নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সায়েমা খাতুনঃ নৃবিজ্ঞানী, এথনোগ্রাফার এবং গল্পকার

সায়েমার ব্লগ

সায়েমা খাতুনঃ নৃবিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক

সায়েমার ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এনআরসি ও সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়

১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৫

১৯৭১ এ বাংলাদেশের ১ কোটি শরণার্থী যখন ভা/র/তে আশ্রয় নিয়েছিল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তখন কেবল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকেনি। ২০১৭ সালে এসে ১১ লাখ রোহিঙ্গার জীবনের ভার যদি বাংলাদেশকে নিতে হয় তবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়ন সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হতে পারে না। আজ পৃথিবীর সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশকে যে রোহিঙ্গাদের বোঝা বহন করতে হচ্ছে সে বিষয়ে আমরা ছিলাম সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত। ১৯৮২ সালে যখন মিয়ানমারে নাগরিকত্ব আইনে রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছিলো, তখন বাংলাদেশ বোধ হয় কল্পনাও করেনি মাত্র ৩৫ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশকে এক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। আজ ভারতের নাগরিকত্বপঞ্জী, NRC (National Registry of Citizenship) এবং ১৯৫৫ সালে পাশ হওয়া নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন আইন, CAA (Citizenship Amendment Act 2019) ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আরেক সীমান্তে রাষ্ট্রহীন শরণার্থীর নতুন ঢল সৃষ্টি করতে পারে, এটা বুঝবার জন্যে কোন বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভা/র/ত থেকে মানুষজনের বাংলাদেশে প্রবেশের খবর ইতিমধ্যে প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। এনআরসিতে ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভা/র/তে আসা লোকজন ৬ বছর সেখানে বসবাস করে থাকলে ভা/র/তীয় নাগরিকত্ব লাভের অধিকারী হবে। সিএএতে স্পষ্ট করে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে থেকে আগত ৬ টি সম্প্রদায়ের নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভা/র/তীয় নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে, অথচ নিপীড়িত ব্যক্তি মুসলমান হলে এই আইন অনুযায়ী সে বাদ পড়বে। বাংলাদেশী নাগরিক ভারত ভ্রমণ করবার সময় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে হিন্দু হলে প্রতিদিন তাঁকে যে জরিমানা গুণতে হবে, মুসলমান হলে তা হবে বহুগুণ বেশী। মুসলমান-বিদ্বেষী এই আইন ভা/র/তীয় সংবিধানে ১৪ নম্বর ধারার পরিপন্থী, যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, Indian constitution prohibits the state from denying “”to any person equality before the law or the equal protection of the laws within the territory of India”। এতে যে বাংলাদেশকে জড়ানো হয়েছে তা স্পষ্ট এবং তাতে করে বাংলাদেশ যে এই আইনের এক অংশীজন তা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। তাই বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ, শিক্ষক, পণ্ডিত, গবেষক, সাংবাদিক – নুরু, পুষি, আয়েশা, শফি – সবার হক আছে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করবার। আসামের ১৯ লক্ষ বাঙ্গালীর রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বার সম্ভাবনা, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারা মানুষের জন্যে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা, বাংলাদেশের জন্যে অশুভ বার্তা বহন করে। এক আসামেই এখন ১০ টা ডিটেনশন ক্যাম্প চালু আছে, নাগরিকত্ব অস্বীকৃত মানুষদের তৈরি হচ্ছে ৩- সাড়ে তিন হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জেলখানা। এরই মধ্যে নাগরিকত্ব ইস্যুতে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এনআরসি এবং সিএএর মাধ্যমে ভা/র/ত রাষ্ট্র হিসেবে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের সাংবিধানিক মূলনীতি এবং ভা/র/তের প্রতিষ্ঠাকারীদের সেকুলার আদর্শের মৌলিক বদল ঘটিয়ে উচ্চবর্ণ হিন্দুদের হিন্দুত্ববাদী ধনীদের কর্পোরেট স্বার্থের সংরক্ষণকারী রাষ্ট্রে রূপান্তরের প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই ফ্যাসিবাদী রূপান্তর বাংলাদেশের এবং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্যেই এক অশনি সংকেত। প্রখ্যাত লেখক অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ভারত সরকার একটি গরীব-বিরোধী, উচ্চবর্ণের কর্পোরেট- মিলিটারি শাসিত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। যেখানে কাগজ-পত্র, নথিতে নাম- পরিচয়ের হাজার বিভ্রান্তি ভা/র/তীয় আমলাতন্ত্রের স্বাভাবিক অবস্থা, গরীব- অশিক্ষিত লোকের পক্ষে এসব দলিল হাজির করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। মামলা- মোকাদ্দমা, কোর্ট- কাছারি করবার মত সময়, সামর্থ্য, শক্তি, কানেকশন কোনটাই তাঁদের নেই। নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ের পরে স্বামী শ্বশুরের বাড়ী চলে যাওয়ার সময় কাগজ-পত্র সঠিকভাবে গুছিয়ে রেখে নিজের নাগরিকত্বের প্রমাণ হাজির করা এক চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে চরম অর্থনৈতিক সংকটকে আড়াল করতেই পরিচয়ের রাজনীতিকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।

