নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিকভ্রান্ত পথিক

সায়েম মুন

আঙ্গুল-চুষে ওষ্ঠাগত, জীবনের বেহিসেবী, ছিন্নপত্র দোলাচালে, মলিনতর ক্রন্দসী। হিমশীতল হাভাতে, অনাদরে উর্বষী, কাষ্ঠাগত অবিরত, ছন্নছাড়া সন্ন্যাসী।

সায়েম মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প: পাখি

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৪







আজ অনেক দিন পর লিখতে বসা। কলম শুধু এ হাত থেকে ও হাত। এ আঙ্গুল থেকে ও আঙ্গুলে যায়। খাতার ওপর একটা শব্দ বৈ কিছু লেখা হয়নি। শব্দটা লেখার পর বসে আছি কিভাবে শুরু করবো। ছোটকালের ইংরেজী রচনা পড়ার মত উল্টো করে শুরু করবো কিনা সেটাও ভাবলাম। অনেক ভাবনায় জট পাকিয়ে কিছুই আর লেখা হচ্ছে না। সকালের নাস্তা সেরে বসেছিলাম। স্ত্রী চা দিয়ে গেছে কখন টেরই পাইনি। কাপের গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম সেটা কোল্ড টি হয়ে গেছে।



একটু পর কলিং বেল এ শব্দ হলো। তিনবার শব্দ। বুঝে গেলাম বুয়া এসে গেছে। আমাদের বাসার গেটে সব সময় কিছু বাচ্চা খেলাধূলা করে। তাদের খেলার অংশ হিসেবে কলিং বেলে চাপা নিয়মিত রেওয়াজ। তাই বাধ্য হয়েই কলিং বেলের তিন শব্দ। বুয়া বাসায় ঢুকে গেছে। সাথে তার একমাত্র পুত্র এসেছে। বুয়ার নামটা বলা উচিত। পাখি। প্রথম আমাদের বাসায় কাজ নেয়ার সময় নাম জিজ্ঞেস করলে এ নামটাই বলেছিল সে। তার মানে এ নামটাই পাকাপোক্তভাবে তার জীবনে সেটে গেছে। প্রথম প্রথম হাসি পেলেও পরে বোধোদয় হয়। কারো নাম শুনে হাসা উচিত নয়। তার বাবা মা আদর করে হয়ত এ নামেই ডাকতো। আসল নামটা হারিয়ে যায় কালের অতলে। এটাই তার প্রিয় নামে পরিণত হয়।



লেখার প্রসংগে আসা যাক। আজ মা শব্দটা লিখে কেমন জানি উন্মনা হয়ে বসে আছি। সত্যি কথা বলতে কি মাকে নিয়ে কখনো কোন আদিখ্যেতা দেখাই নি। কখনো বলিনি ভালবাসি মা তোমায়। সেই ছোটকালে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মা'ই আমার বাবা এবং মা দুটোই। আমার সকল আবদার দু'জনার হয়ে একজনই মেটাতো।



এইচএসসি লেভেল পর্যন্ত গ্রামে বাস। তাই মায়ের সঙ্গে জীবনের বিশাল একটা অংশ কেটে গেছে। আমার মা ঠিক গ্রামের একজন সরল সাধারণ মা। মার মুখে কোন দিন কোন প্রসাধনী দেখিনি। যখন রাগ হতো আকাশ বাতাস ভারী করে চিৎকার করতো। আবার অল্প দুখেই কাতর হয়ে কান্নাকাটি শুরু করতো। সকালের সোনারোদ্দুর দেখে ধান শুকাতো। ধানের খড় শুকাতো গোয়ালের গাভীটির জন্য। বৃষ্টি এলে ভিজে চুপসে ধান উঠাতো। কালবোশেখী ঝড় উঠলে ঘরের নড়বড়ে খুটি ধরে লা ইলাহা ইল্লা আন্তা পড়তো। আবার ঝড় থেমে গেলে আঙ্গিনা ঝাট দিতো। তাই ঝড় বৃষ্টি দেখলে আমার সুখের কোন স্মৃতি মনে পড়ে না। মনে পড়ে ঘরের ছাউনি ঝরা পানির কথা। খাট তোষক ভিজবে বলে পানি সামলানোর জন্য পাতিল এগোনোর কথা। বৃষ্টি এলে বৃষ্টির গান গেয়ে খিচুড়ি খাওয়ার কথা বললে আমার মায়ের একবেলা উপোস থেকে আর একবেলা খাওয়া মুখটা মনে পড়ে যায়। চুপিচুপি খাওয়ার অভিনয় করে আমাকে তিনবেলা খাওয়ানোর কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায় হাস মুরগী গরু ছাগল বেচে আমার পড়াশুনার খরচ মিটানোর কথা।



