নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সায়েমা খাতুনঃ নৃবিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক
বিশ্বাস করতে পারেন, বিজ্ঞান ক্লাস নেয়ার জন্যে দেশের একজন স্কুল শিক্ষককে জেলে বন্দী করা হয়েছে?এটা কি সপ্তদশ শতকের গ্যালিলিওর ইতালী নাকি ২০২২ এর বাংলাদেশ? বিশ্বাস করতে পারেন, মুন্সীগঞ্জ জেলায় অতীশ দীপঙ্কর থেকে শুরু করে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, রাজনীতিক সরোজিনী নাইডু, বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, লেখক হুমায়ুন আজাদ, সাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদাররা জন্ম নিয়েছেন?এই মুন্সীগঞ্জেরই ভাই হৃদয় মণ্ডলের উপর বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত্ব মুসলিম পুরুষ শ্রেণীর রাষ্ট্রের জুলুম-নিপীড়নের নীরব সাক্ষী হয়ে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হয়, এখানে শঠতার কী কোন সীমাপরিসীমা নাই? বাংলাদেশে বাঙ্গালী মুসলমান কি নিপীড়িত বর্গ, না অধিপতি বর্গ? ইনসাফ প্রতিষ্ঠার নিয়ত কিংবা কর্মকৌশল এই অধিপতি গোষ্ঠীর আছে কিনা? এরা নিজেরাই নিপীড়িত/আঘাতপ্রাপ্ত সাজে কিভাবে? বছর বছর পূজার সময় যখন নিয়ম করে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে হিন্দুদের পবিত্র প্রতিমা ভাঙা হয়, তখন সেটা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়? তখন এরা কই থাকে?
আমাদের জীবদ্দশায় আমরা ইউরো-আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারা সংঘটিত প্যালেস্টাইন, ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়ার মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায্য যুদ্ধ ও গণহত্যা দেখলাম। লক্ষ লক্ষ নারী-শিশু হত্যা ও গণধর্ষণ দেখলাম। এই মুহূর্তে বিশ্বের ইতিহাসে বৃহত্তম সংখ্যায় ৪ কোটি চল্লিশ লাখ শরণার্থী মানুষ দেখতে পাচ্ছি, যাদের একটা বিরাট অংশ প্যালেস্টাইন, ইরাকী, কুর্দি, আফগান, সিরিয়ান, ইথিওপিয়ান, সুদানী, রোহিঙ্গা মুসলমান। এর আগে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া-মালয়শিয়া, আফ্রিকা ও আরবের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, পূর্ব ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো ব্রিটিশ কলনিয়াল শক্তির অধীনে একটা দীর্ঘ সময় নিপীড়িত হয়েছে।রাষ্ট্রযন্ত্র করায়ত্ব করে এই অঞ্চলের সম্পদ পশ্চিমে পাচার, অস্ত্রের ভাষায়, জোর-জুলুম-জবরদস্তির মাধ্যমে, পশ্চিমা শিক্ষা ব্যবস্থায় মগজ ধোলাই করে এই সব সমাজগুলোর কাঠামো আমূল বদলে ফেলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পঞ্চাশের দশক থেকে কলোনিগুলো স্বাধীন হওয়ার পরেও ভেঙ্গে পড়া এই সমাজগুলোকে ঋণের জালে এবং উন্নয়নের ফাঁদে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তদুপরি, হাল জমানায় ইউরোপ-আমেরিকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের নামে ছড়িয়ে দেয়া ইসলামোফোবিয়ার জালে সারা বিশ্বের মুসলমানদের কোণঠাসা করা হয়েছে।