“এই সমস্যার নাড়ী পোতা আছে ব্রিটিশ-ভা/র/তের পার্টিশনে”

গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ এর গোলটেবিল বৈঠকে নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, এই সমস্যার নাড়ী পোতা আছে ব্রিটিশ ভারতের পার্টিশনের সহিংসতা, যন্ত্রণা ও দুর্ভোগের মধ্যে। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, সর্বপ্রাণবাদী, প্রকৃতি পূজারী – বিচিত্র ধর্ম বিশ্বাসী বহুজাতির ভারতবর্ষকে স্বাধীনতার স্থপতিরা হিন্দু-মুসলমান দুই জাতির কল্পনা কেন করেছিল, কেমন করে করেছিল, আজও এক ধাঁধার মত রয়ে গেছে। এছাড়াও হিন্দুধর্ম নিজেই এক বহুবিচিত্র বিশ্বাস ও আচার-বিচারের সমন্বিত বিশ্বাসের সমষ্টি, মুসলমানের মধ্যে আছে শিয়া- সুন্নি-আহমেদিয়ারা, আহলে-হাদিস, কাদেরিয়া-চিশতিয়া তরিকা, বৌদ্ধদের হীনযানী- মহাযানী ধারা। আছে সেকুলার, অজ্ঞেয়বাদী, অবিশ্বাসী ও নাস্তিক গোষ্ঠী। চাকমা, গারো, সাঁওতাল, মনিপুরী, হাজং, পাত্র, মুণ্ডা, কোল, মুরং, কুকি, লুসাই, বনযোগী, বাজিকর, ধীবর, শবর, যাযাবর, বেদেদের বহু বিচিত্র ধর্মের মানুষেদের কথা পার্টিশনের সময় ভাবা হয়নি কেন, আজও তার কোন জবাব নেই। হিন্দুস্তান-পাকিস্তান হলে এতো রকম মানুষেরা কোথায় যাবে? হিন্দুস্তানে ট্রাইবাল এবং আদিবাসীদের কি হবে? মুসলমানের রাষ্ট্রে আদিবাসীদের জায়গা কোথায় হবে - এ নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবনা-চিন্তা করা হয়েছিলো বলে মনে হয় না। ভা/র/তের “নিপীড়িত মুসলমান” ক্যাটাগরি তৈরি করেছিল উইলিয়াম হান্টারের মত ইংরেজ প্রশাসকেরা। ভারতীয় কংগ্রেসনেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এই ইঙ্গিত দেন যে, ভারতীয় নিপীড়িত মুসলিমের জন্যে “হাজার বছরের নিপীড়িত ইহুদী”দের ইসরাইল রাষ্ট্রের আদলে মুসলমানদের জন্যে পৃথক বাসভূমির ধারনা পেয়েছিলেন অক্স-ব্রিজ শিক্ষিত মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ লন্ডনে তার তরুণ বন্ধুদের কাছ থেকে। ইহুদী রাষ্ট্রের মডেলে মুসলমানদের জন্যে পৃথক আবাসভূমির ধারনা বিভ্রান্তিকর। মুসলমান মুঘলরা ভা/র/তে মাত্র দুইশত বছর আগেই সাড়ে তিনশত বছর ভারতের শাসক ছিল, অটোম্যানরা চৌদ্দশত থেকে বিংশ শতকের গোঁড়ার দিক পর্যন্ত তুরস্কে সাম্রাজ্য পরিচালনা করেছে। ইউরোপ, আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, আরবের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড মুসলমানরা শত শত বছর শাসক হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। মুসলমান সুলতানেরা কয়েকশত বছর বাংলায় সমৃদ্ধ শাসনকাল উপভোগ করেছিলেন। মুসলমান হিসেবে হীনমন্যতার অন্তত ঐতিহাসিক কারণ ছিল না। ইউরোপীয় ইহুদীদের নিপীড়নের সাথে মুসলমানদের অবস্থার কিছুমাত্র তুলনীয় ছিল না। মুসলমানদের চাইতে বহুগুণ নিপীড়িত, দলিত, লাঞ্ছিত-বঞ্চিত, জাতিগোষ্ঠী ব্রিটিশ ভা/র/তে ছিল এবং স্বাধীন ভা/র/তেও আছে। মুসলমানদের মধ্যেও আছে আশরাফ-আতরাফ, উঁচু-নিচু জাত-বংশ, জোলা- সৈয়দ। সব নিপীড়িত জাতি-ধর্মের জন্যে পৃথক পৃথক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার মত অবাস্তব কল্পনা আর কি হতে পারে? অপরের বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে গ্রহণ করে বহুত্ববাদী ভারতই ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সত্য।