এইচএসসি লেভেল শেষে শহরের দিকে ধাবিত হলাম। মা পড়ে রইলো সেই মাটির বাড়ি ঘর আগলে। পড়াশুনা শেষ করে এখন একটা চাকুরী করি। সেই চাকুরীতে কোন রকম খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। স্ত্রীর চাকুরীটা না থাকলে হয়ত পথে থাকতে হতো। মাস শেষে কোন উদ্ধৃত তো থাকেই না। উল্টো টানাটানি হয়ে যায়। সামান্য বাড়তি খরচে সংসারে আরও টানাটানি বৃদ্ধি পায়।



মায়ের জন্য সামান্য কিছু টাকা পাঠিয়ে খালাস। মাস পার। প্রজন্ম পুরানো বলে সে আমাদের সংসারে এসে খাপ খাওয়াতেও পারেনি। তাছাড়া আমরা যেখানে সময় দিতে পারিনা। সেখানে সে থেকেই বা কি করবে। অল্পতেই হাফ ধরে যায়।

বাবা আমাকে গ্রামে রেখে আয়। আমি এখানে নি:শ্বাস নিতে পারছি না।



অবশেষে তাই হলো। মাটির মানুষ মাটির বুকেই মানানসই। গ্রামে মাটির অভাব হয় না। খোলা হাওয়ার অভাব হয় না। মনের কথা খুলে বলার লোকের অভাব হয় না তার।





পাখির ছেলের নাম রাব্বী। চার বছরের মত বয়স। এতক্ষণ শোফার একটা কুশন দিয়ে মেঝেতে শুয়ে ছিল। যতক্ষণ ওর মা এখানে থাকে সে শরীর মন্দ থাকলে বা ঘুম আসলে এভাবে শুয়ে থাকে। বাকীটা সময় টিভিতে কার্টুন দেখে।



প্রায়ই তার মার মুখ থেকে শুনি দাঁতের ব্যথায় সে বেজায় কাতর। আজ এসে বললো-



তার একটা দাঁত পোকায় খেয়ে ফেলছে।

মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তার বললো একটা দাঁত নষ্ট হয়ে গেছে। উঠায় ফেলতে হবে।



-আমি বললাম ডাক্তার যখন উঠাতে বলছে উঠায় ফেলতা। বাচ্চা মানুষ। দুইদিন পর এমনিতেই দাঁত গজাতো।



না ভাইয়া। আমি শুনেছি দাঁত উঠালে ব্রেন্টে আঘাত পাইবে।



কি আর করা। মায়ের সংশয়যুক্ত বানীর কাছে আমার যুক্তি মার খেয়ে যায়। আমি আর কথা বাড়াই না।





পরের দিন সন্ধ্যার দিকে পাখি এসেছে। আমার স্ত্রী সান্ধ্যকালীন নাস্তা হিসেবে এক বল মুড়ি মাখা নিয়ে আসলো। রাব্বীর জন্য আলাদা বাটিতে দেয়া হয়েছে। সেই মুড়ি খেতে গিয়ে রাব্বী দাঁতে ব্যথা পেয়ে চিল্লায় উঠলো। পাখি দৌঁড়ায় এসে রাব্বীকে কোলে তোলে নিলো। আমার স্ত্রীকে বললো-



আফা আমার কাজ তো শেষ হলো না। একটু কষ্ট করে করে নিবেন। আমি রাব্বীকে নিয়ে এখনি মেডিকেলে যাচ্ছি। আল্লায় জানে আজকে গেলে ডাক্তার আবার দাঁতটা উঠায় ফেলে কিনা! আমার রাব্বীর না জানি ব্রেন্টে লাগে কিনা! এই বলে সে বাসা থেকে দ্রুত বের হয়ে গেল।



এদিকে আমার গল্পটা এখনো তেমনভাবে শুরুই করতে পারিনি। আজকে কিছুদূর লিখেছিলাম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর এগোলো না। মায়ের জন্য একটা দীর্ঘশ্বাস চেপে খাতা কলম গুটিয়ে রেখে দিলাম।





ছবি: নিজস্ব এ্যালবাম।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১২

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুন্দর একটা বিষাদমাখা গল্পতো বলেই দিলেন।

