নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সায়েমা খাতুনঃ নৃবিজ্ঞানী, এথনোগ্রাফার এবং গল্পকার

সায়েমার ব্লগ

সায়েমা খাতুনঃ নৃবিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক

সায়েমার ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়াল অন্ধকার ৫ দিন

২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

৫টি অন্ধকার দিন কেটে গেল!

সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রতি নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে বাংলাদেশকে ভেবেছি।৫ দিন বাংলাদেশ গোটা বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার পর যা উঠে আসছে, তা দেখার সাহস হয় না, শোনার শক্তি হয় না। যা হয়ে গেছে, তা বুঝে উঠতেই শোক-দুঃখ, রাগ-ক্ষোভ-হতাশা, ক্রোধ, ভয়-আতংক-বিভীষিকা, সংকল্প-সাহস, শক্তি, প্রেম, দয়া-মায়া, করুণা- মানবিক সব অনুভূতি যেন এক মুহূর্তে খেলে যায়।যে নির্মম নৃশংস পুলিশি-মিলিটারি অভিযানে মায়েদের কলিজার টুকরা ছেলেদের বুকে গুলি চালানোর দৃশ্য দেখা গেল, যেভাবে তার পবিত্র দেহ পুলিশের গাড়ি থেকে ছুঁড়ে আবর্জনার মত ফেলা হল, তার মানবিকতাহীনতা শিউরে উঠার মত।বিশ্বাস করা কষ্ট যে, এটা গাজায় ঘটে নি, ইসরাইলী সৈন্যরা ফিলিস্তিনের জনসাধারণের সাথে করেনি, এটা এই দুনিয়াতে নিজের দেশের, নিজের ধর্মের, নিজের ভাষার, নিজের জাতির বাহিনীর দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে। এই দৃশ্য জাতির জীবনে চিরস্থায়ী ট্রমা হয়ে থেকে যাবে। এই সংকটকালে শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীদের বিস্ময়কর নীরবতায় কান ফেটে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে রচিত হল এক ভয়াল কালো অধ্যায়। নিজের দেশের জনগণের উপর এই আগ্রাসী হামলা করে আমাদের ১৭৪ এর অধিক টগবগে তরুণের হত্যা চিরতরে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে।অন্তত ২৫,০০০ আহত, হাজার হাজার গ্রেফতার, অসংখ্য নিখোঁজ। অন্ধকার এই ৫ দিনের পরে যে নতুন সূর্য উঠল, সেই আলোতে যে আমরা ভাইয়ের-সন্তানের লাশের গন্ধে জেগে উঠলাম, সেই আমরা আর কখনই আগের মত থাকবো না। আর কোনদিন এই দিনের পেছনে ফিরে যাওয়া যাবে না।এই উত্তাল জুলাইয়ের লিটমাস টেস্টে আমাদের এত দিনকার সব বন্ধুত্ব, সাথিত্ব, কমরেডশীপ, সব সম্পর্ককে এবার আগা-পাশ-তোলা ঝালাই-বাছাই করে ছুঁড়ে ফেলতে হবে বহু প্রতারক, প্রবঞ্চক, জালীদেরকে; তৈরি করতে হবে নতুন বন্ধুসমাজ।

এ এক অবিশ্বাস্য বাস্তবতা যে, কারো ক্ষমতা আছে, ইচ্ছা করলেই গোটা দেশকে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত কবরের নীরবতায় মুড়ে দিয়ে গোরস্থানে পরিণত করে দিতে পারে।১৮ কোটি মানুষকে যখন খুশী, যেভাবে খুশী, যতদিন খুশী জিম্মি করে রাখতে পারে। এই কি গণতান্ত্রিক শাসন পদ্ধতির নমুনা? এই শাসনের সম্মতি কি জনগণ দিয়েছে? এই শাসন কি বৈধ? কে বা কারা এই বৈধতা সরবরাহ করে যাচ্ছে? কিভাবে সম্ভব হচ্ছে এই দুঃশাসন চালিয়ে যাওয়া?