মুসলমানদের জন্যে পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাকারীরা “ভা/র/তে রয়ে যাওয়া অবশিষ্ট” মুসলমান ভাই-বোনেদের আরও বেশী সংখ্যালঘু ও বিপন্ন হয়ে পড়বার কথা ভাবেননি বলেই আজ ৭২ বছর পরও দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিকদের তার খেরাসত দিতে হচ্ছে। ভারতীয় মুসলমানদের অধিকতর নিপীড়িত বর্গে পরিণত হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়ার দায় পাকিস্থান প্রতিষ্ঠাকারীদের কোন অংশে কম নয়, যারা নিজেরা ছিলেন উঁচু শ্রেণীর মুসলমান এবং ভা/র/তে শ্রেণী, লিঙ্গ, জাতিবর্ণ বৈষম্যের গভীরতা এবং সমাজের গভীরে ঔপনিবেশিক ক্ষয়- ক্ষতি সম্পর্কে বোকার স্বর্গে বাস করে ছিলেন।ঔপনিবেশিক ইতিহাসবিদ্যার পরিকাঠামোয় ভারতের ইতিহাসের যুগ বিভাজন করা হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতেঃ বৌদ্ধ যুগ, হিন্দু যুগ, মুসলমান যুগ, এবং আধুনিক যুগ হিসেবে। এই কলোনিয়াল ইতিহাসবিদ্যাকে ভেঙ্গে ভা/র/তের ইতিহাসের স্বরাজ কায়েমে নিয়োজিত ইতিহাসবিদেরা তাই বিজেপি সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। রামচন্দ্র গুহ, ইরফান হাবিব, রমিলা থাপারের মত বিশ্বখ্যাত ভারতবেত্তাদের গ্রেফতার, হয়রানি, অপদস্ত করা থেকে এটা পরিষ্কার যে ভা/র/তের অতীত ইতিহাস আজ বর্তমানের ক্ষমতার খেলার পাটাতন তৈরি করেছে। ইংরেজদের বানানো ওরিয়েন্টাল ভারতের মিথিক গৌরবের গাঁথা তুলে আনছে রামায়ণ- মহাভারতের মহাকাব্যিক বয়ানে, যার পাঠ ভারতীয় আদতে বহুসংস্কৃতির রীতি-রেওয়াজেরই গল্প।

আমি যেন তার নিরাপত্তা হইঃ বাংলাদেশে করনীয়

এই সময়ের দক্ষিন এশিয়ার শক্তিশালী তরুণ কণ্ঠস্বর ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির নেতা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ডঃ কানহাইয়া কুমারের ভাষা ধার করে আমি বলব, silence or violence, কোনটাই আমাদের পথ হতে পারে না। ভারতে মুসলমানদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা অবিশ্বাস সৃষ্টি হলে তা আয়নার মত প্রতিফলিত হয়ে বাংলাদেশের হিন্দু ও অপরাপর সংখ্যালঘুদের জন্যেও নিরাপত্তাহীনতা, অবিশ্বাস, ও সহিংসতার ঝোঁক তৈরি করতে পারে।বাংলাদেশে কোন মন্দির ভাঙ্গার অর্থ ভারতে মসজিদ ভাঙ্গার সম্ভাবনা তৈরি করা। বাংলাদেশে মন্দির ভেঙ্গে ভারতে মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদ করতে পারবেন কোন অধিকারে? বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়িত্ব আমাদের যাতে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মুসলমান ভাই-বোনেদের মতই নিঃশঙ্ক জীবনের অধিকারী হন। তাদের হিন্দু পরিচয়ের জন্যে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনের কোন ক্ষেত্রে ভয়-ভীতি, চাপ বোধ না করেন, জান-মাল- সম্পদ, বাড়ী-ঘর- মন্দিরের উপর কোন ধরনের হামলার সুযোগ কারো না থাকে, কেউ হয়রানি, হত্যা, ধর্ষণসহ কোন ধরনের সহিংসতার ঝুঁকিতে না থাকেন। শত্রু সম্পত্তি বা অর্পিত সম্পত্তির মত কোন বে-ইন্সাফি আইনি পরিকাঠামো তাঁদের নিপীড়নের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে না পারে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভা/র/তীয় সরকারের সাথে পরিষ্কার বার্তা দেয়া প্রয়োজন যে, বাংলাদেশকে তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জড়ানোকে বাংলাদেশ সহজ ভাবে নেবে না। ভা/র/তের তামিলনাড়ুতে শ্রীলঙ্কার তামিল শরণার্থী, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে ভা/র/তে যাওয়া হিন্দু, মিয়ানমার থেকে আসা মুসলমান রোহিঙ্গা, ভারত থেকে পাকিস্তান বা বাংলাদেশে যাওয়া মুসলমান শরণার্থীদের মত নতুন কোন শরণার্থী দল যেন দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের ট্র্যাজেডির পুনারাবৃত্তি করতে না পারে। ভা/র/তে ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক শক্তির যে অভূতপূর্ব জাগরণ ঘটেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির সাথেও তার সংযোগ ঘটাতে হবে।