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়া ঘাট। শুভকামনা রইলো।

২| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১৬

হাসান বৈদ্য বলেছেন: গল্প পড়ে শিক্ত হলাম

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান। শুভকামনা সব সময়।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩২

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: এতো পচা লেখা নিষিদ্ধ । হিংসিত ! X((

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০০

সায়েম মুন বলেছেন: বহুদিন পর একটা গপ লিখলাম। সেটাও পচা হলো। #:-S
আমিও টিংসিত /:)

৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সহজ বর্ণনা।
ভাল লেগেছে গল্পটা।

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০৩

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। লিখতে থাকুন হাত খুলে।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
মনে রাখার মত গল্পের ঝরঝরে বর্ণনায় মুগ্ধ হলাম।
বৃষ্টিভেজা বিকেলের শুভেচ্ছা।।

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

সায়েম মুন বলেছেন: আমি যেখানে আছি সেখানে গত সপ্তাহে কোন বৃষ্টি হয়েছে কিনা মনে নেই। তবে শুভেচ্ছা বেশ লাগলো। এই গরমে কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনলো। :!>

ধন্যবাদ কবি। শুভকামনা।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন :)

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ শুকনোপাতা। ভাল থাকুন সব সময়।

৭| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০২

নাইট রিডার বলেছেন: আহারে মায়ের মন, কোন যুক্তি কোন বিজ্ঞান ই মানে না।

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ নাইট রিডার। আপনার পাঠে ভাল লাগলো। শুভকামনা।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শেষ হয়েও শেষ হলো না যেন ! ছোট গল্প !
ভালো লেগেছে । শুভকামনা রইলো

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা। আপনার গল্পটা পড়তে হবে। শুভকামনা সব সময়।

৯| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: শেষের দিকে এসে আরও গপ আছে বলে মনে হচ্ছিল -

আচ্ছা ব্রেন্টে মানেটা কি?

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

সায়েম মুন বলেছেন: আসলে গপটা আর কি লিখবো। ওখানেই শেষ :(
ব্রেন্টে মানে ব্রেইন এ। :)
ধন্যবাদ মাসুম। শুভকামনা।

১০| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটার কি হল?

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৬

সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটাতো থেমে গেল আর এক ঘটনার সূত্রপাতে!

১১| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২০

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: টিংসিত রে পাত্তা দিলাম না । পোস্ট নির্বাচিত হয় নাই। মেজাজ বহুত গরম আছে ।

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩০

সায়েম মুন বলেছেন: নির্বাচিত করার জন্য মডু বরাবর আবেদন করেন। নাইলে আমার মত ঘুষটুস কিছু দ্যান। :P

১২| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ছোট গল্পে ভালো লাগা !

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩১

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ অভি। শুভরাত্রি।

১৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: সব মায়ের জন্য শ্রদ্ধা । প্রতিটা সন্তানের শ্বাস-প্রশ্বাসে লেগে আছে মায়েদের ত্যাগ আর অন্ধ ভালোবাসা ।


মা'কে নিয়ে লেখা গল্প পৃথিবীর সেরা গল্প । আর এই গল্প কখনোই শেষ হয়না । মা'য়ের গল্পে ভালোলাগা++

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০২

সায়েম মুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন মামুন। মাকে নিয়ে গল্প কবিতা কখনো শেষ হওয়ার মত নয়। অনেক ধন্যবাদ। শুভসকাল।

১৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: খুব সুন্দর একটা গল্প সায়েম!

কদমের জন্য আলাদা যোগ চিন

অটঃ শালার নেট এমন স্লো কোথাও কমেন্টও করতে পারিনা! অসহ্যকর
একটা অবস্থা! জিপির গুষ্টি ধবংস হঊক!!

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ রেজোওয়ানা। এবারের প্রথম কদমফুল। অথচ ছবিটা ঠিকমত আসলো না। :(

জিপির নেট অবস্থা নিয়ে হা পিত্যেস করতে করতে জুম আলট্রা নিয়েছি। আমি বর্তমানে যে জায়গায় আছি এখানে আবার রবির নেটওয়ার্ক ভাল। সিটিসেল মৃতপ্রায়। আপাতত রবি মাথায় করে ঘুরছি। :D

১৫| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষটা এমন আচমকা হয়ে গেল! কিছু মিস করলাম মনে হচ্ছে।

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:১১

সায়েম মুন বলেছেন: একদম মাইক্রো গল্প। আরও কয়েকবার পড়েন। দেখবেন কি মিস করছেন ভুলেই গেছেন। :D

১৬| ২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০০

বৃতি বলেছেন: ভাল লেগেছে :)

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:১১

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি। শুভসকাল।

১৭| ২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৯

কালোপরী বলেছেন: :)

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

সায়েম মুন বলেছেন: হুম। শুধু মুচকি হাসি দিলে হবে। ভালমন্দ কিছু তো বলতে হবে!