এই সময় ইউরো-আমেরিকান সভ্যতার আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মধ্যে জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার পাশাপাশি গণহত্যার প্রযুক্তি, পারমানবিক মারণাস্ত্রকে কেউ ভুলে যাবে না।এই পরিস্থিতি উপনিবেশিত সমাজের কেবল ধর্মীয় অনুভূতি নয়, জান-মাল, জীবন-জীবিকা, আত্মপরিচয়, মর্যাদা, আত্মনিয়ন্ত্রণ-গোটা অস্তিত্বের উপরই আঘাত।
বিশ্ব-ইতিহাসের এইসব বৃহদাকায় ঐতিহাসিক সত্যগুলোকে টেবিলে খুলে রেখে আমাদের নিজের ঘরে ভাই হৃদয় মণ্ডলের উপর জুলুম দেখে ব্যথিত ও দুশ্চিন্তিত চিত্তে বাঙ্গালী মুসলমান মধ্যবিত্ত্ব পুরুষকে জানাবোঝার বড়ই আগ্রহ হয়।বাংলাদেশের ভেতর এরা তো নিপীড়িত বর্গ নয়, বরং প্রবল ক্ষমতাশালী অধিপতি গোষ্ঠী।এই প্রবল অধিপতি বর্গ এত সহজেই দুর্বলের দ্বারা আঘাত পায় কিভাবে? আর ভিন্ন ধর্মের সংখ্যালঘু মানুষকে এমন সুপরিকল্পিতভাবে টার্গেট করেই বা কিভাবে? ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামে দেশের নাজুক সংখ্যালঘুর জান-মাল, মান-মর্যাদা, জীবনের নিরাপত্তার ওপর হামলা করলে কি আর ন্যায্যতার দাবী টেকে? জগতের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত মুসলমানদের মুক্তির জন্যে ন্যায্যভাবে প্রত্যাঘাত কাকে করবেন? দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচারে? হৃদয় মণ্ডলের বিজ্ঞান ক্লাসের আলাপচারিতা আপনার অনুভূতিকে আঘাত করল? আর এই যে অবৈধ অস্ত্রের খেলা চলছে, রোজ দুর্নীতি-গুম-খুন-ধর্ষণ-অর্থপাচার - এত জুলুম-নিপীড়ন সয়ে মানুষ বেঁচে আছে, কই তখন তো ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠায় কোন জাগ্রত জনতাকে নড়াচড়া করতে দেখা যায় না?
এখন গোড়ার প্রশ্নটা আবার করিঃ বাংলাদেশে বাঙ্গালী মুসলমান কি নিপীড়িত বর্গ, না অধিপতি বর্গ? সংখ্যার বিচারে উত্তর খুঁজলে দেখি, গুরুতরভাবে সংখ্যাগুরু, বাংলাদেশে সাড়ে তের কোটি, অর্থাৎ ৯০.৪% ভাগ মানুষ মুসলমান। অপরদিকে ১ কোটি তিন লাখের মত মানুষ হিন্দু, যা জনসংখ্যার মাত্র ৮.৫% শতাংশ। রাষ্ট্রযন্ত্র, মিলিটারি, জমিজমা, কারবার-ব্যবসা, মিডিয়া সবই তো এই বাঙ্গালী মুসলমান মধ্যবিত্ত্ব পুরুষ কর্তার হাতে। তবে এই কর্তা সময় সময় ভিকটিম কার্ড খেলে ক্যান? বুঝলাম যে, বিশ্ব ব্যবস্থার প্রান্তিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই শোষিত - বিশ্বব্যাংক, আই এমএফের চাপিয়ে দেয়া উন্নয়ন প্রকল্প এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী পলিসির শিকার হয়ে চরম মাসুল গুনছে।