২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

https://www.deshrupantor.com/189062/এনআরসি-ও-সিএএ-ভারতের-অভ্যন্তরীণ-বিষয়-নয়

#সায়েমারলেখা
#CAA #NRC2024 #CAAINDIA
#SouthAsia

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




খুবই ভাবনার বিষয় ।
দেশভাগের কারণে মানুষ যথেষ্ট ভুগেছে।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশ,পাকিস্তান ও আফগানের মুসলমানরা কেন ভারতে গিয়ে স্থায়ী হবে।ধর্মের ভিত্তিতে দুটি রাষ্ট্র যখন হয়ে গেছে।হিন্দুদের তারা নাগরিক করে নিচ্ছে।আমরা আমাদের হিন্দু নাগরিকদের তাড়িয়ে দিচ্ছি।তারাতো মুসলমান নাগরিক দের বেক করে দিচ্ছে না।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪

আরিফ রুবেল বলেছেন: আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে
১) ভারতকে ভারত না লিখে ভা/র/ত লেখার কারন কি ?
২) সংখ্যালঘু নির্যাতন দুই দেশেই (ভারত ও বাংলাদেশ) আছে। তদুপরি নির্যাতনের শিকার হয়ে বা না হয়ে যে পরিমাণ বাংলাদেশী হিন্দু ভারতে গিয়ে সেটেল হচ্ছেন সেই পরিমাণে ভারতীয় মুসলমান বাংলাদেশে আসার খবর আমরা পাই না কেন ? এই ব্যাপারে কোন ডেটা কি আপনার বা আপনাদের (ধরে নিচ্ছি আপনি গণসংহতির রাজনীতির সাথে যুক্ত) কাছে আছে ?
৩) বিজেপির অখন্ড ভারত কর্মসূচী নিয়ে আপনার মতামত কি ?
৪) বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের উত্থান সম্পর্কে আপনার ধারনা কি ?

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

সায়েমার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত প্রশ্নগুলোর জন্যে। সময় নিয়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব। ভারত বানান লিখলে ইদানীং লেখাগুলোর প্রচার/ রীচ কমিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে, কৌশলগত ভাবে এভাবে লিখেছিলাম।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: রোহিংরাদের আপনার এখন বোঝা বলে মনে হচ্ছে কেন?
যখন মিয়ানমার থেকে রোহিংগারা পালিয়ে আসছিলো। তখন আপনারাই বারবার বলেছেন, ওদের আশ্রয় দিন। খাবার দিন।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: আরিফ রুবেল বলেছেন: ২) সংখ্যালঘু নির্যাতন দুই দেশেই (ভারত ও বাংলাদেশ) আছে। তদুপরি নির্যাতনের শিকার হয়ে বা না হয়ে যে পরিমাণ বাংলাদেশী হিন্দু ভারতে গিয়ে সেটেল হচ্ছেন সেই পরিমাণে ভারতীয় মুসলমান বাংলাদেশে আসার খবর আমরা পাই না কেন ?

ভারতীয় মুসলমানেরা বাংলাদেশী মুসলমানদের প্রকৃত মুসলিম মনে করে না । এরা পাকিস্থান যেতে পারে বাংলাদেশ কখনোই আসবে না । দেশ ভাগের সময় ওপারের মুসলিমরা বাংলা ভাগের বিরোধীতা করেছিলো । হিন্দুদের জোর চেষ্টায় দেশ ভাগ হয়েছে ।

রহিঙ্গা নিয়ে এই দেশের কিছু অসৎ লোক রাজনীতি করেছিলো কিন্তু যখন দেখলো উহাতে তাদের ফায়দা কম এখন তারা রহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গলা ফাটাচ্ছে । রহিঙ্গারা জাতিগত ভাবে বাটপার শ্রেনীর ।

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

সায়েমার ব্লগ বলেছেন: আপনাদের সুচিন্তিত মন্তব্য ও আলোচনার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ। আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমি সময় করে দেব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.