নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুবকের রক্ত দিয়ে বৃদ্ধের সতেজতা ও দীর্ঘায়ু লাভের গবেষণায় সাফল্য

১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে বৃদ্ধ ইদুরের শরীরে প্রতিদিন যুবক ইদুরের রক্ত প্রদান করার ফলে বৃদ্ধ ইদুরটির ক্ষতিগ্রস্থ হিপ্পক্যাম্পাস এরিয়ার ব্রেইন সেল দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করেছে। এছাড়াও আরও কিছু পরিবর্তন থেকে এই সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছেন যে যুবকের রক্ত বৃদ্ধের দেহে সঞ্চালনের মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিগ্রস্থ কোষ পূনর্গঠন করে সতেজতা বৃদ্ধি বা শারিরীক সক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব হতে পারে।

Can we reverse the ageing process by putting young blood into older people?

এই গবেষণাটি যে বিজ্ঞানীরা কোন ধারণা ছাড়াই করেছেন তা কিন্তু না, যে কারণে গবেষণাটি করা সেটি হচ্ছে একটা থিওরিটিক্যাল সম্ভবতা উনারা আগেই যাচাই করে নিয়েছিলেন। সেটা হচ্ছে যে মানুষের প্রতিটি কোষ একটা বয়স পর্যন্ত পূনর্গঠন হয় আর এটা হয় বলেই আমরা যুবক বয়সে যতই কাটা-ছেড়া বা ভাঙাচোড়া বা অসুখে পড়ি না কে আবার সেড়ে উঠি। এবং জন্মের পর থেকে একটা বয়স পর্যন্ত নতুন নতুন কোষও সৃষ্টি হয় বলেই আমরা বৃদ্ধি পাই। এটা যদি নিয়মিত হতে থাকে তাহলে আমরা বৃদ্ধই বা হই কেন?

এটারও একটা কারণ আছে যা বিজ্ঞানীরা আগেই আবিষ্কার করেছেন। এই বৃদ্ধি বা পূনর্গঠনে দুটি জিনিষ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে আর সেদুটি হল গ্রোথ স্টিমুলাস হরমন ও স্টেম সেল। আমাদের মস্তিষ্কের মগজের ঠিক নিচে পিটুইটারি গ্রন্থি বলে একটা গ্রন্থি আছে যা বিভিন্ন রকমের স্টিমুলাস হরমন নি:সরণ করে শরীরের অন্যান্য প্রয়োজনীয় হরমন নি:সরণ, মাত্রা ও সময় নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল থাইরয়েড, এড্রিনালিন, সেক্স হরমন, গ্রোথ হরমন ইত্যাদি। এগুলো যে শুধু শারীরিক ক্রীয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে তাই নয়, আবেগ, অনুভূতি, মেজাজ ও ভালোবাসাও অনেক ক্ষেত্রে হরমনের উপর নির্ভরশীল। আর এই পিটুইটারি গ্রন্থির কার্য্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের বায়োলজিক্যাল ঘড়ি। যেটা আসলে বলে দেয় কোন বয়সে কোন হরমন নি:সরণ করতে হবে বা বন্ধ করতে হবে। যেমন সেক্স হরমন একটা নির্দিষ্ট বয়স থেকেই নি:সরণ শুরু হয়। গ্রোথ হরমন বয়সের সাথে সাথে কমতে থাকে। এড্রিনাল হরমনও একটা নির্দিষ্ট বয়সে শুরু হয়ে বাড়তে থাকে এবং একটা নির্দিষ্ট বসের পড়ে কমতে থাকে। যার কারণে কৈশরে সাহস অনেক বেশী থাকে এবং যুবক হওয়ার পর থেকে আবার কমতে থাকে। ব্যাপারটা আরও জটিল যা এত অল্প কথায় বুঝান সম্ভব না।

স্টেম সেল হচ্ছে একধরনের মৌলিক কোষ যা যেকোন কোষে রুপান্তরিত হতে পারে যেমন পেশী কোষ, হৃদকোষ, হাড়, রক্ত কণিকা ইত্যাদি। স্টেম সেল তৈরী হয় ঊরুর হাড়ের ভেতরের অস্থিমজ্জায় এবং এটার উৎপাদনও গ্রোথ হরমন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কোষ তৈরী না হলে কোষ এর পূনর্গঠন সম্ভব হয় না। এছাড়াও আরও কিছু গ্রোথ ফ্যাক্টর ও প্রোটিন আছে যা কোষ এর পূনর্গঠন এ ব্যাবহৃত হয় সেগুলোও গ্রোথ ও সেক্স হরমনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই একটা নির্দিষ্ট বয়স পড়ে এসবের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় ফলে কোষ মরে যেতে থাকে কিন্তু নতুন কোষ আর তৈরী হয় না বলেই মানুষ বৃদ্ধ হতে হতে একসময় কোন না কোন অঙ্গের কাজ বন্ধ হয়ে মারা যায়।