১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ উপনিবেশকারীরা যখন দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে লন্ডন, ডান্ডি, ম্যানচেস্টারের সুরম্য নগর গড়ে তুলল, তারা ছিল বিদেশী, বিধর্মী, শাদা; ১৯৭১ পর্যন্ত যখন পাকিস্তানীরা যখন উদ্বৃত্ত লুটে বাংলাদেশকে শ্মশান করে করাচী, পিণ্ডি ইসলামাবাদের গুলবাগিচা সৃষ্টি করলো, তারা স্বধর্মী ছিল বটে, কিন্তু ছিল ভিন্ন ভাষাভাষী, এবং ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ।বাংলাদেশ তাদের মাতৃভূমি ছিল না।কিন্তু এক এগারোয় সামরিক সরকারের জরুরী অবস্থা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২০০৯ সাল থেকে যে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির গুণকীর্তন করেই ইতিমধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে দ্রুতগতিতে পাচার করে ফেলেছে।আজকের তরুণরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছে, এরা আর কেউ না, বিদেশী বেনিয়া না, কোন বিদেশী শাসক না, বর্গী না, হার্মাদ না, এরা পাক্কা বাদামী চামড়ার ডালে-মাছে-ভাতে বাঙ্গালী দেশী গোষ্ঠী, এই বাংলাদেশই এদের জন্মভূমি। লুটপাট, দমন-পীড়নের যোগ্যতায় এরা বিদেশীদের টেক্কা দেয়। এ-ও ভুলে যাওয়া অসম্ভব যে, ২০০৭ এর ১/১১র জরুরী অবস্থা ও সামরিক শাসন সৃষ্টিই হয়েছিলো তৎকালীন আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বিএনপির সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়া স্বত্বেও স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচনকে স্যাবোটাজ করা থেকে।

ফলে এক এগারোর অনির্বাচিত সামরিক সরকারের প্রকল্প থেকে দেশ পেয়েছে টানা চার মেয়াদের দীর্ঘ আরেক দুঃস্বপ্নের আওয়ামী আমল। কর্পোরেট-মিলিটারি-ব্যুরোক্র্যাট-বুদ্ধিজীবী-সংস্কৃতিসেবী-পলিটিক্যাল পার্টির সমন্বয়ে একটা ভয়ঙ্কয় দুর্নীতি-দুষ্ট কতিপয়তন্ত্র গড়ে তুলে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের বয়ানকে সামনে নৈতিক ঢাল হিসাবে রেখে দেশের ব্যাংক, রিজার্ভ, উন্নয়ন তহবিল লুটপাট করে উন্নত দেশগুলোতে বাড়িঘর, ব্যাবসা-বাণিজ্য গড়ে তুলছে, অবৈধ সম্পদের পাহাড় দিয়ে পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে বিলাসী আবাস গড়ে তুলছে।অন্যদিকে দেশের বৃহত্তর দরিদ্র জনগোষ্ঠী, কৃষক, শ্রমিক, নারী, আদিবাসীসহ বৃহত্তর মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে যাপনের অযোগ্য।

কিভাবে এটা সম্ভব হয়েছে?

রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দলীয়করণ করা হয়েছে।এই দলীয়করণের প্রথম সোপানই হল এই কোটা ব্যবস্থা, যেখানে সরকারের প্রতি ভিন্নমতাবলম্বী কারো পক্ষে কোন পদে প্রবেশ করবার সুযোগ নাই বললেই চলে।গোটা আমলাতন্ত্র জনগণের মালিকানার রাষ্ট্রের বস্তুনিরপেক্ষ হাত না হয়ে, এখন দলান্ধ কালো হাতে পরিণত হয়েছে।এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ, পুলিশ, জুডিশিয়ারি - রাষ্ট্রের প্রতিটি অ্যাপারেটাস হাইজ্যাক হয়ে গেছে।আইন কোনভাবেই নিজের গতিতে চলছে না, বরং আইনকে চালানো হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর আদেশ-নির্দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।সংসদে সরকারী এবং বিরোধী দল উভয়েই আওয়ামী পক্ষীয়।একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রন নেয়া হয়েছে, অন্যদিকে হলগুলোকে ছাত্রলীগের দখলে পরিচালনার জন্যে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় পরিবেশবিনাশী উন্নয়ন প্রকল্পে যার যার বখরা নিয়ে ফ্যাসাদেই কর্তৃপক্ষের দিন কেটে যাচ্ছে।ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে।শিক্ষা ও গবেষণার কোন পরিবেশই বজায় রাখতে দেয়া হয় নি।ব্যাঙের ছাতার মত টেলিভিশন চ্যানেল গজিয়ে উঠেছে, সকল বড় বড় চ্যানেল এবং পত্রিকার মালিকানা, নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী লীগের হাতে চলে গেছে।এইসব কর্পোরেট মিডিয়াতে নারীদের ব্যাপকভাবে পণ্যে পরিণত করা হয়েছে এবং অলিতে গলিতে, গ্রামেগঞ্জে ধর্ষণের সংস্কৃতির বিস্তার ঘটেছে।দেখা গেল, বিসিএসের অন্তত ৩০টি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের চক্রে এক ড্রাইভার পর্যন্তও কয়েকশ কোটি টাকার সম্পত্তি গড়ে তুলেছে।পুলিশের প্রধান হাজার একর জমির মালিক হয়েছে, রাজস্ব কর্মকর্তা শত শত কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাৎ করে ফেলেছে।প্রধানমন্ত্রীর পিয়নও চারশো কোটি টাকার মালিক এবং হেলিকপ্টারে চলাচল করে, সেটা আবার বিন্দুমাত্র পরিতাপ ছাড়া নিজেই হাসতে হাসতে বলতে পেরেছেন কোন কনসিকয়েন্স ছাড়াই!এই অপ্রতিরোধ্য লুটপাটকে কাভার দেয়ার জন্যে এক দশকেরও বেশী সময় ধরে ক্রসফায়ার, গুম-খুনের এক ভয়াল সময়ে ভয়ের এক শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।পুরানো কোটিপতিদের সাথে মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী একটা নতুন ধনিক গোষ্ঠী সৃষ্টি হলেও দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতিতে নতুন দরিদ্রের সংখ্যা আকাশ ছুঁয়েছে।২০২৪ এ বেকারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াচ্ছে চল্লিশ লাখে। এদিকে কর্পোরেট গোষ্ঠী ফুলে ফেঁপে উঠেছে শনৈ শনৈ। এত কিছুর পরেও দুঃখজনকভাবে গত প্রায় দুই দশক ধরে জনগণের পক্ষে শক্তিশালী কোন জাতীয় সংলাপ, দরকষাকষি গড়ে তুলতে বিরোধী দল পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।ফলে এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে পড়েছে।অবাধে যা খুশী করবার জন্যে সরকার হয়ে উঠেছে এক অর্থে এখন সম্পূর্ণ জবাবদিহিতাহীন ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

কোটা আন্দোলন জনগণের চরম অসন্তোষের এই বারুদের উপরই বিস্ফোরিত হয়েছে।

........................................................

২০১৮ সালে কোটা আন্দোলন থেকে ২০২৪ এর আন্দোলন উভয় দফাতেই শিক্ষার্থীরা নিজেদের আন্দোলনকে অরাজনৈতিক দাবী করেছেন।নিজেদের দাবীর সাথে দ্বি-দলীয় নির্বাচনী রাজনীতির দূরত্ব বজায় রেখেছেন। অথচ, আর কোন বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি এই কোটা আন্দোলনের মত স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারকে এত বড় চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলতে পারেনি।রাষ্ট্র সংস্কারের আওয়াজ তুলে মাঠে থাকা গোষ্ঠীগুলো ইদানীংকালে কোন ইস্যুতেই দেশব্যাপী এত বড় ঐক্য গড়ে তুলতে সমর্থ হয় নি। এরা ভোটাধিকার বঞ্চিত একটা প্রজন্ম।