১৮| ২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: "ভালোবাসি " এই শব্দটি মাকে বলা হয়নি কখনো! বলে ফেললে খুব কি আদিখ্যেতা হোত? !নাকি এটাই আমাদের চরম দুর্বলতা , আমরা হাজার অপ্রয়োজনীয় শব্দ বলি কিন্তু যেখানে যেটা বলার কথা সেটাই বলতে পারিনা
:(
আজ যখন আমার সন্তান দিনে কয়েকবার গলা জরিয়ে ধরে বলে মাম্মি লাভ ইউ ,লাভ ইউ সো মাচ ! ।তখন মনে হয় দুনিয়ার সকল ভালোবাসা যেন তুচ্ছ এর কাছে । ভুলিয়ে দেয় সব প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসেব , স্পষ্ট হয় মায়ের ভালোবাসার গভীরতা , ।
হাজার মাইল দুরে থেকে আজ মনে হচ্ছে আমরা সন্তানেরা সত্যি হতভাগা :| শুধু যেন নিতেই শিখেছি !!

গল্পে ভালো লাগা জানালাম

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

সায়েম মুন বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই। এটা কিন্তু গল্প। গল্পের মধ্যে কিছুটা বাস্তবতা ঢুকে পড়ে বৈকি!

আর আমরা অনেক সময় অস্থানে মাত্রাতিধিক্য আদিখ্যেতা দেখাই। প্রেম ভালবাসার ক্ষেত্রে আরও প্রকট। কিন্তু এই একটা জায়গায় আদিখ্যেতা নয়, যেটুকু প্রযোজ্য সেটুকুও দেখাই না। ছোটকালে বাচ্চারা কত কিছু বলে মায়েদের প্রাণ ভরিয়ে রাখে। যতই বড় হতে থাকে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক সময় দূরত্ব পৌঁছায় অসীমে। কেউ হয়ত বাবা-মার সেবা শুশ্রূষা করার সুযোগ পান। কিন্তু সেটাও মুষ্ঠিমেয়।

ধন্যবাদ সোহেলী। শুভকামনা।

১৯| ২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

ওঁ বলেছেন: সুন্দর একটা গল্প

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

সায়েম মুন বলেছেন:
ধন্যবাদ ওঁ। শুভকামনা সব সময়।

২০| ২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সহজ সরল গল্পে +++++++++++++

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী। শুভসন্ধ্যা।

২১| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

মিনাক্ষী বলেছেন: এতো ছোট কেন? :(

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

সায়েম মুন বলেছেন: অনেক দিন পর গল্প। তাই পিচ্চি থেকে শুরু করেছি। আমার লাস্ট গল্পটা বেশী বড় হওয়াতে কেউ পড়েনি। :(

২২| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৭

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: যেন তারাতারি শেষ হল , কিন্তু মাকে মনে করে স্মৃতিচারণ টুকুর রেষ রয়ে গেল

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

সায়েম মুন বলেছেন: হ্যা। একটু তাড়াতাড়ি শেষ করেছি। এই গল্পটা এফবি স্ট্যাটাস ঘরে বসে লেখা। অনেক দিন গল্প লিখিনা। তাই চেষ্ঠা করলাম।

ধন্যবাদ অদ্বিতীয়া। শুভকামনা।

২৩| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১৭

না পারভীন বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে গল্পটি ।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫০

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ না পারভীন। শুভকামনা।

২৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

ফারজানা শিরিন বলেছেন: গল্প পড়ার আগে মন্তয লিখতছি ! মাত্র মুখবইয়ে কদম ফুলের ছবি দিয়ে আপনার ব্লগে আসলাম আর দেখলাম কদম ফুলেরছবি। অকারনে ভালো লাগলো !!!

