নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে এখন ডায়াবেটিস, ক্যানসার, ঋদরোগ, কিডনী ফেইলিউর, এ্যলার্জি এমন কি হাপানি রোগের প্রকোপ ভয়াবাহ রকম বেড়েছে। এমন কোন মানুষ নাই যে বলতে পারবে তার পরিচিতদের মধ্যে কেউ এসব রোগে আক্রান্ত হয় নাই বড়ংচ একাধিক রোগী আছে। অথচ এ নিয়ে সরকার তো দুরে থাক, সুশীল সমাজ, মিডিয়া বা সমাজকর্মীদেরও কোনো মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হচ্ছে না। যে হারে পরিবেশ দূষণ, বায়ু দূষণ, খাদ্যে ভেজাল, অসম পুষ্টি ও কৃত্তিম খাদ্য ও পানীয়র ছড়া ছরি তাতে ভবিশ্যতে যে দেশে কি পরিমান ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আশবে তা ভেবে আমি আতংকিত।
বাংলাদেশ অণুজীব যেমন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিা সংক্রমন জনিত রোগ প্রতিরোধে অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। উদাহরণ স্বরুপ কলেরা, চিকেন পক্স, পোলিও, ডেঙ্গু, যক্ষা, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি। কিন্ত দিনে দিনে বাড়ছে মানব সৃস্ট রোগ। এসব রোগের কারনে যে রাস্ট্র যে কত বড় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে তা কেউ ভেবে দেখছে না। সবাই মনে করছে রোগ শোক ব্যাক্তিগত ব্যাপার, আসলে তা না, এটা সমস্টিক ব্যাপার। এটা যেকোন অর্থনিতীবিদ বা পরিসংখ্যানবিদের বোঝার কথা। রোগের কারনে মানুষের কর্মস্পৃহা কমে যাচ্ছে যা উৎপাদনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। এর উপর আছে চিকিৎসা ব্যায় যা শুধু অনাকাঙখিতই না জাতীয় অপচয়ই এবং মানুষের সঞ্চয় হ্রাস সহ ঋনের বোঝা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব কিছুই আমাদের জাতীয় অর্থনিতী ও প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। মানুষের বছরের চিকিৎসা ব্যায় খাদ্য ব্যায়ের কাছাকাছি।
এর জন্য সরকার ও প্রসাশন যেমন দায়ী সমান ভাবে আমরাও দায়ী। সেই সাথে ডাক্তাররাও অখাদ্য কুখাদ্য প্রচারের সঙ্গী যাদেরই কিনা উচিৎ ছিল এসব এর বিপক্ষে প্রচারণা চালান। এসব ব্যাপারে সচেতনতা তৈরীতে ডাক্তারদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের কথা। শুধু মাত্র একটু সচেতন হলেই ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা ক্যানসারের মত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব, পুরোপুরি না হলেও অনেকাংশে সম্ভব। আর আমাদের দোষ হল আমরা বেশীর ভাগ সময় বিঞ্জাপনে প্রলুব্ধ হই, অন্যের খারা জিনিষটা আগে নকল করি ভালটা করি না, নিজে নিজে সচেতন হওয়ার চেস্টা করি না আবার অনেক সময় স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য হলেও খারাপ জিনিষটা চালিয়ে যাই যার বাস্তব উদাহরণ হল ফাস্ট ফুড চাইনীজ ইত্যাদি। এই বিষয়ে আরো গুছিয়ে বলব সময় নিয়ে।
©somewhere in net ltd.