নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সারাদিন শুধু একা একা ভাবি!!!!!

রাইতের কইতর

নিজের সম্পর্কে বলার মতো যোগ্যতা এখনও অর্জন করিনি, চলছি সেই গন্তব্যের পথে, অজানা সেই গন্তব্য, এবং সেই গন্তব্যে পৌঁছার জন্যে আমার বিরামহীন প্রয়াস এবং সেখানটাতেই আমার আনন্দ।

রাইতের কইতর › বিস্তারিত পোস্টঃ

✎আবেগের শারীরিক মানচিত্র দেখেছেন কি?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আমরা মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ধরনের মানচিত্র দেখি। বিভিন্ন দেশ থেকে শুরু করে বিশ্ব মানচিত্র বা নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার জীববৈচিত্র্য
সম্পর্কিত মানচিত্র প্রতিনিয়তই দেখছি। তবে এবার জানা গেল ভিন্ন এক মানচিত্রের কথা।সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ফিনল্যান্ডের অ্যাল্টো ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক চমকপ্রদ কিছু মানচিত্র তৈরি করেছেন।

আবেগের শারীরিক মানচিত্র! তারা মানুষের মনের সাধারণ ও খুব বেশি ঘটে এরকম কিছু আবেগ ও অনুভূতি ব্যক্তির শরীরের কোন অংশের উপর কতটুকু কাজ করে তার কিছু ভিজ্যুয়াল ম্যাপ তৈরি করেছেন। সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও তাইওয়ান থেকে নেওয়া প্রায় ৭০০ ব্যক্তির উপর এই গবেষণা চালানো হয়।

প্রত্যেককে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন আবেগের সৃষ্টি করে তাদের শারীরিক কার্যকলাপের দিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়।তারপর তাদের মানুষের সম্পর্ণ দেহের কিছু ছবি দেওয়া হয়, যেখানে তারা বিভিন্ন রঙের সাহায্যে নিজের শরীরের বিভিন্ন অংশের কার্যকলাপের উঠানামা চিত্রায়িত করে। এই গবেষণায় যে বিষয়টি সবার উপরে উঠে এসেছে তা গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য অ্যাল্টো ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক লাওরি নুমিনমার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়।তিনি বলেন, আবেগ শুধু আমাদের মানসিক অবস্থা-ই নয়, শারীরিক অবস্থাও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এভাবেই তারা (আবেগগুলো) আমাদের বিভিন্ন বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে প্রস্তুত করে যাতে আমরা সময় মতো ব্যবস্থা নিতে পারি। এছাড়া, আমাদের পরিবেশে বিদ্যমান বিভিন্ন আনন্দদায়ক সামাজিক যোগাযোগেও এগুলো আমাদের সাহায্য করে।

সুতরাং প্রতিটি আবেগের জন্য যে নির্দিষ্ট শারীরিক প্রতিক্রিয়া থাকে, যদি সেগুলো শরীরে কোনোভাবে তৈরি হয়, তাহলে সেই শারীরিক ক্রিয়াগুলো আমাদের নির্দিষ্ট আবেগ কেন্দ্রকে উত্তেজিত করতে পারে।গবেষণার কাজটি সহজে বোঝার জন্য উদাহরণস্বরূপ হ্যাপিনেস এর কথা বলা যায়। চিত্রে আপনারা দেখতে পারছেন, সুখানুভূতিতে মানুষের শরীরের প্রায় সব অংশই বেশ উত্তেজনা দেখায়। X(

কিন্তু মুখমণ্ডল,মস্তিস্ক ও বুকের অংশ (যেখানে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস থাকে) সেখানে কার্যকলাপ বেশি দেখা যাচ্ছে। তার পাশে স্যাডনেসএর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। পুরো শরীরের মধ্যে শুধু মাথার ও বুকের অংশটা কিছু কাজ করছে। এভাবে প্রতিটা ছবি পাশের স্কেলের কালার অনুযায়ী ব্যাখ্যা করা যায়।
এই আবিষ্কারের ফলে কী লাভ হলো সেটাও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, এই গবেষণার ফলে আমরা খুব সহজেই জানতে পারবো আবেগের কাজ এবং তার শারীরিক ভিত্তি আসলে কী। এছাড়া এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল আমাদের বিভিন্ন ইমোশনাল ডিসঅর্ডার বোঝাতে এবং সেগুলো নির্ণয় করতে সাহায্য করবে। ইউরোপিয়ান রিসার্স কাউন্সিল, দ্য অ্যাকাডেমি অব ফিনল্যান্ড ও অ্যাল্টো ইউনিভার্সিটির সম্মিলিত অর্থায়নে এই অসাধারণ গবেষণা কর্মটি সফলভাবে শেষ হয় ।

[সংগ্রহীত]




মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: বাহ্ চমৎকার তথ্য!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৪

রাইতের কইতর বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

সকাল হাসান বলেছেন: তথ্যগুলো জেনে উপকার হল! এখন যে অবস্থায়ই থাকি না কেন, মানচিত্র দেখে অন্তত বুঝতে পারব যে কি করলে এই অবস্থাটা ধরে রাখা বা মুক্ত হওয়া যাবে! :)

ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য! :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১০

রাইতের কইতর বলেছেন: স্বাগতম সকাল হাসান।
মূহূর্তগুলোকে ভালো করে পর্যবেক্ষনের জন্য ক্যামেরাবন্দীও করে রাখতে পারেন যে, হাহাহ। :) :)

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ১ম ভালোলাগা ++

আচ্ছা , শিরোনামে পেন্সিল কিভাবে যুক্ত করেছেন ?

শুভেচ্ছা :)

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

রাইতের কইতর বলেছেন: ধন্যবাদ। :)
খুব্বি সহজ, জাস্ট কপি করে ডক আকারে সেইভ করে রাখুন, দ্যান প্রয়োজনমত ছেড়ে দিবেন, শুভ রাত্তি। :)

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

ভালোই !!

শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ!!!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৪

রাইতের কইতর বলেছেন: আপনাকেও :)

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

রাইতের কইতর বলেছেন: বেশ ভালো :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.