এখন তাহলে উপায় হচ্ছে একটাই আর সেটা হচ্ছে বায়োলজীক্যাল ঘড়িকে ধোকা দিয়ে হরমন উৎপাদন অব্যাহত রাখা। আর যেহেতু যুবকের রক্তে সবধরনের স্টিমুলাস হরমন উপস্থিত তাই নিয়মিত যুবকের রক্ত সঞ্চালণের মাধ্যমে দেহের স্বাভাবিক ক্রীয়াকলাপ চালু রাখা। সেটারই একটা পরীক্ষা হল এই গবেষণায় এবং সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে বিজ্ঞানীরা। এতে করে যৌবন ও কর্মক্ষমতা চিরজীবন অটুট রাখতে না পারলেও দীর্ঘায়িত করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। চিরযৌবন বা চিরজীবন বেচে থাকার জন্য আরও একটা অন্তরায় হচ্ছে ক্যান্সার কোষ যার উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করার কোন সফলতা এখনও বিজ্ঞানীরা পায় নাই। পেয়ে গেলেতো আর কথাই নাই।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এই মারাত্ম খবর অনেক আগে পড়েছিলাম।

১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমিও অনেক আগেই পড়েছিলাম কিন্তু সময়ের অভাবে লিখতে পারি নি বা লেখার কথা মাথায় আসে নাই। এখন মনে হল তাই লিখে ফেললাম।

২| ১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: রোমহর্ষক খবর। বাস্তবে চর্চা হচ্ছে এসব।

৩| ১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো কি সঠিক, নাকি ব্যবসায়িক, দেখার দরকার।

সাধারণত: সব সময় রোগীরা, রোগীর নিজের থেকে কম বয়সী মানুষের রক্ত পেয়ে থাকেন; এর ফলে, আরোগ্য পাওয়া ও তারপর, কিভাবে ফিজিওলোজী বদলাচ্ছে, তা বুঝার দরকার আছে। আপাতত, তা কোন পরিবর্তন বলে চোখে পড়েনি।

ফিজিলোজিক্যালী, একজন বয়স্ক মানুষের সেল ও টিস্যু কি ধরণের রিএ্যাকশন করা উচিত তা নিয়ে গবেষণার ফলাফলের সাথে মিলিয়ে দেখলে অনুমান করা সম্ভব হবে।

১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

গরল বলেছেন: সঠিক এবং ব্যাবসায়িক দুটোই, ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া কোন গবেষণাই ফান্ড যোগাড় করতে পারে না।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই পথে জরা ও বার্ধক্য বিলম্বিত করা যেতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।

১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

গরল বলেছেন: ঠিক বলেছেন এবং উদ্দেশ্যও সেটাই।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২১

স্পর্শিয়া বলেছেন: কি সাংঘাতিক একটা খবর!

এভাবে তো মানুষ চির যৌবন পেয়ে যাবে।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

গরল বলেছেন: চিরযৌবন হয়ত পাবে না তবে দীর্ঘায়িত করতে পারবে কারণ আর একটা শত্রু আছে, সেটা হল ক্যান্সার। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৬| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

বিজন রয় বলেছেন: আপনার ব্লগবাড়ি ঘুরে দেখলাম।

আপনি দার্শনিক। নিয়মিত লিখুন।

শুভকামনা রইল।

৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

গরল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার অণুপ্রেরনামূলক মন্তব্যের জন্য।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

অক্পটে বলেছেন: লেখাটি খুব উপভোগ করলাম। আপনি আসলে দারুণ লিখেন। এ নিয়ে আপনার দুটো লেখা পড়লাম, মুগ্ধ হয়েছি। লেখালেখিটা ধরে রাখবেন। আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে। ভালো থাকুন।

১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

গরল বলেছেন: আপনার এত প্রশংসা পেয়ে লজ্জা পেয়ে গেলাম, এত ভাল লিখি না আসলে। মূলত আমি ব্লগ লিখি ডায়েরী হিসাবে, যা চিন্তা করি একটু লিখে রাখি যাতে ভবিষ্যতে রেফারেন্স খুজে পাই তার জন্য। বলতে পারেন নোট রাখা আর কি। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.