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৭

সায়েম মুন বলেছেন: না কারণ তো একটা আছে। কদম ফুল কোয়েন্সিডেন্স। :/

২৫| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

ফারজানা শিরিন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মায়ের কথাই মনে পড়ছে তবে মাকে নিয়ে আমার অনেক আদিক্ষেতা । আমাকে মা এখনও খাইয়ে দেয় ।

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩০

সায়েম মুন বলেছেন: মায়েরা যে স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে সন্তানদের মানুষ করেন। বড় হওয়ার পর সন্তানরা অনেক সময় সেটা ভুলে যায় বা যাওয়ার চেষ্ঠা করে। আপনার কথা শুনে ভাল লাগলো। শুভকামনা থাকলো।

২৬| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবি সুন্দর লিখেছেন । ভাল লাগলো ।

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩১

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। শুভকামনা রইলো।

২৭| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

ভিয়েনাস বলেছেন: মা তো মা-ই । মাকে নিয়ে গল্প লিখা যায় না বরং কিছুটা স্মৃতিচারণ করা যায়... সকল মা দের জন্য শ্রদ্ধা আর শুভকামনা রইলো।

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩২

সায়েম মুন বলেছেন: সেটাই। ধন্যবাদ ভিয়েনাস। আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।

২৮| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

মেহেরুন বলেছেন: সুন্দর, সাবলীল আর সরল গল্প। ভালো লাগলো। আমার ব্লগ এ এলে খুশি হবো। কেমন আছেন?? আমিও ছবি দিয়ে শান্তি পাচ্ছি না, ঝাপসা ছবি আসছে কেন যেন। :(

২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

সায়েম মুন বলেছেন: থ্যাংকস মেহেরুন। এখন যাচ্ছি। অনেকের ছবি ঝকঝকে আসতেছে। কিন্তু আমার ছবি সহ অনেকের আবার ব্লার আসতেছে। ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছি না।

২৯| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

মেহেরুন বলেছেন: গত কয়েকদিন ধরেই এই সমস্যা হচ্ছে। ঝকঝকে ছবি দিলেও ব্লার হয়ে যাচ্ছে। :(

২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

সায়েম মুন বলেছেন: আমারও একই সমস্যা। সামু আমাদের বঞ্চিত করতেছে। এই অন্যায় মেনে নেয়া যায় না। একদফা এক দাবী, কবে আমাদের ঝকঝকে ছবি দিতে দিবি। :D

৩০| ২৭ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: গ্লপ গুলো এখন আর গল্প লাগে না। সব আসে পাশে কাছের ঘটনাই হয়।

২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

সায়েম মুন বলেছেন: সেটাই। বাস্তবতা গল্পে ঢুকে যায় হিরহির করে। ধন্যবাদ সুপ্তি। আপনাকে অনেক দিন পর দেখলাম। আশা রাখি ভাল আছেন। শুভকামনা রইলো।

৩১| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক সুন্দর।
অনেক অনেক ভাল লাগা

২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪০

সায়েম মুন বলেছেন: ধন্যবাদ মুক্তাপা। শুভকামনা।

৩২| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

এরিস বলেছেন: মাকে এভাবে অনুভব করিনা, এমন খুব কম মানুষই আছেন। অথবা যারা আছেন, তারা হয়তো মানুষ নন। আমার মনে হয়না সন্তানেরা মাকে ভালোবাসার কথা খুব একটা জানাতে পারে। যখন ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে আম্মার সাথে ঝামেলা করি, আম্মা রেগে থাকেন, হয়তো কথা বলছেন না, কথা বলার ছুতোয় আম্মার নাকের সামনে ঘুরে ঘুরে এটা সেটা করে বেড়াই অহেতুক, মা বুঝে যায় 'তোমাকে ভালোবাসি'। সব ভালোবাসার কথা বলে দিতে হয়না। সেগুলোই প্রতিনয়ত হৃদয়ে জানান দিয়ে যায়, নিখাদ ভালোবাসা, এখনও জমা আছে তোমারি জন্য।

২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪০

সায়েম মুন বলেছেন: ভাল বলেছেন এরিস। শুভকামনা সব সময়।

৩৩| ২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

স্বপ্নচূড়ায় আমি বলেছেন: আমি ছোট বেলা থেকেই মায়ের অন্ধ ভক্ত। মায়ের কোন গান, কবিতা কিংবা গল্প পড়তে যেমন ভালো লাগে। তেমনি কষ্টকর কোন অধ্যায় কিংবা মায়ের অসীম ভালোবাসায় চোখে জলও আসতে দেরী হয় না। সত্যিই পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ কোন মানুষ নেই। যদি থেকে থাকে সেটা মা ছাড়া আর কেউ নয়।
I LOVE MY MOTHER...............

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫১

সায়েম মুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগলো। শুভকামনা সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.