আবার আঞ্চলিক দিকে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের হুমকিও বড়ই বাস্তব। ঐতিহাসিক বিভিন্ন সময়ে বাঙ্গালী মুসলমান একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক বর্গ হিসেবে নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে এই নিপীড়ন-লাঞ্ছনা-বঞ্চনার প্রতিবাদ, প্রতিরোধও নিরন্তনভাবে হয়েছে, বলতে গেলে বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে এই বাঙ্গালী মুসলমান সমাজের বঞ্চনার প্রতিকার করতে গিয়ে। তো ঐতিহাসিক এই বঞ্চনা কে করেছিল? আরেক জাতিগোষ্ঠীর মুসলমানরা ভাই-ব্রাদারই তো? তাই নয় কি? অধিপতি উর্দুভাষী পাকিস্তানী উচ্চবর্গীয় মুসলমান ভাইয়েরাই পূর্বাঞ্চলের ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভিন্ন ভাষাভাষী মুসলমান ভাই-ব্রাদারদের উপর চরম জুলুম-অত্যাচার নামিয়ে দিয়েছিল। বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের ভাষায় "অভ্যন্তরীণ উপনিবেশের" শিকার বা ভিকটিম ছিল বাঙ্গালী মুসলমান (কখনই ভুলে যাব না, কারা আড়াই লাখ নারীদের ধর্ষণ করেছিল)।
সাতল্লিশের আগে ব্রিটিশদের অধীনে ঐতিহাসিক শাসন-শোষণের পরিসরে আধুনিক নির্বাচনী রাজনৈতিক চালে মুসলমান হিসেবে সংখ্যালঘু খেলা শুরু হয়।সংখ্যালঘুত্বে ভয় কি পরাক্রমশালী মুঘলদের ছিল? কম করে হিসাব করলেও পাঁচশত বছর ভারত শাসনের জন্যে মুসলমানদের সংখ্যাগুরু হওয়ার প্রয়োজন হয়েছিলো কী? ইউরো-আমেরিকান উপনিবেশ স্থাপিত হয়েছে মাত্র সেইদিনের কথা।শাসনের ইতিহাস দুইশত বছর মাত্র।১৪৯০ এর দশকে ভাস্কো দা গামা আর কলম্বাসের ভারত ও আমেরিকা আবিষ্কারেরও প্রায় তিনশত বছর পরে। এর আগে ভারত ও আমেরিকার ভূস্বর্গে পৃথিবীর অপর প্রান্ত থেকে যাওয়া-আসা, যোগাযোগের বহু নিদর্শন আছে। বাংলায় মুসলমানদের প্রথম আগমন পাওয়া যাচ্ছে ময়মন্সিংহে দ্বাদশ শতাব্দীতে।সুলতানী আমলে বাঙ্গালী মুসলমান বাংলায় শাসক শ্রেণী হিসেবে জীবন যাপন করেছে, যারা আবার দিল্লীর অধীনতা শিকার করেনি।ব্রিটিশদের হাতে ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই বাঙ্গালী মুসলমান নিজেকে পুরোপুরি ভিকটিম হিসেবে দেখতে থাকে এবং বহুবার কলোনি ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলেছে, যার সর্বশেষ নিদর্শন হল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা।
এখন এই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অধিপতি শাসক বর্গ হয়ে বাঙ্গালী মুসলমান মধ্যবিত্ত্ব পুরুষ প্রায়শই তাদের অতি নাজুক ধর্মীয় অনুভূতিতে বারে বারে আঘাত পেতে থাকে।ব্যাপারটা কি? এই আশ্চর্যরকম স্ববিরোধী হিসাব কোন অংকেই মেলানো যায় না! বিজ্ঞান শিক্ষার ক্লাসে বিজ্ঞানের বিষয় আলোচনা হলে যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে, তাইলে তো এর কোন ওষুধ নাই। সমাজ কতটা অধঃপতিত আর বিষাক্ত হলে দশম শ্রেণীর বাচ্চা ছেলেরা পরিকল্পিতভাবে তাদের বিজ্ঞান শিক্ষকের সংখ্যালঘু পরিচয়কে জিম্মি করে ক্লাসের আলোচনা রেকর্ড করে তাঁকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। বাঙ্গালী মুসলমান মধ্যবিত্ত্ব পুরুষের একাংশের ক্ষমতার খেলা দেখে ভয়ে শিউরে উঠতে হয়। শিউরে উঠি ভেবে যে, হিন্দু হয়ে, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হয়ে বাংলাদেশে রোজকার জীবন কি নিঃশঙ্ক চিত্তে যাপন করা সম্ভব?
