি করে বাতাসে ভেসে ভেসে সিলিকাভূমিতে এসে পরে গ্যালো ঝাউপাতারা। তুমি অসামান্য হয়ে গ্যালে, যুবক সামান্য হয়ে গ্যালো। যুবকটি সামান্য-অসামান্যতার গণিত মিলাতে না পেরে রোগে-শোকে তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠলো। তারপর সেই তৃষ্ণার্ততার অদূরবর্তী কোন এক পর্বে সে তার ঠোঁটজোড়া ডুবিয়ে দিয়েছিল তোমার স্রোতময় প্রবাহিনীতে। তার তিয়াস মিটেছিল অসাধারণ জলে। তার তিয়াস মিটিয়েছিল প্রচণ্ড প্রেমের আরক। কিন্তু ধারণাটা ভুল ছিল।
প্রেমের আরক তৃষ্ণা নিবারণ করে না, বরং বাড়ায়। তাই যুবকের তেষ্টা বাড়তেই থাকে। তুমি জোয়ারের মতোন দিচ্ছিলে অফুরন্ত সুপেয় জলের যোগান। যুবক বালকত্ব ফিরে পেতে শুরু করে। আর তুমি চলে যাও পৃথিবীর সকল জলসমূহকে অস্বীকার করে। তুমি কখনো ভাবোনি যুবকের ভীষণ জল তোমাকে ভেজাতে চায়। সেই জল এড়িয়েই তুমি চলে যাও। কিন্তু খরা একসময় তোমাকে শুকিয়ে দেয়। নির্দিষ্ট জলহীনতায় আক্রান্ত হয় তোমার শহুরে লাবণ্যতা। হয়তো সেদিনকার ঘন অন্ধকারে তোমার পিপাসার্ত স্বপ্নে দেখা দেয় একজন যুবক।
বহুকাল পর তুমি একদিন ঠিক বেরিয়ে পড়লে পরিচিত গৃহস্থালীর সন্তান-সন্তানদাতা ছেড়ে। বুকের খাঁচায় ভরা দীর্ঘদিনের, দীর্ঘ চরের বালুকাভূমি নিয়ে বেরিয়ে পড়লে বালকত্ব ফিরে পাওয়া পৃথিবীর একজন যুবকের খোঁজে।
উৎসর্গঃ যাকে একদিন ঠিকই জলের খোঁজে বেড়োতে হবে!
©somewhere in net ltd.