২০২৪ এর এই আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ২০১৮ এর সড়ক আন্দোলনের হাই স্কুলের কিশোরদেরই অধিকতর পরিপক্বরূপে কোটা আন্দোলনকে একটা জাতীয় প্রতিরোধের চেহারায় নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য অর্জন করেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের গাল ভরা আলাপ নিয়ে আপনি যদি গ্রামের একজন কৃষক পরিবার, কোন মফঃস্বলের নিম্নবিত্ত পরিবারের কাছে যান, গার্মেন্টস কর্মীদের কাছে যান, বা যদি খেটে খাওয়া নগরবাসীর কাছে যান, তার আসলে টাইম নাই আপনার এত বড় বড় বুলি শোনার।কিন্তু যদি আপনি তাঁদের সন্তানদের থেকে কেউ একজন তার মেধার জোরে পরিবারকে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র ভেঙ্গে একটা সম্মানজনক স্বচ্ছল জীবনে টেনে তোলার সম্ভাবনা দেখান, তখনই ওই গ্রামীণ, আধা গ্রামীণ, আধা মফঃস্বলের মা এই রাস্তার আন্দোলনকারীদের খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানোর জন্যে রাস্তার ধারে গণপাকশালা খুলে বসবেন, শরবত বানিয়ে মিছিলের নিয়ে যাবেন।যে আন্দোলনকে শহরের শিক্ষিত এলিট বিপ্লবীরা পেটি বুর্জোয়া আন্দোলন আখ্যা দিয়েছিলেন, সেই পেটি আন্দোলনই শেষ পর্যন্ত দেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বৃহত্তম গণপ্রতিরোধে পরিণত হয়েছে।যেহেতু ছাত্র আন্দোলনকে বিভিন্ন সব সময়ের ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার করা হয়েছে, ছাত্রদের রক্ত দান আর নিপীড়ন পোহানোর উপর ভর করে অতীতে ক্ষমতায় বসে মূল এজেণ্ডাকেই গায়েব করে দেয়া হয়েছে। ছাত্ররা এবারে তাই তাঁদের আন্দোলনের কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব নিজেদের হাতে রাখাবার জন্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এটাই তাঁদের পরিপক্ব রাজনৈতিক কৌশল।তাঁরা জাতীয় নীতিগুলোর বিষয়ে পয়েন্টে পয়েন্টে কথা বলতে চায়।অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়িয়ে কোন একটা রাষ্ট্রীয় পলিসি কেন উপকারী বা অপকারী, সেই বিষয়ে গণতান্ত্রিক বিতর্ক গড়ে তুলতে চায়।এটা তাঁদের উচ্চতর ইমোশোনাল ইনটেলিজেন্স, যার উপর আমরা ভরসা রাখতে পারি।

তরুণদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজে গড়ে তোলার সেই সামর্থ্য ও সংকল্পকে সরকার যে নৃশংসভাবে বলপ্রয়োগ করে দমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলো, সেটা এই শাসনের প্রতি অসম্মতিকেই প্রবলভাবে প্রকাশ্য করেছে।বিদ্যমান বাস্তবতায় কোটা সংস্কারকে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রথম ধাপ বলা যেতে পারে।এই জন্যে যে, আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে নির্বাচনী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবার জন্যে যে কাঠামো সৃষ্টি করেছে, কোটার সংস্কারের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্র সংস্কারের আগে সেই জঞ্জাল সরানোর কাজের প্রথম ধাপে পা রেখেছে।

এই রক্তাক্ত জুলাইয়ে আমাদের বীর ছাত্র-যুবার আত্মবলিদান একটি নতুন বাংলাদেশের জন্ম হতে যাচ্ছে।

২৩ জুলাই, ২০২৪
মিলওয়াকি, উইস্কন্সিন
যুক্তরাষ্ট্র

#SaveBanglashiStudents
#bangladeshquothamovement
#কোটাআন্দোলন২০২৪
#StepDownHasina

Poster: দেবাশিস চক্রবর্তী
Artist and Author
https://www.debashishchakrabarty.com

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৩৫

কামাল১৮ বলেছেন: সরকার কোটা বাদ দিয়েছিলো।ছাত্ররা আন্দোলন করে ৭% আদায় করছে।নারীর জন্য কোটা না থাকায় এটাও টিকবে না।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটি ব্লগের গড় বুদ্ধিমত্তার তুলনায় একটু কঠিন হয়ে গেছে। তাই আপনার এই অত্যন্ত বিশ্লেষণধর্মী ভালো একটি লেখায় কোন মন্তব্য নেই দেখে দুঃখিত হলেও খুব একটা আশ্চর্য হইনি।

এখনও এই ভয়াল অন্ধকার ৫ দিনের বীভৎসার আতঙ্ক থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক চিন্তা ভাবনা করতে পারছি না। তাই এমন ভালো লেখাতেও কোন যৌক্তিক আলোচনা করার মত ক্ষমতা এই মুহূর্তে নেই।

এই ট্রমা থেকে বের হয়ে কী করে আলোর মুখ দেখা যেতে পারে সেটাও ভেবে কূলকিনারা করতে পারছি না। এই ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের শেষ কোথায়?

২৭ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

সায়েমার ব্লগ বলেছেন: বিভাবরী সূর্য উঠবেই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.