এই কি তাহলে ইনসাফের রাজত্ব কায়েম করার তরিকা ? মুসলমানেরা তাহলে বিজ্ঞান চর্চা করবে না? পরমত, পরধর্মসহিষ্ণু হবে না? এইভাবে তাহলে শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠা করবে? লাকুম দি নুকুম ওয়ালিয়া দিন, তাহলে কি বোঝায়? তাহলে কি মুসলমানদের সমাজে বিজ্ঞান পড়ানো অপরাধ বলে গণ্য হবে। মুসলমানদের হাজার বছরের জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চা তাহলে কোথায় কিভাবে গায়েব হয়ে গেলো? তাহলে আল ফারাবি, আল বাতিনি, ইবনে রুশদ, ইবনে সিনা, আল খাওয়া রিজমি, ইবনে কোরা, আল রাজী, আল হাইউন, ইবনে খালদুন, ইবনে বতুতা- এঁরা কারা? এঁদের মত কেউ যদি আজকের বাংলাদেশে জন্মায়, জানে বাঁচতে পারবে তো? মুসলমান পণ্ডিতদের সঙ্গীত আর সাহিত্যের কথা আর নাই বা বল্লাম।
মুন্সীগঞ্জের স্কুলের বাচ্চাদের মত দশম শ্রেণীতে পড়বার সময় স্কুলের পাঠ্য বইয়ে আমরা পড়েছিলাম কবিতা "শিক্ষাগুরুর মর্যাদা", চিরকালের জন্যে মগজে ঢুকে গেছেঃ
বাদশাহ আলমগীর-
কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর।
একদা প্রভাতে গিয়া
দেখেন বাদশাহ- শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া
ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে
পুলকিত হৃদে আনত-নয়নে,
শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধুলি
ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ্ সঞ্চারি অঙ্গুলি।
.....................................................
শিক্ষকে ডাকি বাদশা কহেন, ”শুনুন জনাব তবে,
পুত্র আমার আপনার কাছে সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে?
বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,
নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা”
শিক্ষক কন-”জাহপানা, আমি বুঝিতে পারিনি হায়,
কি কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?”
বাদশাহ্ কহেন, ”সেদিন প্রভাতে দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে
নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,
পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।
নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে
ধুয়ে দিল না’ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।”
উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষকে আজি দাঁড়ায়ে সগৌরবে
কুর্ণিশ করি বাদশাহে তবে কহেন উচ্চরবে-
”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।”
- (শিক্ষাগুরুর মর্যাদা – কাজী কাদের নেওয়াজ)
আজকে স্কুলের বাচ্চা ছেলেরাও এতটা নষ্ট হয়ে গেছে দেখে সত্যি ভয়ে বুক কেঁপে ওঠে। এই দেশ আগামীতে ইনসাফ ও জ্ঞানের পীঠস্থান হবে বলে আশা রাখতে বড়ই কষ্ট হয়। সংখ্যালঘুর জীবন-জীবিকা-মান সম্মানকে প্রতিদিন বিপন্ন ও পদদলিত করে এই মুসলমানদের পক্ষে কোন ইনসাফের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা কি সম্ভব হবে?
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৪
জাদিদ বলেছেন: জী, এটাই আমাদের বাংলাদেশ। কিছুদিন আগে একটা বই পড়লাম, সেখানে জনৈক ইসলামিক পদার্থবিদ ফেরেশতাবর্ষ বের করেছে। দিন শেষে ইসলাম ধর্মকে কারা হাস্যকর বানাচ্ছে এই প্রশ্ন করলে বাংলাদেশের বন্ধ হয়ে যাবে।
পৃথিবীর উন্নত অঞ্চলে বিজ্ঞানী হিসাবে স্বীকৃতি পায় আইন্সটাইন, নিউটন, স্টিফেন হকিং। আর বাংলাদেশের মত অঞ্চলে বিজ্ঞানী হিসাবে স্বীকৃতি পায় প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর মাধ্যমে 'বিজ্ঞান' কে এত ভয়াবহভাবে ইয়ে করা হয়েছে, বিজ্ঞান বাংলাদেশে আশেপাশে কয়েকশ মাইলের মধ্যে আসতে লজ্জা পাচ্ছে।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৪
সোবুজ বলেছেন: ধর্মের রক্ষা বা প্রসারের জন্য সবকিছু করাই জায়েজ।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৯
কলাবাগান১ বলেছেন: প্রকান্তরে ইসলাম ধর্মের ই লস হল। হাস্যকর যুক্তি দেওয়াতে ধর্ম টা কেই অসার প্রমান হয়েছে কথোপোকথন এর মাধ্যমে। এই যুগে এসে যখন ফেরেশতাবর্ষ, সুর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে, পৃথিবী সমতল ইত্যাদি কথা উঠে ধর্ম নিয়ে প্রচার করা লোকজন দের কাছ থেকে, তখন দিন দিন শিক্ষিত হওয়া জাতি, এদের থেকে যোজন যোজন দুরে অবস্হান করবে।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটা পুরোটা পড়লাম। সুন্দর লিখেছেন।
স্কুলের ছেলেরা মারাত্মক ভয়ঙ্কর। এরা প্রত্যেকে হিংস্র, এদের আচারাচরন ভয়াবহ নোংরা।
এদিকে ওদের বাবা মা মনে করেন, ছেলে স্কুলে গিয়েছে লেখাপড়া করছে। কিন্তু ঘটনা তা না, এরা ছাত্রলীগের মতো ভয়ঙ্কর।
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: কোথাও কোন ভারসাম্য নাই। যে যার ইচ্ছা মত এই দেশে ইচ্ছামাফিক মতবাদ ছড়ায়। আমি যে দেশে আছি সে দেশে প্রতিটা ধর্মের আলাদা আলাদা করে প্রতিষ্ঠান আছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ হচ্ছে যার যার ধর্মকে পুর্ন মর্যাদায় রক্ষা করা এবং কোন প্রকার বিকৃতি, উগ্রবাদ যাতে না ছড়ায় তা কঠোরভাবে রক্ষা করা। আবার সেই সাথে মুক্ত চিন্তকদের উস্কানিমুলক মতবাদও এখানে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক এই ঘটনাটায় দুই পক্ষেরই দায় রয়েছে। ধর্ম ও বিজ্ঞান দুটো সম্পুর্ন ভিন্ন ভিন্ন বিষয়। বিজ্ঞান ও ধর্মকে একে অপরের মুখোমুখি দাড় করানোর প্রচেষ্টায় উত্তেজনা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরী হয় যেহেতু ধর্মের ভিত্তি হচ্ছে কেবলই বিশ্বাস অপরদিকে বিজ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে তথ্য প্রমান। এ কারনেই উত্তেজনা তৈরীর সম্ভাবনা যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে সকল শিক্ষকের সতর্ক থাকা উচিত।
আবার অন্যদিকে ছাত্র ছাত্রীরা আজকাল মৌলবাদের কঠিন খপ্পরে পড়েছে।যে বয়সে আমরা সোলস, ফিডব্যাকের গান শুনে দিন পার করতাম সেই বয়সে তারা শুনে ওয়াজি হুজুরদের ব্রেইনওয়াশ করা ভুল ভাল বক্তব্য। আমাদের সময়ে এইসব ওয়াজি হুজুরদের কোন অস্তিত্বও ছিল না। এদের উৎপত্তি ও প্রসার কোথা থেকে হল কে জানে। এদের কেন কঠোর হস্তে দমন করা হচ্ছে না তাও বিস্ময়কর। দিন দিন এদের ডালপালা যেভাবে বাড়ছে এবং মানূষের মধ্যে বিদ্যূৎের গতিতে যেভাবে মৌলবাদ ছড়িয়ে পড়ছে তা কোন দেশের জন্যই মঙ্গলজনক নয়।
৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে আমি ধামিকের চেয়ে ভন্ড বেশি দেখি।
দেশের মানুষ নামে ধামিক, বাবা দাদার ধর্ম পালন করে। কিন্তু কাজে ধর্মের নির্দেশ মানেনা। তাই দেশে দূনিতি, ভ্যাজালে ১ নং।
দেশের রাজনিতিকরাও ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের সার্থে।
দেশে এখন দ্রব্যমুলের দাম বেশি, জনগন কথা বলা শুরু করেছিলো সেই সময়এই টিপ, হিজাব পড়ার জন্য ছাত্রীদের পেটানো আর হৃদয় মন্ডলের ইসু আসলো। জনগনে এখন এইগুলি নিয়েই ব্যস্ত। এটাকে আমি বলি রাজনিতিকদের একটা ট্রিক্স ''how to keep monkeys busy" ।
৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: সরকার এবং পুলিশের লোকজন কি নাকে তেল দিয়ে সারাদিন ঘুমায়? সবকিছু এইসব ফটকা লোকজনের ঘাড়ে চাপালে হবে না।
সারা বিশ্ব জুড়েই ধর্মকে নিয়ে বেসাতি চলে। বিনা পুজিতে এর চেয়ে লাভজনক আর কোনো বেসাতি নেই।
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১০
ঈশ্বরকণা বলেছেন: সায়েমা,
আমাদের দেশের এই অরাজক অবস্থাতো আজকে শুরু হয়নি । এই অরাজকতা শুধু এডুকেশন সেক্টরে না সব সেক্টরেই আছে এবং ছিল । সেই সাথে অরাজকতায় আম জনতার হতাশা ছিল, যাপিত জীবনের নাভিশ্বাস ছিল। তার মধ্যেইতো আপনি ভালোই প্রেমের কবিতা লিখছিলেন । কবিতা আমি তেমন বুঝিনা কিন্তু তবুও কবিতায় আপনার হাতজশ আছে সেটা বোঝা যাচ্ছিলো । এর মধ্যে হঠাৎ এতো কঠিন লেখা নিয়ে পড়লেন কেন ? এটা ধর্মযুক্ত দেখে ? একটা নির্বাচন আসছে সামনে । আরো দেখবেন কত বিরোধী নেতার ফোনালাপ ফাঁস হবে । কত কিছু ফাঁস হবে । গত জন্মে কে কি বলেছিলো, কার সাথে কার প্রেম ছিল, কে কার সমালোচনা করেছিল, কে দেশদ্রোহী কাজকারবার করেছিল (অভিযোগ সত্যি হোক না হোক) ---কত কিছু ফাঁস হবে । সে ফাঁস হওয়া ফোনালাপ দিয়ে টার্গেটেড কিছু মানুষের জেল জরিমানা হবে । কেউ কেউ নির্বাচনের অযোগ্য হবে । আরো একটা ভোটার বিহীন নির্বাচনও হবে ।সবই হবে । মানে এই প্রক্রিয়াটা সক্রিয়ও থাকবে । শুধু সেক্টর চেঞ্জ হবে ।পাত্র পাত্রী চেঞ্জ হবে ।হৃদয় বাবুর জায়গায় বিরোধী দলীয় উচ্চবাচ্য করা কিছু নেতা, পাতি নেতার নাম থাকবে। সো, টেক ইয়োর টাইম । এতো জলদি হায় হায় করার কিচ্ছু নেই । পুরো ব্যাপারটাতে শুধু ধর্ম দেখলেতো হবে না ম্যাডাম । না হয় মামলাই হলো কিছু অশিক্ষিত ধর্মান্ধ মানুষের কারণে। কিন্তু আমাদের বিচারকদের অবস্থাই বা কি ? হৃদয় বাবুর কাজ যদি জেল জরিমানার মতো না হয়েই থাকে তাহলে এই হৃদয় বাবুকে হাযতে (বা জেলে) পুড়ে তার হৃদয় ভাঙার কাজটা করা হলো কেন ? কোনো মোল্লা বিচারক কি বিচারের রায় দিলেন ? সেই প্রশ্নটাও করা দরকার । আসল ব্যাপারটা হলো নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতাসীন রেজিমও উন্নয়নের সবগুলো ইনস্টিটিউশনই নষ্ট করে ফেলেছে । তার নিতে রেজাল্ট হলো আজকের এই সব নষ্টামী । কিন্তু যত দোষ নন্দ ঘোষের মতো ইসলামের দিকেই শুধু অভিযোগগুলো উঠছে । কেন সরকরের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকার পরেও স্কুলগুলোতে সঠিক বিজ্ঞান শিক্ষা (ইনফ্যাক্ট পুরো শিক্ষাটাই ) দেয়া যাচ্ছে না ? সমস্যাটা কোথায় ? সেই প্রশ্নগুলো কেউ করেছে বলে আমি দেখলাম না ! সুষ্ঠু শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট না রেখে কি ডিজিটাল উন্নয়নের পেছনে ছুটলে লাভ হবে ? সে নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য কিন্তু নেই কারো। চিলে কান নিয়ে গিয়েছে বলে সবাই দেখি অন্ধের মতো ছুটছে । সমস্যার রুট কজটা নিয়ে ভাবার কেউ নেই ! আপনার লেখাটাও বড্ড একচোখা হয়ে গেলো কিন্তু । আপনার কাছে থেকে গাঢ় এথনোগ্রাফিক গবেষণার মতো কংক্রিট একটা লেখা আশাকরি আমি এ সব ব্যাপারে (যদি লিখতাই চান) কসমেটিক আলোচনা করে আমাদের পচন ধরা শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হবে না বলেই আমার ধারণা । চাউ ।
১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হৃদয় বাবু বিজ্ঞান বুঝাতে ধর্মকে টেনে না আনলেই পারতেন।
১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০৬
দেশী পোলা বলেছেন: বিজ্ঞান সাবজেক্টটাই উঠায় দেওয়া উচিত, এই সাবজেক্ট পইড়া পোলাপান যে উচ্ছন্ন্যে যাইতেছে, তা এই ঘটনা থেকেই প্রমানিত হয়। মাদ্রাসা বা গুরুকুল এ এই ধরনের ছাত্ররে পিডাইয়া তক্তা বানায় দিতো ক্লাসে বেয়াদবীর জন্য।
এই ক্ষেত্রে এই ঘটনার জন্যও বিজ্ঞান দায়ী, বিজ্ঞান না থাকলে কেউ ক্যামেরা বানাইতেও পারতো না। বিজ্ঞানের ব্যান চাই
১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪০
ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার ঈশ্বরকনার মন্তব্যে পাচ তারা। আমাদের দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন উনার মন্তব্যে। সকল ঘটনার দায় কার কথা বলতে হবে তা নিয়ে, তুচ্ছ ডালপালা নিয়ে নয়। ব্লগার নতুনের মন্তব্যের সাথে একমত। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, দুর্নিতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা না করে জনগনকে ব্যতিব্যস্ত রাখার জন্য উত্তেজনাকর নিত্য নতুন ইস্যূ তৈরী করা হয়।
১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম এবং বিজ্ঞান সব সময় আলাদা ছিল। মরিস বুকাইলি, ডাঃ জাকির নায়েক এদেশে ইব্রাহিম হুজুর, প্যারামজিদ, আবু তোহা এরা ধর্মের সাথে বিজ্ঞান ঘুলিয়ে খাইয়ে জাতিকে ভুল পথে নিয়ে গেছে।
১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৪
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনি মনে হচ্ছে মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছেন! কত তুচ্ছ কারণে মানুষের জেল-জরিমানা, খুন-গুম হয়, আপনি এসেছেন মধ্যবিত্তের পিণ্ডি চটকাতে। ভুল পিণ্ডি চটকে জাতিকে ভাগ করে লাভ নেই, এ দেশে মধ্যবিত্ত কোনোকালেই অধিপতি ছিল না।
১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: উগ্রবাদী মুসলিম ও উগ্রবাদী হিন্দুদের কানে ধরে দেশ থেকে বের করে দেয়া যায়না?
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪০
সোনাগাজী বলেছেন:
ছাত্রদের উস্কানী কাহারা দিচ্ছে?